× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Time is now at hand
google_news print-icon

সময় এখন হাতপাখার

সময়-এখন-হাতপাখার
মেহেরপুরের ঐতিহ্যবাহী বামন্দী বাজারে হাতপাখার দোকানে ক্রেতার ভিড়। ছবি: নিউজবাংলা
মেহেরপুরের ঐতিহ্যবাহী বামন্দী বাজার ঘুরে দেখা যায়, মৌসুমী পাখা ব্যবসায়ীর কাছ থেকে হাতপাখা কিনতে মানুষ ভিড় জমিয়েছেন। সপ্তাহখানেক আগে যে হাতপাখা ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হতো বর্তমানে তা ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কৃষিনির্ভর মেহেরপুরে জৈষ্ঠ্য মাসের শেষ দশকে এসে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ আর ভ্যাপসা গরমে মানুষের জনজীবন হয়ে পড়েছে বিপর্যস্ত। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। আর তা জনভোগান্তি বাড়িয়ে দিয়েছে দ্বিগুণ।

গরম আর লোডশেডিংয়ে বাজারে সংকট দেখা দিয়েছে আইপিএস ও চার্জার ফ্যানের। এ অবস্থায় বিদ্যুৎহীন দীর্ঘ সময়টাতে সাধারণ মানুষের একটাই ভরসা- হাতপাখা। তালপাতার তৈরি হাতপাখার ব‍্যবহার ও চাহিদা বেড়েছে দ্বিগুণ। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দামও।

মেহেরপুরের ঐতিহ্যবাহী বামন্দী বাজার ঘুরে দেখা যায়, মৌসুমী পাখা ব্যবসায়ীর কাছ থেকে হাতপাখা কিনতে মানুষ ভিড় জমিয়েছেন। সপ্তাহখানেক আগে যে হাতপাখা ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হতো বর্তমানে তা ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পাখা ব‍্যবসায়ীরা বলছেন, তীব্র গরমে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে হাতপাখার ব‍্যবহার ও চাহিদা বেড়ে গেছে। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকায় দামও বেড়ে গেছে।

সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, তীব‍্র গরমের মধ‍্যে একদিকে লোডশেডিং অন‍্যদিকে চার্জার ফ‍্যান ও হাতপাখার সংকট দেখা দিয়েছে। আর এই সংকটকে সুযোগ হিসেবে নিয়ে হাতপাখার দাম বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

সময় এখন হাতপাখার
গরম আর লোডশেডিংয়ে চাহিদা বাড়ায় ব্যস্ততা বেড়েছে পাখা প্রস্তুতকারীদেরও। ছবি: নিউজবাংলা

পাখা তৈরিকারক রেখা বালা বলেন, ‘আমরা গরমের মৌসুম আসার শুরুতেই পাখা বানানোর কাজ শুরু করি। বছরের অন‍্য সময়ে ঝুঁড়ি, সারা ও সরপোশ তৈরি করি। একটা পাখা তৈরি করে পাইকারি ৩৫/৪০ টাকায় বিক্রি করতাম। বর্তমানে বাজারে হাতপাখার চাহিদা বেশি। সে তুলনায় আমরা পাখা বানাতে পারছি না। বতর্মানে সেই পাখা পাইকারি বিক্রি করছি ৫৫/৬০ টাকা করে।’

গাংনী উপজেলার ষোলটাকা গ্রামের পাখা ব্যবসায়ী দ্বিপক জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে তালপাতায় তৈরি হাতপাখার ব‍্যাচাহিদা বেড়েছে ব্যাপক।

তিনি বলেন, ‘এই হাতপাখা নিজে বাড়িতে তৈরি করলেও চাহিদা বিবেচনায় বাইরে থেকেও কেনা লাগছে। এই পাখা গত সপ্তাহে প্রতি পিস বিক্রি করেছি ৩৫/৪০ টাকা করে। আজ সেই পাখা অন‍্য জায়গা থেকে কিনে আনলাম ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। তাই গড়ে আমরা ৮০ টাকা পিস বিক্রি করছি। তবে এটা ঠিক যে কারেন্টের অবস্থা এমন থাকলে আগামী হাটে একশদ টাকা করে বিক্রি হবে।’

বামন্দী বাজারে পাখা কিনতে আসা ভ‍্যানচালক জামাল বলেন, ‘ওরে বাবা! রাস্তায় তো ভ‍্যান চালানোটাই কঠিন হয়ে গেছে। একোতে রাস্তায় গাছপালা কেটে ফাঁকা করে ফেলেছে। রাস্তায় ভ‍্যান চালানোর সময় হাতপাখা সাথে নিয়ে ঘুরতে হচ্ছে।

‘আর পাখার যে দাম! প্রায় একশ টাকা কইরি হয়ে গেছে। গরিবরা যে জিনিসটাই বেশি ব‍্যবহার করবে, তারই দাম যেন বাড়তে হবে।’

একই উপজেলার মটমুড়া গ্রামের গৃহিণী শারমিন বলেন, ‘বাড়িতে আমার ১১ মাসের বাচ্চা। সারা দিনে সব মিলে দুই থেকে তিন ঘণ্টা কারেন্ট থাকে। রাতের বেলায়ও একই অবস্থা।

‘গরিব মানুষ, আমাদের তো আর আইপিএস কেনার সামর্থ্য নেই। আমাদের এসি বলেন আর আইপিএস বলেন সবই হাতপাখা। যতক্ষণ হাত ঘুরাবেন ততক্ষণ শরীর ঠাণ্ডা থাকবে। তাই রাতে আমাদের ঘুম নেই। রাত জেগে বাচ্চাকে হাতপাখা দিয়ে বাতাস করা লাগে।’

ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী বিক্রেতা আতীয়ার হোসেন বলেন, ‘আমার ঘরে গত বছরের বেশ কিছু চার্জার ফ‍্যান ছিল। সাথে এ বছরও ২শ’ পিস চার্জার ফ‍্যান কিনেছি। তারপরও ঘরে এক পিস ফ্যান নেই। বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কারণে গত এক সপ্তাহে চার্জার ফ্যানের এমন চাহিদা বেড়েছে।’

আরও পড়ুন:
লোডশেডিং দু’দিনের মধ্যে কাটার আশ্বাস প্রতিমন্ত্রীর
শীতেও সিলেটে তীব্র লোডশেডিং
রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে লোডশেডিং
লোডশেডিংয়ে রিচার্জেবল পণ্যের দামে আগুন
এক মাসের মধ্যে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি ঠিক হবে: তথ্যমন্ত্রী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Four people died of dengue in 24 hours in the country

ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় দেশে চারজনের মৃত্যু

ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় দেশে চারজনের মৃত্যু ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশার প্রতীকী ছবি।
চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৯৭ হাজার ৬০৩ জনের মধ্যে ৬৩ দশমিক ১০ শতাংশ পুরুষ ও ৩৬ দশমিক ৯০ শতাংশ নারী। একই সময়ে মারা যাওয়া ৫৩৬ জনের মধ্যে ৫১ দশমিক ৭০ শতাংশ নারী ও ৪৮ দশমিক ৩০ শতাংশ পুরুষ।

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে একদিনে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার এই সময়কালে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৪৪ জন ডেঙ্গু রোগী।

বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এ নিয়ে চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৫৩৬ জন। আর শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭ হাজার ৬০৩ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাসপাতালে নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ২৩, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭৩, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৬, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৮৪, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৭৮, খুলনা বিভাগে ৪৫, রাজশাহীতে ২৭, ময়মনসিংহে ১৩, রংপুরে ৩ এবং সিলেট বিভাগে দুজন রয়েছেন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৯৭ হাজার ৬০৩ জনের মধ্যে ৬৩ দশমিক ১০ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৯০ শতাংশ নারী। একই সময়ে মারা যাওয়া ৫৩৬ জনের মধ্যে ৫১ দশমিক ৭০ শতাংশ নারী এবং ৪৮ দশমিক ৩০ শতাংশ পুরুষ।

এছাড়াও একই সময়ে সারা দেশে ৫১৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৯৫ হাজার ১৫১ জন।

আরও পড়ুন:
ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৪৫৩
ডেঙ্গুতে আরও দু’জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৪৭৮
ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৭ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৫৯৬
ডেঙ্গু কেড়ে নিল আরও পাঁচ প্রাণ, হাসপাতালে ৫৬২
ডেঙ্গুতে তিন নারীর মৃত্যু, হাসপাতালে ১৮৬

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The temperature will drop further in five days

পাঁচ দিনে তাপমাত্রা আরও কমবে

পাঁচ দিনে তাপমাত্রা আরও কমবে
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, বুধবার সকাল ৯টা থেকে আগামী পাঁচ দিন তাপমাত্রা কমতে পারে। দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে।’

দেশের উত্তরাঞ্চলে জেঁকে বসেছে শীত। অন্যান্য অঞ্চলেও ক্রমেই কমছে তাপমাত্রা। আগামী পাঁচ দিনে সারাদেশে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, বুধবার সকাল ৯টা থেকে আগামী পাঁচ দিন তাপমাত্রা কমতে পারে। দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।’

সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পেতে পারে। আর দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আরও পড়ুন:
শৈত্যপ্রবাহ: নওগাঁয় তাপমাত্রা নামল ৯.৯ ডিগ্রিতে
তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নেমেছে ১০.৪ ডিগ্রিতে, আসছে শৈত্যপ্রবাহ
দুদিন থেকে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
There is no gunfire at the border but sailing on the St Martin route is closed

সীমান্তে গোলার শব্দ নেই, তবে সেন্টমার্টিন রুটে নৌযান বন্ধ

সীমান্তে গোলার শব্দ নেই, তবে সেন্টমার্টিন রুটে নৌযান বন্ধ টেকনাফ সীমান্তে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সতর্ক অবস্থান। ছবি: নিউজবাংলা
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মংডু টাউনশিপ আরাকান আর্মি দখলে নেয়ার পর এপারে টেকনাফ সীমান্তে গোলার বিকট শব্দ ভেসে আসছে না। এতে করে সীমান্তবাসীর মধ্যে আপাতত স্বস্তি ফিরেছে। তবে নিরাপত্তার কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে নৌযান চলাচল সাময়িক বন্ধ রয়েছে।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মংডু টাউনশিপ দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি দখলে নেয়ার পর গোলাগুলি বন্ধ রয়েছে। এপারে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে গোলার বিকট শব্দ ভেসে আসছে না। এতে করে সীমান্তে বসবাসকারীদের মাঝে এক ধরনের ‘স্বস্তি’ ফিরেছে।

তবে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকা মংডু শহর পুরোপুরি আরাকান আর্মি দখলে নেয়ার পর নিরাপত্তার কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে উপজেলা প্রশাসন।

সীমান্তে গোলার শব্দ নেই, তবে সেন্টমার্টিন রুটে নৌযান বন্ধ
কর্মচাঞ্চল্য ফেরেনি নাফ নদে। ছবি: নিউজবাংলা

সরেজমিনে দেখা গেছে, টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া, নয়াপাড়া ও শাহপরীর দ্বীপের লোকজন সীমান্তে লবণ চাষসহ নাফ নদের তীরে টেলা জালে মাছ ধরতে ব্যস্ত ছিল জেলেরা। তবে নাফ নদে আগের মতো দেখা যায়নি জেলে নৌকা।

নাফের তীরে টেকনাফ-মিয়ানমার ট্রানজিট ঘাটের ভ্রাম্যমাণ দোকানি বৃদ্ধ নুরুল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে রাতে মিয়ানমারে গোলাগুলির শব্দে আমাদের র্নিঘুম রাত কেটেছে। কেননা সেদেশে যুদ্ধের কারণে বোমা-গুলির শব্দে এপারে বাড়িঘর বার বার কেঁপে উঠছিল।’

তিনি বলেন, ‘গত দুদিন ধরে পাশের দেশ (রাখাইন) থেকে গোলার বিকট শব্দ পাওয়া যায়নি। যার ফলে রাতে নির্ভয়ে ঘুমাতে পেরেছি।’

শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা আব্দুর রহমান বলেন, ‘গত দুদিন ধরে ওপারে সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায়নি। এজন্য আপাতত এপারে দ্বীপের ৩০ হাজার মানুষ স্বস্তিতে আছে। লোকজন চাষাবাদেও ফিরছে।’

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটের বোট মালিক সমিতির সভাপভি আবদুর রশিদ বলেন, ‘সীমান্তে আগের মতো গোলার বিকট শব্দ পাওয়া যাচ্ছে না। তারপরও নিরাপত্তার কথা ভেবে সামায়িকভাবে আমাদের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।’

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দীন বলেন, ‘বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন মিয়ানমারের রাখাইন এলাকা দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি। এজন্যই নিরাপত্তার জন্য সীমান্তবর্তী নাফ নদ ও সাগরে মাছ শিকার সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।

তবে সেন্টমার্টিনে পর্যটকের আগমনসহ দ্বীপবাসীর জন্য ইমার্জেন্সি সাপ্লাইয়ের জন্য কিভাবে ঝুঁকিহীনভাবে নৌযান চলাচল করতে পারে সেজন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। পাশাপাশি সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের জোরদার টহল রয়েছে।’

টেকনাফ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘সীমান্তে চরম উত্তেজনায় মাছ ধরার নৌকাগুলোকে নিরাপদ জায়গায় অবস্থান করতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত মাছ ধরার নৌকার মালিকরা মিয়ানমার সংলগ্ন এলাকায় মাছ শিকারে যাবেন না বলে আস্বস্তু করেছেন। আপাতত সীমান্তে গোলার শব্দ বন্ধ থাকলেও কখন আবার গোলাগুলি শুরু হয় বলা মুশকিল।’

টেকনাফ-২ বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিকনায়ক মেজর সৈয়দ ইশতিয়াক মুর্শেদ বলেন, ‘সীমান্তে বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। পাশাপাশি অনুপ্রবেশ রোধসহ সীমান্তে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে বিজিবি।’

আরও পড়ুন:
মংডু আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে, নাফ নদে নিষেধাজ্ঞা
টেকনাফ সীমান্তে গোলার বিকট শব্দ, অনুপ্রবেশের শঙ্কা
মিয়ানমারে যুদ্ধবিমানের গোলা, বিকট শব্দে এপারে আতঙ্ক
রাখাইনে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের পূর্বাভাস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Long March of BNPs 3 affiliated organizations in Akhaura

বিএনপির ৩ সহযোগী সংগঠনের লংমার্চ আখাউড়ায়

বিএনপির ৩ সহযোগী সংগঠনের লংমার্চ আখাউড়ায়
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলা, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা এবং ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ও সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর প্রতিবাদে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকা থেকে আগরতলা অভিমুখে যাত্রা করা বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠনের লংমার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে পৌঁছেছে।

বুধবার বিকেল ৪টার দিকে লংমার্চের বহর স্থলবন্দর মাঠে এসে পৌঁছে। সেখানে সমাবেশের মধ্য দিয়ে লংমার্চ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে সকাল রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে সকাল ৯টার দিকে বিশাল গাড়িবহর নিয়ে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের কয়েক হাজার নেতাকর্মী আনুষ্ঠানিক লংমার্চ শুরু করেন।

বিএনপির ৩ সহযোগী সংগঠনের লংমার্চ আখাউড়ায়
বুধবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টন থেকে লংমার্চ শুরু হয়। ছবি: নিউজবাংলা

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, জাতীয় পতাকার অবমাননাসহ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপির তিন সংগঠন।

কর্মসূচি ঘিরে স্থলবন্দর এলাকায় নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। আখাউড়া স্থলবন্দরে গ্রামপুলিশ, থানা–পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের মোতায়েন করে তিন স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এদিকে সংগঠন তিনটির ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, সিলেটসহ বিভিন্ন জেলার নেতা-কর্মীরা মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে এবং হাতে ফেস্টুন, জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা নিয়ে কর্মসূচিতে যোগ দিতে আখাউড়া স্থলবন্দরে পৌঁছেছেন।

লংমার্চ কর্মসূচির অংশ হিসেবে কিশোরগঞ্জের ভৈরবের পথসভায় বক্তব্য দেন নেতারা।

বিএনপির ৩ সহযোগী সংগঠনের লংমার্চ আখাউড়ায়

এদিকে স্থলবন্দর মাঠ থেকে আধ কিলোমিটার আগেই জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লার নেতৃত্বে নেতা–কর্মীসহ সব মানুষের যানবাহন থামিয়ে দেয়া হচ্ছে। সেখানে একটি ফাঁকা জায়গায় নেতা–কর্মীদের পাঁচ হাজার যানবাহন রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আখাউড়া স্থলবন্দরে বিজিবির পর্যাপ্তসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে লংমার্চ শুরুর আগে রাজধানীর নয়াপল্টনে কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এ সময় রিজভীসহ তিনটি সংগঠনের শীর্ষ নেতারা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। তারা ভারতীয় রাজনীতিবিদ ও গণমাধ্যমের আধিপত্যবাদী মনোভাব এবং মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর প্রচারণার মাধ্যমে বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টার তীব্র নিন্দা জানান।

বিএনপির ৩ সহযোগী সংগঠনের লংমার্চ আখাউড়ায়

পরে কয়েক শ’ গাড়ি, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে করে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা নয়াপল্টন থেকে কাঁচপুরের দিকে লংমার্চ শুরু করেন।

লংমার্চের গাড়িবহরটি ফকিরাপুল, মতিঝিল ও ইত্তেফাক মোড় ও হানিফ ফ্লাইওভার অতিক্রম করে যাত্রাপথে এগিয়ে যায়।

কাঁচপুর থেকে ভৈরবের দিকে যাত্রা করে আগরতলার কাছে আখাউড়া স্থলবন্দরে পৌঁছানোর আগে একটি পথসভা করবে বিএনপির এই তিন সহযোগী সংগঠন।

কর্মসূচিতে যোগ দিতে বুধবার সকাল ৭টা থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিএনপি কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন।

এর আগে রোববার বিক্ষোভ মিছিলের পর ভারতীয় হাইকমিশনে স্মারকলিপি দেয় বিএনপির তিনটি সংগঠন।

এর একদিন পর তারা আগরতলা অভিমুখে লংমার্চের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন:
ভারত চায় না বাংলাদেশ জনগণের কথায় চলুক: রিজভী
বিএনপির তিন সংগঠনের পদযাত্রা রামপুরা ব্রিজে আটকে দিয়েছে পুলিশ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Labor unrest in Ashulia 35 factories leave

শ্রমিক অসন্তোষ, আশুলিয়ার ৩৫ কারখানায় ছুটি

শ্রমিক অসন্তোষ, আশুলিয়ার ৩৫ কারখানায় ছুটি শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের অনেক কারখানায় বুধবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ছবি: নিউজবাংলা
শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘বর্ধিত বেতনে সন্তুষ্ট নন শ্রমিকরা। তাই তারা কাজ বন্ধ করে বসে আছে, তবে কোনো প্রকার অরাজকতা কিংবা বিশৃঙ্খলা তারা করছেন না।’ 

ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা সরকার ঘোষিত বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট ৪ শতাংশ বৃদ্ধির ঘোষণা প্রত্যাখান করে ১৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট বৃদ্ধির দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছেন।

কর্মবিরতির কারণে এ অঞ্চলের অনেক কারখানায় বুধবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

বিজিএমইএ ও শিল্প পুলিশ বলছে, আশুলিয়ায় আজ বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ১৫ থেকে ২০ শতাংশ করার দাবিতে কাজ বন্ধ বা শ্রমিকরা কাজ না করে চলে গেছে, এমন কারখানার সংখ্যা ৩৫টি।

আশুলিয়ার নরসিংহপুর ও আশপাশের এসব কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিলে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

শিল্প পুলিশ ও কারখানা সূত্রে জানা যায়, হা-মীম গ্রুপ, শারমীন গ্রুপ, মেডলার, নেক্সট কালেকশন, আল মুসলিম, সেতারা গ্রুপ, নিউ এইজ, ডেকো, ব্যান্ডো ডিজাইন, ভিনটেজ, নীট এশিয়া, মানতা, ডেবুনিয়ার, অরবিটেক্স, এএম ডিজাইন, ইসলাম গার্মেন্টস, দ্য রোজ, অ্যাপারেলস গ্যালরি, এথিক্যালসহ বেশ কিছু কারখানার শ্রমিকরা সকালে কারখানায় এলেও ইনক্রিমেন্ট বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেন।

শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে নাসা ও ট্রাউজার লাইন শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় তাদের কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে।

শ্রমিকরা কোনো বিশৃঙ্খলা বা ঝামেলা না করলেও বর্ধিত বেতনে সন্তুষ্ট না হওয়ায় তারা কর্মবিরতি পালন করেন এবং কেউ কেউ কারখানা থেকে বেরিয়ে যান।

এর আগে শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে মঙ্গলবারও আশুলিয়ার অন্তত ১০টি কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ছিল।

নীট এশিয়ার একজন শ্রমিক বলেন, ‘গত ৩ দিন যাবতই আমাদের কারখানায় ঝমেলা চলছে। শ্রমিকরা কাজ করে না।

‘আশপাশের কারখানার সাথে তাল মিলিয়ে আমরাও একই দাবিতে আন্দোলন করছি; দাবি বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট ১৫ শতাংশ করার।’

দ্য রোজ ড্রেসেস লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক সাধন কুমার বলেন, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) শ্রমিকরা আমাদের কারখানায় কাজ করেছিল, কিন্তু আজ কারখানায় এলেও আর কাজ করেনি। পরে অবশ্য আমরা কথা বলার পর শ্রমিকরা কাজ শুরু করেছিল, কিন্তু আশেপাশের কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়াতে আমরা আর চালাতে পারিনি।’

শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘বর্ধিত বেতনে সন্তুষ্ট নন শ্রমিকরা। তাই তারা কাজ বন্ধ করে বসে আছে, তবে কোনো প্রকার অরাজকতা কিংবা বিশৃঙ্খলা তারা করছেন না।

‘এ অঞ্চলের ১৯টি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আর কাজ না করে চলে গেছে এমন কারখানার সংখ্যা ১৫ থেকে ১৬টি।’

আরও পড়ুন:
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে পোশাককর্মীদের ফের অবরোধ, যানজট
প্লাটিনাম লিড সনদ পেল আরও এক বাংলাদেশি কারখানা
মিরপুরে যৌথবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ২ পোশাকশ্রমিক গুলিবিদ্ধ
আশুলিয়ায় দ্বিতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ শ্রমিকদের 
পোশাক শিল্প এখন স্থিতিশীল, ক্রেতার আস্থা ফিরছে: বিজিএমইএ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Demonstrations surrounded the office of Food Controller demanding the implementation of OMS

ওএমএস চালুর দাবিতে খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ

ওএমএস চালুর দাবিতে খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ নওগাঁ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় ঘেরাও করে ওএমএস কার্যক্রম চালুর দাবিতে বুধবার বেলা ১১টার দিকে বিক্ষোভ করেন হতদরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষরা। ছবি: নিউজবাংলা
নওগাঁ জেলা সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক এনামুল কবির বলেন, ‘বন্ধ থাকা ওএমএস কেন্দ্র চালুর দাবি নিয়ে অফিস চত্বরে আসা ভোক্তাদের কথা শুনেছি। তাদের দাবির বিষয়গুলো জেলা ওএমএস কমিটি বরাবর উত্থাপন করা হবে। শিগগিরই ফলপ্রসূ সিদ্ধান্ত নিয়ে এই সংকট সমাধান করা হবে।’

নওগাঁয় চার মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে স্বল্পমূল্যে খোলা বাজারে খাদ্যশস্যের (ওএমএস) চাল ও আটা বিক্রি।

এমন পরিস্থিতিতে বুধবার বেলা ১১টার দিকে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় ঘেরাও করে ওএমএস কার্যক্রম চালুর দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন হতদরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষরা।

ওই সময় বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত প্লাকার্ড হাতে ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায় তাদের। পরে জেলা সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক এনামুল কবিরের আশ্বাসে সেখান থেকে সরে যান তারা।

বিক্ষুব্ধদের অভিযোগ, পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটের আগে নওগাঁ পৌরসভা এলাকায় ১৮টি কেন্দ্রে ওএমএস ডিলারদের মাধ্যমে হতদরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষদের মধ্যে স্বল্প মূল্যে চাল ও আটা দিত সরকার। ৫ আগস্টের পর ১৮টি কেন্দ্রের মধ্যে হঠাৎই ১৫টি কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে খাদ্য বিভাগ। এতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে চরম বিপাকে পড়েন তারা। তাই অনতিবিলম্বে ওএমএস সবকটি কেন্দ্র চালু করতে হবে।

শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে আসা বিক্ষোভে অংশ নেয়া রিকশাচালক সোহেল রানা বলেন, ‘সারা দিন রিকশা চালিয়ে যে আয় হয়, সেটা দিয়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে টিকে থাকা কষ্টসাধ্য। ওএমএস কর্মসূচি চালু অবস্থায় কম দামে চাল ও আটা কিনে কিছুটা সামাল দিতাম। সেই চাল, আটা টানা ৪ মাস যাবত পাচ্ছি না। তাই দুই বেলা শান্তিতে পেট ভরে খাওয়া হচ্ছে না।

‘বাধ্য হয়ে পেটের ক্ষুধায় ফুড অফিসে এসে দাঁড়িয়েছি। কী কারণে এটি বন্ধ রয়েছে, সেই কারণ কর্মকর্তাদের কেউই স্পষ্টভাবে বলতে চাইছেন না।’

শহরের ইঁদুর বটতলী এলাকা থেকে আসা মানোয়ারা বেগম বলেন, ‘জীবিকার তাগিদে বৃদ্ধ বয়সে এসেও রাস্তার আনাচ-কানাচে বসে বিভিন্ন ফলমূল বিক্রি করে আয় করি। সেই রোজগার দিয়ে ৫৪ টাকা কেজি দরে চাল কিনে খাওয়ার সাধ্য আমাদের নেই। তাই ওএমএসই শেষ ভরসা ছিল।

‘গরিবের সেই চাল-আটা নিয়ে নোংরা রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। নয়তো আমাদের অর্ধাহারে, অনাহারে দিন কাটানো ছাড়া উপায় থাকবে না।’

জানতে চাইলে নওগাঁ জেলা সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক এনামুল কবির বলেন, ‘বন্ধ থাকা ওএমএস কেন্দ্র চালুর দাবি নিয়ে অফিস চত্বরে আসা ভোক্তাদের কথা শুনেছি। তাদের দাবির বিষয়গুলো জেলা ওএমএস কমিটি বরাবর উত্থাপন করা হবে। শিগগিরই ফলপ্রসূ সিদ্ধান্ত নিয়ে এই সংকট সমাধান করা হবে।’

জেলা ওএমএস কমিটির সভাপতি ও নওগাঁর জেলা প্রশাসক আবদুল আউয়াল বলেন, ‘পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটের পর নওগাঁ পৌরসভা এলাকার অধিকাংশ ওএমএস ডিলার সঠিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার প্রেক্ষিতে যৌথ মতামতের ভিত্তিতে ১৫টি কেন্দ্র বন্ধ রাখা হয়েছিল।

‘সেই সাথে নতুন ডিলার নিয়োগের প্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়া হয়। যেহেতু তারা বিক্ষোভ করেছেন, প্রয়োজনে যৌথ মতামতের ভিত্তিতে আবারও কেন্দ্রগুলো চালু করা হবে।’

আরও পড়ুন:
নওগাঁয় গ্রাহকের ৬০০ কোটি টাকা নিয়ে উধাও, আটক ৪
সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত ছবি ছড়ানোর অভিযোগ, বিষপানে আত্মহত্যা
নওগাঁয় ছাত্র আন্দোলনের নেতাসহ দুই শিক্ষার্থীর ওপর হামলা: তিনজন আটক
নওগাঁয় পৃথক ঘটনায় শিশুসহ চারজনের প্রাণহানি
ঘরে দম্পতির মরদেহ, পাশে চিরকুট 

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Govt not kneeling with India in foreign policy Asif 

ভারতের সঙ্গে নতজানু পররাষ্ট্রনীতিতে নেই সরকার: আসিফ 

ভারতের সঙ্গে নতজানু পররাষ্ট্রনীতিতে নেই সরকার: আসিফ  বার্ডের লালমাই অডিটোরিয়ামে বুধবার অনুষ্ঠিত ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশনবিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি দলের কর্মশালায় সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া। ছবি: নিউজবাংলা
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘জাতীয় স্বার্থ কম্প্রোমাইজ (আপস) করে আমরা কোনো পররাষ্ট্র সম্পর্ককে বিশ্বাস করি না। অন্তর্বর্তীকালীন এই সরকার ভারতের সাথে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি থেকে সরে এসেছে। জাতীয় স্বার্থকে সামনে রেখে পরবর্তী সম্পর্কগুলো চলমান থাকবে।’

বিগত সরকারের সময়ে ভারতের সঙ্গে যে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি ছিল, তা থেকে অন্তর্বর্তী সরকার সরে এসেছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

তিনি বলেন, ‘জাতীয় স্বার্থ কম্প্রোমাইজ (আপস) করে আমরা কোনো পররাষ্ট্র সম্পর্ককে বিশ্বাস করি না। অন্তর্বর্তীকালীন এই সরকার ভারতের সাথে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি থেকে সরে এসেছে। জাতীয় স্বার্থকে সামনে রেখে পরবর্তী সম্পর্কগুলো চলমান থাকবে।’

কুমিল্লায় বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি তথা বার্ডের লালমাই অডিটোরিয়ামে বুধবার অনুষ্ঠিত ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশনবিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি দলের কর্মশালায় সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়ে এলজিআরডি উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকারি ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে জনপ্রতিনিধিদের কাজ পরিচালনা করা অনেক কষ্ট হয়ে যাচ্ছে, যে কারণে স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি নির্বাচনের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যায় কি না, সে বিষয়ে স্থানীয় সংস্কার কমিশন ও নির্বাচন কমিশনের কাজ শেষ হলে উদ্যোগ নেয়া হবে।’

আরও পড়ুন:
ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে বিএনপির ৩ সংগঠনের পদযাত্রা কাল
রপ্তানি বন্ধ করলে ভারতই ক্ষতিগ্রস্ত হবে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হোন
ভারতীয় ৪৯ গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে ১৩ মিথ্যা প্রতিবেদন
সীমান্তে ড্রোন মোতায়েনের খবর মিথ্যা: প্রেস উইং

মন্তব্য

p
উপরে