ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেনের নামে জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান পুলক মামলা করেছেন।
বুধবার দুপুরে ওসিসহ পাঁচজন পুলিশের নামে ঠাকুরগাঁও জেলা দায়রা জজ আদালতে মামলার আবেদন করেন এ যুবলীগ নেতা।
যুবলীগ নেতার অভিযোগ, অন্যায়ভাবে থানায় ধরে নিয়ে গিয়ে হাতে হাতকড়া পরিয়ে এবং চোখে কাপড় বেঁধে নির্মমভাবে নির্যাতন করে হাত ভেঙে দেয়া হয়েছে তার।
মামলা আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা দায়রা জজ মামুনুর রশীদ শুনানি শেষে মামলাটি আমলে নিয়ে নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে বিচার বিভাগীয় তদন্তের আদেশ দেন। এ ছাড়াও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলকের চিকিৎসার প্রতিবেদন দাখিল এবং জেলা পুলিশ সুপারকে বিভাগীয় মামলা করার আদেশ দেন বলে জানান জেলা দায়রা ও জজ আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রহিম।
মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেয়ায় সন্তুষ্ট আইনজীবী ও বাদী। তারা আশা করছেন ন্যায় বিচারের।
জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান পুলক বলেন, ‘আর অন্য কারোর সঙ্গে যেন এমন অন্যায় না হয় তাই আদালতের প্রতি বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা রেখে মামলা করেছি। আশা করি ন্যায় বিচার পাব। এ ছাড়াও আদালতে আমার চিকিৎসার রির্পোটগুলো জমা দেয়া হয়েছে।’
গত ২৯ এপ্রিল রাতে শহরের পাবলিক ক্লাব মাঠে অনুষ্ঠিত বৈশাখী মেলায় ঝামেলা চলছে এমন অভিযোগে পুলিশ রকি ও আসাদুজ্জামান পুলককে আটক করে। পরে তাদের থানায় নিয়ে নির্যাতন করে পুলিশ। গভীর রাতে পুলক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করে। পরে ২ মে আদালতের মাধ্যমে জামিন নিয়ে পুলককে আবারও জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে তার পরিবার। বুধবার পুলক ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে রিলিজ নেন।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হেরে গেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লা খান। সৎ ও সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত এই মেয়র প্রার্থীর পরাজয় অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে গিয়ে যা বেরিয়ে এসেছে মোদ্দা কথায় তা হলো- আওয়ামী লীগের একাংশের অসহযোগিতা আর প্রতারণার বলি হয়েছেন নৌকার এই প্রার্থী।
দলীয় কোন্দল, দল থেকে বহিষ্কৃত সাবেক মেয়র (বরখাস্ত) জাহাঙ্গীর আলমের বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক, গাজীপুর মহানগরে আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকা, কেন্দ্রীয় প্রচার প্রতিনিধি দলের কার্যকর ভূমিকা না থাকা, নৌকার এজেন্ট সেজে প্রতারণা- এসব কারণে আজমত হেরে গেছেন বলে মনে করছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা।
আজমত উল্লা খানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, মূলত নেতাকর্মীদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলেই হেরেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। পাশাপাশি জাহাঙ্গীরের অবৈধ টাকা এবং এর সুবিধাভোগীদের দলীয় প্রার্থীকে অসহযোগিতার কারণে ভোটে ইতিবাচক ফল আসেনি।
তিনি বলেন, গাছা ও টঙ্গী এলাকাকে গাজীপুরে আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অথচ গাছাতেই হেরে গেছেন আজমত। পাশাপাশি গাজীপুর মহিলা লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকীর এলাকা কালীগঞ্জেও হেরেছেন দলীয় প্রার্থী।
উদাহরণ তুলে ধরে তিনি জানান, গাছায় মোট প্রদত্ত ভোটের মধ্যে নৌকা পেয়েছে ২২ হাজার ৭৮৩। সেখানে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৪৫৫। একইভাবে সদরে নৌকা ২১ হাজার ৫৪৭ ভোট পেয়েছে। এর বিপরীতে টেবিল ঘড়িতে গেছে ৪১ হাজার ৯৭৭ ভোট। এই দুই এলাকার সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ দলীয় এবং ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। কালীগঞ্জে নৌকা পেয়েছে ১৫ হাজার ৫০৪ ভোট। আর টেবিল ঘড়ি পেয়েছে ২০ হাজার ১৪৩ ভোট।
গাজীপুরের সন্তান প্রভাবশালী ওই নেতা বলেন, ‘এই জেলায় আওয়ামী লীগে চারটি ভাগ। একটি স্বয়ং আজমত উল্লা খান। আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের। অপরটি ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের এবং একটি সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের।
‘এ নির্বাচনে আজমত উল্লা ও মোজাম্মেল হকের অংশ কাজ করলেও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর অংশ যে সঠিকভাবে কাজ করেনি তা ভোটের অংকেই প্রমাণিত। আর জাহাঙ্গীরের কথা বলাই বাহুল্য।’
প্রসঙ্গত, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সাবেক মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন টেবিল ঘড়ি প্রতীকে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আজমত উল্লা খান নৌকা প্রতীকে পান ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট। সে হিসাবে ১৬ হাজার ১৯৭ ভোটের ব্যবধানে জায়েদা খাতুন মেয়র নির্বাচিত হন।
জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তবে তিনি এখন দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কৃত।
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও আজমত উল্লা খানের নির্বাচনী কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ওসমান আলী বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের তেমন এজেন্ট ছিল না। জাহাঙ্গীর আলমের কর্মী-সমর্থকরা নৌকার ব্যাজ গলায় ঝুলিয়ে টেবিল ঘড়ির পক্ষে কাজ করেছেন।
‘দৃশ্যত তারা ছিলেন নৌকার কর্মী। কিন্ত কাজ করেছেন জায়েদা খাতুনের পক্ষে। আর এটা হয়েছে এ কারণে যে তারা জাহাঙ্গীরের মাধ্যমে সুবিধাভোগী। সেটা মেয়র থাকাকালীন এবং ব্যবসাগত কারণে। অনেকে নৌকার ব্যাজ পরে কেন্দ্রে গোপনে জাহাঙ্গীরের এজেন্টের কাজ করেছেন। আসলে সমস্যা শুধু নেতাকর্মীরাই নয়, সমস্যা জাহাঙ্গীরের অনেক টাকাও। টাকায় ভোট কিনে নিয়েছেন তিনি।’
ওসমান আলীর এ বক্তব্যের সঙ্গে মিলে যায় আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন পরিচালনা টিমের অন্যতম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের বক্তব্য। তিনি বলেন, ‘বড় কারণ দলের বিরাট অংশ আমাদের প্রার্থীকে ভোট দেয়নি। আর একটি কারণ হলো বিএনপির পুরো ভোটই বিজয়ী প্রার্থী পেয়েছেন।’
সাবেক কাউন্সিলর ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের এক নেতা নিউজবাংলাকে জানান, বাহ্যিকভাবে অনেক কেন্দ্রে টেবিল ঘড়ির এজেন্ট ছিলো না। তবে বাস্তবে ওইসব কেন্দ্রে নৌকারই এজেন্ট ছিলো না। কেননা নৌকার এজেন্ট সেজে অনেকেই টেবিল ঘড়ির পক্ষে কাজ করেছে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয়ভাবে নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত দায়িত্বশীল এক নেতা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটা সর্বজনবিদিত যে জাহাঙ্গীর যতটা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন তার চেয়েও বেশি সম্পর্ক রাখতে জামায়াত ও হেফাজতের সঙ্গে। এবার সেসব ভোট তার মা পেয়েছেন। সেসঙ্গে বিএনপির প্রার্থী না থাকায় তাদের ভোটও সব পেয়েছেন তিনি।
‘গাজীপুরে কাজ করতে গিয়ে মহানগরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায় নানা সমস্যায় পড়তে হয়েছে। থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে সমন্বয়ের অভাব শেষ পর্যন্ত দূর করা সম্ভব হয়নি।’
আরও পড়ুন:শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক সাজ্জাদ হেসেন পদত্যাগ করেছেন।
রোববার রাত ৯টার দিকে তিনি রেজিস্ট্রারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। বিষয়টি উপাচার্য নিজেই নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষকরা তাদের প্রমোশন চায়। আমাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে দৈনন্দিন কাজের জন্য। সেখানে আমাকে বলা হয়েছে, টেন্ডার দিতে পারবেন না, নিয়োগ দিতে পারবেন না, এমনকি প্রমোশনও দিতে পারবেন না। এই সমস্ত লিমিটেশন থাকার কারণে তারা জেনে বুঝে আজ সকাল ১১টা থেকে আমাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল।’
সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘‘তাদের একটাই কথা- ‘আপনি থাকাকালীন সব ঠিকঠাক মতো চলছে দেখে সরকারের নজরে আসছে না। যে কারণে আমাদের পদন্নোতি হচ্ছে না। আপনি সরে গেলে আমাদের পদোন্নতি হবে।’ তাই আমি সিনিয়র শিক্ষকদের ডেকেছিলাম, তারা আমাকে নানাভাবে বুঝিয়েছে। তাই আজ রাত নয়টার সময় রিজাইন দিয়েছি।’’
গত কয়েকদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মকর্তারা পদোন্নতি, চলতি দায়িত্বের উপাচার্যের পদত্যাগ এবং নিয়মিত উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। সর্বশেষ রোববার বেলা ১১টা থেকে উপাচার্যের অফিসে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করেন তারা।
রুয়েটের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম সেখ’র মেয়াদ শেষ হয় গত বছরের ৩০ জুলাই। এর একদিন পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে রুয়েটের ফলিতবিজ্ঞান ও মানবিক অনুষদের ডিন ড. সাজ্জাদ হোসেনকে রুয়েটের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য (ভিসি) করা হয়। এরপর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে তিনি রুটিন উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
চট্টগ্রামে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে ভূমি মন্ত্রণালয়ের এক উপপরিচালককে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
রোববার চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুনসী আবদুল মজিদ শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া শাহাদাত হোসেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সাবেক ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের গুচ্ছগ্রাম–২ এর উপপরিচালকের (প্রশাসন ও অর্থ) হিসেবে দায়িত্বরত।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক জানান, রোববার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন শাহাদাত হোসেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বে থাকাকালী চট্টগ্রামের আউটার লিংক রোড প্রকল্পে ভুয়া জমির মালিক সাজিয়ে ভূমি অধিগ্রহণের নামে ১ কোটি ১৩ লাখ ১৪ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগে ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি শাহাদাত হোসেনসহ ১৫ জন সার্ভেয়ার ও কানুনগোকে আসামি করে মামলা দায়ের করে দুদক।
তদন্ত শেষে আসামিদের মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করে ২০২২ সালের ৩১ জুলাই আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয় দুদক। কিন্তু আদালত প্রতিবেদন গ্রহণ না করে আসামিদের অপরাধ আমলে নেয়। এরপর গত ২ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই রোববার শাহাদাত হোসেন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
আরও পড়ুন:
সাভারে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ছিনতাই হওয়া ২৫ লাখ টাকার মধ্যে ১১ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার এবং ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়।
রোববার দুপুরে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানান।
এর আগে শনিবার রাতে পটুয়াখালী ও নারায়ণগঞ্জ থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৭ মে সাভারের হেমায়েতপুর থেকে ইসলামী ব্যাংক এজেন্টের ২৫ লাখ টাকা ছিনতাই হয়।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন ৩৬ বছর বয়সী মো. শিমুল, ৪৫ বছর বয়সী তাওহিদ ইসলাম ও জসিম উদ্দিন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুদীপ কুমার গোপ জানান, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে জড়িতদের শনাক্ত করা হয়। পরে শনিবার রাতে পটুয়াখালী থেকে জসিম উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে শিমুল ও তাওহিদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানান, গ্রেপ্তার তিনজনই ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। ছিনতাই করা টাকা তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয়।
শিমুলের নামে ঢাকার ডিএমপিসহ বিভিন্ন থানায় মানবপাচার, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনেসহ ৯টি, তাওহিদের নামে একটি ও জসিমের নামে তিনটি মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন:সুনামগঞ্জ শহরতলির মঙ্গলকাটা বাজারের ডাচ-বাংলা এজেন্ট ব্যাংক থেকে চুরি হওয়া সাড়ে ৯ লাখ টাকার মধ্যে ৫ লাখ ৯৪ হাজার টাকা ও একটি ল্যাপটপ উদ্ধার হয়েছে। এ ঘটনায় ওই ব্যাংকের একজন স্টাফসহ দু’জনকে শনিবার রাতে আটক করেছে পুলিশ। এর আগে শুক্রবার রাতে ওই চুরির ঘটনা ঘটে।
ডাচ-বাংলা এজেন্ট ব্যাংকের মঙ্গলকাটা শাখার পরিচালক মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘বৃহস্পতিবার অফিসের একজন স্টাফ ছুটিতে ছিলেন। দিন শেষে রাতে অন্য স্টাফ সুহেল মিয়া ক্যাশ বুঝিয়ে দেয়ার সময় কৌশলে সাড়ে ৯ লাখ টাকা আরেক ড্রয়ারে সরিয়ে রাখেন।
রাতে আলী আজগর নামের আরেক চোরকে সঙ্গে নিয়ে তার (সুহেল) কাছে থাকা চাবি দিয়ে অফিস খুলে সাড়ে ৯ লাখ টাকা, একটি ল্যাপটপ ও সিসি ক্যামেরার ডিবিআর নিয়ে যায়। শনিবার সকালে এ বিষয়ে থানায় জিডি করি আমরা।’
সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন জানান, থানায় জিডি হওয়ার পর তদন্তে নামে পুলিশ। শনিবার রাত ১২টায় সুহেলকে তার নির্মাণাধীন বাড়ি থেকে এবং একই গ্রামের অন্য চোর আলী আজগরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে পাঁচ লাখ ৯৪ হাজার টাকা ও ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকারের সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু করতে তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন। এবার তফসিল ঘোষণার পর থেকেই আচরণবিধি পালন নিশ্চিত করাতে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয় সাংবিধানিক এ সংস্থা। তফসিল ঘোষণার পর এবারই বরিশালে প্রথম প্রস্তুতিমূলক একটি সভায় আয়োজন করে বর্তমান কমিশন। সে সভায় আইন-শৃঙখলা বাহিনীকে নির্বাচনী আচরণবিধি যাতে লঙ্গন না হয় সেক্ষেত্রে মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান।
অন্যদিকে তফসিল ঘোষণার পরপরই প্রার্থীরা মরিয়া হয়ে ওঠেন ভোটের মাঠে। প্রচারণা শুরু আগেই যে যার ক্ষমতা প্রদর্শন, মিছিল, শোভাযাত্রা করেন। আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে বরিশালের চরোমানাই পীরের ভাই ও বরিশাল সিটির ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীমকে। পাশাপাশি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকেও সর্তক করেছে কমিশন।
সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুযায়ী গত ৯ মে থেকে ২৬ মে পর্যন্ত ২৬ লাখের বেশি টাকা জরিমানা আদায় করেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ। ৭২টি চেকপোস্টের মাধ্যমে এই অর্থ জরিমানা আদায় করা হয়। গত ১৭ দিনে ১২৮২ টি মামলা হয় যাতে ৮০০ গাড়ি আটক করা হয়।
নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিন খান নিউজবাংলাকে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ১২৮২ মামলা থেকে জরিমানা আদায় করা হয় ১০ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। আটক থেকে জরিমানা আদায় করা হয় ১৪ লাখ ৪৮ হাজার ৫০০ টাকা। সব মিলিয়ে ২৬ লাখ ৪২ হাজার ৫০০ টাকা আদায় করে পুলিশ। সবচেয়ে বেশি মামলা করা হয় মোটরসাইকেলে। ১ হাজার ১ টি মোটরসাইকেলে মামলার পাশাপাশি ১৪৪ মোটরসাইকেল আটক করা হয়।
মূলত সড়ক পরিবহনের আইণ অমান্য করায় এসব মোটরযানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়।
আরও পড়ুন:ফেসবুকে মেয়ের নামে ভুয়া আইডি খুলে প্রতারণার মাধ্যমে ১৮ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) এক ছাত্রসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়টির সামনের সড়ক থেকে ওই ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার বিকেলে তাকে আদালতে তোলা হয়।
ওই ছাত্রের নাম সুজন সরকার। ২৩ বছর বয়সী সুজন হাবিপ্রবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্র।
অপর যুবক ৩০ বছর বয়সী ভগদীশ চন্দ্র রায় দিনাজপুর সদর উপজেলার মুজাহিদপুর গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, হাবিপ্রবির ছাত্র সুজন সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘মোছা. জান্নাতুল নাহিমা (অচেনা পথিক)’ নামে একটি ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলেন।
ওই আইডি ব্যবহার করে নবাবগঞ্জ উপজেলার পারহরিণা গ্রামের ফরিদুল ইসলামের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বন্ধুত্ব করেন।
সুজন ফেসবুকে চ্যাটিং ও কলে মেয়েলি কন্ঠে কথা বলতেন। এক পর্যায়ে কৃষি প্রজেক্টে বিনিয়োগের কথা বলে নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে ফরিদুলের কাছ থেকে ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।
এরপর ৩ মে মামলা করেন রফিকুল ইসলাম।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, গ্রেপ্তারের সময় প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত সিমসহ একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফরিদুলের কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করেছেন সুজন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য