× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Zayda Khatuns 9 and Ronis 19 point manifesto
google_news print-icon
সিটি নির্বাচন

গাজীপুরে জায়েদা খাতুনের ৯ ও রনির ১৯ দফা ইশতেহার

গাজীপুরে-জায়েদা-খাতুনের-৯-ও-রনির-১৯-দফা-ইশতেহার
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন ও সরকার শাহনুর ইসলাম রনি মঙ্গলবার তাদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা
মঙ্গলবার সকালে টঙ্গীর নিজ বাসভবনে নাগরিকসেবা সহজ ও জনবান্ধব করে পরিচ্ছন্ন সবুজ নগরী গড়তে ১৯ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেন রনি। অন্যদিকে দুপুরে নগরীর ছয়দানায় নিজ বাসভবনে আগামী পাঁচ বছরের জন্য হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফের ঘোষণা দিয়ে ৯ দফা ইশতেহার দেন জায়েদা খাতুন।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচারণার শেষ দিনে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন ও সরকার শাহনুর ইসলাম রনি।

মঙ্গলবার সকালে টঙ্গীর নিজ বাসভবনে নাগরিকসেবা সহজ ও জনবান্ধব করে পরিচ্ছন্ন সবুজ নগরী গড়তে ১৯ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেন রনি।

অন্যদিকে দুপুরে নগরীর ছয়দানায় নিজ বাসভবনে আগামী পাঁচ বছরের জন্য হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফের ঘোষণা দিয়ে ৯ দফা ইশতেহার দেন জায়েদা খাতুন।

জায়েদা খাতুনের ৯ দফা

নির্বাচিত হলে সাধারণ মানুষের বাড়িঘরের আগামী পাঁচ বছরের হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফের কথা জানিয়ে ৯ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন। এ সময় তার ছেলে সাবেক মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন। জাহাঙ্গীর আলম তার মায়ের পক্ষে ইশতেহারটি পাঠ করে শোনান।

নির্বাচনী ইশতেহারে জায়েদা খাতুন বলেন, ‘আমি নির্বাচিত হলে সাধারণ মানুষের বাড়িঘরের আগামী পাঁচ বছরের হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ করা হবে। আমার ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের পরিকল্পনা ও প্রণীত মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী তার অসমাপ্ত কাজ সম্পাদন করব। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৫৭টি ওয়ার্ডে রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন করব।

‘প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রয়োজন অনুযায়ী এবং প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা অনুযায়ী দীর্ঘমেয়াদি চলাচল উপযোগী রাস্তা নির্মাণ করব। সমগ্র গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় রাজেন্দ্রপুর থেকে শুরু করে টঙ্গী আর আশুলিয়া হয়ে কোনাবাড়ি কাশিমপুর কাউলতিয়াকে সংযুক্ত করে আউটার রিংরোড নির্মাণের মাধ্যমে যানজট সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা হবে।

‘দ্রুততম সময়ের মধ্যে পর্যাপ্ত সংযোগ ব্রিজ নির্মাণ করব। যাতায়াতের জন্য একাধিক বিকল্প রাস্তা এবং ব্রিজ নির্মাণ করব।’

ইশতেহারে জায়েদা খাতুন বলেন, ‘গাজীপুরকে একটি আধুনিক স্মার্ট, ক্লিন এবং গ্রিন সিটি হিসেবে গড়ে তুলব। হোল্ডিং অনুযায়ী বিভিন্ন সেবা ডিজিটালাইজ করার লক্ষ্যে ডিজিটাল হোল্ডিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বাস্তবায়ন করব এবং স্মার্ট হোল্ডিং কার্ড দেব। এতে নাগরিক অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে হোল্ডিং ট্যাক্স দিতে পারবেন।

সিটিতে ই-ট্রেড লাইসেন্স চালু করব। এতে নাগরিকরা অনলাইনে লাইসেন্সের আবেদন এবং নবায়ন করতে পারবেন। যেদিন আবেদন করা হবে সেদিনই লাইসেন্স ইস্যু হবে। সিটি করপোরেশনের সেবা সহজতর করার জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার চালু করা হবে।

‘আমি নির্বাচিত হলে সিটি করপোরেশন এলাকায় কর্মরত শ্রমিকদের তথ্য নিয়ে একটি ডিজিটাল ডাটাবেজ প্রণয়ন করব। এতে শ্রমিকদের বিস্তারিত তথ্য লিপিবদ্ধ থাকবে। শ্রমিকদের সুচিকিৎসার জন্য সিটি করপোরেশনের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপন করা হবে। সেখানে নামমাত্র মূল্যে শ্রমিকদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হবে। শ্রমিক স্বার্থরক্ষায় ট্রেড ইউনিয়ন চালু করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচিত হলে মাদক নির্মূলে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করব এবং মাদকের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে। সড়ক-মহাসড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে। মাদক নির্মূলে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।

‘ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং ওয়ার্ডের বিশিষ্ট নাগরিকদের সমন্বয়ে ওয়ার্ডভিত্তিক উন্নয়ন ও সন্ত্রাস বিরোধী নাগরিক কমিটি গঠন করা হবে। মদ-জুয়া ও মাদক প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হবে। মাতাল, জুয়াড়ি ও ভবঘুরেদের কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।

‘সিটি করপোরেশনের প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারী নাগরিকদের স্যার সম্বোধন করবেন এবং প্রকৃত অর্থে সেবার মানসিকতা নিয়ে নাগরিকদের সেবা দিতে হবে। দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেয়া হবে। সিটি করপোরেশনের মেয়র, কাউন্সিলর, সচিবসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে। সিটি করপোরেশনের বাজার ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন করা হবে। ক্রেতা-ভোক্তা ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।

জাহাঙ্গীরের মা বলেন, ‘ক্লিন সিটি, গ্রিন সিটি বাস্তবায়নে সিটি করপোরেশন এলাকা জুড়ে পর্যাপ্ত বৃক্ষরোপণ করা হবে। অসহায় মহিলাদের স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠায় এককালীন পুঁজি অনুদান হিসেবে দেয়া হবে।

‘দুস্থ ও অসহায় নারীদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্রে বিশেষ প্রণোদনা ঋণ দেয়া হবে। বেকারদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পার্টটাইম কাজের ব্যবস্থা করা হবে।’

সরকার শাহনুর ইসলাম রনির ইশতেহার

নির্বাচিত হলে গাজীপুর সিটিকে জনবান্ধব, শিল্পবান্ধব, যানজটমুক্ত, পরিবেশবান্ধব, জলাবদ্ধতামুক্ত, সুপরিকল্পিত আবাসনের নগরী হিসেবে গড়ার কথা ইশতেহারে তুলে ধরেছেন রনি।

বিএনপি পরিবারের সদস্য এই প্রার্থী ইশতেহারে গাজীপুরের উন্নয়নে তার বাবা নূরুল ইসলাম সরকার ও চাচা হাসান উদ্দিন সরকারের বিভিন্ন ভূমিকা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের পরিবার অত্র এলাকার উন্নয়নের গোড়াপত্তন করে। আমি পারিবারিক ঐহিত্য ও অভিজ্ঞতাকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের উন্নয়নে কাজে লাগাতে চাই। নগর পিতা নয়, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের একজন সেবক হয়ে নাগরিকদের সুখ-দুঃখে পাশে থাকতে চাই।’

১৯ দফা ইশতেহারের শুরুতেই রনি নির্বাচিত হলে গাজীপুর সিটিকে একটি পরিচ্ছন্ন সবুজ নগরী হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেছেন। একইসঙ্গে সিটি করপোরেশনের সব নাগরিকসেবা সহজ ও জনবান্ধব করার ঘোষণা দেন।

গাজীপুরে শিল্পবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলবেন জানিয়ে ইশতেহারে বলা হয়েছে, ‘অতিরিক্ত করারোপের ফলে অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান সিটির বাইরে অন্যত্র চলে গেছে এবং যাচ্ছে। যেসব নাগরিক বাড়ি/কলোনি ভাড়ার আয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন যাপন করতেন তারা এখন দৈন্যদশায় পড়েছেন।

‘নির্বাচিত হলে শিল্প-ট্যাক্স সহনীয় মাত্রায় নির্ধারণ করব এবং শিল্পের সব সমস্যা চিহ্নিত করে একটি শিল্প ও শ্রমিকবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলব। বিশেষ করে টঙ্গী ও কোনাবাড়ি বিসিক এবং টঙ্গীতে রাজউকের নির্ধারিত শিল্প জোনে এখনও যেসব প্লট পতিত/পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে সেসব স্থানে শিল্প ইউনিট স্থাপনের জন্য শিল্প্যোদ্যোক্তাদের আগ্রহী করার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।’

এছাড়া যেসব কারখানা বন্ধ বা রুগ্ন অবস্থায় রয়েছে সেসব কারখানার মালিকদের যথাসাধ্য সহযোগিতা দিয়ে কারখানাগুলো সচলে চেষ্টা করার কথা বলা হয়েছে ইশতেহারে। যাতে নগরবাসীর কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পায় এবং শিল্প মালিক ও বাড়ি মালিকরা ভালো থাকেন।

বিকল্প রাস্তা সম্প্রসারণ-উন্নয়ন ঘটিয়ে ঢাকা-গাজীপুর যানজটমুক্ত যাতায়াতের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করা হবে জানিয়ে ইশতেহারে বলা হয়েছে, ‘গাজীপুর শহরের সঙ্গে ঢাকার সহজ যোগাযোগের জন্য বনমালা রোড থেকে রেললাইনের পূর্বপাশ দিয়ে তুরাগ নদ পর্যন্ত রাস্তাটি সম্প্রসারণ করব এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রের সঙ্গে যোগাযোগ করে তা কুড়িল বিশ্বরোড পর্যন্ত সম্প্রসারণ করব।’

গাজীপুর শহরকে এক রাস্তার শহর বলা হয়। তাই নগরীর পূর্ব-পশ্চিমমুখী দুটি রাস্তা নির্মাণ করার ঘোষণা দিয়ে ইশতেহারে বলা হয়েছে, ‘নির্বাচিত হলে জয়দেবপুর জংশনের দক্ষিণ পাশ এবং উত্তর পাশ দিয়ে আরও দুটি রাস্তা পূর্ব-পশ্চিমমুখী করে নির্মাণের উদ্যোগ নেব। রাস্তা নির্মাণ/প্রশস্তকরণে ভূমি অধিগ্রহণ আইন অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্তদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে।’

এ ছাড়া মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ব্যস্ততম রাস্তাগুলোর রেলক্রসিংগুলোর উপর প্রয়োজন অনুসারে ওভারপাস নির্মাণ করার কথা বলা হয়েছে ইশতেহারে।

একইসঙ্গে নাওজোর থেকে কাশিমপুর হয়ে জিরানী পর্যন্ত এবং গাজীপুর টু পূবাইল রোডের কাজ দ্রুত শেষ করবেন বলে ইশতেহারে জানিয়েছেন রনি।

আধুনিক সুযোগ সুবিধা সংবলিত স্কুল-কলেজ গড়ে তোলার কথা জানিয়ে ইশতেহারে বলা হয়েছে, ‘নির্বাচিত হলে ৫৭টি ওয়ার্ডে সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত ৫৭টি স্কুল অ্যান্ড কলেজ নির্মাণ করা হবে।’

ইশতেহারে শিশুদের সুস্থ বিনোদন ও খেলাধুলার জন্য ৫৭টি সুপরিসর খেলার মাঠ এবং ৫৭টি ওয়ার্ডে ৫৭টি শিশুপার্ক ও কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণের কথাও বলা হয়েছে।

পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলে বায়ু ও পানিদূষণ সর্বনিম্ন মাত্রায় নামিয়ে আনার চেষ্টা করবেন বলে ইশতেহারে অঙ্গীকার করেছেন রনি।

এলাকাভিত্তিক জলাবদ্ধতা দূরীকরণে স্থানীয় জনগণ এবং বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে জানিয়ে ইশতেহারে তিনি বলেন, বর্ষা মৌসুমের আগেই ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা হবে। ড্রেন পরিষ্কারে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের পাশাপাশি স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির বাহন আনা হবে।

ইশতেহারে গার্মেন্ট শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিকদের জন্য সুপরিকল্পিত আবাসন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন রনি। একইসঙ্গে বস্তিগুলোকে উন্নত সুযোগ-সুবিধার আওতায় নিয়ে আসার কথা বলা হয়েছে।

ইশতেহারে মাদক, সন্ত্রাস, ইভটিজিংমুক্ত নগরী গড়ে তোলারও অঙ্গীকার করেছেন তিনি। একইসঙ্গে চেষ্টা করবেন ‘কিশোর গ্যাং’ দমন ও বিপদগামী কিশোরদের সংশোধনের আওতায় আনার।

সবশেষে ভোটকে নাগরিকদের শ্রেষ্ঠ আমানত উল্লেখ করে রনি বলেন, ‘আমি কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী। যদি আমাকে আপনাদের যোগ্য মনে হয়, ২৫ মে ভোটের মাধ্যমে আপনাদের আমানতের সেরা বিনিয়োগ করুন। আমি আপনাদের পাশে সেবক হয়ে থাকব, ইনশাআল্লাহ।’

আরও পড়ুন:
গাজীপুর সিটিতে ৪৮০ কেন্দ্রের ৩৫১টিই ঝুঁকিপূর্ণ: ইসি
মধ্যরাত থেকে গাজীপুর সিটিতে বন্ধ মোটরসাইকেল
গাজীপুরে ৩২৫ কাউন্সিলর প্রার্থীর ১৩২ জনই মাধ্যমিক পাশ করেননি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The appeal authority for the third phase of upazila polls is the District Commissioner

তৃতীয় ধাপের উপজেলা ভোটেও আপিল কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসক

তৃতীয় ধাপের উপজেলা ভোটেও আপিল কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসক
প্রথম এবং দ্বিতীয় ধাপের ভোটেও আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ করা হয়েছে। ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত চিঠি ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ভোটেও আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসককে নিয়োগ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর আগে প্রথম এবং দ্বিতীয় ধাপের ভোটেও আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ করা হয়েছে।

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত চিঠি ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

তফসিল অনুযায়ী, তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে ও মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮ মে, আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে।

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ভোটগ্রহণ হবে ২৯ মে। েই ধাপে ৪৭টি জেলার ১১২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে।

তৃতীয় ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে৷ রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে নিষ্পত্তি করবেন জেলা প্রশাসক।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২১ এপ্রিল, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল এবং আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যেসব উপজেলায় ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

প্রথম ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ও বাছাইয়ের সময় শেষ। বৈধ প্রার্থী এক হাজার ৭৮৬ জন। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলের শেষ সময় ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি হবে ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে ২৩ এপ্রিল। আর ১৫২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে রাজনৈতিক ফ্লেভার নেই: ইসি আলমগীর
দল থেকে শোকজ পেয়েছেন সিংড়ার রুবেল
বিজেপির হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনার মধ্যে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ভোট শুরু
উপজেলায় মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের প্রার্থিতা চায় না আওয়ামী লীগ
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬ জন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Awami ruling group has become increasingly violent Fakhrul

আওয়ামী শাসক গোষ্ঠী আরও তীব্র মাত্রায় হিংস্র হয়ে উঠেছে: ফখরুল

আওয়ামী শাসক গোষ্ঠী আরও তীব্র মাত্রায় হিংস্র হয়ে উঠেছে: ফখরুল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘মিথ্যাচার, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও অপকৌশলের মাধ্যমে অবৈধ রাষ্ট্রক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ গণতন্ত্রমনা বিরোধী দল, ভিন্ন মত-পথের মানুষদের ওপর নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে।’

আওয়ামী শাসক গোষ্ঠী ৭ই জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে এখন আরও তীব্র মাত্রায় হিংস্র হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘মিথ্যাচার, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও অপকৌশলের মাধ্যমে অবৈধ রাষ্ট্রক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ গণতন্ত্রমনা বিরোধী দল, ভিন্ন মত-পথের মানুষদের ওপর নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় সাজা প্রদানসহ জামিন নামঞ্জুর করে বিরোধী নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানোর মাধ্যমে দখলদার আওয়ামী সরকার দেশে নব্য বাকশালী শাসন কায়েম করেছে।

‘বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-যুব বিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর ঘটনা আওয়ামী জুলুমের আরেকটি বর্ধিত প্রকাশ।’

তিনি বলেন, ‘সারাদেশে প্রতিনিয়ত সরকারের মদদে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদেরকে সাজা প্রদানসহ জামিন নামঞ্জুরের মাধ্যমে কারান্তরীণ করার ঘটনায় আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজের সাজা বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি।’

আরও পড়ুন:
দেশের সীমান্ত আজ অরক্ষিত: ফখরুল
জনগণের অধিকার আদায়ের জন্যই আন্দোলন: ফখরুল
ছাত্রলীগ জোর করে বিশ্ববিদ্যালয় দখলের চেষ্টা করছে: ফখরুল
দমন-নির্যাতন ছাড়া আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে না: ফখরুল
ফ্যাসিস্ট নয়, বাংলাদেশ বর্ণবাদীদের কবলে পড়েছে: ফখরুল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Local government elections have no political flavor EC Alamgir

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে রাজনৈতিক ফ্লেভার নেই: ইসি আলমগীর

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে রাজনৈতিক ফ্লেভার নেই: ইসি আলমগীর শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের হলরুমে হরিরামপুর ও সিংগাইর উপজেলার প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। ছবি: নিউজবাংলা
নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে মো. আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচনে কার কোন আত্মীয় অংশ নিল বা কে অংশ নিল না- সেটা আমাদের বিষয় নয়; সেটা রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক বিষয়।’

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন কোনো রাজনৈতিক নির্বাচন নয়। কারণ বর্তমান সরকার দলীয় রাজনৈতিক দল স্থানীয় সরাকর নির্বাচনকে উন্মুক্ত করে দিয়েছে। কাজেই স্থানীয় সরকার নির্বাচনে রাজনৈতিক কোনো ফ্লেভার নেই।

তিনি বলেছেন, তারপরও যাতে রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে যে কেউ নির্বাচনে দাঁড়াতে পারেন, সেটার অপশনও রাখা হয়েছে, অর্থাৎ ভোট ফ্লেক্সিবল করা হয়েছে। ইচ্ছে করলে স্বাধীনভাবে নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন; রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রয়োজন নেই। আবার চাইলে অনেকে রাজনৈতিক পরিচয়েও নির্বাচন করতে পারবেন, তাতেও কোনো সমস্যা নেই।

শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের হলরুমে হরিরামপুর ও সিংগাইর উপজেলার প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির উদ্দেশে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও তাদের অনেক সমর্থক-প্রার্থী আনঅফিশিয়ালি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। সুতরাং এটা বলার সুযোগ নেই যে, নির্বাচন অংশগ্রহণ মুলক নির্বাচন হচ্ছে না।’

ইসি আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচন অবশ্যই শান্তিপূর্ণ হতে হবে এবং কোনোমতেই যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি না হয়। অন্যায়ভাবে কেউ যাতে কোনো প্রার্থীকে প্রচারে ও ভোটদানে বাধা দিতে না পারে। সবাই যাতে সমানভাবে নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা করতে পারে এবং ভোটরা যাতে স্বাধীনভাবে তার ভোট দিতে পারে। একইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে।’

নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে কার কোন আত্মীয় অংশ নিল বা কে অংশ নিল না- সেটা আমাদের বিষয় নয়; সেটা রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক বিষয়, কিন্তু আমাদের নির্বাচনি আইনে যদি কোনো ব্যক্তি ওই এলাকার ভোটার হয় এবং তার বিরুদ্ধে যদি কোনো আইনি ঝামেলা না থাকে, তাহলে তিনি নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন। আমাদের আইনে আত্মীয়তার সঙ্গে কোনো সর্ম্পক নেই।’

এ সময় জেলা প্রশাসক রেহেনা আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. তরিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সুজন সরকার ও জেলা নির্বাচন অফিসার আমিনুর রহমান মিঞাসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
দল থেকে শোকজ পেয়েছেন সিংড়ার রুবেল
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬ জন
নাটোরে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী ও ভাইকে অপহরণ
উপজেলা নির্বাচনে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ২০ এপ্রিলের পর
পরবর্তী কমিশনের জন্য সুপারিশ রেখে যাবে ইসি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Singras ruble received grief from the team
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে ‘অপহরণ ও মারধর’

দল থেকে শোকজ পেয়েছেন সিংড়ার রুবেল

দল থেকে শোকজ পেয়েছেন সিংড়ার রুবেল সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল হাবীব‌ রুবেল। ছবি: সংগৃহীত
এর আগে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও লুৎফুল হাবীব রুবেলকে শোকজ করা হয়েছে।

নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগ ওঠার পর চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল হাবীব রুবেলকে কারণ দর্শোনোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ।

শুক্রবার দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওহিদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস স্বাক্ষরিত চিঠিতে কারণ দর্শানোর নোটিশ ইস্যু করা হয়।

নোটিশে বলা হয়, ‘গত ১৫ এপ্রিল নাটোর জেলা নির্বাচন কমিশন অফিসের সামনে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন পাশার মনোনয়নপত্র জমাদানে বাধা প্রদান, মারপিট ও অপহরণের ঘটনা যা বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত হয় এবং উক্ত ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামি সুমনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে আপনার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, যা দলীয় আচরণবিধি পরিপন্থির সামিল।

‘এমতাবস্থায় কেন আপনার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার জবাব আগামী ৩ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে জানানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।’

ওই সময়ের মধ্যে জবাব না দিলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

শোকজের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ ঘটনায় দলীয় তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই তাকে শোকজ করা হয়েছে। শোকজের জবাবের প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন সোমবার বিকেলে সিংড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন পাশা অনলাইনে আবেদনের পর জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে মনোনয়নপত্রের প্রতিলিপি জমা দিতে আসেন। সেখানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাকে মারধর করে কালো মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে আবারও বেধড়ক মারধর করে বাড়ির সামনে ফেলে যায়। সেখান থেকে পরিবারের সদস্যরা তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন।

এ ঘটনায় দেলোয়ার হোসেনের পরিবার লুৎফুল হাবীব রুবেল ও তার সমর্থকদের দায়ী করে আসছে। ইতোমধ্যে তাদের করা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত সুমন নামের এক আসামি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন যে, লুৎফুল হাবীব রুবেলের পক্ষ নিয়েই সুমনসহ অন্য আসামিরা দেলোয়ার হোসেন পাশাকে অপহরণ ও মারধর করেছেন।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ মেলায় রুবেলকে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

লুৎফুল হাবীব‌ রুবেল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে তার। তিনি প্রতিমন্ত্রীর শ্যালক।

আরও পড়ুন:
সিংড়া উপজেলা নির্বাচনে সেই প্রার্থীকে ইসিতে তলব
নাটোরে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী ও ভাইকে অপহরণ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP leaders speech is like a circus Foreign Minister

বিএনপি নেতাদের বক্তব্য সার্কাসের মতো: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বিএনপি নেতাদের বক্তব্য সার্কাসের মতো: পররাষ্ট্রমন্ত্রী অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: নিউজবাংলা
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মৃত্যুঞ্জয়ী শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। বারবার মৃত্যু উপত্যকা থেকে ফিরে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বিচলিত হননি, বরং আরো দৃপ্ত পদভারে জনগণের সংগ্রামের কাফেলাকে এগিয়ে নিয়েছেন, দেশকে বিশ্বের বুকে মর্যাদা ও সম্মানের আসনে আসীন করেছেন।

বিএনপির নেতাদের বক্তব্য সার্কাসের মতো মনে হয় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ-পিআইবির মহাপরিচালক একুশে পদকে ভূষিত সাংবাদিক জাফর ওয়াজেদ গ্রন্থিত ‘ভুবনজোড়া শেখ হাসিনার আসনখানি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপি আবার বিদেশি দূতাবাসে ধরনা দিচ্ছে-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, যে কোনো কিছুতেই বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয়া বিএনপির সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দুর্বলতা। বাংলাদেশে ক্ষমতার উৎস জনগণের কাছে না গিয়ে বিদেশিদের কাছে গেলে বিদেশিরা তো বিএনপিকে কোলে করে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে না।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাসী। জনগণই ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে। ফলে বিএনপি নেতাদের বক্তব্য সার্কাসের মতো মনে হয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মৃত্যুঞ্জয়ী শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। বারবার মৃত্যু উপত্যকা থেকে ফিরে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বিচলিত হননি, বরং আরো দৃপ্ত পদভারে জনগণের সংগ্রামের কাফেলাকে এগিয়ে নিয়েছেন, দেশকে বিশ্বের বুকে মর্যাদা ও সম্মানের আসনে আসীন করেছেন।

তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্ব বর্তমান বিশ্বে বিরল। তিনি শুধু দেশেরই নন, তিনি আজ বিশ্বনেতা। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, শেখ হাসিনা শুধু তারই নন, তার সন্তানদেরও প্রেরণা। ভারতের প্রিয়াঙ্কা গান্ধী শেখ হাসিনাকে জড়িয়ে ধরে তাকে নিজের প্রেরণা বলে উল্লেখ করেছেন। ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, আরব বিশ্বে একজন শেখ হাসিনা থাকলে হয়তো গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করা যেতো।

হাছান বলেন, শুধু তাই নয়, যে কোনো বিশ্বসভায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা যোগ দিলে তিনিই মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন।

মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি

এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ২৮৫ জন সদস্যকে মিয়ানমারের জাহাজে নৌপথে ফেরত যাওয়ার ক্লিয়ারেন্স দেয়া হয়েছে।

তিনি জানান, ২২ এপ্রিল জাহাজে তাদের ফেরত নিতে সম্মত মিয়ানমার। এ ছাড়া মিয়ানমারে আটকে পড়া ১৫০ জন বাংলাদেশিও একই জাহাজে ফেরত আসবে। তবে জাহাজের যাত্রা সমুদ্র ও মিয়ানমারের পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পিআইবির কর্মকর্তা ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jails are the permanent residence of many BNP leaders Rizvi

কারাগারগুলো বিএনপির অনেক নেতা-কর্মীর স্থায়ী আবাসস্থল: রিজভী

কারাগারগুলো বিএনপির অনেক নেতা-কর্মীর স্থায়ী আবাসস্থল: রিজভী রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি
রিজভী বলেন, বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী এখনো কারাগারে রয়েছেন। আর কয়েকজন ৩ থেকে ৪ মাস কারাভোগের পর বের হতে পেরেছেন।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দলের অনেক নেতাকর্মীকে সরকার কারাগারে নিক্ষেপ করে আলো-বাতাস থেকে বঞ্চিত করছে।

শুক্রবার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জিয়া প্রজন্ম দল আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে রিজভী এ কথা বলেন। খবর ইউএনবির

তিনি আরও বলেন, বিনা কারণে মাসের পর মাস কারাগারে বন্দি থাকতে থাকতে কারাগারগুলো বিএনপির অনেক নেতা-কর্মীর স্থায়ী আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে।

রিজভী বলেন, মহাসচিব, স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, যুগ্ম মহাসচিবের মতো শীর্ষ নেতারা তিন-চার মাস ধরে কারাভোগ করে মুক্তি পেয়েছেন।

শেখ হাসিনার বিএনপি নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানোর নীতি এখনো শেষ হয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিএনপিকে ভয় পান এবং জানেন যে তার পক্ষে কোনো জনসমর্থন নেই।

জনগণের সমর্থনহীন সরকার স্বৈরাচারী হয়ে যায় উল্লেখ করে রিজভী বলেন, জনগণ যখন অধিকারের জন্য আওয়াজ তোলে তখন তারা দমন করে।

এই বিএনপি নেতা বলেন, তারা দমন-পীড়নের সব উপায় অবলম্বন করে, যেমন- আটকে রাখা, নির্যাতনের জন্য আয়না ঘর তৈরি করা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করে প্রতিপক্ষকে হত্যা করা এবং বিরোধী দলকে ঘায়েল করতে দলীয় ক্যাডারদের ব্যবহার করা।

তিনি দাবি করেন, ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপির ২৫ থেকে ২৬ হাজার নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে।

রিজভী আরও বলেন, বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী এখনো কারাগারে রয়েছেন। আর কয়েকজন ৩ থেকে ৪ মাস কারাভোগের পর বের হতে পেরেছেন।

বিএনপির এত সদস্য কেন কারাগারে, তার কোনো সদুত্তর সরকারের কাছে আছে কি না জানতে চান রিজভী।

অবৈধভাবে অর্জিত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্যই প্রধানমন্ত্রী এসব করছেন বলে অভিযোগ করেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
No political case against BNP PM

বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী

বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ফোকাস বাংলা
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, “তারা (বিএনপি) যেভাবে বলছে তাদের ৬০ লাখ লোক গ্রেপ্তার হয়েছ, ৬০ লাখ লোক ধারণ করার ক্ষমতাও নাই এসব জেলে। তারপরও যতটুকু ধারণ ক্ষমতা আছে সবই বিএনপির লোক এটাই তো তারা বলতে চাচ্ছে। তার মানে বাংলাদেশে যত অপরাধ সব অপরাধ করে বিএনপি।”

বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো মামলাই রাজনৈতিক নয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অগ্নিসংযোগ, গ্রেনেড হামলা, আগ্নেয়াস্ত্র চোরাচালান ও দুর্নীতির মতো সুনির্দিষ্ট ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্তরাই এ সংক্রান্ত মামলার আসামি হয়েছেন।

তিনি বলেন,“আজকে তারা (বিএনপি) সব জায়গায় কান্নাকাটি বলছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা। তাদের জিজ্ঞেস করতে হবে মামলাগুলো কীসের মামলা? অগ্নিসন্ত্রাস, অস্ত্রপাচার, গ্রেনেড হামলাসহ বিভিন্ন অপরাধের মামলা। তারা অপরাধ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সেটাই তো বাস্তবতা।”

এসব মামলাগুলো দ্রুত শেষ করে এগুলোর শাস্তি দিয়ে দেয়া উচিত বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা শুক্রবার সকালে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ কৃষক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে দেয়া ভাষণে এসব কথা বলেন। খবর বাসসের

২০১৩ ও ১৪ সালে নির্বাচন বানচালের জন্য এবং পরবর্তীতে বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাস ও সহিংসতার প্রসংগ টেনে তিনি বলেন, তারা ৩ হাজার ৮০০ গাড়ি পুড়িয়েছে, বাস, লঞ্চ ও রেল পুড়িয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে না তো কি হবে।

তিনি বলেন, ওদের বিরুদ্ধে কোনো মামলাইতো পলিটিক্যাল মামলা না, প্রত্যেকটা মামলা হচ্ছে অগ্নিসন্ত্রাসের মামলা। তারা মানুষ হত্যা করেছে আগুন দিয়ে। নির্বাচন ঠেকাতে যেয়ে তারা রেলে আগুন দিয়ে মা-শিশুকে পুড়িয়ে মেরেছে, যারা এগুলো করলো তাদের বিরুদ্ধে কি মামলা হবে না?

“যারা এগুলো করলো তাদের বিরুদ্ধে কি মামলা হবে না? তাদেরকে কি মানুষ পূজা করবে,” সে প্রশ্নও তোলেন তিনি।

বিএনপির নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কান্নাকাটি করে তারা সব জায়গায় বলছে এত লাখ লোক তাদের গ্রেপ্তার। সারা দেশে যত জেলখানা আছে সেগুলোর একটা ধারণ ক্ষমতা রয়েছে, তারা যত লক্ষ গ্রেপ্তার হয়েছে বলছে জেলখানাগুলোর তত ধারণ ক্ষমতা নেই।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, “তারা (বিএনপি) যেভাবে বলছে তাদের ৬০ লাখ লোক গ্রেপ্তার হয়েছ, ৬০ লাখ লোক ধারণ করার ক্ষমতাও নাই এসব জেলে। তারপরও যতটুকু ধারণ ক্ষমতা আছে সবই বিএনপির লোক এটাই তো তারা বলতে চাচ্ছে। তার মানে বাংলাদেশে যত অপরাধ সব অপরাধ করে বিএনপি।”

শেখ হাসিনা বলেন, তাদের ভাগ্য ভালো আমরা ক্ষমতায় আছি, আমরা তাদের মতো প্রতিশোধপরায়ণ না, তাই তারা এখনো কথা বলার সুযোগ পায়। তারা সারাদিন কথা বলে মাইক লাগিয়ে, তারপর বলবে কথা বলার সুযোগ পায় না।

বিরোধী দলে থাকার সময়কার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ অফিসেতো আমরা ঢুকতেই পারতাম না। কীভাবে তারা অত্যাচার করেছে আমাদের ওপর, আমরা তো তার কিছুই করি নাই। আমরা প্রতিশোধ নিতে ব্যস্ত থাকিনি। আমরা আমাদের সব শক্তি-মেধা কাজে লাগিয়েছি দেশের উন্নয়নে, দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে।

শেখ হাসিনা বলেন, তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাংক অনুসরণ করে সমবায় ভিত্তিক কৃষি নিশ্চিত করে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি দেশের প্রতি ইঞ্চি অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনার মাধ্যমে সার্বিক উৎপাদন বাড়ানোর জন্য তার আহবান পুনর্ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমবায় ভিত্তিক কৃষি চালু করে জমির আইল দূর করে বিপুল পরিমাণ আবাদি জমি রক্ষা করা যেতে পারে। কৃষিতে গবেষণার পাশাপাশি কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “কৃষি গবেষণায় বাংলাদেশ সবচেয়ে সফল। আমাদের সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।”

প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের উদ্যোগে কৃষিখাতের উন্নয়ন এবং খাদ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থানার পদক্ষেপ সমূহের চুম্বকাংশ তুলে ধরে বলেন, “বাংলাদেশের কৃষি উন্নত হয়েছে, কারণ সরকার কৃষিখাতের গবেষণাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার কৃষি খাতে ২৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন সময়োপযোগী ও কার্যকর পদক্ষেপের ফলে দেশের খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে।

তিনি বলেন, “একসময় যারা নুন-ভাত বা ডাল-ভাতের কথা ভাবতেন, তারা এখন মাছ-মাংস-ডিমের কথা ভাবেন। তাই যারা সরকারের সমালোচনা করেন, তাদের বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত যে, বাংলাদেশ উন্নত হয়েছে কি না।”

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানান সংগঠনের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু।

মন্তব্য

p
উপরে