× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Arif is not a candidate in the Sylhet city elections
google_news print-icon

সিলেট সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন না আরিফ

সিলেট-সিটি-নির্বাচনে-প্রার্থী-হচ্ছেন-না-আরিফ
শনিবার সিলেট নগরের রেজিস্ট্রি মাঠে এক নাগরিক সভায় বক্তব্য দেন মেয়র আরিফুল হক। ছবি: নিউজবাংলা
সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী শনিবার নাগরিক সভায় বলেন, ‘মেয়র বলেন, ‘যারা মনে মনে আমাকে উকিল আব্দুল সাত্তার বানানোর চেষ্টা করেছিলেন, তারা আজ হতাশ হয়েছেন। আরিফুল হক কখনও উকিল আব্দুস সাত্তার হবে না। আমি আপনাদের আরিফ, আমি বিএনপির আরিফ। আমার নেত্রী খালেদা জিয়া, নেতা তারেক রহমান ও আমার মায়ের নির্দেশে আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হবো না। তাদের আদেশই আমার শিরোধার্য।’

সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে প্রার্থী না হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বর্তমান মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী। দীর্ঘ জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে শনিবার বিকেলে সিলেট নগরের রেজিস্ট্রি মাঠে এক নাগরিক সভায় তিনি এই ঘোষণা দিয়েছেন।

আসন্ন নির্বাচনকে প্রহসনের উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘এই মূহূর্তে সিলেট তথা সারাদেশেই নির্বাচনী কোনো পরিবেশ নেই। আপত্তি সত্ত্বেও সিলেটে ইভিএমে ভোটগ্রহণের আয়োজন করা হয়েছে। অথচ সিলেটের মানুষ ইভিএমের সঙ্গে একেবারে অপরিচিত। এখানে ইভিএম নিয়ে আসাই ভোট ডাকাতির ইঙ্গিত। বর্তমান নির্বাচন কমিশনও সুষ্ঠু ভোট চায় না। তারা ডিজিটাল ভোট ডাকাতি চায়।’

আরিফুল হক বলেন, নির্বাচনে কারচুপির নীলনকশার অংশ হিসেবে পুলিশ প্রশাসনে রদবদল শুরু হয়েছে। একটি প্রহসনের নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। আমার নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করা হচ্ছে। এরকম অবস্থায় আমি নির্বাচনে যেতে পারি না। আমি বিএনপির সিদ্ধান্তের সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। আমি প্রহসনের এই নির্বাচনে প্রার্থী হবো না।’

সিলেট সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন না আরিফ
সিলেট নগরীর রেজিস্ট্রি মাঠে শনিবার সমাবেশে আসন্ন সিটি নির্বাচনে প্রার্থী না হওয়ার ঘোষণা দেন বর্তমান মেয়র আরিফুল হক। ছবি: নিউজবাংলা

বর্তমান মেয়র আরিফুল হক এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হবেন কী না তা নিয়ে তফসিল ঘোষণার পর থেকেই শুরু হয়েছিলো জল্পনা-কল্পনা। আরিফের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে নির্বাচন নিয়ে তার আগ্রহও প্রকাশ পায়। তবে বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেয়ার ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এ অবস্থায় দল আর নির্বাচন- এই দুটির মধ্যেই একটিকে বেছে নিতে হতো আরিফুলকে।

অবশেষে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে দলে থাকার ঘোষণাই দিলেন আরিফ। শনিবারের নাগরিক সভায় তিনি বলেন, ‘বিএনপি আমার অস্থিমজ্জায়। ছাত্রজীবনে জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বিএনপির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলাম। আজীবন বিএনপিই হবে আমার শেষ ঠিকানা।’

মেয়র বলেন, ‘যারা মনে মনে আমাকে উকিল আব্দুল সাত্তার বানানোর চেষ্টা করেছিলেন, তারা আজ হতাশ হয়েছেন। আরিফুল হক কখনও উকিল আব্দুস সাত্তার হবে না। আমি আপনাদের আরিফ, আমি বিএনপির আরিফ। তাই আমার নেত্রী খালেদা জিয়া, নেতা তারেক রহমান ও আমার মায়ের নির্দেশে আমি আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হবো না। তাদের আদেশই আমার শিরোধার্য।’

কান্নাজড়িত কন্ঠে মেয়র আরিফ বলেন, গত কয়েকদিন ধরে নগরের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ আমার বাসায় গিয়ে আমাকে প্রার্থী হওয়ার অনুরোধ করছেন। তাদের ‘এতিম অবস্থায়’ ফেলে না যাওয়ার অনুরোধ করছেন। আমি তাদের সবার কাছে, এই নগরবাসীর কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। আমাকে ক্ষমা করে দিন।

‘তবে মেয়র না থাকলেও এই নগরবাসীর যে কোনো প্রয়োজনে, সব ভালো কাজে এবং অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আমি সবসময় থাকব।’

প্রার্থী না হওয়ার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে আরিফুল হক বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনেও নানা ভয়, প্রতিবন্ধকতা ও কারচুপি উপেক্ষা করে এই নগরবাসী আমাকে বিজয়ী করে এনেছেন। তারা ফলাফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত ভোটকেন্দ্র ছাড়েননি।

‘কিন্তু এবার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। এবার আপনারা চাইলেও আমাকে বিজয়ী করতে পারবেন না। কারণ এবারের ভোট হবে ইভিএমে। এবার আপনারা এক জায়গায় ভোট দেবেন, আর তা জমা হবে অন্য বাক্সে।’

নগরবাসীকে নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে বর্তমান মেয়র বলেন, ‘এই নির্বাচন আসলে নির্বাচন নয়, এটি প্রহসন। তাই আমার দলীয় নেতাকর্মীসহ সব নাগরিককে এই নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানাই। দয়া করে আপনারা কেউ ভোটকেন্দ্রে যাবেন না।’

সিলেট সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে এ পর্যন্ত আটজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে আরিফুল হক প্রার্থী হবেন কী না তা নিয়ে নগরবাসীর কৌতূহল ছিল সবচেয়ে বেশি। আরিফ আগে থেকেই জানিয়ে রেখেছিলেন যে ২০ মে সমাবেশ করে তিনি নিজের অবস্থান স্পষ্ট করবেন। তাই শনিবারের এই সমাবেশ ঘিরে আগ্রহ ছিল সবার।

দুপুরের পর থেকেই সমাবেশস্থল রেজিস্ট্রি মাঠে জড়ো হতে শুরু করেন নানা শ্রেণীর মানুষ। মিছিল নিয়েও আসেন অনেকে। বিএনপির কেন্দ্রীয় অনেক নেতাও এই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ২৩ মে সিলেট সিটি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। মনোনয়নপত্র বাছাই ২৫ মে ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১ জুন। ২১ জুন ইভিএমে এখানে ভোটগ্রহণ হবে।

আরও পড়ুন:
মেয়র আরিফের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্য প্রত্যাহার
সিলেট বিএনপিতে বাড়ছে টানাপড়েন
‘বড় ভাই’ বলে আরিফকে জড়িয়ে ধরলেন আনোয়ারুজ্জামান
সিটি ভোটের আগে সিলেট বিএনপিতে গ্রেপ্তার আতঙ্ক
বিএনপির বিশ্বাস, আরিফ প্রার্থী হবেন না

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
New US visa policy is tough 14 groups

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি দুরভিসন্ধিমূলক: ১৪ দল

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি দুরভিসন্ধিমূলক: ১৪ দল আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু। ফাইল ছবি
জোটের মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেন, ‘১৪ দল মনে করে, যারা নির্বাচনকে বিভিন্ন অজুহাতে বানচাল করতে চায়, নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, তাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের এই ভিসা নীতি সহায়ক হতে পারে।’

বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি ঘোষণাকে দুরভিসন্ধিমূলক বলে উল্লেখ করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু। তিনি বলেছেন, ১৪ দলীয় জোট মনে করে এই ভিসা নীতি অনাকাঙ্ক্ষিত, যা কারও পক্ষে ব্যবহার করা হচ্ছে।

রাজধানীর ইস্কাটনে নিজ বাসভবনে রোববার ১৪ দলের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আমির হোসেন আমু এসব কথা বলেন। জোটের বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিসহ দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর বিশদ আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।

আমু বলেন, ‘সংবিধানের প্রতিটি প্রক্রিয়া সমুন্নত রাখতে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব। আমরা একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন উপহার দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ। এ ক্ষেত্রে অন্য কোনো হস্তক্ষেপ আমরা কামনা করি না।’

আপনারা ভিসা নীতির সমালোচনা করছেন। অথচ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেছেন যে তাদের টার্গেট করে এটা করা হয়নি। এমন এক প্রশ্নে আমু বলেন, ‘আমরা ভিসা নীতিকে অনাকাঙ্ক্ষিত মনে করি। আরেকটা কথা হলো- এটা ১৪ দল, আওয়ামী লীগের মিটিং না।

‘মনে রাখবেন, আমরা রাবার স্ট্যাম্প না। এখানে আরও ১৩টি দল আছে। ১৪ দল যেটা ফিল করে সেটাই বলবে। অন্য দল কে কী বলবে, সেটা আমাদের দেখার বিষয় না। আমাদের আলোচনায় যেটা আসবে সেটা আমরা প্রকাশ করব।’

জোটের মুখপাত্র বলেন, ‘১৪ দল মনে করে, যারা নির্বাচনকে বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে বানচাল করতে চায়, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, তাদের জন্য এটা (ভিসা নীতি) সহায়ক হতে পারে। যদি অন্য কোনো দেশের সন্দেহ থাকে, তাহলে তারা বসে সংবিধানের ভেতরে কোথায় কোন ফাঁকফোকর আছে সেটা বিবেচনা করুক। সেগুলো দেখুক, আলোচনা করুক।

‘কিন্তু সংবিধানের ভিত্তিতে নির্বাচনটা অনুষ্ঠিত হতে হবে। সংবিধানে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে, অন্য কোনো উপায়ে আঘাত আসুক এটা আমরা চাই না।’

সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনের জন্য ১৪ দলীয় জোট কোনো আলোচনার উদ্যোগ নেবে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে জোটের মুখপাত্র বলেন, ‘যদি জনগণের ওপর আস্থা থাকে, সংবিধানভিত্তিক নির্বাচনে আস্থা থাকে তাহলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা উচিত। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সব দলকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহ্বান জানাই। কোনো দলের পক্ষে জনস্রোত থাকলে, সেই স্রোতের বাইরে প্রশাসনও যেতে পারে না। সেদিকেই নির্বাচন ধাবিত হয়।’

বৈঠকে দ্রব্যমূল্য বাড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ১৪ দল। জোটের পক্ষ থেকে দ্রুত বাজার ও বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে আনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। আমু জোটের পক্ষে কলম ও কাগজের ওপর আরোপিত কর প্রত্যাহারের দাবি জানান।

আমু জানান, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ১৪ দল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে ৬ জুন বিকেলে জনসভা করবে।

আমির হোসেন আমুর সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টি (একাংশ)-জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ওয়াজেদুল ইসলাম খান, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন, গণআজাদী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট এস কে সিকদার ও বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Prime Minister will decide when the election government will be Law Minister

কবে হবে নির্বাচনকালীন সরকার, ঠিক করবেন প্রধানমন্ত্রীই: আইনমন্ত্রী

কবে হবে নির্বাচনকালীন সরকার, ঠিক করবেন প্রধানমন্ত্রীই: আইনমন্ত্রী ফাইল ছবি
মন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী ওয়েস্ট মিনিস্টার স্টাইল পার্লামেন্টারি সিস্টেম অফ গভর্নমেন্টে আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনা করা হয়। সেই ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী যখন মনে করেন যে তিনি একটি ছোট সরকার গঠন করতে চান বা নির্বাচনকালীন সরকার করতে চান, তখন তিনি তা করবেন। আমার মনে হয় এই ব্যাপারে কোনো অস্পষ্টতা নেই।

কবে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা হবে, তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই ঠিক করবেন বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

রাজধানীতে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে দুর্নীতি বিষয়ক মামলার বিচারকার্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজিত ‘১৫০তম রিফ্রেসার কোর্সের’- উদ্বোধন শেষে রোববার সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ কথা জানান। খবর ইউএনবির

মন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী ওয়েস্ট মিনিস্টার স্টাইল পার্লামেন্টারি সিস্টেম অফ গভর্নমেন্টে আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনা করা হয়। সেই ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী যখন মনে করেন যে তিনি একটি ছোট সরকার গঠন করতে চান বা নির্বাচনকালীন সরকার করতে চান, তখন তিনি তা করবেন। আমার মনে হয় এই ব্যাপারে কোনো অস্পষ্টতা নেই।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে বলে দিয়েছেন যে নির্বাচনকালীন সরকারে কারা কারা থাকতে পারেন, সে ব্যাপারে একটি রূপরেখা তিনি দিয়েই দিয়েছেন।

সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের একজন রিপোর্টিয়ার বাংলাদেশ সফর শেষে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে যে বক্তব্য দিয়েছেন- সে প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, এই বক্তব্য জাতিসংঘ দিয়েছে বলে আমি মনে করি না। তারা এই বক্তব্য দেওয়ার আগেই ২০১৯ সালের শেষের দিক থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যখন মিসইউজ ও অ্যাবিউজ হচ্ছিল তখনই কিন্তু আমি বলেছি যে, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এই আইনের মিসইউজ ও অ্যাবিউজ বন্ধ করা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ঠিক সেই ধারাবাহিকতায় আমি পরিষ্কারভাবে বলেছি যে এই মিসইজউ ও অ্যাবিউজ বন্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছু সংশোধন প্রয়োজন হবে এবং সে বিষয়ে আমরা আলাপ-আলোচনা করেছি। টেকনিক্যাল নোট পেয়েছি। এসব মতামত বিবেচনা করে আগামী সেপ্টেম্বর নাগাদ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংশোধনী আনা হবে। এটা কারও প্রেসক্রিপশনের উপর নির্ভরশীল না। আমরা যখন মনে করেছি যে, মিসইউজ হয়েছে, আমরা স্বীকার করেছি এবং সেই মিসইউজকে সংশোধন করার জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি।

বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সাওয়ার ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) শেখ আশফাকুর রহমান বক্তৃতা করেন।

আরও পড়ুন:
ভিক্ষার টাকা জড়ো করে বাজেট দিত বিএনপি: আইনমন্ত্রী
মামলাজট কমাতে সব চেষ্টা করছি: আইনমন্ত্রী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল হবে না: আইনমন্ত্রী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Lies are BNPs only asset Kader

বিএনপি মিথ্যাকে পুঁজি করে শেখ হাসিনাকে হটাতে চায়: কাদের

বিএনপি মিথ্যাকে পুঁজি করে শেখ হাসিনাকে হটাতে চায়: কাদের নওগাঁ শহরের নওযোয়ান মাঠে রোববার আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল স্মরণসভায় বক্তব্য দেন ওবায়দুল কাদের। ছবি: নিউজবাংলা
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর পর শেখ হাসিনার চেয়ে গরিব মানুষের আপনজন আর কেউ নেই। এই বাংলাদেশে গত ৪৮ বছরে সবচেয়ে পরিশ্রমী ও দক্ষ প্রশাসক শেখ হাসিনা। এই সম্মান বাংলাদেশের মানুষের। আমরা তাকে নেতা বানিয়েছি।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘মিথ্যাচার বিএনপির একমাত্র সম্পদ। মিথ্যাকে পুঁজি করে তারা আজ শেখ হাসিনার সমালোচনা করে। তাকে ক্ষমতা থেকে হটাতে চায়।’

আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল স্মরণে রোববার দুপুরে নওগাঁ শহরের নওজোয়ান মাঠে আয়োজিত স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আব্দুল জলিলের দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগ এই স্মরণসভার আয়োজন করে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, লোডশেডিং ও ডলার সংকটে মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও কষ্ট পাচ্ছেন। বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর পর গরিব মানুষের আপনজন শেখ হাসিনা ছাড়া আর কেউ নেই। বঙ্গবন্ধু-কন্যা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিন ঘণ্টা ঘুমান। বাকি সময়টাতে তিনি সারাদিন দেশের অর্থনীতি ও সাধারণ জনগণের কথা ভাবেন। রাত জেগেও কাজ করেন তিনি।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনা আনন্দ করার জন্য বিদেশে যান না। তিনি সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ওয়াশিংটনে গিয়েছিলেন; নালিশ করতে যাননি। তিনি বিদেশ সফরে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের সহযোগিতার জন্য। অথচ তার সফর নিয়ে মির্জা ফখরুল যা ইচ্ছে তাই বলেন। তার মুখে কিছু বাধে না। মিথ্যাচার তাদের একমাত্র সম্পদ।’

ক্ষমতাসীন দলের এই দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা বলেন, ‘বিএনপির দেখতে দেখতে ১৪ বছর চলে গেছে। ১৫ বছরে পা দিয়েছে। আন্দোলন হয় না। মরা গাঙ্গে জোয়ার আসে না। তার মানে জনগণ না থাকলে আন্দোলন হয় না। পাবলিক নেই, বিএনপির আন্দোলনও নেই। বিএনপির আন্দোলন ভুয়া। ৫২ দফা ভুয়া, ২৭ দফা ভুয়া। বিএনপির ৫৪ দল ভুয়া।

‘বিএনপির বড় জ্বালা। পদ্মা সেতু হয়ে গেল। মেট্রোরেল চালু হলো। বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন হবে। কিছুদিন লোডশেডিং হয়তো থাকবে। সেটাও ঠিক হয়ে যাবে। বিএনপির অন্তর্জ্বালা কমবে না। তারা নালিশ করতেই থাকবে।’

জ্বালানি সংকট ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য বিশ্ব পরিস্থিতি দায়ী বলে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের। বলেন, ‘স্যাংকশন, যুদ্ধ, নতুন নতুন সংঘাত পৃথিবীকে স্থিতিহীন করে তুলেছে। জ্বালানি ও নিত্যপ্রয়োজনী পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি শুধু আমাদের নয়, সারা বিশ্বের সমস্যা।

‘বড় বড় দেশগুলো যুদ্ধ করে। একে অন্যকে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এসব কারণে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। আর কষ্ট করতে হয় বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর সাধারণ মানুষকে। আমাদের আজকের এই কষ্টের জন্য আমরা দায়ী নই। এই কষ্টের জন্য দায়ী আজকে বিশ্বে সংকটজনক পরিস্থিতি।’

তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা কাতারে গিয়ে জ্বালানি খাতে যে সহযোগিতা পেয়েছেন সেটা সামনের দিনগুলোতে আমাদেরকে সংকট থেকে উদ্ধার করবে। আপনাদের কাছে চামচাগিরি করব না। যা সত্য তাই বলব। সাধারণ মানুষ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য কষ্ট পাচ্ছে। শেখ হাসিনাও শান্তিতে নেই।

‘বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর পর শেখ হাসিনার চেয়ে গরিব মানুষের আপনজন আর কেউ নেই। এই বাংলাদেশে গত ৪৮ বছরে সবচেয়ে পরিশ্রমী ও দক্ষ প্রশাসক শেখ হাসিনা। ৪৮ বছরে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা ও সবচেয়ে দক্ষ কূটনীতিকের নাম শেখ হাসিনা। এই সম্মান বাংলাদেশের মানুষের। আমরা তাকে নেতা বানিয়েছি।’

আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন হবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি জানুয়ারিতে পারেনি। ফেব্রুয়ারিতে পারেনি। মার্চ, এপ্রিল, মে মাসেও পারেনি। জুনেও পারবে না। জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর, নভেম্বরেও পারবে না। ডিসেম্বরে তো নির্বাচন। তখন হবে ফাইনাল খেলা।’

রাজনীতিবিদ আব্দুল জলিলের নেতৃত্বের প্রশংসা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আব্দুল জলিল দুর্দিনে দলের পতাকা ধরে রেখেছিলেন। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দল সুসংগঠিত হয়ে বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে। আমার রাজনৈতিক জীবনে আওয়ামী লীগের যত সাধারণ সম্পাদক দেখেছি, তার মতো নেতৃত্ব আর কারও মধ্যে পাইনি।’

নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন খাদ্যমন্ত্রী ও নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাধন চন্দ্র মজুমদার, নওগাঁ-২ আসনের সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার, নওগাঁ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দিন তরফদার, নওগাঁ-৫ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন জলিল, নওগাঁ-৬ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

স্মরণসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন।

স্মরণসভায় যোগদানের আগে বেলা ১১টায় নওগাঁ শহরের চকপ্রাণ এলাকায় আব্দুল জলিলের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও দলের অন্য নেতৃবৃন্দ।

আরও পড়ুন:
বিএনপির অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ করেছে গাজীপুরের ভোট: কাদের
গাজীপুর সিটির মতো জাতীয় নির্বাচনও সুষ্ঠু হবে: কাদের
যুক্তরাষ্ট্র যে বাধার কথা বলছে, সেটা আমাদেরও কথা: কাদের
বিএনপির এক দফা কি শেখ হাসিনাকে হত্যা, প্রশ্ন কাদেরের
শান্তিপূর্ণ নির্বাচন কাকে বলে দেখিয়ে দেয়া হবে: কাদের

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Govt wants closer ties with US Information Minister

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চায় সরকার: তথ্যমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চায় সরকার: তথ্যমন্ত্রী তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। ফাইল ছবি
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিয়ে সরকার প্রধানের সাম্প্রতিক বক্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। সম্পর্ক যাতে আরও ঘনিষ্ঠ হয় সেজন্য অনেক ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আর নতুন ভিসা নীতি নিয়ে যারা টেনশনে আছে তাদের টেনশন কমানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী ওই কথা বলেছেন।’

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চায়। সে লক্ষ্যে অনেক ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিয়ে সরকার প্রধানের সাম্প্রতিক বক্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। আমরা তাদের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক করতে চাই। সম্পর্ক যাতে আরও ঘনিষ্ঠ হয় সেজন্য পররাষ্ট্রসহ অন্যান্য বিষয়ে অনেক ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার।

‘যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করার পর যারা টেনশনে আছে তাদের টেনশন কমানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী ওই কথা বলেছেন।’

তিনি বলেন, ‘অন্যান্য দেশ, যেমন দক্ষিণ আমেরিকায় আমরা বাণিজ্য খুব একটা বাড়াতে পারিনি। সেখানে আমরা বাণিজ্য বাড়াতে চাই। মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের বাণিজ্য বলতে সেখানে শুধু শ্রমিক রপ্তানি করে থাকি। মধ্যপ্রাচ্যে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে, ফ্যাশন সচেতনতা বেড়েছে। সেখানেও আমাদের বাণিজ্য বাড়ানো প্রয়োজন।

‘আশিয়ানভুক্ত দেশগুলোতে আমাদের বাণিজ্য সম্ভাবনা প্রচুর। সেখানেও আমরা বাণিজ্য বাড়াতে চাই। ওশেনিয়া অঞ্চলে আমাদের বাণিজ্য সম্ভাবনা প্রচুর, সেখানেও আমরা বাড়াতে চাই। প্রধানমন্ত্রী সে কথাই বলেছেন।’

‘সরকারের লাফালাফি কমে গেছে’- বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম বক্তব্য রাখার সময় কয়েক সেন্টিমিটার লাফ দেন। এটি হয়তো ওনার অভ্যাস, দোষের কিছু নয়।

‘তিনি বলেছেন যে আজরাইল সরকারের পেছনে দাঁড়িয়ে আছে। বেশি কথা বলে লাভ নেই। আজরাইল ওনাদের পেছনেও আছে। ওনাদের সঙ্গে শয়তানও আছে। এজন্য আজরাইল তাড়াতাড়ি ধরবে। পার্থক্যটা হচ্ছে সেখানেই। কারণ উনি যে বিষয়কে ইঙ্গিত করে এ কথা বলেছেন সেটি যদি আজরাইল হয়, তাহলে সেই আজরাইল ওনাদের অনেক বেশি কাছাকাছি আছে। আর আজরাইলের পাশাপাশি ওনাদের সঙ্গে শয়তান বহু আগে থেকেই আছে। সুতরাং যার সঙ্গে শয়তান থাকে, আজরাইল কিন্তু তার কাছে আগে পৌঁছায়।’

বিএনপিকে উদ্দেশ করে শাসক দলের এই নেতা বলেন, ‘এ ধরনের বক্তব্য রেখে আত্মতুষ্টি পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। আপনাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মাঠে মারা গেছে। সারা দুনিয়ার কোনো জায়গা থেকেই সমর্থন পাননি।’

আরও পড়ুন:
ভিসা নীতির পরও বিএনপির শুভবুদ্ধি হয়নি: তথ্যমন্ত্রী
সরকারের লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ ও মানবিক রাষ্ট্র: তথ্যমন্ত্রী
ভিসা নীতি বিএনপির জন্যই বড় চাপ: তথ্যমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতা জারি বিএনপির অপরাজনীতির ফসল: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির আন্দোলনের ঘোষণা কাগুজে বাঘ: তথ্যমন্ত্রী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Permanent expulsion of 19 Barisal BNP leaders including Rupon

রুপনসহ বরিশাল বিএনপির ১৯ নেতাকে স্থায়ী ব‌হিষ্কার

রুপনসহ বরিশাল বিএনপির ১৯ নেতাকে স্থায়ী ব‌হিষ্কার বরিশাল সিটি করপোরেশন ভবন। ফাইল ছবি
কামরুল আহসান রুপন‌কে দেয়া চি‌ঠি‌তে বলা হয়, ব‌রিশাল সি‌টি করপো‌রেশন নির্বাচ‌নে দলীয় সিদ্ধান্ত ভঙ্গ ক‌রে অংশগ্রহণ করায় ২ জুন বিএন‌পি থে‌কে কারণ দর্শা‌নোর নো‌টি‌শ দেয়া হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে তার দেয়া জবা‌ব স‌ন্তোষজনক নয়।

ব‌রিশাল সি‌টি কর‌পো‌রেশন নির্বাচ‌নে অংশ নেয়ায় মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী সা‌বেক ছাত্রদল নেতা কামরুল আহসান রুপন‌সহ ১৯ জনকে আজীবন ব‌হিষ্কার করেছে বিএনপি।

ব‌হিষ্কারের নোটিশে দলীয় সিদ্ধান্ত ভঙ্গ ক‌রায় রুপন‌কে ‘মীরজাফর’ বলা হয়।

রোববার দুপু‌রে বিএন‌পির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাস‌চিব রুহুল ক‌বির রিজভীর সই করা চি‌ঠি‌তে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

কামরুল আহসান রুপন‌কে দেয়া চি‌ঠি‌তে বলা হয়, ব‌রিশাল সি‌টি করপো‌রেশন নির্বাচ‌নে দলীয় সিদ্ধান্ত ভঙ্গ ক‌রে অংশগ্রহণ করায় ২ জুন বিএন‌পি থে‌কে কারণ দর্শা‌নোর নো‌টি‌শ দেয়া হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে তার দেয়া জবা‌ব স‌ন্তোষজনক নয়।

এ ছাড়া কাউ‌ন্সিলর পদে অংশ নেয়া বিএন‌পির ১৮ নেতার মধ্যে কারও জবাব না দেয়া এবং কারও জবাব পেলেও তা দলটির কাছে স‌ন্তোষজনক মনে হয়নি।

বিএন‌পি থে‌কে আজীবন ব‌হিষ্কৃত কাউ‌ন্সিলর পদপ্রার্থীরা হ‌লেন বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির তিন যুগ্ম আহ্বায়ক ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর প্রার্থী হাবিবুর রহমান টিপু, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হারুন অর রশিদ ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের শাহ আমিনুল ইসলাম আমিন।

মহানগর বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সেলিম হাওলাদার, সংরক্ষিত ২ নম্বর ওয়ার্ডের জাহানারা বেগম, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সেলিনা বেগম ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডে অংশ নেয়া রাশিদা পারভীন।

ওই তালিকায় আরও রয়েছেন নগরীর ১৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সচিব জিয়াউল হক মাসুম, একই ওয়ার্ডের প্রার্থী দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাবের আব্দুল্লাহ সাদি ও বরিশাল জেলা তাতী দলের সাবেক সভাপতি কাজী মোহাম্মদ শাহীন, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, নগরীর ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক জ্যেষ্ঠ সভাপতি হাবিবুর রহমান ফারুক, ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সৈয়দ হুমায়ন কবির লিংকু, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, ২২ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জেসমিন সামাদ, ২৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি ও মহানগরের সাবেক সহসভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ, ২৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি ফরিদউদ্দিন হাওলাদার এবং ২৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবির।

আরও পড়ুন:
দলের সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন রুপন
বরিশালে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নষ্ট হলে কড়া আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
লিটনের ইশতেহারে সিটি ছাড়িয়ে পুরো রাজশাহীর উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি
কালো টাকা ছড়ানো নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ খালেক-মধুর
মেয়র পদপ্রার্থীসহ বরিশাল সিটির ১৯ প্রার্থীকে শোকজ বিএনপির

মন্তব্য

বাংলাদেশ
If the level playing field is destroyed in Barisal there is a warning of strict movement

বরিশালে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নষ্ট হলে কড়া আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

বরিশালে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নষ্ট হলে কড়া আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বরিশাল সিটি করপোরেশনের নগর ভবন। ফাইল ছবি
জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস বলেন, ‘ছাত্রলীগের বিশেষ এক নেতা এসে নৌকার লোগো লাগিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন বরিশালে। তিনি বরিশালের সিটি নির্বাচনে বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে লোক এনে একটা ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছেন। তাদের উদ্দেশ্য, জনগণ যেন ভোটকেন্দ্রে না যায়।’

বরিশালে সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে ভীত-সন্ত্রস্ত পরিবেশ তৈরির চেষ্টার পাশাপাশি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করছেন মেয়র প্রার্থীরা। এমন কোনো ঘটনা ঘটলে কড়া আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়মী লীগের মনোনীত প্রার্থী ছাড়া বাকি মেয়র প্রার্থীরা।

শনিবার নগরের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগের সময় এ হুঁশিয়ারি দেন তারা।

গণসংযোগকালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস বলেন, ‘ভোট দিতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন ভোটাররা। তবে বরিশালে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এখনও নিশ্চিত হয়নি। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এখানে বিভিন্নভাবে ভীত-সন্ত্রস্ত পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছে।

‘ছাত্রলীগের বিশেষ এক নেতা এসে নৌকার লোগো লাগিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন বরিশালে। তিনি বরিশালের সিটি নির্বাচনে বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে লোক এনে একটা ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছেন। তাদের উদ্দেশ্য, জনগণ যেন ভোটকেন্দ্রে না যায়।’

এ ধরনের অবস্থা চলতে থাকলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সম্মিলিতভাবে তা প্রতিহত করার ঘোষণা দেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি, তারা যেন এখানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডটা নিশ্চিত করেন। নাহলে সারা দেশে ভোট চুরির বিরুদ্ধে যে গণআন্দোলন শুরু হবে, সেই আন্দোলনে পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে সরকার।’

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘বরিশালে ধীরে ধীরে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নষ্ট হওয়ার দিকেই যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। আমাদের কিছু লোককে হয়রানি করা হয়েছে।

‘টুপি-দাড়ি দেখে আমাদের লোকজনকে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে, কোথায় বাড়ি? কেন এসেছেন? অথচ, নির্বাচনী আচরণবিধির মধ্যে কোথাও লেখা নেই যে শহরের বাইরের কেউ ভোট চাইতে পারবে না বা আসতে পারবে না।’

তিনি বলেন, ‘আশেপাশের কিছু লোক তো আসতেই পারে এবং সব প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণার জন্যই তারা আসেন। আমি মনে করি নির্বাচনী আচরণবিধির মধ্যে যা আছে, সেই দিকে প্রশাসনের লক্ষ্য রাখা উচিত। এর বাইরে অতি উৎসাহিত হয়ে অন্য কিছু না করাই ভালো।

‘নির্বাচনী বিধি ছাড়া যদি আমি কোনো কাজ করি, তাহলে বলবেন। কিন্তু বিধির মধ্যে থেকে কাজ হলে অতি উৎসাহী হয়ে আমাদের বাধা দেয়ার কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। আমি প্রশাসনের কাছে দাবি করব, বরিশালের নির্বাচনের দিকে গোটা দেশ তাকিয়ে আছে। ফলে নির্বাচন যদি কোনো অবস্থায় প্রশ্নবিদ্ধ হয়, যদি গ্রহণযোগ্য না হয়, তাহলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ আন্দোলনের পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে মোড় নেবে।

ভোটারদের সমর্থনের ব্যাপারে এসময় তিনি বলেন, ‘ভোটারদের কাছ থেকে যথেষ্ট সাড়া পাচ্ছি। তারা ইতোমধ্যে ভোট দেয়ার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলছে। যে ব্যক্তির মাধ্যমে বরিশালের সব দিকের উন্নয়ন হবে, সে রকম একজন প্রার্থীকে ভোটাররা যাতে নির্বাচিত করেন, আমি সে দাবি জানাই। ফেয়ার-ফ্রি ভোট হলে হাতপাখা জয়লাভ করবে।’

জাকের পার্টির প্রার্থী মিজানুর রহমান বাচ্চুও মাঠে নেমে যথেষ্ট সাড়া পাচ্ছেন বলে জানান। তিনি বলেন, যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় ও কমিশন যদি সঠিকভাবে ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা করতে পারে, তাহলে আমি জয়ের আশা রাখি।’

তবে এখন পর্যন্ত অস্বাভাবিক কিছু দেখছেন না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত)।

এদিকে নির্বাচনে প্রচারের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক ছাত্রদল নেতা কামরুল আহসান রুপনের তিন কর্মীকে আটকের অভিযোগ উঠেছে।

বিষয়টি নিয়ে রুপন বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কাছে গেলেও তারা সঠিকভাবে কিছু বলছে না। বিকেল সাড়ে ৪টায় আদালতে গিয়ে জানতে পারলাম রমজান, মোনায়েম খান, সৈয়দ রফিকুল ইসলাম মন্টু নামে আমার তিন কর্মীকে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ বিনা কারণে গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু তাদের এখনও আদালতে তোলেনি।’

এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ সূত্র জানায়, বরিশাল মেট্রোপলিটনের কাউনিয়া ও কোতোয়ালি থানা পুলিশ শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত সন্দেহজনক কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের ছেড়ে দেয়াও হয়েছে।

নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন কাউনিয়া থানার ওসি আব্দুর রহমান মুকুল।

আরও পড়ুন:
মেয়র পদপ্রার্থীসহ বরিশাল সিটির ১৯ প্রার্থীকে শোকজ বিএনপির
চাইলে ভোটগ্রহণ বন্ধ করবেন: প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের সিইসি
মাসে আয় ২৪ হাজার, ভোটের খরচ কোথায় পাবেন আনোয়ারুজ্জামান
ইভিএম নিয়ে সন্দেহ হলে আদালতে যেতে পারেন: সিইসি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
9 Khulna BNP leaders banned for life for participating in the election

নির্বাচনে অংশ নিয়ে খুলনা বিএনপির ৯ নেতা আজীবন বহিষ্কার

নির্বাচনে অংশ নিয়ে খুলনা বিএনপির ৯ নেতা আজীবন বহিষ্কার বিএনপির লোগো। ফাইল ছবি
দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত চিঠি পাঠিয়ে তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়। শনিবার রাতে স্ব স্ব নেতাদের নামে বহিষ্কারের চিঠি পাঠানো হয়েছে।

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় ৯ নেতাকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত চিঠি পাঠিয়ে তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়। শনিবার রাতে স্ব স্ব নেতাদের নামে বহিষ্কারের চিঠি পাঠানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মিল্টন।

বহিষ্কৃত নেতারা হলেন- খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ সাজ্জাদ হোসেন তোতন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আশফাকুর রহমান কাকন, মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক মাহবুব কায়সার, ৩০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী ও সাবেক কাউন্সিলর আমান উল্লাহ আমান, সংরক্ষিত ৯ নম্বর ওয়ার্ড মহানগর বিএনপির সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মাজেদা খাতুন, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাজী ফজলুল কবির টিটো ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের মুশফিকুস সালেহীন পাইলট, মহানগর তাঁতী দলের যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার মাতুব্বর, সাবেক ছাত্রদল নেতা ইমরান হোসেন। তারা কেসিসির বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছেন।

চিঠিতে পাঠানো বহিষ্কারাদেশে বলা হয়েছে, বিএনপি এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। অথচ আপনি দলের একজন সদস্য হয়ে ব্যক্তিস্বার্থ চিন্তা করে এ সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করেছেন। ১ জুন আপনাদের কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হলে নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হলেও নোটিশের জবাব দেননি, যা গুরুতর অসাদাচারণ। এহেন অবজ্ঞা ও ঔদ্ধাত্যের জন্য বিএনপির গঠনতন্ত্রের বিধান অনুযায়ী দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ দলের সকল পদ থেকে আপনাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হল।’

আরও পড়ুন:
নির্বাচনের মাঠ ফাঁকা করার চক্রান্ত চলছে: ফখরুল
কালো টাকা ছড়ানো নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ খালেক-মধুর
অস্বাভাবিক সরকার এনে ছায়ায় থাকতে চায় বিএনপি: ইনু

মন্তব্য

p
উপরে