স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, স্বাস্থ্যখাতকে আধুনিক ও বিশ্বমানের করার সেই কঠিন কাজটিতেই আমরা এখন হাত দিয়েছি। স্বাস্থ্যখাতকে ঢেলে সাজাতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পেয়েছি।
বুধবার সকালে রাজধানীর মিরপুরে ঢাকা ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল, আইসিইউ ইউনিট ও ইমার্জেন্সি কমপ্লেক্স উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি আমলে দেশের স্বাস্থ্যখাত নিয়ে উল্লেখযোগ্য কোনো কাজই করা হয়নি। তাদের সুদুরপ্রসারি কোন স্বাস্থ্যভাবনা ছিল না। সেই ভঙ্গুর অবস্থা কাটিয়ে উঠে বিশ্বমানের আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা করার কাজ মোটেও সহজ কাজ নয়।
‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের ৮ টি বিভাগের স্বাস্থ্যসেবার মান সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়েছে। পাশাপাশি ৮ বিভাগেই ৮ টি ১৫ তলা বিশিষ্ট উন্নত মানের ক্যান্সার, কিডনি, লিভার হাসপাতাল তৈরির কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এগুলোর মাধ্যমে চিকিৎসা সেবাকে ডিসেন্ট্রালাইজড করা হচ্ছে। এগুলো উদ্যোগের মাধ্যমে মানুষ নিজ নিজ বিভাগ থেকেই তাদের কাঙ্খিত স্বাস্থ্যসেবা পাবেন। মানুষকে আগামীতে চিকিৎসা নিতে আর ঢাকায় আসতে হবে না।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই ডেন্টাল হাসপাতালে প্রতিদিন ৬০০-৭০০ মানুষ সেবা নেয়। এই হাসপাতালসহ আমরা দেশের সব হাসপাতালের বেড দ্বিগুণেরও বেশি বাড়িয়েছি। আগে দেশে বেড ছিল ২০ হাজারের মতো। এখন সেই বেড সংখ্যা ৭০ হাজার করা হয়েছে।
‘৪৫ হাজার নার্স ও ৩৩ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বর্তমানে টেকনিশিয়ান ও ফার্মাসিস্ট নিয়োগের কাজ চলমান আছে। দেশের হাসপাতালগুলোর অবকাঠামো ও যন্ত্রপাতি অনেকটাই কাভার করা গেছে। এখন এই লোকবল পুরণ হলে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় বড় উন্নয়ন ঘটবে।’
উল্লেখ্য, বুধবার উদবোধনকৃত ইমার্জেন্সি আউটডোর সেবা ব্যবস্থায় এখন থেকে দিনরাত ২৪ ঘন্টা সেবা দেয়া হবে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরুর পর থেকে তা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। একইসঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের প্রায় ৯ মাসে দেশে ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯০৯ জন।
রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৩ হাজার ৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৮১২ ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২১৯৬ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে রোববার পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১০ হাজার ৪৭০ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৩ হাজার ৭৯৪ জন। আর অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ৬৭৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৮৭ হাজার ৭২৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকায় ৭৮ হাজার ৯১৫ এবং ঢাকার বাইরে ১ লাখ ৮ হাজার ৮১০ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৭৬ হাজার ৮২৮ জন। তাদের মধ্যে ঢাকায় ৭৪ হাজার ৫১৮ এবং ঢাকার বাইরে ১ লাখ ৮ হাজার ৮২৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
আরও পড়ুন:শুক্রবার সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ২ হাজার ৮৬৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮১৪ জন আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২০৫১ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১০ হাজার ৫৭২ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৭৯৪ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ৭৭৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৮৪ হাজার ৭১৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৭৮ হাজার ১০৩ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ ৬ হাজার ৬১৪ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৭০ হাজার ২৫২ জন। ঢাকায় ৭৩ হাজার ৭১৩ এবং ঢাকার বাইরে ৯৯ হাজার ৫৩৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৮৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন:শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় আবারও কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে।
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে তাকে সিসিইউতে নেয়া হয় বলে জানান বিএনপি চেয়াপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।
তিনি জানান, খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত চিকিৎসক বোর্ডের সিদ্ধান্ত ও পরামর্শ অনুযায়ী তাকে সিসিইউতে নেয়া হয়।
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বরও একবার সিসিইউতে নেয়া হয়েছিল খালেদা জিয়াকে, তবে সেবার ১০ ঘণ্টার মতো সিসিইউতে রেখে আবার কেবিনে স্থানান্তর করা হয় সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে।
এক মাসের বেশি সময় ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া।
এর আগেও বেশ কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে খালেদা জিয়াকে। এরই মধ্যে তার হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়লে একটিতে রিং পরানো হয়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত। তার মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা একাধিকবার সংবাদ সম্মেলনে করে বলেছেন, অতি দ্রুত তার লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট (প্রতিস্থাপন) করা দরকার, যেটা বাংলাদেশে সম্ভব নয়।
চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেয়ার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে একাধিকবার আবেদন করে তার পরিবার। বিএনপির পক্ষ থেকেও তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য যেতে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
রাজশাহীর বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বন্ধ থাকার পর আবারও শুরু হয়েছে অস্ত্রোপচার। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়।
বাংলাদেশ সোসাইটি অব অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট (বিএসএ) ও প্রাইভেট ক্লিনিক, হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজশাহী শাখার নেতারা বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজশাহী মেডিক্যালে কলেজে বৈঠকে বসেন।
সেখানে উপস্থিত রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ও বিএমএ রাজশাহীর সাধারণ সম্পাদক ডা. নওশাদ আলী জানান, উভয় পক্ষ আলোচনা শেষে সমঝোতায় পৌঁছেছেন ও স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছেন। সেই অনুযায়ী সন্ধ্যা থেকেই সবগুলো ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটারের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এর আগে অ্যানেস্থেসিওলজিস্টদের ফি বাড়ানোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে রাজশাহীর বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অস্ত্রোপচার বন্ধ করে দিয়েছে ক্লিনিক মালিকরা।
প্রাইভেট ক্লিনিক, হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজশাহী শাখার নেতারা বুধবার রাতে সংবাদ সম্মেলন করে অপারেশন থিয়েটার (ওটি) বন্ধের ঘোষণা দেন।
গত ৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সোসাইটি অব অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট (বিএসএ) রাজশাহী শাখা বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে পারিশ্রমিকের নতুন তালিকা পাঠালে দুই পক্ষের মধ্যে দরকষাকষি ও মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়।
কোনো সমাধানে না পৌঁছাতে পারায় বৃহস্পতিবার থেকে অস্ত্রোপচার বন্ধ করে দেন বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতাল-মালিকরা। ক্লিনিকগুলোতে অন্যান্য কার্যক্রম চালু থাকলেও ওটি ধর্মঘট চলছে।
রাজশাহী নগরীর সব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ওটি বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বন্ধ রাখা হয়। ওই সময় নগরীর বেশ কিছু ক্লিনিকে যোগাযোগ করলে সব জায়গা থেকেই জানানো হয় অস্ত্রোপচার বন্ধ আছে।
রাজশাহীর লক্ষীপুর এলাকার ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে সকালে ফোন দিয়ে অপারেশন হবে কি না জানতে চাইলে রিসিপসন থেকে জানানো হয়, সব ধরনের অস্ত্রোপচার বন্ধ আছে।
কখন চালু হতে পারে জানতে চাইলে ওই হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, অ্যানেস্থেসিয়া চিকিৎসকদের সঙ্গে কী ঝামেলা হয়েছে। এ কারণে অস্ত্রোপচার বন্ধ আছে। নতুন সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। নগরীর সেবা ক্লিনিকে যোগাযোগ করা হলে সেখান থেকেও জানানো হয় অস্ত্রোপচার বন্ধের কথা।
রাজশাহী মহানগরীর রেস্তোরাঁয় বুধবার সন্ধ্যার পর সংবাদ সম্মেলন করেন ক্লিনিক মালিকরা। সংবাদ সম্মলনে বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক, হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজশাহী শাখার নেতারা জানান, অ্যানেস্থেসিওলজিস্টরা যে নতুন ফি নির্ধারণ করেছেন, তা বর্তমান ফির দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পাবে। এটি বাস্তবায়ন হলে রোগীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। সেই সঙ্গে বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুখলেছুর রহমান বলেন, ‘অ্যানেস্থেসিওলজিস্টরা যে রেট নির্ধারণ করেছেন, তা বাস্তবায়ন করলে চিকিৎসা ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। ফলে অনেক মানুষের, বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের চিকিৎসা খরচ সাধ্যের বাইরে চলে যাবে।
‘তাদের এ দাবির প্রতিবাদে আমরা রাজশাহীর বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে সব ধরনের অপারেশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই সিদ্ধান্ত আমরা রোগীদের স্বার্থেই নিয়েছি।’
বিএসএর রাজশাহী শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. খিজির হোসেন বলেন, ‘২০১৬ সালের পর আমাদের ফি আর বৃদ্ধি করা হয়নি। ক্লিনিক ও হাসপাতাল-মালিকপক্ষ অপারেশনের সময় অ্যানেস্থেসিওলজিস্টদের নামে রোগীদের কাছ থেকে বেশি টাকা আদায় করে। আমরা তাদের বলেছি, আমাদের নামে নেয়া টাকা আমাদেরই দিতে হবে।’
নতুন ফি বৃদ্ধির চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে প্রসূতিদের সিজার করতে অ্যানেস্থেসিওলজিস্টরা পান দেড় থেকে দুই হাজার টাকা। আমরা সেই ফি আড়াই হাজার করার দাবি জানিয়েছি। অথচ ক্লিনিক-মালিকরা বলছেন, আমরা নাকি দ্বিগুণ ফি বৃদ্ধির দাবি করছি।’
আরও পড়ুন:ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২ হাজার ৮৮৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৮৯ জন আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২১০০ জন।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১০ হাজার ২৮০ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৬৯৬ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ৫৮৪ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৭৯ হাজার ৬৯৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৭৬ হাজার ৬২২ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ ৩ হাজার ২৫৪ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৬৮ হাজার ৫৪৪ জন। ঢাকায় ৭২ হাজার ৩৩৭ এবং ঢাকার বাইরে ৯৬ হাজার ২০৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৮৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন:ভিটামিন ‘ডি’ এমন একটি পুষ্টি উপাদান যা আমরা খাবার হিসেবে যেমন গ্রহণ করি, তেমনি হরমোন হিসেবেও আমাদের শরীরে আপনা-আপনি তৈরি হয়। সূর্যের আলো গ্রহণ করে হরমোনোর মাধ্যমে শরীরে তৈরি হয় ভিটামিন ‘ডি’। এ কারণে এর আরেক নাম ‘দ্য সানশাইন ভিটামিন’।
ভিটামিন ‘এ’র মতো এই ভিটামিনটিও চর্বিতে দ্রবণীয় যা খাবার থেকে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস শোষণ করে শরীরের পুষ্টির প্রয়োজন মেটাতে সাহায্য করে। এটি আমাদের হাড়, দাঁত ও শরীরের পেশী গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সহায়ক।
মানব শরীর যখন সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসে, আলোর প্রতিক্রিয়ায় আমাদের শরীরে প্রাকৃতিকভাবেই হরমোন হিসেবে ভিটামিন ‘ডি’ তৈরি হয়।
প্রাকৃতিক খুব কম খাবারেই ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়। তাই খাবারের পাশাপাশি যদি শরীরে ভিটামিন ‘ডি’র চাহিদা পূরণ করতে হয় তবে নির্দিষ্ট কিছু খাবার বা ভিটামিন ‘ডি’ সাপ্লি্মেন্ট গ্রহণ করা জরুরি।
যাদের ভিটামিন ‘ডি’র অভাব বেশি হয়
সাধারণত মার্চের শুরু থেকে সেপ্টেম্বর মাসের শেষ পর্যন্ত পর্যাপ্ত সূর্যের আলো শরীরে লাগানোর মাধ্যমে শরীরে ভিটামিন ‘ডি’র উৎপাদন বেশি হয়। তবে সারা বছরই সকালের মিষ্টি রোদে অন্তত ৩০ মিনিট ঘোরাঘুরি করেও দৈনন্দিন ভিটামিন ‘ডি’র চাহিদা মেটাতে পারেন।
যারা বাইরে ঘোরাঘুরি কম করেন, তাদের শরীরে এ ভিটামিনটির অভাব বেশি দেখা যায়। আবার সম্পূর্ণ শরীর ঢেকে যারা বাইরে বের হন, তাদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। তবে বাড়ির মধ্যে থেকে সকালের রোদ গায়ে লাগালে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে পারেন।
অন্যদের তুলনায় শিশু, গর্ভবতী ও বুকের দুধ পান করান এমন মায়েদের শরীরে ভিটামিন ‘ডি’র প্রয়োজনীয়তা বেশি। তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নির্দিষ্ট খাবার ও ভিটামিন ‘ডি’ সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের মাধ্যমে শরীরে এ ভিটামিনের ভারসাম্য আনতে হবে।
শরীর নিজে থেকেই এই ভিটামিনটি তৈরি করলেও আরও কয়েকটি বিষয় রয়েছে যাতে শরীরে ভিটামিন ‘ডি’র ঘাটতি হতে পারে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে-
ভিটামিন ‘ডি’র অভাবজনিত লক্ষণ
হাইপোক্যালসেমিয়া, ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত রোগ ও হাইপার প্যারাথাইরয়েডিজমের কারণ হতে পারে ভিটামিন ‘ডি’র দীর্ঘস্থায়ী ঘাটতি।
চলুন জেনে নেই কোন কোন লক্ষণ দেখে বোঝা যাবে আপনার শরীরে ভিটামিন ‘ডি’র অভাব রয়েছে-
বেশি ভিটামিন ‘ডি’ গ্রহণের ফল
শরীরের জন্য অবশ্যই ভিটামিন ভিটামিন ‘ডি’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে সাপ্লিমেন্টের মাধ্যমে অতিরিক্ত ভিটামিন ‘ডি’ গ্রহণ করলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
অতিরিক্ত ভিটামিন ‘ডি’র ফলে শরীরে তৈরি হতে পারে বিষক্রিয়া। এর ফলে দেখা দিতে পারে ক্ষুধামন্দা, ওজন হ্রাস, অনিয়মিত হৃদস্পন্দন, শরীরে রক্তনালীর সমস্যার মতো শারীরিক জটিলতা।
আবার অনেকদিন ধরে ভিটামিন ‘ডি’ সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করলে শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম জমা হতে পারে। এতে হাড়, কিডনি ও হৃদযন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।
একজন সাধারণ মানুষের শরীরে প্রতিদিন ১০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন ‘ডি’ই যথেষ্ট। তবে এর অন্যথা হলে চিকিৎকের পরমর্শ না নিয়ে কোনোভাবেই ‘ডি’ সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা উচিৎ নয়।
তবে বলে রাখা ভালো, বেশি সূর্যের আলো শরীরে লাগলেও শরীরের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ভিটামিন ‘ডি’ উৎপন্ন হয় না। তাই যারা রোদে কাজ করেন, তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
যেসব খাবারে পাবেন ভিটামিন ‘ডি’
প্রকৃতিতে খুব কম খাবারেই ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়। তবে তেলযুক্ত মাছ, লাল মাংস, কলিজা, ডিমের কুসুম, কিছু প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন: সিরিয়াল জাতীয় খাবার, কমলার জুস ও টুনা মাছে সল্প পরিমাণে ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন:ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে আরও ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৩ হাজার ১৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৫৭ জন আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩০২৫ জন।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১০ হাজার ২৬৩ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৮১৯ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ৪৪৪ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৭৬ হাজার ৮১০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৭৫ হাজার ৮৩৩ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ ৯৭৭ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬৮০ জন। ঢাকায় ৭১ হাজার ৪২৬ এবং ঢাকার বাইরে ৯৪ হাজার ২৫৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৮৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য