× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The price has increased but the charger fan does not match
google_news print-icon
দাবদাহে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং

দাম বেড়েছে চার্জার ফ্যানের, বেড়েছে সংকটও

দাম-বেড়েছে-চার্জার-ফ্যানের-বেড়েছে-সংকটও
রোববার গুলিস্তানে সুন্দরবন মার্কেটে এক দোকানে চার্জার ফ্যানের জন্য ক্রেতার ভিড়। ছবি: নিউজবাংলা
দেশজুড়ে দাবদাহের মধ্যে চলছে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং। এ অবস্থায় চার্জার ফ্যানের চাহিদা বেড়ে গেছে ব্যাপকভাবে। বেড়েছে এসি, আইপিএস, সোলার প্যানেল এবং ব্যাটারির বিক্রিও। চাহিদা বাড়ায় দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন দোকানিরা। তারপরও মিলছে না চার্জার ফ্যান। বলা হচ্ছে, সব বিক্রি হয়ে গেছে।

বেলাল উদ্দিন পরিবার নিয়ে থাকেন রাজধানীর শান্তিনগরে। চলমান দাবদাহে বিদ্যুতের অব্যাহত লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে রোববার সকালে গেলেন এলাকার ইলেক্ট্রনিক্সের দোকানে। উদ্দেশ্য, চার্জার ফ্যান কেনা। একে একে ৪-৫টি দোকান ঘুরেও কোন দোকানেই মিললো না চার্জার ফ্যান। দোকানিদের বক্তব্য, ক্রেতার চাপ বেশি। স্টকে থাকা সবই বিক্রি হয়ে গেছে।

বেলাল উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘৪-৫ দোকান ঘুরে না পেয়ে অবশেষে তিনি যান ওয়াল্টনের শো-রুমে। শান্তিনগর মোড় থেকে মালিবাগের দিকে এগুতেই রাজিয়া মঞ্জিলে ওই শো-রুমে যাওয়ার পরও হতাশ হতে হলো। শো-রুমের এক কর্মী বললেন- গতকালই (শনিবার) আমাদের এখানে অন্তত একশ’ চার্জার ফ্যান বিক্রি হয়েছে। স্টক শেষ। কোম্পানিতে অর্ডার পাঠানো হয়েছে। দুই/তিন পর এল পেতে পারেন।’

‘তবে ওই বিক্রেতা ১২ ইঞ্চি চার্জার ফ্যানের দাম বললেন ৩ হাজার ৯৯০ টাকা। আর ১৪ ইঞ্চি আকারে ফ্যানের দাম ৪ হাজার ৩৯০ টাকা। এটা আমার কাছে বেশি মনে হয়েছে। প্রচণ্ড গরমে লোডশেডিংয়ের সুযোগ নিয়ে বিক্রেতারা চার্জার ফ্যানের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।’

বাজার ঘুরে অবশ্য চার্জার ফ্যানের দাম নিয়ে বেলাল উদ্দিনের বক্তব্যের সত্যতা মিলেছে। কোম্পানিভেদে প্রতিটি চার্জার ফ্যানের দাম ১০০ থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে।

গুলিস্তানের সুন্দরবন মার্কেটের পাইকারি ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য বিক্রেতা রাজিব খানও দাম বেড়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেন।

রোববার দুপুরে রাজিবের ‘খান এন্টারপ্রাইজ’ নামের দোকানে গিয়ে দেখা যায় ক্রেতার ভিড়। ওই মার্কেটের অন্য সব ইলেক্ট্রনিকসের দোকানেও ক্রেতার ব্যাপক আনাগোনা দেখা গেছে। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে থেকে অনেকেই এসেছেন তার দোকানে। সবার একটাই চাহিদা- চার্জার ফ্যান।

দাম বেড়েছে চার্জার ফ্যানের, বেড়েছে সংকটও

রাজিব খান বলেন, ‘গত ৪-৫ দিন ধরে চার্জার ফ্যানের চাহিদা অনেকটা বেড়ে গেছে। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দামও বেড়েছে। এগুলো আমদানি করা পণ্য। মার্কেটে সরবরাহে ক্রাইসিস দেখা দিলেই দাম বেড়ে যায়। আমদানিকারকরা যে পণ্য এক মাস ধরে বিক্রি করবেন, চাহিদা বাড়ায় সেই পণ্য ১-২ দিনেই শেষ হয়ে গেছে।

‘আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ানোর কারণে আমাদেরও দাম বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে। ফলে খুচরা বিক্রেতাদেরও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। গত ৪-৫ দিনে ফ্যানের সাইজ ও কোয়ালিটি ভেদে ১০০ থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে গেছে।’

মহল্লার দোকানেও একই চিত্র

শনিবার রাত সাড়ে ১০টায়ও মোহাম্মদপুরের নুরজাহান রোডে ইলেক্ট্রনিক্সের দোকানগুলোতে চার্জার ফ্যান কেনার হিড়িক দেখা যায়।

এখানে চার্জার ফ্যান কিনতে আসা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়য়ের ছাত্র আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘আমার বাসা মোহাম্মদপুর হাউজিং লিনটেডে। লোডশেডিংয়ের কারণে গরমে দিনে রুমে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। কিছুক্ষণ পর পরই কারেন্ট চলে যায়। তাই চার্জার ফ্যান কিনতে এসেছি। কিন্তু দোকানিরা দাম অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছে। যে ফ্যান আগে ৫ হাজার টাকায় কিনেছি, সেই ফ্যান এখন সাড়ে ৬ হাজার টাকা চাচ্ছে। দোকানি বলছে- ফ্যানের সাপ্লাই কম অনেক, তাই দাম বেশি।’

নোমানের মতো আরও বেশ কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে কথা হয় নিউজবাংলার এই প্রতিবেদকের। তাদের কেউ চার্জার ফ্যান কিনেছেন, কেউবা কিনতে এসেছেন। সবার একটাই কথা, মনের মতো চার্জার ফ্যান পাওয়া যাচ্ছে না। আর পেলেও দাম অনেক বেশি।

সোলার প্যানেল ও ব্যাটারির দাম বেড়েছে

প্রচণ্ড গরমের মধ্যে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কারণে চার্জার ফ্যানের চাহিদা সবচেয়ে বেশি হলেও এই মার্কেটে এসি, আইপিএস, সোলার প্যানেল এবং ব্যাটারির বিক্রি বেড়ে গেছে। প্রভাব পড়েছে দামেও।

এ অবস্থায় ঢাকার বাইরে থেকে আসা ক্রেতাদের এসব পণ্য কিনতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে।

মার্কেটটির ফারহানা ইলেক্ট্রনিকসের বিক্রেতা রবিউল আলম বলেন, ‘সোলার আইটেমের সঙ্গে এসি/ডিসি লাইটের বিক্রিও খারাপ না। তবে সবচেয়ে বেশি চাহিদা চার্জার ফ্যানের। তবে সরাসরি বিদ্যুৎনির্ভর ফ্যানের চাহিদা নেই।’

কেরানীগঞ্জ থেকে আসা মো. সুমন বলেন, ‘গরম বেড়ে যাওয়ার কারণে সোলার আইটেম ও আইপিএসের চাহিদা বেড়েছে। দোকানের জন্য আজ মাল কিনতে এসে দেখি দাম অনেক বাড়তি।’

সুন্দরবন মার্কেটের দোতলায় ওয়ার্ল্ড পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেদের মালিক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘গরমের কারণে আইপিএসের চাহিদা ও দাম দুই-ই বেড়েছে। সোলার প্যানেল ও ব্যাটারির বিক্রি বেড়েছে। সঙ্গে বেড়েছে দামও। সোলার প্যানেলে প্রতি ওয়াটে দাম বেড়েছে ১০ টাকা করে। এছাড়া মানভেদে ব্যাটারির দাম বেড়েছে ২ থেকে ৫ হাজার টাকা।

তিনি বলেন, ‘ঢাকার বাইরের ব্যবসায়ীরা মাল কিনতে এসে দেখছেন দাম বেশি। তারাও মন খারাপ করছেন। আমাদের তো কিছু করার নেই। আমরা যেমন দামে কিনি তেমন দামে বিক্রি করি। তবে দাম বাড়লেও বিক্রি ভালো।’

দাম বেড়েছে চার্জার ফ্যানের, বেড়েছে সংকটও

বেড়েছে এসির চাহিদাও

নুরজাহান রোডের আরবি ইলেক্ট্রনিক্সের ইনচার্জ মঞ্জুর মোর্সেদ বলেন, ‘গত ৩-৪ দিনে এসির বিক্রি বেড়েছে। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ৩-৪ গুণ বেশি এসি বিক্রি হচ্ছে এখন। তবে সমস্যা হচ্ছে এসির সাপ্লাই কম।’

মোহাম্মদপুরের সপ্তর্শী ইলেক্ট্রনিক্সের মালিক সুমন নন্দী বলেন, ‘রোজার ঈদের সময় গরমে এসি বিক্রি হয়েছিল অনেক। তবে গত কয়েক দিনের গরমেও এসির বিক্রি বেড়েছে, তবে রোজার ঈদের সময়ের চেয়ে একটু কম। এসি, কুলার, চার্জার ফ্যানের চাহিদা বেশি। আমাদের সাধারণ দোকান। অন্য সময় দিনে ১-২টা এসি বিক্রি হলেও এখন ৫ থেকে ৭টা এসি বিক্রি হচ্ছে।’

এসির টেকনিশিয়ানের অভাব

এসির বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় দোকানিরা পড়েছেন আরেক সংকটে। স্বাভাবিকভাবে দিনে এক থেকে দুটি এসি বিক্রি হয়। সেই চাহিদা মাথায় রেখেই দোকানিরা এসি বাসা বা অফিসে নিয়ে সেট করে দিয়ে আসার জন্য টেকনিশিয়ান রাখেন।

বর্তমানে বিক্রির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় এসি নির্দিষ্ট সময়ে সেট করে দিয়ে আসার মতো টেকনিশিয়ান নেই অধিকাংশ দোকানে। এ অবস্থায় সার্বক্ষণিক ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে হাতেগোনা টেকনিশিয়ানদের। কোনো কোনো ক্রেতার বাসায় গভীর রাতে গিয়ে এসি সেট করে দিচ্ছেন তারা।

এসি কিনতে আসা ঢাকা মেডিক্যালের চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাসায় এয়ার কুলার আছে। কিন্ত এই গরমে তা দিয়ে কাজ হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে এসি কিনতে এসেছি। তবে সমস্যা হলো দোকানিরা বলছেন তাদের টেকনিশিয়ানের অভাব। এসি সেট করে দিতে একদিন দেরি হবে।’

মোহাম্মদপুরের এইচ এ ইলেক্ট্রনিক্সের বিক্রেতা ওহিদুর রহমান বলেন, ‘এসি টেকনিশিয়ানের অভাব। গরমের কারণে হুট করে এসির চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু টেকনিশিয়ান অর্থাৎ এসি বাসায় গিয়ে সেট করে দেয়ার জনবল তো বাড়েনি। তাই তাদের এখন পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে এসি বিক্রি করেও ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী সার্ভিস দিতে পারছি না।’

তিনি বলেন, ‘মার্কেটে এয়ার কুলারের অভাব। সাপ্লাই থাকলে এখন প্রতিদিন অন্তত ২০টা এয়ার কুলার বিক্রি করতে পারতাম। এসিরও সাপ্লাই নেই। কারণ এলসি করতে পারছে না কোম্পানি।’

গরমে বেড়েছে রোগবালাই

একে তো ভয়াবহ গরম, তার ওপর চলছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। এ অবস্থায় গরমজনিত রোগবালাই বাড়ছে। বিশেষ করে শিশুরা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ফলে ওষুধের দোকানে ভিড় বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি চাহিদা শিশুদের সর্দি-জ্বর, কাশির সিরাপ, ওরস্যালাইন ও গ্লকোজের।

বসিলার রিফাত মেডিক্যাল কেয়ারের মালিক মো. আজাদ বলেন, ‘গত ৪-৫ দিনে এলার্জি ট্যাবলেট, স্যালাইন, ঘামাচি পাউডার, গ্লুকোজ, টেস্টি স্যালাইন, জুস, কোমল পানীয় বিক্রি বেড়েছে। আর শিশুদের সর্দি-জ্বর ও কাশির ওষুধের বিক্রিও অনেকটা বেড়ে গেছে। তবে এসব ওষুধের সাপ্লাইয়ে কোনো ঘাটতি নেই।’

আরও পড়ুন:
গরম সহসাই কমছে না
গরমে নিয়মিত খাবেন যে ৭ খাবার
গরমে সুস্থ থাকতে যা করবেন
গরম একটু বাড়বে, হতে পারে বৃষ্টিও

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Agreement between Global Islami Bank and KMB International Money Transfer Limited

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও কেএমবি ইন্টারন্যাশনাল মানি ট্রান্সফার লিমিটেডের চুক্তি

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও কেএমবি ইন্টারন্যাশনাল মানি ট্রান্সফার লিমিটেডের চুক্তি
এই চুক্তির মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা কেএমবি ইন্টারন্যাশনাল মানি ট্রান্সফার লিমিটেড, ইউকে-এর মাধ্যমে সহজে, দ্রুত ও কম খরচে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের সকল শাখা, উপশাখা ও এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটে রেমিটেন্স প্রেরণ করতে পারবেন।

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক সম্প্রতি যুব্তরাজ্যের কেএমবি ইন্টারন্যাশনাল মানি ট্রান্সফার লিমিটেড সঙ্গে লন্ডনের একটি স্থানীয় হোটেলে রেমিটেন্স প্রেরণ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ হাবিব হাসনাত এবং কেএমবি ইন্টারন্যাশনাল মানি ট্রান্সফার লিমিটেড, ইউকে-এর সিইও কামরু মিয়া নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

এই চুক্তির মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা কেএমবি ইন্টারন্যাশনাল মানি ট্রান্সফার লিমিটেড, ইউকে-এর মাধ্যমে সহজে, দ্রুত ও কম খরচে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের সকল শাখা, উপশাখা ও এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটে রেমিটেন্স প্রেরণ করতে পারবেন।

ইউরোপের অন্যান্য দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশীরাও শীঘ্রই এই সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Workshop on Audit of Islami Bank held

ইসলামী ব্যাংকের অডিট বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ইসলামী ব্যাংকের অডিট বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
ব্যাংকের অডিট অ্যান্ড ইনস্পেকশন ডিভিশনের ১০০ জন কর্মকর্তা কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

ইসলামী ব্যাংক ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ অ্যাকাডেমির (আইবিটিআরএ) উদ্যোগে ‘অডিটিং ফর অ্যাচিভিং এক্সিলেন্স ইন ব্যাংকিং অপারেশন্স’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মশালার উদ্বোধন করেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা।

আইবিটিআরএ-এর প্রিন্সিপাল নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালার বিভিন্ন সেশন পরিচালনা করেন ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর আলতাফ হুসাইন, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর নাইয়ার আজম, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ইয়াকুব আলী, রাজা মিয়া, নাজমুস সাকিব, রেজাউর রহমান ও মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ।

ব্যাংকের অডিট অ্যান্ড ইনস্পেকশন ডিভিশনের ১০০ জন কর্মকর্তা কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

আরও পড়ুন:
ইসলামী ব্যাংকের শরিয়াহ বিষয়ক আলোচনা সভা
ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে মেডিক্সের চুক্তি স্বাক্ষর
ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত
পদ্মা ব্যাংকে ইসলামি শরিয়াহভিত্তিক সুদমুক্ত ব্যাংকিং সেবা
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক এখন শ্রীমন্তপুরে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Freelancers instructed not to deduct tax at source on remittances

ফ্রিল্যান্সারদের রেমিট্যান্সে উৎসে কর না কাটার নির্দেশ

ফ্রিল্যান্সারদের রেমিট্যান্সে উৎসে কর না কাটার নির্দেশ প্রতীকী ছবি
গত রোববার দেশের বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে নিয়োজিত সব অনুমোদিত ডিলার ব্যাংককে এ বিষয়ে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।

ফ্রিল্যান্সারদের বিদেশি আয় বা রেমিট্যান্সের বিপরীতে কোনো ধরনের উৎসে কর না কাটার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ।

গত রোববার দেশের বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে নিয়োজিত সব অনুমোদিত ডিলার ব্যাংককে এ বিষয়ে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।

এর আগে, গত ২৭ সেপ্টেম্বর বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগের এক নির্দেশনায় ২০২৩ এর ১২৪ ধারা অনুযায়ী সেবা, রেভিনিউ শেয়ারিং বাবদ পাওয়া রেমিট্যান্সের ওপর উৎসে কর আদায় করতে বলা হয়। বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। অনেকে ধারণা করেন, ফ্রিল্যান্সারদের আয়ের ওপর ১০ শতাংশ উৎসে কর কাটা হবে। এ নিয়ে চলে নানা আলোচনা-সমালোচনা। তাই বিষয়টি স্পষ্ট করতে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এতে বলা হয়, আয়কর আইন ২০২৩ এর ১২৪ ধারা অনুযায়ী, আইটি ফ্রি ল্যান্সিং খাত থেকে কোনো উৎসে কর কাটা যাবে না।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The lowest remittances in 40 months came in September

৪০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স সেপ্টেম্বরে

৪০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স সেপ্টেম্বরে
প্রবাসীরা আগস্ট মাসে প্রায় ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে, যা ছয় মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। ফেব্রুয়ারি মাসে এর পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার।

দেশে সেপ্টেম্বর মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ দশমিক ৭ শতাংশ (১৯৬ মিলিয়ন ডলার) কমে ১ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। যা প্রায় গত সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী, সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স প্রবাহ আগের মাস আগস্টের তুলনায় ২২৫ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার কমেছে। খবর ইউএনবির

প্রবাসীরা আগস্ট মাসে প্রায় ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে, যা ছয় মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। ফেব্রুয়ারি মাসে এর পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার।

সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও একধাপ কমে ১ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে, যা গত ৪০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।

সর্বশেষ ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ ১ দশমিক ০৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছিল। এরপরে, কোভিড-১৯ মহামারির সময়েও অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্সের প্রবাহ বৃদ্ধি পায়।

বাংলাদেশি প্রবাসীরা চলতি বছরের জুন মাসে ২ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে এবং জুলাই মাসে তা ছিল ১ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার।

এই খাতের সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, যখন খোলা বাজারে বিনিময় হার ব্যাংকিং চ্যানেলের চেয়ে বেশি হয়ে যায়, তখন হুন্ডিতে লেনদেন বেড়ে যায়। আর হুন্ডির চাহিদা বাড়লে রেমিট্যান্স কমে যায়।

গত মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলের তুলনায় খোলা বাজারে ডলারের বিনিময় হার ছিল ৬ থেকে ৭ টাকা বেশি। তাই বেশি লাভের আশায় প্রবাসীরা বৈধ মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠানো কমিয়ে দিয়েছেন বলে জানান তারা।

গত অর্থবছরে (২০২২-২৩) বাংলাদেশ মোট ২১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে। এর আগের ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রবাসীরা ২১ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন।

২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পেয়েছে। যার পরিমাণ ছিল ২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্বে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্যাংকার্স বাংলাদেশ ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে তিনটি ভিন্ন শিরোনামে যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের মূল্য নির্ধারণ করছে।

বর্তমানে ব্যাংকগুলো প্রবাসী আয়ের প্রতি ডলারের দাম দিচ্ছে ১১০ টাকা ৫ পয়সা। রপ্তানি বিল ক্যাশিং প্রতি ডলারে ১০৯ টাকা ৫পয়সা দেয়া হয় এবং আমদানি ও আন্তঃব্যাংক লেনদেনের জন্য ১১০ টাকা ৫ পয়সা দেয়া হয়।

অর্থনীতিবিদ ও পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) চেয়ারম্যান আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, এটি অর্থনীতির অব্যবস্থাপনার একটি রেসিপি।

তিনি বলেন, ডলারের দাম তুলনামূলক বেশি হওয়ায় প্রবাসীরা অবৈধ চ্যানেলের (হুন্ডি) মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠাচ্ছেন। খোলা বাজার এবং ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলারের দর একই রকম না হওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতি শিগগিরই উন্নতি নাও হতে পারে।

মনসুর বলেন, ‘রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রতি আস্থার অভাবে বাংলাদেশি প্রবাসীরা দেশে কম রেমিটেন্স পাঠাচ্ছে, কারণ দেশ থেকে নির্বিচারে অর্থ পাচার হচ্ছে।’

তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশে রেকর্ডসংখ্যক শ্রমিক রপ্তানি করলেও, রেমিট্যান্সের পরিমাণ ক্রমাগত কমছে; যা পরিসংখ্যানের সঙ্গে মেলে না।

আরও পড়ুন:
২২ দিনে রে‌মিট্যান্স এলো ১০৫ কোটি ডলার
আগস্টের ১৮ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১১ হাজার ৩৯৪ কোটি টাকা
ইসলামী ব্যাংকে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে ওয়াশিং মেশিন জেতার সুযোগ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Sale and purchase closed at Naogaon Municipal Fish Market

বাড়তি ফায়দা নিতে ডিজিটাল মিটারে পাইকারদের ‘না’

বাড়তি ফায়দা নিতে ডিজিটাল মিটারে পাইকারদের ‘না’ নওগাঁ পৌর মাছ-বাজারের আড়তগুলোতে চিরচেনা ভীড় থাকলেও নেই মাছ কেনাবেচার কার্যক্রম। ছবি: নিউজবাংলা
বাইরে থেকে আসা পাইকারদেরও মাছ কিনতে নিষেধ করছেন তারা। এমনকি হুমকিও দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। মাছ বিক্রি বন্ধ থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে নওগাঁর পৌর মাছ বাজার।

৪০ কেজিতে মণ হলেও মাছ চাষীদের কাছ থেকে ৪২ কেজিতে মণ হিসাবে মাছ কিনে থাকেন পাইকাররা। তারপরও তাদের পোষাচ্ছে না। প্রশাসনের নির্দেশে ডিজিটাল মিটারে মাছ বিক্রি শুরু করার পরপরই বেঁকে বসেছেন পাইকররা। আড়ত থেকে তারা মাছ কিনবে না, আর কিনতে হলে প্রতি মণে আরও এক কেজি বেশি দাবি তাদের।

বাইরে থেকে আসা পাইকারদেরও মাছ কিনতে নিষেধ করছেন তারা। এমনকি হুমকিও দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। মাছ বিক্রি বন্ধ থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে নওগাঁর পৌর মাছ বাজার।

প্রায় ৫০ বছর ধরে এ মাছ বাজারে প্রতিদিন মাছ বিক্রি হয়ে আসছে। সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ২২টি আড়তে বেচাকেনা হয় মাছ। ফলে নওগাঁসহ আশপাশের জেলার মাছ চাষীদেরও গন্তব্য এ বাজারটি। সাধারণত ৪২ কেজিতে মণ ধরে আড়তে মাছ দিয়ে থাকে মাছ চাষীরা। পরে খুচরা বিক্রেতারা অল্প পরিমাণে মাছ কিনে নিজেদের সুবিধামতো সন্ধ্যা পর্যন্ত তা বিক্রি করে থাকে।

সাধারণত মাছ চাষী ও পুকুর চাষীদের কাছ থেকে প্রচলিত কাঁটার দাঁড়িপাল্লায় ওজন করে মাছ কিনে পরে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে তা ডিজিটাল মিটারে বিক্রি করতেন পাইকাররা। তবে সম্প্রতি আড়তেও ডিজিটাল মিটারে মাছ কেনাবেচার জন্য প্রশাসন থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়।

সরকারি নির্দেশনা পেয়ে রোববার থেকে নওগাঁ পৌর মাছ বাজারে চালু হয়েছে ডিজিটাল মিটারে পরিমাপ করে মাছ কেনাবেচা। এ নিয়ে পাইকার-আড়তদারদের মধ্যে শুরু হয়েছে দ্বন্দ্ব।

ডিজিটাল মিটারে পাইকাররা মাছ কিনতে নারাজ। ফলে একে অপরকে দোষারোপ করা শুরু করে দুপক্ষ। একপর্যায় পাইকাররা সংঘবদ্ধ হয়ে আড়ত থেকে মাছ কেনা বন্ধ করে দেন। ফলে আজ দীর্ঘক্ষণ ধরে বন্ধ রয়েছে পৌর বাজারের মাছ কেনাবেচা। এতে ভুগতে হচ্ছে মাছচাষী ও খুচরা ব্যবসায়ীদের। এদিকে আড়তে মাছের কেনাবেচা বন্ধ থাকায় আড়তদারদেরও উপার্জন বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে সবকিছু মিলিয়ে এক ধরনের স্থবিরতা বিরাজ করছে মাছ বাজারটিতে।

সংশ্লিষ্টরা কী বলছেন

এর আগে ওই বাজারটিতে ডিজিটাল মিটার চালু করতে একাধিকবার স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বলে জানান পৌর মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গৌতম হাওলাদার ভুট্টু। তখন থেকে একেক করে সবাই ডিজিটাল মিটারের ব্যবহার শুরু করলেও আড়তে প্রচলিত কাঁটার দাঁড়িপাল্লাই ধরে রাখেন পাইকাররা।

এ বিষয়ে গৌতম হাওলাদার বলেন, ‘ডিজিটাল মিটারে মাছ বিক্রি করা নিয়ে কয়েকদিন আগেও পাইকারদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়। অক্টোবরের ১ তারিখের মধ্যে ডিজিটাল মিটারে মাছ বিক্রির জন্য প্রশাসন থেকে কড়া নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। ওই নির্দেশ বাস্তবায়নে আজ থেকে আমরা কাজ শুরু করেছি। কিন্ত পাইকাররা এ প্রক্রিয়া মানতে নারাজ।

‘এখানে ২২টি আড়তে প্রতিদিন প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ লাখ টাকার মাছ বেচাকেনা হয়। নিজেদের সুবিধার্থে পাইকাররা এখন সিন্ডিকেট তৈরি করছে। বাইরে থেকে যেসব পাইকার মাছ কিনতে আসছেন, তাদেরও মাছ না কিনতে হুমকি-ধামকি দেয়া হচ্ছে বলে জেনেছি। এভাবে চলতে থাকলে মাছ চাষীরা এখানে মাছ বিক্রি করতে আসবেন না। ফলে সবার জন্যই সমস্যা তৈরি হবে।’

নওগাঁ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এস এম রবিন শীষ বলেন, ‘আড়তদাররা ডিজিটাল মিটার চালু করার জন্য কয়েকদিন আগেই আমাকে অবগত করেছিলেন। সেসময় তাদের বলা হয়েছিল, জনগণ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়- সেদিকে নজর রেখে তাদের কাজ করতে হবে। ডিজিটাল মিটার ব্যবহার করা হলে পরিমাপে স্বচ্ছতা থাকে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তবে শুনছি, ডিজিটাল মিটার ব্যবহার নিয়ে বিভিন্ন পক্ষ নিরুৎসাহিত হচ্ছে। এ নিয়ে নানা বিড়ম্বনা শুরু করেছেন তারা। তাই দুই পক্ষকে (আড়তদার ও পাইকার) নিয়ে বসে বিষয়টি দ্রুত সমাধান করে সবার জন্য মিটার চালুর উদ্যোগ নেয়া হবে।’

বাড়তি ফায়দা নিতে ডিজিটাল মিটারে পাইকারদের ‘না’
রোববার সকালে বিরোধ হওয়ার পর স্থবির হয়ে পড়েছে নওগাঁ পৌর মাছ বাজার। ছবি: নিউজবাংলা

আড়তদারদের বক্তব্য

মামুন মৎস্য আড়তের স্বত্ত্বাধিকারী মোস্তফা ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুজ্জামান মামুন জানান, দিনে গড়ে প্রায় এক লাখ টাকার মাছ বেচাকেনা করা হয় একেকটি আড়তে। সে হিসাবে একেকটি আড়তে মাসে প্রায় ৩০ লাখ টাকা মতো মাছ বিক্রি হয়। আশপাশের প্রায় ৫০টি বাজারের ব্যবসায়ীরা এই বাজারে মাছ কিনতে আসেন।

তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগে ডিজিটাল মিটারে মাছ বিক্রির জন্য পাইকারদের সঙ্গে আমরা আলোচনা করি। আলোচনার পর পাইকরারা সিদ্ধান্ত নেয়, আমাদের কাছ থেকে তারা মাছ কিনবেন না। এমনকি বাইরে থেকে যেসব ব্যবসায়ীরা আসেন, পাইকাররা তাদেরও মাছ না কিনতে উল্টো হুমকি দেন।’

নওগাঁ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার ও আড়তদার সমিতির উপদেষ্টা শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমরা ডিজিটাল মিটারে মাছ বিক্রি শুরু করেছি। কিন্তু গুটিকয়েক পাইকারের কাছে আমরা জিম্মি হয়ে পড়েছি। চাষীরা মাছ বিক্রি করতে আসলে তাদের কাছে চাঁদা দাবি করা হচ্ছে বলে শুনতে পারছি।

‘তারা একটা সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। পাইকাররা যদি ডিজিটাল মিটারে মাছ বিক্রি করতে পারে তাহলে আমরা কেন পারবো না? এসব সমস্যা সমাধান না হলে ব্যবসা বন্ধ রাখতে হবে।’

যা বলছেন পাইকাররা

পাইকারদের দাবি, ডিজিটাল মিটারে মাছ পরিমাপ করা হলে ওজনে ঠিকঠাক পাওয়া যাবে না। তারা বলছেন, ডিজিটাল মিটারে পরিমাপের কিছুক্ষণ পর ওই মাছ আবার পরিমাপ করলে ওজন কমে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে পৌর মাছ বাজারের পাইকার ফেরদৌস প্রামানিক বলেন, ‘আগে কাঁটাতে ৪২ কেজিতে মণ হিসাবে মাছ কেনা হতো। হঠাৎ করে আজ আড়তে ডিজিটালে মিটারে মাছ বিক্রি করা হচ্ছে।

‘আগে কাঁটাতে মাছ পরিমাপের সময় ঝুড়িতে পরিমাপ করা হতো। এতে ঝুড়িতে ওঠানোর পর থেকেই মাছের সঙ্গে থাকা অতিরিক্ত পানি ঝরে যেত, তাই ওজন ঠিক থাকত। এখন ক্যারেটে পানিসহ ওজন করা হলে আমাদের জন্য লোকসান হবে। এতে ওজনে ঠিক পাব নাকি, সেটিও জানি না।’

এই সমস্যা দূর করতে ৪২-এর জায়গায় ৪৩ কেজিতে মাছের মণ পরিমাপের কথা জানালেন আরেক পাইকার আফাজ উদ্দিন।

তিনি বলেন, ‘আমরা আগে কাঁটার ওজনে মাছ কিনে ডিজিটাল মিটারে বিক্রি করতাম। কোনো সমস্যা হতো না। এখন যেহেতু ডিজিটাল মিটারে মাছ কেনা শুরু হয়েছে, ৪২ কেজিতে মণের বদলে আরেক কেজি বাড়িয়ে দিলে আমাদের জন্য মাপ ঠিক রাখতে সুবিধা হবে।’

পৌর মাছ বাজারের পাইকার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম তোতা বলেন, ‘নিয়ম সবার জন্যই সমান, কোনো সমস্য নাই। আমরা ডিজিটাল মিটারে মাছ কিনছি। আর এখানে কোনো ধরনের সিন্ডিকেট নেই। বরং আড়ৎদাররা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছেন।’

নওগাঁ শহরের পলিটেকনিক কলেজপাড়া এলাকার মাছ চাষী সাগর হোসেন বলেন, ‘ডিজিটাল মিটার চালু হওয়াতে আমাদের জন্য সুবিধা হয়েছে। পরিমাপ ডিজিটাল হলে দামে ঘাটতি যাবে না। মিটারে ওজন দেখা যায়, কিন্তু কাঁটার পল্লা হলে আমরা বুঝতে পারি না অনেক সময়। সামনের দিকে একটু হেলে যাওয়া মানে কয়েক কেজি বেশি চলে যাওয়া। হিসাব ডিজিটাল মিটারে হলে এ সমস্যা আর থাকবে না। আগে কাঁটার ওজনে যেহেতু ৪২ কেজিতে মণ ছিল। ডিজিটাল মিটারে ৪৩ কেজিতে মণ হলেও আমাদের সমস্যা নাই।’

তিনি জানান, আড়তদাররা মাছ বিক্রি করতে আসা চাষীদের কাছ থেকে দামের চার শতাংশ ও মাছবাহী গাড়ির জন্য ৫০ টাকা খাজনা নিয়ে থাকেন।

আরও পড়ুন:
ভরা মৌসুমেও দেশি মাছের আকাল কমলগঞ্জে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Mirage is once again Waltons brand ambassador

আবারও ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর মিরাজ

আবারও ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর মিরাজ দুই বছরের জন্য মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে চুক্তি করেছে ওয়ালটন। ছবি: সংগৃহীত
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ওয়ালটনের ডিএমডি নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘ক্রিকেট ও দেশের অন্যান্য খেলাধুলায় সর্বদা পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে ওয়ালটন। জাতীয় ক্রিকেট দল যেমন বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং করছে, তেমনি ওয়ালটনও বিশ্ব প্রযুক্তি পণ্য খাতে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করছে।’

তৃতীয়বারের মতো ওয়ালটনের ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর’ হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ।

দুই বছরের জন্য তরুণ এ ক্রিকেটারের সঙ্গে চুক্তি করেছে দেশের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস খাতের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন।

এর আগে ২০১৫ সালে মিরাজ বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক থাকার সময় দুই বছরের জন্য ওয়ালটনের ‘ইয়ুথ অ্যাম্বাসেডর’ হয়েছিলেন।

রাজধানীর বসুন্ধরায় ওয়ালটনের করপোরেট অফিসে সম্প্রতি মিরাজ ও ওয়ালটনের মধ্যকার এ সংক্রান্ত চুক্তি সই হয়। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) নজরুল ইসলাম সরকার।

ওই সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এস এম জাহিদ হাসান, মো. শাহজালাল হোসেন লিমন, মো. মাহমুদুল ইসলাম ও দিদারুল আলম খান (চিফ মার্কেটিং অফিসার), সিনিয়র ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রবিউল ইসলাম মিলটন এবং পাওয়ার প্লে কমিউনিকেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়ামুর রহমান পলাশ।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ওয়ালটনের ডিএমডি নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘ক্রিকেট ও দেশের অন্যান্য খেলাধুলায় সর্বদা পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে ওয়ালটন। জাতীয় ক্রিকেট দল যেমন বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং করছে, তেমনি ওয়ালটনও বিশ্ব প্রযুক্তি পণ্য খাতে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করছে। মিরাজ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অত্যন্ত প্রতিভাবান ও অন্যতম অলরাউন্ডার। তার মতো মেধাবী অলরাউন্ডার ক্রিকেটারকে তৃতীয়বারের মতো ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।’

অনুষ্ঠানে মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, ‘ক্রিকেটের পৃষ্ঠপোষকতায় ওয়ালটন বরাবরই এগিয়ে। দেশের সর্বস্তরের খেলাধুলা ও খেলোয়াড়দেরও পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে ওয়ালটন। অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলার সময় যখন আমার তেমন পরিচিতি ছিল না, ওই সময় ওয়ালটন আমাকে ইয়ুথ অ্যাম্বাসেডর করেছে। এরপর টানা তিনবার আমাকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরের মর্যাদা দিল ওয়ালটন। এটা আমার জন্য অনেক বড় সম্মানের।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের শীর্ষ গ্লোবাল ইলেকট্রনিকস প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি গর্বিত। দেশ-বিদেশে ওয়ালটনকে প্রতিনিধিত্ব করার পাশাপাশি ওয়ালটনের ব্র্র্যান্ড ইমেজকে আরও বৃদ্ধি করতে আমি সর্বদা সচেষ্ট থাকব।’

আরও পড়ুন:
ওয়ালটন বাজারে ছেড়েছে নেক্সজি সিরিজের নতুন মডেলের স্মার্টফোন
ওয়ালটন প্লাজা উৎসবে পুরস্কৃত ১৪৪ প্লাজা ও ম্যানেজার
স্নাতক পাশে শো-রুম ম্যানেজার নেবে ওয়ালটন
ক্ষতিগ্রস্ত কিস্তি ক্রেতার পরিবারের পাশে ওয়ালটন প্লাজা
কর্মক্ষেত্রে অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পুরস্কার পেল ওয়ালটন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The price of gold fell further in the world market

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমলেও দেশে প্রভাব নেই

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমলেও দেশে প্রভাব নেই প্রতীকী ছবি
মূল্যহ্রাসের এমন বৈষম্যের কারণে স্বর্ণের দামে দেশ ও বিশ্ববাজারে বড় ধরনের পার্থক্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববাজারের চেয়ে দেশের বাজার থেকে এক ভরি স্বর্ণ কিনতে ১৬ হাজার ডলারেরও বেশি গুনতে হচ্ছে।

গত সপ্তাহে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে ব্যাপক পতন ঘটেছে। বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমায় দেশের বাজারেও পড়েছে এর প্রভাব। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে যে হারে স্বর্ণের দরপতন হচ্ছে, দেশের বাজারে তার অর্ধেক মূল্য কমছে না।

আন্তর্জাতিক বাজারে এক সপ্তাহেই প্রতি আউন্স স্বর্ণের মূল্য ৭৬ দশমিক ৮০ ডলার কমে গেছে। প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধরলে বিশ্ববাজারে এক ভরি স্বর্ণের দাম কমেছে ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা। এর বিপরীতে দেশের বাজারে সবচেয়ে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম কমেছে ১ হাজার ২৮৪ টাকা।

মূল্যহ্রাসের এমন বৈষম্যের কারণে স্বর্ণের দামে দেশ ও বিশ্ববাজারে বড় ধরনের পার্থক্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববাজারের চেয়ে দেশের বাজার থেকে এক ভরি স্বর্ণ কিনতে ১৬ হাজার ডলারেরও বেশি গুনতে হচ্ছে।

সর্বশেষ গত ২৭ সেপ্টেম্বর বৈঠকের পর ২৮ সেপ্টেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম পুনর্নির্ধারণ করে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সে সময় সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ১ লাখ ২৮৪ টাকা থেকে কমিয়ে ৯৯ হাজার ৯৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ২২৪ টাকা থেকে কমিয়ে ৯৫ হাজার ৪১২ টাকা নির্ধারণ করে বাজুস।

এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪৯ টাকা থেকে কমিয়ে ৮১ হাজার ৭৬৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৯৩৩ টাকা থেকে কমিয়ে ৬৮ হাজার ১১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তখন থেকে এ দামেই দেশের বাজারে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে।

তবে স্বর্ণের গহনা কিনতে এর চেয়েও বেশি অর্থ গুনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। কারণ বাজুস নির্ধরিত দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যুক্ত করে দেশের বাজারে স্বর্ণের গহনা বিক্রি হয়। সেই সঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে সবকিছু মিলিয়ে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতার পকেট থেকে ১ লাখ ৮ হাজার ৪৫৭ টাকা বেরিয়ে যায়।

দেশের বাজারে স্বর্ণের বর্তমান মূল্য নির্ধারণের সময় বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল ১ হাজার ৯০৩ ডলার। বর্তমানে তা কমে ১ হাজার ৮৪৮ ডলারে নেমে গেছে। অর্থাৎ দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানোর পর বিশ্ববাজারে দাম কমেছে ৫৫ ডলার।

স্বর্ণের আন্তর্জাতিক বাজারের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসেই স্বর্ণের দাম কমেছে। সপ্তাহের শুরুতে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল ১ হাজার ৯২৪ দশমিক ৯৯ ডলার। সপ্তাহের ব্যবধানে ৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ বা ৭৬ দশমিক ৮০ ডলার কমে প্রতি আউন্সের দাম ১ হাজার ৮৪৮ দশমিক ১৯ ডলারে নামে।

আরও পড়ুন:
স্বর্ণের দাম কিছুটা কমে আরও বড় লাফ, নতুন রেকর্ড

মন্তব্য

p
উপরে