× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Complaints of negligence in the recovery of dead bodies of 3 friends while visiting the Rohingya bride
google_news print-icon

রোহিঙ্গা কনে দেখতে গিয়ে লাশ ৩ বন্ধু, উদ্ধারে গাফিলতির অভিযোগ

রোহিঙ্গা-কনে-দেখতে-গিয়ে-লাশ-৩-বন্ধু-উদ্ধারে-গাফিলতির-অভিযোগ
প্রতীকী ছবি
রোহিঙ্গা নারীকে চতুর্থ স্ত্রী হিসেবে পাওয়ার শখ পূরণ হয়নি রুবেলের। তিন বন্ধু ২৫ দিন নিখোঁজের পর বুধবার রাতে টেকনাফের দমদমিয়া এলাকার পাহাড় থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাদের অপহরণ করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। এদিকে ভুক্তভোগীদের উদ্ধারে পুলিশের গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে।

কক্সবাজারের টেকনাফের জমির হোসেন রুবেল তিনটি বিয়ে করেও সংসার টেকাতে পারেননি। চতুর্থ বিয়ের জন্য উদগ্রীব রুবেল সন্ধান পান এক রোহিঙ্গা নারীর। তাকে দেখতে দুই বন্ধুকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন।

কিন্তু রোহিঙ্গা নারীকে স্ত্রী হিসেবে পাওয়ার শখ পূরণ হয়নি রুবেলের। তিন বন্ধু ২৫ দিন নিখোঁজের পর বুধবার রাতে টেকনাফের দমদমিয়া এলাকার পাহাড় থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাদের অপহরণ করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের।

এদিকে ভুক্তভোগীদের উদ্ধারে পুলিশের গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ওই রোহিঙ্গা নারীর নাম কোহিনুর আক্তার, মামলা সুরাহা করতে যাকে খুঁজছে পুলিশ। এ ছাড়া মিনা নামে আরেক রোহিঙ্গা নারীর নামও বলছেন পরিবারের সদস্যরা।

২৮ এপ্রিল নিখোঁজ হন তিন বন্ধু জমির হোসেন রুবেল, শেখ ইমরান সরকার ও মোহাম্মদ ইউছুপ। পরদিন রুবেলের মোবাইল ফোন নম্বর থেকে কল করে পরিবারের কাছে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবিসহ অপহৃতদের ওপর নিযার্তনের ভিডিও পাঠানো হয়।

ইউসুফের ভাই মো. ইউনুছ জানান, তার ভাই গত ২৮ এপ্রিল বিকেল ৪টার দিকে বাড়ি থেকে বের হন। এর তিন দিন পর একটি নম্বর থেকে একের পর এক কল করে ৫০ হাজার টাকা পাঠাতে করা হয়।

সর্বশেষ গত ১৫ মে পাঁচ লাখ টাকা পাঠাতে বলে তার ভাই জানান, ‘টাকা না দিলে আমাকে মেরে ফেলবে অপহরণকারীরা।’ এরপর আর কোনো যোগাযোগ হয়নি।

রুবেলের ভাগনি রূপা আক্তার অভিযোগ করেন, ‘রুবেল মামা এর আগে তিনটি বিয়ে করেন, তবে সব বিয়ে ভেঙে যায়। তাই বিয়ের জন্য তিনি নতুন পাত্রী খুঁজছিলেন। এর মধ্যে মামা কোহিনুর নামে এক রোহিঙ্গা নারীর ফাঁদে পড়েন। ওই নারীই কৌশলে মামা ও তার বন্ধুদের টেকনাফ নিয়ে অপহরণকারীদের হাতে তুলে দেন।’

পুলিশের গাফিলতির অভিযোগ

এদিকে ইমরানের বাবা মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ‘২৮ এপ্রিল থেকে ইমরানের খোঁজ নেই। সন্ধান চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গেলে আমাদের গুরুত্ব দেয়নি দুই থানার ওসি ও অফিসাররা। আমার ছেলেসহ তিনজনকে অপহরণের পর পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘অপহরণকারীরা নির্যাতন করছে, এমন ফুটেজ দেখিয়ে জিডি করতে গিয়ে হয়রানির শিকার হয়েছি। রহস্যজনক আচরণ করছে কক্সবাজার সদর থানা ও টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ। ওই দুই থানায় ঘুরতে ঘুরতে আমাদের পাঁচদিন সময় চলে গেছে। অভিযোগ এবং এর সপক্ষে কোনো প্রমাণকেই পাত্তা দিল না থানা। যদি তারা দ্রুত জিডি নিয়ে অভিযান চালাত ছেলেকে ফিরিয়ে পেতাম। এদের গাফিলতির কারণে এ অবস্থা।’

কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তিন বন্ধুর স্বজনরা মামলা ও জিডি করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তিনজন তো এখান থেকে নিখোঁজ হননি। তারা যেখান থেকে নিখোঁজ হয়েছেন, সেখানের থানায় মামলা করতে বলেছি। সর্বশেষ আমার থানায় জিডি এন্ট্রি করেছি। আমার থানায় তাদেরকে কোন হয়রানি করা হয়নি।’

নিহত ইমরানের মা হামিদা বেগম বলেন, ‘গত ২৯ এপ্রিল অপহরণকারীরা ইমরানের মোবাইল ফোন নম্বর থেকে কল করে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। আমরা ধার করে ইমরান ও রুবেলের নম্বরে বিকাশের মাধ্যমে এক লাখ এক হাজার টাকা দেই। বাকি টাকা দিতে না পারায় তাদের খুন করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘টেকনাফ থানায় আমার স্বামী ইব্রাহিম অন্তত সাতবার গিয়েছেন। কোনোবারই পুলিশ জিডি বা মামলা নেয়নি। কক্সবাজার সদর থানা কর্তৃপক্ষও জিডি বা মামলা রেকর্ড করেনি। এটাই কষ্ট আমাদের।’

অভিযোগ অস্বীকার করে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হালিম বলেন, ‘তাদের সঙ্গে আমার একবার দেখা হয়। তারা সদর থানায় জিডি করায় আমরা জিডি না নিয়ে স্বজনদের অভিযোগের পরপরই অপহৃত তিনজনকে উদ্ধারে কাজ শুরু করি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পরপরই স্বজনদের অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়।’

আরও পড়ুন:
সাবেক স্ত্রীর তথ্যে ধরা অপহরণকারী চক্রের হোতা
এক চক্রের হাতে অপহৃত ৫ শতাধিক শিশু
আতশবাজির প্রলোভন দেখিয়ে খুন, জন্মদিনে শিশুর মরদেহ উদ্ধার
৯৯৯-এ ফোন পেয়ে অপহৃতকে উদ্ধার, নারীসহ গ্রেপ্তার ৩
অপহরণ-মুক্তিপণের ‘হটস্পট’ পর্যটন নগরী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Accused of four murders released on bail for 28 lakhs 3 more murders
আশুলিয়ায় এক পরিবারের তিন সদস্য হত্যা

চার খুনের আসামি ‘২৮ লাখে’ জামিনে বেরিয়ে ফের ৩ খুন

চার খুনের আসামি ‘২৮ লাখে’ জামিনে বেরিয়ে ফের ৩ খুন শনিবার আশুলিয়া থেকে তিন মরদেহ উদ্ধারের পর সোমবার স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার হন সাগর। কোলাজ: নিউজবাংলা
সাগরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে র‍্যাব জানায়, কারাগারে থাকা অবস্থায় টাঙ্গাইলেরই এক প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে পরিচয় হয় সাগরের। ওই নেতা তার প্রতিপক্ষকে খুন করার জন্য সাগরের সঙ্গে চুক্তি করেন। খুনের বিনিময়ে জামিন এবং তার ভরণপোষণের দায়িত্ব নেন তিনি।

২০২০ সালে টাঙ্গাইলের মধুপুরে ২০০ টাকার জন্য একই পরিবারের চারজনকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে গলা কেটে হত্যা করেন সাগর আলী। ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাগরকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এরপর থেকে টাঙ্গাইল কারাগারে ছিলেন সাগর।

সাগরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে র‍্যাব জানায়, কারাগারে থাকা অবস্থায় টাঙ্গাইলেরই এক প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে পরিচয় হয় সাগরের। ওই নেতা তার প্রতিপক্ষকে খুন করার জন্য সাগরের সঙ্গে চুক্তি করেন। খুনের বিনিময়ে জামিন এবং তার ভরণপোষণের দায়িত্ব নেন তিনি।

চার খুনের আসামি হয়েও মাত্র সাড়ে তিন বছর কারাভোগ করে চলতি বছরের জুন মাসে জামিনে বের হন সাগর।

এ ব্যাপারে র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গ্রেপ্তার সাগর আমাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, টাঙ্গাইল কারাগারে বসবাসরত একজন রাজনৈতিক প্রভাবশালী ২৮ লাখ টাকা খরচ করে সাগরকে জামিনে বের করার ব্যবস্থা করেন। আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিজের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে খুন করতেই সাগরকে জামিনে বের করেন তিনি। ওই ব্যক্তি নিজেও হত্যা মামলার আসামি। খুনের বিনিময়ে সাগরকে জামিনে বের করা ও তার পরিবারের ভরণপোষণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ওই নেতা। সাগরের দেয়া প্রাথমিক এই তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘সাগর নিজেই বলেছেন, তিনি একজন সিরিয়াল কিলার। খুন করে তিনি পৈশাচিক আনন্দ পান।’

চার খুনের আসামি ‘২৮ লাখে’ জামিনে বেরিয়ে ফের ৩ খুন
সোমবার সাগর আলী ও তার স্ত্রী ঈশিতা বেগমকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। ছবি: নিউজবাংলা

সাগরের হিংস্রতার বর্ণনা দিয়ে র‍্যাবের মুখপাত্র বলেন, ‘সাগর যে চার খুন করে কারাগারে গিয়েছিলেন, ওই পরিবারের সদস্য ছিল ৬ জন। পরিবারটির বাকি দুজনকে খুন করতে না পারায় দুঃখ রয়েছে তার।’

চার খুনের পর তিন খুন সিরিয়াল কিলার সাগরের

সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, সাগর সাড়ে তিন বছর পর জামিনে বের হওয়ার কিছুদিন পর গত ২৮ সেপ্টেম্বর সাভার বারইপাড়া এলাকার একটা চায়ের দোকানে চা খাওয়ার সময় পাশেই এক কবিরাজি ও ভেষজ ওষুধের দোকানে মোক্তার হোসেন নামে একজনকে তার শারীরিক সমস্যার বিষয়ে চিকিৎসা নিয়ে কথা বলতে দেখেন। মোক্তার ওই দোকানে ভেষজ ও কবিরাজি চিকিৎসা বাবদ ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ করেও কোনো ফলাফল পাননি বলে জানতে পারেন সাগর।

তিনি বলেন, ‘সাগর কৌশলে মোক্তারকে ডেকে নিয়ে আলাপচারিতায় ভেষজ ও কবিরাজি চিকিৎসার প্রতি তার আগ্রহ ও আস্থার কথা জানতে পারেন। এসময় নিজের ও তার পরিবারের সদস্যদের বেশকিছু শারীরিক সমস্যার কথাও সাগরকে জানান মোক্তার। সাগর তাকে জানান, তার স্ত্রী একজন ভালো কবিরাজ এবং সে তার সমস্যার সমাধান করে দেবে। আশ্বাস দিয়ে কথাবার্তার এক পর্যায়ে সাগরের সঙ্গে ৯০ হাজার টাকার চুক্তি করেন মোক্তার। সাগর ও তার স্ত্রী পরদিন সকালে ওষুধসহ তার বাসায় গিয়ে চিকিৎসা করবে বলে জানান।’

র‍্যাবের মুখপাত্র বলেন, ‘বাসায় গিয়ে সাগর স্ত্রী ঈশিতাকে পুরো ঘটনা ও পরিকল্পনার কথা জানান। বিপুল অঙ্কের অর্থ পাওয়ার আশায় রাজি হন ঈশিতা। ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অর্থসহ মূল্যবান সামগ্রী লুট করার পরিকল্পনা করে সাগর গাজীপুরের মৌচাক এলাকার একটি ফার্মেসি থেকে এক বক্স ঘুমের ওষুধ কেনেন।’

র‍্যাব জানায়, পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে সাগর ও তার স্ত্রী গাজীপুরের মৌচাক থেকে মোক্তারের সঙ্গে জামগড়া মোড়ে সাক্ষাৎ শেষে বাসায় যান। সেখানে প্রাথমিক পরিচয়ের পর সাগরের স্ত্রী ঈশিতা তাদের সমস্যার কথা শোনেন এবং ইসবগুলের শরবতের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে তাদের ভেষজ ও কবিরাজি চিকিৎসার ওষুধ বলে খাওয়ান।

চার খুনের আসামি ‘২৮ লাখে’ জামিনে বেরিয়ে ফের ৩ খুন
শনিবার রাত ১০টার দিকে ফ্ল্যাট থেকে এক পরিবারের তিনজনের মরদেহ উদ্ধার হলে আশুলিয়ার ইউনিক ফকিরবাড়ী মোড় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। ছবি: নিউজবাংলা

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘মোক্তার, তার স্ত্রী ও ছেলে ঘুমের ওষুধের প্রভাবে ঘুমিয়ে পড়লে সাগর ও তার স্ত্রী মিলে মোক্তার ও তার স্ত্রীর হাত-পা বাঁধেন। পরে তারা মোক্তারের মানিব্যাগ, তার স্ত্রীর ভ্যানিটি ব্যাগ ও বাসার অন্য জায়গায় অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রীর জন্য তল্লাশি করে মাত্র পাঁচ হাজার টাকা পান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বটি দিয়ে প্রথমে মোক্তারের গলা কেটে হত্যা করেন সাগর। পরে ছেলে ও স্ত্রীকে একই বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। পালানোর আগে তারা মোক্তারের হাতে থাকা আংটিও খুলে নিয়ে যান।’

র‍্যাব জানায়, ‘মোক্তার হোসেন ও তার স্ত্রী সাহিদা বেগম আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। তার সন্তান মেহেদী হাসান জয় স্থানীয় একটি স্কুলে সপ্তম শিক্ষার্থী।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর সাভারের আশুলিয়া জামগড়া এলাকায় বহুতল ভবনের চতুর্থ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে ভবনের অন্য ভাড়াটিয়ারা বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানায়। পরে ফ্ল্যাট থেকে মোক্তার, তার স্ত্রী সাহিদা ও তাদের ১২ বছরের শিশু সন্তান মেহেদীর অর্ধগলিত গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ হত্যাকাণ্ডের পর রোববার আশুলিয়া থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা হয়। ওই মামলায় কথিত কবিরাজ ও সিরিয়াল কিলার সাগর আলী ও তার স্ত্রী ইশিতা বেগমকে সোমবার দিবাগত রাতে গাজীপুরের শফিপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৪-এর একটি দল।

গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় হত্যাকাণ্ডের সময় মোক্তারের কাছ থেকে লুট করা আংটি।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার দম্পতি র‍্যাবকে জানিয়েছে, প্রথমে অর্থের লোভে ও পরে কাঙ্ক্ষিত অর্থ না পেয়ে ক্ষোভ থেকে তাদের হত্যা করা হয়।’

আরও পড়ুন:
কবিরাজির নামে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে করা হয় অচেতন
আশুলিয়ায় তিন খুনের রহস্য উদ্‌ঘাটন, এক দম্পতি আটক

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Family not giving marriage Youth in police station with suicide note

বিয়ে দিচ্ছে না পরিবার, সুইসাইড নোট নিয়ে থানায় কিশোর

বিয়ে দিচ্ছে না পরিবার, সুইসাইড নোট নিয়ে থানায় কিশোর ২০ টাকার স্ট্যাম্পে যুবকের হাতে লেখা সুইসাইড নোট। ছবি: নিউজবাংলা
আশুলিয়া থানার এসআই নোমান ছিদ্দিক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ছেলেটির পরিবারের কাছে গিয়ে জানতে পারি একটি মেয়ের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে। সম্প্রতি ছেলেটি ওই মেয়েটিকে বিয়ে করতে চায়। কিন্তু তার পরিবার এখনি সেই বিয়েতে সম্মত ছিলো না। এতেই ক্ষোভে-দুঃখে আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয় ছেলেটি।’

ঢাকার সাভারে বিশ টাকার স্ট্যাম্পে সুইসাইড (আত্মহত্যা) নোট লিখে নিজেই থানায় হাজির হয়েছেন এক কিশোর।

সাভারের আশুলিয়া থানায় পুলিশের ডিউটি অফিসারের সামনে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সুইসাইড নোটসহ ওই কিশোরকে বসে থাকতে দেখা যায়।

আত্মহননের সিদ্ধান্ত নেয়া ওই কিশোর আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের কলতাসূতি গ্রামের বাসিন্দা এবং আব্দুল মান্নান ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী।

এ সময় থানার পুলিশ কর্মকর্তারা ওই যুবককে বুঝিয়ে আত্মহত্যা থেকে বিরত রাখেন।

প্রেমিকাকে নিয়ে তার পরিবারের সাথে সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণেই তিনি এমন আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং তার মৃত্যুর পর পরিবার যাতে আইনি জটিলতায় না পড়ে সে জন্যই তিনি থানায় এসেছেন বলে নিউজবাংলাকে জানান।

সুইসাইড নোটে ওই যুবক লেখেন, আমি মো. শিমুল হাসান, বাংলাদেশের একজন নাগরিক। আমার বয়স ১৮। অতএব আমি প্রাপ্তবয়স্ক। আমি আমার বুঝ বুঝতে শিখেছি। অতএব, আমি শিমুল হাসান সজ্ঞানে চিন্তাভাবনা করিয়া এই মর্মে অঙ্গীকার করিতেছি যে, ভবিষ্যতে আমার যদি কোন প্রকার ক্ষতি হয় বা আমি মারা যাই এর জন্য এই পৃথিবীর কেউ দায়ী থাকবে না।

আমার মৃত্যুর জন্য কেবল আমি নিজেই দায়ী। আমার কোন ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার পর আইন যাতে আমার পরিবার অন্য কারও উপর কোন প্রকার হয়রানি করতে না পারে।

আশুলিয়া থানার এসআই নোমান ছিদ্দিক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাতে সুইসাইড নোট লিখে ডিউটি অফিসারের রুমে জমা দিতে এসেছিলেন এক যুবক। পরে বিষয়টি আমার নজরে আসলে তার সাথে কথা বলি। এক পর্যায়ে বুঝিয়ে তাকে তার পরিবারের কাছে নিয়ে যাই।

‘সেখানে গিয়ে জানতে পারি ছেলেটির পরিবার অনেক দরিদ্র। তার বাবা একজন কৃষক। একটি মেয়ের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে। সম্প্রতি ছেলেটি ওই মেয়েটিকে বিয়ে করতে চায়। কিন্তু তার পরিবার এখনি সেই বিয়েতে সম্মত ছিলো না। কারণ আরও কিছুটা প্রাপ্ত বয়স্ক হলে তারপর তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেবে। এতেই ক্ষোভে-দুঃখে আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয় ছেলেটি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি ছেলেটির বাবা-মা ও আত্মীয়দের সাথে কথা বলেছি। ছেলেটিকেও বুঝিয়ে তার পরিবারের জিম্মায় দিয়ে এসেছি। এখন সবকিছু স্বাভাবিক আছে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Disappeared with money saying to increase blessings by blowing

ফুঁ দিয়ে বরকত বাড়ানোর কথা বলে টাকা নিয়ে উধাও

ফুঁ দিয়ে বরকত বাড়ানোর কথা বলে টাকা নিয়ে উধাও টাকা হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই গৃহবধূ। ছবি: নিউজবাংলা
প্রতারক প্রথমে ওই টাকা থেকে ১ হাজার টাকা ফুঁ দিয়ে আলাদা রাখেন। এরপর গৃহবধূ কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাকি ৩০ হাজার টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায় চক্রটি।

মৌলভীবাজার জেলার জুড়ীতে ফুঁ দিয়ে বরকত বাড়ানোর কথা বলে এক গৃহবধূর টাকা নিয়ে সটকে পড়েছে প্রতারক চক্র।

সোমবার দুপুরে উপজেলার কামিনীগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, মেয়েকে কলেজে ভর্তি করতে পূবালী থেকে ৩১ হাজার টাকা উত্তোলন করেন উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের কালিনগর গ্রামের দুবাই প্রবাসী আব্দুল মতিনের স্ত্রী গৃহবধূ শাহিদা বেগম। তার টাকার ‍ুপর নজর গেলে তা আত্মসাতের পরিকল্পনা আঁটে চক্রটি। ব্যাংক থেকে বের হওয়ার পর টাকায় বরকত বাড়ানোর কথা বলে ওই গৃহবধূর টাকাগুলো এক প্রতারকের হাতে দিতে বলেন অন্য প্রতারকরা। প্রতারকদের কথা শুনে সরল বিশ্বাসে তিনি টাকাগুলো তার হাতে তুলে দেন।

প্রতারক প্রথমে ওই টাকা থেকে ১ হাজার টাকা ফু দিয়ে আলাদা রাখেন। এরপর গৃহবধূ কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাকি ৩০ হাজার টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায় তারা। কিছুক্ষণ পর বিষয়টি বুঝতে পেরে হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করেন ওই গৃহবধূ। বিষয়টি দেখে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে তিনি ঘটনাটি সবিস্তারে বর্ণনা করেন।

গত ২৬ সেপ্টেম্বর বড়লেখা উপজেলায় একই কায়দায় সুজানগর ইউপির বড়থল গ্রামের কাতার প্রবাসী ছুয়াব আলীর স্ত্রী ছাবিয়া বেগমের কাছ থেকে কৌশলে ৭৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়‌ প্রতারক চক্র। প্রতারক চক্রের এমন ঘটনায় জেলাজুড়ে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।

জুড়ী থানার ওসি মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আরও পড়ুন:
বরিশালে তৈরি হচ্ছিল নকল স্বর্ণের বার
স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে গৃহবধূর অবস্থান
৯৩ হাজারের চেক হয়ে গেল ৫ লাখ ৯৩ হাজার!
হত্যার তদন্তে বেরিয়ে এলো ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’
অনলাইন জুয়া: এক মাসে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Fake gold bars were being manufactured in Barisal

বরিশালে তৈরি হচ্ছিল নকল স্বর্ণের বার

বরিশালে তৈরি হচ্ছিল নকল স্বর্ণের বার আটক জসিমের বসতঘরে তল্লাশি চালিয়ে ৬টি স্বর্ণের বার সদৃশ বস্তু, ১২টি পিতলের বারসহ নকল স্বর্ণ প্রস্তুত করার সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে পুলিশ। ছবি: নিউজবাংলা
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার তোতা মিয়া বলেন, ‘এ চক্রটি মূলত নগরের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল ও এর আশপাশের এলাকাকে কেন্দ্র করে প্রতারণার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল। গ্রাম থেকে আসা সহজ-সরল মানুষকে টার্গেট করত তারা।’

বরিশালে নকল স্বর্ণের বার তৈরির সময় জসিম হাওলাদার নামে প্রতারক চক্রের এক সদস্যকে আটক করেছে মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ। তবে চক্রের অপর ৫ সদস্য কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।

আটককালে ছয়টি নকল স্বর্ণের বার, ১২টি পিতলের বার (পিতলের চামচ কেটে বানানো টুকরো) ও নকল স্বর্ণ তৈরির সরমাঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় আটককৃত জসিমসহ চক্রের পলাতক ৫ সদস্যকে আসামি করে মঙ্গলবার বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউনিয়া থানায় মামলা করেছেন ডিবি পুলিশের এসআই ফখর উদ্দীন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডিবি অ্যাডমিন এন্ড ক্রাইম) মো. তোতা মিয়া।

পুলিশ জানায়, বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল চক্রটি। বিষয়টি বেশ কিছুদিন থেকে নজরদারিতে রেখেছিল পুলিশ। সোমবার রাতে বরিশাল মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, নগরের কাউনিয়া প্রথম গলির একটি বাসায় নকল স্বর্ণ তৈরি করা হচ্ছে। তাৎক্ষণিক ফোর্স নিয়ে ডিবির এসআই মো. ফখর উদ্দীন ও এএসআই মো. জামাল হোসাইন ওই এলাকায় অভিযান চালান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রতারক চক্রের ৫ সদস্য পালিয়ে গেলেও প্রতারক জসিম হাওলাদারকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এ সময় জসিমের বসতঘরে তল্লাশি চালিয়ে ৬টি স্বর্ণের বার সদৃশ বস্তু, ১২টি পিতলের বারসহ নকল স্বর্ণ প্রস্তুত করার সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় ডিবির এসআই মো. ফখর উদ্দীন বাদী হয়ে আটককৃত ৩২ বছর বয়সী জসিমসহ পালিয়ে যাওয়া প্রতারক চক্রের সদস্য আগৈলঝাড়া থানার নাগার গ্রামের মৃত মাহেন্দ্রনাথ বল্লভের ছেলে ৪৫ বছর বয়সী অপু ঘোষ ওরফে মঙ্গল বল্লভ, কাউনিয়া সাধুর বটতলা এলাকার বাসিন্দা বাদশার ছেলে ৩০ বছর বয়সী সুমন, কাউনিয়া বাসু মিয়ার গলির ভাড়াটিয়া ৩২ বছর বয়সী এমরান, পুরানপাড়া এলাকার ৩৫ বছর বয়সী কালু ও কাউনিয়া হাউজিং এলাকার মফিজকে আসামি করে মেট্রোপলিটন কাউনিয়া থানায় মামলা করেন।

মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডিবি এডমিন এন্ড ক্রাইম) মো. তোতা মিয়া বলেন, ‘এ চক্রটি মূলত নগরের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল ও এর আশপাশের এলাকাকে কেন্দ্র করে প্রতারণার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল। গ্রাম থেকে আসা সহজ-সরল মানুষকে টার্গেট করত তারা।

‘একজনকে যখন আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে, বাকি স্বর্ণ প্রতারকদেরও ধরা সম্ভব হবে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

আরও পড়ুন:
১০ সেকেন্ডেই মোটরসাইকেল হাওয়া করে দিত ওরা
অ্যাম্বুলেন্সে গাঁজা বহন, মন্ত্রী-মেয়রের নামে ফেসবুকে ক্ষোভ
কবিরাজির নামে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে করা হয় অচেতন
শিশুকে তাড়ি খাইয়ে ধর্ষণচেষ্টা, যুবক গ্রেপ্তার
কুমিল্লায় অটোরিকশাচালক সঞ্জিত হত্যার ঘটনায় পাঁচজন গ্রেপ্তার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The hospital is empty on the news of the arrival of the magistrate

ম্যাজিস্ট্রেট আসার খবরে হাসপাতাল ফাঁকা

ম্যাজিস্ট্রেট আসার খবরে হাসপাতাল ফাঁকা কুমিল্লায় মঙ্গলবার স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযানে এক হাসপাতালকে জরিমানা ও সিলগালা করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা
অভিযানে উপস্থিত থাকা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘হাসপাতালটি অনুমতি ছাড়া অস্ত্রোপচার, রোগী ভর্তি, বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষা চালিয়ে আসছিল। এছাড়াও হাসপাতালে গিয়ে কোন ডিউটি ডাক্তার বা কর্তৃপক্ষকে পাওয়া যায় নি। এমন অভিযোগে তাদের দুই লাখ টাকা জরিমানা ও প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়। স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

কুমিল্লায় ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযান থেকে বাঁচতে হাসপাতাল একদম ফাঁকা করে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

কুমিল্লা নগরীর টমছম ব্রিজ এলাকায় অবস্থিত ‘কুইন্স হাসপাতালে’ মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে।

নিয়ম অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছিলো না এমন অভিযোগে হাসপাতালটির বিরুদ্ধে অভিযানে যায় কুমিল্লা স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট।

অভিযানে গিয়ে প্রথমে হাসপাতালে রোগী, চিকিৎসক,নার্সসহ কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীও খোঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানান অভিযান পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ।

কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ইমদাদুল হক তালুকদারের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. মেহেদী হাসান ও ডা. মো. আবদুল কাইয়ুম উপস্থিত ছিলেন।

অভিযানের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, হাসপাতালটির কোনো লাইসেন্স কিংবা অনুমতিপত্র ছিল না। নিয়ম না মেনেই সাত তলা আবাসিক ভবনের পাঁচটি ফ্লোরের ফ্ল্যাট গুলোকে কেবিন ও ওয়ার্ড বানিয়ে কুইন্স ডিজিটাল হাসপাতাল নামের কথিত এই সেবা কেন্দ্র খোলা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে নগরীর এই গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কোনো ডিউটি চিকিৎসক ছাড়াই সেবা দিয়ে আসছিল।

হাসপাতালে অভিযানের ভয়ে সকাল থেকেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাসপাতাল রেখে পালিয়ে যায়। যদিও ভবনের কেয়ারটেকার জানায় তিন মাসের ভাড়া বকেয়া থাকায় তাদের চলে যেতে বলা হয়েছে। এসময় বিভিন্ন মাধ্যমের সহযোগিতা নিয়ে ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ডেকে এনে এর কারণ জিজ্ঞেস করা হয়। পরে কোন কাগজপত্র না দেখাতে পারায় দুই লাখ টাকা জরিমানা ও প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়।

অভিযানে উপস্থিত থাকা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘হাসপাতালটি অনুমতি ছাড়া অস্ত্রোপচার, রোগী ভর্তি, বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষা চালিয়ে আসছিল। এছাড়াও হাসপাতালে গিয়ে কোন ডিউটি ডাক্তার বা কর্তৃপক্ষকে পাওয়া যায় নি। এমন অভিযোগে তাদের দুই লাখ টাকা জরিমানা ও প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়। স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

সিনিয়র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক বলেন, ‘অভিযান পরিচালনাকালে কুইন্স হাসপাতাল তাদের বৈধতার কোন কাগজ দেখাতে পারিনি। তাই তাদেরকে জরিমানা ও সিলগালা করা হয়েছে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
They used to wind the motorcycle in 10 seconds

১০ সেকেন্ডেই মোটরসাইকেল হাওয়া করে দিত ওরা

১০ সেকেন্ডেই মোটরসাইকেল হাওয়া করে দিত ওরা মঙ্গলবার চট্টগ্রামের মিরসরাই ও জোরারগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রটির মূল হোতাসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ছবি: নিউজবাংলা
পুলিশ জানায়, চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করত চক্রটি। পরে অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিয়ে এবং অন্যান্য চোরচক্রের সঙ্গে যোগযোগ করে সেগুলো বিক্রি করে আসছিল তারা।

খুবই দক্ষ চোর চক্রটি। মাত্র ১০ সেকেন্ডেই একেকটি মোটরসাইকেল হাওয়া করে দেয়ার সক্ষমতা রাখে তারা। চট্টগ্রামের ফুটপাত, বাসাবাড়ি কিংবা অফিসের পার্কিং থেকে একের পর এক মোটরসাইকেল উধাও হয়ে যাওয়ার পর অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়েছে চক্রটি।

মঙ্গলবার চট্টগ্রামের মিরসরাই ও জোরারগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের মূল হোতা রায়হানসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় ৭টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করত চক্রটি। পরে অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিয়ে এবং অন্যান্য চোরচক্রের সঙ্গে যোগযোগ করে সেগুলো বিক্রি করে আসছিল তারা।

মহানগর গোয়েন্দা বিভাগ (উত্তর ও দক্ষিণ) পুলিশের উপকমিশনার নিহাদ আদনান তাইয়ান বলেন, ‘নগরীর হালিশহর থানাধীন বড়পোল এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোটরসাইকেল চোর চক্রের মূলহোতা আব্দুল্লাহ আল রায়হান, তার সহযোগী ইরফাদুল আলম ও আক্তার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বাকিদের আটক করা হয়।’

আরও পড়ুন:
অ্যাম্বুলেন্সে গাঁজা বহন, মন্ত্রী-মেয়রের নামে ফেসবুকে ক্ষোভ
কবিরাজির নামে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে করা হয় অচেতন
শিশুকে তাড়ি খাইয়ে ধর্ষণচেষ্টা, যুবক গ্রেপ্তার
কুমিল্লায় অটোরিকশাচালক সঞ্জিত হত্যার ঘটনায় পাঁচজন গ্রেপ্তার
অস্ত্রসহ আরসা প্রধানের একান্ত সহকারী গ্রেপ্তার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Anger on Facebook in the name of the minister mayor carrying cannabis in the ambulance

অ্যাম্বুলেন্সে গাঁজা বহন, মন্ত্রী-মেয়রের নামে ফেসবুকে ক্ষোভ

অ্যাম্বুলেন্সে গাঁজা বহন, মন্ত্রী-মেয়রের নামে ফেসবুকে ক্ষোভ গাজীপুরে কালিয়াকৈর পৌরসভার নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্সে গাঁজাসহ চালক গ্রেপ্তারের ঘটনায় একটি পক্ষ মন্ত্রী ও মেয়রের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাতে দেখা যায়। ছবি: সংগৃহীত
পরশুরাম থানার ওসি রবিউল ইসলাম বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মাদকসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় পৌর অ্যাম্বুলেন্সে ও দুটি স্মার্ট মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। ঘটনায় মাদক মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার দুজনকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।’

গাজীপুরের কালিয়াকৈর পৌরসভার নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্সে গাঁজাসহ চালক ও এক যাত্রীকে আটক করে মামলা দিয়েছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।

রংপুরের পরশুরাম থানা এলাকায় পুলিশ ১৫ কেজি গাঁজাসহ রোববার রাত ৩টার দিকে তাদের আটক করে। এসময় মোতাহার হোসেন নামে অপর এক যাত্রী কৌশলে পালিয়ে যায়।

মামলার পর আসামি দুজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পরশুরাম থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তার কালিয়াকৈর পৌরসভার অ্যাম্বুলেন্স চালক ৩৫ বছর বয়সী ছানোয়ার হোসেন মানিকগঞ্জের সদর থানার দেড়গ্রাম এলাকার বাসিন্দা। অপর গ্রেপ্তার ২১ বছর বয়সী রাকিব শেখ পাবনার সাথিয়া উপজেলার আত্রাইশুখা গোপালপুর এলাকার বাসিন্দা।

পরশুরাম থানার ওসি রবিউল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মাদকসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় পৌর অ্যাম্বুলেন্সে ও দুটি স্মার্ট মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। ঘটনায় মাদক মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার দুজনকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।’

গ্রেপ্তারের ঘটনায় কালিয়াকৈর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ সোমবার অ্যাম্বুলেন্সের চালককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছে।

গাজীপুরের কালিয়াকৈর পৌরসভা জানায়, ছানোয়ার হোসেন প্রায় দুই বছর ধরে কালিয়াকৈর পৌরসভার অ্যাম্বুলেন্সে চালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। রোববার ওই চালক কালিয়াকৈর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড এলাকা থেকে একটি লাশ নিয়ে রংপুরের যান। কিন্ত ওইদিন রাতে লাশ রেখে ফেরার পথে পৌর এ্যাম্বুলেন্সটি আটক করে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।

পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুল আলম তালুকদার বলেন, ‘যাত্রী বহনের অভিযোগে প্রায় ছয় মাস আগেও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ওই চালককে শোকজ করেছিল।’

ঘটনার পর থেকেই গ্রেপ্তার ছানোয়ারের পৃষ্টপোষক হিসেবে দাবি করে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং কালিয়াকৈর পৌর মেয়র মজিবুর রহমানের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পক্ষকে প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পৌরসভার অনেকে বাসিন্দাকেই ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এটা অ্যাম্বুলেন্স চালকের বিষয়। এটা মন্ত্রী মহোদয়ের কোনো বিষয় নয়। তার সম্মানহানী করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন একটি কুচক্রী মহল। তবে দলীয় ভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’

পৌরসভার মেয়র মজিবুর রহমান বলেন, ‘মানুষের সেবা করার জন্য অ্যাম্বুলেন্স চালু আছে। রোগী বা লাশ বহন শেষে চালক অ্যাম্বুলেন্সে যাত্রী নিয়ে আসায় এ সমস্যা ঘটেছে। এখানে পৌরসভা কোন ভাবে দায়ী নয়। কিন্তু একটি চক্র মন্ত্রী মহোদয় ও আমাকে হেয় করার জন্য এটাকে ভিন্নভাবে মিথ্যা অপপ্রচার করছেন।’

মন্তব্য

p
উপরে