× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
88 centers are more vulnerable in Barisal city elections
google_news print-icon

বরিশাল সিটি নির্বাচনে ৮৮ কেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ

বরিশাল-সিটি-নির্বাচনে-৮৮-কেন্দ্র-অধিক-ঝুঁকিপূর্ণ
নগর ভবন, বরিশাল সিটি করপোরেশন। ছবি: সংগৃহীত
পুলিশের সূত্র জানায়, এবারের বরিশাল সিটি নির্বাচনে মোট ১২৬টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৮৮টি কেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ও ২৭টি ঝুঁকিপূর্ণ। সে সঙ্গে ১১টি কেন্দ্রকে সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

আসন্ন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ১২৬টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ৮৮টি কেন্দ্রকেই অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ (বিএমপি)।

পুলিশের সূত্র জানায়, এবারের বরিশাল সিটি নির্বাচনে মোট ১২৬টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৮৮টি কেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ও ২৭টি ঝুঁকিপূর্ণ। সে সঙ্গে ১১টি কেন্দ্রকে সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

বরিশাল সিটি করপোরেশনের সহকারী রির্টানিং অফিসার মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘সাধারণ কেন্দ্রগুলোতে ২০ থেকে ২২ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন। তবে ঝুঁকিপূর্ণ ও অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্তত চার থেকে পাঁচজন সদস্য বেশি থাকবেন। পাশাপাশি সকল কেন্দ্রেই জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ নিয়োজিত থাকবেন।

‘সামনে আমাদের সভা রয়েছে। সভায় নেয়া সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো হবে, ঝুঁকিপূর্ণ, অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ও সাধারণ ভোটকেন্দ্রগুলোতে ঠিক কতজন করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন।’

এ সময় স্থান ও পরিবেশ বিবেচনায় ঝুঁকিপূর্ণ, অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ও সাধারণ ভোটকেন্দ্রগুলো বিন্যাস করা হয় বলে জানান তিনি।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Administrative integrity takes into account geographical advantages and borders EC

প্রশাসনিক অখণ্ডতা, ভৌগোলিক সুবিধা আমলে নিয়ে সীমানা: ইসি

প্রশাসনিক অখণ্ডতা, ভৌগোলিক সুবিধা আমলে নিয়ে সীমানা: ইসি নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। ছবি: নিউজবাংলা
মো. আলমগীর বলেন, ‘যেগুলো আবেদন লজিক্যাল মনে হয়েছে সেগুলো আমলে নিয়েছি। নির্বাচন কমিশনের লজিক্যাল কাজ করার ক্ষমতা সংবিধান দিয়েছে, আইন দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন সেটাই করেছে।’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক অখণ্ডতা, ভৌগোলিক সুবিধা এবং স্থানীয় পর্যায়ে জনপ্রতিনিধিদের বক্তব্য আমলে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।

রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ সব কথা জানান।

গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক গেজেটে ৩০০ আসনের সীমানা চূড়ান্ত করে। যার ফলে ১০ টি সংসদীয় আসনের সীমানায় পরিবর্তন আসে।

মো. আলমগীর বলেন, ‘যেগুলো আবেদন লজিক্যাল মনে হয়েছে সেগুলো আমলে নিয়েছি। নির্বাচন কমিশনের লজিক্যাল কাজ করার ক্ষমতা সংবিধান দিয়েছে, আইন দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন সেটাই করেছে।’

কাকে পাশ আর কাকে ফেল করার জন্য ১০ আসনের সীমানায় পরিবর্তন করলেন- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমাদের নির্বাচনি আসন জাতীয় নির্বাচনের আগে সীমানা নির্ধারণের জন্য খসড়া প্রকাশ করতে হয়। ২০১৮ সালের নির্বাচনে যে তালিকা ছিল সেটাই আমরা খসড়া হিসেবে প্রকাশ করেছিলাম। এই কমিশনের যে চিন্তা-ভাবনা, তা হলো যেহেতু দুটি নির্বাচন মোটামুটি এই সীমানায় হয়েছে এবং ১৮ সালে নির্বাচন হয়েছে, এটাকে যতটা সম্ভব পরিবর্তন না করা।

‘আমরা যদি ২০১৪ সালে ৪০টি এবং ২০১৮ সালে ২৫টি আসনের সীমানায় পরিবর্তন করা হয়েছিল। তার আগে আরও বেশি ছিল। এই সমস্ত পরিবর্তন করলে বেশি সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। যত পরিবর্তন কম করা যায়, এটা ছিল আমাদের টার্গেট।’

আইনে বলা আছে খসড়া প্রকাশ করতে হবে এবং আপত্তি থাকলে তা গ্রহণ করতে হবে জানিয়ে এই কমিশনার বলেন, ‘আমরা সেটা করতে বাধ্য। এজন্য খসড়া প্রকাশ করার পর আহ্বান করেছিলাম। এই খসড়া পরিবর্তন করার জন্য ৩৮টি আসনের সীমানায় পরিবর্তনের জন্য ১২৬টি আবেদন পড়ে। আর ৬০টি আবেদন পড়েছিল, যে খসড়াটা ঠিক আছে কোনো রকম পরিবর্তন করার দরকার নাই।

‘কমিশন এরপর শুনানি দিয়েছে। সবার শুনানি, যত কথা ছিল, যত কাগজপত্র, ম্যাপ জমা দিয়েছে; আমরা দীর্ঘ সময় ধরে পর্যালোচনা করেছি একাধিক বৈঠকে। আমরা চারদিন শুনানি নিয়েছিলাম। সবকিছু দেখে যেটা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে,সেটা হলো যে সংশ্লিষ্ট এলাকার ভেটাররা কী মনে করেন, আমরা কোনো স্থানীয় নির্বাচনে কে আসবেন, কে আসবেন না, কে হয়েছেন, কে হয়নাই, সেটা দেখার বিষয়টা না।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেখার বিষয় হলো আগামী নির্বাচনে কে নমিনেশন পাবেন কোন দল থেকে সেটা তো আমরা জানিনা । অতএব, উনারদের বক্তব্য যতটা না গুরুত্বপূর্ণ তার বেশি গুরুত্বপূর্ণ ওই এলাকার ভোটার কী বলেন। ভোটারদের সবাইকে তো আর ডাকা যায় না। যারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থাকেন বিশেষ করে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, মেম্বার, কাউন্সিলর; এবং উপজেলার যারা চেয়ারম্যান ছিল, তারা যে বক্তব্য রেখেছেন সেগুলো এবং বর্তমানে এমপি মহোদয় আছেন তাদের বক্তব্য আমরা শুনেছি। দেখাগেছে কোনো কোনো ক্ষেত্রে হয়তো এমপি মহোদয় এরকম বলছেন, আবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অন্য রকম বলছেন। আমরা দুটো ধৈর্য সহকারে শুনেছি এবং পর্যালোচনা করেছি।'

আইনে আছে যে ভৌগলিক অখণ্ডতা এবং প্রশাসনিক সুবিধা আগে দেখতে হবে জানিয়ে কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ‘এরপর জনসংখ্যা যতটুকু সম্ভব আমলে নিতে হবে। জনসংখ্যাকে আগেও প্রাধান্য দেওয়া সম্ভব হয়নি, এখনও হয়নি। কেননা, জনসংখ্যা যদি আমরা আমলে নিতে যাই তাহলে অনেক জেলায় আসন আরো কমে যাবে। কোনো জেলায় একটা আসন হয়ে যাবে। আমরা এটা করিনা। সেই ভিত্তিতে আমরা পাঁচটা আসনে পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেই পাঁচটা আসনের কারণে বাকি পাঁচটাতে পরিবর্তন এসেছে।’

ইউনিয়ন ভিত্তিক ভৌগলিক অখণ্ডতা আছে জানিয়ে মো. আলমগীর বলেন, ‘তবে উপজেলা ভিত্তিক নাই অনেকগুলো আসনে। এখন এই ধরনের অখণ্ডতা করতে যাই তাহলে বিশাল...২০০ এর মতো আসনে প্রায় পরিবর্তন আনতে হবে। আর ইউনিয়ন ভিত্তিক দেখি তাহলে আমাদের খুব একটা পরিবর্তন আনার দরকার হয় না। তবে আমরা যেটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি সেটা হলো স্থানীয় সরকারে প্রতিনিধি এবং গণমান্য ব্যক্তি যারা আছে তারা যে আবেদনগুলো করেছেন। কারণ কে এমপি পদে দাঁড়াবেন, কে দাঁড়াবেন না সেটা তো আমরা জানি না।

‘কাজেই ভিত্তিতে তো আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি না জনসংখ্যার বন্টনটা বোঝায়। এটা করতে গেলে ঢাকায় একটা ওয়ার্ড আছে, যেটাকে আসন করতে হয়। এটাতো করা কঠিন। বর্তমান জনসংখ্যা অনুযায়ী ৫ লাখ ৫৫ হাজার করে ধরি ঢাকায় ১০টা, গাজীপুরে ৫টা আসন বাড়বে। সিলেট, চট্টগ্রাম, রাজশাহীতেও বাড়বে। এগুলো তো সিটিতে চলে আসছে।’

১২৬টি আবেদনের মধ্যে ৮৪টি কুমিল্লা থেকে এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সিরাজগঞ্জ থেকে অনেক পড়েছে।’

আরও পড়ুন:
১৮ ঘণ্টায়ও আইসিইউ না পাওয়া ব্যবসায়ীর মৃত্যু
৫ দিনের সফরে ঢাকায় ওআইসি মহাসচিব
উপমহাদেশের প্রেক্ষাপটে ভোটের ভালো পরিবেশ গাজীপুরে: ইসি আলমগীর

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Permanent expulsion of 19 Barisal BNP leaders including Rupon

রুপনসহ বরিশাল বিএনপির ১৯ নেতাকে স্থায়ী ব‌হিষ্কার

রুপনসহ বরিশাল বিএনপির ১৯ নেতাকে স্থায়ী ব‌হিষ্কার বরিশাল সিটি করপোরেশন ভবন। ফাইল ছবি
কামরুল আহসান রুপন‌কে দেয়া চি‌ঠি‌তে বলা হয়, ব‌রিশাল সি‌টি করপো‌রেশন নির্বাচ‌নে দলীয় সিদ্ধান্ত ভঙ্গ ক‌রে অংশগ্রহণ করায় ২ জুন বিএন‌পি থে‌কে কারণ দর্শা‌নোর নো‌টি‌শ দেয়া হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে তার দেয়া জবা‌ব স‌ন্তোষজনক নয়।

ব‌রিশাল সি‌টি কর‌পো‌রেশন নির্বাচ‌নে অংশ নেয়ায় মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী সা‌বেক ছাত্রদল নেতা কামরুল আহসান রুপন‌সহ ১৯ জনকে আজীবন ব‌হিষ্কার করেছে বিএনপি।

ব‌হিষ্কারের নোটিশে দলীয় সিদ্ধান্ত ভঙ্গ ক‌রায় রুপন‌কে ‘মীরজাফর’ বলা হয়।

রোববার দুপু‌রে বিএন‌পির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাস‌চিব রুহুল ক‌বির রিজভীর সই করা চি‌ঠি‌তে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

কামরুল আহসান রুপন‌কে দেয়া চি‌ঠি‌তে বলা হয়, ব‌রিশাল সি‌টি করপো‌রেশন নির্বাচ‌নে দলীয় সিদ্ধান্ত ভঙ্গ ক‌রে অংশগ্রহণ করায় ২ জুন বিএন‌পি থে‌কে কারণ দর্শা‌নোর নো‌টি‌শ দেয়া হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে তার দেয়া জবা‌ব স‌ন্তোষজনক নয়।

এ ছাড়া কাউ‌ন্সিলর পদে অংশ নেয়া বিএন‌পির ১৮ নেতার মধ্যে কারও জবাব না দেয়া এবং কারও জবাব পেলেও তা দলটির কাছে স‌ন্তোষজনক মনে হয়নি।

বিএন‌পি থে‌কে আজীবন ব‌হিষ্কৃত কাউ‌ন্সিলর পদপ্রার্থীরা হ‌লেন বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির তিন যুগ্ম আহ্বায়ক ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর প্রার্থী হাবিবুর রহমান টিপু, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হারুন অর রশিদ ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের শাহ আমিনুল ইসলাম আমিন।

মহানগর বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সেলিম হাওলাদার, সংরক্ষিত ২ নম্বর ওয়ার্ডের জাহানারা বেগম, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সেলিনা বেগম ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডে অংশ নেয়া রাশিদা পারভীন।

ওই তালিকায় আরও রয়েছেন নগরীর ১৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সচিব জিয়াউল হক মাসুম, একই ওয়ার্ডের প্রার্থী দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাবের আব্দুল্লাহ সাদি ও বরিশাল জেলা তাতী দলের সাবেক সভাপতি কাজী মোহাম্মদ শাহীন, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, নগরীর ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক জ্যেষ্ঠ সভাপতি হাবিবুর রহমান ফারুক, ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সৈয়দ হুমায়ন কবির লিংকু, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, ২২ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জেসমিন সামাদ, ২৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি ও মহানগরের সাবেক সহসভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ, ২৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি ফরিদউদ্দিন হাওলাদার এবং ২৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবির।

আরও পড়ুন:
দলের সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন রুপন
বরিশালে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নষ্ট হলে কড়া আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
লিটনের ইশতেহারে সিটি ছাড়িয়ে পুরো রাজশাহীর উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি
কালো টাকা ছড়ানো নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ খালেক-মধুর
মেয়র পদপ্রার্থীসহ বরিশাল সিটির ১৯ প্রার্থীকে শোকজ বিএনপির

মন্তব্য

বাংলাদেশ
If the level playing field is destroyed in Barisal there is a warning of strict movement

বরিশালে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নষ্ট হলে কড়া আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

বরিশালে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নষ্ট হলে কড়া আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বরিশাল সিটি করপোরেশনের নগর ভবন। ফাইল ছবি
জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস বলেন, ‘ছাত্রলীগের বিশেষ এক নেতা এসে নৌকার লোগো লাগিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন বরিশালে। তিনি বরিশালের সিটি নির্বাচনে বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে লোক এনে একটা ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছেন। তাদের উদ্দেশ্য, জনগণ যেন ভোটকেন্দ্রে না যায়।’

বরিশালে সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে ভীত-সন্ত্রস্ত পরিবেশ তৈরির চেষ্টার পাশাপাশি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করছেন মেয়র প্রার্থীরা। এমন কোনো ঘটনা ঘটলে কড়া আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়মী লীগের মনোনীত প্রার্থী ছাড়া বাকি মেয়র প্রার্থীরা।

শনিবার নগরের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগের সময় এ হুঁশিয়ারি দেন তারা।

গণসংযোগকালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস বলেন, ‘ভোট দিতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন ভোটাররা। তবে বরিশালে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এখনও নিশ্চিত হয়নি। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এখানে বিভিন্নভাবে ভীত-সন্ত্রস্ত পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছে।

‘ছাত্রলীগের বিশেষ এক নেতা এসে নৌকার লোগো লাগিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন বরিশালে। তিনি বরিশালের সিটি নির্বাচনে বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে লোক এনে একটা ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছেন। তাদের উদ্দেশ্য, জনগণ যেন ভোটকেন্দ্রে না যায়।’

এ ধরনের অবস্থা চলতে থাকলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সম্মিলিতভাবে তা প্রতিহত করার ঘোষণা দেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি, তারা যেন এখানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডটা নিশ্চিত করেন। নাহলে সারা দেশে ভোট চুরির বিরুদ্ধে যে গণআন্দোলন শুরু হবে, সেই আন্দোলনে পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে সরকার।’

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘বরিশালে ধীরে ধীরে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নষ্ট হওয়ার দিকেই যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। আমাদের কিছু লোককে হয়রানি করা হয়েছে।

‘টুপি-দাড়ি দেখে আমাদের লোকজনকে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে, কোথায় বাড়ি? কেন এসেছেন? অথচ, নির্বাচনী আচরণবিধির মধ্যে কোথাও লেখা নেই যে শহরের বাইরের কেউ ভোট চাইতে পারবে না বা আসতে পারবে না।’

তিনি বলেন, ‘আশেপাশের কিছু লোক তো আসতেই পারে এবং সব প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণার জন্যই তারা আসেন। আমি মনে করি নির্বাচনী আচরণবিধির মধ্যে যা আছে, সেই দিকে প্রশাসনের লক্ষ্য রাখা উচিত। এর বাইরে অতি উৎসাহিত হয়ে অন্য কিছু না করাই ভালো।

‘নির্বাচনী বিধি ছাড়া যদি আমি কোনো কাজ করি, তাহলে বলবেন। কিন্তু বিধির মধ্যে থেকে কাজ হলে অতি উৎসাহী হয়ে আমাদের বাধা দেয়ার কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। আমি প্রশাসনের কাছে দাবি করব, বরিশালের নির্বাচনের দিকে গোটা দেশ তাকিয়ে আছে। ফলে নির্বাচন যদি কোনো অবস্থায় প্রশ্নবিদ্ধ হয়, যদি গ্রহণযোগ্য না হয়, তাহলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ আন্দোলনের পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে মোড় নেবে।

ভোটারদের সমর্থনের ব্যাপারে এসময় তিনি বলেন, ‘ভোটারদের কাছ থেকে যথেষ্ট সাড়া পাচ্ছি। তারা ইতোমধ্যে ভোট দেয়ার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলছে। যে ব্যক্তির মাধ্যমে বরিশালের সব দিকের উন্নয়ন হবে, সে রকম একজন প্রার্থীকে ভোটাররা যাতে নির্বাচিত করেন, আমি সে দাবি জানাই। ফেয়ার-ফ্রি ভোট হলে হাতপাখা জয়লাভ করবে।’

জাকের পার্টির প্রার্থী মিজানুর রহমান বাচ্চুও মাঠে নেমে যথেষ্ট সাড়া পাচ্ছেন বলে জানান। তিনি বলেন, যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় ও কমিশন যদি সঠিকভাবে ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা করতে পারে, তাহলে আমি জয়ের আশা রাখি।’

তবে এখন পর্যন্ত অস্বাভাবিক কিছু দেখছেন না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত)।

এদিকে নির্বাচনে প্রচারের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক ছাত্রদল নেতা কামরুল আহসান রুপনের তিন কর্মীকে আটকের অভিযোগ উঠেছে।

বিষয়টি নিয়ে রুপন বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কাছে গেলেও তারা সঠিকভাবে কিছু বলছে না। বিকেল সাড়ে ৪টায় আদালতে গিয়ে জানতে পারলাম রমজান, মোনায়েম খান, সৈয়দ রফিকুল ইসলাম মন্টু নামে আমার তিন কর্মীকে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ বিনা কারণে গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু তাদের এখনও আদালতে তোলেনি।’

এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ সূত্র জানায়, বরিশাল মেট্রোপলিটনের কাউনিয়া ও কোতোয়ালি থানা পুলিশ শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত সন্দেহজনক কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের ছেড়ে দেয়াও হয়েছে।

নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন কাউনিয়া থানার ওসি আব্দুর রহমান মুকুল।

আরও পড়ুন:
মেয়র পদপ্রার্থীসহ বরিশাল সিটির ১৯ প্রার্থীকে শোকজ বিএনপির
চাইলে ভোটগ্রহণ বন্ধ করবেন: প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের সিইসি
মাসে আয় ২৪ হাজার, ভোটের খরচ কোথায় পাবেন আনোয়ারুজ্জামান
ইভিএম নিয়ে সন্দেহ হলে আদালতে যেতে পারেন: সিইসি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
9 Khulna BNP leaders banned for life for participating in the election

নির্বাচনে অংশ নিয়ে খুলনা বিএনপির ৯ নেতা আজীবন বহিষ্কার

নির্বাচনে অংশ নিয়ে খুলনা বিএনপির ৯ নেতা আজীবন বহিষ্কার বিএনপির লোগো। ফাইল ছবি
দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত চিঠি পাঠিয়ে তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়। শনিবার রাতে স্ব স্ব নেতাদের নামে বহিষ্কারের চিঠি পাঠানো হয়েছে।

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় ৯ নেতাকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত চিঠি পাঠিয়ে তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়। শনিবার রাতে স্ব স্ব নেতাদের নামে বহিষ্কারের চিঠি পাঠানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মিল্টন।

বহিষ্কৃত নেতারা হলেন- খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ সাজ্জাদ হোসেন তোতন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আশফাকুর রহমান কাকন, মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক মাহবুব কায়সার, ৩০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী ও সাবেক কাউন্সিলর আমান উল্লাহ আমান, সংরক্ষিত ৯ নম্বর ওয়ার্ড মহানগর বিএনপির সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মাজেদা খাতুন, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাজী ফজলুল কবির টিটো ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের মুশফিকুস সালেহীন পাইলট, মহানগর তাঁতী দলের যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার মাতুব্বর, সাবেক ছাত্রদল নেতা ইমরান হোসেন। তারা কেসিসির বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছেন।

চিঠিতে পাঠানো বহিষ্কারাদেশে বলা হয়েছে, বিএনপি এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। অথচ আপনি দলের একজন সদস্য হয়ে ব্যক্তিস্বার্থ চিন্তা করে এ সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করেছেন। ১ জুন আপনাদের কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হলে নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হলেও নোটিশের জবাব দেননি, যা গুরুতর অসাদাচারণ। এহেন অবজ্ঞা ও ঔদ্ধাত্যের জন্য বিএনপির গঠনতন্ত্রের বিধান অনুযায়ী দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ দলের সকল পদ থেকে আপনাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হল।’

আরও পড়ুন:
নির্বাচনের মাঠ ফাঁকা করার চক্রান্ত চলছে: ফখরুল
কালো টাকা ছড়ানো নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ খালেক-মধুর
অস্বাভাবিক সরকার এনে ছায়ায় থাকতে চায় বিএনপি: ইনু

মন্তব্য

বাংলাদেশ
A mayor and 40 councilor candidates in Sylhet are shocked by BNP

সিলেটে এক মেয়র ও ৪০ কাউন্সিলর প্রার্থীকে বিএনপির শোকজ

সিলেটে এক মেয়র ও ৪০ কাউন্সিলর প্রার্থীকে বিএনপির শোকজ সিলেট সিটি করপোরেশনের নগর ভবন। ফাইল ছবি
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ব্যক্তি স্বার্থে দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিতভাবে বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা দিতে হবে।

দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় এক মেয়র প্রার্থী ও ৪০ কাউন্সিলর প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে বিএনপি।

শনিবার সন্ধ্যায় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাক্ষরিত নোটিশ সিলেট বিএনপির ওই নেতাদের পাঠানো হয়।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ব্যক্তি স্বার্থে দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিতভাবে বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা দিতে হবে।

প্রদানের তথ্য নিশ্চিত করে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি কাইয়ুম চৌধুরী ও মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী নোটিশ বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত দলের। এই সিদ্ধান্ত যারা অমান্য করবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সিলেট সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী নগরের ২৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সালাউদ্দিন রিমনকে নোটিশ দেয়া হয়েছে।

এ ছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ তৌফিকুল হাদি, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ফরহাদ চৌধুরী শামীম, ১৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য নজরুল ইসলাম মুনিম, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য এবিএম জিল্লুর রহমান উজ্জল, সিলেট মহানগর মহিলা দলের সভাপতি অ্যাডভোকেট রুকসানা বেগম শাহনাজ, সিলেট জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন, সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক উসমান হারুন পনির, সিলেট জেলা বিএনপির উপদেষ্টা গোলাম মোস্তফা কামাল, গউছ উদ্দিন পাখি, সিলেট জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক দেলওয়ার হোসেন নাদিম, ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মুফতি কমর উদ্দিন কামু, ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান মিঠু, ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মো. কামাল মিয়া, ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য খালেদ আকবর চৌধুরী, আমিনুর রহমান খোকন, শাহেদ সিরাজ, ১০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান জুবের, ১১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য আব্দুর রহিম মতছির ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মুজিবুর রহমানকে শোকজ করা হয়েছে।

কারণ দর্শানোর নোটিশপ্রাপ্ত অন্যান্যরা হলেন- সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সালমান চৌধুরী শাম্মী, ২৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি মামুনুর রহমান মামুন, এমসি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি বদরুল আজাদ রানা, ২৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য হুমায়ুন কবির সুহিন, ২৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি সেলিম আহমদ রনি, সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আলী আব্বাস, বরইকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সহসাধারণ সম্পাদক জাবেদ আমিন সেলিম, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু মিয়া, বরইকান্দি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি সানর মিয়া, টুলটিকর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুল মুকিত, সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সাবেক আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট হেদায়েত হোসেন তানভীর, সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য দুলাল আহমদ, সিলেট জেলা বিএনপি নেতা দেলওয়ার হোসেন জয়, সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আব্দুল হাছিব, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সহ-ক্ষুদ্রঋণ বিষয়ক সম্পাদক সুমন আহমদ সিকদার, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপি নেতা সাহেদ খান স্বপন ও বরইকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক নেতা নুরুল ইসলাম মাসুম।

এ ছাড়াও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে নোটিশপ্রাপ্তরা হলেন- সিলেট জেলা মহিলা দলের সভাপতি সালেহা কবির শেপী, সিলেট মহানগর মহিলা দলের সহ-সভাপতি রুহেনা বেগম মুক্তা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, সিলেট ইউনিটের সদস্য অ্যাডভোকেট জহুরা জেসমিন ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি কামরুন নাহার তান্নি।

তবে এখন পর্যন্ত কোনো নোটিশ হাতে পাননি বলে জানিয়েছেন মেয়র প্রার্থী সালাউদ্দিন রিমন। তিনি বলেন, ‘আমি বর্তমানে গণসংযোগে ব্যস্ত, এসব নোটিশ নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না।’

এসময় তিনি দলীয় পরিচয়ে প্রার্থী হননি বলেও জানান।

এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর বিএনপি সভাপতি নাসিম হোসাইন বলেন, ‘আজ রাতের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের হোয়াটসঅ্যাপে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হবে। যাদের হোয়াটসঅ্যাপে পাওয়া যাবে না, তাদের সশরীর রোববার চিঠি পৌঁছে দেয়া হবে।’

যাদের কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে, তাদের কাছ থেকে জবাব পাওয়ার পর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি বলে জানান তিনি।

২১ জুন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

আরও পড়ুন:
নির্বাচনে অংশ নিয়ে খুলনা বিএনপির ৯ নেতা আজীবন বহিষ্কার
অস্বাভাবিক সরকার এনে ছায়ায় থাকতে চায় বিএনপি: ইনু

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Rupon will accept the teams decision
বরিশাল সিটি নির্বাচন

দলের সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন রুপন

দলের সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন রুপন বরিশালে নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির নোটিশের জবাবে রুপন উল্লেখ করেন, ‘বরিশাল সিটি নির্বাচনের প্রার্থীতা ঘোষণার পর গণমাধ্যমে এই মর্মে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয় যে আমি বিএনপির কেউ নই। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া আমার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয় বলে উল্লেখ করা হয়। তারপরও আমি সবসময় মিডিয়ায় বক্তব্য দিয়েছি, বিএনপির পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা আসলে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করব।’

বিএনপির ভোট বর্জনের সিদ্ধান্তের পরও সিটি নির্বাচনে নিজের প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করার কারণ জানিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন। দলটির দেয়া কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবে তিনি তা জানিয়েছেন।

এসময় মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দকে দোষারোপ করেছেন রুপন। মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচনে অংশ নেয়া ও প্রত্যাহারের বিষয়ে কেউ কখনও যোগাযোগ করেনি বলে অভিযোগ তার।

তিনি জানান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বেঁধে দেয়া সময়সীমা শুক্রবার রাত ১০টার মধ্যেই শোকজের জবাব দিয়েছেন তিনি।

নোটিশের জবাবে রুপন উল্লেখ করেন, ‘বরিশাল সিটি নির্বাচনের প্রার্থীতা ঘোষণার পর গণমাধ্যমে এই মর্মে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয় যে আমি বিএনপির কেউ নই। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া আমার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয় বলে উল্লেখ করা হয়। তারপরও আমি সবসময় মিডিয়ায় বক্তব্য দিয়েছি, বিএনপির পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা আসলে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করব।’

বর্তমানে তিনি কোনো সাংগঠনিক পদে নেই জানিয়ে বলেন, ‘এখন প্রার্থীতা প্রত্যাহারের সুযোগ নেই। তবে দল যে সিদ্বান্ত দেবে, তা মেনে নেব।’

বরিশাল সিটি নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে মেয়র পদের রুপনসহ সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদের ১৯ জনকে শোকজ দেয় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি।

২৪ ঘন্টার মধ্যে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত ওই নোটিশের জবাব দিতে নির্দেশ দেয়া হয়।

নোটিশের জবাবে রুপনকে দায়ী করা প্রসঙ্গে বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মীর জাহিদুল কবির জাহিদ বলেন, ‘সে বিএনপি পরিবারের সন্তান। সারা দেশের মানুষ জানে নিশিরাতে ভোটের এ সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির কেউ অংশ নেবে না। সে যদি বিএনপিকে ভালবাসত, তাহলে নির্বাচনে অংশ নিত না।’

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, ‘নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তটি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সিদ্বান্ত। বিএনপির সবাই এটা জানে। ঘরে ঘরে গিয়ে তো বলার কিছু নেই।’

আরও পড়ুন:
বরিশালে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নষ্ট হলে কড়া আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
মেয়র পদপ্রার্থীসহ বরিশাল সিটির ১৯ প্রার্থীকে শোকজ বিএনপির

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Mayoral candidates of Sylhet City campaign by getting symbols

প্রতীক পেয়েই প্রচারে সিলেট সিটির মেয়র প্রার্থীরা

প্রতীক পেয়েই প্রচারে সিলেট সিটির মেয়র প্রার্থীরা সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে শুক্রবার প্রতীক বরাদ্দের পর আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করেন প্রার্থী ও সমর্থকরা। ছবি: নিউজবাংলা
আওয়ামী লীগের মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে নৌকা, জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুলকে লাঙ্গল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাহমুদুল হাসানকে হাতপাখা এবং জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলমকে গোলাপফুল প্রতীক দেয়া হয়।

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিভিন্ন পদে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রতীক পেয়েই আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করেছেন প্রার্থীরা।

শুক্রবার সকালে সিলেটের আঞ্চিলক নির্বাচন কার্যালয়ে মেয়র এবং দিনভর কাউন্সিলর পদপ্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।

সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিলেট সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদির প্রার্থীদের হাতে প্রতীক তুলে দেন।

মেয়র পদপ্রার্থীরা কে কোন প্রতীক পেলেন

সিলেট সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাতজন।

এদের মধ্যে দলীয় চার প্রার্থী দলের নির্ধারিত চারটি প্রতীক পান।

আওয়ামী লীগের মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে নৌকা, জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুলকে লাঙ্গল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাহমুদুল হাসানকে হাতপাখা এবং জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলমকে গোলাপফুল প্রতীক দেয়া হয়।

এ ছাড়া স্বতন্ত্র মোহাম্মদ আবদুল হানিফ কুটু পেয়েছেন ঘোড়া, মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন পেয়েছেন ক্রিকেট ব্যাট এবং মো. শাহজাহান মিয়া বাস গাড়ি প্রতীক পান।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২১ জুন সিলেট সিটি করপোরেশনে ভোটগ্রহণ করা হবে।

প্রতীক পেয়েই প্রচারে

দুপুর থেকেই মেয়র পদপ্রার্থীরা প্রতীক নিয়ে প্রচার শুরু করেন।

নগরের বিভিন্ন এলাকায় প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিক গণসংযোগ চালান তারা।

তবে প্রতীক বরাদ্দের দিন শুক্রবারের আগেই বিভিন্ন উপায়ে প্রার্থীরা প্রচার চালিয়ে আসছেন।

আচরণবিধি লঙ্ঘন করে আগেভাগে প্রচার শুরুর অভিযোগে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুলকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

সকালে প্রতীক পাওয়ার পর নগরের মেন্দিবাগ ও উপশহর এলাকায় প্রচার চালান আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘নৌকা কেবল আওয়ামী লীগের প্রতীক নয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও ঐতিহ্যের প্রতীক। বিজয়ী হলে আমি আমার নগরবাসীকে স্বপ্নের স্মার্ট সিলেট উপহার দেব।’

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন প্রমুখ।

পরে বিকেলে নগরের মির্জাজাঙ্গাল এলাকায় নিজের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন করেন আনোয়ারুজ্জামান।

এদিকে নগরের সাগরদিঘির পাড় এলাকার একটি মসজিদে জুমার নামাজ আদায়ের পর আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল। তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করেন।

বাবুল বলেন, ‘গত ২০ বছরে সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র থাকলেও নগরের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয়নি। নগরবাসী তাই এবার পরিবর্তন চায়।’

এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাহমুদুল হাসান বিকেলে নগরের উপশহর এলাকায় প্রচার চালান।

আরও পড়ুন:
আচরণবিধি লঙ্ঘন: আনোয়ারুজ্জামান ও বাবুলকে ইসির শোকজ
গাজীপুরের ফলে সিলেটে ‘দুশ্চিন্তায়’ আওয়ামী লীগ, অন্যদের স্বস্তি
প্রার্থিতা ফিরে পেতে ৩ মেয়র ও ৯ কাউন্সিলর প্রার্থীর আপিল
আনোয়ারুজ্জামানের বার্ষিক আয় ৩ লাখ, বাবুল ‘স্বশিক্ষিত’
সিলেটে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সংশয়ে জাপার প্রার্থী

মন্তব্য

p
উপরে