× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Parcel trap of 2 Nigerians with Bangladeshis
google_news print-icon

বাংলাদেশিদের সঙ্গে নিয়ে ২ নাইজেরিয়ানের পার্সেল ফাঁদ

বাংলাদেশিদের-সঙ্গে-নিয়ে-২-নাইজেরিয়ানের-পার্সেল-ফাঁদ
র‌্যাবের অ্যাডিশনাল ডিআইজি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘গ্রেপ্তার চার্লস ২০১৯ সালে ভ্রমণ ভিসায় বাংলাদেশে আসেন। মাদক মামলায় পলাতক অবস্থায় কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন তিনি। চার্লসই এ আন্তর্জাতিক প্রতারক চক্রের মূল হোতা।’

বিদেশ থেকে মূল্যবান পার্সেল পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাত করে আসছিল একটি চক্র। র‌্যাবে অভিযানে রাজধানী ঢাকা থেকে ওই চক্রটির চার সদস্য গ্রেপ্তার হয়েছেন। এদের মধ্যে নাইজেরিয়ার দুই নাগরিকও রয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

বুধবার র‌্যাব-১০-এর একটি দল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে চার্লস ইফানাডি উডেজে (CHARLES IFENNADE UDEZUE) ও ফ্রাঙ্ক কোকো ওবিয়ের্ক্স (FRANK COCO OBIERKS) নাইজেরিয়ার নাগরিক এবং শফি মোল্লা ও মৌসুমি খাতুন বাংলাদেশি।

গ্রেপ্তারকালে তাদের কাছ থেকে ১টি মোটরসাইকেল ও ৮টি মোবাইল সেটসহ প্রতারণায় ব্যবহৃত ভুয়া ইনভয়েস (চালান) উদ্ধার করেছে র‌্যাব।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব-১০-এর অধিনায়ক অ্যাডিশনাল ডিআইজি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন।

তিনি বলেন, ‘মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান এলাকার এক নারীর সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে বিদেশি এক ব্যক্তির পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে ওই ব্যক্তি ১৭ মে নারীর ঠিকানায় একটি পার্সেল পাঠিয়েছেন জানিয়ে এয়ারপোর্ট থেকে তা সংগ্রহ করতে বলেন।

‘১৮ মে ওই নারী হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গেলে কাস্টমসের পরিচয় দিয়ে অজ্ঞাতনামা এক নারী তাকে জানান, তার নামে একটি অতি মূল্যবান পার্সেল এসেছে। পার্সেলটি ডেলিভারি করতে কাস্টমস চার্জ হিসেবে ৬০ হাজার টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করতে বলেন তিনি।’

বাংলাদেশিদের সঙ্গে নিয়ে ২ নাইজেরিয়ানের পার্সেল ফাঁদ

ডিআইজি ফরিদ উদ্দিন আরও বলেন, ‘অজ্ঞাতনামা নারীর কথা অনুযায়ী ভুক্তভোগী ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ৩৫ হাজার টাকা দেন। এরপর ওই নারী পুনরায় ভুক্তভোগীকে সিকিউরিটি বাবদ আরও ৩০ হাজার টাকা জন্য বিভিন্নভাবে চাপ দিতে থাকেন। ভুক্তভোগী তার কথা অনুযায়ী আগের অ্যাকাউন্টে আরও ৩০ হাজার টাকা পাঠান।

‘পরে পার্সেলর জন্য ভুক্তভোগী মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে ওই নারী জানান, পার্সেল তার বাসায় পৌঁছে যাবে। সে সঙ্গে উল্টাপাল্টা কথা বলে আরও ৮ হাজার ৩২০ টাকা বিকাশের মধ্যমে পাঠানোর জন্য বললে ভুক্তভোগীর সন্দেহ হয়। এরপর তিনি আত্মীয়দের সঙ্গে বিষয়টি আলোচনা করে র‌্যাবের কাছে অভিযোগ করেন।’

র‌্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া আইডি খুলে বিভিন্ন প্রোফাইল ঘেটে ঘেটে ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী ও উচ্চবিত্তসহ সহজ-সরল মানুষদের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাতেন। টার্গেটের কাছে উন্নত দেশের ধনী ব্যক্তি হিসেবে নিজের পরিচয় দিয়ে তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপনের মাধ্যমে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতেন।

সম্পর্ক গভীর করার জন্য প্রতারক এক পর্যায়ে উপহার পাঠাতে চান। উপহারের মিথ্যা নাটক তৈরি করে প্রতারক চক্রের এক সদস্য কাস্টমস অফিসার সেজে ভুক্তভোগীকে ফোন করেন। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী বন্ধুত্বের মান রাখতে পার্সেল গ্রহণ করার জন্য প্রতারক চক্রটির জালে ধরা পড়ে অর্থ খোয়ায়।

যেভাবে গড়ে ওঠে প্রতারক চক্রটি

অ্যাডিশনাল ডিআইজি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘গ্রেপ্তার চার্লস ২০১৯ সালে ভ্রমণ ভিসায় বাংলাদেশে আসেন। মাদক মামলায় তার পাসপোর্ট আদালতে জব্দ রয়েছে বলে জানা গেছে। পরবর্তীতে তিনি পলাতক অবস্থায় কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন। তিনিই এই আন্তর্জাতিক প্রতারক চক্রের মূল হোতা।

‘গ্রেপ্তার ফ্রাঙ্ক ২০২১ সালে ভ্রমণ ভিসায় বাংলাদেশে আসার পর চার্লসের সঙ্গে পরিচয়ে হয়। পরবর্তীতে চার্লসের সঙ্গে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন এবং নিজেকে গার্মেন্টস ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দেন ফ্রাঙ্ক।’

ফ্রাঙ্ক চার্লসের প্রধান সহযোগী হিসেবে কাজ করে আসছিলেন বলে জানান র‌্যাবের এ কর্মকর্তা।

তিনি আরও বলেন, ‘ফ্রাঙ্ক ও চার্লস বঙ্গবাজারের শফি মোল্লার কাছ থেকে কাপড় কিনে নাইজেরিয়াতে রপ্তানি করত। ব্যবসার আড়ালে শফি মোল্লা প্রতারক চক্রটির বাংলাদেশি সহযোগী হিসেবে কাজ করত।

‘গ্রেপ্তার মৌসুমি খাতুন ২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সৌদি আরবে ছিলেন। সেখানে কাজ করার সুবাদে তিনি ইংরেজি ও আরবি ভাষায় পারদর্শী। দেশে ফিরে জীবিকা নির্বাহের জন্য বঙ্গবাজারসহ বিভিন্ন গার্মেন্টসে দোভাষীর কাজ করতেন তিনি। এক পর্যায়ে এ প্রতারক চক্রের সঙ্গে পরিচয় হয় মৌসুমির। বাংলাদেশে চক্রটির প্রধান সহযোগী তিনি।’

আরও পড়ুন:
৩০ সেকেন্ডে চুরি, মোটরসাইকেল যায় হবিগঞ্জ
সরকারি কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা, অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে চক্র
‘র‌্যাপিড ক্যাশ’ চক্রের টার্গেটে বাংলাদেশসহ তিন দেশ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Former MP of Jhenaidah Tahjeev arrested

ঝিনাইদহের সাবেক এমপি তাহজীব গ্রেপ্তার

ঝিনাইদহের সাবেক এমপি তাহজীব গ্রেপ্তার ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী। ছবি: বাসস
জামায়াতে ইসলামীর কর্মী ও ঝিনাইদহ সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক আবদুস সালাম হত্যা মামলার আসামি তাহজীব। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

জামায়াতে ইসলামীর কর্মী ও ঝিনাইদহ সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক আবদুস সালাম হত্যা মামলার আসামি তিনি। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ঢাকার সাভারে বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে অভিযান চালিয়ে সাবেক এমপিকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

র‌্যাবের বরাত দিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, জামায়াতের কর্মী হত্যা ছাড়াও ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক এমপি তাহজীব আলম সিদ্দিকের নামে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির কার্যালয় ও জেলা বিএনপির সভাপতি এমএ মজিদের বাড়িতে আগুন ও ভাঙচুরের দুটি মামলা রয়েছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সাভারের নবীনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আরও পড়ুন:
সুনামগঞ্জের সাবেক এমপি মানিক গ্রেপ্তার
দুর্গাপূজা কেন্দ্র করে ঢাকায় কোনো হুমকি নেই: ডিএমপি কমিশনার
চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার ঠাকুরগাঁওয়ের সাতবারের এমপি দবিরুল
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা কামাল নাসের চৌধুরী গ্রেপ্তার
জামিনে মুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীরা নজরদারিতে রয়েছে: ডিএমপি কমিশনার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
ACC inquiry against former whip Iqbalur Rahim and family

সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম ও পরিবারের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান

সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম ও পরিবারের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম। ছবি: বাসস
দিনাজপুর সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম, তার স্ত্রী নাদিরা সুলতানা, দুই মেয়ে ইশরাক মারজিয়া ও রাইসা মুমতাহিনা এবং এক ছেলে রাফিদুর রহিমের নামে-বেনামে দিনাজপুর সদর ও জেলার অন্য উপজেলাগুলোতে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় কোনো জমি, অবকাঠামো, মিল, কারখানা বা অন্য কোনো মূল্যবান সম্পদ কেনা হয়ে থাকলে ওই দলিলের অনুলিপি অনুসন্ধান করে তথ্য প্রদানের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।  

দিনাজপুর-৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম, তার স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলের নামে-বেনামে বিগত সময়ে ক্রয়কৃত সম্পদের দলিলপত্র অনুসন্ধান করে অনুলিপি দিতে জেলা রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এ তথ্য বৃহস্পতিবার রাতে নিশ্চিত করেন দিনাজপুর জেলা রেজিস্ট্রার মো. সাজেদুল হক।

তিনি বলেন, গত ৬ নভেম্বর বিকেলে ডাকযোগে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশপত্র দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয় থেকে পেয়েছেন।

দিনাজপুর সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম, তার স্ত্রী নাদিরা সুলতানা, দুই মেয়ে ইশরাক মারজিয়া ও রাইসা মুমতাহিনা এবং এক ছেলে রাফিদুর রহিমের নামে-বেনামে দিনাজপুর সদর ও জেলার অন্য উপজেলাগুলোতে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় কোনো জমি, অবকাঠামো, মিল, কারখানা বা অন্য কোনো মূল্যবান সম্পদ কেনা হয়ে থাকলে ওই দলিলের অনুলিপি অনুসন্ধান করে তথ্য প্রদানের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন:
সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ গ্রেপ্তার
হুইপ সামসুলকে জয়ী করার শপথ পটিয়া ছাত্রলীগ সভাপতির
শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী রেখেই নির্বাচন হবে: চিফ হুইপ
গোল্ডেন ৫ পাওয়া সুমাইয়ার দায়িত্ব নি‌লেন চিফ হুইপ
বিমানবন্দরে চালকের বাড়াবাড়ি, ক্ষমা চাইলেন হুইপ স্বপন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Audio of BNP leaders demand for donation to save from lawsuit goes viral

মামলা থেকে বাঁচাতে বিএনপি নেতার চাঁদা দাবি, অডিও ভাইরাল

মামলা থেকে বাঁচাতে বিএনপি নেতার চাঁদা দাবি, অডিও ভাইরাল বাঁ থেকে- বিএনপি নেতা বেলাল হোসেন সৌখিন ও আওয়ামী লীগ নেতা সামছুল আলম। কোলাজ: নিউজবাংলা
মামলার আসামির তালিকা থেকে নাম বাদ দিতে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সামছুল আলমের কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন বেলাল হোসেন সৌখিন নামে বিএনপির ওই নেতা। নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার এ ঘটনা এখন ফেসবুকে ভাইরাল।

বিস্ফোরক মামলার আসামির তালিকা থেকে নাম বাদ দিতে আওয়ামী লীগের এক নেতার কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে বিএনপির এক নেতার বিরুদ্ধে। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সামছুল আলমের কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন বেলাল হোসেন সৌখিন নামের বিএনপির ওই নেতা। এ ঘটনা ঘটেছে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায়।

মোবাইল ফোনে বিকাশ বা নগদ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সাবেক ওই উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে সৌখিন এই চাঁদা দাবি করেন। এ বিষয়ে দুই নেতার কথোপকথনের এক মিনিট ৩৭ সেকেন্ডের একটি অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

চাঁদা দাবি করা বেলাল হোসেন সৌখিন বদলগাছী উপজেলা বিএনপির সহ-যুব বিষয়ক সম্পাদক। আর সামছুল আলম খান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।

জানা যায়, সোমবার (৪ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার গোবরচাঁপা হাট নামক স্থানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এছাড়া অবিস্ফোরিত ছয়টি ককটেল উদ্ধার করে থানা পুলিশ।

এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও দলটির সহযোগী সংগঠনের ৪০ নেতাকর্মীর নামে বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১০০ থেকে ১২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আর এই মামলার বাদী হলেন বেলাল হোসেন সৌখিন।

এই মামলায় থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ইতোমধ্যে বদলগাছী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক বাবর আলীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

জানতে চাইলে সামছুল আলম খান বলেন, ‘বিএনপি নেতা সৌখিন আমার কাছে ফোন করে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। আমি টাকা দিতে অস্বীকার করার কারণে গোবরচাঁপা হাটে ঘটে যাওয়া ককটেল বিস্ফোরণের মামলায় আমাকে ১০ নম্বর আসামি করা হয়েছে। এতেই প্রমাণ এটি এক সাজানো মিথ্যা মামলা। আমি এর তীব্র প্রতিবাদসহ সঠিক বিচার দাবি করছি।’

বেলাল হোসেন সৌখিন এ বিষয়ে বলেন, “ঘটনাটি অনেক আগের। উপজেলা পরিষদ বাতিল হওয়ার পর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মানিককে এল লাখ টাকা দেয়ার খবর পাই। সেই জন্যই আমিও তাকে ফোন করে বলেছি মানিককে দিলে আমাকেও দুই লাখ টাকা দিতে হবে। আর ‘চেয়ারম্যানের মরণ মোর হাতে ছিল’ এমন ডায়ালগটার প্রশংসা করলে তিনি হাসতে থাকেন।”

এদিকে বিষয়টির তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বদলগাছী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আওরঙ্গজেব চৌধুরী মানিক। মোবাইল ফোনে এই প্রতিবেদককে তিনি বলেন, ‘দলের নেতাদের সাথে আলোচনা করে তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া যায়, সেই ব্যবস্থা নেবো।’

স্থানীয় বিএনপির আরেক নেতা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘এই মামলা তাদের কাছে এখন চাঁদা আদায়ের রসিদ হয়ে গেছে।’

জানতে চাইলে বদলগাছী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাদি চৌধুরী টিপু মোবাইল ফোনে বলেন, ‘ওই কল রেকর্ডের ঘটনা এখনকার না, মামলার অনেক আগের। বিষয়টি গতকাল আমি জেনেছি। তবে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে যে বা যারা এ ধরনের কাজ করবে, তার বা তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সম্প্রতি হওয়া বিস্ফোরক মামলার তদন্ত সঠিকভাবেই করা হবে জানান থানার ওসি শাহজাহান আলী।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কথোপকথনের অডিও ক্লিপটি এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। তাদের কথোপকথন পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-

সৌখিন: হ্যালো, ভাই আমি চ্যাংলার সৌখিন।

সামছুল আলম: হ্যা ভাই, ভালো ভাই?

সৌখিন: চিনতে পারছেন?

সামছুল আলম: হ্যাঁ ভাই চিনতে পারছি, ‘ক’।

সৌখিন: আপনি ওই ম্যানক্যাক (মানিককে) বলে ওই ইয়ে দিছেন। দুই লাখ টাকা বলে দিছেন ম্যানক্যাক?

সামছুল আলম: কোনো ট্যাকাপয়সা আছে ভাই? এলা গুজব, কুটি থ্যাকা শুনলি ক।

সৌখিন: আমি শুনলাম ম্যানক্যাক আপনে দু্ই লাখ টাকা দিছেন।

সামছুল আলম: না না না ভাই।

সৌখিন: তে ম্যানক্যা আপনাক বাঁচাতে পারবে?

সামছুল আলম: বাঁচা-মরা এখন আল্লাহ্’র হাতে ভাই। আল্লাহ্ এখন ভাগ্যে কী লিখে রেখেছে!

সৌখিন: আল্লাহ্’র হাতে ঠিক আছে। কিন্তু আল্লাহ্ যে আমার হাতে লিখে রেখেছে আপনার…, এটার কী হবে কন।

সামছুল আলম: তাই, না?

সৌখিন: হ্যাঁ, তে আপনি ম্যানক্যার সাথে যোগাযোগ করবেন, আর আমি … ফ্যালাবো? ভাগ মিলতেছে না।

সামছুল আলম: না ভাই, না না না।

সৌখিন: আপনি আমার এই নম্বরে বিকাশ, নগদ সব আছে। আপনি এক লাখ তাহলে এখানে পাঠায়ে দেন।

সামছুল আলমের হা হা হা করে হাসি।

সৌখিন: তাহলে আপনে মনে করেন ম্যানক্যাক টাকা দিবেন মানে? ম্যানক্যা দলের কে? ওই সাওয়ার ব্যাটা দলের কে?

সামছুল আলম: না ভাই না, এগুলো মিথ্যে কথা ভাই।

সৌখিন: তাহলে এলা গুজ উঠে কেন? আপনে তাহলে ম্যানক্যাকে ফোন করেন। পাশে থেকে আরেকজনকে বলতে শোনা যায়- সে কোন জায়গায় আছে খোঁজ নাও। সঙ্গে সঙ্গে তার সুরে জানতে চান- আপনি কোথায় আছেন? না হলে আপনি কই আছেন কন তো?

সামছুল আলম: না ভাই, এলা মিথ্যে কথা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The Advisory Councils decision to repeal the Cyber ​​Security Act 

সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত উপদেষ্টা পরিষদের 

সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত উপদেষ্টা পরিষদের  ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে তার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক হয়। ছবি: পিআইডি
সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল হলে মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে ‘বিভ্রান্তি ও কুৎসামূলক প্রচারণা’ এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে হওয়া মামলাগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে।

বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বৈঠক শেষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল হলে মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে ‘বিভ্রান্তি ও কুৎসামূলক প্রচারণা’ এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে হওয়া মামলাগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে।

আওয়ামী লীগের আমলে ২০১৮ সালে বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়। পরে এ বিষয়ে কঠোর সমালোচনা হলে ২০২৩ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করে তার বদলে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হয়েছিল, তবুও এ নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক ও সমালোচনা হয়।

সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পর্যায় থেকে এ আইন নিয়ে আপত্তি ওঠে। আজ আইনটি বাতিলের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিল অন্তর্বর্তী সরকার।

এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর আইন মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সাইবার আইনে হওয়া ‘স্পিচ অফেন্স’ (মুক্তমত প্রকাশ) সম্পর্কিত মামলাগুলো প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে এসব মামলায় কেউ গ্রেপ্তার থাকলে তিনিও আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে মুক্তি পাবেন।

এদিকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এবং সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩-এর অধীনে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত দেশের ৮টি সাইবার ট্রাইব্যুনালে মোট পাঁচ হাজার ৮১৮টি মামলা চলমান।

বর্তমানে ‘স্পিচ অফেন্স’ সম্পর্কিত এক হাজার ৩৪০টি মামলা চলমান। এর মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের অধীনে ২৭৯টি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে ৭৮৬টি এবং সাইবার নিরাপত্তা আইনের অধীনে ২৭৫টি মামলা চলমান।

এসব মামলার মধ্যে ৪৬১টি মামলা তদন্তকারী সংস্থার কাছে তদন্তাধীন এবং ৮৭৯টি মামলা দেশের আটটি সাইবার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন।

আরও পড়ুন:
বিএনপির ৭ আইনজীবী নেতাকে আদালত অবমাননার মামলা থেকে অব্যাহতি
স্পিকারের প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব পালন করবেন আইন উপদেষ্টা
নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত সার্চ কমিটি প্রস্তুত: আইন উপদেষ্টা 
আরও তিন জেলায় ২০০ সরকারি আইন কর্মকর্তা নিয়োগ
শেখ হাসিনার পদত্যাগ মীমাংসিত বিষয়, বিতর্ক সৃষ্টি না করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

মন্তব্য

বাংলাদেশ
14 November HC verdict on validity of immunity clause in quick rentals

কুইক রেন্টালে দায়মুক্তির বিধানের বৈধতা প্রশ্নে হাইকোর্টের রায় ১৪ নভেম্বর

কুইক রেন্টালে দায়মুক্তির বিধানের বৈধতা প্রশ্নে হাইকোর্টের রায় ১৪ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ। ফাইল ছবি
আইনজীবী শাহদীন মালিক বলেন, ‘আইনটির অধীনে কর্ম নিয়ে কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না। আদালতের এখতিয়ার রদ করতে পারে এমন কোনো আইন হতে পারে না। এটা চ্যালেঞ্জ করা হয়। আদালত রুল দিয়েছিলেন।’

কুইক রেন্টাল সংক্রান্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন-২০১০-এর বিধান চ্যালেঞ্জ করে আনা রিটের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়েছে।

বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি শেষে রায়ের জন্য ১৪ নভেম্বর দিন ধার্য করে বৃহস্পতিবার আদেশ দেয়।

রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহদীন মালিক।

আইনটির ৬(২) ও ৯ ধারা বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক ও আইনজীবী তাইয়্যেবুল ইসলাম সৌরভ। আইনটি সংবিধানের ৭, ২১, ২৬, ২৭, ৩১, ৪২, ৪৪, ৪৬, ১৪৩ ও ১৪৫-এর লঙ্ঘন বলে রিটে উল্লেখ করা হয়।

আইনজীবী শাহদীন মালিক বলেন, ‘আইনটির অধীনে কর্ম নিয়ে কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না। আদালতের এখতিয়ার রদ করতে পারে এমন কোনো আইন হতে পারে না। এটা চ্যালেঞ্জ করা হয়। আদালত রুল দিয়েছিলেন।’

রুলে আইনের ৬(২) এবং ৯ ধারা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা সংশ্লিষ্টদের কাছে জানতে চাওয়া হয়। ২ সেপ্টেম্বর এ আদেশ দেয় উচ্চ আদালত।

আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ড্রাফটিং বিভাগের সচিব, অর্থ বিভাগের সচিব, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ সচিব, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। আজ ওই রুলের ওপর শুনানি শেষ হয়।

আরও পড়ুন:
বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে দুর্নীতি তদন্তে অভিযোগ জানানোর আহ্বান
বিদ্যুৎ খাতে ‘ইনডেমনিটি’ চুক্তির তথ্য চেয়েছে জাতীয় কমিটি
মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র ‘প্রকল্প বিলাস’
উৎপাদন শুরু বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে
তিন সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতি হবে: জ্বালানি উপদেষ্টা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Cancellation of Khasam permission in favor of flood regulation

বন্যার ‘সুরের ধারা’র অনুকূলে খাসজমির অনুমতি বাতিল

বন্যার ‘সুরের ধারা’র অনুকূলে খাসজমির অনুমতি বাতিল সংগীত বিদ্যালয় সুরের ধারার একটি কক্ষ। ছবি: ফেসবুক পেজ
ভূমি মন্ত্রণালয়ের খাস জমি-১ অধিশাখার উপসচিব মো. আমিনুর রহমান স্বাক্ষরিত পত্রের মাধ্যমে এ বিষয়ে যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণ করে ভূমি মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠাতে ঢাকার জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করা হয়েছে।

রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার প্রতিষ্ঠান ‘সুরের ধারা’র অনুকূলে ঢাকার লালমাটিয়ায় বন্দোবস্ত দেয়া খাসজমির অনুমতি বাতিল করা হয়েছে।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের খাস জমি-১ অধিশাখার উপসচিব মো. আমিনুর রহমান স্বাক্ষরিত পত্রের মাধ্যমে এ বিষয়ে যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণ করে ভূমি মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠাতে ঢাকার জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করা হয়েছে।

পত্রে বলা হয়, এ জমি দীর্ঘমেয়াদি বন্দোবস্তে সুরের ধারার চেয়ারম্যান ও অধ্যক্ষ রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার পক্ষে অনুমোদিত হয়েছিল। জমিটি ঢাকার মোহাম্মদপুর থানার রামচন্দ্রপুর মৌজায় অবস্থিত।

এতে উল্লেখ করা হয়, বাতিল হওয়া জমিটি খাস খতিয়ানভুক্ত, যার দাগ নম্বর সিএস ও এসএ-৬৯২, আরএস-১৮৯৫, সিটি-১১৬৬৭ এবং ১১৪১২। মোট জমির পরিমাণ শূন্য দশমিক পাঁচ এক দুই শূন্য একর। এ জমির সিএস ও আরএস রেকর্ডে ‘খাল’ হিসেবে শ্রেণিকরণ থাকার কারণে এ বন্দোবস্ত বাতিল করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও কমেনি দুর্ভোগ
বন্যা: শেরপুরে প্রাণহানি বেড়ে ৭, পানিবন্দি ২ লাখ মানুষ
নির্বাচনে বিলম্ব হলে দেশ সংকটে পড়বে: মানবজমিন সম্পাদক
শেরপুরে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত, তিনজনের মৃত্যু
বন্যাদুর্গতদের সহায়তা অব্যাহত ইসমাইলি সিভিক বাংলাদেশের

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Amu remanded for 6 days

আমু ৬ দিনের রিমান্ডে

আমু ৬ দিনের রিমান্ডে সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। ফাইল ছবি
পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক জানান, তদন্ত কর্মকর্তা ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম শাহিন রেজা বৃহস্পতিবার ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রাজধানীর নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী আবদুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুকে ছয় দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছে আদালত।

পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক জানান, তদন্ত কর্মকর্তা ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম শাহিন রেজা বৃহস্পতিবার ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করলেও আদালত তা নাকচ করে।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আরিফ আসামিকে আদালতে হাজির করেন।

ঢাকার ধানমন্ডি এলাকা থেকে বুধবার গ্রেপ্তার করা হয় বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা আমুকে। তার নামে একাধিক মামলা আছে।

আমু ঝালকাঠি-২ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য।

আরও পড়ুন:
সাবেক এমপি ব্যারিস্টার সুমন পাঁচদিনের রিমান্ডে
সাবেক প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী তিন দিনের রিমান্ডে
৩ দিনের রিমান্ডে সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল মজুমদার
হত্যা মামলায় সাবেক বিমানমন্ত্রী ফারুক খান রিমান্ডে
হত্যা মামলায় সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক দু’দিনের রিমান্ডে

মন্তব্য

p
উপরে