× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Hanging body of Kabi Nazrul College Chhatra League president recovered
google_news print-icon

অচেতন অবস্থায় উদ্ধার, ঢামেকে মৃত ঘোষণা কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতিকে

অচেতন-অবস্থায়-উদ্ধার-ঢামেকে-মৃত-ঘোষণা-কবি-নজরুল-কলেজ-ছাত্রলীগ-সভাপতিকে
কবি নজরুল সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ওয়াসিম রানা। ছবি: সংগৃহীত
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সরকারি কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ওয়াসিম রানাকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।’

অচেতন অবস্থায় উদ্ধারের পর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে পুরান ঢাকার কবি নজরুল সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ওয়াসিম রানাকে।

পুরান ঢাকার চানখাঁরপুল এলাকার বাসা থেকে উদ্ধার করে শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয় ওয়াসিমকে। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।

ওয়াসিম রানা কবি নজরুল কলেজে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র ছিলেন। তার বাড়ি বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায়।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সরকারি কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ওয়াসিম রানাকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান। আমরা জানতে পেরেছি তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন, তবে কী কারণে আত্মহত্যা করেছেন, প্রাথমিকভাবে সেটি জানা যায়নি।

‘মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি বংশাল থানাকে জানানো হয়েছে।’

ওয়াসিম রানার বন্ধু ও তার স্ত্রীর ভাষ্য, কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আত্মহত্যা করেছেন।

বন্ধু ইমরান হোসেন বাবু বলেন, ‘ওয়াসিম রানা সবসময় হতাশাগ্রস্ত থাকত, তবে কী কারণে হতাশাগ্রস্ত থাকত তা কখনও জানতে পারিনি। অনেকবার তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম। এক বছর আগে তার বাবা মারা যায়। তার এক ভাই ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।

‘গত নভেম্বরে সে ছাত্রলীগের সভাপতি হয়েছে। তিন বছর কষ্ট করার পরে সে এই পদ পেয়েছিল। অথচ সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করল! ও আমার অনেক কাছের বন্ধু ছিল। বিষয়টি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না।’

ওয়াসিমের স্ত্রী সানজিদা আক্তার ওরফে জান্নাতি কবি নজরুল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক।

রানার স্ত্রী সানজিদা আক্তার বলেন, ‘আমাদের বিয়ে হয়েছে সাত বছর। এতদিন পলিটিক্যাল কারণে জানানো হয়নি। সে আমাদের (নারায়ণগঞ্জের তারাব) বাসায় নিয়মিত আসা-যাওয়া করত। গত এক সপ্তাহ আগে ছোট একটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে রানা আমার গায়ে হাত তোলে।

‘আমার বাবা, মা তখন ওর কাছে যেতে নিষেধ করে। শুক্রবার রাতে ও আমাকে ওর বাসায় আসতে বলে। না আসলে আত্মহত্যা করার হুমকি দেয়। ও এমনটা করবে আমি ভাবতেই পারিনি।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কবি নজরুল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক এক সহসভাপতি বলেন, ‘আমরা জানতাম সানজিদার সঙ্গে প্রেম ছিল। বিয়ে হয়েছিল কি না, তা সঠিক জানি না।’

সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আসল রহস্য উন্মোচন করে বিচারের দাবি জানান কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক এ নেতা।

বংশাল থানার ওসি মো. মজিবুর রহমান বলেন, ‘নাজিমুদ্দিন রোডে শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজের পেছনে একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন ওয়াসিম রানা। সেখানে তিনি গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। ঠিক কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। আমরা তদন্ত করে বিস্তারিত বিষয়গুলো জানার চেষ্টা করছি।’

শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কবি নজরুল সরকারি কলেজ মাঠে ওয়াসিম রানার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

দীর্ঘ ৩৯ মাস পর গত বছরের ৮ নভেম্বর কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওয়াসিম রানাকে সভাপতি ও ফারুক হাওলাদারকে সাধারণ সম্পাদক করে ১ বছরের জন্য এ কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়।

আরও পড়ুন:
৯৯৯ নম্বরে কল, বিল থেকে বৃদ্ধাকে উদ্ধার  
রাস্তায় পড়ে ছিল ওয়েল্ডিং মিস্ত্রির মরদেহ
হাতিরঝিল থেকে বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার
পোস্তগোলায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে দুই শ্রমিক নিহত
বরিশালে নদীতে পড়ে যাওয়া শিশুর লাশ উদ্ধার

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Death toll rises to 11 in Gazipur cylinder blast

গাজীপুরের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মৃত বেড়ে ১১

গাজীপুরের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মৃত বেড়ে ১১
চিকিৎসাধীন ১৭ জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। চারজন বার্ন রোগীকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।

গাজীপুরের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ চিকিৎসাধীন আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ বছর বয়সী তাওহীদের মৃত্যুতে ওই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাাঁড়াল ১১ জনে।

ইনস্টিটিউটের হাইডিফেন্সি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা গেছে। তার শরীরে ৮০ শতাংশ দগ্ধ ছিল।

তাওহীদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানা এলাকায়। তার বাবা সজল মিয়া গাড়ি চালক। শিশুটি বাবা মায়ের সঙ্গে কালিয়াকৈর তেলিরচালা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকত।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে গাজীপুরে দগ্ধ তৌহিদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। রোববার থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোতালেব, জহিরুল, মো. সোলায়মান ও রাব্বি মারা যান। এ পর্যন্ত নারী শিশুসহ ১১ জন মারা গেলেন।

তিনি জানান, চিকিৎসাধীন ১৭ জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। চারজন বার্ন রোগীকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।

গত ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় কালিয়াকৈর উপজেলার তেলিচালা এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজের আগুন থেকে দগ্ধ হয়ে নারী-শিশুসহ ৩৪ জনের মধ্যে ৩২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়।

তেলিরচালার টপস্টার কারখানার পাশে শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী শ্রমিক কলোনি তৈরি করে ভাড়া দিয়েছিলেন। তার বাড়িতে থাকা সিলিন্ডারের গ্যাস শেষ হয়ে গেলে পাশের দোকান থেকে নতুন গ্যাস সিলিন্ডার কিনে নিয়ে আসেন তিনি। বাড়িতে সেটি লাগানোর সময় সিলিন্ডারের চাবি খুলে গিয়ে পাশের চুলা থেকে আগুন ধরে যায়। তখন তিনি গ্যাস সিলিন্ডারটি ছুড়ে মারেন বাইরে।

ওই সময় আশপাশে থাকা শিশু, নারী ও পথচারীর শরীরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ৩৪ জন দগ্ধ হন। দগ্ধদের কোনাবাড়ী এলাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে তাদের ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

আরও পড়ুন:
পিরোজপুরে দুই বাইকের সংঘর্ষে মাদ্রাসার শিক্ষকসহ দুজন নিহত
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণ করা ‘সর্বহারা’ নেতাকে গুলি করে হত্যা
মধ্যরাতে গ্রামবাসীর পিটুনিতে ৪ জন নিহত

মন্তব্য

বাংলাদেশ
DNCC building in Caravanbazar will be demolished after Eid

‘ঈদের পর কারওয়ানবাজারের ডিএনসিসি ভবন ভেঙে ফেলা হবে’

‘ঈদের পর কারওয়ানবাজারের ডিএনসিসি ভবন ভেঙে ফেলা হবে’ সোমবার মতবিনিময় সভা শুরুর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ডিএনসিসি মেয়র গাবতলী পাইকারি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখেন। ছবি: নিউজবাংলা
ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘কারওয়ানবাজার কাঁচাবাজারের ডিএনসিসি ভবনটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যেকোনো সময় এটি ধসে পড়তে পারে। এখানকার ব্যবসায়ীদের দ্রুতই গাবতলিতে বরাদ্দ দেয়া হবে। বরাদ্দ পাওয়ার পর কেউ না এলে সেটি নিয়ম অনুযায়ী অন্যজনকে বরাদ্দ দিয়ে দেয়া হবে।’

ঈদের পর কারওয়ান বাজারে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পরিত্যক্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে ফেলা হবে। আর এখানকার পাইকারি কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ীদের গাবতলীতে ডিএনসিসির পাইকারি কাঁচাবাজারে স্থানান্তর করা হবে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম সোমবার এসব কথা বলেন।

গাবতলীতে ডিএনসিসির প্রস্তাবিত কাঁচাবাজারে ডিএনসিসির আওতাধীন কারওয়ানবাজার কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ীদের আমিনবাজার পাইকারি কাঁচাবাজারে স্থানান্তরের বিষয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্য দেন ডিএনসিসি মেয়র।

এ সময় তিনি বলেন, ‘কারওয়ানবাজার কাঁচাবাজারের ভবনটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যেকোনো সময় এটি ধসে পড়তে পারে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের কারণে বহু মানুষের জীবন হুমকিতে রয়েছে।

‘এখানকার ব্যবসায়ীদের দ্রুতই গাবতলিতে বরাদ্দ দেয়া হবে। বরাদ্দ দেয়ার পরও যারা আসবেন না তাদের দায় নিজেদেরকেই নিতে হবে। আর বরাদ্দ পাওয়ার পর কেউ না এলে সেটি নিয়ম অনুযায়ী অন্যজনকে বরাদ্দ দিয়ে দেয়া হবে।’

মতবিনিময় সভার শুরুতে কারওয়ান বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ গাবতলীতে ব্যবসায়ীদের স্থানান্তরে ক্ষেত্রে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।

মেয়র বলেন, ‘প্রথম ধাপে কারওয়ান বাজার আড়ৎ মার্কেটের প্রথম তলার ৪০০ বর্গফুটের ৬২টি দোকান এবং দ্বিতীয় তলার ১৭০ বর্গফুটের ১১৪টি দোকান অর্থাৎ মোট ১৭৬টি দোকান স্থানান্তর করা হবে।

‘এছাড়াও কারওয়ানবাজারে সম্পত্তি বিভাগ কর্তৃক বরাদ্দকৃত ১৮০টি টিনশেড দোকান আমিনবাজারে পাইকারি কাঁচাবাজারের আশপাশের উন্মুক্ত স্থানে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।’

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘কারওয়ান বাজারের ভবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। কোন দুর্ঘটনা ঘটলে বা আগুন লাগলে বহু মানুষ হতাহত হবে। আমরা আর মৃত্যুর মিছিল দেখতে চাই না৷ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে- ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে কোনো ব্যবসা চলতে দেয়া যাবে না। ঈদের পর কারওয়ান বাজারের কাচাবাজারের ব্যবসায়ীদের স্থানান্তর শুরু হবে। ব্যবসায়ীরা প্রস্তুতি নিন। আপনাদের জন্য সব সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।’

মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘কারওয়ান বাজার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল প্রায় ৫শ’ বছর আগে। এটি যখন প্রতিষ্ঠিত হয় তখন ঢাকার কেন্দ্রবিন্দু ছিল সদরঘাট। পর্যায়ক্রমে ঢাকা গুলিস্তান, মতিঝিল হয়ে অনেকদূর প্রসারিত হয়েছে। তাই কারওয়ান বাজার ঢাকার প্রান্তে স্থানান্তর করার মাধ্যমে স্মার্ট শহর নিশ্চিত করতে হবে। গাবতলীতে বাজার শুরু হলে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ সার্বিক ব্যবস্থা নেবে।’

মতবিনিময় সভা শুরুর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ডিএনসিসি মেয়র গাবতলী পাইকারি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখেন।

আরও পড়ুন:
রামচন্দ্রপুর খালে ওঠা ১০ তলা ভবন ৬০ হাজারে বিক্রি
লাউতলা ও রামচন্দ্রপুর খাল উদ্ধারে ডিএনসিসি, ভাঙা হচ্ছে ১০ তলা ভবনও
দখলদার উচ্ছেদ করে খালের দুপাড় সাজাতে চান ডিএনসিসি মেয়র
বায়ুদূষণ কমাতে গবেষণা করে ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ ডিএনসিসির
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনে চীন পাশে থাকবে: রাষ্ট্রদূত

মন্তব্য

বাংলাদেশ
It will be ensured that journalists are not harassed

তথ্য সংগ্রহে সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

তথ্য সংগ্রহে সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী সোমবার বিকেলে রাজধানীর তথ্য ভবন মিলনায়তনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দ্বিতীয় পর্যায়ের কল্যাণ অনুদানের চেক বিতরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। ছবি: নিউজবাংলা
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী ঢাকার ৪২ জন সাংবাদিককে কল্যাণ অনুদানের চেক বিতরণ করেন।

তথ্য চাইতে গিয়ে কোনো সাংবাদিক যাতে হেনস্তা বা হয়রানির শিকার না হয়, সেটা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

সোমবার বিকেলে রাজধানীর সার্কিট হাউজ রোডের তথ্য ভবন মিলনায়তনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দ্বিতীয় পর্যায়ের কল্যাণ অনুদানের চেক বিতরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী একথা জানান।

এ সময় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের কোথাও একজন সাংবাদিক তথ্য চাওয়ার জন্য কোনোভাবে যাতে হেনস্তা বা হয়রানির শিকার না হয়, সেই সুরক্ষা আমরা নিশ্চিত করতে চাই। আমরা এটা নিশ্চিত করতে চাই যে, বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে সাংবাদিকতা করতে গিয়ে কোনো সাংবাদিক যেন কোনো ধরনের হয়রানি বা ঝুঁকির মুখে না পড়েন। তাদের সুরক্ষা ও কল্যাণ নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনভাবে গণমাধ্যম তাদের কাজ করবে। কর্তৃপক্ষকে, সরকারকে প্রশ্ন করবে, সমালোচনা করবে- আমরা এরকম একটি সমাজব্যবস্থা তৈরি করতে চাই। এর বাইরে বঙ্গবন্ধুকন্যার সরকার চিন্তা করে না।’

ঢাকার বাইরে গণমাধ্যমের একজন সাংবাদিককে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড প্রদান করে জেলে নেয়ার ঘটনার কথা উল্লেখ করে মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ‘খবরটি জানার সঙ্গে সঙ্গে আমি খোঁজ নিয়েছি। তথ্য কমিশন অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে এ বিষয়টি আমলে নেয়। ইতোমধ্যে তারা বিষয়টির তদন্ত করেছে। আমি কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে বলেছি, আমরা সঠিক তথ্য জানতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের সুরক্ষা বলয় তৈরির জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রয়াসের অংশ হিসেবে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে কল্যাণ অনুদান দেয়া হচ্ছে। এখানে বঙ্গবন্ধুকন্যা রাজনৈতিক মতাদর্শ বা অন্য কোনো কিছু দেখেননি, শুধু প্রয়োজন দেখেছেন, মানুষ দেখেছেন, সাংবাদিককে দেখেছেন। কে কোন দলের, কার পক্ষে ছিলেন, বিপক্ষে ছিলেন- এগুলো চিন্তা করেননি এবং এসব বিষয়ের ওপর ভিত্তি করেই পেশাদারত্বের সঙ্গে সাংবাদিকদের অনুদানের কাজটি করা হয়েছে। রাজনৈতিক চিন্তার ঊর্ধ্বে উঠে প্রয়োজন এবং পেশা বিবেচনায় সরকার সাংবাদিকদের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে।’

নবম ওয়েজ বোর্ডের বকেয়া পাওনা দ্রুততার সঙ্গে মিটিয়ে দেয়ার জন্য সব গণমাধ্যমের মালিকপক্ষের প্রতি এ সময় আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।

তথ্য সংগ্রহে সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিকদের কল্যাণের স্বার্থে সরকার শেখ হাসিনার সরকার কাজ করছে। বেসরকারি খাতকেও অনুরোধ করতে চাই, তারাও, বিশেষ করে মালিকপক্ষ যেন সহানুভূতি ও পেশাদারত্বের সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করে।’

তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের একটি বড় জায়গা হচ্ছে গণতন্ত্র। গণতন্ত্র, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম পাশাপাশি হাতে হাত ধরে চলে সে পরিবেশ আমরা নিশ্চিত করতে চাই।’

প্রতিমন্ত্রী যোগ করেন, ‘যারা সমাজে অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে অপতথ্য ছড়ায়, তাদেরকে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করব। কারণ অপতথ্য গণতন্ত্রের জন্য হুমকি, সুস্থ সাংবাদিকতা ও সুস্থ গণমাধ্যমের জন্য হুমকি। সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও কল্যাণে শেখ হাসিনার সরকার সবসময় পাশে থাকবে।’

বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ্র বাদলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়া, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাশেম হুমায়ুন, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী ঢাকার ৪২ জন সাংবাদিককে কল্যাণ অনুদানের চেক বিতরণ করেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট হতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দ্বিতীয় পর্যায়ে ২৬৩ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে বিতরণের জন্য ২ কোটি ৩ লাখ টাকা অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

এর আগে একই অর্থবছরে প্রথম পর্যায়ে ২৩৬ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে ১ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়।

প্রতিষ্ঠার পর ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট হতে দুস্থ, অস্বচ্ছল, দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিকদের এবং মৃত সাংবাদিকদের পরিবারের অনুকূলে আর্থিক সহায়তা/কল্যাণ অনুদান প্রদান করা হয়ে থাকে। এ পর্যন্ত ট্রাস্ট থেকে ৩ হাজার ৯৩২ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে ৩৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
সাংবাদিকদের জেলে পাঠানোর হুমকি দেয়া এসিল্যান্ডকে স্ট্যান্ড রিলিজ
জামিনে মুক্তি পেয়েছেন সাংবাদিক রানা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bangabandhu is the beacon of our faith who

বঙ্গবন্ধু আমাদের বিশ্বাসের বাতিঘর: কাদের

বঙ্গবন্ধু আমাদের বিশ্বাসের বাতিঘর: কাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি: নিউজবাংলা
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরি শেখ হাসিনা। রাত দুটোয় ফোন করে তাকে পাওয়া যায়। এটি অবাক করার মতো বিষয়। তিনি মাত্র তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা ঘুমান। বাকি সময় দেশ নিয়ে ভাবেন।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম বাংলার মাটি থেকে মুছে ফেলার সাধ্য কারো নেই উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তিনি আমাদের বিশ্বাসের বাতিঘর। এ বাতিঘর চিরদিন আমাদের চলার পথ দেখাবে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘উত্তাল সমুদ্রে, অমানিশায় বঙ্গবন্ধু আমাদের বিশ্বাসের বাতিঘর। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে সোনার বাংলা গড়ার লড়াই চলছে, সে লড়াইকে আমরা নিয়ে যাব বিজয়ের সোনালি বন্দরে।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সোমবার এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে বঙ্গবন্ধু পরিবারই সবচেয়ে বড় আদর্শের জায়গা। সততা ও সাহস রাজনীতির প্রধান দুটি গুণ। বঙ্গবন্ধু পরিবারের চরিত্র হননের অপচেষ্টা জিয়াউর রহমান থেকে শুরু করে অনেকেই করে গেছেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সততা মানেন না, জীবন থেকে শিক্ষা নেন না। আর আপনি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক এ দাবি কেন করেন? বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরি শেখ হাসিনা। রাত দুটোয় ফোন করে তাকে পাওয়া যায়। এটি অবাক করার মতো বিষয়। তিনি মাত্র তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা ঘুমান। বাকি সময় দেশ নিয়ে ভাবেন।’

সেতু মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার লিগ্যাসি ও অর্থনৈতিক মুক্তির লিগাসির মৃত্যু হবে না। প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় দেশে নীরবে আসেন, নিঃশব্দে চলে যান।

তার নেতৃত্বেই দেশে আইসিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক বিপ্লব ঘটেছে বলে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের।

আরও পড়ুন:
বিএনপি জনগণকে স্বস্তিতে থাকতে দিতে চায় না: কাদের
সংযম না করে কর্মসূচি পালন করলে জনবিচ্ছিন্ন হবে বিএনপি: কাদের
বাস্তবতা বুঝতে ব্যর্থ হওয়ায় বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন: কাদের
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরের পথে কাদের
খুনিদের দল জননিরাপত্তা নিয়ে কথা বললে জনগণ ভীত হয়: কাদের

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Owners association threatens to close all restaurants in the country

দেশের সব রেস্তোরাঁ বন্ধের হুমকি মালিক সমিতির

দেশের সব রেস্তোরাঁ বন্ধের হুমকি মালিক সমিতির রেস্তোরাঁ বন্ধের হুমকি দিয়েছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। ফাইল ছবি
ইমরান হাসান জানান, ধারাবাহিকভাবে প্রতীকী হিসেবে এক দিনের জন্য সারা বাংলাদেশে রেস্তোরাঁগুলো বন্ধের কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে, প্রয়োজন হলে পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেয়া হবে।

বেইলি রোডে আগুনে প্রাণহানির পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বন্ধ করে দেয়া রেস্তোরাঁগুলো খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এ দাবি জানিয়ে সংগঠনটির মহাসচিব ইমরান হাসান কর্মসূচি ঘোষণার হুমকি দিয়েছেন।

তিনি বলেন, দাবি না মালে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষার্থে, জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে আগামী ২০ মার্চ মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেবে।

ইমরান হাসান জানান, এরপর ধারাবাহিকভাবে প্রতীকী হিসেবে এক দিনের জন্য সারা বাংলাদেশে রেস্তোরাঁগুলো বন্ধের কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে, প্রয়োজন হলে পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেয়া হবে।

তিনি বলেন, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বেইলি রোডের গ্রিনকোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের দুর্ঘটনায় যে সংকটের সৃষ্টি হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে যে নৈরাজ্য চলছে তা, সঠিক নয়। রাজউক যে উদ্দেশে ভবন নির্মাণের অনুমতি দিয়েছিল, সেইভাবে যদি ভবনটি ব্যবহার না হয় তাহলেও আইন অনুযায়ী কমপক্ষে ১২ মাসের সময় দিয়ে নোটিশ দিতে হবে।

রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব বলেন, রমজানের মধ্যেও শ্রমিক কর্মচারীদের গ্রেপ্তার ও রেস্তোরাঁ অভিযান বন্ধ হয়নি এবং নীতিবাচক প্রচার-প্রচারণার পরিপ্রেক্ষিতে গ্রাহক আসা কমে গিয়েছে। ভবন মালিক, রেস্তোরাঁ মালিক, সরকারি সংস্থাগুলো এক সঙ্গে কাজ করতে পারলেই এই সেক্টরটি সঠিকভাবে সুনির্দিষ্ট কম্পালায়েন্স-এর মাধ্যমে পরিচালনা করা সম্ভব।

তিনি বলেন, এখন সময় এসেছে হয়রানি বন্ধ করে বন্ধ রেস্তোরাঁ খুলে দেয়ার। কেননা রেস্তোরাঁ শিল্পে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে আসন্ন পবিত্র ঈদুলফিতর-এর আগে চলমান মাসের বেতন-ভাতাদি ও বোনাস দিতে হবে। রেস্তোরাঁ যদি বন্ধ থাকে তাহলে রেস্তোরাঁর মালিক কিভাবে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে বেতন ভাতাদি ও বোনাস প্রদান করবে?

ইমরান হাসান বলেন, আইনি নোটিশ, গ্রেপ্তার ও প্রতিষ্ঠান বন্ধের মাধ্যমে রেস্তোরাঁ সেক্টরে যে অবিচার/জুলুম চলছে তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতিতে সংকট উত্তোরণের কোন নির্দেশনা না দিয়ে গ্রেপ্তার ও রেস্তোরাঁ বন্ধের মাধ্যমে কোনো সুফল বয়ে আসবে না।

তিনি বলেন, স্থায়ী সমাধানের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের টাস্ক ফোর্স গঠন করা যেতে পারে। দেশের রেস্টুরেন্ট খাতের বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানকে রক্ষা করুন। নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ করতে পরামর্শ দিন। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন। রমজান মাসে সিলগালা নাটক বন্ধ করুন। সরকারি সব সংস্থার নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে অবহেলার জন্য ব্যাবসায়ীরা দায়ী নয়।

আরও পড়ুন:
রেস্তোরাঁয় অভিযানে গ্রেপ্তার নিয়ে হাইকোর্টের রুল
রেস্তোরাঁ খাত করপোরেটের দখলে নিতে ষড়যন্ত্র চলছে
ধানমন্ডির টুইন পিক টাওয়ারের ১২টি রেস্তোরাঁ সিলগালা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Human chain at Jabi demanding justice in the case of Avantikas death

অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় সুবিচারের দাবিতে জবিতে মানববন্ধন

অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় সুবিচারের দাবিতে জবিতে মানববন্ধন ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় সুবিচারের দাবিতে মানববন্ধন। ছবি: নিউজবাংলা
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা আইন বিভাগের একজন মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। তার মতো একজন ফাইটারের এভাবে চলে যাওয়া আমরা কেউই মেনে নিতে পারছি না। এর পেছনে যারা রয়েছে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন তারা।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় সুবিচারের দাবিতে শোক র‍্যালি ও মানববন্ধন করছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে অবন্তিকার মৃত্যুর পেছনের প্রকৃত অপরাধীদের সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন তারা।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে আইন বিভাগের ব্যানারে একটি শোক র‍্যালী পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। এতে আইন বিভাগের শিক্ষকসহ অনুষদের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা আইন বিভাগের একজন মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। তার মতো একজন ফাইটারের এভাবে চলে যাওয়া আমরা কেউই মেনে নিতে পারছি না। এর পেছনে যারা রয়েছে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন তারা।

এ সময় আইন বিভাগের শিক্ষার্থী এনামুল হক বিজয় বলেন, আজকে মানববন্ধনে এই বার্তাই থাকবে যেন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এমনকি কোথাও-ই যেন এমন যৌন হয়রানিমূলক ঘটনা না ঘটে এবং আমরা এই ঘটনার সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচার চাই। শুধু গ্রেপ্তার নয় যতদিন পর্যন্ত সুষ্ঠু বিচার না হয় ততদিন পর্যন্ত আমাদের এ মানববন্ধন চলবে।

আরেক শিক্ষার্থী ফারিয়া তাহসিন বলেন, অভিযুক্তরা দোষী হয়ে থাকলে তারা যেন সর্বোচ্চ শাস্তিটা পায়, এটাই আমাদের দাবি। গ্রেপ্তার হয়েছে এটাই সবকিছু নয়। তদন্ত কমিটি হয়েছে তারা যেনো সঠিকভাবে তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করে, মূল ঘটনা উত্থাপন করে আর এর পেছনে আরও কারা জড়িত তাদের বের করে শাস্তির আওতায় আনে এটাই আমাদের চাওয়া।

বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন বলেন, অবন্তিকা আপু সাতবার প্রশাসনের কাছে গেছেন।তবুও বিচার পাননি। এখানে অবশ্যই প্রশাসনের গাফিলতি রয়েছে। আমরা তাদেরও বিচার চাই।

ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ল বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী জান্নাত সরকার নিতু বলেন, সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত এ মানববন্ধন চলবে। এর আগেও আমরা অনেককে হারিয়েছি। পরবর্তীতে যেন এমন কোনো ঘটনা না ঘটে সেজন্য এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার করে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনা উচিৎ।

আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আলী আক্কাস বলেন, অবন্তিকার মৃত্যুর পেছনে কারা জড়িত তা যথাযথ তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আমরা বিভাগের পক্ষ থেকে শোক র‍্যালি করেছি। দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের বের করে এটাই আমাদের আজকের মানববন্ধনের মূল দাবি।

এর আগে রোববার রাতে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি করে মশাল মিছিল করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় ছয় দফা দাবি আদায়ে নতুন করে সাত দিনের আল্টিমেটাম দেনআন্দোলনকারীরা। একই সময়ে বামপন্থীরা গলায় রশি বেঁধে ও মুখে টেপ মেরে প্রতীকী আন্দোলন করে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা নগরীর বাসা থেকে গলায় রশি বাঁধা ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয় অবন্তিকার। মৃত্যুর ১০ মিনিট আগে নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি এ ঘটনার জন্য আম্মান সিদ্দিকী নামে তার এক সহপাঠীকে দায়ী করেছেন। একই সঙ্গে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকেও এ ঘটনার জন্য দায়ী করেন।

এরপর থেকেই অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠে পুরো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে আত্মহত্যার প্ররোচনায় অভিযুক্ত ওই দুজনকে।

আরও পড়ুন:
জবি ছাত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা: সহপাঠী, সহকারী প্রক্টর রিমান্ডে
অবন্তিকার মৃত্যুতে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে মশাল মিছিল
অবন্তিকার আত্মহত্যা: কাগজপত্র হাতে পেল তদন্ত কমিটি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Cylinder blast in Gazipur Four more killed

গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: আরও চারজনসহ মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১০

গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: আরও চারজনসহ মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১০ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট। ফাইল ছবি
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম চারজনের মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়ে বলেন, ‘গত রাত থেকে আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোতালেব, জহিরুল, সোলায়মান, ও রাব্বি মারা যান। এ পর্যন্ত নারী, শিশুসহ ১০ জন মারা গেলেন।’

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ১৩ মার্চ সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে। এ নিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রাণহানি বেড়ে ১০ জনে দাঁড়িয়েছে।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রোববার রাত ১২টা থেকে সোমবার সকাল সাতটা পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু হয়।

প্রাণ হারানো ওই চারজনের মধ্যে ৩২ বছর বয়সী জহিরুল ইসলামের দেহের ৫৮ শতাংশ, ৪৮ বছরের মোতালেবের ৯৫ শতাংশ, ছয় বছরের শিশু মোহাম্মদ সোলায়মানের ৮০ শতাংশ এবং ১৩ বছরের রাব্বির শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।

চারজনের মধ্যে জহিরুল ইসলাম সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের বেড়াখোলা গ্রামের আয়নাল ফকিরের ছেলে। মোতালেব টাঙ্গাইলের মধুপুর থানার ঈদুলপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে।

মোহাম্মদ সোলায়মান ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার ভালকজান গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। আর রাব্বি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের তারতারিয়া গ্রামের শাহ আলমের ছেলে।

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম চারজনের মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়ে বলেন, ‘গত রাত থেকে আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোতালেব, জহিরুল, সোলায়মান, ও রাব্বি মারা যান। এ পর্যন্ত নারী, শিশুসহ ১০ জন মারা গেলেন।

‘চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ২২ জন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।’

গত ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় কালিয়াকৈর উপজেলার তেলিচালা এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজের আগুন থেকে দগ্ধ হয়ে নারী-শিশুসহ ৩৪ জনের মধ্যে ৩২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়।

তেলিরচালার টপস্টার কারখানার পাশে শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী শ্রমিক কলোনি তৈরি করে ভাড়া দিয়েছিলেন। তার বাড়িতে থাকা সিলিন্ডারের গ্যাস শেষ হয়ে গেলে পাশের দোকান থেকে নতুন গ্যাস সিলিন্ডার কিনে নিয়ে আসেন তিনি। বাড়িতে সেটি লাগানোর সময় সিলিন্ডারের চাবি খুলে গিয়ে পাশের চুলা থেকে আগুন ধরে যায়। তখন তিনি গ্যাস সিলিন্ডারটি ছুড়ে মারেন বাইরে।

ওই সময় আশপাশে থাকা শিশু, নারী ও পথচারীর শরীরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ৩৪ জন দগ্ধ হন।

দগ্ধদের কোনাবাড়ী এলাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে তাদের ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

আরও পড়ুন:
কাপাসিয়ায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, তদন্তে কমিটি
টঙ্গীতে বর্জিত মালামাল নি‌য়ে সংঘর্ষ, ৩ যুবলীগ নেতা কারাগারে
হাতের স্পর্শ ছাড়া মিষ্টি তৈরি হবে কাপাসিয়ায়
গাজীপুরে সরকার নির্ধারিত মজুরির দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ
গাজীপুরে চারটি আসনে নৌকা, একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর জয়

মন্তব্য

p
উপরে