× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
EC has changed the boundaries of 10 parliamentary constituencies
google_news print-icon

১০ সংসদীয় আসনে সীমানা পরিবর্তন করল ইসি

১০-সংসদীয়-আসনে-সীমানা-পরিবর্তন-করল-ইসি
গাজীপুর-২ ও গাজীপুর-৫; কুমিল্লা-১ ও কুমিল্লা-২, নোয়াখালী-১ ও নোয়াখালী-২; ফরিদপুর-২ ও ফরিদপুর-৪ এবং পিরোজপুর-১ ও পিরোজপুর-২ সংসদীয় আসনের সীমানায় পরিবর্তন এসেছে। এর মধ্যে পিরোজপুর, কুমিল্লা ও ফরিদপুরের উল্লিখিত আসনগুলোতে বড় পরিবর্তন হয়েছে। অন্য চারটিতে সামান্য পরিবর্তন আনা হয়েছে।

জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ১০টির সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এসব সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাস করেছে। বাকি ২৯০টি আসনের সীমানায় কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি।

নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত খসড়া এবং একাদশ জাতীয় সংসদের সীমানা পর্যালোচনায় দেখা যায়, জাতীয় সংসদের দশটি সংসদীয় আসনে পরিবর্তন এসেছে। তার মধ্যে বেশ কয়েকটি আসনে উপজেলা স্থানান্তর করা হয়েছে। কোথাও আবার একটি ইউনিয়ন অন্য সংসদীয় আসনে যুক্ত করা হয়েছে। এক আসনের ওয়ার্ড অন্য আসনে যুক্ত করার মতো সামান্য পরিবর্তনও আনা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম স্বাক্ষরিত গেজেটে এবং কমিশনের প্রকাশিত খসড়া বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া যায়।

সবশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে কে এম নুরুল হুদা কমিশন ২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল ২৫টি আসনের সীমানায় পরিবর্তন এনে গেজেট প্রকাশ করে। তবে আউয়াল কমিশন পরিবর্তন আনে মাত্র ১০টি সংসদীয় আসনে।

বিদায়ী নুরুল হুদা কমিশনের রেখে যাওয়া সংসদীয় আসনের সীমানা ২৬ ফেব্রুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের খসড়া সীমানা হিসেবে গেজেট প্রকাশ করে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন। পরে ৩৮টি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের ওপর ১৮৬টি আবেদন জমা পড়েছিল। সেগুলোর ওপর চার ধাপে শুনানি শেষ করে ইসি।

সীমানার আপত্তি নিয়ে সবচেয়ে বেশি ৮৩টি আবেদন জমা পড়ে কুমিল্লা অঞ্চল থেকে। রাজশাহী থেকে ৪৪টি, বরিশাল থেকে ২৯টি, ঢাকা অঞ্চল থেকে ১৮টি আবেদন জমা পড়ে। এ ছাড়া খুলনা ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে ৫টি করে আবেদন পড়ে।

তবে সিলেট ও রংপুর অঞ্চল থেকে কোনো আবেদনই জমা পড়েনি। শুনানি শেষে আপত্তি যাচাই-বাছাই করে ১ জুন চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে ইসি।

এর আগে ১৯৮৪ ও ১৯৯১ সালের পর ২০০৮ সালে এটিএম শামসুল হুদা কমিশন নবম সংসদ নির্বাচনের জন্য সংসদীয় আসনে ব্যাপক উদ্যোগ নিয়ে শতাধিক আসনের সীমানায় পরিবর্তন আনে। পরে কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ কমিশন দশম সংসদ নির্বাচনে ৫০টি আসনে ছোটখাটো পরিবর্তন আনে।

যে ১০টি আসনের সীমানায় পরিবর্তন

গাজীপুর-২ ও গাজীপুর-৫ আসন; কুমিল্লা-১ ও কুমিল্লা-২ আসন, নোয়াখালী-১ ও নোয়াখালী-২ আসন; ফরিদপুর-২ ও ফরিদপুর-৪ এবং পিরোজপুর-১ ও পিরোজপুর-২ সংসদীয় আসনের সীমানায় পরিবর্তন এসেছে। এর মধ্যে পিরোজপুর ১ ও ২, কুমিল্লা ১ ও ২ এবং ফরিদপুর ২ ও ৪ আসনে বড় পরিবর্তন এসেছে। অন্য চারটিতে সামান্য পরিবর্তন এসেছে। বাকি ২৯০টি আসনের সীমানা অপরিবর্তিত রয়েছে।

পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর ও নেছারাবাদ উপজেলা নিয়ে গঠিত ছিল পিরোজপুর-১ আসন। এই আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে নেছারাবাদ উপজেলা বাদ দিয়ে ইন্দুরকানী উপজেলা যুক্ত করা হয়েছে। ইন্দুরকানী উপজেলা আগে পিরোজপুর-২ আসনের অংশ ছিল। আর নেছারাবাদ উপজেলা পিরোজপুর-২ সংসদীয় আসনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

দাউদকান্দি ও মেঘনা উপজেলা নিয়া গঠিত কুমিল্লা-১ সংসদীয় আসন থেকে মেঘনা উপজেলা বাদ দেয়া হয়েছে। অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তিতাস উপজেলাকে। অর্থাৎ তিতাস ও দাউদকান্দি নিয়ে কুমিল্লা-১ আসন গঠিত হয়েছে।

হোমনা ও তিতাস উপজেলা নিয়ে গঠিত কুমিল্লা-২ আসন থেকে তিতাস উপজেলা বাদ দিয়ে যুক্ত করা হয়েছে মেঘনা উপজেলাকে। যার ফলে হোমনা ও মেঘনা নিয়ে নতুন কুমিল্লা-২ আসন গঠিত হয়েছে।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড আগে গাজীপুর-৫ সংসদীয় আসনের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তাতে গাজীপুর-২ সংসদীয় আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।

এছাড়া ফরিদপুর-২ আসন থেকে সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন বাদ দেয়া হয়েছে৷ বাদ দেয়া কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন যুক্ত করা হয়েছে ফরিদপুর- ৪ আসনের সঙ্গে।

সেনবাগ উপজেলা এবং সোনাইমুড়ী উপজেলার বারগাঁও, নাটেশ্বর ও আম্বর নগর নিয়ে গঠিত ছিল নোয়াখালী-২ সংসদীয় আসন। এই তিন ইউনিয়ন ছাড়াও সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরা ইউনিয়নকে নোয়াখালী-২ আসনে যুক্ত করা হয়েছে। এই বজরা ইউনিয়নটি আগে নোয়াখালী-১ আসনের সঙ্গে যুক্ত ছিল।

আরও পড়ুন:
৩৮ আসনের সীমানা পরিবর্তন দাবি, শুনানি করবে ইসি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২: ৫০ বছর পর পাবে কি আওয়ামী লীগ?
সংসদে সংরক্ষিত আসন চান ট্রান্সজেন্ডাররা
জনসংখ্যা বাড়লে ঢাকায় আসন বাড়বে, কমলে কমবে

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
BNP questions why it will go to elections under Sheikh Hasina

শেখ হাসিনার অধীনে কেন নির্বাচনে যাব: প্রশ্ন বিএনপির

শেখ হাসিনার অধীনে কেন নির্বাচনে যাব: প্রশ্ন বিএনপির বুধবার বিকেলে গাবতলীতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। ছবি: সংগৃহীত
ইতিহাস টেনে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে মত ব্যাখ্যা করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার অধীনে কেন নির্বাচন হবে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে কেন নির্বাচনের দায়িত্ব দেয়া হবে না, এসব বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেছেন, ‘রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে যদি একজন সাবেক প্রধান বিচারপতির অধীনে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে না যায়, তাহলে এই দলটির সভাপতি শেখ হাসিনার অধীনে বিএনপি কেন নির্বাচনে যাবে?’

বুধবার বিকেলে রাজধানীর গাবতলীতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সরকারের পদত্যাগ, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ চলমান এক দফা দাবিতে আন্দোলনের অংশ হিসেবে এই সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি।

সমাবেশে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপির প্রথম কমিটিতে আমি ছিলাম শ্রমবিষয়ক সম্পাদক। সেই কমিটিতে একজন সাবেক বিচারপতি, যদিও তখনও বিচারপতি হননি, ছিলেন বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পাদক। তিনি পরে ১৯৭৯ সালে ইরাকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হন। সেখান থেকে ফিরে তিনি ওকালতি শুরু করেন। পরে হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবেও তিনি যোগ দেন। তারপর অ্যাপিলেট ডিভিশনে গিয়ে প্রধান বিচারপতি হয়ে ২০০৬ সালে অবসরে যান।

‘১৯৭৯ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত এই সময়টাতে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না ওই বিচারপতি। কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী তার যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হওয়ার কথা, তখন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হলো- তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তার অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না।

‘২৬ বছর ধরে রাজনীতি থেকে দূরে থাকা একজন সাবেক প্রধান বিচারপতির অধীনে যদি নির্বাচন নিরপেক্ষ না হয়, তাহলে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনার অধীনে বিএনপি কেন নির্বাচনে যাবে?’

বর্ষীয়ান এ নেতা বলেন, ‘এজন্যই বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে না যাওয়ার ব্যাপারে অনঢ়। আসলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে গেলে তাদের (সরকার) ভরাডুবি হবে- এজন্যই তারা বারবার সংবিধানের ধোয়া তুলছে।’

‘যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির কারণে সরকার বিপদে আছে’ দাবি করে বিএনপির নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিপদে আছে যে তারাই (সরকার), এটা বোঝা যায়। বিভিন্ন বক্তৃতায় তারা চাপাবাজি করে। অথচ তাদের ছেলে-মেয়েরা যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারছে না, ফিরে আসতেছে। বড় বড় সরকারি কর্মকর্তারা ভিসার দরখাস্ত দিয়ে রিজেক্ট হয়ে যাচ্ছে। বাড়িতে বাড়িতে কান্নাকাটি চলতেছে। আর বাইরে এসে মাইকের সামনে বলছেন এই সব স্যাংশন, এই সব রেস্ট্রিকশসন আমরা পরোয়া করি না।’

তিনি বলেন, ‘জাতি হিসেবে আমরা লজ্জিত। তাই যাদের কারণে আমাদের এই লজ্জা, তাদের আর বহন করার কোনো প্রয়োজন নাই।’

সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনে দলমত-নির্বিশেষে সবাইকে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে এ বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমাদের দাবি ন্যায্য। আমরা জনগণের পক্ষে আছি, জনগণও আমাদের পক্ষে আছে। বাংলাদেশের সবাই পরিবর্তন চায়। কেউ বলতেছে, কেউ বলতেছে না। বাংলাদেশের জনগণ শুধু নয়, গণতান্ত্রিক বিশ্বও এই সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। কিন্তু যারা এখনও রাস্তায় নামছেন না, তাদের বলি— এই সরকারের পতন অবশ্যই হবে। এই সরকারের পতন হবেই হবে।

‘যারা এই সরকার পতনের আন্দোলনে আছেন, তারা স্বৈরাচারের পতন করেছেন বলে গৌরব করবেন। আর যারা আন্দোলনে আসছেন না, তারা এক সময় আক্ষেপ করবেন আর বলবেন— আহা! স্বৈরাচারবিরোধী এই আন্দোলনে থাকতে পারলাম না!’

এসময় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবি জানান তিনি। বলেন, ‘খালেদা জিয়া পালিয়ে যাওয়ার মানুষ না। তিনি জীবনে কখনও পালিয়ে যাননি। চিকিৎসা শেষে তিনি ফিরে এসে আবারও আইনের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন।’

এদিকে নির্ধারিত সময় বেলা ২টার আগেই মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। জমায়েতের ফলে গাবতলী বাস টার্মিনাল-সংলগ্ন ব্যস্ত সড়কের অনেকটা বন্ধ হয়ে যায়। এতে পুরো এলাকায় ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। নেতা-কর্মীদের রাস্তা পরিষ্কার রাখতে বারবার সমাবেশ মঞ্চ থেকে বলা হলেও তাতে খুব একটা সাড়া দেননি তারা।

ঢাকা মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে সমাবেশ সঞ্চালনা করেন উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক।

এছাড়াও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ।

আরও পড়ুন:
বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে বিএনপিকে গণপিটুনি নয়, শিক্ষা দেয়া হবে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি বিপদে নেই, আরও শক্তিশালী হয়েছে: ফখরুল
গণতন্ত্রকামী মানু‌ষের জোয়ার সরকার ঠেকা‌তে পার‌বে না

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Will not let BNP stand for 36 days of ultimatum Kader

আল্টিমেটামের ৩৬ দিন বিএনপিকে দাঁড়াতে দেব না: কাদের

আল্টিমেটামের ৩৬ দিন বিএনপিকে দাঁড়াতে দেব না: কাদের বুধবার গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে বক্তব্য দেন ওবায়দুল কাদের। ছবি: নিউজবাংলা
বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আপনারা তলে তলে যুক্তি করছেন ঢাকা দখল করবেন। আমরাও অপেক্ষা করছি- ঢাকা দখল কে করে, কেমনে করে দেখিয়ে দেবো। হাসিনা ম্যাজিক দেখিয়ে দেবো।’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘নানা মতের জগাখিচুড়ি ঐক্য দিয়ে শেখ হাসিনার সরকারকে হটানো যাবে না। শেখ হাসিনা ডাক দিয়েছেন। লাল-সবুজের পতাকা হাতে অক্টোবর মাসে ৩৬ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছি। বিএনপিকে এই ৩৬ দিন দাঁড়াতে দেবো না। সব জায়গা বঙ্গবন্ধুর সৈনিকদের, শেখ হাসিনার কর্মীদের দখলে থাকবে।

‘দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের’ প্রতিবাদে বুধবার বিকেলে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন। এ সময় সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যবিরোধী স্লোগান দেন তারা।

সমাবেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন অক্টোবরে নাকি ভাগ্য নির্ধারণ হবে। বিএনপির ঘরের মধ্যে ঘর, মশারির মধ্যে মশারি। তারা আমাদের ভাগ্য কী নির্ধারণ করবে।

‘বিএনপির আন্দোলন ভুয়া। এক দফা, সাতাশ দফা, বাইশ দফা ও গণতন্ত্র ভুয়া; ওদের‌ ক্ষমতা ও রাজপথের আন্দোলন ভুয়া।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শেখ হাসিনা গণতন্ত্র রক্ষা করবেন। বিএনপি ক্ষমতায় এলে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করবে। কাজেই বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও উন্নয়নকে বাঁচাতে হলে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার বিকল্প নেই।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের নাকি মেয়াদ শেষ, অক্টোবরে নাকি সব শেষ। বিএনপির কী হবে অক্টোবরে? ১৫টা অক্টোবর দেখলাম, এবারও দেখবো। আগামী বছরও অক্টোবর আসবে, শেখ হাসিনাই ক্ষমতায় থাকবেন ইনশাআল্লাহ।’

বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনারা এখন তলে তলে যুক্তি করছেন ঢাকা দখল করবেন। আমরাও অপেক্ষা করছি- ঢাকা দখল কে করে, কেমনে করে দেখিয়ে দেবো। হাসিনা ম্যাজিক দেখিয়ে দেবো।’

বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের নেত্রী দয়া করে, মহানুভবতা দেখিয়ে খালেদা জিয়াকে বাসায় রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। অথচ মির্জা ফখরুল ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন! ৪৮ মিনিটও খালেদা জিয়ার জন্য একটা আন্দোলন করতে পারেননি তারা।’

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমেরিকাকে বলি, ট্রাম্পকে আগে সামলান। তারপর ভিসা টিসা। আমাদের ছোটখাটো বিষয় নিয়ে কেন মাথা ঘামান। আপনার দেশের জনমত জরিপে ট্রাম্পের সমর্থন বেশি। নিজের দেশের ট্রাম্পকেই সামলাতে পারেন না। এক ট্রাম্পই আপনার ঘুম হারাম করে দিয়েছে।’

গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক, আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল-আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি, ইকবাল হোসেন সবুজ, বেগম সামসুন নাহার ভূঁইয়া প্রমুখ।

আরও পড়ুন:
কোনো নিষেধাজ্ঞা শেখ হাসিনাকে থামাতে পারবে না: কাদের
বিএনপিকে পাল্টা ৩৬ দিনের আল্টিমেটাম আওয়ামী লীগের
নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা প্রতিহত করা হবে: কাদের
দুই সেলফিতে সব ফয়সালা হয়ে গেছে: কাদের
সাইবার নিরাপত্তা আইন জনগণের জন্য ক্ষতিকর: জিএম কাদের

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The administration is silent on the beating of the Chhatra League leader in the torture cell of Jabi Hall

জাবি হলের ‘টর্চার সেলে’ ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর, প্রশাসন নীরব

জাবি হলের ‘টর্চার সেলে’ ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর, প্রশাসন নীরব
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রত্ব শেষ হওয়ার পর হলের কক্ষ দখল করে প্রতাপ চালিয়ে যাচ্ছেন আরমান খান যুব। ছবি: নিউজবাংলা
অভিযোগ উঠেছে, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ-তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জাহিদ হাসান ইমনের ওপর এই নির্যাতন চালিয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের আপন ছোট ভাই আরমান খান যুব ও তার সহযোগীরা। ছাত্রত্ব শেষ হওয়ার পরও হলের কক্ষ দখল করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছেন এই যুব। একইসঙ্গে চালাচ্ছেন মাদকের কারবার।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা ‘টর্চার সেলে’ নিয়ে এবার নির্যাতন চালানো হয়েছে শাখা ছাত্রলীগের এক নেতাকে। প্রহারের পর ভুক্তভোগীর শরীরে মদ ঢেলে তাকে মাদকাসক্ত সাজানোরও চেষ্টা করা হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের আপন ছোট ভাই আরমান খান যুব ও তার সহযোগীরা এই নির্যাতন চালিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রত্ব শেষ হওয়ার পরও হলের কক্ষ দখল করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছেন এই যুব। চালিয়ে যাচ্ছেন মাদকের কারবার।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ-তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জাহিদ হাসান ইমনকে ক্যাম্পাসে মওলানা ভাসানী হলে নিজের ‘টর্চার সেলে’ নিয়ে দফায় দফায় মারধরের পাশাপাশি ‘বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেলকে গালাগালি করেছেন’ মর্মে স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করা হয়। একইসঙ্গে সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ করা হয়। পরে শরীরে পিস্তল ঠেকিয়ে ঘটনা প্রকাশ না করার হুমকি দেয়া হয়।

বুধবার ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রলীগ নেতা। তিনি বলেন, ‘এমন ঘটনা ঘটতে পারে তা আঁচ করতে পেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু তাতে ফল হয়েছে উল্টো। অভিযুক্তদের দ্বারা ম্যানেজ হয়ে গেছেন প্রক্টর।’

এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে নিউজবাংলার পক্ষ থেকে প্রক্টরের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। প্রথমে ফোন ধরে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর থেকে তিনি আর সাড়া দেননি।

ভুক্তভোগী জাহিদ হাসান ইমন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজির (আইআইটি) ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলের বাসিন্দা এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ-তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক।

জাবি হলের ‘টর্চার সেলে’ ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর, প্রশাসন নীরব
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে সাংবাদিক সমিতি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ হাসান ইমন। ছবি: নিউজবাংলা

বুধবার বেলা আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি অমানুষিক নির্যাতনের বর্ণনা দেন।

অভিযুক্তদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী (২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষ) আরমান খান যুব ছাড়াও রয়েছেন ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের আরাফাত, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের তুষণ ও অজ্ঞাত আরেক ব্যক্তি।

এদের মধ্যে আরমান খান যুব বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। ক্যাম্পাসে ‘র‌্যাগের রাজা’ নামে তার পরিচিতি রয়েছে। কয়েক বছর আগে ছাত্রত্ব শেষ হলেও তিনি এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের মওলানা ভাসানী হলের একটি কক্ষ দখল করে রেখেছেন।

আরমান খান যুব’র বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদকের সিন্ডিকেট ও মওলানা ভাসানী হলের ১২৬ নম্বর কক্ষে ‘টর্চার সেল’ পরিচালনার অভিযোগ বেশ পুরনো। মাদক কারবারি ও বহিরাগতসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তুলে নিয়ে নির্যাতন করার ঘটনাও অনেকের মুখে মুখে।

জাহিদ হাসান ইমন ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘১৩ আগস্ট সাভারের রেডিও কলোনির বউবাজার এলাকার ভাড়া বাসার মালিকের সঙ্গে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আমার মনোমালিন্য হয়। ওই ঘটনার জের ধরে আমাকে ফোন দিয়ে আরমান খান যুবর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন বাড়ির মালিকের পূর্বপরিচিত আরাফাত।

‘আমি যুবর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে আমাকে মওলানা ভাসানী হলের সামনে যেতে বলা হয়। রাত ১২টার দিকে সেখানে গেলে আমাকে মোটরসাইকেল হলের ভেতরে রেখে ১২৬ নম্বর কক্ষে যেতে বলেন যুব।’

ইমন বলেন, ‘আমি কক্ষে ঢুকতেই ঘুষি মেরে আমার নাক ফাটিয়ে দেন যুব। আমি যাতে চিৎকার করতে না পারি সেজন্য কাপড় দিয়ে আমার মুখ বেঁধে ফেলেন আরাফাত। পরে যুব ও আরাফাতসহ সেখানে উপস্থিত অন্যরা আমাকে রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকেন।

‘আমাকে এক দফা মারধরের পর ইয়াবা সেবন করেন যুব। পরে সবাই মিলে আবারও অমানুষিক নির্যাতন শুরু করেন। এছাড়া আমার শরীরে মদ ঢেলে উল্লাস করতে থাকেন ওরা।’

ইমন জানান, দফায় নির্যাতনের পর রাত ৩টার দিকে তাকে হলের দ্বিতীয় তলার ২২৬ নম্বর কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে তাকে পরিষ্কার-পরিছন্ন হয়ে আসতে বলেন তুষণ। এরপর ‘ইমন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেলকে গালাগালি করেছেন’ বলে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি নেন। এমনকি মোবাইল ফোনে তার ভিডিও ধারণ করে রাখেন তুষণ। পরে তাকে ফের ১২৬ নম্বর কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় মারধরের ঘটনা কাউকে না জানাতে ইমনের পেটে পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকি দেন অভিযুক্তরা। কিছুক্ষণ পর আকতারুজ্জামান সোহেল ওই কক্ষে গিয়ে ইমনকে বাইরে বের করে নিয়ে আসেন। তিনি বিষয়টি দেখবেন বলেও ইমনকে আশ্বাস দেন।

ভুক্তভোগী ইমন বলেন, ‘ঘটনার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসানকে বিষয়টির ব্যাপারে আগে থেকে অবহিত করেছিলাম। তার পরিপ্রেক্ষিতে মারধরের ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ জানাতে পরদিন সকালে প্রক্টরের বাসায় যাই। তবে সেখানে গিয়ে দেখি যে আকতারুজ্জামান সোহেল প্রক্টরের বাসায় অবস্থান করছেন।

‘আমাকে ভাসানী হলের অতিথি কক্ষে (গেস্টরুম) গিয়ে বসতে বলেন তিনি। এ অবস্থায় প্রক্টরের ওপর ভরসা না পেয়ে আমি চলে আসি। এরপর মারধরের বিষয়টি আল নাহিয়ান খান জয় ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের জানিয়েছি।’

ছাত্রলীগের এই নেতা বলেন, ‘মারধর-পরবর্তী নানা ঘটনায় প্রক্টরের ওপর আমার ভরসা উঠে গেছে। নিরাপত্তাহীনতার শঙ্কা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ দেইনি। তবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাদের জানিয়েছি। তবুও ঘটনার বিচার করতে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। বিচার না পেয়ে কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছি। কারণ ওই রাতের ঘটনায় আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে আরমান খান যুব ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেলকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা রিসিভ করেননি।

মওলানা ভাসানী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক হুসাইন মো. সায়েম বলেন, ‘হলের ১২৬ নম্বর কক্ষে সাবেক শিক্ষার্থীরা থাকে, বিষয়টি আমি জানি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। তবে মারধরের ঘটনা সম্পর্কে আমি জানি না।’

সার্বিক বিষয়ে জানতে প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসানকে ফোন করলে তিনি ‘মিটিংয়ে আছি’ বলে ফোন কেটে দেন। এরপর একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

আরও পড়ুন:
জাবিতে শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডে ছাত্রলীগের বাধা, অবরুদ্ধ উপাচার্য

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP is more like an empty pitcher Information Minister

বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে বিএনপিকে গণপিটুনি নয়, শিক্ষা দেয়া হবে: তথ্যমন্ত্রী

বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে বিএনপিকে গণপিটুনি নয়, শিক্ষা দেয়া হবে: তথ্যমন্ত্রী রাজধানীতে বুধবার আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী। ছবি: নিউজবাংলা
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ফখরুল সাহেব বলেছেন যে, ভিসা নীতিতে তাদের আন্দোলন বেগবান হয়েছে। তিনি জানেন যে, ভিসা নীতিতে বলা হয়েছে যে, যারা নির্বাচনে বাধা দেবে, তাদের ওপর এ নীতি প্রয়োগ হবে।

বিএনপির হাঁকডাক ও আওয়াজ খালি কলসির মতো বেশি বাজে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

রাজধানীর মিরপুর ১০ গোলচত্বর সংলগ্ন রোডে বুধবার ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপিকে ধস নামানো বিজয়ের মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠন করেছেন। বিএনপি ২০১৪ সালে নির্বাচনের পর বলেছিল, সরকার বড়জোর তিন মাস টিকবে। আমরা পাঁচ বছর সরকার পরিচালনা করেছি। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর বলেছিল, এই সরকারও তারা টেনে ফেলে দেবে। এখন বিএনপিই রশি ছিঁড়ে পড়ে গেছে। অর্থাৎ এখন মির্জা ফখরুল সাহেব ও তাদের নেতারা যে সমস্ত কথা বলছেন, সেটি হচ্ছে খালি কলসি বেশি বাজার মতো।’

তিনি বলেন, ‘আজকে আমি একটু আগে অনলাইনে দেখলাম বিএনপি নেতারা বলেছেন, ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জ ঘেরাও করে সরকারের পতন ঘটানো হবে। আমরা প্রস্তুত আছি। আমরা বিএনপিকে ঘেরাও করব। ওরা যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায় আমরা বিএনপিকে ঘেরাও করব। তাদের ঘেরাও করে গণপিটুনি দেব না, তাদের শিক্ষা দেব আমরা।’

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ফখরুল সাহেব বলেছেন যে, ভিসা নীতিতে তাদের আন্দোলন বেগবান হয়েছে। তিনি জানেন, ভিসা নীতিতে বলা হয়েছে যে, যারা নির্বাচনে বাধা দেবে, তাদের ওপর এ নীতি প্রয়োগ হবে। আর যাদের ওপর ইতোমধ্যেই ভিসানীতি কার্যকর করা হয়েছে, তাদের মধ্যে যে বিরোধী দলের নেতারাও আছেন, সেটি ফখরুল সাহেব জানেন না। জানলে এ কথা বলতেন না।’

‘আমাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো এবং আমাদের সঙ্গে এই সম্পর্ক উত্তরোত্তর ঘনিষ্ঠ হচ্ছে’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, জো বাইডেন দিল্লীতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেলফি তুলেছেন এবং নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীকে নৈশভোজোর আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। জো বাইডেন সস্ত্রীক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নিউ ইয়র্কে ছবি তুলেছেন, ছবিই কথা বলে, আমরা ভিসা নীতি নিয়ে মাথা ঘামাই না।’

তথ্যমন্ত্রী হাছান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বহু দেশের ওপর ভিসানীতি কার্যকর করেছে। তারা নাইজেরিয়ার ওপর ভিসানীতি কার্যকর করেছে, ওই সরকারের কিছু হয় নাই, কম্বোডিয়ার ওপর কার্যকর করেছে, ওই সরকারেরও কিছু হয় নাই। উগান্ডার ওপরও তারা ভিসানীতি কার্যকর করেছে, তাদেরও কিছু হয় নাই।

‘কিউবার ওপর ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে ভিসানীতি কার্যকর ছিলো, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১শ’ মাইল দূরে কিউবার কিছু হয় নাই। সুতরাং এই ভিসা নীতি নিয়ে এতো কিছু মাতামাতি করার কোনো কারণ নাই।’

নেতা-কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করে হাছান বলেন, ‘এই দেশ বঙ্গবন্ধুর দেশ। এই দেশের নেতা বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনা কোনো রক্তচক্ষুকে পরোয়া করে না। আমি নেতা-কর্মীদের বলব, আওয়ামী লীগ রাজপথের দল, আওয়ামী লীগ লড়াই সংগ্রামের দল। আমরা ২১ বছর বুকে পাথর বেঁধে রেখেছিলাম।

‘আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা এ দেশের মানুষের সংগ্রামের কাফেলাকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। সুতরাং আওয়ামী লীগ কোনো কিছুকে পরোয়া করে না। সমস্ত ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল ছিন্ন করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী নির্বাচনে আবার ধস নামানোর বিজয়ের মাধ্যমে আমরা সরকার গঠন করবে।’

তিনি বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আমি বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো নির্বাচনে আসুন, নির্বাচনে যদি না আসেন তাহলে আপনাদের অনেক নেতা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।’

আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে দলীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী ফারুক খান এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান এমপি, অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন মায়া, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারসহ অনেকে এ সমাবেশে বক্তব্য দেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP is not in danger has become stronger Fakhrul

বিএনপি বিপদে নেই, আরও শক্তিশালী হয়েছে: ফখরুল

বিএনপি বিপদে নেই, আরও শক্তিশালী হয়েছে: ফখরুল আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন বিএনপি মহাসচিব। ছবি: নিউজবাংলা
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকারকে সরকার বলা যায় না। আমরা বাংলাদেশের মানুষ যুদ্ধ করেছিলাম শুধু ভুখণ্ড বা ম্যাপ পাওয়ার জন্য নয়, আমরা চেয়েছিলাম একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য যেখানে আমার কথা বলার অধিকার, বিভিন্ন সংগঠন করার অধিকার থাকবে।’

বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ভিসানীতি খুশির খবর নয়, বরং দেশের জন্য তা লজ্জার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, ‘এসবের জন্য শেখ হাসিনা দায়ী। এই কর্তৃত্ববাদী সরকার যারা দেশকে জিম্মি করে রেখেছে তাদের কথাবার্তা শোনে মনে হয়, এই দেশে শুধু তারাই থাকতে পারবে। সরকারের লোকজন বলছে, ভিসানীতির ফলে বিএনপি বিপদে আছে। আসলে বিএনপি কোনো বিপদে নেই, বরং বিএনপি আন্দোলন করতে গিয়ে আরও শক্তিশালী হয়েছে।’

বুধবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির সাবেক মন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আ স ম হান্নাস শাহর সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকারকে সরকার বলা যায় না। আমরা বাংলাদেশের মানুষ যুদ্ধ করেছিলাম শুধু ভুখণ্ড বা ম্যাপ পাওয়ার জন্য নয়, আমরা চেয়েছিলাম একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য যেখানে আমার কথা বলার অধিকার, বিভিন্ন সংগঠন করার অধিকার থাকবে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গতকাল এক ছেলের সঙ্গে কথা হলো, সে বিসিএসে লিখিত পরীক্ষায় পাস করেছে, কিন্তু পরিবার বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কারণে চাকরি হয়নি। বিএপির পরিবারের সঙ্গে ন্যুনতম সম্পর্ক থাকলে তার চাকরি-প্রমোশন হয় না। প্রত্যেক মানুষ আজ অসহ্য হয়ে পড়ছে মিথ্যা মামলার জন্য। সরকারের মধ্যে দেশপ্রেম থাকলে তো দেশকে জিম্মি করতে পারে না। এটা দেশের জন্য সুখকর নয়।’

বিএনপির সাবেক মন্ত্রী আ স ম হান্নাস শাহর স্মরণে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সেনাবাহিনী থেকে যে নেতা বের হয়ে আসেন, তিনি যোগ্যতা-দক্ষতা নিয়ে বের হয়ে আসেন। বাংলাদেশকে ভালোবেসে, বাংলাদেশের রাজনীতিকে ভালোবেসে, বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন। সবসময় তার মতো নেতা পাওয়া যায় না।’

আরও পড়ুন:
খালেদাকে বিদেশ পাঠাতে এবার আব্বাসের ৩৬ ঘণ্টার আলটিমেটাম
পুলিশের বিরুদ্ধে বিএনপির মঞ্চ ভেঙে ফেলার অভিযোগ, স্থগিত সমাবেশ
বিদেশে খালেদার চিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে আইনজীবীদের পদযাত্রা
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে: ফখরুল
দুই সেলফিতে সব ফয়সালা হয়ে গেছে: কাদের

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Close observation by medical board shows no improvement in Khaleda Dr

মেডিক্যাল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে খালেদা, কোনো উন্নতি নেই: চিকিৎসক

মেডিক্যাল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে খালেদা, কোনো উন্নতি নেই: চিকিৎসক বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ম্যাডামের শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। কয়েকদিন ধরে তিনি একই অবস্থায় আছেন। তাকে মেডিক‍্যাল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের (সিসিইউ) কেবিনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মেডিক্যাল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।

বিএনপির মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান মঙ্গলবার এই তথ্য জানান। সূত্র: ইউএনবি

তিনি বলেন, ‘আমি বিকেল ৫টায় ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি বলেছেন, চেয়ারপারসন মেডিক‍্যাল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। ডা. জাহিদ তার জন্য সবাইকে দোয়া করতে বলেছেন।’

বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ম্যাডামের শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। কয়েকদিন ধরে তিনি একই অবস্থায় আছেন। তাকে মেডিক‍্যাল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’

ডা. রফিকুল আরও বলেন, ‘অতীতে আমরা দেখেছি আ স ম আবদুর রব, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম বা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও এমপি হাজী সেলিম চিকিৎসার জন্য বিদেশে গেছেন। সরকার যদি প্রথম থেকে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দিত, তাহলে তার এই অবস্থা হতো না।’

আরও পড়ুন:
মানবিক কারণে খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইল বাংলাদেশ জাসদ
ফের সিসিইউতে খালেদা জিয়া
খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কারণ নিয়ে অনেক সন্দেহ: খসরু
খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ ৬ মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন
হাসপাতালে ‘নিবিড় পর্যবেক্ষণে’ খালেদা জিয়া

মন্তব্য

বাংলাদেশ
If there is a conspiracy to obstruct the election I will not go to see the visa policy
রাজশাহীতে যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে খায়রুজ্জামান লিটন

নির্বাচনে বাধার চক্রান্ত হলে ভিসা নীতি দেখতে যাব না

নির্বাচনে বাধার চক্রান্ত হলে ভিসা নীতি দেখতে যাব না রাজশাহীতে মঙ্গলবার যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে বক্তব্য দেন এ. এইচ. এম খায়রুজ্জামান লিটন। ছবি: নিউজবাংলা
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ভিসা নীতিতে কাকে ভিসা দেবে আর কাকে দেবে না সেটা যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপার। তবে গণমাধ্যমকে কেন ভিসা নীতিতে ফেলা হবে সেটি আমার বোধগম্য নয়। তাদের এই ভিসা নীতি আমাদের স্বাধীন গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপ।’

আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ. এইচ. এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ‘নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার চক্রান্ত করলে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিতে কী বললো সেটি আমরা দেখতে যাব না। বিএনপি-জামায়াতকে দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে।’

মঙ্গলবার রাজশাহীতে যুবলীগ রাজশাহী মহানগর ও জেলা শাখার ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মহানগরীর পাঠানপাড়া শিমুলতলার মোড়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন-ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ।

খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘যারা নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে অথবা নানাভাবে বির্তকিত করতে ষড়যন্ত্র করেন, বিদেশিদের হাতে হাত মেলান, দেশি-বিদেশি চক্রান্তে লিপ্ত হন, তারা আবার সক্রিয় হয়েছে।

‘বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশে বলছি, নির্বাচনে আসবেন কি আসবেন না সেটি আপনাদের নিজস্ব রাজনৈতিক বিষয়। তবে নির্বাচনে এলে আপনাদেরই ভালো হবে। তা না করে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার চক্রান্ত করলে দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে। স্যাংশন দিয়ে আওয়ামী লীগের একটা পশমও ছেঁড়া যাবে না।’

শর্টকাটে ক্ষমতায় যাওয়ার পথ শেখ হাসিনা খোঁজেন না: পরশ

যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, ‘এ দেশে নির্বাচন বানচালের কোনো সুযোগ নাই। সেই ষড়যন্ত্র যুবসমাজ মেনে নেবে না। শেখ হাসিনার কর্মীরা প্রতিযোগিতাকে ভয় পায় না। অনির্বাচিত, অবৈধ সরকার ক্ষমতায় বসানোর অপচেষ্টা করা হলে তা প্রতিহত করা হবে।’

তিনি বলেন, শর্টকাটে ক্ষমতায় যাওয়ার পথ শেখ হাসিনা খোঁজেন না। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে আগামীতে শেখ হাসিনা আবারও ক্ষমতায় আসবেন।’

গণমাধ্যমের ওপর ভিসা নীতি কেন বোধগম্য নয়: তথ্যমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ শুধু দেশ পরিবর্তন হয়েছে তা নয়, তিনি দেশের মানুষের ভাগ্যেরও পরিবর্তন করেছেন। বাংলাদেশ যখন এভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে তারেক রহমান আবার ভবন, খোয়াব ভবন তৈরি করবেন। সারাদেশে ৫০০ জায়গায় বোমা হামলা হয়েছিল, এবার ৫ হাজার জায়গায় বোমা হামলা হবে। রাজশাহীর বাগমারায় বাংলাভাইয়ের উত্থান হয়েছিল, এবার সারাদেশে বাংলাভাই হবে। বাংলাদেশ পাকিস্তান, আফগানিস্তানের পর্যায়ে চলে যাবে।’

গণমাধ্যমের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি মুক্ত গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপ মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ভিসা নীতিতে কাকে ভিসা দেবে আর কাকে দেবে না সেটা তাদের ব্যাপার। তবে গণমাধ্যমকে কেন ভিসানীতিতে ফেলা হবে সেটি আমার বোধগম্য নয়।’

যুবলীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত মাঠে নামতে পারবে না: নিখিল

সম্মেলনে প্রধান বক্তা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ‘যুবলীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে আগামী নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত মাঠে নামতে পারবে না। দেশের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনা যাদের নৌকা প্রতীক দেবেন, ঐক্যবদ্ধ থেকে তাদের বিজয়ী করতে হবে।’

রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সভাপতি মো. রমজান আলীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য নূরুল ইসলাম ঠান্ডু ও সদস্য বেগম আখতার জাহান।

মন্তব্য

p
উপরে