রাজধানীর শ্যামপুর কদমতলী রোডে সিজার নামের এক চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা ওয়ারী বিভাগ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মূল পরিকল্পনাকারী মো. বায়োজিদ, মো. রাসেল, মো. হৃদয় হাওলাদার ওরফে সাইদুর, মো. হুমায়ুন কবির, মো. হৃদয় ও মো. সেলিম।
রোববার হবিগঞ্জের মাধবপুর, বরিশাল কাজিরহাট, ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশীদ তার নিজ কার্যালয়ে সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ৩০ এপ্রিল শ্যামপুর কদমতলী রোডে কদমতলী স্টিল মিলসের সামনে রাস্তার ওপর একটি অজ্ঞাতনামা মরদেহ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে মরদেহটি শনাক্ত হলে মৃতের বাবা মো. রবিউল ইসলাম কদমতলী থানায় মামলা করেন।
গ্রেপ্তাররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তারা ২৯ এপ্রিল রাত সাড়ে ১২টায় কদমতলী স্টিল মিলসের সামনের রাস্তায় ভিকটিম সিজার হোসেনকে লোহার রড দিয়ে মাথার পেছনে আঘাত করে হত্যা করে। পরে তার কাছ থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা এবং স্মার্টফোন ছিনিয়ে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যান। এই চক্রটি ইতোপূর্বেও একাধিকবার এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।
ডিবি প্রধান বলেন, ‘২৯ এপ্রিল রাতে বায়েজিদ, রাসেল, হৃদয় ও পলাতক আসামি মনির মিলে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ছিনতাই করার পরিকল্পনা করে। আসামি হৃদয় সেই মোতাবেক একটি অটোরিকশা নাজিরা বাজার থেকে ভাড়া করে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসে।
‘এ সময় রিকশাচালক সিজার রিকশা না দিতে চাইলে বায়োজিদ তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে সিজারের মাথার পেছনে আঘাত করে।ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন এবং ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা রাসেল, বায়োজিদ এবং মনিরসহ চিটাগাং রোডে নিয়ে আরেক আসামি হুমায়ুনের কাছে বিক্রি করে। হুমায়ুন রিকশাটি ১৭ হাজার টাকায় আরেক আসামি সেলিমের কাছে বিক্রয় করে দেয়। পরে সেলিম রিকশাটি খুলে ভাঙারির দোকানে বিক্রি করে দেয়।’
হারুন অর রশীদ বলেন, ‘পহেলা মে দুপুর বেলায় ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বায়োজিদ ও রাসেল গুলিস্থান মাজাররোডে আসামি হৃদয়ের কাছে ৪ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করে। হৃদয় মোবাইলটি ৩০০ টাকা লাভে আরেকজনের কাছে বিক্রি করে দেয়।’
গ্রেপ্তারদের রিমান্ডে এনে আরও কোথায় কোথায় এমন ঘটনা ঘটিয়েছে, তা তদন্ত করে জানা যাবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন:গ্রেনেড হামলা মামলায় হাইকোর্টের দেয়া রায়ের কারণ দেখে ও নির্দেশনা নিয়ে তারপর আপিলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আপিল করা উচিত বলে মনে করি।’
রোববার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল এমন মন্তব্য করেন।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সম্পূরক অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে বিচারিক আদালতের বিচার অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রোববার রায় দেয় হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ডেথ রেফারেন্স নাকচ করে ও আসামিদের আপিল মঞ্জুর করে এ রায় দেয়া হয়। ফলে এ মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ দণ্ডিত সব আসামি খালাস পেয়েছেন।
বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এ রায় দেয়। হাইকোর্টের একই বেঞ্চ গত ২১ নভেম্বর আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি গ্রহণ শেষ করে। সেদিন আদালত মামলা দুটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখে। রোববার তা ঘোষণা করা হয়।
রায়ের পর আসামি পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, ‘হাইকোর্টের রায়ে বিচারিক আদালতের বিচার অবৈধ বলা হয়েছে। শোনা সাক্ষীর ওপর ভিত্তি করে রায় দেয়া হয়েছিল। কেউ স্বচক্ষে দেখেছেন- এ মর্মে কোনো প্রমাণ নেই।’
তিনি বলেন, ‘স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেয়া হয়েছে নির্যাতনের মাধ্যমে। মুফতি হান্নান দুটি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। চারশ’ বছরের ইতিহাসে ভারতীয় উপমহাদেশে দ্বিতীয় জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে কাউকে সাজা দেয়ার নজির নেই।’
আরও পড়ুন:বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে সিলেটে দায়ের করা দুটি মামলা খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
রোববার দুপুরে সিলেটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ছগির আহমেদ মামলা দুটি খারিজ করে তারেক রহমানকে খালাসের রায় দেন।
এর আগে ২০১৪ সালে বিএনপির তৎকালীন সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সিলেটে মামলা দুটি দায়ের করেন ছাত্রলীগের দুই নেতা।
মামলা খারিজের তথ্য নিশ্চিত করে সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট জেলা জজ আদালতের আইনজীবী এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশ্যে হাসিনা সরকারের আমলে মামলা দুটি দায়ের করা হয়েছিল। আজ আদালত দুটি মামলাই খারিজ করে দেন।’
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ২২ ডিসেম্বর তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনে এই দুটি মামলা দায়ের করা হয়। এর একটি করেছিলেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক এম রায়হান আহমদ চৌধুরী এবং অপরটি করেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সে সময়ের সভাপতি শামীম মোল্লা।
আদালতের তৎকালীন বিচারক আনোয়ারুল হক মামলা দুটি গ্রহণ করে সরকারের অনুমোদনক্রমে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে সিলেটের শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।
মামলা দুটিতে অভিযোগ করা হয়- ওই বছরের ১৫ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্য বিএনপির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি তারেক রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে বিরোধিতা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করেন।
আরও পড়ুন:পঞ্চগড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়া এক যুবককে হত্যার পর মরদেহ গুমের মামলায় সাবেক রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের জামিন আবেদন না-মঞ্জুর করেছে আদালত।
রোববার সকালে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করলে পঞ্চগড়ের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আশরাফুজ্জামান জামিন না-মঞ্জুর করে সুজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
নূরুল ইসলাম সুজন পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ময়দানদীঘি ইউনিয়নের মহাজনপাড়ার মৃত ইমাজ উদ্দিন আহম্মেদের ছেলে। তিনি পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং পঞ্চগড়-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আদম সুফি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ১০ নভেম্বর পঞ্চগড় জেলা সদরের উত্তর দর্জিপাড়া এলাকার বাসিন্দা মনু মিয়া নামে এক ব্যক্তি নূরুল ইসলাম সুজনকে প্রধান আসামি করে ১৯ জনের বিরুদ্ধে পঞ্চগড় সদর থানায় মামলাটি করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বাদী মো. মনুর ছেলে আল আমিন পেশায় রিকশাচালক। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সক্রিয় যোদ্ধা ছিলেন। এজন্য তাকে শুরু থেকেই বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দেয়া হতো।
এরই ধারাবাহিকতায় ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর আলামিন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান সাকিব প্লাবন পাটোয়ারীর বাড়ির সামনে দিয়ে যখন বাড়ি ফিরছিলেন তখন আসামিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আল আমিনকে জখম করে। এতে রক্তাক্ত হয়ে আলামিন সড়কে লুটিয়ে পড়লে তার নিথর দেহ টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায় আসামিরা। তখন থেকে আল আমিনের সন্ধান নেই।
মামলার বাদী মো. মনু বলেন, ‘আল আমিনের সঙ্গে সেদিন যারা ছিলেন তাদের সঙ্গে কথা বলেই মামলা করেছি। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণমতে, আমি ধারণা করছি আমার ছেলেকে হত্যার পর তার মরদেহ গুম করে রাখা হয়েছে। আমি ন্যায়বিচার চাই।’
আরও পড়ুন:মানিকগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের নাশকতা মামলায় আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ পৌরসভার পশ্চিম দাশড়া ও সদর উপজেলার বেতিলা মিতরা ইউনিয়নের সলন্ডী এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সদর উপজেলার বেতিলা মিতরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ এবং পৌর আওয়ামী লীগের নেতা শরিফুল ইসলাম নান্টু।
পুলিশ জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ৪ আগস্ট মানিকগঞ্জ শহরের শহীদ রফিক সড়কে জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় ২৫ সেপ্টেম্বর পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মুরাদ হোসেন বাদী হয়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৯১ নেতাকমীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫০ জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি এস.এম আমান উল্লাহ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে শনিবার সন্ধ্যায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে রোববার বিকেলে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের ৫৪ ইসকন ভক্তকে আটকে দিয়েছে বেনাপোল বন্দর ইমিগ্রেশন।
শনিবার সন্ধ্যায ও আজ রোববার সকালে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ইসকন ভক্তরা ভারতে যাওয়ার জন্য বেনাপোল স্থলবন্দরে আসেন। শনিবার দিনভর ও আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত অপেক্ষার পর ইমিগ্রেশন পুলিশের পক্ষ থেকে তাদেরকে ভারতে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়নি।
ইসকন সদস্য সৌরভ তপন্দার চেলী বলেন, ‘ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতে যাওয়ার জন্য এসেছিলাম। ভারতে যাওয়ার অনুমতি নেই জানিয়ে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে।’
বেনাপোলে আসা আরেক ইসকন ভক্ত জানান, ধর্মীয় আচার পালন করতে তারা ভারতে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কোনো কারণ উল্লেখ না করেই তাদেরকে ইমিগ্রেশন থেকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমতিয়াজ মো. আহসানুল কাদের ভূঞা বলেন, ‘ভারতে ভ্রমণ সন্দেহজনক মনে করে ৫৪ বাংলাদেশি যাত্রীকে সে দেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়নি।’
ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে সাজা দেয়ার নজির নেই বলে উল্লেখ করেছেন একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আসামিপক্ষের অন্যতম আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
হামলা মামলার হাইকোর্টের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় রোববার তিনি এ কথা উল্লেখ করেন।
শিশির মনির বলেন, ‘৪০০ বছরের ইতিহাসে ভারতীয় সাবকন্টিনেন্টে (উপমহাদেশ) দ্বিতীয় স্বীকারোক্তির ওপর ভিত্তি করে কাউকে সাজা দেয়া হয়েছে, আর কোনো নজির নেই।'
তিনি বলেন, ‘এ মামলার আসামি মুফতি হান্নান দুবার স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। টর্চার করে তার কাছ থেকে দ্বিতীয় স্বীকারোক্তি আদায়ের অভিযোগ ছিল। দ্বিতীয় স্বীকারোক্তি প্রত্যাহার করেছিলেন তিনি।
‘এ স্বীকারোক্তির কোনো আইনগত ভিত্তি নেই, এ কথা আমরা আদালতে বলেছি।’
মামলার এ আইনজীবী বলেন, ‘বিচারিক আদালত এ মামলায় ৪৯ জনকে সাজা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অন্যান্যদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়ে রায় দিয়েছিল।
‘বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত আপিলের শুনানি শেষে সকলের আপিল মঞ্জুর (অ্যালাউ) করেছেন উচ্চ আদালত। বিষয়টি নিয়ে ইতোপূর্বে জারি করা রুল অ্যাবসলিউট (যথাযথ) ঘোষণা করেন আদালত। সকলকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রায়ে নিম্ন আদালতের ট্রায়ালকে অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। আইনের ভিত্তিতে বিচারিক আদালতে বিচার (ট্রায়াল) কার্যক্রম হয়নি।
‘বিচারিক আদালতে দেয়া এক সাক্ষীর সাথে অন্য সাক্ষীর সাক্ষ্যে কোনো সামঞ্জস্যতা (কোলাবরেশান) নেই। এ ধরনের কেইসে ঘটনা পরস্পর দেখেছেন, এমন কোনো সাক্ষ্য নেই।’
এর আগে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট।
বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ রায় ঘোষণা করে। এর আগে চার দিন আপিলের ওপর শুনানি হয়।
বিচারিক আদালত এ মামলায় ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১১ পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তাকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছিল।
রায়ে আদালত বলে, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার ছিল অবৈধ। আইনে এটা টেকে না।
রায়ে উল্লেখ করা হয়, যে অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে বিচারিক আদালত বিচার করেছিল, তা আইনগতভাবে গ্রহণযোগ্য ছিল না।
এর আগে বেলা ১১টায় রায় ঘোষণা শুরু হয়। ১১টা ৪৫ মিনিটে রায় পড়া শেষ হয়। রায়ের মূল অংশ পাঠ করেন বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান।
আদালতে আসামিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। তারা এ মামলা শুরু থেকে আসামিপক্ষে শুনানি করেন।
আদালতে বিএনপির আইনজীবীদের মধ্যে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল, গাজী কামরুল ইসলাম সজল ও আমিনুল ইসলাম।
২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর গ্রেনেড হামলা ও হত্যা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে ফাঁসি এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিএনপি নেতা কাজী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন কায়কোবাদসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় বিচারিক আদালত।
পরে ওই বছরের ২৭ নভেম্বর মামলার বিচারিক আদালতের রায় প্রয়োজনীয় নথিসহ হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় পৌঁছায়।
বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যে ১৯ আসামি খালাস পেলেন
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুর রহিম, হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ, মাওলানা তাজউদ্দীন, মাওলানা শেখ আবদুস সালাম, মাওলানা শেখ ফরিদ, মাওলানা আবু সাইদ, মুফতি মঈনউদ্দিন শেখ ওরফে আবু জান্দাল, হাফেজ আবু তাহের, মো. ইউসুফ ভাট ওরফে মাজেদ ভাট, আবদুল মালেক, মফিজুর রহমান ওরফে মহিবুল্লাহ, আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুল, মো. জাহাঙ্গীর আলম, হোসাইন আহমেদ তামিম, রফিকুল ইসলাম ওরফে সবুজ ও মো. উজ্জ্বল ওরফে রতন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত যে ১৯ আসামি খালাস পেলেন
শাহাদাৎ উল্লাহ ওরফে জুয়েল, মাওলানা আবদুর রউফ ওরফের আবু ওমর, আবু হোরাইরা ওরফে পীরসাহেব, মাওলানা সাব্বির আহমদ ওরফে আবদুল হান্নান সাব্বির, আরিফ হাসান ওরফে সুজন ওরফে আবদুর রাজ্জাক, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, আবু বকর ওরফে সেলিম হাওলাদার, মো. আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ, মহিবুল মোত্তাকিন ওরফে মুত্তাকিন, আনিসুল মুরছালিন ওরফে মুরছালিন, মো. খলিল, জাহাঙ্গীর আলম বদর ওরফে ওস্তাদ জাহাঙ্গীর, মো. ইকবাল, লিটন ওরফে মাওলানা লিটন্, তারেক রহমান ওরফে তারেক জিয়া, হারিছ চৌধুরী (প্রয়াত) কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই এবং রাতুল আহম্মেদ বাবু ওরফে বাবু ওরফে রাতুল বাবু।
একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হওয়া দুই মামলার রায়সহ প্রায় ৩৭ হাজার ৩৮৫ পাতার নথি ২০১৮ সালের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পৌঁছায়।
পরে আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানির জন্য মামলার পেপারবুক তৈরির নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সেই আদেশের ধারাবাহিকতায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সাড়ে ১০ হাজার পৃষ্ঠার পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়।
আসামিদের মধ্যে ২২ জন খালাস চেয়ে আপিল করেন। অন্যদিকে ১২ আসামির জেল আপিল করা হয়।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিকেলে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের কয়েক শ নেতা-কর্মী।
এ মামলায় বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বকে সম্পৃক্ত করা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে বারবার দাবি করে আসছিল দলটি। আজ রায়ে সেটিই প্রমাণ হলো বলে দাবি করেছেন আইনজীবীরা। তারা রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, এর মধ্য দিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুন:কক্সবাজারের টেকনাফে বাবাকে না পেয়ে ১৪ বছরের এক ছাত্রকে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় টেকনাফ থানার ওসির অস্ত্র উদ্ধারের স্বীকারোক্তি নেওয়া ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
এ নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় চলছে। কেউ কেউ ‘টেকনাফে প্রদীপ যুগে ফিরছে’ বলে মন্তব্য করেন ফেসবুকে।
এদিকে গত ২৬ নভেম্বর ভোররাতে বাড়ি থেকে নিরস্ত্র অবস্থায় পুলিশ স্কুলছাত্রকে আটক করলে সমাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয়। এর মধ্যেই পুলিশ শনিবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, স্কুলছাত্রকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত ওই স্কুলছাত্র টেকনাফের হ্নীলার দরগাহপাড়া এলাকায়। সে হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। তার বাবা জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা যুবলীগের সদস্য।
পুলিশের দাবি, গত ২৬ নভেম্বর ভোরে টেকনাফেরর হ্নীলার দরগাহপাড়া এলাকার নুরুল আমিনের বাড়ির সামনে টেকনাফ থানার ওসি গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। ওই সময় পালানোর চেষ্টাকালে স্কুলছাত্রকে আটক করা হয়। সে সময় তার কাছে থাকা নীল রঙের শপিং ব্যাগের ভেতর থেকে বিদেশি অস্ত্র পাওয়া যায়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় আবদুল মোমেন বলেন, ‘একজন স্কুলপড়ুয়া সপ্তম শ্রেণির ছাত্রকে আমাদের চোখের সামনেই আটকের নাটক মঞ্চস্থ করে পুলিশ। আটককৃত শিশুটির বাড়িতে তল্লাশি করে কিছুই পায়নি, কিন্তু বাড়ি থেকে প্রায় পাঁচ মিনিটের দূরত্বে প্রবাসী নুরুল আমিনের বাড়ি থেকে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করে পুলিশ।
‘তখন আমরা বাকরুদ্ধ এবং ১৪ বছরের শিশুটি পাথরের মতো দাঁড়িয়ে হাউমাউ করে কান্না শুরু করে। এরপর তার বাবার অস্ত্র বলে জোরপূর্বকভাবে স্বীকারোক্তি নেয় পুলিশ। বাবাকে না পাওয়ার কথা বলে তাকে অস্ত্রসহ ধরে নিয়ে যায় ওসি।’
গত ২৬ নভেম্বর ভোররাত তিনটা ৪০ মিনিটের দিকে পুলিশের কাছে খবর আসে যে, হ্নীলার দরগাহপাড়ার নুরুল আমিনের বাড়ির সামনে রাস্তার ওপর কতিপয় ব্যক্তি অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্য অবস্থান করছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দুজন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে একজনকে তার হাতে থাকা নীল রঙের শপিং ব্যাগসহ আটক করা হয়।
তার শপিং ব্যাগে কী আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ব্যাগে অস্ত্র ও গুলি আছে। সাক্ষীদের সামনে ব্যাগ তল্লাশি করে পাওয়া যায় একটি কালো রঙের বিদেশি পিস্তল, ছয় রাউন্ড গুলি এবং ৪০ রাউন্ড নীল রঙের কার্তুজ। উক্ত মামলায় তিনজনকে সাক্ষী করা হয়েছে, স্থানীয় নারী ও মৌলভী এবং আরেকজন পুলিশ সদস্য।’
মামলার সাক্ষী প্রবাসী নুরুল আমিনের স্ত্রী সুফাইদা আক্তার বলেন, ‘গত ২৬ নভেম্বর ভোর রাতে আমার বাড়িতে পুলিশ প্রবেশ করে। কোনো কথা না বলে ঘরের আলমারি খুলে তল্লাশি করতে থাকে। একপর্যায়ে আলমারি থেকে অস্ত্র, গুলি ও ইয়াবা উদ্ধার করে পুলিশ।
‘এগুলো উদ্ধারের পর শিশুটিকে তার বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে এসে একটি কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে চলে যান পুলিশ।’
আরেক সাক্ষী মৌলভী জামাল হোসাইন বলেন, ‘ভোরে মসজিদের ফজর নামাজের যাওয়ার সময় নিজেকে ওসি পরিচয় দিয়ে দাঁড় করান। ওই সময় শিশুটিকে তার বাড়ি থেকে নিরস্ত্র অবস্থায় বের করে আনতে দেখি। এ সময় ওসি অস্ত্রসহ শিশুটিকে আটক করার কথা বলে আমাকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর দেওয়ার কথা বলে, কিন্তু আমি না দিতে অপরাগত জানালে ধমক দেন ওসি।
‘এটা যে মামলার সাক্ষী আমি জানি না। আর অস্ত্রগুলো শিশুর কাছ থেকে পেয়েছে, আমি দেখিনি।’
ক্ষোভ প্রকাশ করে এক সহপাঠী বলে, ‘ক্লাসের মেধাবী ছাত্র কখনও অস্ত্র বহন করতে পারে না। এটা অস্ত্র অভিযানের নামে নাটক।
‘আইনের চোখে অপরাধী হলে দেশের প্রচলিত আইনে উপযুক্ত বিচারে আমাদের কারও আপত্তি নেই, কিন্তু পুলিশ জোর করে স্বীকারোক্তির ভিডিও নিয়ে ফেসবুকে ছেড়ে দিয়ে কি অপরাধ করেনি? আমরা সাজানো অস্ত্র উদ্ধার মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’
শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, ‘মূলত রাজনৈতিক এবং নির্বাচন নিয়ে একটি পক্ষ পরিকল্পিতভাবে আমাকে না পেয়ে আমার শিশু পুত্রকে অস্ত্র মামলায় ফাঁসিয়েছে। আমার ছেলে খুবই মেধাবী।
‘সে তিনবার বৃত্তি পেয়েছে। চলমান বার্ষিক পরীক্ষায় আমার ছেলে অংশ নিতে পারল না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছেলের কাছ থেকে জোর করে অস্ত্র উদ্ধারের স্বীকারোক্তি নেয় পুলিশ, কিন্তু অপরাধ ঢাকতে পুলিশ আবার সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।
‘এ ঘটনায় বর্তমান সরকারের কাছে তদন্তপূর্বক মামলা প্রত্যাহার ও তার মুক্তি দাবি করছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুস সালাম বলেন, ‘আমার স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীটি একজন নিয়মিত ছাত্র। সে খুব মেধাবী।
‘এখন তার পরীক্ষা চলছে। তাই ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অবিলম্বে তার মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।’
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের দাবি, ঘটনার দিন ভোরে পালিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তা থেকে ওই শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। পরে তার হাতে থাকা একটি নীল রঙের শপিং ব্যাগের ভেতর একটি বিদেশি পিস্তল, ছয়টি গুলি ও ৪০টি নীল রঙের কার্তুজ পাওয়া যায়। সাক্ষীদের উপস্থিতিতে তা জব্দ করা হয়।
পুলিশের স্বীকারোক্তির ভিডিও কীভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে গেছে, সে বিষয়ে কিছু বলেননি এ কর্মকর্তা।
জানতে চাইলে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার রহমত উল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।’
মন্তব্য