× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
70 Bangladeshis from Sudan to Saudi will return to Dhaka in the morning
google_news print-icon

সুদান থেকে সৌদিতে ৭০ বাংলাদেশি, সকালে ঢাকায় ফিরবেন

সুদান-থেকে-সৌদিতে-৭০-বাংলাদেশি-সকালে-ঢাকায়-ফিরবেন
সুদান থেকে দুটি ফ্লাইটে ৭০ বাংলাদেশিকে জেদ্দার বাদশাহ আবদুল্লাহ বিমান ঘাঁটিতে আনা হয়। ছবি: সৌদিতে বাংলাদেশ দূতাবাস
সৌদিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারি জানান, সৌদি সামরিক বাহিনীর একটি ফ্লাইটে ৪৫ ও অন্যটিতে ২৫ বাংলাদেশিকে জেদ্দার বাদশাহ আবদুল্লাহ বিমান ঘাঁটিতে আনা হয়। তাদেরকে রোববার রাত ১টার ফ্লাইটে ঢাকায় পাঠানো হবে।

যুদ্ধকবলিত সুদানের বন্দর পোর্ট সুদান থেকে ৭০ বাংলাদেশি নাগরিক সৌদি আরবে পৌঁছেছেন।

রোববার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টার দিকে সৌদি এয়ারফোর্সের দুটি ফ্লাইটে জেদ্দায় পৌঁছান তারা। তারা রোববার রাত ১টায় জেদ্দা এয়ারপোর্ট থেকে বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন।

এছাড়া আরও ৬৫ জন বাংলাদেশি পোর্ট সুদান থেকে অন্য একটি ফ্লাইটে জেদ্দার উদ্দেশে রওনা করার কথা রয়েছে।

সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ সময় জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক উপস্থিত ছিলেন।

তবে সুদানে আটকে পড়া বাকিদের কিভাবে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।

জাবেদ পাটোয়ারি জানান, সৌদি সামরিক বাহিনীর একটি উড়োজাহাজে ৪৫ জন এবং অন্যটিতে ২৫ জন বাংলাদেশিকে জেদ্দার বাদশাহ আবদুল্লাহ বিমান ঘাঁটিতে আনা হয়। সুদান থেকে আসা এসব নাগরিককে আজ (রোববার) রাত ১টার ফ্লাইটে ঢাকায় পাঠানো হবে। দেশে ফিরতে যারা নিবন্ধন করেছেন পর্যায়ক্রমে তাদের সবাইকে দেশে ফিরিয়ে নেয়া হবে।

সুদান থেকে সৌদিতে ৭০ বাংলাদেশি, সকালে ঢাকায় ফিরবেন

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারি বিমানবন্দরে সুদান ফেরত বাংলাদেশিদের স্বাগত জানান। ছবি: সৌদিতে বাংলাদেশ দূতাবাস

সুদান ফেরত বাংলাদেশিদের বিশ্রামের জন্য জেদ্দা বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ইংরেজি সেকশনে বিশ্রাম, খাবার ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রদূত।

সুদানের সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনীর মধ্যে ১৫ এপ্রিল থেকে সংঘর্ষ চলছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা এ সংঘর্ষ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সংঘর্ষে এ পর্যন্ত চার শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে বেসামরিক লোকজন ছাড়াও জাতিসংঘ কর্মী, মিসরের সহকারী প্রতিরক্ষা উপদেষ্টাও রয়েছেন।

সুদানে প্রায় ১ হাজার ৫০০ বাংলাদেশি রয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রায় ৭০০ জন দেশে ফেরত আসার জন্য নিবন্ধন করেছেন। এসব বাংলাদেশির মধ্যে প্রায় ৬৫০ পোর্ট সুদানে অবস্থান করছিলেন।

সুদানের রাজধানী খার্তুম থেকে পোর্ট সুদান বন্দরে নেয়া হয় এসব বাংলাদেশিকে। সেখান থেকে জাহাজে করে সৌদি আরবের জেদ্দায় পৌঁছানোর অপেক্ষায় ছিলেন তারা। কিন্তু সময়মতো জাহাজ না পাওয়ায় বিমানে করে ১৩৫ জনকে জেদ্দা পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। এক্ষেত্রে নারী, শিশু ও বয়স্কদের প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন:
সুদানে সংঘাত: বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে
সুদানে ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি
সুদান থেকে সরানো হলো যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকদের
সুদানে ‍তুমুল লড়াই অব্যাহত
সুদানে আরএসএফ-সেনা সংঘর্ষে ৪১৩ প্রাণহানি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Dr Kamal Hossain talked about modernizing the constitution
সংবিধান সংস্কার কমিশনের সাক্ষাৎ

সংবিধান সমসাময়িক করার কথা বললেন ড. কামাল হোসেন

সংবিধান সমসাময়িক করার কথা বললেন ড. কামাল হোসেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধানসহ সদস্যরা শনিবার ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে তার মতিঝিলের কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। ছবি: নিউজবাংলা
ড. কামাল হোসেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং সংবিধান সংস্কার প্রক্রিয়ায় আস্থা প্রকাশ করেন। তিনি সংবিধানকে সমসাময়িক করার কথা বলেন।

সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের আট সদস্য। রাজধানীর মতিঝিলে ড. কামাল হোসেনের কার্যালয়ে শনিবার তারা এই সাক্ষাৎ করেন।

কমিশন প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের, ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক, অধ্যাপক মোহাম্মদ ইকরামুল হক, ড. শরীফ ভূঁইয়া, ব্যারিস্টার এম মঈন আলম ফিরোজী, ফিরোজ আহমেদ ও মো. মুসতাইন বিল্লাহ।

ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে এই সাক্ষাতের সময় সংবিধান সংস্কারের প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করা হয় বলে জানান সংবিধান সংস্কার কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত জনসংযোগ কর্মকর্তা ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের উপ-পরিচালক মো. সাব্বির মাহমুদ।

এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ড. কামাল হোসেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধানসহ উপস্থিত সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং সংবিধান সংস্কার প্রক্রিয়ায় আস্থা প্রকাশ করেন। তিনি সংবিধানকে সমসাময়িক করার কথা উল্লেখ করেন।

প্রসঙ্গত, ১৯৭২ সালের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির প্রধান ছিলেন প্রখ্যাত আইনজীবী ও রাজনীতিক ড. কামাল হোসেন।

আরও পড়ুন:
পুনর্লিখন নয়, সংবিধান সংশোধনের পক্ষে মত বিশিষ্টজনদের
রাষ্ট্র সংস্কারে আরও চারটি কমিশন গঠন, নেতৃত্বে যারা
সংস্কার কমিটি তিনটি সংসদ নির্বাচনের অনিয়ম চিহ্নিত করবে
দুদক সংস্কারে সুনির্দিষ্ট পরামর্শ চেয়েছে কমিশন
এনবিআর সংস্কারে পাঁচ সদস্যের পরামর্শক কমিটি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Money equivalent to and17 billion was laundered from the country TIB

দেশ থেকে ১৭ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থ পাচার হয়ে গেছে: টিআইবি

দেশ থেকে ১৭ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থ পাচার হয়ে গেছে: টিআইবি টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। ফাইল ছবি
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘পাচার হওয়া অর্থ ফেরতে সহযোগিতা করতে বিভিন্ন দেশে বিশেষজ্ঞদের সিন্ডিকেট আছে। সে কারণে আমরা একজন সাবেক মন্ত্রীর কয়েকটি দেশে কয়েক শ’ অ্যাপার্টমেন্টের বিষয়ে জানতে পারছি। কিন্তু এই ঘটনা বরফখণ্ডের চূড়ামাত্র, এমন পাচারকারী আরও অনেকে আছেন।’

দেশ থেকে ১৭ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থ পাচারের তথ্য জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। দুর্নীতিবিরোধী প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, বিভিন্ন ঘটনার ভিত্তিতে ধারণা করা যায় যে বাংলাদেশ থেকে বছরে গড়ে ১২ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ বিভিন্ন দেশে পাচার করা হয়েছে।

রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয়ে শনিবার ‘পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার উপায়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে মোট কী পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে তা সুনির্দিষ্টভাবে জানা সম্ভব নয়। তবে ব্যাংকের মতো আনুষ্ঠানিক মাধ্যম ব্যবহার করে ১৭ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থ পাচারের কথা জানা যায়।’

টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার বলয় প্রতিষ্ঠা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দখলের মাধ্যমে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ পাচার করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে রাজনীতি, আমলাতন্ত্র ও ব্যবসা- এই ত্রিমুখী আঁতাত মূল ভূমিকা পালন করেছে।

‘সব প্রতিষ্ঠানেই দীর্ঘ সময় ধরে দলীয়করণের চর্চা হয়েছে। গত ১৫-১৬ বছরে আমরা এর চূড়ান্ত রূপ দেখেছি। এতে আমলাতন্ত্রকে কর্তৃত্ব দিয়েছে রাজনৈতিক শক্তি আর তা বাস্তবায়নে ব্যবহার করা হয়েছে বিভিন্ন এজেন্সিকে। ফলে এসব জায়গায় কতটুকু পরিবর্তন আনা যাবে, তা গুরুত্বপূর্ণ।’

‘যে পরিবর্তন আসবে বলে আমরা আশা করছি তা যেন টেকসই হয়’, যোগ করেন তিনি।

পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত একটি দৃষ্টান্ত আছে। সেটি হলো, সিঙ্গাপুর থেকে। দেশটি থেকে ২০০৭ সালে পাচার হওয়া অর্থ ফেরতের উদ্যোগ নেয়া হয় এবং পারস্পরিক আইনি সহায়তার মাধ্যমে ২০১৩ সালে ৯ দশমিক ৩ বিলিয়ন বা ৯৩০ কোটি ডলার ফেরত আনা সম্ভব হয়েছিল।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা সম্ভব। তবে তা অনেক কঠিন ও দীর্ঘ প্রক্রিয়া। যেসব দেশে অর্থ পাচার করা হয়েছে, ওইসব দেশের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে পাচার করা অর্থ ফেরত আনা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে দেশগুলোর এ বিষয়ে সহযোগিতার মনোভাব গুরুত্বপূর্ণ।’

তিনি বলেন, ‘অর্থ পাচার বন্ধে সাপ্লাই (যে দেশ থেকে পাচার হয়) ও ডিমান্ড (যে দেশে পাচার হয়) উভয়ের মধ্যে সহযোগিতার পরিবেশ থাকতে হবে। পাচার হওয়া অর্থ ফেরতে সহযোগিতা করতে বিভিন্ন দেশে বিশেষজ্ঞদের সিন্ডিকেট আছে। সে কারণে আমরা একজন সাবেক মন্ত্রীর কয়েকটি দেশে কয়েক শ’ অ্যাপার্টমেন্টের বিষয়ে জানতে পারছি। কিন্তু এই ঘটনা বরফখণ্ডের চূড়ামাত্র, এমন পাচারকারী আরও অনেকে আছেন।’

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), সিআইডি, এনবিআর, অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস, বিএফআইইউ- অর্থ পাচার বিষয়ে এসব প্রতিষ্ঠানের পরিষ্কার পথনকশা আছে। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় সংস্কার আনতে হবে, শুধু মুখের কথায় কাজ হবে না। অর্থ পাচার রোধে বেশ কিছু আইনেরও প্রয়োজন আছে।’

আরও পড়ুন:
ক্ষমতায় গেলে দলগুলোর আচরণ পাল্টে যায়: ইফতেখারুজ্জামান
অর্থ পাচার রোধে ব্যর্থ প্রতিষ্ঠানগুলো ঢেলে সাজাতে হবে: ইফতেখারুজ্জামান

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Production stopped at Matarbari power plant due to coal shortage

কয়লা সংকটে মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ

কয়লা সংকটে মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ছবি: সংগৃহীত
কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন মজুমদার জানান, জাপানের সুমিতমো করপোরেশনের মাধ্যমে কয়লা আনা হয়ে থাকে। গত আগস্ট মাসে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এদিকে কয়লার মজুত শেষ হয়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিটে উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। কায়লা সংকটের কারণে বৃহস্পতিবার থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পরিচালন) মনোয়ার হোসেন মজুমদার এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের ইউনিট কমিশনিংয়ের জন্য জাপানের সুমিতমো করপোরেশনের মাধ্যমে কয়লা আনা হয়ে থাকে। গত আগস্ট মাসে জাপানি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।

প্রকল্পের একটি ইউনিট ২০২৩ সালের জুলাই ও অপর ইউনিট ডিসেম্বরে চালু হয়। সেখানে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য এখন পর্যন্ত জাপানের সুমিতমো করপোরেশনের মাধ্যমে আনা হয়েছে ২২ লাখ ৫ হাজার টন কয়লা। সেই মজুদ পুরোপুরি শেষ হয়ে গেছে। ফলে বৃহস্পতিবার থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘তিন বছরের কয়লা সরবরাহের জন্য কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে। কিন্তু সাবেক প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম আজাদ একটি প্রতিষ্ঠানকে বেআইনি সুবিধা দিতে দরপত্র আহ্বান প্রক্রিয়ায় ১০ মাস দেরি করেন বলে অভিযোগ ওঠে।

‘ওই অনিয়মের অভিযোগ তুলে আদালতে অপর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট কয়লা আমদানিতে ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা দেয় গত জুলাইয়ে। সেই আদেশটি পরে উচ্চ আদালতে স্থগিত করা হলেও দীর্ঘমেয়াদে কয়লা আমদানি অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে। তবে সব প্রক্রিয়া শেষ করে নভেম্বরের শেষ দিকে কয়লা আমদানির চেষ্টা চলছে। কয়লা এলেই উৎপাদন শুরু হবে।’

আরও পড়ুন:
মাতারবাড়ী ঘিরে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির নতুন স্বপ্ন
মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিক ধর্মঘট

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Chief Advisers commitment to address issues of women footballers on a priority basis

অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নারী ফুটবলারদের সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি প্রধান উপদেষ্টার

অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নারী ফুটবলারদের সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি প্রধান উপদেষ্টার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় শনিবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে ফুটবলারদের দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ফুটবলার, প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টরা। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘তোমরা যা খুশি লিখতে পারো, কোনো দ্বিধা করবে না। আমরা তোমাদের দাবি পূরণ করার চেষ্টা করব।’ 

অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নারী ফুটবলারদের সমস্যাগুলো সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় শনিবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে ফুটবলারদের দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।

কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে গত ৩০ অক্টোবর রাতে নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ জেতায় নারী দলকে সংবর্ধনা দেন প্রধান উপদেষ্টা।

ওই সময় নারী ফুটবলাররা তাদের স্বপ্ন এবং তাদের দৈনন্দিন সংগ্রামের কথা প্রধান উপদেষ্টাকে জানান।

প্রধান উপদেষ্টা বিজয়ী খেলোয়াড়দের দাবিগুলো মনোযোগ দিয়ে শোনেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই সাফল্য অর্জনের জন্য আমি সমগ্র জাতির পক্ষ থেকে তোমাদের অভিনন্দন জানাই। জাতি তোমাদের কাছে কৃতজ্ঞ।

‘আমাদের দেশের মানুষ সাফল্য চায়। তোমরা আমাদের সাফল্য এনে দিয়েছো।’

ক্যাপ্টেন সাবিনা খাতুন সংবর্ধনার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান। আয়োজনে যোগ দিতে পেরে তারা সম্মানিত বোধ করেছেন বলে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, ‘অনেক বাধা অতিক্রম করে আমরা এই পর্যায়ে এসেছি। শুধু নারী ফুটবল দলই নয়, বাংলাদেশের সব নারীকেই অনেক সংগ্রামের মুখোমুখি হয়।’

সাবিনা খাতুন ২০০৯ সালে ফুটবলার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলাপকালে ফুটবলকে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নেয়ার জন্য পূর্ব প্রজন্মের ফুটবলাররা তাকে সাহস জুগিয়েছেন উল্লেখ করে জ্যেষ্ঠ নারী ফুটবলারদের অবদানের কথা স্মরণ করেন তিনি।

সাবিনা বলেন, ‘নারী ফুটবল দলের মধ্যে অনেকেই দরিদ্র পরিবার থেকে এসেছেন। অনেকের পরিবার তাদের ওপর নির্ভরশীল।

‘আমাদের বেতন দিয়ে পরিবারের জন্য আমরা তেমন কিছু করতে পারি না। কারণ আমাদের বেতন তেমন ভালো নয়।’

মারিয়ার মতো তার সতীর্থদের সংগ্রামের বর্ণনা দেয়ার সময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন সাবিনা।

তিনি বলেন, ‘সাফজয়ী দলের ছয়জন খেলোয়াড় ময়মনসিংহের বিখ্যাত কলসিন্দুর গ্রাম থেকে এসেছে। মারিয়া তাদের মধ্যে একজন।

‘অল্প বয়সে বাবাকে হারিয়েছেন। পরিবারের দায়িত্ব তিনিই পালন করেন।’

কৃষ্ণা রানী সরকার ঢাকায় তাদের আবাসন সমস্যার কথা তুলে ধরেন।

মনিকা চাকমা খাগড়াছড়ি জেলার প্রত্যন্ত উপজেলা লক্ষ্মীছড়ি থেকে জাতীয় ফুটবলার দলে আসা পর্যন্ত তাকে যে কঠিন সংগ্রাম করতে হয়েছে সেসব কথা বর্ণনা করেন।

মিডফিল্ডার স্বপ্না রানী দিনাজপুরে তার গ্রামের দুর্বল অবকাঠামোর বর্ণনা দিয়েছেন।

উইঙ্গার কৃষ্ণা প্রধান উপদেষ্টাকে এশিয়ার বাইরে তাদের জন্য একটি প্রীতি ম্যাচের ব্যবস্থা করার অনুরোধ করেন। বিশেষ করে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বিজয়ী বার্সেলোনার বিরুদ্ধে একটি প্রীতি ম্যাচ ব্যবস্থা করে দেয়ার অনুরোধ জানান।

প্রধান উপদেষ্টা প্রতিটি খেলোয়াড়কে তাদের ব্যক্তিগত আশা এবং আকাঙ্ক্ষা, সংগ্রাম এবং দাবিগুলো আলাদা কাগজে লিখে সেগুলো তার কার্যালয়ে পাঠিয়ে দিতে বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘তোমরা যা খুশি লিখতে পারো, কোনো দ্বিধা করবে না। আমরা তোমাদের দাবি পূরণ করার চেষ্টা করব।

‘এখন যদি কিছু সুরাহা করা যায় তবে আমরা এখনই সেটা করব।’

ওই সময় উপস্থিত ছিলেন কোচ পিটার বাটলার ও ম্যানেজার মাহমুদা আক্তার।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায়, স্বাস্থ্য ও প‌রিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
নারী ফুটবলারদের সমস্যা সমাধানে প্রধান উপদেষ্টা উদ্যোগ নেবেন: আসিফ 
সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা প্রধান উপদেষ্টার
সাফজয়ী নারী ফুটবলারদের প্রধান উপদেষ্টার সংবর্ধনা শনিবার
সাফজয়ী সাবিনাদের দেশে ফেরার অপেক্ষা, প্রস্তুত ছাদখোলা বাস
এইচএসসি উত্তীর্ণ ৫৬ বছর বয়সী আবদুল হান্নানকে সংবর্ধনা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Chief Adviser to take initiative to solve problems of women footballers Asif 

নারী ফুটবলারদের সমস্যা সমাধানে প্রধান উপদেষ্টা উদ্যোগ নেবেন: আসিফ 

নারী ফুটবলারদের সমস্যা সমাধানে প্রধান উপদেষ্টা উদ্যোগ নেবেন: আসিফ  সাফজয়ী নারী ফুটবলারদের সঙ্গে সেলফি যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ‍ভূঁইয়ার। ছবি: আসিফ মাহমুদের ফেসবুক পেজ 
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা তাদের বিভিন্ন সমস্যা লিখিতভাবে দেয়ার জন্য বলেছেন যাতে খুব দ্রুত সেগুলোর সমাধান করা যায়। কেননা নারী ফুটবলারদের সমস্যা সমাধানের জন্য প্রধান উপদেষ্টা ব্যক্তিগতভাবে উদ্যোগ নেবেন।’

প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় নারী ফুটবলারদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তাদের সমস্যার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা তাদের বিভিন্ন সমস্যা লিখিতভাবে দেয়ার জন্য বলেছেন যাতে খুব দ্রুত সেগুলোর সমাধান করা যায়। কেননা নারী ফুটবলারদের সমস্যা সমাধানের জন্য প্রধান উপদেষ্টা ব্যক্তিগতভাবে উদ্যোগ নেবেন।’

সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার সংবর্ধনা শেষে যমুনার বাইরে শনিবার এসব কথা বলেন আসিফ।

এ উপদেষ্টা বলেন, ‘নারী ফুটবলাররা প্রত্যেকের সাইন করা জার্সি এবং ফুটবল প্রধান উপদেষ্টাকে গিফট করেছেন। প্রধান উপদেষ্টাসহ আমরা সবাই নারী ফুটবলারদের সঙ্গে ব্রেকফাস্ট করেছি।’

তিনি বলেন, ‘আবাসন সমস্যা, অনুশীলন, বেতন কাঠামোসহ সবকিছু নিয়ে কথা হয়েছে। দুই-তিন দিনের মধ্যে উনারা (ফুটবলার) আমাদের তাদের সমস্যাগুলো লিখিতভাবে দেবেন। সেটা আমি সরাসরি স্যারকে পৌঁছে দেব।’

ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘নারী ফুটবলাররা জানিয়েছেন যে, ক্যাম্পটা সারা বছর চলার কারণে এই সাফল্য সম্ভব হয়েছে। সেটাকে যেন সারা বছর চলমান রাখা যায়, সে আবদার তারা করেছেন।

‘বাফুফের নতুন কমিটির সঙ্গে মিলে নারী ফুটবল দলের সমস্যা এবং ফুটবলের যে সমস্যা সবগুলো আমরা সমাধান করব।’

আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘স্পোর্টসের স্টেকহোল্ডার হচ্ছে আমাদের খেলোয়াড়রা। তারাই সবার ঊর্ধ্বে থাকবে।

‘সবার ঊর্ধ্বে ছিল কমিটির মেম্বাররা। সেটা আর হবে না। এটা অন্তত আমার সময় নিশ্চিত করব।’

তিনি বলেন, ‘আমি যতটুকু জানি যে, দুই মাসের স্যালারি ডিউ (বকেয়া) আছে। এতদিন বাফুফে সালাউদ্দিন সাহেবের কমিটি ছিল।

‘এখন নতুন কমিটি এসেছে। নতুন কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে আমরা এর সমাধান করব এবং ভবিষ্যতেও যেন ডিউ না হয়, তা নিশ্চিত করব।’

বাফুফের বিশাল অঙ্কের ঋণ কীভাবে হলো প্রশ্ন রেখে ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘আর্থিক অনিয়ম হয়েছে। সেগুলো নিয়ে অলরেডি নতুন কমিটিকে অডিট করার জন্য বলেছি।

‘যদি কোথাও অনিয়ম হয়ে থাকে, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলেছি।’

এর আগে বেলা ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আরও পড়ুন:
সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা প্রধান উপদেষ্টার
সাফজয়ী নারী ফুটবলারদের প্রধান উপদেষ্টার সংবর্ধনা শনিবার
সাফজয়ী সাবিনাদের দেশে ফেরার অপেক্ষা, প্রস্তুত ছাদখোলা বাস
এইচএসসি উত্তীর্ণ ৫৬ বছর বয়সী আবদুল হান্নানকে সংবর্ধনা
হাতুড়ি দিয়ে হাত-পা ভেঙে গর্ভপাতের চেষ্টা, আটক এক

মন্তব্য

বাংলাদেশ
A 19 member committee to turn the public building into a museum

গণভবনকে জাদুঘরে রূপ দিতে ১৯ সদস্যের কমিটি

গণভবনকে জাদুঘরে রূপ দিতে ১৯ সদস্যের কমিটি গণভবনের প্রবেশদ্বার। ছবি: উইকিমিডিয়া কমন্স
মাহফুজ আলম বলেন, ‘গণভবনকে জুলাই স্মৃতি জাদুঘরে রূপান্তর করতে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটির সঙ্গে অ্যাডভাইজরি কমিটিও থাকবে।’ 

গণভবনকে জাদুঘরে রূপ দিতে ১৯ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে শনিবার সাংবাদিকদের এই কথা জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগবিষয়ক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

ওই সময় তার সঙ্গে ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।

‘গণভবন স্মতি জাদুঘর জনগণের ‘পেইন ও গ্লোরি ধারণ করবে’ বলে মন্তব্য করেন মাহফুজ আলম।

তিনি বলেন, ‘গণভবনকে জুলাই স্মৃতি জাদুঘরে রূপান্তর করতে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটির সঙ্গে অ্যাডভাইজরি কমিটিও থাকবে।

‘খুব শিগগিরই কমিটি তার কার্যক্রম শুরু করবে। একটা সময় পরে এটা জনগণের জন্য খুলে দেয়া হবে।’

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, ‘গণভবন যেটা আসলে গণবিরোধী ছিল, যেখানে বসে ছিলেন একজন ফ্যাসিস্ট ও খুনি। বাংলাদেশের মানুষের সাথে দম্ভের সঙ্গে আচরণ করত। বাংলাদেশের মানুষ নিজেদের মানবিক মর্যাদা বাঁচাতে এখানে এসে তার দম্ভে ভেঙে দিয়েছে।’

গণভবনকে ‘দুঃখ ও বিজয়ের চিহ্ন’ হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়ে মাহফুজ আলম বলেন, “এই ভবনটা বাংলাদেশের মানুষের ১৬ বছরের দুঃখ-যাতনার জায়গায়। একই সঙ্গে বিজয়েরও স্মুতি চিহ্ন।

“মূলত এই জায়গায় ‘পেইন ও গ্লোরি’ ধারণ করবে। ফ্যাসিস্ট খুনির বিরুদ্ধে জনগণের বিজয়কে দেশ ও বিদেশের মানুষের কাছে তুলে ধরবে।”

আরও পড়ুন:
গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের তথ্য যাচাই হচ্ছে ১৬০০০ নম্বর থেকে
গণভবন জাদুঘরে দুঃশাসনের আয়নাঘরের রেপ্লিকা থাকা উচিত
অভ্যুত্থান সংশ্লিষ্ট ঘটনা: ছাত্র-জনতাকে দায়মুক্তি দিল সরকার 
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বিএনপির ৪২২ জন নিহত: ফখরুল
গণভবনে স্মৃতি জাদুঘরে তুলে ধরা হবে ১৬ বছরের নির্যাতনের চিত্র: তথ্য উপদেষ্টা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Chief Advisor welcoming women footballers in Yamuna

সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা প্রধান উপদেষ্টার

সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা প্রধান উপদেষ্টার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ফটোসেশনে সাফজয়ী নারী ফুটবলারদের। ছবি: প্রেস উইং
সংবর্ধনায় সব ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হওয়াকে নারী ফুটবল দলের একটি অসাধারণ অর্জন উল্লেখ করে নারী ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানান প্রধান উপদেষ্টা। 

সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় শনিবার এ সংবর্ধনা দেয়া হয়।

সংবর্ধনায় সব ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হওয়াকে নারী ফুটবল দলের একটি অসাধারণ অর্জন উল্লেখ করে নারী ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানান প্রধান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, ‘আমি তোমাদের নিয়ে গর্বিত। পুরো জাতি তোমাদের নিয়ে গর্বিত। আমাদের এই গৌরব এনে দেয়ার জন্য তোমাদের সবাইকে অভিনন্দন।’

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় যমুনায় প্রবেশ করেন সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতা বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলটি।

নেপালে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪ জিতে বৃহস্পতিবার দেশে ফেরে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। সেদিন সাফজয়ী নারী দল বিমানবন্দর থেকে ছাদখোলা বাসে করে রয়ানা দেওয়ার তিন ঘণ্টা পর বাফুফে ভবনে এসে পৌঁছায়।

বাফুফে ভবনে পৌঁছালে সাবিনাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা। ওই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

ফুটবলারদের বরণ করার পর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আর্থিক পুরস্কারের ঘোষণা দেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

সাফজয়ীদের এক কোটি টাকার আর্থিক পুরস্কার দেয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে।

যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা তাৎক্ষণিক পুরস্কারের চেক তুলে দেন সাফজয়ী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের হাতে।

আরও পড়ুন:
চট্টগ্রামে চলন্ত বাসে নারীকে ধর্ষণের মামলায় চালক হেলপার গ্রেপ্তার
‘সামাজিক চাপে’ শেষ কিশোরীদের ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন
কারাভোগ শেষে ভারত থেকে ফিরলেন নারী-শিশুসহ ৪ জন
ডিএসসিসির নারী কাউন্সিলরদের জন্য প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
সাভারে নারী পাচারকারী চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার, তিনজন উদ্ধার

মন্তব্য

p
উপরে