× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Fair vote advocates have nothing to fear over visa policy Peter Haas
google_news print-icon

সুষ্ঠু ভোটের সমর্থকদের ভিসা নীতি নিয়ে ভয়ের কিছু নেই: পিটার হাস

সুষ্ঠু-ভোটের-সমর্থকদের-ভিসা-নীতি-নিয়ে-ভয়ের-কিছু-নেই-পিটার-হাস
যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। ছবি: ফেসবুক
সাংবাদিকদের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র চ্যালেঞ্জের চেয়ে ইতিবাচক বিষয়গুলো দেখছে। বাণিজ্য, নিরাপত্তা সম্পর্ক, জনগণের মধ্যে বন্ধন, স্বাস্থ্যসেবা ও আসন্ন নির্বাচন নিয়ে ভালো সংলাপের বিষয়ে আমাদের একটি শক্তিশালী অংশীদারিত্ব রয়েছে। বর্তমানে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আমরা আলোচনা করছি।’

যারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করে এবং সেই লক্ষ্যে কাজ করে তাদের যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর এডওয়ার্ড এম কেনেডি সেন্টার ফর পাবলিক সার্ভিস অ্যান্ড দ্য আর্টসে (ইএমকে সেন্টার) যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর শীর্ষক এক বিশেষ আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠান শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস আয়োজিত এ আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। অনুষ্ঠানে সরকারি ও বিরোধী দলের রাজনীতিকরাও উপস্থিত ছিলেন।

সাংবাদিকদের পিটার হাস বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ যা চায়, আমরাও যুক্তরাষ্ট্রে তাই চাই। এখানে আমি কোনো দ্বিমত দেখছি না।

‘যুক্তরাষ্ট্র চ্যালেঞ্জের চেয়ে ইতিবাচক বিষয়গুলো দেখছে। বাণিজ্য, নিরাপত্তা সম্পর্ক, জনগণের মধ্যে বন্ধন, স্বাস্থ্যসেবা ও আসন্ন নির্বাচন নিয়ে ভালো সংলাপের বিষয়ে আমাদের একটি শক্তিশালী অংশীদারিত্ব রয়েছে। বর্তমানে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আমরা আলোচনা করছি।’

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকের পর আগামী নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের জায়গা নিয়ে জানতে চাইলে পিটার ডি হাস বলেন, সব বাংলাদেশি যা চায়, যুক্তরাষ্ট্রের চাওয়াও একই। সেটি হলো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রী তার প্রতিশ্রুতি পরিষ্কার করেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্যরা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি পরিষ্কার করেছেন, বাংলাদেশে এসে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বাংলাদেশি, যাদের সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে, তারাও একই মত প্রকাশ করেছেন। ফলে আমি কোনো মতানৈক্য দেখি না।

যদি প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির ওপর বিশ্বাস থাকে, তাহলে কোন ভিত্তিতে ভিসানীতি প্রকাশ করা হয়েছে- উত্তরে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন যা বলেছেন তা হলো এ ঘোষণা বাংলাদেশের মানুষকে সহযোগিতা করার জন্য। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিকে সহযোগিতা করার জন্য। আমরা সহযোগিতা আমাদের পন্থায় নীতি ব্যবহার করে করেছি।’

ভিসানীতি বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের ওপরও ব্যবহার হবে কি না- জানতে চাইলে পিটার হাস বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা দিলে এ ভিসানীতি সব শ্রেণি-পেশার মানুষের ওপর ব্যবহার করা হবে। যারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে থাকবে, তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীর বর্ধিত উদযাপনের অংশ হিসেবে ৫০টি ঐতিহাসিক আলোকচিত্র নিয়ে আয়োজিত প্রদর্শনীটি ছয়টি স্বতন্ত্র বিভাগে বিভক্ত। চিত্রগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সহায়তা, বাণিজ্য, শিক্ষা, বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন বিষয় উঠে এসেছে।

আরও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি দেশের জন্য লজ্জার, খুশি বিএনপি: খাদ্যমন্ত্রী
বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের ভিডিওসহ ব্লিংকেনকে আ.লীগ নেতার চিঠি
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে উদ্বেগ কেন, প্রশ্ন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
৪ ক্ষেত্রে জড়িতদের পরিবারও ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায়: ডোনাল্ড লু
গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি: পিটার হাস

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
1577 fires in September alone

শুধু সেপ্টেম্বরেই ১৫৭৭টি অগ্নিকাণ্ড

শুধু সেপ্টেম্বরেই ১৫৭৭টি অগ্নিকাণ্ড ফাইল ছবি
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স থেকে প্রাপ্ত বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানান, সেপ্টেম্বর মাসে সারাদেশ থেকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স আগুন ও বিভিন্ন দুর্ঘটনায় ৪ হাজার ৩৫৪টি কলের মাধ্যমে সেবা প্রদান করেছে। এছাড়া ১১৫২টি কলের মাধ্যমে ১ হাজার ৯৮ জন রোগী পরিবহন করে অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান করে।

চলতি বছরের গত শুধু সেপ্টেম্বর মাসে সারাদেশে ১ হাজার ৫৭৭টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১১ জন আহত ও ৪ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ১৫৫টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

মঙ্গলবার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মিডিয়া সেলের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সেপ্টেম্বর মাসে সারাদেশে ১ হাজার ৫৭৭টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৬০৩টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ৬৩টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৮৯টি, রাজশাহী বিভাগে ২২৫টি, খুলনা বিভাগে ১৩২টি, সিলেট বিভাগে ৫৭টি, বরিশাল বিভাগে ৬০টি ও রংপুর বিভাগে ২৪৮টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

মাসিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, আগস্ট মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা কমেছে। গত মাসে সারাদেশে ১ হাজার ৬৬৭টি আগুনের ঘটনা ঘটে।

এর মধ্যে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ১৫৫টি আগুনের ঘটনায় ৭ জন আহত হয়েছেন। তবে কেউ নিহত হননি। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, হাজারীবাগ, তেজগাঁও, বারিধারা, উত্তরা এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরিমাণ বেশি। এর মধ্যে মিরপুর, মোহাম্মদপুর, বারিধারা এলাকায় সেপ্টেম্বর মাসে ১৬টি করে আগুনের ঘটনা ঘটেছে।

আরও জানানো হয়, সেপ্টেম্বর মাসে সারাদেশে ৭৮৭টি বিভিন্ন দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স উদ্ধার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে। এতে ৭৭৭ জন আহত ও ১৮৪ জন নিহত হন। যার মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা ৫৯০টি। এ ছাড়া রান্নাঘরের গ্যাস সিলিন্ডার জনিত দুর্ঘটনা ১০টি, গ্যাস লাইনে ত্রুটি জনিত ১৩টি, লিফট দুর্ঘটনা ১৫টি, বজ্রপাত ১৯টি, নদী ও পানিতে ডুবে যাওয়ার ১১৫টি দুর্ঘটনা ঘটে। সারাদেশে নদী, পুকুর বা পানিতে ডুবে ৭৪ জন নিহত হন।

শুধু ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৪৯ টি বিভিন্ন ধরণের দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত হয়। সিটি কর্পোরেশনের মিরপুর, মোহাম্মদপুর, তেজগাঁও, পুরান ঢাকা এলাকায় দুর্ঘটনা বেশি ঘটছে। এছাড়া ঢাকা বিভাগে ১৫৯টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ৫৫টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০২টি, রাজশাহী বিভাগে ২০১টি, খুলনা বিভাগে ৮৮টি, সিলেট বিভাগে ২৭টি, বরিশাল বিভাগে ৪১টি ও রংপুর বিভাগে ১১৪ টি দুর্ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স থেকে প্রাপ্ত বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানান, সেপ্টেম্বর মাসে সারাদেশ থেকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স আগুন ও বিভিন্ন দুর্ঘটনায় ৪ হাজার ৩৫৪টি কলের মাধ্যমে সেবা প্রদান করেছে। এছাড়া ১১৫২টি কলের মাধ্যমে ১ হাজার ৯৮ জন রোগী পরিবহন করে অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান করে।

আরও পড়ুন:
নিউ সুপার মার্কেটের আগুনের কারণ জানতে তদন্ত কমিটি
‘সিগারেট থেকে’ ভবনে আগুন, যুবকের মৃত্যু
আগুনে পুড়ল বসতঘর
মোংলা ইপিজেডের আগুন ৮ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে
মোংলা ইপিজেডে কারখানায় আগুন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
By elections for the two constituencies are on November 5

দুই আসনের উপনির্বাচন ৫ নভেম্বর

দুই আসনের উপনির্বাচন ৫ নভেম্বর নির্বাচন ভবন। ফাইল ছবি
গত ৩০ সেপ্টেম্বর ভোরে একাদশ সংসদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম শাহজাহান কামালের মৃত্যুতে শূন্য হয় লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসন। একই দিন আরেক আলোচিত সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার মৃত্যুতে শূন্য হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচন আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশনের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শূন্য দুটি আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।

তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১১ অক্টোবর মনোনয়ন দাখিলের শেষদিন, মনোনয়নপত্র বাছাই ১২ অক্টোবর, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ১৩ থেকে ১৭ অক্টোবর, আপিল নিষ্পত্তি ১৮ অক্টোবর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষদিন ১৯ অক্টোবর, প্রতীক বরাদ্দ ২০ অক্টোবর এবং ভোটগ্রহণ হবে ৫ নভেম্বর।

এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ভোরে একাদশ সংসদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম শাহজাহান কামালের মৃত্যুতে শূন্য হয় লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসন। একই দিন আরেক আলোচিত সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার মৃত্যুতে শূন্য হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসন।

আরও পড়ুন:
মিডিয়ার অপপ্রচার কঠোরভাবে প্রতিরোধ করা হবে: সিইসি
মোটরসাইকেলে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবেন সাংবাদিকরা
নভেম্বরে তফসিল, ভোট জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হলেন সিদ্দিকুর রহমান

মন্তব্য

বাংলাদেশ
29 Bangladeshis returned from Myanmar after their imprisonment

কারাভোগ শেষে মিয়ানমার থেকে ফিরলেন ২৯ বাংলাদেশি

কারাভোগ শেষে মিয়ানমার থেকে ফিরলেন ২৯ বাংলাদেশি মিয়ানমারে কারাভোগ শেষে মঙ্গলবার ২৯ বাংলাদেশিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে দেশটি। ছবি: নিউজবাংলা
বিজিবি-২ টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ওই দেশের কারাগারে যেসব বাংলাদেশি জেলে আটক রয়েছে, তাদেরও একই প্রক্রিয়ায় ফেরত আনার চেষ্টা চলছে। ২৯ জনকে টেকনাফ মডেল থানায় পুলিশের মাধ্যমে আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ শেষে ২৯ বাংলাদেশিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে মিয়ানমার।

ইয়াঙ্গুনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) মধ্যে অনুষ্ঠিত ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে তারা বাংলাদেশে আসেন।

বিজিবি সূত্র জানায়, তাদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে টেকনাফ মডেল থানায় পাঠানো হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে নাফ নদী, সাগরে মাছ শিকার ও সাগরপথে যাত্রাকালে ওই দেশের আইশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা তাদের আটক করে।

ফেরত বাংলাদেশিদের মধ্য টেকনাফের সাত, উখিয়ার তিন, মহেষখালীর ১২, রাঙ্গামাটির তিন ও বান্দারবানের চার জন আছেন।

বিজিবি-২ টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ করা ২৯ বাংলাদেশিকে ফেরত আনা হয়েছে। এসব ব্যক্তিরা সাগরে মাছ শিকারের সময় মিয়ানমারের হাতে আটক হয়েছিল। তাদের সাজাভোগ শেষে পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর দুই দেশের বৈঠকের মাধ্যমে ফেরত আনা হয়।

তিনি বলেন, ‘ওই দেশের কারাগারে যেসব বাংলাদেশি জেলে আটক রয়েছে, তাদেরও একই প্রক্রিয়ায় ফেরত আনার চেষ্টা চলছে। ২৯ জনকে টেকনাফ মডেল থানায় পুলিশের মাধ্যমে আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

‘এখান থেকে সাগরপথে কেউ যাতে অবৈধভাবে যাত্রা করতে না পারে সে বিষয়ে আমরা খুবই সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। তাদের বলেছি, যদি জলসীমানা থেকে কোনো বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়, তাৎক্ষনিকভাবে যেন আমাদের অবিহত করে। তা ছাড়া এ বিষয়ে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত চুক্তিও রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওই দেশের কারাগারে আরও বাংলাদেশি রয়েছে। তাদেরও একই প্রক্রিয়ায় ফেরত আনার চেষ্টা চলছে। মিয়ানমার থেকে যে ইয়াবা ঢুকছে, সে বিষয়ে তাদের পক্ষে থেকে কঠোর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে আমাদের আশ্বাস করেছে মিয়ানমার।’

সবচেয়ে বেশি সাজা ভোগ করে ফেরত আসা মো. তৈয়ব বলেন, ‘আমাদের চার জন জেলেকে ২০১৭ সালের নভেম্বরে নাফ নদী থেকে মাছ শিকারের সময় ধরে নিয়ে যায় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী পুলিশ। আমাদের অমানবিক নির্যাতন করে তারা। তখন আমরা বেহুশ হয়ে গেল হাত পা বেঁধে মিয়ানমার নিয়ে যায়।’

ফেরত আসা আব্দুল আজিজ বলেন, ‘ওই দেশে কারাগারে অনেক কষ্ট। পুলিশের নির্যাতনে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে পাগল হয়ে গেছে অনেকে।’

স্বদেশে ফেরত আসতে পেরে সরকারকে ধন্যবাদ জানান তারা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
What the people of Bangladesh want in terms of elections the US also wants Miller

নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের জনগণ যা চায় যুক্তরাষ্ট্রও তা চায়: মিলার

নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের জনগণ যা চায় যুক্তরাষ্ট্রও তা চায়: মিলার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। ফাইল ছবি
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ যা চায় যুক্তরাষ্ট্রও তা চায়। যুক্তরাষ্ট্র কোনো নির্দিষ্ট দলকে সমর্থন করে না এবং নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিতও করতে চায় না। যুক্তরাষ্ট্র শুধু বাংলাদেশের জনগণ যাতে স্বাধীনভাবে তাদের নেতা নির্বাচন করতে পারে তা নিশ্চিত করতে চায়।’

নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের জনগণ যা চায় যুক্তরাষ্ট্রও তা চায় বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

স্থানীয় সময় সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মিলার এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের জনগণ যা চায় যুক্তরাষ্ট্রও তা চায়। যুক্তরাষ্ট্র কোনো নির্দিষ্ট দলকে সমর্থন করে না এবং নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিতও করতে চায় না। যুক্তরাষ্ট্র শুধু বাংলাদেশের জনগণ যাতে স্বাধীনভাবে তাদের নেতা নির্বাচন করতে পারে তা নিশ্চিত করতে চায়।’

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির আওতায় গণমাধ্যমও আসতে পারে-ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের এ মন্তব্য সম্পর্কে তাকে প্রশ্ন করা হয়। এর জবাবে মিলার বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের স্বাধীনভাবে তাদের নেতা নির্বাচনের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করে ভিসানীতি ঘোষণা করে হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ যা চায় যুক্তরাষ্ট্রও তা চায়, তা হলো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, যা শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকার, রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ এবং গণমাধ্যম সবাই আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার পক্ষে তাদের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে–যেমনটি আমরাও চাই।’

এর আগেও মিলার বলেছিলেন, গত মে মাসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন যখন এই নতুন নীতি ঘোষণা করেছিলেন, তখনও আমরা বলেছিলাম—এর উদ্দেশ্য বাংলাদেশে নির্বাচনে কারও পক্ষ নেয়া নয়। এর উদ্দেশ্য বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করা বা সমর্থন করা। আমি বলব, গত শুক্রবার যখন আমরা এই নতুন ভিসা বিধিনিষেধ কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছিলাম, তখন আমরা উল্লেখ করেছি, এতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ক্ষমতাসীন দল ও রাজনৈতিক বিরোধীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেনা বিটার ঢাকায়
শেষ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে শাটডাউন এড়াল কংগ্রেস
ভারি বৃষ্টিতে প্লাবিত রাস্তা, নিউ ইয়র্কে জরুরি অবস্থা
নিকারাগুয়ার যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর শুরু
দূতাবাসের কর্মীদের নিরাপত্তায় বাংলাদেশ সব ব্যবস্থা নেবে, আশা যুক্তরাষ্ট্রের

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Lahores air quality is worst with Dhaka 12th

লাহোরের বাতাসের মান সবচেয়ে খারাপ, ঢাকা ১২তম

লাহোরের বাতাসের মান সবচেয়ে খারাপ, ঢাকা ১২তম ফাইল ছবি
পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের দিল্লি এবং ইতালির মিলানো যথাক্রমে ২০৬, ১৬৪ এবং ১৫৭ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।

রাজধানী ঢাকার বাতাসের মান আজ ‘মধ্যম’ পর্যায়ে রয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে এই পরিস্থিতি দেখা যায়। এ সময় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ৯০ নিয়ে বিশ্বব্যাপী দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ১২তম স্থানে ছিল শহরটি। খবর ইউএনবির

পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের দিল্লি এবং ইতালির মিলানো যথাক্রমে ২০৬, ১৬৪ এবং ১৫৭ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।

একিউআই স্কোর ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে তাকে ‘মধ্যম’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

অন্যদিকে, একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয় এবং ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়।

এ ছাড়া, ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যক’ এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
There is no excuse for arson in the name of movement Prime Minister

আন্দোলনের নামে অগ্নিসংযোগ করলে ক্ষমা নেই: প্রধানমন্ত্রী

আন্দোলনের নামে অগ্নিসংযোগ করলে ক্ষমা নেই: প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলনের নামে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে ২০১৩-১৪ সালের মতো অগ্নিসংযোগ ও অমানবিক, নৃশংসতার ঘটনা ঘটলে আর কোনো সহনশীলতা দেখানো হবে না।’

আন্দোলনের নামে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে ২০১৩-১৪ সালের মতো অগ্নিসংযোগ ও অমানবিক, নৃশংসতার ঘটনা ঘটলে আর কোনো সহনশীলতা দেখানো হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার লন্ডনের মেথোডিস্ট সেন্ট্রাল হল ওয়েস্টমিনস্টারে প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে আয়োজিত একটি কমিউনিটি সংবর্ধনায় তিনি এ কথা বলেন। খবর বাসসের

তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের নামে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে ২০১৩-১৪ সালের মতো অগ্নিসংযোগ ও অমানবিক, নৃশংসতার ঘটনা ঘটলে আর কোনো সহনশীলতা দেখানো হবে না।

‘আন্দোলনের নামে নির্বাচনের আগে সন্ত্রাসবাদ বা একইভাবে সাধারণ মানুষের ওপর হামলা বা হামলার ঘটনা ঘটলে রেহাই দেয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না।’

প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দেন যে, বিএনপি-জামায়াত জোট ২০১৩-১৪ সালে যাত্রীবাহী বাস, ট্রেন ও লঞ্চসহ বহু ধরনের যানবাহনে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে জনগণকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করে, সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করে সারাদেশে তাণ্ডব চালিয়েছিল। তথাকথিত আন্দোলনের নামে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নারীসহ অনেক লোক গুরুতরভাবে দগ্ধ হয়েছিল এবং তারা তাদের আঘাত নিয়ে অমানবিক জীবনযাপন করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আন্দোলনে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। সন্ত্রাসবাদে অগ্নিসংযোগ করে মানুষ হত্যা এবং দেশের সম্পত্তি নষ্ট করা তাদের আন্দোলন। এর আগে ২৯ জন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে। দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের জীবন নিয়ে এমন কোনো চেষ্টা করা হলে কোনো ক্ষমা করা হবে না।’

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘গণতন্ত্রের কথা বলা বিএনপির পক্ষে শোভা পায় না কারণ তারা জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে ধোকাবাজি খেলেছে। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি একটি প্রহসনমূলক নির্বাচন করে এবং নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার দেড় মাসের মধ্যেই দেশের জনগণ তাদের ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে।’

তিনি বলেন, ‘দেশের জনগণ কখনই ভোট কারচুপিকারীদের ক্ষমতায় বসতে দেয় না।’

প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দেন যে, বিএনপি-জামায়াত জোট ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার নিয়ে ভোটার তালিকা তৈরি করে এবং সেই তালিকা দিয়ে নির্বাচন করার চেষ্টা করে।

উল্টো আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রাম করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের অনেকেই তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন যে, তার সরকার নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের জন্য আইন প্রণয়নের পাশাপাশি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করার জন্য সমস্ত সংস্কার করেছে।

তিনি বলেন, ‘একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তারা স্বচ্ছ ব্যালট বক্স চালু করেছে এবং ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরি করেছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিএনপি এখন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর আন্দোলন করছে। সরকারপ্রধান হিসেবে তার ওপর ন্যস্ত নির্বাহী ক্ষমতা দিয়ে এতিমদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতির মামলায় কারাদণ্ড স্থগিত করার পর খালেদা জিয়াকে তিনি বাড়িতে থাকতে দিয়েছেন। খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে কিছুই করার নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি আইন অনুযায়ী যা করতে পারেন, তাই করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘অনেকেই এখন যুক্তি দিচ্ছেন, আইন নিজের গতিতে চললেও খালেদা জিয়ার প্রতি আমি বেশি সহানুভূতি দেখাতে পারি।’

১৫ আগস্ট, ১৯৭৫ সালের হত্যাকাণ্ড, ২১ আগস্ট, ২০০৪ গ্রেনেড হামলা, শেখ রেহানার বাড়িটিকে একটি পুলিশ ফাঁড়িতে পরিণত করা, যা তিনি জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য প্রণীত আইনের অধীনে পেয়েছিলেন, যা বিএনপি সরকারের লঙ্ঘনের ঘটনা।

কোকোর মৃত্যুর পর তাকে (শেখ হাসিনা) খালেদা জিয়ার বাড়িতে প্রবেশের অনুমতি না দেয়ার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা কীভাবে খালেদা জিয়ার জন্য আমার কাছ থেকে আরও সহানুভূতি আশা করে।’

আরও পড়ুন:
প্রধানমন্ত্রী ঢাকার উদ্দেশে লন্ডন ছাড়বেন রাতে
অগণতান্ত্রিক শক্তি ক্ষমতা দখল করতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী
বিদেশে চিকিৎসা নেয়ার আগে খালেদাকে কারাগারে ফিরতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
‘আমার ভোট আমি দেব’ স্লোগানটা আমার দেয়া: প্রধানমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা কেন দিচ্ছে, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Undemocratic forces cannot seize power PM

অগণতান্ত্রিক শক্তি ক্ষমতা দখল করতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী

অগণতান্ত্রিক শক্তি ক্ষমতা দখল করতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ বিষয়ক সর্বদলীয় সংসদীয় দলের সদস্যরা সোমবার লন্ডনে তাজ হোটেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ছবি: বাসস
শেখ হাসিনা বলেন, ‘অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব সংস্কার করা হয়েছে। আইন প্রণয়ন, সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন এবং ইসিকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সম্পূর্ণ প্রশাসনিক ও আর্থিক স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আগামী সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে। যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র অব্যাহত রাখতে হবে। কোনোভাবেই অগণতান্ত্রিক শক্তি ক্ষমতা দখল করতে পারবে না।’

বাসস জানায়, যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ বিষয়ক সর্বদলীয় সংসদীয় দলের (এপিপিজি) সদস্যরা সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে লন্ডনে তার অবস্থানস্থল তাজ হোটেলে সাক্ষাৎকালে তিনি একথা বলেন।

বাংলাদেশ ও রোহিঙ্গা বিষয়ক এপিপিজির চেয়ার এবং বিনিয়োগ ও ক্ষুদ্র ব্যবসা বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী রুশনারা আলী এমপি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।

প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- বাংলাদেশের সদস্যদের নিয়ে এপিপিজি ভাইস চেয়ারম্যান বীরেন্দ্র শর্মা, ভাইস চেয়ার ভ্যালেরি ওয়াজ, ভাইস চেয়ারম্যান ইমরান হুসেন এবং স্কটিশ পার্লামেন্টে বাংলাদেশের ক্রস-পার্টি গ্রুপের চেয়ার ফয়সল চৌধুরী।

বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাতের পর সংবাদ ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এসব কথা জানান।

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জানিয়ে এপিপিজি প্রতিনিধি দলকে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব সংস্কার ইতোমধ্যে করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে একটি আইন প্রণয়ন হয়েছে, সার্চ কমিটির মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন হয়েছে এবং ইসিকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য স্বাধীনভাবে কাজ করার সম্পূর্ণ প্রশাসনিক ও আর্থিক স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে।

‘বিরোধী দলে থাকাকালে আওয়ামী লীগের প্রস্তাবের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ছবিসহ ভোটার তালিকা ও স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বর্তমান সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে এপিপিজি প্রতিনিধি দল সন্তোষ প্রকাশ করেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, আগামী সাধারণ নির্বাচন তদারকির জন্য বাংলাদেশ এপিপিজি প্রতিনিধি দলকে নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠানোরও প্রস্তাব দিয়েছে।

এপিপিজি’র সব সদস্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের অসামান্য উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে অব্যাহত গণতন্ত্র ও স্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।

শেখ হাসিনা ব্রিটেনের সঙ্গে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘বাংলাদেশ তাদের সঙ্গে বিভিন্ন ব্যবসা করছে এবং বাংলাদেশে ব্রিটিশ বিনিয়োগ বাড়ছে।’

বাংলাদেশে একশ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ৩৯টি হাই-টেক পার্ক স্থাপন করা হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বৃহত্তর বিনিয়োগ প্রত্যাশা করেন।

তিনি দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত ও জাপানের মতো বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যকেও একটি নিবেদিত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন।

রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে স্বদেশে ফেরত পাঠাতে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা চেয়ে বলেন, ‘রোহিঙ্গারা তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে যেতে চায়।’

মোমেন বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক তহবিল বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে যা সম্প্রতি কমে আসার প্রবণতা দেখাচ্ছে।

ব্রিটিশ সরকার রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে বাংলাদেশকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের অমানবিক অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গ টেনে ইউক্রেন যুদ্ধ সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ কখনোই যুদ্ধ চায় না। কারণ দরিদ্র জনগণ, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের যুদ্ধের জন্য চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বরং চায় যে আলোচনার মাধ্যমে যে কোনো সমস্যার সমাধান হোক।’

বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম এবং প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
বিদেশে চিকিৎসা নেয়ার আগে খালেদাকে কারাগারে ফিরতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
‘আমার ভোট আমি দেব’ স্লোগানটা আমার দেয়া: প্রধানমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা কেন দিচ্ছে, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে শত পাউন্ডের কেক
দেশের ভাবমূর্তি জোরদারে কাজ করুন: দূতাবাস কর্মকর্তাদের প্রধানমন্ত্রী

মন্তব্য

p
উপরে