আসন্ন রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও ১৪ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। ‘উন্নয়ন দৃশ্যমান, এবার হবে কর্মসংস্থান’ স্লোগান সামনে রেখে দেয়া এই ইশতেহারে ১০ খাতে ১০৫ দফার উন্নয়ন প্রতিশ্রুতি রয়েছে।
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ অডিটরিয়ামে শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই ইশতেহার ঘোষণা করা হয়।
আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও দু’বারের সাবেক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে বিগত সময়ে তার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন। তিনি শুধু রাজশাহী শহরের উন্নয়নেরই ঘোষণা দেননি। বরং রাজশাহী অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
লিটন বলেন, ‘আমি যে উন্নয়ন পরিকল্পনা ঘোষণা করেছি মেয়র হিসেবে এর প্রায় অর্ধেকটাই আমার কাজের মধ্যে পড়ে না। কিন্তু আমি যেহেতু আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীরও সদস্য, সে কারণে আমি মেয়র হলে এই অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নেই ভূমিকা রাখতে চাই। আমার বিশ্বাস, প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা নিয়ে আমি এসব কাজ করতে পারব।’
নৌকার এই মেয়র প্রার্থী বলেন, ‘একজন মেয়র হিসেবে আপনারা আমাকে দায়িত্ব দেয়ার পর প্রধানমন্ত্রী রাজশাহীর মানুষের উন্নয়নের জন্য প্রায় ২৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেন। এই নগরীর সমৃদ্ধির জন্য শতাধিক উন্নয়ন প্রকল্প নেয়া হয়েছে। নগরীর সড়ক বর্ধিতকরণ, সৌন্দর্য বর্ধন, নাগরিক পরিষেবা নিশ্চিতকরণ, পরিচ্ছন্নতা ও সবুজায়নসহ শিক্ষা, চিকিৎসা, অনগ্রসর জনসমষ্টির জন্য বিশেষ প্রণোদনা, নতুন নতুন স্থাপনা প্রতিষ্ঠা, কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে নতুন নতুন ক্ষেত্র প্রস্তুত করা ইত্যাদি কার্যক্রমে সুশাসন নিশ্চিত করে আপনাদের অধিকতর সেবা প্রদানে আমি সর্বদা সচেষ্ট থেকেছি। এবার নির্বাচনে তাই আমার ঘোষণা- উন্নয়ন দৃশ্যমান, এবার হবে কর্মসংস্থান।’
ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠান আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য প্রফেসর ড. আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় সদস্য বেগম আখতার জাহান, রাজশাহী মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামাল, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার সরকারসহ ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী, ক্রীড়াসহ নগরীর গুরত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
কোনো দেশের নিষেধাজ্ঞা মেনে নয়, নিজেদের সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশ চলবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘একাত্তরে আমাদের হারাতে পারেনি, আজও নিষেধাজ্ঞা দিয়ে শেখ হাসিনাকে থামানো যাবে না। আমরা কারও নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করি না। আর তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা কেউ শোনে না। ভেনিজুয়েলা, গ্যাবন, সুদান কেউ শোনেনি। জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞাও প্রথম সারির অনেক মোড়ল দেশ মানে না।।’
মঙ্গলবার রাজধানীর কেরানীগঞ্জে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে এ মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
‘যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়, আর নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখায় বিএনপি’ মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কী আশ্চর্য! মনে হয় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিকে ভয় দেখানোর এজেন্সি দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কারও কাছে মাথা নত করবে না। বিএনপি কীভাবে ঢাকা দখল করে তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে আওয়ামী লীগ। লাল সবুজের পতাকা নিয়ে আওয়ামী লীগ সারা দেশ দখল করবে। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব যতদিন আছে, ততদিন আমরা লড়ে যাব। এই বীরের দেশে বীর জনতা কারও কাছে মাথা নত করবে না।’
কেরানীগঞ্জের নেতা-কর্মীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ভোটের জন্য তৈরি হয়ে যান। ভোট জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। বারবার আসব না, আপনারাই শেখ হাসিনার হয়ে জনগণের কাছে যাবেন। নৌকার হয়ে শেখ হাসিনার জন্য ভোট চাইবেন। শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা বলবেন।’
এসময় আওয়ামী লীগের কোনো কর্মীর গায়ে আঘাত করলে এবার পাল্টা আঘাত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আঘাত করলে কোনো ছাড় দেয়া হবে না।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ বিএনপিকে ক্ষমা করবে না। মির্জা আব্বাস ঝিনাইদহের রাস্তায় দাঁড়িয়ে বলছে- আজ নাকি চাঁদ রাত, চাঁদ রাতের আনন্দ।
‘কিছু লোকজন দেখে মির্জা আব্বাস আপ্লুত হয়ে চাঁদ রাতের স্বপ্ন দেখছেন। ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন দেখছেন মনে মনে। মির্জা আব্বাস সাহেব, যত চাঁদ রাতই দেখুন, আপনাদের এই স্বপ্ন, রঙিন বেলুনের মতো অচিরেই চুপসে যাবে। ক্ষমতার মুখ আপনারা দেখবেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি করেছে। খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য ৪৮ মিনিটের জন্য একটা আন্দোলনও করতে পারেনি।’
এ ইস্যুতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের কান্না প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কত মায়ের বুক খালি করে, কতজনকে স্বামীহারা, বাবাহারা করে বিএনপি এখন নিজেই কাঁদছে। ফখরুল সাহেব কাঁদতে কাঁদতে বাংলাদেশ কান্নার দরিয়া হয়ে যাবে, তবুও আপনাদের ক্ষমা নেই। পিতৃহত্যা, মাতৃহত্যার প্রতিশোধ আমরা নেব। বাংলাদেশের মানুষ বিএনপিকে ক্ষমা করবে না।’
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বিদুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমানসহ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
আরও পড়ুন:নাটোরে হত্যা ও বিস্ফোরণ মামলায় নির্দিষ্ট তারিখে আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু ও তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ছবির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে নাটোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শরীফ উদ্দিন এ আদেশ দেন।
মামলার বরাতে আদালত সূত্র জানায়, ২০১২ সালের ৮ ডিসেম্বর রাতে নাটোর শহরের রেল স্টেশন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা মোটরসাইকেল বহর নিয়ে আসার পথে আলাইপুর জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বিএনপি নেতা দুলুসহ তার সমর্থকরা পিস্তল, রিভলবার, দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে বহরের পথরোধ করে হামলা চালায়। হামলার সময় গুলিবিদ্ধ হন স্থানীয় আওয়ামী লীগকর্মী পলাশ। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনার পরের দিন আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ মোর্তজা আলী বাবলু বাদী হয়ে দুলুকে প্রধান আসামি করে ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১৫ থেকে ১৬ জনকে আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
এছাড়া ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর নাটোর জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম মাসুমের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের শান্তিপূর্ণ একটি মিছিল জেলা বিএনপি কার্যালয় অতিক্রম করার সময় দুলুর স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ছবির নির্দেশে মিছিলে হামলা করে বিএনপি নেতা-কর্মীরা। এসময় ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। ঘটনার দিনই ছাত্রলীগ নেতা মাসুম বাদী হয়ে ছবিকে প্রধান আসামি করে ৩৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ১৫ থেকে ২০ জনের নামে মামলা করেন।
২০১৩ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর শহরের কানাইখালি এলাকায় বিএনপি নেতা বাবুল চৌধুরীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের মিছিলে হামলা চালানো হয় এবং ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি শহরের তেবাড়িয়া এলাকায় আওয়ামী লীগের বিজয় র্যালিতে বিএনপি হামলা চালায় বলেও অভিযোগ ওঠে। সেসময় গুলি করে যুবলীগকর্মী রাকিব রায়হানকে হত্যা করা হয়।
এসব মামলায় শুনানির নির্দিষ্ট তারিখে উপস্থিত না হওয়ায় দুলু ও তার স্ত্রী ছবির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী আবুল হোসেন বলেন, ‘আসামি রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু অসুস্থ থাকায় আদালতের ধার্যকৃত তারিখে হাজির হতে পারেননি। এজন্য হাসপাতালের চিকিৎসা সনদ আদালতে দাখিল করা হয়েছে। আর স্বামীর অসুস্থতায় সেবাযত্ন করায় সাবিনা ইয়াসমিন ছবিও আদালতে হাজির হতে পারেনি। আদালতে সময় প্রার্থনা করেছিলাম। তবে তা নামঞ্জুর করে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আমরা উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হব।’
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আরিফুর রহমান বলেন, ‘হত্যা মামলার আসামি দুলু আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে নানা আবেদন করে দীর্ঘদিন আদালতে অনুপস্থিত। নানা কূটকৌশলে তিনি আদালতের সময় নষ্ট করছেন। এ বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হলে বিচারক তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।’
আরও পড়ুন:আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ. এইচ. এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ‘নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার চক্রান্ত করলে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিতে কী বললো সেটি আমরা দেখতে যাব না। বিএনপি-জামায়াতকে দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে।’
মঙ্গলবার রাজশাহীতে যুবলীগ রাজশাহী মহানগর ও জেলা শাখার ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মহানগরীর পাঠানপাড়া শিমুলতলার মোড়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন-ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ।
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘যারা নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে অথবা নানাভাবে বির্তকিত করতে ষড়যন্ত্র করেন, বিদেশিদের হাতে হাত মেলান, দেশি-বিদেশি চক্রান্তে লিপ্ত হন, তারা আবার সক্রিয় হয়েছে।
‘বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশে বলছি, নির্বাচনে আসবেন কি আসবেন না সেটি আপনাদের নিজস্ব রাজনৈতিক বিষয়। তবে নির্বাচনে এলে আপনাদেরই ভালো হবে। তা না করে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার চক্রান্ত করলে দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে। স্যাংশন দিয়ে আওয়ামী লীগের একটা পশমও ছেঁড়া যাবে না।’
শর্টকাটে ক্ষমতায় যাওয়ার পথ শেখ হাসিনা খোঁজেন না: পরশ
যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, ‘এ দেশে নির্বাচন বানচালের কোনো সুযোগ নাই। সেই ষড়যন্ত্র যুবসমাজ মেনে নেবে না। শেখ হাসিনার কর্মীরা প্রতিযোগিতাকে ভয় পায় না। অনির্বাচিত, অবৈধ সরকার ক্ষমতায় বসানোর অপচেষ্টা করা হলে তা প্রতিহত করা হবে।’
তিনি বলেন, শর্টকাটে ক্ষমতায় যাওয়ার পথ শেখ হাসিনা খোঁজেন না। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে আগামীতে শেখ হাসিনা আবারও ক্ষমতায় আসবেন।’
গণমাধ্যমের ওপর ভিসা নীতি কেন বোধগম্য নয়: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ শুধু দেশ পরিবর্তন হয়েছে তা নয়, তিনি দেশের মানুষের ভাগ্যেরও পরিবর্তন করেছেন। বাংলাদেশ যখন এভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে তারেক রহমান আবার ভবন, খোয়াব ভবন তৈরি করবেন। সারাদেশে ৫০০ জায়গায় বোমা হামলা হয়েছিল, এবার ৫ হাজার জায়গায় বোমা হামলা হবে। রাজশাহীর বাগমারায় বাংলাভাইয়ের উত্থান হয়েছিল, এবার সারাদেশে বাংলাভাই হবে। বাংলাদেশ পাকিস্তান, আফগানিস্তানের পর্যায়ে চলে যাবে।’
গণমাধ্যমের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি মুক্ত গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপ মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ভিসা নীতিতে কাকে ভিসা দেবে আর কাকে দেবে না সেটা তাদের ব্যাপার। তবে গণমাধ্যমকে কেন ভিসানীতিতে ফেলা হবে সেটি আমার বোধগম্য নয়।’
যুবলীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত মাঠে নামতে পারবে না: নিখিল
সম্মেলনে প্রধান বক্তা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ‘যুবলীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে আগামী নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত মাঠে নামতে পারবে না। দেশের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনা যাদের নৌকা প্রতীক দেবেন, ঐক্যবদ্ধ থেকে তাদের বিজয়ী করতে হবে।’
রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সভাপতি মো. রমজান আলীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য নূরুল ইসলাম ঠান্ডু ও সদস্য বেগম আখতার জাহান।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশ পাঠানো নিয়ে এরই মধ্যে দু দফা আলটিমেটাম দিয়েছেন দলীয় নেতারা। এবার আরেক নেতা জানালেন ক্ষোভ।
মঙ্গলবার ঝিনাইদহ শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে খুলনা অভিমুখে রোডমার্চ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘আর কত রক্ত দেশের মানুষ দিলে শেখ হাসিনা ক্ষ্যান্ত হবেন? এই খুনি জালিম সরকার যতক্ষণ পর্যন্ত বিদায় না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বো না। শয়তানির একটা সীমা আছে। সরকার চোর-ডাকাতদের মুক্তি দিচ্ছে অথচ তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে (খালেদা জিয়া) মুক্তি দিচ্ছে না।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তি এবং তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠাতে সোমবার ৩৬ ঘণ্টার আলটিমেটাম দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
এর আগের দিনে একই দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার সরকারের উদ্দেশে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘সময় থাকতে পদত্যাগ করে সংসদ ভেঙে দিন, নির্বাচন কমিশন পুর্নগঠন করুন। নইলে মাইর একবার শুরু হলে রেহায় পাবেন না।’
তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রাহমানকে বিমান বন্দরে রিসিভ করার জন্য উপস্থিত জনতাকে অগ্রিম দাওয়াত দেন।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা দেশ স্বাধীন করেছি গনতন্ত্র, বাক স্বাধীনতা ও অর্তনৈতিক মুক্তির জন্য। কোনো রাজা-রানির রাজত্ব করার জন্য আমরা দেশ স্বাধীন করিনি।
‘দেশে আজ কতৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করা হয়েছে। দেশ আজ হিরক রাজার দেশে পরিণত হয়েছে। এভাবে আর চলতে দেয়া যায় না। এখন দড়ি ধরে টান মারার সময় এসেছে। বর্তমান সরকারের অবস্থায়ও হীরক রাজার মতই হবে।’
তিনি বলেন, ‘এই অনুষ্ঠানে পৌঁছাতে আমাকে আড়াই কিলোমিটার জনসমুদ্র পাড়ি দিতে হয়েছে। দেখে মনে হয়েছে আমরা প্রাক বিজয় উৎসব পালন করছি। সারা দেশের মানুষ আজ আবেগতাড়িত, উদ্বেলিত। অন্যদিকে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে বেদনাহত।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমি ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) বলে এসেছি সারা দেশের মানুষ আজ আপনার জন্য চিন্তিত। আপনি বাংলাদেশের জন্য আপনি যা করেছেন তা মানুষ ভুলবে না।’
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে এই সরকারকে বাধ্য করা হবে। একদফার আন্দোলন চূড়ান্ত করেই দেশের মানুষ ঘরে ফিরবে ইনশাল্লাহ।’
ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনার পরিচালনায় রোডমার্চের উদ্বোধনী সমাবেশে কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মেহদী আহম্মেদ রুমী, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদ (খুলনা) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দীন, বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহ উদ্দীন টুকু, কেন্দ্রীয় ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, মেহেরপুরের মাসুদ অরুন, চুয়াডাঙ্গার মাহবুব হাসান খান বাবু, শরিফুজ্জামানসহ জেলা ও উপজেলার বিএনপি নেতারা বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, ‘আমরা একদফার দাবিতে রাস্তায় নেমেছি। তারেক রহমান মৃত বিএনপিকে জীবিত করেছেন। এই ফ্যসিবাদী বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে শত শত নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। ৪০ লাখ নেতা-কর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। তারপরও বিএনপি মাঠ ছাড়েনি। কারণ একটাই হাসিনার পদত্যাগ ছাড়া বিএনপি ঘরে ফিরবে না।’
বিএনপির খুলনা অভিমুখে রোডমার্চকে ঘিরে কেন্দ্রীয় নেতাদের মিলনমেলায় পরিণত হয় ঝিনাইদহ। বিশেষ করে ঝিনাইদহ ছাড়াও কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার বিএনপির নেতা-কর্মীদের মাঝে মঙ্গলবারের রোডমার্চকে ঘিরে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসে।
কেন্দ্রীয় ও বাইরের নেতা-কর্মীদের বরণ করতে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। রোডমার্চের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান স্মরণীয় করতে ঝিনাইদহ শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সাজানো হয় বর্ণিল সাজে।
আরও পড়ুন:র্যাব পরিচয়ে মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনায় হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহাবুবুর রহমান রবিন ও সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার হাসান খান সাজু।
রোববার রাতে উপজেলার খাসনগর এলাকার রয়েল রিসোর্টের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বিকেলে তাদেরকে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান মোল্লার আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আদালত একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে।
মামলার বরাত দিয়ে সোনারগা থানার পুলিশ পরির্দশক মাহবুব আলম জানান, ১৩ সেপ্টেম্বর উপজেলার মোগরাপাড়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে দুই সহযোগীকে নিয়ে ব্যবসায়ী সুমনের গাড়ি থামিয়ে ২৮৩টি মোবাইল ছিনতাই করেন ছাত্রলীগের এই দুই নেতা। পরে তিনি সোনারগাঁ থানায় ছাত্রলীগের দুই নেতার নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও দুইজনকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করে। ছাত্রলীগের এই দুই নেতার বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক মামলা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
আদালত পুলিশের আসাদুজ্জামান জানান, র্যাব পরিচয়ে ছিনতাইয়ের অভিযোগে করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তারের পর রিমান্ড আবেদন জানিয়ে পুলিশ আদালতে পাঠায়। আদালত তাদেরকে একদিন করে রিমান্ডের নির্দেশ দেয়।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম রাসেল এ বিষয়ে বলেন, ‘ছাত্রলীগের মতো একটি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থেকে এসব কর্মকাণ্ড করায় আমরা বিব্রত। রবিন ও সাজুর বিরুদ্ধে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আগে থেকেই ছিল।
‘আমরা জেলা ছাত্রলীগ ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবেন।’
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপের অভিযোগে সোনারগাঁ পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহাবুবুর রহমান রবিনকে পদ থেকে অব্যাহতি দেয় জেলা ছাত্রলীগ। আর ২০১৯ সালে ডাকাতির মালামালসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর সোনারগাঁও পৌর ছাত্রলীগের সেক্রেটারি শাহরিয়ার হাসান খান সাজুকে বহিষ্কার করে উপজেলা ছাত্রলীগ।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন বলে দাবি করেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা। তিনি বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাকেও ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তবে বিষয়টি নিয়ে আমি অখুশি নই।’
সোমবার দেশের সংবাদমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ দাবি করেন।
যুক্তরাষ্টের ভিসা নিষেধাজ্ঞায় পড়ার খবর কীভাবে জেনেছেন জানতে চাইলে রাঙ্গা বলেন, ‘কয়েকজন সাংবাদিক আমাকে জানিয়েছেন।’ তবে কোনো সাংবাদিকের নাম জাননি তিনি।
রাঙ্গার ভিসা নিষেধাজ্ঞায় পড়ার খবর সাংবাদিকরা কীভাবে জানলেন- প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি তিনি।
সোমবার সন্ধ্যায় প্রকাশিত ওই সাক্ষাৎকারে রাঙ্গা বলেন, ‘আমার যুক্তরাষ্ট্রের ১০ বছরের ভিসা আছে। তবে আমার এখন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই, সুযোগও নেই। সামনে নির্বাচন। গত ৫ বছরেও আমি দেশটিতে যাইনি।’
‘যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি তাদের নিজস্ব বিষয়’ উল্লেখ করে রাঙ্গা বলেন, ‘আমার দেশে যদি কাউকে আসতে না দেই, যদি মনে করি এই লোকগুলো আমাদের জন্য ক্ষতিকর, তাহলে তো বলার কিছু নাই। আমি মনে করি এটা দেশের জন্য ভালো। আমি এটাকে ভালোই বলছি।’
তবে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ভিসা নীতির প্রভাব পড়ার কোনো সুযোগ নেই বলেও এসময় জানান তিনি।
গত শুক্রবার থেকে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধা দেয়ার অভিযোগে রাজনীতিবিদ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, বিচার বিভাগের সদস্যসহ বিভিন্ন ব্যক্তির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে কারা এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন তা প্রকাশ করেনি দেশটি।
নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র জানায়, ‘বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বাধাদানকারী ব্যক্তি ও সহায়তাকারীদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। এর মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরা রয়েছেন।’
বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহায়তা অব্যাহত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়।
আরও পড়ুন:বিদেশি কোনো রাষ্ট্রের এ দেশের গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ফিল্ম আর্কাইভ প্রজেকশন হলে সোমবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুর কৈশোরভিত্তিক ‘দুঃসাহসী খোকা’ চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ারে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
গণমাধ্যমের ওপরও যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি প্রয়োগ হবে- এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কাগজে এটি দেখলাম। আমাদের গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে ও অবাধে কাজ করছে। শুধু তাই নয়, আমাদের গণমাধ্যম যে পরিমাণ ‘ভাইব্রেন্ট’, পৃথিবীর বহু উন্নয়নশীল দেশে তা নয়।
‘গণমাধ্যমের ওপর ভিসা নীতি প্রয়োগের কথা শুনে আমি আশ্চর্য হয়েছি। আমি মনে করি, কারও অন্য দেশের গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করা সমীচীন নয়। অন্য কোনো দেশ আমাদের গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা সমীচীন নয়।’
‘দুঃসাহসী খোকা’ চলচ্চিত্রটি নিয়ে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশব থেকে কিশোর বয়সের কাহিনী নিয়ে সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে। কিভাবে একজন দুরন্ত কিশোর রাজনীতি সচেতন হলেন, একইসঙ্গে প্রতিবাদী ও মানবিক কিশোর হলেন, তিনি কেমন জনদরদী ছিলেন- এ বিষয়গুলো এখানে চিত্রায়িত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনেক সিনেমা হচ্ছে। কিন্তু আমার জানামতে তার শৈশব থেকে কৈশোর নিয়ে এটিই প্রথম সিনেমা। সিনেমাটি আমাদের নতুন প্রজন্মকে আদর্শ জীবন গড়তে অনুপ্রাণিত করবে এবং সবাইকে বঙ্গবন্ধুর কিশোরবেলা সম্পর্কে আরও জানতে সাহায্য করবে।’
প্রিমিয়ার অনুষ্ঠানে সিনেমাটির পরিচালক মুশফিকুর রহমান গুলজার, চিত্রগ্রাহক সমিতির সভাপতি আবদুল লতিফ বাচ্চু, ফিল্ম এডিটরস গিল্ড সভাপতি আবু মুসা দেবু, অভিনয়শিল্পী রিয়াজ, মনোজ সেনগুপ্ত, ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মো. জসীম উদ্দিন ও বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক নসরুল্লা ইরফান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য