× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Thanks to technology death toll in cyclones has decreased
google_news print-icon

প্রযুক্তির কল্যাণে কমেছে ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানি

প্রযুক্তির-কল্যাণে-কমেছে-ঘূর্ণিঝড়ে-প্রাণহানি
বার বার ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের কবলে পড়ে নদীগর্ভে বিলীন হতে চলেছে সুন্দরবন সংলগ্ন শিবসা ও সুতারখালী নদীর মোহনার কালাবগি গ্রামের ঝুলন্ত পাড়া। ছবি: নিউজবাংলা
খুলনার দাকোপ উপজেলার কালাবগি গ্রামের বাসিন্দা সোবহান আলী সানা বলেন, ‘এক সময়ে ঝড়ের পর আমাদের গ্রামে লাশের সারি পড়ে যেত। কত মানুষ বানের টানে ভেসে যেত তার হিসাব আমরা রাখতে পারতাম না। এখনও বড় বড় ঝড় হয়। তবে আগের মত শত শত মানুষ মারা যায় না।’

খুলনার দাকোপ উপজেলার কালাবগি গ্রামে বাস করেন সোবহান আলী সানা। ১৯৮৮ সালের প্রলয়ঙ্করী ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে তিনি হারিয়েছেন আপন দুই ভাইকে। ২০০৭ সালে আরেক শক্তিশালী ঝড় কেড়ে নিয়েছে তার বসতবাড়ি। ৬৫ বছর বয়সী মানুষটি অন্তত ৩০টি উচ্চ গতিবেগের ঝড়ের তাণ্ডবের সাক্ষী হয়েছেন।

সোবহান আলী সানা বলেন, ‘এক সময়ে ঝড়ের পর আমাদের গ্রামে লাশের সারি পড়ে যেত। কত মানুষ বানের (পানি) টানে ভেসে যেত তার হিসাব আমরা রাখতে পারতাম না। এখনও সেই রকম বড় বড় ঝড় হয়। তবে আগের মত শত শত মানুষ মারা যায় না।’

সোবহান আলী সানা যে গ্রামটিতে বসবাস করেন সেটি সুন্দরবন সংলগ্ন শিবসা ও সুতারখালী নদীর মোহনায় অবস্থিত। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রায় প্রতি বছরই সেখানে আঘাত হানে একাধিক ঝড়, জলোচ্ছ্বাস।

সানা বলেন, ‘আগে ঝড় হলে আমরা ঠিক পেতাম নদীর পানি বাড়লে বা আকাশে মেঘের পরিমাণ বাড়লে। কত গতিতে ঝড় আসছে, কতটা ক্ষতি করবে এটা বুঝতে পারতাম না। এখন ঝড়ের অন্তত ১০ দিন আগে থেকে এলাকার মানুষকে সতর্ক করা হয়। বাড়ি থেকে বাধ্যতামূলকভাবে ডেকে নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠানো হয়। ১৯৮৮ সালের ঝড়ের দিনও যদি আমরা আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে পারতাম, তবে আপন দুই ভাইকে হারানো লাগতো না।’

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যে দেশের উপকূলে আঘাত হানা ৯টি ঘূর্ণিঝড়কে মেজর (বড়) তালিকায় রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর আঘাত হানা ঝড়ে প্রাণহানি ঘটে ৩ লাখ মানুষের। ওই ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২২৪ কিলোমিটার। আর জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা ছিল ৬ থেকে ১০ মিটার পর্যন্ত।

একই গতিবেগের ঝড় উপকূলে আবারও আঘাত হানে ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল। তাতে প্রাণহানি হয়েছিল ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮৮২ জনের। তবে ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর একই গতিবেগের ঝড় আঘাত হানলেও প্রাণহানি হয়েছিল মাত্র ৩ হাজার ৩৬৩ জনের।

২০০৭ সালে আঘাত হানা সিডর নামের সুপার সাইক্লোনে বসতবইড় হারানো অনেকের মধ্যে একজন ফজলু মোড়ল।

ঝড়ের দিনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতিবছরই আমাদের এখানে ছোট-বড় ঝড় আসে। এটা আমাদের সয়ে গেছে। তাই ঝড়ের সময়ে বাড়ি ছেড়ে যেতে সবার অনীহা থাকে। সিডর হয়েছিল রাতের বেলা। আগের দিন এলাকায় বার বার মাইকিং করা হচ্ছিল। লাল পতাকা টানানো হয়েছিল।

‘আমাদের বাড়ির নারী ও শিশুরা সবাই আশ্রয় কেন্দ্রে চলে গিয়েছিল। আমি যেতে রাজি হচ্ছিলাম না। একদল স্বেচ্ছাসেক এসে বিকেলে আমাকে জোর করে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যায়। রাতে যখন মাথার উপর দিয়ে ঝড় চলে যায়, তখন আমি বুঝতে পারিনি, বাইরে কতটা বিপজ্জনক ঝড় হচ্ছে।’

ঝড় শেষে কালাবগি গ্রামের বাড়িতে সবার আগে ফিরেছিলেন ফজলু মোড়ল। তিনি বলেন, ‘এসে দেখলাম ঘর চলে গেছে নদীর পানিতে। একটি গামছাও কোথাও খুঁজে পেলাম না। এক রাতে সব সম্পদ ভাসিয়ে নিয়ে গেল। পরে ছেলে মো. নাছের মোড়ল এসে আমাকে জিজ্ঞাসা করলো, ঘর কোথায় গেছে? তখন নির্বাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে ছিলাম।’

ফজলু মোড়ল বলেন, ‘ঘর নদীর পানিতে চলে গেছে- এই কষ্ট তখন মনে ছিল না। ভাবছিলাম, রাতে যদি আশ্রয় কেন্দ্রে না যেতাম তবে ছেলের মুখ আর দেখতে পারতাম না। আমিও পানিতে ভেসে যেতাম।’

ফজলু মোড়লের পরিবার এখন বসবাস করে শিবসা নদীর তীরে পরের জমি ইজারা নিয়ে। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ছোট একটি গোলপাতার ঘরে থেকে জীবিকা নির্বাহ করেন সুন্দরবনের ওপর ভরসা করে। সিডরে সম্পদ হারিয়ে তার যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে, তা আর কাটিয়ে উঠতে পারেননি তিনি।

মোখার ক্ষতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় মোখা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী পরিচালিত জায়ান্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টারের তথ্যমতে, বাংলাদেশের উপকূলীয় জনপদে এটি ২২১ কিলোমিটার গতিবেগে ১৪ মে আঘাত হানতে পারে। আর মোখার প্রভাবে ১০ থেকে ২০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে।

মোখার ক্ষতি মোকাবেলায় ইতোমধ্যে প্রস্তুতি নিয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর প্রশাসন। খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় খুলনায় ৪০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে ২ লাখ ৭৩ হাজার ৮৫০ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। তাদের জন্য প্রয়োজনীয় শুএনা খাবার, পানি, শিশুখাদ্য ও ওষুধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। গবাদি পশু রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি উদ্ধারকারী দল।

‘নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড ও পুলিশের সদস্যরা নিরাপত্তায় কাজ করবেন। উপকূলের ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ মেরামতে কাজ চলছে। জেলার ৯৫ ভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে। সে সঙ্গে মানুষের চিকিৎসাসেবায় ১১৬টি মেডিক্যাল টিম, প্রয়োজনীয় ওষুধ ও অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রয়েছে।’

অন্যদিকে সাতক্ষীরাতে ৮৮৭টি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ৪ লাখ মানুষকে রাখার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, ‘সাতক্ষীরা একটি দুর্যোগপ্রবণ জেলা। যে কোনো দুর্যোগ এলেই সাতক্ষীরা উপকূলে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা থাকে।

‘ঘূর্ণিঝড় মোখা উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে। সেজন্য ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতি আগেভাগেই প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা। আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়াও পাকা স্থাপনা স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, মসজিদগুলো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে। বাসিন্দাদের আশ্রয় কেন্দ্রে আনতে উপকূলীয় নদীতে নৌকা ও ট্রলার প্রস্তুত রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’

ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতি মোকাবিলায় জেলার সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করেছে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক আজিজুর রহমানের বলেন, ‘জেলার ৯টি উপজেলায় ২ লাখ ৩৫ হাজার ৯৭৫ জন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ৪৪৬টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

‘এছাড়া জেলা সদরসহ প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ৯ উপজেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৯টি মেডিক্যাল টিম। রেড ক্রিসেন্ট, ফায়ার সার্ভিস ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কয়েক শ’ স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
উপকূলে আড়াই লাখ আনসার সদস্য মোতায়েন
কক্সবাজার সৈকতে উৎসুক পর্যটক সরাতে বিজিবি মোতায়েন
‘মোখা’র ক্ষতি এড়াতে যত হেল্পলাইন
সেন্ট মার্টিনে যেভাবে থাকবে সাড়ে ৭ হাজার মানুষ
রোহিঙ্গারা যেন সারা দেশে ছড়িয়ে না পড়ে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী  

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
When can the intense heat subside?

তীব্র গরম কমতে পারে কবে

তীব্র গরম কমতে পারে কবে গরমে পানিতে দাপাদাপি শিশুর। ফাইল ছবি
আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক রোববার বেলা সোয়া ১১টার দিকে নিউজবাংলাকে জানান, দাবদাহের কারণে দেশের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি হলেও সামগ্রিক তাপমাত্রা কমছে না। তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে ১২ জুনের পর।

দাবদাহ বা তাপপ্রবাহ বইছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এতে চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে গরম। ঘরে কিংবা বাইরে অসহনীয় হয়ে উঠেছে তাপমাত্রা। এ থেকে কবে নিষ্কৃতি মিলতে পারে, তা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রাষ্ট্রীয় সংস্থাটির আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক রোববার বেলা সোয়া ১১টার দিকে নিউজবাংলাকে জানান, দাবদাহের কারণে দেশের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি হলেও সামগ্রিক তাপমাত্রা কমছে না। তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে ১২ জুনের পর।

তিনি আরও জানান, জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষের দিক থেকে তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে পারে। শেষ সপ্তাহ থেকে সহনীয় হতে পারে সেটি।

২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাস

আবহাওয়া অধিদপ্তরের রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা নিয়ে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

দিনভর আবহাওয়া কেমন থাকবে, তা নিয়ে পূর্বাভাসে জানানো হয়, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপপ্রবাহ বা দাবদাহ নিয়ে বলা হয়, রাজশাহী, নওগাঁ, নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং মৌলভীবাজার, চাঁদপুর ও নোয়াখালী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

তাপমাত্রার বিষয়ে পূর্বাভাসে জানানো হয়, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার অবস্থা নিয়ে বলা হয়, সারা দেশে তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।

আরও পড়ুন:
দিনে ১-২ ডিগ্রি বাড়তে পারে তাপমাত্রা
দেশজুড়ে বাড়তে পারে গরম
বজ্রসহ বৃষ্টি ঝরতে পারে সব বিভাগে
বজ্রসহ বৃষ্টির প্রবণতা কমতে পারে শনিবার থেকে
সব বিভাগে ঝড়-বৃষ্টির আভাস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The burning may continue

দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে

দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে গরম থেকে বাঁচতে মাথায় গামছা জড়িয়েছেন এক শ্রমিক। ফাইল ছবি
তাপমাত্রার বিষয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দেশের অন্যান্য জায়গায় তা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

দেশের সব বিভাগে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বা দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, এ অবস্থা অব্যাহত থাকতে পারে।

রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এমন বার্তা দিয়েছে।

পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা নিয়ে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

দিনভর আবহাওয়া কেমন থাকবে, তা নিয়ে জানানো হয, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপপ্রবাহ বা দাবদাহের বিষয়ে বলা হয়, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও ফেনী জেলা এবং রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

তাপমাত্রার বিষয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দেশের অন্যান্য জায়গায় তা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

ঢাকায় বাতাসের গতি ও দিক নিয়ে বলা হয়, দক্ষিণ/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার।

ঢাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪২ মিনিটে সূর্য অস্ত যাবে জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, ঢাকায় শুক্রবার সূর্যোদয় ভোর ৫টা ১১ মিনিটে।

পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার অবস্থা নিয়ে জানানো হয়, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু টেকনাফ উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে।

আরও পড়ুন:
সব বিভাগে ঝড়-বৃষ্টির আভাস
গরম একটু কমতে পারে শিগগিরই
দেশে বিক্ষিপ্তভাবে হতে পারে শিলা বৃষ্টি
চাল কিনবেন না ঘর বাঁধবেন, দুশ্চিন্তায় সেন্ট মার্টিনের বাসিন্দারা
বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে সোমবার থেকে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
2nd Kuwait City covered with wind lows at the top

বাতাসের নিম্ন মানে শীর্ষে ঢাকা, দ্বিতীয় কুয়েত সিটি

বাতাসের নিম্ন মানে শীর্ষে ঢাকা, দ্বিতীয় কুয়েত সিটি দূষিত বাতাসের মধ্য দিয়ে ঢাকা ও কুয়েত সিটিতে যান চলাচল। কোলাজ: নিউজবাংলা
সপ্তাহের চতুর্থ কর্মদিবসে সকাল ১০টা ২২ মিনিটে ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ১৬৪। এর মানে হলো সে সময়টাতে অস্বাস্থ্যকর বাতাসের মধ্যে বসবাস করতে হয় রাজধানীবাসীকে।

বাতাসের নিম্ন মানের দিক থেকে আইকিউএয়ারের তালিকায় ফের শীর্ষে উঠে এসেছে ঢাকা।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মানবিষয়ক প্রযুক্তি কোম্পানিটির র‌্যাঙ্কিংয়ে বুধবার বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা ২২ মিনিটে বাতাসের নিম্ন মানে ৯৯টি শহরের মধ্যে প্রথম অবস্থানে ছিল বাংলাদেশের রাজধানী। একই সময়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে ছিল কুয়েতের রাজধানী কুয়েত সিটি ও ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা।

বাতাসের নিম্ন মানে শীর্ষে ঢাকা, দ্বিতীয় কুয়েত সিটি

আইকিউএয়ার জানিয়েছে, আজ সকালের ওই সময়ে ঢাকার বাতাসে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অতি ক্ষুদ্র কণা পিএম২.৫-এর উপস্থিতি ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আদর্শ মাত্রার চেয়ে ১৬ গুণ বেশি। একই সময়ে কুয়েত সিটির বাতাসে পিএম২.৫-এর ‍উপস্থিতি ছিল ডব্লিউএইচওর আদর্শ মাত্রার চেয়ে ১৪ দশমিক ২ গুণ বেশি।

নির্দিষ্ট স্কোরের ভিত্তিতে কোনো শহরের বাতাসের ক্যাটাগরি নির্ধারণের পাশাপাশি সেটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাকি ক্ষতিকর, তা জানায় আইকিউএয়ার।

কোম্পানিটি শূন্য থেকে ৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘ভালো’ ক্যাটাগরিতে রাখে। অর্থাৎ এ ক্যাটাগরিতে থাকা শহরের বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।

৫১ থেকে ১০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘মধ্যম মানের বা সহনীয়’ হিসেবে বিবেচনা করে কোম্পানিটি।

আইকিউএয়ারের র‌্যাঙ্কিংয়ে ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরিতে ধরা হয়।

১৫১ থেকে ২০০ স্কোরে থাকা শহরের বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরির বিবেচনা করা হয়।

র‌্যাঙ্কিংয়ে ২০১ থেকে ৩০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।

তিন শর বেশি স্কোর পাওয়া শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচনা করে আইকিউএয়ার।

সপ্তাহের চতুর্থ কর্মদিবসে সকাল ১০টা ২২ মিনিটে ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ১৬৪। এর মানে হলো সে সময়টাতে অস্বাস্থ্যকর বাতাসের মধ্যে বসবাস করতে হয় রাজধানীবাসীকে।

একই সময়ে কুয়েত সিটির বাতাসের স্কোর ছিল ১৫৯। এর অর্থ হলো ওই সময়ে অস্বাস্থ্যকর বাতাস নিতে হয় কুয়েত সিটিবাসীকেও।

আরও পড়ুন:
বাতাসের নিম্ন মানে শীর্ষে কাঠমান্ডু, ১৩তম ঢাকা
ভিসা প্রদানে ঘুষ: মালয়েশিয়ান দূতাবাসের ২ কর্মকর্তা রিমান্ডে
শেষ কর্মদিবসে যাত্রীচাপ বেড়েছে সদরঘাটে
বৃষ্টির পর ছুটির দিনে ‘সহনীয়’ ঢাকার বাতাস
চিয়াংমাইয়ের বাতাস ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’, ঢাকার বায়ু ‘অস্বাস্থ্যকর’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The wind low means Dubai Fifth Dhaka at the top

বাতাসের নিম্ন মানে শীর্ষে দুবাই, পঞ্চম ঢাকা

বাতাসের নিম্ন মানে শীর্ষে দুবাই, পঞ্চম ঢাকা ধোঁয়াশায় দুবাই। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে দুবাইয়ের বাতাসের স্কোর ছিল ১৬৯। এর অর্থ হলো ওই সময়ে অস্বাস্থ্যকর বাতাস নিতে হয় দুবাইবাসীকে।

বাতাসের নিম্ন মানের দিক থেকে আইকিউএয়ারের তালিকায় নিয়মিত ওপরে থাকা ঢাকা শীর্ষস্থানে না থাকলেও রয়েছে প্রথম পাঁচে।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মানবিষয়ক প্রযুক্তি কোম্পানিটির র‌্যাঙ্কিংয়ে সোমবার বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে বাতাসের নিম্ন মানে ৯৮টি শহরের মধ্যে প্রথম অবস্থানে ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই। একই সময়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে ছিল ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা ও চিলির সান্তিয়াগো। ওই সময়ে বাতাসের নিম্ন মানে পঞ্চম অবস্থানে ছিল ঢাকা।

আইকিউএয়ার জানিয়েছে, আজ সকালের ওই সময়ে ঢাকার বাতাসে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অতি ক্ষুদ্র কণা পিএম২.৫-এর উপস্থিতি ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আদর্শ মাত্রার চেয়ে ১১ দশমিক ৪ গুণ বেশি। একই সময়ে দুবাইয়ের বাতাসে পিএম২.৫-এর ‍উপস্থিতি ছিল ডব্লিউএইচওর আদর্শ মাত্রার চেয়ে ১৮ দশমিক ১ গুণ বেশি।

নির্দিষ্ট স্কোরের ভিত্তিতে কোনো শহরের বাতাসের ক্যাটাগরি নির্ধারণের পাশাপাশি সেটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাকি ক্ষতিকর, তা জানায় আইকিউএয়ার।

কোম্পানিটি শূন্য থেকে ৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘ভালো’ ক্যাটাগরিতে রাখে। অর্থাৎ এ ক্যাটাগরিতে থাকা শহরের বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।

৫১ থেকে ১০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘মধ্যম মানের বা সহনীয়’ হিসেবে বিবেচনা করে কোম্পানিটি।

আইকিউএয়ারের র‌্যাঙ্কিংয়ে ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরিতে ধরা হয়।

১৫১ থেকে ২০০ স্কোরে থাকা শহরের বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরির বিবেচনা করা হয়।

র‌্যাঙ্কিংয়ে ২০১ থেকে ৩০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।

তিন শর বেশি স্কোর পাওয়া শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচনা করে আইকিউএয়ার।

সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবসে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ১৫২। এর মানে হলো সে সময়টাতে অস্বাস্থ্যকর বাতাসের মধ্যে বসবাস করতে হয় রাজধানীবাসীকে।

একই সময়ে দুবাইয়ের বাতাসের স্কোর ছিল ১৬৯। এর অর্থ হলো ওই সময়ে অস্বাস্থ্যকর বাতাস নিতে হয় দুবাইবাসীকেও।

আরও পড়ুন:
বাতাসের নিম্ন মানে শীর্ষে কাঠমান্ডু, ১৩তম ঢাকা
ভিসা প্রদানে ঘুষ: মালয়েশিয়ান দূতাবাসের ২ কর্মকর্তা রিমান্ডে
শেষ কর্মদিবসে যাত্রীচাপ বেড়েছে সদরঘাটে
বৃষ্টির পর ছুটির দিনে ‘সহনীয়’ ঢাকার বাতাস
চিয়াংমাইয়ের বাতাস ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’, ঢাকার বায়ু ‘অস্বাস্থ্যকর’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Forestry wins SDG Brand Champion Awards in Climate and Environment category

জলবায়ু ও পরিবেশ বিভাগে এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ডস বিজয়ী ‘বনায়ন’

জলবায়ু ও পরিবেশ বিভাগে এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ডস বিজয়ী ‘বনায়ন’ র‍্যাডিসন ব্লু ঢাকা হোটেলের ওয়াটার গার্ডেনে এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ডস-২০২৩ আয়োজন করা হয়। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
র‍্যাডিসন ব্লু ঢাকা হোটেলের ওয়াটার গার্ডেনে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রামে ১১টি বিজয়ী ও ১৩টি সম্মানসূচক উল্লেখসহ বিভিন্ন বিভাগে ২৪টি উদ্যোগকে স্বীকৃতি দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে বনায়নের পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন গোলাম মঈন উদ্দীন।

দেশজুড়ে বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে ইতিবাচক প্রভাব রাখায় জলবায়ু ও পরিবেশ বিভাগে সম্মানজনক এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ডস-২০২৩ অর্জন করেছে বনায়ন।

র‍্যাডিসন ব্লু ঢাকা হোটেলের ওয়াটার গার্ডেনে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রামে ১১টি বিজয়ী ও ১৩টি সম্মানসূচক উল্লেখসহ বিভিন্ন বিভাগে ২৪টি উদ্যোগকে স্বীকৃতি দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে বনায়নের পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন গোলাম মঈন উদ্দীন।

এ সময় তার সঙ্গে বনায়নের প্রতিনিধি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন হোর্হে লুইস মাসেদো, আহমেদ রায়হান আহসান উল্লাহ ও সাজ্জাদ হোসেন।

বাংলাদেশ সরকারের বন অধিদপ্তরের ব্যাপক পরিসরে বৃক্ষরোপণের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৯৮০ সালে যাত্রা শুরু করে বনায়ন প্রকল্প।

সরকারের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজিএস) অর্জনে শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এ প্রকল্প।

২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে বৃক্ষ আচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ ২৫ শতাংশে উন্নীত করার মাধ্যমে এসডিজি-১৩ (জলবায়ু কার্যক্রম) ও এসডিজি-১৫ (স্থলজ জীবন) লক্ষ্য অর্জনে সরকারকে সহায়তা করছে বনায়ন প্রকল্প।

বনায়নের মাধ্যমে দেশের বেসরকারি খাতে সর্ববৃহৎ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে।

প্রতিবছর বনায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ৫০ লাখ ফল, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা বিতরণ করা হয়।

দেশের ২২টি জেলায় এ উদ্যোগের আওতায় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এ পর্যন্ত বিনামূল্যে ৪৫টির বেশি বিভিন্ন প্রজাতির ১২ কোটি চারা বিতরণ করা হয়।

গত বছরগুলোতে ফলপ্রসূ সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের মাধ্যমে বনায়ন দেশজুড়ে কয়েকটি ইমপ্যাক্ট জোন তৈরি করে।

বনায়নের উল্লেখযোগ্য কিছু প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, কুষ্টিয়া বাইপাস রোড, যমুনা সেতু সড়ক সবুজায়ন।

বনায়ন প্রকল্প এ পর্যন্ত পাঁচবার সম্মানজনক প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার এবং একবার প্রধান উপদেষ্টার পুরস্কার পায়।

আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও অর্জন করে এ উদ্যোগ। এর মধ্যে গ্রিন লিডারশিপের জন্য এন্টারপ্রাইজ এশিয়া থেকে ‘এশিয়া রেসপন্সিবল অন্টারপ্রনারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ ও ‘বাংলাদেশ ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড ২০২১’ রয়েছে।

আরও পড়ুন:
উপায় ঈদ ক্যাম্পেইনে বিজয়ী চট্টগ্রাম অঞ্চলের এজেন্টরা পেলেন পুরস্কার
উপায় ঈদ ক্যাম্পেইনের পুরস্কার পেলো বিজয়ীরা
স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
‘বিশ্ব শিশু পুরস্কার’ দৌড়ে নৌকা স্কুলের রেজোয়ান
যারা পেলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The wind low means that the top covers the second Delhi

বাতাসের নিম্ন মানে শীর্ষে ঢাকা, দ্বিতীয় দিল্লি

বাতাসের নিম্ন মানে শীর্ষে ঢাকা, দ্বিতীয় দিল্লি দূষণের মধ্য দিয়ে দিল্লি ও ঢাকার বাসিন্দাদের চলাচল। কোলাজ: নিউজবাংলা
সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ১৯১। এর মানে হলো সে সময়টাতে অস্বাস্থ্যকর বাতাসের মধ্যে বসবাস করতে হয় রাজধানীবাসীকে।

বাতাসের নিম্ন মানের দিক থেকে আইকিউএয়ারের তালিকায় নিয়মিত ওপরে থাকা ঢাকা ফের শীর্ষস্থান দখল করেছে।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মানবিষয়ক প্রযুক্তি কোম্পানিটির র‌্যাঙ্কিংয়ে রোববার সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে বাতাসের নিম্ন মানে ১০০টি শহরের মধ্যে প্রথম অবস্থানে ছিল ঢাকা।

বাতাসের নিম্ন মানে শীর্ষে ঢাকা, দ্বিতীয় দিল্লি

একই সময়ে বায়ুর নিম্ন মানের দিক থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে ছিল ভারতের রাজধানী শহর দিল্লি ও কুয়েতের রাজধানী কুয়েত সিটি।

আইকিউএয়ার জানিয়েছে, আজ সকালের ওই সময়ে ঢাকার বাতাসে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অতি ক্ষুদ্র কণা পিএম২.৫-এর উপস্থিতি ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আদর্শ মাত্রার চেয়ে ২৬ দশমিক ৫ গুণ বেশি। একই সময়ে দিল্লির বাতাসে পিএম২.৫-এর ‍উপস্থিতি ছিল ডব্লিউএইচওর আদর্শ মাত্রার চেয়ে ১৪ দশমিক ৪ গুণ বেশি।

নির্দিষ্ট স্কোরের ভিত্তিতে কোনো শহরের বাতাসের ক্যাটাগরি নির্ধারণের পাশাপাশি সেটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাকি ক্ষতিকর, তা জানায় আইকিউএয়ার।

কোম্পানিটি শূন্য থেকে ৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘ভালো’ ক্যাটাগরিতে রাখে। অর্থাৎ এ ক্যাটাগরিতে থাকা শহরের বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।

৫১ থেকে ১০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘মধ্যম মানের বা সহনীয়’ হিসেবে বিবেচনা করে কোম্পানিটি।

আইকিউএয়ারের র‌্যাঙ্কিংয়ে ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরিতে ধরা হয়।

১৫১ থেকে ২০০ স্কোরে থাকা শহরের বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরির বিবেচনা করা হয়।

র‌্যাঙ্কিংয়ে ২০১ থেকে ৩০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।

তিন শর বেশি স্কোর পাওয়া শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচনা করে আইকিউএয়ার।

সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ১৯১। এর মানে হলো সে সময়টাতে অস্বাস্থ্যকর বাতাসের মধ্যে বসবাস করতে হয় রাজধানীবাসীকে।

একই সময়ে দিল্লির বাতাসের স্কোর ছিল ১৬২। এর অর্থ হলো ওই সময়ে অস্বাস্থ্যকর বাতাস নিতে হয় দিল্লিবাসীকেও।

আরও পড়ুন:
ভিসা প্রদানে ঘুষ: মালয়েশিয়ান দূতাবাসের ২ কর্মকর্তা রিমান্ডে
শেষ কর্মদিবসে যাত্রীচাপ বেড়েছে সদরঘাটে
বৃষ্টির পর ছুটির দিনে ‘সহনীয়’ ঢাকার বাতাস
চিয়াংমাইয়ের বাতাস ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’, ঢাকার বায়ু ‘অস্বাস্থ্যকর’
বাতাসের নিম্ন মানে শীর্ষে চিয়াংমাই, নবম ঢাকা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Rain with thunder may occur in all the sections

বজ্রসহ বৃষ্টি ঝরতে পারে সব বিভাগে

বজ্রসহ বৃষ্টি ঝরতে পারে সব বিভাগে দেশজুড়ে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ফাইল ছবি
দিনভর আবহাওয়া কেমন থাকবে, তা নিয়ে জানানো হয়, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গা এবং রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

দেশের আট বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস দিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে হতে পারে শিলা বৃষ্টি।

রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এমন বার্তা দিয়েছে।

পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা নিয়ে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও সংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

দিনভর আবহাওয়া কেমন থাকবে, তা নিয়ে জানানো হয়, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গা এবং রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।

তাপমাত্রার বিষয়ে পূর্বাভাসে জানানো হয়, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

ঢাকায় বাতাসের গতি ও দিক নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, দক্ষিণ/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়ায় ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।

ঢাকায় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে সূর্য অস্ত যাবে জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, রোববার ঢাকায় সূর্যোদয় ৫টা ১২ মিনিটে।

পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার অবস্থা নিয়ে বলা হয়, বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে এবং তাপমাত্রা বাড়তে পারে।

আরও পড়ুন:
বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে সোমবার থেকে
দাবদাহ ফিরেছে, বাড়তে পারে গরম
মোখায় মিয়ানমারে ১৪৫ প্রাণহানি
সেন্ট মার্টিনে ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থ সহায়তা দেয়া শুরু
বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে সব বিভাগে

মন্তব্য

p
উপরে