জলবায়ু সঙ্কট মোকাবেলা ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ভাবতে ব্রিটিশ কাউন্সিলে জলবায়ু বিষয়ক চারটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
শনিবার বিকেল ৫টায় রাজধানীর ফুলার রোডের ব্রিটিশ কাউন্সিল মিলনায়তনে ‘শর্ট ফিল্মস অন ওয়াটার’ শীর্ষক স্বল্পদৈর্ঘ্যের ওই প্রামাণ্যচিত্রগুলো প্রদর্শিত হয়।
বাংলাদেশ কামরি ক্লাইমেট স্টোরি প্রকল্পের আওতায় ঢাকা ডকল্যাব ও যুক্তরাজ্যের ওয়েলস ওয়ান ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের যৌথ উদ্যোগে এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলের সহায়তায় এ প্রামাণ্যচিত্রগুলো নির্মাণ করা হয়।
৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালনের অংশ হিসেবে এ চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে ব্রিটিশ কাউন্সিল।
জলবায়ু পরিবর্তনে সৃষ্ট প্রতিকূল পরিবেশে বসবাসরত তৃণমূল জনগোষ্ঠী ও নদীর পাড়ে বসবাসরত মানুষের জীবন ও অভিজ্ঞতাই প্রামাণ্যচিত্রগুলোর মূল উপজীব্য।
প্রামাণ্যচিত্রগুলো হলো বাংলাদেশের আসমা বীথি পরিচালিত দপ্রুঝিরি ও শামসুল ইসলাম স্বপন পরিচালিত লতিকা এবং যুক্তরাজ্যের ওয়েলসের ম্যারেড রিস পরিচালিত আওয়ার হোম ও লিলি টাইগার টোনকিন পরিচালিত শি সেলস শেলফিশ।
প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন শেষে প্রামাণ্যচিত্রগুলোর পরিচালক, প্রযোজক ও প্রামাণ্যচিত্রের চরিত্রদের পরিচয়পর্ব ও একটি অংশগ্রহণমূলক প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। প্রদর্শনীটি সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল।
এই আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান; বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের প্রোগ্রামস ডিরেক্টর ডেভিড নক্স ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদ।
এছাড়াও অতিথি ও দর্শনার্থী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, গবেষণা, শিক্ষা, পরিবেশ ও জলবায়ু নিয়ে সক্রিয়ভাবে কর্মরত বিভিন্ন সংগঠনের ব্যক্তিবর্গ।
ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডিরেক্টর প্রোগ্রামস ডেভিড নক্স বলেন, ‘জলবায়ু পরবর্তনের ফলে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় সকলকে নিয়ে একজোট হয়ে কাজ করাই আমাদের লক্ষ্য। বাংলাদেশ-কামরি ক্লাইমেট স্টোরিজ ফিল্মসের মাধ্যমে এই সমস্যাগুলো আমাদের কতটা কাছাকাছি, তা দেখতে ও বুঝতে পারছি। এ থেকে উত্তরণে কার্যকর পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে কাজ করার আশা ব্যক্ত করছি।’
পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টি ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণে সকলকে উৎসাহিত করাই ছিল এ আয়োজনের লক্ষ্য।
ঢাকা ডকল্যাব ও ওয়েলস ওয়ান ওয়ার্ল্ড ফেস্টিভ্যালের যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে বাংলাদেশ কামরি ক্লাইমেট স্টোরিজ চলচ্চিত্র প্রকল্প। প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণে চার চলচ্চিত্র নির্মাতা ঢাকা ডকল্যাব ও ওয়েলস ওয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল থেকে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা পেয়েছেন।
সবার মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে চলচ্চিত্রগুলোয় নারীদের সাথে সম্পৃক্ত জলবায়ু পরিবর্তনের গল্প তুলে করা হয়েছে।
‘দ্য ভ্যাকসিন ওয়ার’ সিনেমার পোস্টার প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্ক ছড়িয়েছে চারদিকে। বিতর্কে জড়িয়েছেন ভারতীয় ভারতীয় অভিনেত্রী রাইমা সেনও। এবার এ নিয়েই মুখ খুললেন তিনি।
একটি সংবাদমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছেন, সমালোচনার আগে সিনেমাটি দেখুন।
রাইমা বলেন, ‘প্রচুর দর্শক দেখলাম গালাগাল দিতে শুরু করল আমায়। এক এক করে আনফলোও হয়ে গিয়েছে প্রচুর সোশ্যাল মিডিয়া থেকে। আমার বক্তব্য একটাই। সিনেমা না দেখেই কী করে প্রোপাগান্ডা বলে ধরে নিচ্ছে মানুষ?’
তিনি বলেন, ‘বিবেক অগ্নিহোত্রীর শেষ সিনেমা দেখে এমনটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল সবাই? না দেখে এত জাজমেন্ট দেয়া তো ঠিক নয়। তাই সবাইকে একটাই কথা বলব, দয়া করে সিনেমা দেখুন, তারপর যা বলার বলবেন।
‘আমি কী সিনেমা করছি সেটা দেখে তো আমায় বিবেক সিনেমা দেয়নি। একবারও জিজ্ঞেস করেনি যে কেন এখন আমি সিনেমা করছি না। আমার মনে হয়েছে আমার কেরিয়ারের জন্য এটা অত্যন্ত জাস্টিফাইং একটা চরিত্র। যেটা করে আমারও বেশ ভালো লেগেছে।’
চলতি বছরের জুনে প্রথম প্রকাশ্যে আসে ‘দ্য ভ্যাকসিন ওয়ার’ সিনেমার পোস্টার। একঝলক দেখেই শুরু হয়ে গিয়েছিল এর গল্প নিয়ে নানা আলোচনা। এরপর বহু বিতর্ক মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে বলেন, দেশের দুঃসময় নিয়ে এমন সিনেমা কী করে বানাতে পারলেন বিবেক?
বলিউড সিনেমায় এর মধ্য দিয়েই প্রথম অভিনয় করছেন রাইমা। সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি বলেন, ‘বিবেক অগ্নিহোত্রী কলকাতায় এলে তার সঙ্গে আমি দেখা করি। তারপর আমায় পুরো গল্পটা তিনি শোনান। সেই কঠিন সময়ে যা আমরা পার করেছি, গোটা ভারতবর্ষ যা দেখেছে সেটা তুলে ধরা হবে।
‘এই সিনেমায় দু ধরনেরর চরিত্র থাকবে। একশ্রেণি যারা বলবেন, ভারতবর্ষ ভ্যাকসিনের লড়াই করে দেখাতে পারবে। আরেক শ্রেণি যারা বলবে, না কোনোভাবে পারবে না। সেই সময় এই ধরনের ঘটনাই তো ঘটছিল চারিদিকে। আমি একজন সায়েন্স জার্নালিস্টের ভূমিকায় অভিনয় করেছি। যে বিশ্বাস করেন, ভারতবর্ষ এটা করতে পারবে না কখনোই।’
রাইমা বলেন, ‘পুরো সিনেমায় দেখা যাবে রিসার্চের ওপর ভিত্তি করে সেই সাংবাদিক সব তথ্য তুলে ধরছেন। এ রকম নয় যে, সবাই যা বলছে সেটাই সাংবাদিকও তুলে ধরছে। আমাকে বিবেক বলেছিলেন, তুমি তোমার চরিত্রটা খুব পজিটিভলি তুলে ধরো। তারপর সবটা দর্শকের ওপর ছেড়ে দাও। হয়তো তাদের ভালো লাগবে না। তারা তোমায় ঘৃণা করতে শুরু করবে। কিন্তু, তুমি যে বার্তা দেবে তারা সেটা ইগনোরও করতে পারবে না কোনোভাবে।’
পাঁচ মাস ধরে চলা হলিউড লেখকদের ধর্মঘট অবশেষে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বড় স্টুডিওগুলের সঙ্গে শ্রমচুক্তির প্রেক্ষাপটে হলিউড লেখক ইউনিউয়ন এই ঘোষণা দেয় বলে সোমবার আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
মোশন পিকচার অ্যান্ড টেলিভিশন প্রডিউসারস (এএমপিটিপি)-এর জোটের সঙ্গে চুক্তির ঘোষণা দিয়েছে রাইটার্স গিল্ড অফ আমেরিকা (ডব্লিউজিএ)।
আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পাঁচ দিন ধরে আলোচনার পর চুক্তি হয়েছে তিন বছরের জন্য। তবে চূড়ান্তভাবে এই চুক্তি অনুমোদনের পরই আনুষ্ঠানিকভাবে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়া হবে।
১১ হাজার ৫০০ সদস্যের লেখক সংগঠন রাইটার্স গিল্ড অফ আমেরিকা বলছে, লেখকদের নিরাপত্তার জন্য এটি একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ।
গত ২ মে ধর্মঘটে নামেন ফিল্ম এবং টিভি লেখকরা। ক্ষতিপূরণ, লেখকদের কক্ষে ন্যূনতম স্টাফিং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার এবং জনপ্রিয় স্ট্রিমিং শোগুলির জন্য লেখকদের পুরস্কৃত করে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য কর্মসূচি দেন তারা।
আরও পড়ুন:চিত্রনায়িকা পরীমনি অভিনীত ওয়েব সিরিজ ‘পাফ ড্যাডি’ প্রচার বন্ধে আইনি নোটিশ দেয়া হয়েছে।
আলোচিত-সমালোচিত সিরিজটির পাঁচটি দৃশ্যের জন্য প্রচার-প্রচারণা বন্ধে ছয়জনকে আইনি নোটিশ পাঠান কুমিল্লার এক আইনজীবী।
ইমেইল ও ডাকযোগে রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ নোটিশ পাঠানো হয়।
ওই আইনজীবীর নাম জয়নাল আবেদীন মাযহারী। তিনি কুমিল্লা জজ কোর্টে আইন প্র্যাকটিস করেন।
আইনজীবী মাযহারী জানান, তিন দিনের মধ্যে চিত্রনায়িকা পরীমনি অভিনীত ওয়েব সিরিজ পাফ ড্যাডি প্রচার, সম্প্রচার ও প্রদর্শন বন্ধ করতে চেয়ে আইনি নোটিশ দিয়েছেন।
এ আইনজীবী রোববার দুপুর ১টার দিকে নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তার ভাষ্য, সিরিজটিতে ইতিবাচক কোনো বার্তা নেই।
নোটিশে তিনি উল্লেখ করেন, “‘পাফ ড্যাডি’তে বিয়ে-বহির্ভূত সম্পর্ককে প্রমোট করা হয়েছে। পাশাপাশি বিয়েতে অনুৎসাহিত করা, আধ্যাত্মিক মনীষীর চরিত্রকে অত্যন্ত বাজেভাবে হরণ করা, প্রতি মুহূর্তে যৌন সুড়সুড়ির দৃশ্য উপস্থাপন করা হয়। এ ছাড়া ওই মুভিতে আর কোনো বার্তা নেই।”
ইমেইলের মাধ্যমে ও ডাকযোগে পাঠানো আইনি নোটিশ যাদের পাঠানো হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গ বিডির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যান, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান।
এর আগে গত এপ্রিলে অভিনেত্রী প্রভাকেও আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন আইনজীবী মাযহারী।
আরও পড়ুন:মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার বাউশিয়া এলাকায় বাংলাদেশের প্রথম প্রিমিয়াম ওয়াটার পার্ক ‘মানা বে’র উদ্বোধন হয়েছে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে ওপেনিং প্যারেড, ওয়ারিয়র ড্যান্স, হাক্কা ড্যান্স ও স্টিল্ট ওয়াকিং পারফরম্যান্সসহ একটি প্রাণবন্ত কার্নিভালের আয়োজন করা হয়।
সম্পূর্ণ ব্রিটিশ বিনিয়োগে এসিএস টেক্সটাইলের মালিকানায় পরিচালিত এ ওয়াটার পার্কটি দর্শনার্থীদেরকে অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা দিতে ও আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে দাবি করেন উদ্যোক্তারা।
প্রকল্পটিকে বাস্তবায়নে সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে স্বনামধন্য রাইড সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হোয়াইটওয়ার্টার।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার ম্যাট ক্যানেল।
প্রায় ৬০ হাজার স্কয়ার মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত পার্কটিতে সকল বয়সের মানুষের জন্য বৈচিত্র্যময় সব আয়োজন রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম তিনটি আয়োজন হলো- ওয়াটার স্লাইড ট্যুর, ওয়েভ পুল ও ফ্লোরাইডার ডাবল। এর পাশাপাশি বাচ্চাদের জন্য একটি আলাদা জোন ও একটি কৃত্রিম নদীর ব্যবস্থা রয়েছে পার্কটিতে।
বিকেল ৪টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
চিত্রনায়িকা পরীমনির পাঠানো ডির্ভোস লেটার পেয়েছেন চিত্রনায়ক শরিফুল ইসলাম রাজ। দাম্পত্য অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে পরীর এই সিদ্ধান্তকে সম্মান করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
রাজ বলেছেন, ‘এখন পরী যে পদক্ষেপটা নিয়েছে, সেটার সঙ্গে আমি আন্তরিকভাবে একাত্মতা পোষণ করছি। আলহামদুলিল্লাহ কবুল বলছি।’
গত ১৮ সেপ্টেম্বর ডিভোর্স লেটার পাঠন পরীমনি। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর গণমাধ্যমে এ নিয়ে খবর প্রকাশ হয় ২০ সেপ্টেম্বর। এর পর শুক্রবার একটি গণমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দেন রাজ।
রাজ আরও বলেছেন, ‘পরীমনি যা যা বলেছে, একদমই ঠিক। পুরোপুরি সত্য। সবকিছু আমি মেনে নিয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ!’
তিনি বলেন, পরীর সিদ্ধান্তের সঙ্গে থাকতে চাই। আজ হোক বা কাল, সম্পর্কটা হয়তো টিকত না। বিয়ের কিছুদিন পরই আমাদের মধ্যে সমস্যা শুরু হয়।
নানা জটিলতায় জড়ানো ছিল রাজ আর পরীমনির সংসার, এই ভাঙে তো এই জোড়া লাগে! এরই মধ্যে কদিন ধরে গুঞ্জন ওঠে, ভেঙে গেছে তাদের সম্পর্ক! তবে শেষ পর্যন্ত জানা যায় রাজকে ডির্ভোাস লেটার পাঠিয়েছেন পরী।
রাজের সঙ্গে ডিভোর্সের কারণ হিসেবে পরীমনি জানিয়েছেন, মনের অমিল হওয়া, বনিবনা না হওয়া, খোঁজখবর না নেয়া ও মানসিক অশান্তির জন্য আর সংসার করবেন না।
এ ছাড়া রাজকে নিয়ে মঙ্গলবার রাতে একটি পোস্টও করেছিলেন পরী। এতে নায়কের প্রতি নানা বিষয়ে ক্ষোভ ঝেড়েছেন তিনি। তবে কিছুক্ষণ পরই সেই পোস্ট ডিলিট করে দেন তিনি।
এর আগে সর্বশেষ একটি অনুষ্ঠানে দেখা হয় পরী-রাজের। সেখানে ছেলের জন্মদিনের কেক কাটেন তারা। তবে ওই কেক কাটার ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে আসার পরই দুজনের মারামারির খবরও প্রকাশ্যে আসে।
রাজ ও পরীর সম্পর্কটা অনেক দিন ধরেই বৈরি পথে যাচ্ছিল। এই বিবাদের শুরুও বেশ আগে। এ দম্পতির সাংসারিক কলহও ফেসবুকে আসা নতুন কিছু নয়।
তবে সর্বশেষ অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামালকে জড়িয়ে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে গত ২৯ মে রাতে। ওই রাতে অভিনেত্রী সুনেরাহ, নাফিজা তুষি ও তানজিন তিশার সঙ্গে রাজের কিছু ছবি এবং ভিডিও রাজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে আপলোড করা হয়।
এসব পোস্টে অসংলগ্ন ভাষায় কথা বলতে দেখা যায় সুনেরাহ ও তানজিন তিশাকে। কয়েকটি ছবিতে দেখা গেছে রাজ ও সুনেরাহকে ভিডিও কলে কথা বলতে। একটি ভিডিওতে লিফটের ভেতরে নাচছিলেন তানজিন তিশা। পরে অবশ্য রাজের অ্যাকাউন্টে সেসব ভিডিও বা ছবি আর পাওয়া যায়নি।
ছবি ও ভিডিও ফাঁস হওয়ার দায় রাজের স্ত্রী নায়িকা পরীমনিকে দিয়ে পরদিন রাতে একটি পোস্ট দেন সুনেরাহ। একই সঙ্গে তিনি দেন আইনি ব্যবস্থারও হুমকি। এর পর দিন গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন পরীমনি। সুনেরাহকে এর দায় দেন তিনি। পরে কথা বলেন রাজও। তার বক্তব্য, তিনি এগুলোর কিছুই জানেন না।
এরপর পরীমনি আবার গণমাধ্যমকে বলেন, রাজের সঙ্গে তার যোগাযোগ নেই বেশ কিছুদিন। সুনেরাহর সঙ্গেই থাকছে রাজ। তার ফোনও নাকি তার কাছেই। এসব ছবি ও ভিডিও সুনেরাহই ছড়িয়েছেন। এ নিয়ে একে অন্যকে দায় দিয়েছেন তারা।
আগেও রাজ-পরীর পারিবারিক দ্বন্দ্বের ব্যাপার সামনে এসেছিল, গত পহেলা জানুয়ারি ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম প্রহরে ভোর ৫টার দিকে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে রাজের সঙ্গে আর সংসার করবেন না বলে ঘোষণা দেন পরীমনি। একই ঘোষণা দিয়েছিলেন রাজও।
এর দু-একদিন আগে থেকে চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিমকে রাজের সঙ্গে জড়িয়ে নানা পোস্ট দিচ্ছিলেন পরীমনি। তবে শেষ পর্যন্ত টিকে যায় এ দম্পতির সংসার।
২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর বিয়ে করেন শরিফুল রাজ ও পরীমনি। দীর্ঘদিন গোপনেই ছিল তাদের বিয়ের খবর। চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি তাদের বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসে।
পরীমনির অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরটিই প্রথমে জানা যায়, পরে জানা যায় তাদের বিয়ের খবর। রাজ-পরীর একমাত্র সন্তান শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য। গত বছরের ১০ আগস্ট জন্ম হয় রাজ্যের।
আরও পড়ুন:বুধবার দুপুরেই জানা গেছে স্বামী শরীফুল রাজকে ডিভোর্স দিয়েছেন আলোচিত অভিনেত্রী পরিমনি। জানা যায়, ১৮ সেপ্টেম্বর রাজকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন পরীমনি। তবে এ বিষয়ে সারাদিন দুজনের কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া না গেলেও আজ রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিজের ফেসবুক একাউন্ট থেকে রাজ বিষয়ে পুরোনো একটি স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট দিয়ে পরীমনি এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
স্ট্যাটাসে পরীমনি লিখেছেন-
'নিশ্চই এই স্ট্যাটাসের কথা মনে আছে অনেকেরই! সেবার ও রাজ পাঁচ দিনের মাথায় বাসায় ফিরে আমার ফেইসবুক থেকে এটা ডিলেট করে দিয়েছিলো। তারপর এসব ঘটনা সে পুনরাবৃত্তি করেছে বার বার। সরি বলা, না খেয়ে থাকা, পা ধরে মাফ করে দাও আর হবে হবে না, এমনকি সুইসাইড এর মতো হুমকতেও ব্লাকমেলের শিকার হতে হয়েছে আমাকে! একই রকম ভুলের ক্ষমা কতো বার করা যায় আমি জানি না। আমি শুধু সব ভুলে সুন্দর স্বাভাবিক একটা পারিবারিক সম্পর্ক চেয়েছিলাম। কিন্তু সে কখনোই এই সম্পর্কটাকে ওউন করেনি। সবার সামনে আমার বৌ, আমার বাচ্চা করে বেড়ানো ভয়ংকর মানুষ একজন। যে কিনা এই সম্পর্কটাকে শুধু নিজের স্বার্থে ইউজই করে গেলো প্রতিনিয়ত!
আমি এমন ভয়ংকর একজন মানুষকে বার বার সুযোগ দিয়েছি।সেও সুযোগ পেতো কারন আইনগত ভাবে তার সাথে আমার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি।
এসবে বারবার আমি অসন্মানিত হয়েছি আপনাদের কাছেও।
আমাকে ক্ষমা করবেন।
***আমি তাকে অফিসিয়ালি ডিভোর্স দিয়েছি। খুবই স্বাভাবিক ওয়েতে। এটাও তাকে আমার এক প্রকার ক্ষমা করে দেয়া। না হয় আমার সাথে যে অন্যেয়গুলো করেছে তাতে তার জেল হওয়ার কথা।
বিঃদ্রঃ আমার ছেলের যাবতীয় খরচ, মানে ভরণপোষণ থেকে আগামীতে পড়াশোনা যা কিছু আছে সব আমি বহন করবো।এতো দিন যেভাবে করেছি। বাচ্চার ফুল গার্ডিয়ান শিপ এখন তার মা’র। এ বিষয়ে যা কিছু বলার আমার আইনজীবীরা বলবেন।'
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর গোপনে একে অপরকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বিয়ে করেন পরীমনি ও রাজ। তবে খবরটি প্রকাশ্যে আনেন ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি। একই দিন আরও ঘোষণা করেন, সন্তান আসছে তাদের ঘরে। এরপর ২২ জানুয়ারি পারিবারিক আয়োজনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতাও করেন তারা। গত বছরের ১০ আগস্ট পরীমনির কোলজুড়ে আসে ছেলে রাজ্য। সন্তান জন্মের বছরখানেকের মাথায় ভেঙে গেল রাজ-পরীর সংসার।
আরও পড়ুন:নানা জটিলতায় জড়ানো চিত্রনায়ক শরিফুল ইসলাম রাজ আর নায়িকা পরীমনির সংসার, এই ভাঙে তো এই জোড়া লাগে! এরই মধ্যে কদিন ধরে গুঞ্জন উঠেছে ভেঙে গেছে তাদের সম্পর্ক! তবে বুধবার দুপুরেই জানা গেছে, স্বামী শরীফুল রাজকে ডিভোর্স দিয়েছেন আলোচিত অভিনেত্রী পরিমনি।
জানা যায়, ১৮ সেপ্টেম্বর রাজকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন পরীমনি। তবে এ বিষয়ে পরীমনি এবং শরিফুল রাজের অনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে তাদের একটি তালাকানামা। সেই তালাকনামায় পরীমনি বিচ্ছেদের চারটি কারণ উল্লেখ করেছেন।
কারণগুলো হলো―মনের অমিল হওয়া, ববিবনা না হওয়া, খোঁজখবর না নেওয়া ও মানসিক অশান্তি। মূলত এই চার কারণ উল্লেখ করেই পরীমনি রাজ বরাবর তালাকনামা পাঠিয়েছেন।
১৮ সেপ্টেম্বর রাজকে ডিভোর্স লেটারও পাঠিয়েছেন এই নায়িকা। এমন ইঙ্গিত অবশ্য পরী রেখেছিলেন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসেও।
১৭ সেপ্টেম্বর তিনি একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘কালকের দিনটা আমার জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন!’ তারপর একটি সাইনিং ইমো দিয়ে লেখেন, আল্লাহ ভরসা।
পরীর সেই স্ট্যাটাসে একজন শুভ কামনা জানিয়ে লেখেন, ‘দিনটি আনন্দময় ও মনের মতো হোক।’ জবাবে পরী লেখেন, ‘হোক, কষ্টের অবসান।’ পরীর এমন জবাবে অনেকেই তখন রাজের সাথে বিচ্ছেদের আভাস পেয়েছিলেন!
‘গুণিন’ সিনেমার সেটে শরিফুল রাজ-পরীমনির পরিচয় ও প্রেম হয়। পরে ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি প্রকাশ্যে আসে রাজ-পরীর সম্পর্কের খবর। গত বছরের ২২ জানুয়ারি দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ১০১ টাকা দেনমোহরে ঘরোয়া আয়োজনে তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। ২১ জানুয়ারি হয় তাদের গায়েহলুদের অনুষ্ঠান। রাজের সঙ্গে সংসারজীবনের ১০ মাসের মাথায় তার কোলজুড়ে আসে সন্তান।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য