× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
BNP Jamaat alliance has appointed a lobbyist in the Biden administration
google_news print-icon

‘বাইডেন প্রশাসনে লবিস্ট নিয়োগ দিয়েছে বিএনপি-জামায়াত’

বাইডেন-প্রশাসনে-লবিস্ট-নিয়োগ-দিয়েছে-বিএনপি-জামায়াত
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। ছবি: নিউজবাংলা
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘নোবেল শান্তি পুরস্কারকে অশান্তির কাজে লাগাতে যুদ্ধবাজ আমেরিকার রাজনীতিবিদ হিলারি ক্লিনটনের সাথে গাঁট বেঁধেছেন ড. ইউনুস। তিনি এদের তদবিরকে ভিত্তি দিচ্ছেন ও তাদের পথ দেখাচ্ছেন।’

যুক্তরাষ্ট্রে বাইডেন প্রশাসন ও ইউরোপ ইউনিয়নে বিএনপি-জামায়াত জোট লবিস্ট নিয়োগ দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

মঙ্গলবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘নোবেল শান্তি পুরস্কারকে অশান্তির কাজে লাগাতে যুদ্ধবাজ আমেরিকার রাজনীতিবিদ হিলারি ক্লিনটনের সাথে গাঁট বেঁধেছেন ড. ইউনুস। তিনি এদের তদবিরকে ভিত্তি দিচ্ছেন ও তাদের পথ দেখাচ্ছেন।

‘জীবনের শেষে এসেও প্রতিশোধ নেবেন বলে ড. ইউনুস অনেক জায়গায় বলেছেন। এর প্রেক্ষিতেই বিদেশীরা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অতি উৎসাহী হয়ে উঠেছে।’

সভাপতির বক্তব্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কতটা শান্তিপ্রিয় ছিলেন তা তার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে প্রতিফলিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে আমাদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করতে হবে।

‘আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অন্তর্জাতিক অনৈতিক চাপ সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে। উন্নয়নের ধারবাহিকতা রক্ষায় ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বর্তমান সরকারকে আরও একবার সুযোগ দিতে হবে।’

‘বাইডেন প্রশাসনে লবিস্ট নিয়োগ দিয়েছে বিএনপি-জামায়াত’

আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যলয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস। প্রবন্ধটির ওপর আলোকপাত করেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম।

সহকারী অধ্যাপক মো. মিনহাজ উদ্দীনের সঞ্চালনায় বক্তব্য প্রদান করেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এস এম মাসুম বিল্লাহ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান প্রমুখ।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হকের নেতৃত্বে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে একটি শোভাযাত্রা। শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজিব মঞ্চে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।

‘বাইডেন প্রশাসনে লবিস্ট নিয়োগ দিয়েছে বিএনপি-জামায়াত’

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালকবৃন্দ, শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা সমিতিসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

শহীদ মিনার চত্বরে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে উৎসবটি উদযাপন করা হয়।

আরও পড়ুন:
সমাবেশে বাধা দিলে ছবি তুলে রাখুন: আমির খসরুর হুঁশিয়ারি
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি আ.লীগের জন্য লজ্জার: মোশাররফ
আওয়ামী লীগকে দৌড়ানি দিলে বর্ডার দিয়ে পালাবে: মির্জা আব্বাস
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি বিএনপির দাবির প্রতিফলন: ফখরুল

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Sechsevak League attack on public rights council meeting in Tangail

টাঙ্গাইলে গণঅধিকার পরিষদের সমাবেশে স্বেচ্ছাসেবক লীগের হামলা

টাঙ্গাইলে গণঅধিকার পরিষদের সমাবেশে স্বেচ্ছাসেবক লীগের হামলা টাঙ্গাইলে সোমবার গণঅধিকার পরিষদের সমাবেশে হামলা করে ব্যানারে আগুন ধরিয়ে দেয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা। ছবি: নিউজবাংলা
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মির্জা আনোয়ার হোসেন বাবুল বলেন, ‘সরকারের বিরুদ্ধে তারা অপপ্রচার চালাচ্ছিল। তাই আমাদের কর্মীরা তাদের মানববন্ধন বন্ধ করে দেয়।’

টাঙ্গাইলে স্বেচ্ছাসেবক লীগের হামলায় গণঅধিকার পরিষদের সমাবেশ ও পদযাত্রা পণ্ড হয়েছে।

টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে সোমবার বিকেলে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে সমাবেশ ও পদযাত্রার আয়োজন করে জেলা গণঅধিকার পরিষদ। কর্মসূচি চলার সময়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা তাদের উপর হামলা করে এবং এক পর্যায়ে তাদের ব্যানার ছিনিয়ে নেয় ও তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

স্বেচ্ছাসেবক লীগের জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে হামলা করা হয় বলে নিউজবাংলার কাছে অভিযোগ করেন গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা।

গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য শাকিল উজ্জামান বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছিলাম। এ সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা আমাদের ওপর হামলা করে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’

এ বিষয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মির্জা আনোয়ার হোসেন বাবুল বলেন, ‘সরকারের বিরুদ্ধে তারা অপপ্রচার চালাচ্ছিল। তাই আমাদের কর্মীরা তাদের মানববন্ধন বন্ধ করে দেয়।’

সদর থানার ওসি আবু ছালাম মিয়া বলেন, ‘প্রেসক্লাবের সামনে তাদের মানববন্ধন করার অনুমতি ছিল না। কিন্তু তারা তারপরও সেখানে প্রোগ্রাম করেছে। কিন্তু সেই প্রোগ্রাম পণ্ড হয়েছে কি না তা আমার জানা নেই। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগও করেনি।’

সমাবেশ ও পদযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য শাকিল উজ্জামান, জেলা শাখার সভাপতি জহিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান রাসেল, জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP Appointed Killing Agent Bahauddin Nashim

কিলিং এজেন্ট নিয়োগ করেছে বিএনপি: বাহাউদ্দিন নাছিম

কিলিং এজেন্ট নিয়োগ করেছে বিএনপি: বাহাউদ্দিন নাছিম মাদারীপুরে সোমবার উপজেলা আওয়ামী লীগের এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাহাউদ্দিন নাছিম। ছবি: নিউজবাংলা
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘আমরা কারও ভয়ে ভীত হয়ে নয়, জামাত-শিবির ও বিএনপি, এমনকি অশুভ শক্তি ও অশুভ রাজনীতির বিপক্ষে এবং সাম্প্রদায়িক শক্তির বিপক্ষে আপনারা লড়াই করতে অভ্যস্ত। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বিপক্ষের শক্তি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের নেতা-কর্মীদের আঘাত করে আওয়ামী লীগকে প্রতিহত করা যায় না।’

হত্যার রাজনীতি করতে বিএনপি কিলিং এজেন্ট নিয়োগ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলা সদরে ঈদগাহ ময়দানে সোমবার দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার বিবরণ জনগণের মাঝে পৌছে দেয়া এবং আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের তৃণমূল প্রতিনিধি ও নেতাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে দিকনির্দেশনামূলক মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘বিএনপি হিট অ্যান্ড রান করে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে চায়। প্রকৃতপক্ষে বিএনপি কিলিং এজেন্ট নিয়োগ করেছে। বিএনপি জামাত যদি বিভিন্নভাবে বাংলাদেশের একজন মানুষের ওপর আঘাত হানে বা হত্যা করে, তাহলে আমরা ক্লিলিং এজেন্টদেরকে প্রতিরোধ ও প্রতিহত করব।’

তিনি বলেন, ‘স্যাংশন দিয়ে কোনো লাভ নেই, সকল ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করে স্বচ্ছতার সঙ্গে নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় আনব। বিএনপিকে মোকাবেলা করেই বাংলাদেশে সাংবিধানিকভাবে নি‌র্বিঘ্নে ও স্বাধীন-সার্বভৌম নির্বাচন কমিশনের অধীনে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার ব্যবস্থা করব। যাতে সুষ্ঠ, স্বচ্ছ, অবাধ ও নিরপেক্ষ ভাবে বাংলাদেশের মানুষ শান্তিতে ও স্বস্তিতে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারে।’

উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা কারও ভয়ে ভীত হয়ে নয়, জামাত-শিবির ও বিএনপি, এমনকি অশুভ শক্তি ও অশুভ রাজনীতির বিপক্ষে এবং সাম্প্রদায়িক শক্তির বিপক্ষে আপনারা লড়াই করতে অভ্যস্ত। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বিপক্ষের শক্তি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের নেতা-কর্মীদের আঘাত করে আওয়ামী লীগকে প্রতিহত করা যায় না।

‘আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্ত ছড়িয়ে, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের রক্তচক্ষু ও মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে কেউ টিকে থাকতে পারেনি । খুনি জিয়া ও মোস্তাকরা উৎখাত হয়ে গেছে। জাতীর পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করার পরও জাতীর পিতার আদর্শের সুযোগ্য সন্তান জননেত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নিয়ে ২১ বছর লড়াই সংগ্রাম করে টিকে আছেন।’

রাজৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সেকান্দার আলী শেকের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে, পৌর মেয়র নাজমা রশীদসহ আরও অনেকে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Masanad of power lovers will be broken and thrown into Bay of Bengal Charmonai Pir

ক্ষমতাপ্রেমীদের মসনদ ভেঙে বঙ্গোপসাগরে ফেলা হবে: চরমোনাই পীর

ক্ষমতাপ্রেমীদের মসনদ ভেঙে বঙ্গোপসাগরে ফেলা হবে: চরমোনাই পীর সোমবার মুন্সিগঞ্জ শহরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেন দলটির আমীর রেজাউল করীম। ছবি: নিউজবাংলা
রেজাউল করীম বলেন, ‘দেশ ও জাতির কল্যাণের জন্য এক নীতি, আদর্শ দরকার; যার নাম ইসলাম। ইসলামী নীতি, আদর্শের মাধ্যমে সারা বিশ্বে শান্তি আসবে। এ শান্তির পক্ষে আমরা সবাই একত্রিত হব।’

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির (চরমোনাই পীর) সৈয়দ রেজাউল করীম বলেছেন, ‘দেশের ১২টা বেজে গেছে। এ সরকারের অধীনে আর কোন নির্বাচন নয়, ক্ষমতাপ্রেমীদের মসনদ ভেঙে এবার বঙ্গোপসাগরে ফেলা হবে।’

জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, নির্বাচনের কমিশনারের পদত্যাগ; বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্য পণ্য দ্রব্যমূল্যের দাম কমানোসহ বিভিন্ন দাবিতে সোমবার বিকেলে মুন্সিগঞ্জে আয়োজিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সোমবার মুন্সিগঞ্জ শহরের কৃষিব্যাংক সংলগ্ন সড়কে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন দলটির কয়েক হাজার নেতা-কর্মী।

রেজাউল করিম বলেন, ‘বর্তমান সরকার অবৈধ সরকার। এ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। তবে আমাদেরকে ধোকা দিয়ে বোকা বানিয়ে আবারও সরকার ক্ষমতায় যাবে- এই স্বপ্ন বাংলার মাটিতে আর বাস্তবায়ন হবে না। তারা বলে থাকে- আমরা দেশপ্রেমিক, আমরা জনগণ প্রেমিক। এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। আমাদের দাবি আগামী নির্বাচন হবে সুষ্ঠু, যে নির্বাচন হবে স্বচ্ছ, যে নির্বাচন থাকবে প্রশ্নের উর্ধ্বে। বিভিন্ন দেশেও একই কথা বলছে। আমেরিকাও বলছে, বাংলাদেশ একটি সুন্দর, নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে হবে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বলেন- বিদেশীরা তাদের ওপর হস্তক্ষেপ করে। আপনারা যদি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিস্থিতি তৈরি করেন, তাহলে তারা আর এসব কথা বলার সাহস পায় না।’

ক্ষমতাপ্রেমীদের মসনদ ভেঙে বঙ্গোপসাগরে ফেলা হবে: চরমোনাই পীর

ভিসা নীতি দেশের জন্য লজ্জাজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে ভিসা স্যাংশনসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চলছে। ভিসা স্যাংশন বাংলাদেশের জন্য লজ্জাজনক। এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না। তাই এর পরিবর্তন দরকার। চোরের দিক থেকে, দুর্নীতিবাজের দিক থেকে এ দেশ পাঁচবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, এ অবস্থা আমরা আর দেখতে চাই না। তাই দেশ ও জাতির কল্যাণের জন্য এক নীতি, আদর্শ দরকার; যার নাম ইসলাম।

‘ইসলামী নীতি, আদর্শের মাধ্যমে সারা বিশ্বে শান্তি আসবে। এ শান্তির পক্ষে আমরা সবাই একত্রিত হব। যারা ক্ষমতাপ্রেমিক রয়েছে, আমরা দেশ প্রেমিকরা একত্রিত হয়ে এদের মসনদকে ভেঙে বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করা হবে।’

সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন মুন্সীগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি মুফতি শাহাদাত হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমেদসহ জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ।

আরও পড়ুন:
চরমোনাই পীরের গণমিছিলে পুলিশি বাধা
ফয়জুল করীমকে দেখতে চরমোনাই দরবার শরিফে জাহাঙ্গীর  

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Government wants to kill Khaleda Zia Fakhrul

খালেদা জিয়াকে হত্যা করতে চায় সরকার: ফখরুল

খালেদা জিয়াকে হত্যা করতে চায় সরকার: ফখরুল নয়াপল্টনে সোমবার আয়োজিত কৃষক সমাবেশে বক্তব্য দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে কোনো সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। মিথ্যা ও প্রতারণা করে জনগণকে ভুল বুঝিয়ে, আইনের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে তাকে বিনা চিকিৎসায় সরকার হত্যা করতে চায়। ক্ষমতাসীনরা যে কথাগুলো বলছেন সেসবের উদ্দেশ্য এটাই।’

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সরকার হত্যা করতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়াকে এই অনির্বাচিত ও অবৈধ সরকার মেরে ফেলতে চায়।’

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সোমবার বিকেলে অনুষ্ঠিত কৃষক সমাবেশে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম।

সরকারের পদত্যাগের এক দফা এবং খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে কোনো সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। মিথ্যা ও প্রতারণা করে জনগণকে ভুল বুঝিয়ে, আইনের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে তাকে বিনা চিকিৎসায় সরকার হত্যা করতে চায়। ক্ষমতাসীনরা যে কথাগুলো বলছেন সেসবের উদ্দেশ্য এটাই।

‘তারা আসলে কাপুরুষ-ভীতু। তারা জানে খালেদা জিয়া যদি সুস্থ হয়ে ওঠেন, আবার জনগণের মধ্যে ফিরে আসেন, তার ডাকে কোটি মানুষ রাস্তায় নেমে আসবে। তখন তাদের মসনদ ধ্বংস হয়ে যাবে।’

মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস খালেদা জিয়া কারাগারে বন্দি ছিলেন উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমি সবসময় বলি বাংলাদেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা হচ্ছেন খালেদা জিয়া। আর এই কথাটা বললে তাদের (আওয়ামী লীগ নেতাদের) গায়ে আগুন জ্বলে। কারণ তারা তো মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িত ছিল না। তারা তো সেদিন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ভাতা খেয়ে ছিল। অনেকের কষ্ট হতে পারে, কিন্তু কথাটা সত্য।’

কৃষক দল সভাপতি হাসান জারিফ তুহিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।

আরও পড়ুন:
প্রশাসনিক আদেশেই খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানো সম্ভব: ফখরুল
এই সরকার ফের ক্ষমতায় এলে কারও নিরাপত্তা থাকবে না: ফখরুল
বিএনপি বিপদে নেই, আরও শক্তিশালী হয়েছে: ফখরুল
ভিসা নীতিতে সরকারের মাথা নষ্ট হয়ে গেছে: ফখরুল
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে: ফখরুল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP illegal political party Obaidul Quader

বিএনপি অবৈধ রাজনৈতিক দল: ওবায়দুল কাদের

বিএনপি অবৈধ রাজনৈতিক দল: ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বন্দুকের নলের মুখে অসাংবিধানিক ও অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া বিএনপি গণতন্ত্রবিরোধী, অসাংবিধানিক ও বেআইনি কর্মকাণ্ডে ভরপুর। ক্ষমতাকে কেন্দ্রবিন্দু করেই পরিচালিত হয়ে আসছে বিএনপির রাজনীতি।’

বিএনপি অবৈধ রাজনৈতিক দল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ক্ষমতাসীন দলটির দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিবৃতিতে সোমবার এক বিবৃতিতে এই মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বন্দুকের নলের মুখে অসাংবিধানিক ও অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া বিএনপি গণতন্ত্রবিরোধী, অসাংবিধানিক ও বেআইনি কর্মকাণ্ডে ভরপুর। ক্ষমতাকে কেন্দ্রবিন্দু করেই পরিচালিত হয়ে আসছে বিএনপির রাজনীতি।

‘হ্যাঁ/না ভোটের প্রহসন, জাতিকে কারফিউ মার্কা গণতন্ত্র উপহার, ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচন, আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত, এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার সৃষ্টি এবং ২১ আগস্টের মতো গণহত্যার মধ্য দিয়ে বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করে ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করার অপচেষ্টাসহ এমন কোনো অপকর্ম নেই যা বিএনপি করেনি।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি কখনও জনকল্যাণ, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ভাগ্যোন্নয়নে রাজনীতি করেনি। সেজন্য তাদের রাজনীতি বিদেশি প্রভুদের কৃপানির্ভর। জনগণ, গণতন্ত্র ও কল্যাণকর রাজনীতির প্রতি দলটির ন্যূনতম বিশ্বাস থাকলে এদেশের গণতন্ত্রে কোনো সংকট সৃষ্টি হতো না।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল ও নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্টের গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তারা আগের ধারাবাহিকতায় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান করে নির্বাচন ও নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। একই সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের চলমান অভিযাত্রাকে ব্যাহত করতে চায়। কোনো রাজনৈতিক দল নিজ দেশের মানুষের ওপর এমন প্রতিহিংসামূলক আচরণ করতে পারে?’

আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় শীর্ষ এই নেতা আরও বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির নেতা দুর্নীতির বরপুত্র সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি তারেক রহমান লন্ডনে বসে রমরমা মনোনয়ন বাণিজ্যে মেতে উঠেছিলেন। তিনি ৩০০ আসনে প্রায় ৭৫০টি মনোনয়ন দিয়েছিলেন। আজ তারা যখন বলে নির্বাচন হতে দেবে না তখন দেশের মানুষ স্পষ্টতই বুঝতে পারে যে জনগণ, গণতন্ত্র, সংবিধান, আইন কোনো কিছুর প্রতি বিএনপির দায়বদ্ধতা নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পবিত্র সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়েই অনুষ্ঠিত হবে। কোনো অপশক্তিই এই নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। অসাংবিধানিক ও বেআইনিভাবে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ।’

আরও পড়ুন:
সরকার নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে: কাদের
বিএনপির রাজনীতিই কবরস্থানে যাওয়ার সময় এসেছে: কাদের
শেখ হাসিনা ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না: কাদের
যথাসময়ে নির্বাচন, কে এলো না এলো দেখব না: কাদের
কোনো নিষেধাজ্ঞা শেখ হাসিনাকে থামাতে পারবে না: কাদের

মন্তব্য

বাংলাদেশ
These days are not days there are more days dudu

এই দিন দিন নয়, আরও দিন আছে: দুদু

এই দিন দিন নয়, আরও দিন আছে: দুদু জাতীয় প্রেস ক্লাবে রোববার জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। ছবি: নিউজবাংলা
দুদু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তার দপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা করতে পারতেন। তিনি যেভাবে না করেছেন, তাতে মনে হচ্ছে তিনি কোথায় যেন আতঙ্কিত, তিনি যেন হতাশ। তিনি বুঝতে পেরেছেন আর বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। সেই বিবেচনায় তিনি একটি আপসমুখী পদক্ষেপ নিতে পারতেন।’

ভবিষ্যৎ পরিস্থিতির কথা মাথায় রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সোমবার সকালে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে এক মানববন্ধনে এ কথা বলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

দণ্ড স্থগিত রেখে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো যাবে না বলে রোববার সচিবালয়ে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এর এক দিন পর সচিবালয়ের কাছাকাছি প্রেস ক্লাবে দুদু বলেন, ‘এই দিন দিন নয়, আরও দিন আছে। এটা যদি প্রধানমন্ত্রী মনে রাখেন, তাহলে তার জন্য ভালো, আমাদের জন্য ভালো, দেশের জন্য ভালো, তার দলের জন্যও ভালো।’

তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। এটা প্রধানমন্ত্রী জানেন। খালেদা জিয়া জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণী, তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, যিনি তার জীবনের কোনো নির্বাচনে হারেননি। পরিবার থেকে তার সুচিকিৎসার জন্য আবেদন করা হয়েছে।

‘এটাই প্রথম আবেদন না, এর আগেও করা হয়েছিল। আমরা মনে করেছিলাম সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর কোনো ব্যবস্থা করবে সরকার, কিন্তু আইনমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথা বলার আগে যুক্তরাষ্ট্রে ভয়েস অব আমেরিকার সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী সরাসরি নাকচ করেছেন।’

বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তার দপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা করতে পারতেন। তিনি যেভাবে না করেছেন, তাতে মনে হচ্ছে তিনি কোথায় যেন আতঙ্কিত, তিনি যেন হতাশ। তিনি বুঝতে পেরেছেন আর বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। সেই বিবেচনায় তিনি একটি আপসমুখী পদক্ষেপ নিতে পারতেন।

‘কারণ আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। এটা একজন অন্ধ যেমন জানে, তেমনি বিবেকহীন মানুষও জানে। আগামী দিনে যে সরকার ক্ষমতায় আসবে, সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবে খালেদা জিয়া।’

আরও পড়ুন:
খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসায় ফের পরিবারের চিঠি
মেডিক্যাল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে খালেদা, কোনো উন্নতি নেই: চিকিৎসক
মানবিক কারণে খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইল বাংলাদেশ জাসদ
ফের সিসিইউতে খালেদা জিয়া
খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কারণ নিয়ে অনেক সন্দেহ: খসরু

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Coxs Bazar Constituency 3 Potential candidates are campaigning in the field

কক্সবাজার-৩ আসন: প্রচারে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা

কক্সবাজার-৩ আসন: প্রচারে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা আওয়ামী লীগের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল (বামে ওপরে), কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) সাবেক চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফোরকান আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ, কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী। কোলাজ: নিউজবাংলা
এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, ‘আমি মানুষের সেবা করেছি। বন্যা কবলিত মানুষের পাশে ছিলাম। এ ছাড়া কোভিড পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের পাশে ছিলাম। এ সমস্ত কারণে মনোনয়ন বাছাই কমিটির কাছে আমার নাম এগিয়ে থাকবে।’

কক্সবাজার সদর, রামু ও নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলা নিয়ে গঠিত জাতীয় সংসদের কক্সবাজার-৩ আসন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের অনেকে ইতোমধ্যে মাঠে প্রচারে নেমে পড়েছেন। দলের মনোনয়ন পেতে দলের একাধিক নেতা মাঠে রয়েছেন।

কক্সবাজার-৩ আসন থেকে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে টানা দুইবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হন সাইমুম সরওয়ার কমল। আগামী নির্বাচনেও দলের মনোনয়ন নিতে চান তিনি, তবে এ আসনে তার বড় ভাই সোহেল সরওয়ার কাজল ও ছোট বোন নাজনীন সরওয়ার কাবেরী হাল ছাড়ছেন না। নৌকা প্রতীকের মনোয়ন পাওয়ার জন্য তারাও পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

কক্সবাজারের এ আসনে পারিবারিক রাজনীতির প্রভাব রয়েছে। দলীয় কোন্দলও রয়েছে।

আওয়ামী লীগ থেকে সাইমুম সরওয়ার কমল ছাড়াও মনোনয়ন পেতে মাঠে তৎপর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম, ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা মোস্তাক, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী, রামু উপজেলা চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) সাবেক চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফোরকান আহমদ, কক্সবাজার জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরী ও সাবেক এমপি মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী।

কক্সবাজার-৩ আসন: প্রচারে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা
কক্সবাজার-৩ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন নিতে চান রামু উপজেলা চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল (বামে ওপরে), কক্সবাজার জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরী (বামে নিচে), সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী (ডানে) ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা মোস্তাক। কোলাজ: নিউজবাংলা

১৯৯১ সাল থেকে (১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন ছাড়া) এ আসনে তিনবার আওয়ামী লীগ ও তিনবার বিএনপির প্রার্থী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগ থেকে এমপি নির্বাচিত হন মোস্তাক আহমদ চৌধুরী। ১৯৯৬ সালে মোস্তাক আহমদ চৌধুরীকে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বিএনপির খালেকুজ্জামান। ২০০১ সালে নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালে খালেকুজ্জামান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এরপর তার ভাই প্রকৌশলী শহীদুজ্জামান এমপি নির্বাচিত হন মোস্তাক চৌধুরীকে হারিয়ে।

২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমলকে হারিয়ে বিএনপির লুৎফুর রহমান কাজল এমপি নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ও ২০১৮ সালে বিএনপির কাজলকে হারিয়ে পরপর দুইবার এমপি নির্বাচিত হন সাইমুম সরওয়ার কমল। আগামী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে তিনি হ্যাটট্রিক করতে চান।

এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, রেলের কাজ সম্পন্ন, বেতার, টেলিভিশন, মেডিক্যাল কলেজ, বাঁকখালী নদীর ওপরে বড় বড় চারটি সেতু নির্মাণসহ সব কিছু মিলিয়ে আমাদের গ্রামগুলো এখন শহরে পরিণত হয়েছে এবং শহর আধুনিক হয়েছে।

‘এইসব কিছু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে ও আমার প্রচেষ্টায় হয়েছে। আমি মানুষের সেবা করেছি, বন্যা কবলিত মানুষের পাশে ছিলাম। এ ছাড়া কোভিড পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের পাশে ছিলাম। এ সমস্ত কারণে মনোনয়ন বাছাই কমিটির কাছে আমার নাম এগিয়ে থাকবে।’

সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা মোস্তাক বলেন, ‘আমাদের কাজ হলো মানুষের সেবা করা, নিজেদের কথা আমরা কোনোদিনই ভাবি নাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে যোগ্য মনে করেন তাহলে আমাকে মনোনয়ন দেবেন। মনোনয়ন পেলেও মানুষের পাশে থাকব, না পেলেও থাকব, তবে মনে করি, সদর-রামু আসনের জন্য আমার স্বামী সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী যোগ্য।’

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরপর দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছি। দুঃসময়ে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের বুকে আগলে রেখেছি। তাদের দোয়া এবং ভালোবাসায় আমি নেত্রীর কাছে দলীয় মনোনয়ন চাইব।

‘তা ছাড়াও মেয়র থাকাকালীন ৫ বছরে রেকর্ড উন্নয়ন করেছি আমি। সেই কারণে আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হলে বিপুল ভোটে বিজয়ী হব বলে শতভাগ আশাবাদী।’

কক্সবাজার জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। ২০ বছর ধরে আমি কক্সবাজার জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক। আমার স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতির কারণে আমার নেত্রী আমাকে মনোনয়ন দেবে বলে আমি আশাবাদী।

‘এ ছাড়াও আমি যেহেতু কৃষক লীগ করি সে হিসেবে প্রান্তিক কৃষকের সঙ্গে আমার ভালো যোগাযোগ রয়েছে। যদি আমি মনোনয়ন বা নির্বাচিত হই তাহলে প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষের জন্য কাজ করব।’

আরও পড়ুন:
দুই ভোটে জয়: আড়াই বছর পর ফল পাল্টাল আদালত
নির্বাচন পর্যবেক্ষণে কে এলো কে গেলো দেখার বিষয় নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ইউরোপের নির্বাচনে কি আমাদের পর্যবেক্ষক যায়, প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর
জাবি সিনেট শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা
‘ঢাকায় অডিটরকে ঘুষ দিতে’ চট্টগ্রাম বোর্ডের কর্মচারীর নামে চেক ইস্যু

মন্তব্য

p
উপরে