× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
12 tortured women workers returned from Saudi
google_news print-icon

সৌদি থেকে ফিরলেন নির্যাতিত ১২ নারী কর্মী

সৌদি-থেকে-ফিরলেন-নির্যাতিত-১২-নারী-কর্মী
সৌদি আরবে গিয়ে নির্যাতনের শিকার ১২ নারী শনিবার ঢাকায় বিমানবন্দরে পৌঁছেন। ছবি: নিউজবাংলা
এপিবিএন-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। এরপর অভিযুক্ত রিক্রুটিং এজেন্সি সৌদি থেকে নির্যাতনের শিকার হওয়া ১২ নারীকে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়।

সৌদি আরবে গৃহকর্মীর কাজে গিয়ে সেখানে নির্যাতনের শিকার হওয়ার পর বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অনুসন্ধান ও প্রচেষ্টায় দেশে ফিরেছেন ভুক্তভোগী ১২ নারী কর্মী।

বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক শনিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গত মাসে একজন নারী ভুক্তভোগীর স্বামী বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের কাছে অভিযোগ করেন, তার স্ত্রী ৬ মাস আগে এম এইচ ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে গৃহকর্মীর কাজ করতে সৌদি আরবে যান। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর থেকে তিনি তার স্ত্রীর সঙ্গে কোনোভাবেই যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। লোকমুখে তিনি জানতে পারেন তার স্ত্রী শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।

তিনি তার স্ত্রীকে দেশে ফিরিয়ে আনতে এপিবিএনের সহযোগিতা চান। একইসঙ্গে যে ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে তার স্ত্রী সৌদিতে গেছেন সেই এজেন্সির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। এরপর এয়ারপোর্ট এপিবিএনের গোয়েন্দা দল বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করে।

জিয়াউল হক আরও জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। ভুক্তভোগী নারী কোথায় কী অবস্থায় আছেন সে বিষয়েও তথ্য জানতে চাওয়া হয়। এরপর অভিযুক্ত রিক্রুটিং এজেন্সি সৌদি থেকে নির্যাতনের শিকার হওয়া ১২ নারী ভুক্তভোগীকে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়।

অভিযোগ জানানো ব্যক্তির স্ত্রীসহ নির্যাতনের শিকার ১২ নারী ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে শনিবার বিকেলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেন।

জিয়াউল হক আরও জানান, বিমানবন্দরে পৌঁছলে এপিবিএন তাদেরকে রিসিভ করে। এ সময় ব্র‍্যাকের মাইগ্রেশন প্রকল্পের প্রতিনিধিও উপস্থিত ছিলেন। দেশে ফিরে আসা নারীদের কাছ থেকে এপিবিএনের তদন্ত দল বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান যে তারা প্রত্যেকেই বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ট্রাভেল এজেন্সিসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান এপিবিএন-এর এই কর্মকর্তা।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Disappeared with money saying to increase blessings by blowing

ফুঁ দিয়ে বরকত বাড়ানোর কথা বলে টাকা নিয়ে উধাও

ফুঁ দিয়ে বরকত বাড়ানোর কথা বলে টাকা নিয়ে উধাও টাকা হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই গৃহবধূ। ছবি: নিউজবাংলা
প্রতারক প্রথমে ওই টাকা থেকে ১ হাজার টাকা ফুঁ দিয়ে আলাদা রাখেন। এরপর গৃহবধূ কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাকি ৩০ হাজার টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায় চক্রটি।

মৌলভীবাজার জেলার জুড়ীতে ফুঁ দিয়ে বরকত বাড়ানোর কথা বলে এক গৃহবধূর টাকা নিয়ে সটকে পড়েছে প্রতারক চক্র।

সোমবার দুপুরে উপজেলার কামিনীগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, মেয়েকে কলেজে ভর্তি করতে পূবালী থেকে ৩১ হাজার টাকা উত্তোলন করেন উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের কালিনগর গ্রামের দুবাই প্রবাসী আব্দুল মতিনের স্ত্রী গৃহবধূ শাহিদা বেগম। তার টাকার ‍ুপর নজর গেলে তা আত্মসাতের পরিকল্পনা আঁটে চক্রটি। ব্যাংক থেকে বের হওয়ার পর টাকায় বরকত বাড়ানোর কথা বলে ওই গৃহবধূর টাকাগুলো এক প্রতারকের হাতে দিতে বলেন অন্য প্রতারকরা। প্রতারকদের কথা শুনে সরল বিশ্বাসে তিনি টাকাগুলো তার হাতে তুলে দেন।

প্রতারক প্রথমে ওই টাকা থেকে ১ হাজার টাকা ফু দিয়ে আলাদা রাখেন। এরপর গৃহবধূ কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাকি ৩০ হাজার টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায় তারা। কিছুক্ষণ পর বিষয়টি বুঝতে পেরে হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করেন ওই গৃহবধূ। বিষয়টি দেখে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে তিনি ঘটনাটি সবিস্তারে বর্ণনা করেন।

গত ২৬ সেপ্টেম্বর বড়লেখা উপজেলায় একই কায়দায় সুজানগর ইউপির বড়থল গ্রামের কাতার প্রবাসী ছুয়াব আলীর স্ত্রী ছাবিয়া বেগমের কাছ থেকে কৌশলে ৭৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়‌ প্রতারক চক্র। প্রতারক চক্রের এমন ঘটনায় জেলাজুড়ে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।

জুড়ী থানার ওসি মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আরও পড়ুন:
বরিশালে তৈরি হচ্ছিল নকল স্বর্ণের বার
স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে গৃহবধূর অবস্থান
৯৩ হাজারের চেক হয়ে গেল ৫ লাখ ৯৩ হাজার!
হত্যার তদন্তে বেরিয়ে এলো ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’
অনলাইন জুয়া: এক মাসে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Fake gold bars were being manufactured in Barisal

বরিশালে তৈরি হচ্ছিল নকল স্বর্ণের বার

বরিশালে তৈরি হচ্ছিল নকল স্বর্ণের বার আটক জসিমের বসতঘরে তল্লাশি চালিয়ে ৬টি স্বর্ণের বার সদৃশ বস্তু, ১২টি পিতলের বারসহ নকল স্বর্ণ প্রস্তুত করার সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে পুলিশ। ছবি: নিউজবাংলা
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার তোতা মিয়া বলেন, ‘এ চক্রটি মূলত নগরের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল ও এর আশপাশের এলাকাকে কেন্দ্র করে প্রতারণার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল। গ্রাম থেকে আসা সহজ-সরল মানুষকে টার্গেট করত তারা।’

বরিশালে নকল স্বর্ণের বার তৈরির সময় জসিম হাওলাদার নামে প্রতারক চক্রের এক সদস্যকে আটক করেছে মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ। তবে চক্রের অপর ৫ সদস্য কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।

আটককালে ছয়টি নকল স্বর্ণের বার, ১২টি পিতলের বার (পিতলের চামচ কেটে বানানো টুকরো) ও নকল স্বর্ণ তৈরির সরমাঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় আটককৃত জসিমসহ চক্রের পলাতক ৫ সদস্যকে আসামি করে মঙ্গলবার বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউনিয়া থানায় মামলা করেছেন ডিবি পুলিশের এসআই ফখর উদ্দীন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডিবি অ্যাডমিন এন্ড ক্রাইম) মো. তোতা মিয়া।

পুলিশ জানায়, বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল চক্রটি। বিষয়টি বেশ কিছুদিন থেকে নজরদারিতে রেখেছিল পুলিশ। সোমবার রাতে বরিশাল মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, নগরের কাউনিয়া প্রথম গলির একটি বাসায় নকল স্বর্ণ তৈরি করা হচ্ছে। তাৎক্ষণিক ফোর্স নিয়ে ডিবির এসআই মো. ফখর উদ্দীন ও এএসআই মো. জামাল হোসাইন ওই এলাকায় অভিযান চালান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রতারক চক্রের ৫ সদস্য পালিয়ে গেলেও প্রতারক জসিম হাওলাদারকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এ সময় জসিমের বসতঘরে তল্লাশি চালিয়ে ৬টি স্বর্ণের বার সদৃশ বস্তু, ১২টি পিতলের বারসহ নকল স্বর্ণ প্রস্তুত করার সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় ডিবির এসআই মো. ফখর উদ্দীন বাদী হয়ে আটককৃত ৩২ বছর বয়সী জসিমসহ পালিয়ে যাওয়া প্রতারক চক্রের সদস্য আগৈলঝাড়া থানার নাগার গ্রামের মৃত মাহেন্দ্রনাথ বল্লভের ছেলে ৪৫ বছর বয়সী অপু ঘোষ ওরফে মঙ্গল বল্লভ, কাউনিয়া সাধুর বটতলা এলাকার বাসিন্দা বাদশার ছেলে ৩০ বছর বয়সী সুমন, কাউনিয়া বাসু মিয়ার গলির ভাড়াটিয়া ৩২ বছর বয়সী এমরান, পুরানপাড়া এলাকার ৩৫ বছর বয়সী কালু ও কাউনিয়া হাউজিং এলাকার মফিজকে আসামি করে মেট্রোপলিটন কাউনিয়া থানায় মামলা করেন।

মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডিবি এডমিন এন্ড ক্রাইম) মো. তোতা মিয়া বলেন, ‘এ চক্রটি মূলত নগরের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল ও এর আশপাশের এলাকাকে কেন্দ্র করে প্রতারণার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল। গ্রাম থেকে আসা সহজ-সরল মানুষকে টার্গেট করত তারা।

‘একজনকে যখন আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে, বাকি স্বর্ণ প্রতারকদেরও ধরা সম্ভব হবে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

আরও পড়ুন:
১০ সেকেন্ডেই মোটরসাইকেল হাওয়া করে দিত ওরা
অ্যাম্বুলেন্সে গাঁজা বহন, মন্ত্রী-মেয়রের নামে ফেসবুকে ক্ষোভ
কবিরাজির নামে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে করা হয় অচেতন
শিশুকে তাড়ি খাইয়ে ধর্ষণচেষ্টা, যুবক গ্রেপ্তার
কুমিল্লায় অটোরিকশাচালক সঞ্জিত হত্যার ঘটনায় পাঁচজন গ্রেপ্তার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The hospital is empty on the news of the arrival of the magistrate

ম্যাজিস্ট্রেট আসার খবরে হাসপাতাল ফাঁকা

ম্যাজিস্ট্রেট আসার খবরে হাসপাতাল ফাঁকা কুমিল্লায় মঙ্গলবার স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযানে এক হাসপাতালকে জরিমানা ও সিলগালা করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা
অভিযানে উপস্থিত থাকা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘হাসপাতালটি অনুমতি ছাড়া অস্ত্রোপচার, রোগী ভর্তি, বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষা চালিয়ে আসছিল। এছাড়াও হাসপাতালে গিয়ে কোন ডিউটি ডাক্তার বা কর্তৃপক্ষকে পাওয়া যায় নি। এমন অভিযোগে তাদের দুই লাখ টাকা জরিমানা ও প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়। স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

কুমিল্লায় ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযান থেকে বাঁচতে হাসপাতাল একদম ফাঁকা করে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

কুমিল্লা নগরীর টমছম ব্রিজ এলাকায় অবস্থিত ‘কুইন্স হাসপাতালে’ মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে।

নিয়ম অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছিলো না এমন অভিযোগে হাসপাতালটির বিরুদ্ধে অভিযানে যায় কুমিল্লা স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট।

অভিযানে গিয়ে প্রথমে হাসপাতালে রোগী, চিকিৎসক,নার্সসহ কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীও খোঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানান অভিযান পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ।

কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ইমদাদুল হক তালুকদারের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. মেহেদী হাসান ও ডা. মো. আবদুল কাইয়ুম উপস্থিত ছিলেন।

অভিযানের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, হাসপাতালটির কোনো লাইসেন্স কিংবা অনুমতিপত্র ছিল না। নিয়ম না মেনেই সাত তলা আবাসিক ভবনের পাঁচটি ফ্লোরের ফ্ল্যাট গুলোকে কেবিন ও ওয়ার্ড বানিয়ে কুইন্স ডিজিটাল হাসপাতাল নামের কথিত এই সেবা কেন্দ্র খোলা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে নগরীর এই গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কোনো ডিউটি চিকিৎসক ছাড়াই সেবা দিয়ে আসছিল।

হাসপাতালে অভিযানের ভয়ে সকাল থেকেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাসপাতাল রেখে পালিয়ে যায়। যদিও ভবনের কেয়ারটেকার জানায় তিন মাসের ভাড়া বকেয়া থাকায় তাদের চলে যেতে বলা হয়েছে। এসময় বিভিন্ন মাধ্যমের সহযোগিতা নিয়ে ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ডেকে এনে এর কারণ জিজ্ঞেস করা হয়। পরে কোন কাগজপত্র না দেখাতে পারায় দুই লাখ টাকা জরিমানা ও প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়।

অভিযানে উপস্থিত থাকা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘হাসপাতালটি অনুমতি ছাড়া অস্ত্রোপচার, রোগী ভর্তি, বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষা চালিয়ে আসছিল। এছাড়াও হাসপাতালে গিয়ে কোন ডিউটি ডাক্তার বা কর্তৃপক্ষকে পাওয়া যায় নি। এমন অভিযোগে তাদের দুই লাখ টাকা জরিমানা ও প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়। স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

সিনিয়র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক বলেন, ‘অভিযান পরিচালনাকালে কুইন্স হাসপাতাল তাদের বৈধতার কোন কাগজ দেখাতে পারিনি। তাই তাদেরকে জরিমানা ও সিলগালা করা হয়েছে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
They used to wind the motorcycle in 10 seconds

১০ সেকেন্ডেই মোটরসাইকেল হাওয়া করে দিত ওরা

১০ সেকেন্ডেই মোটরসাইকেল হাওয়া করে দিত ওরা মঙ্গলবার চট্টগ্রামের মিরসরাই ও জোরারগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রটির মূল হোতাসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ছবি: নিউজবাংলা
পুলিশ জানায়, চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করত চক্রটি। পরে অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিয়ে এবং অন্যান্য চোরচক্রের সঙ্গে যোগযোগ করে সেগুলো বিক্রি করে আসছিল তারা।

খুবই দক্ষ চোর চক্রটি। মাত্র ১০ সেকেন্ডেই একেকটি মোটরসাইকেল হাওয়া করে দেয়ার সক্ষমতা রাখে তারা। চট্টগ্রামের ফুটপাত, বাসাবাড়ি কিংবা অফিসের পার্কিং থেকে একের পর এক মোটরসাইকেল উধাও হয়ে যাওয়ার পর অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়েছে চক্রটি।

মঙ্গলবার চট্টগ্রামের মিরসরাই ও জোরারগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের মূল হোতা রায়হানসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় ৭টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করত চক্রটি। পরে অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিয়ে এবং অন্যান্য চোরচক্রের সঙ্গে যোগযোগ করে সেগুলো বিক্রি করে আসছিল তারা।

মহানগর গোয়েন্দা বিভাগ (উত্তর ও দক্ষিণ) পুলিশের উপকমিশনার নিহাদ আদনান তাইয়ান বলেন, ‘নগরীর হালিশহর থানাধীন বড়পোল এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোটরসাইকেল চোর চক্রের মূলহোতা আব্দুল্লাহ আল রায়হান, তার সহযোগী ইরফাদুল আলম ও আক্তার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বাকিদের আটক করা হয়।’

আরও পড়ুন:
অ্যাম্বুলেন্সে গাঁজা বহন, মন্ত্রী-মেয়রের নামে ফেসবুকে ক্ষোভ
কবিরাজির নামে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে করা হয় অচেতন
শিশুকে তাড়ি খাইয়ে ধর্ষণচেষ্টা, যুবক গ্রেপ্তার
কুমিল্লায় অটোরিকশাচালক সঞ্জিত হত্যার ঘটনায় পাঁচজন গ্রেপ্তার
অস্ত্রসহ আরসা প্রধানের একান্ত সহকারী গ্রেপ্তার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Anger on Facebook in the name of the minister mayor carrying cannabis in the ambulance

অ্যাম্বুলেন্সে গাঁজা বহন, মন্ত্রী-মেয়রের নামে ফেসবুকে ক্ষোভ

অ্যাম্বুলেন্সে গাঁজা বহন, মন্ত্রী-মেয়রের নামে ফেসবুকে ক্ষোভ গাজীপুরে কালিয়াকৈর পৌরসভার নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্সে গাঁজাসহ চালক গ্রেপ্তারের ঘটনায় একটি পক্ষ মন্ত্রী ও মেয়রের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাতে দেখা যায়। ছবি: সংগৃহীত
পরশুরাম থানার ওসি রবিউল ইসলাম বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মাদকসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় পৌর অ্যাম্বুলেন্সে ও দুটি স্মার্ট মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। ঘটনায় মাদক মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার দুজনকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।’

গাজীপুরের কালিয়াকৈর পৌরসভার নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্সে গাঁজাসহ চালক ও এক যাত্রীকে আটক করে মামলা দিয়েছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।

রংপুরের পরশুরাম থানা এলাকায় পুলিশ ১৫ কেজি গাঁজাসহ রোববার রাত ৩টার দিকে তাদের আটক করে। এসময় মোতাহার হোসেন নামে অপর এক যাত্রী কৌশলে পালিয়ে যায়।

মামলার পর আসামি দুজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পরশুরাম থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তার কালিয়াকৈর পৌরসভার অ্যাম্বুলেন্স চালক ৩৫ বছর বয়সী ছানোয়ার হোসেন মানিকগঞ্জের সদর থানার দেড়গ্রাম এলাকার বাসিন্দা। অপর গ্রেপ্তার ২১ বছর বয়সী রাকিব শেখ পাবনার সাথিয়া উপজেলার আত্রাইশুখা গোপালপুর এলাকার বাসিন্দা।

পরশুরাম থানার ওসি রবিউল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মাদকসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় পৌর অ্যাম্বুলেন্সে ও দুটি স্মার্ট মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। ঘটনায় মাদক মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার দুজনকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।’

গ্রেপ্তারের ঘটনায় কালিয়াকৈর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ সোমবার অ্যাম্বুলেন্সের চালককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছে।

গাজীপুরের কালিয়াকৈর পৌরসভা জানায়, ছানোয়ার হোসেন প্রায় দুই বছর ধরে কালিয়াকৈর পৌরসভার অ্যাম্বুলেন্সে চালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। রোববার ওই চালক কালিয়াকৈর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড এলাকা থেকে একটি লাশ নিয়ে রংপুরের যান। কিন্ত ওইদিন রাতে লাশ রেখে ফেরার পথে পৌর এ্যাম্বুলেন্সটি আটক করে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।

পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুল আলম তালুকদার বলেন, ‘যাত্রী বহনের অভিযোগে প্রায় ছয় মাস আগেও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ওই চালককে শোকজ করেছিল।’

ঘটনার পর থেকেই গ্রেপ্তার ছানোয়ারের পৃষ্টপোষক হিসেবে দাবি করে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং কালিয়াকৈর পৌর মেয়র মজিবুর রহমানের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পক্ষকে প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পৌরসভার অনেকে বাসিন্দাকেই ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এটা অ্যাম্বুলেন্স চালকের বিষয়। এটা মন্ত্রী মহোদয়ের কোনো বিষয় নয়। তার সম্মানহানী করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন একটি কুচক্রী মহল। তবে দলীয় ভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’

পৌরসভার মেয়র মজিবুর রহমান বলেন, ‘মানুষের সেবা করার জন্য অ্যাম্বুলেন্স চালু আছে। রোগী বা লাশ বহন শেষে চালক অ্যাম্বুলেন্সে যাত্রী নিয়ে আসায় এ সমস্যা ঘটেছে। এখানে পৌরসভা কোন ভাবে দায়ী নয়। কিন্তু একটি চক্র মন্ত্রী মহোদয় ও আমাকে হেয় করার জন্য এটাকে ভিন্নভাবে মিথ্যা অপপ্রচার করছেন।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Storm of condemnation in the attack on Charan Kabi

চারণকবির ওপরও এ কেমন হামলা!

চারণকবির ওপরও এ কেমন হামলা! হামলার ঘটনার পর এভাবেই ক্ষত-বিক্ষত হন চারণ ও স্বভাব কবি রাধাপদ রায়। ছবি: নিউজবাংলা
নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. সাহেব আলী জানান, ‘রাধাপদ রায়কে ফিজিক্যালি এ্যাসাল্ট করা হয়েছে। তার পিঠে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও ব্যাথা আছে।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল কুড়িগ্রামের চারণ ও স্বভাব কবি রাধাপদ রায়ের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে জেলা জুড়ে। এ ঘটনায় তিব্র নিন্দা ও হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান স্বাংস্কৃতিক অঙ্গন ও সচেতন মহল।

চারণকবি রাধাপদ জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নে গোড্ডারাপাড় বটতলা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি আঞ্চলিক ভাষায় গ্রামীন ও নৈতীক ঘটনা নিয়ে কবিতা লিখেন এবং তা গ্রামে গ্রামে জলশায় শুনিয়ে যে অর্থ পান তাই দিয়ে সংসার চালান। বেশ কিছুদিন আগে তার ছেলের সঙ্গে আরেক শ্রমিকের টাকা পয়সা নিয়ে দ্বন্দ তৈরি হয়। সেই জের ধরে গত শনিবার সকালে কবির ওপর হামলা ও নির্যাতন চালানো হয়। বর্তমানে তিনি নাগেশ্বরী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

হামলার ঘটনায় রোববার কবির ছেলে যুগল চন্দ্র রায় বাদী হয়ে নাগেশ্বরী থানায় দুই জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন।

অভিযুক্তরা হলেন, ৩৫ বছর বয়সী রফিকুল ইসলাম ও ৪৫ বছর বয়সী কদুর রহমান। মামলার পর দুইদিন অতিবাহিত হলেও এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করনি পুলিশ।

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের মাদাইখাল গোদ্দার পাড় এলাকার বাসিন্দা ৮০ বছর বয়সী চারণকবি রাধাপদ রায়। মুক্তিযুদ্ধের সময় বাড়িঘর বিক্রি করে তিনি চলে যান ভারতে। যুদ্ধ শেষে ভারতে কেনা বাড়ী বিক্রি করে আবারও ফিরে আসেন বাংলাদেশে। একসময় পরিবারের প্রয়োজনে ছেলেসহ ঢাকায় গিয়ে রাজমিস্ত্রীর কাজ নেন। সেখানে থাকা অবস্থাতেই তার কবিতা লেখা শুরু। বয়সের ভারে তিনি গ্রামে চলে আসলেও তার ছেলে রয়ে যায় ঢাকাতে। সেখানে ছেলেও রাজমিস্ত্রির কাজ শুরু করেন। ছেলে মাধবকুমারের সঙ্গে ৫০০ টাকা নিয়ে কয়েক মাস আগে প্রতিবেশী আরেক শ্রমিকের কথা কাটাকাটি হয়। এরপর মাধবকুমার বাড়িতে আসলে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাধাপদ রায়ের ছেলে মাধবকুমারকে শায়েস্তা করতে প্রতিবেশী রফিকুল ও তার ভাই কদুর রহমান তাদের বাড়িতে যান। সেখানে মাধবকুমারকে না পেয়ে রাধাপদ রায় ও তার স্ত্রীকে অকথ্য ও বর্ণবাদী ভাষায় গালিগালাজ করে তারা। এতে প্রতিবাদ জানায় তারা (রাধাপদ রায় ও তার স্ত্রী)। তাদের দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে চলে যান রফিকুল ও কদুর রহমান।

কিন্তু ওই ঘটনার প্রায় সাত মাস পর গত ৩০ সেপ্টেম্বর সকালে রফিকুল ও কদু রাধাপদ রায়কে বিলে মাছ ধরার সময় হঠাৎ পেছন থেকে আঘাত করে। এ সময় নির্মমভাবে লাঠি দিয়ে তার শরীরে এলোপাতারি আঘাত করে। এ সময় তার আত্নচিৎকারে স্থানীয়রা তাকে নাগেশ্বরী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

সোমবার রাত সাড়ে এগারোটা কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ ও পুলিশ সুপার আল আসাদ মাহফুজুল ইসলাম নাগেশ্বরী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন চারণকবি রাধাপদ রায়কে দেখতে যান ও তাকে ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের আওতায় আনার আশ্বাস দেন।

আহত চারণকবি রাধাপদ রায় বলেন, ‘শনিবার সকালে বাড়ির পাশের ডুবুরির ব্রিজের পাড়ে মাছ ধরার সময় রফিকুল হঠাৎ করে আমার ওপর হামলা চালায়। আমার ঘাড়ে ও পিঠে বেধম মারেন। পিঠের অনেক স্থানে ফেটে ক্ষত হয়েছে। কি কারণে হামলা করেছে তা জানি না। তার সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। তবে মাস কয়েক আগে রফিকুলের বড় ভাই কদুর সঙ্গে একটা বিষয় নিয়ে তর্ক হয়। তার বড় ভাইয়ের ইন্ধনে সে এটা করতে পারে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই আমি।’

কবির ছেলে জুগল চন্দ্র রায় বলেন, ‘তারা বাবাকে অমানুষিকভাবে মারধোর এবং মাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছে। আমরা এই বর্ণবাদি আচরণ ও ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’

প্রেসক্লাব নাগেশ্বরীর সভাপতি লিটন চৌধুরী বলেন, ‘একজন চারণকবি ও বয়বৃদ্ধ নিরিহ মানুষকে এভাবে পেটানোর ঘটনা মেনে নেয়া যায় না। তিনি একজন স্বভাব কবি। সাদা মনের মানুষ। আমরা ঘটনার তীব্র নিন্দা ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’

নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. সাহেব আলী জানান, ‘রাধাপদ রায়কে ফিজিক্যালি এ্যাসাল্ট করা হয়েছে। তার পিঠে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও ব্যাথা আছে।’

পুলিশ সুপার আল আসাদ দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দেন। এবং ব্যক্তিগত ঘটনাটি যারা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করবে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন:
পুলিশ ক্যাম্প ঘেরাও করে বাজারে হামলা, গোলাগুলি
নাটোরে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
ভারতে বিশ্বকাপে খালিস্তানি নেতার হামলার হুমকি
শেখ হাসিনার জন্মদিনের মিলাদে হামলা
পররাষ্ট্রের সেই জাকিরের জামিন বহাল, বিদেশ যেতে মানা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
After 19 years of rape the verdict was given

ধর্ষণের ১৯ বছর পর হলো রায়

ধর্ষণের ১৯ বছর পর হলো রায় নাটোর জেলা ও দায়রা জজ আলাদত। ছবি: নিউজবাংলা
আদালতের বিশেষ সরকারি কৌসুলি আনিসুর রহমান বলেন, ‘মামলার বাদী দীর্ঘদিন আদালতে হাজির হননি। এছাড়া এই মামলায় মাত্র চারজন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন। ওই চারজন সাক্ষীদের দেয়া সাক্ষ্য সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। বর্তমানে আসামি পলাতক রয়েছেন।’

নাটোরের লালপুরে শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের মামলায় ১৯ বছর পর এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাকে আরও ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।

নাটোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম মঙ্গলবার দুপুরে এ আদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত শাহানুর লালপুর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা।

আসামি বর্তমানে পলাতক থাকায় রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৪ সালের ১২ জুলাই রাতে লালপুরে শাহানুর এক শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। ওই সময় শিশুটির চিৎকার শুনে বাবা-মা ছুটে এলে সে তাদেরকে ঘটনার কথা জানায়।

পরে ২৬ জুলাই ওই শিশুর বাবা বাদী হয়ে নাটোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে শাহানুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন।

আদালত লালপুর থানা পুলিশকে এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়। ওই সময়ে থানার উপপরিদর্শক মমিনুল ইসলাম তদন্ত শেষে ওই বছরের ২২ আগস্ট আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

ওই বছরই মামলাটি বিচারের জন্য আদালতে আসে। কিন্তু মামলা চলাকালীন পুরোটা সময় সাক্ষীরা আদালতে আসতে গড়িমসি করেন যার ফলে ১৯ বছরে মাত্র ৪ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেয়।

আদালতের বিশেষ সরকারি কৌসুলি আনিসুর রহমান বলেন, ‘মামলার বাদী দীর্ঘদিন আদালতে হাজির হননি। এছাড়া এই মামলায় মাত্র চারজন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন। ওই চারজন সাক্ষীদের দেয়া সাক্ষ্য সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। বর্তমানে আসামি পলাতক রয়েছেন।’

মন্তব্য

p
উপরে