× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
No government interference in election conduct CEC
google_news print-icon

নির্বাচন পরিচালনায় সরকারের হস্তক্ষেপ পাইনি: সিইসি

নির্বাচন-পরিচালনায়-সরকারের-হস্তক্ষেপ-পাইনি-সিইসি
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সোমবার জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর নেতৃত্বে আসা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। ছবি: নিউজবাংলা
সিইসি বলেন, ‘আমরা আসার পর সরকারের সহযোগিতায় যে কয়টা নির্বাচন করেছি, সরকারের হস্তক্ষেপ আজ অব্দি পাই নাই।’

দেশে নির্বাচন পরিচালনা করতে গিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো হস্তক্ষেপ পাননি বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সোমবার জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর নেতৃত্বে আসা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সিইসি এমন দাবি করেন।

সিইসি বলেন, ‘আমরা আসার পর সরকারের সহযোগিতায় যে কয়টা নির্বাচন করেছি, সরকারের হস্তক্ষেপ আজ অব্দি পাই নাই।’

জাতীয় নির্বাচনের দিকে সবার দৃষ্টি জানিয়ে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘পুলিশ প্রশাসনের যে ভূমিকা এখন পর্যন্ত পেয়েছি, এ ধরনের যদি একটা নিউট্রাল (নিরপেক্ষ) অবস্থানে উনারা থাকেন, তাহলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে নির্বাচনটা অনেক ভালোভাবে করা সম্ভব হবে।’

ভবিষ্যতে কী হবে সেটা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘…আমাদের তরফ থেকে চেষ্টা থাকবে সরকারের ওপর আমাদের যে চাপটা থাকবে, যদি সরকার বলতে নির্বাচনটা যদি প্রভাবিত হয়ে যায় ব্যাপকভাবে এবং সেই তথ্য যদি আমাদের কাছে এসে পরে মিডিয়ার মাধ্যমে, পার্সোনাল ফেসবুক নয়; জাতীয় যে প্রিন্ট পত্রিকাগুলো আছে, আমরা সেগুলো পর্যবেক্ষণ করার চেষ্টা করব। ইলেকট্রনিক মিডিয়া; আমরা সঙ্গে সঙ্গে চ্যানেল দেখি। এগুলোর মাধ্যমে ঐক্যমত্য হয়েছে নেগেটিভ যে আচরণ ওর ওপরে ভিত্তি করে কমিশন যথাযথ পদক্ষেপ নেবে। এটা আমরা আশ্বস্ত করতে পারি।’

সাংবাদিক নীতিমালায় বিধিনিষেধ নিয়ে সাংবাদিকদের পরে চিন্তা করার পরামর্শ দিয়ে ভোট আয়োজনকারী সংস্থাটির প্রধান বলেন, ‘এমবার্গো নিয়ে পরে চিন্তা করেন। আমি সেদিনও বলেছি। মিডিয়ার কর্মীরা যারা যাবেন তাদের বাধা দেবেন না।

‘স্বচ্ছতার বিষয়ে আমরা তথ্য আপনাদের কাছ থেকে পাব না? স্বচ্ছতার বিষয়ে তথ্য মিডিয়ার কাছ থেকেই পাব। স্পষ্ট করে এই কথাটা গাজীপুরে বলেছি।’

আরও পড়ুন:
নির্বাচনী আচরণবিধি মানতে জিএম কাদেরকে ইসির চিঠি
বরিশালে মেয়র পদে ৯ জনসহ ১৯৭ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ
বরিশালে রিটার্নিং অফিসার প্রত্যাহার চান জাপার তাপস
এবার চরমোনাই পীরের ভাইকে ইসিতে তলব
ইসিকে অনুরোধ করব ভোটে কারচুপি না করতে: ফয়জুল করীম

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Action against policemen absent from duty Home Affairs Adviser

চাকরিতে অনুপস্থিত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

চাকরিতে অনুপস্থিত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বুধবার বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪০তম বিসিএস (আনসার) ক্যাডার কর্মকর্তা ও ২৫তম ব্যাচ (পুরুষ) রিক্রুট সিপাহীদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: আনসার
উপদেষ্টা বলেন, ‘এখনও কাজে যোগ দেয়নি, এমন পুলিশের সংখ্যা খুবই নগণ্য। আমরা তাদের ব্যাপারে তথ্য অনুসন্ধান করছি। আপনারাও তাদের সম্পর্কে কোনো তথ্য থাকলে আমাদের জানাতে পারেন।’

যেসব পুলিশ সদস্য এখন পর্যন্ত কাজে যোগ দেননি তাদের আর যোগ দিতে দেয়া হবে না জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বুধবার বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪০তম বিসিএস (আনসার) ক্যাডার কর্মকর্তা ও ২৫তম ব্যাচ (পুরুষ) রিক্রুট সিপাহীদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ শেষে প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, ‘এখনও কাজে যোগ দেয়নি, এমন পুলিশের সংখ্যা খুবই নগণ্য। আমরা তাদের ব্যাপারে তথ্য অনুসন্ধান করছি। আপনারাও তাদের সম্পর্কে কোনো তথ্য থাকলে আমাদের জানাতে পারেন।’

যারা কাজে যোগদান করেননি, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অন্যায় আচরণ করেছেন বলেই হয়তো তারা লুকিয়ে আছেন।

বাংলাদেশ পুলিশের ১৮৭ জন সদস্য কর্মস্থলে এখনও অনুপস্থিত রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ সদরদপ্তর।

গত ১ আগস্ট থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এসব পুলিশ সদস্য কর্মস্থলে যোগাযোগ না করে অনুপস্থিত ছিলেন।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জনস্বার্থেই সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেয়া হয়েছে। জনগণ এর সুফল পাবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সালাম গ্রহণ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ওই সময় তার সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক, আনসার ও ভিডিপি একাডেমির ভারপ্রাপ্ত কমান্ড্যান্ট, উপমহাপরিচালক, বাহিনীর পরিচালকসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকার পতনের শহীদ সব ছাত্র-জনতাকে স্মরণ করা হয়।

তিনি বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ আজ নবজাগরণে উজ্জীবিত। বিগত সরকার ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো জনগণের হতে পারেনি বলেই ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরাচারী সরকার দেশত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। সবার সহযোগিতায় বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।

আরও পড়ুন:
নির্দলীয় সরকার ছাড়া গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
মাজারে হামলাকারীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে: প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়
বসুন্ধরার প্রতারণা, প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবাদিকদের স্মারকলিপি
আইএলও কনভেনশনে স্বাক্ষর ছাড়া এগোনো কষ্টকর হবে
স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়তে আসুন একযোগে কাজ করি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Magistrate to army for public safety Public Administration Secretary

জনগণের নিরাপত্তায় সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি: জনপ্রশাসন সচিব

জনগণের নিরাপত্তায় সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি: জনপ্রশাসন সচিব টহলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। ফাইল ছবি
সচিব বলেন, ‘মানুষ যাতে আরও জনবান্ধব পরিবেশে চলাচল করতে পারে, নিরাপদ বোধ করে, মানুষের মধ্যে যাতে আস্থা থাকে, এ জন্য এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সব বাহিনী একই সঙ্গে একই ছাতার নিচে কাজ করছে, এই মেসেজটার জন্যই এ ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।’

মানুষ যাতে নিরাপদে চলাচল করতে করে, সে জন্য সেনাবাহিনীকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমান।

সচিবালয়ে বুধবার নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

সচিব বলেন, ‘মানুষ যাতে আরও জনবান্ধব পরিবেশে চলাচল করতে পারে, নিরাপদ বোধ করে, মানুষের মধ্যে যাতে আস্থা থাকে, এ জন্য এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সব বাহিনী একই সঙ্গে একই ছাতার নিচে কাজ করছে, এই মেসেজটার জন্যই এ ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সরকার মনে করেছে বিস্তৃত পর্যায়ে মাঠের বিভিন্ন জায়গায় সেনাবাহিনী কাজ করছে। তারা মনে করেছে, এটা (সেনাবাহিনীকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেয়া) হলে পারপাস অব দ্য গভর্নমেন্ট সিকিউর দ্য সিটিজেন (সরকারের উদ্দেশ্যে জনগণকে নিরাপদ করা)। উই আর সারভিং ফর দ্য স্টেট (আমরা দেশের সেবা করছি)।

‘এই মুহূর্তে মনে হয়েছে এটা দরকার। টার্গেট (সেনাবাহিনীকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেয়ার সময়) বলে দেয়া হয়েছে মাত্র ৬০ দিন।’

প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা আছে। এ ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীকে এ দায়িত্ব দেয়ায় কোনো দ্বন্দ্ব তৈরি করবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে জ্যেষ্ঠ সচিব বলেন, ‘এটা কোনো ক্যাডারের ক্ষমতা না, এটা রাষ্ট্রের ক্ষমতা। কোনো দ্বন্দ্ব হবে না। এক রাষ্ট্র, এক জনগণ, এক সরকার।

‘জনস্বার্থে আপনি কাজ করেন, আমি কাজ করি। এটা (সেনাবাহিনীকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেয়া) ভালো ফল দেবে।’

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়েছে সরকার।

‘দ্য কোড অফ ক্রিমিন্যাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮’-এর ১২ (১) ধারা অনুযায়ী দুই মাসের (৬০ দিন) জন্য এ ক্ষমতা দিয়ে মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা সারা দেশে প্রয়োগ করতে পারবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

আরও পড়ুন:
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী
লে. জেনারেল তাবরেজ ও মেজর জেনারেল হামিদুলকে বাধ্যতামূলক অবসর
সশস্ত্র বাহিনীর ত্রাণ কার্যক্রমের সমন্বয়কারী মেজর ওয়াসিম আকরাম
২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ৯ হাজার মানুষকে উদ্ধার সশস্ত্র বাহিনীর
খাগড়াছড়িতে বন্যাদুর্গতদের পাশে সেনাবাহিনী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
187 policemen still missing from duty HQ

এখনও কর্মস্থলে অনুপস্থিত ১৮৭ পুলিশ সদস্য: সদরদপ্তর

এখনও কর্মস্থলে অনুপস্থিত ১৮৭ পুলিশ সদস্য: সদরদপ্তর পুলিশ সদরদপ্তরের নামফলক। ফাইল ছবি
গত ১ আগস্ট থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এসব পুলিশ সদস্য কর্মস্থলে যোগাযোগ না করে অনুপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ পুলিশের ১৮৭ জন সদস্য কর্মস্থলে এখনও অনুপস্থিত রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ সদরদপ্তর।

গত ১ আগস্ট থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এসব পুলিশ সদস্য কর্মস্থলে যোগাযোগ না করে অনুপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ সদরদপ্তর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খুদেবার্তায় জানায়, অনুপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন এক ডিআইজি, সাত অতিরিক্ত ডিআইজি, দুই পুলিশ সুপার (এসপি), এক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, পাঁচ সহকারী পুলিশ সুপার, পাঁচ পুলিশ পরিদর্শক, ১৪ উপপরিদর্শক (এসআই) ও সার্জেন্ট, ৯ সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই), সাত নায়েক এবং ১৩৬ কনস্টেবল।

বার্তায় উল্লেখ করা হয়, ১৮৭ জন পুলিশ সদস্যের মধ্যে ছুটিতে অতিবাসে আছেন ৯৬। এ ছাড়া কর্মস্থলে গরহাজির ৪৯ জন, স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে তিনজন এবং অন্যান্য কারণে ৩৯ জন কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন।

আরও পড়ুন:
থানা থেকে আসামির পলায়ন: ওসিসহ ৪ পুলিশ প্রত্যাহার
চট্টগ্রামে ১৮ ওসিসহ ৩০ পুলিশ কর্মকর্তাকে একযোগে বদলি
পুলিশের ভাবমূর্তি বাড়াতে সময় দিতে হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাবেক দুই আইজিপি গ্রেপ্তার
সাত মেট্রোপলিটন পুলিশে নতুন কমিশনার পদায়ন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bullets took away the light of the eyes of more than five hundred people
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

ছররা গুলি কেড়ে নিয়েছে পাঁচ শতাধিক মানুষের চোখের আলো

ছররা গুলি কেড়ে নিয়েছে পাঁচ শতাধিক মানুষের চোখের আলো ছাত্র আন্দোলনে চোখে ছররা গুলিবিদ্ধ অনেকে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন সঞ্জয় কুমার বলেন, ‘যাদের রেটিনা ছিঁড়ে গেছে, নার্ভে কোনো ক্ষতি হয়েছে, অথবা ভেতরে কোনো হেমারেজ আছে তাদের দ্বিতীয়বারের মতো অপারেশন করতে হয়েছে। অনেক বেশি ড্যামেজ না হয়ে থাকলে আস্তে আস্তে ভালো হতেও পারে। আর বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলে ভালো হয় না।’

বাপ্পী হোসেনের বয়স ১৯ বছর। এই তরুণ রাজধানীর রায়েরবাজার এলাকায় গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেন। সে সময় ছররা গুলিতে আহত হন তিনি। সারা শরীর তো বটেই, তার দুই চোখে বিঁধে যায় পাঁচটি গুলি, যার মধ্যে বাম চোখে তিনটি আর ডান চোখে দুটি।

বাপ্পীর সারা শরীরে এখনও রয়ে গেছে ১৯টি গুলি। চিকিৎসা চলছে রাজধানীর শ্যামলীর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের স্পেশালাইজড ডেডিকেটেড কেয়ার ইউনিটে। বেশ কয়েকবার অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে দুই চোখ থেকে গুলির স্প্লিন্টারগুলো বের করা হলেও দৃষ্টিশক্তি ফেরেনি বাপ্পীর।

মা মরিয়ম বেগম জানান, বাপ্পী আর কোনোদিন দেখতে পাবে না বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। অথচ বাপ্পীর মনে এখনও আশা- একদিন আগের মতোই দেখতে পাবে সে।

ছররা গুলি কেড়ে নিয়েছে পাঁচ শতাধিক মানুষের চোখের আলো

বরিশাল বিএম কলেজের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ২৬ বছর বয়সী রহমতউল্লাহ সরকার সাবির। মাস্টার্স শেষ করে পড়ছিলেন বরিশালের একটি ল’ কলেজে।

সাবিরের ভাই নজরুল ইসলাম ইউএনবিকে জানালেন, ৪ আগস্ট বিকেলে বিএম কলেজের সামনে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। সে সময় সাবিরের বাম চোখে তিনটি ছররা বুলেট আর ডান চোখে একটি রাবার বুলেট লাগে। বাম চোখে এখনও একটি বুলেট রয়ে গেছে। সেটা বের করতে হলে চোখই ফেলে দিতে হবে। ডান চোখে তেমন সমস্যা না থাকলেও এখন বাম চোখে কিছুই দেখছে না সাবির।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে এমনই সম্পূর্ণ বা আংশিক অন্ধত্বকে বরণ করতে হয়েছে অর্ধ সহস্রাধিক মানুষকে।

জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের তথ্যকেন্দ্র থেকে জানা যায়, ১৭ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ৬১১ জন চোখে বুলেট নিয়ে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে দুই চোখ ক্ষতিগ্রস্ত ২৮ জনের, যারা পুরোপুরি অন্ধ হয়ে গেছেন।

এক চোখ আহত অবস্থায় এসেছেন ৫১০ জন। তাদের মধ্যে ১৭৭ জনের দু’বার সার্জারি করতে হয়েছে। বর্তমানে স্পেশালাইজড ডেডিকেটেড কেয়ার ইউনিটে ভর্তি আছেন ৪৬ জন, যারা সবাই ছররা বুলেটে আহত।

ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন সঞ্জয় কুমার বলেন, ‘রাবার বুলেট দিয়ে আহত কাউকে আমরা এখনও পাইনি। যারা এসেছেন তাদের চোখে বিদ্ধ সব গুলিই মেটালিক প্লেটের। এই পিলেটগুলোকে ছররা গুলি বলা হচ্ছে।

‘এগুলো যখন ছোড়া হয় তখন বুলেটের মধ্যে একটা হিট জেনারেশন হয়। এটি চোখে ঢুকলে রেটিনা তো ছিঁড়ে যায়-ই, অন্য স্ট্রাকচারগুলোও ডিসঅর্গানাইজড হয়ে যায়। এখান থেকে ব্যাক করার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যাদের রেটিনা ছিঁড়ে গেছে, নার্ভে কোনো ক্ষতি হয়েছে, অথবা ভেতরে কোনো হেমারেজ আছে তাদের দ্বিতীয়বারের মতো অপারেশন করতে হয়েছে। অনেক বেশি ড্যামেজ না হয়ে থাকলে আস্তে আস্তে ভালো হতেও পারে। আর বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলে ভালো হয় না।’

এক চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেটির প্রভাব অন্য চোখেও পড়ে কি না জানতে চাইলে সঞ্জয় কুমার বলেন, ‘এটা হতে পারে। আমাদের এখানে একজন রোগী আছে যার এক চোখে পিলেটের আঘাতের কারণে অন্য চোখেও ইফেক্ট পড়েছে। এটা যদিও খুব রেয়ার।’

ছাত্র আন্দোলনে ছররা গুলি কেড়ে নিয়েছে পাঁচ শতাধিক মানুষের চোখের আলো। যদিও কর্তৃপক্ষের দাবি, আগ্নেয়াস্ত্রে যে বুলেট ব্যবহৃত হয়েছে সেগুলো প্রাণঘাতী নয়। সেগুলো এমন বুলেট যা অনেক ছোট ছোট ছররা গুলি ছুড়ে দেয়।

মূলত ‘বার্ডশট’ হিসেবে এই পরিচিত এই বুলেট শিকারের কাজে ব্যবহারের জন্য তৈরি। নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে এই বুলেট আঘাত করে না; বরং অনেক বিস্তৃত পরিসরে ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়।

এর আকার অনুযায়ী প্রতিটি রাউন্ডে ৩০০ থেকে ৬০০টি পিলেট থাকে। কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু বা ব্যক্তির পাশাপাশি তাদের চারদিকে থাকা অন্যদেরও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার এবং গুরুতর আহত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ কারণে সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনে বিক্ষোভে ছোড়া গুলিতে পথচারীরাও ব্যাপক পরিমাণে আহত হয়েছেন।

ছররা গুলির আঘাতে মৃত্যুর পরিবর্তে অন্ধত্ব, আহত বা পঙ্গু হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। বিক্ষোভ বা জমায়েত নিয়ন্ত্রণে ‘মানবিক’ ও ‘গ্রহণযোগ্য’ অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

তবে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মনে করে, বার্ডশট মানুষের ওপর আইন প্রয়োগের জন্য ব্যবহার একেবারেই অনুপযুক্ত এবং এটি কখনোই বিক্ষোভ প্রতিহত করতে ব্যবহার করা উচিত নয়।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতশাসিত কাশ্মীরে পিলেট-ফায়ারিং শটগান ব্যবহার নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।

২০১৬ সালে সেখানে এক গণঅভ্যুত্থানের সময় ১১০০ জনেরও বেশি মানুষকে ছররা গুলিতে আংশিক বা পুরোপুরি অন্ধত্ব বরণ করতে হয়েছিল।

নিষেধাজ্ঞার এই আহ্বানে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘পিলেট-ফায়ারিং শটগানের আঘাতে আহত ব্যক্তিরা গুরুতর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন।

চোখে আঘাত পাওয়া স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, পড়াশোনা চালিয়ে যেতে তাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

ভুক্তভোগীদের বেশ কয়েকজন যারা পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন তারা কাজ করতে পারবেন কি না এ নিয়ে ভয়ে আছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই বার বার অস্ত্রোপচার করেও দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাননি।’

বিশ্বে অনেক দেশেই ‘পশু-পাখি শিকারের গোলাবারুদ’ মানুষের ওপর প্রয়োগের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এজেন্ডায় পুলিশিং সংস্কারের বিষয়টি শীর্ষে থাকায়, জমায়েত বা বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে ‘বার্ডশট’ বা পিলেট গানের ব্যবহারের বিষয়টি কর্তৃপক্ষের মনোযোগ পাওয়ার দাবি রাখে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The army got the power of executive magistrate

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা সারাদেশে প্রয়োগ করতে পারবেন: ছবি: সংগৃহীত
সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ‘দ্য কোড অব ক্রিমিন্যাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮’-এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী ৬০ দিনের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পেলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। ‘দ্য কোড অব ক্রিমিন্যাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮’-এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী ৬০ দিনের জন্য এই ক্ষমতা দিয়ে মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা সারাদেশে প্রয়োগ করতে পারবেন।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ‘ফৌজদারি কার্যবিধির, ১৮৯৮’-এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারার অপরাধগুলো বিবেচনায় নিতে পারবেন।

সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার সংস্কার দাবিতে আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে গত ১৯ জুলাই রাতে সারা দেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন ও কারফিউ জারি করে তৎকালীন সরকার।

এরপর ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। তিন দিনের মাথায় ৮ আগস্ট শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এখনও সারা দেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The government does not know what status Sheikh Hasina has in India

শেখ হাসিনা ভারতে কোন স্ট্যাটাসে আছেন জানে না সরকার

শেখ হাসিনা ভারতে কোন স্ট্যাটাসে আছেন জানে না সরকার ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনা কোন স্ট্যাটাসে ভারতে অবস্থান করছেন সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত দিল্লির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানতে চায়নি ঢাকা।’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে কোন স্ট্যাটাসে আছেন অন্তর্বর্তী সরকার সেটি জানে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা কোন স্ট্যাটাসে সেখানে অবস্থান করছেন সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত দিল্লির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে জানতে চায়নি ঢাকা।’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশটিতে কোন স্ট্যাটাসে আছেন এবং আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে জানতে চেয়েছি কি না?- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানি না। আমি অফিশিয়ালি তাদের কোনো কিছু বলিনি।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। দেশ ছাড়ার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পাসপোর্টের মেয়াদ ৪৫ দিন পর শেষ হওয়ার কথা। পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তিনি কোন প্রক্রিয়ায় সেখানে অবস্থান করবেন জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘সবকিছুই আইন দিয়ে চলে না। ভারত সরকার তাকে আশ্রয় দিয়েছে, তিনি সেখানে থাকছেন। আমাদের এটা সেভাবে দেখতে হবে।’

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেব: জয়শঙ্কর
বাংলাদেশ-ভারত সুসম্পর্ক ছিল সরকার ও ব্যক্তিকেন্দ্রিক: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সঙ্গে কাজ করবে দিল্লি: জয়শঙ্কর
ভারত অন্য দেশে গণতন্ত্র রপ্তানি করছে না: পঙ্কজ শরণ
বন্ধন সুদৃঢ় করার বার্তা নিয়ে বাংলাদেশে ভারতের পাপ্পু

মন্তব্য

বাংলাদেশ
I will take forward the relationship with the current government of Bangladesh Jaishankar

বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেব: জয়শঙ্কর

বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেব: জয়শঙ্কর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিষয়ে প্রশের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সবসময় সবকিছু নিজের অনুকূলে থাকে না। কোথাও না কোথাও থেকে কিছু কথা আসতে থাকে। কেউ না কেউ কিছু একটা বলে ফেলে বা করে ফেলে। এটা হয়, স্বাভাবিক।’

সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনসহ যা কিছু হচ্ছে তা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং এ নিয়ে ভারতের মন্তব্য করা ঠিক হবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রতিবেশী দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তৃতীয় মেয়াদের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এস জয়শঙ্কর এসব কথা বলেন বলে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

নরেন্দ্র মোদির ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতি এবং বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে জয়শঙ্কর বলেন, ‘সবসময় সবকিছু নিজের অনুকূলে থাকে না। কোথাও না কোথাও থেকে কিছু কথা আসতে থাকে। কেউ না কেউ কিছু একটা বলে ফেলে বা করে ফেলে। এটা হয়, স্বাভাবিক।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যা হয়েছে সেটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাদের নিজস্ব রাজনীতি রয়েছে। আমরা বর্তমান সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাব। তারা তাদের অবস্থান বুঝে নিক, সম্পর্কের মহত্ব বুঝুক। তাহলে প্রতিবেশীদের মধ্যকার সম্পর্কের মান ও মাত্রা অন্যরকম হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিবেশী উভয়েই উভয়ের ওপর নির্ভরশীল হয়। আমাদের অন্য প্রতিবেশী দেশগুলোতেও আগে যেসব রাজনৈতিক ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোর পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়ে গেছে। বাংলাদেশেও অভ্যন্তরীণভাবে যা হওয়ার হবে। সেটা নিয়ে আমাদের মন্তব্য করা ঠিক হবে না।

‘তবে দুই দেশের সম্পর্ক আমাদের দিক থেকে স্থিতিশীল রাখতে চাই, সামনে এগিয়ে নিতে চাই। আমাদের পারস্পরিক ভালো সহযোগিতা রয়েছে, আমাদের ভালো বাণিজ্য রয়েছে। জনগণের সঙ্গে জনগণের ভালো সহযোগিতা রয়েছে। আমরা সেই পথ ধরেই এগিয়ে যেতে চাই।’

ভারতের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, 'ভারতের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পররাষ্ট্রনীতির মাধ্যমে কীভাবে এগিয়ে নেয়া যায়, আমাদের কূটনীতি ও অন্যান্য আলোচনা সেটাকে কেন্দ্র করেই হয়। সেসঙ্গে এটা আমাদেরও দায়িত্ব যে পৃথিবীতে শান্তি বজায় থাকুক। এটা আমাদের জন্যও প্রয়োজন।'

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশ-ভারত সুসম্পর্ক ছিল সরকার ও ব্যক্তিকেন্দ্রিক: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সঙ্গে কাজ করবে দিল্লি: জয়শঙ্কর

মন্তব্য

p
উপরে