× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Complaints of setting fire to workers in hat factory in Gazipur
google_news print-icon

গাজীপুরে টুপি কারখানায় আগুন দিয়েছে ‘শ্রমিকরা’

গাজীপুরে-টুপি-কারখানায়-আগুন-দিয়েছে-শ্রমিকরা
গাজীপুরের টঙ্গীতে জি জে ক্যাপস অ্যান্ড হেডওয়্যার লিমিটেড নামের একটি টুপি কারখানায় আগুন। ছবি: নিউজবাংলা
কারখানার অ্যাডমিন অফিসার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, সকাল থেকে শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করছিল। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বৈঠকের মধ্যেই হঠাৎ শ্রমিকরা ভাঙচুর শুরু করেন।

গাজীপুরের টঙ্গীতে জি জে ক্যাপস অ্যান্ড হেডওয়্যার লিমিটেড নামে একটি কারখানায় আগুন ধরিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে।

রোববার রাত পৌনে ৯টার দিকে সাতাইশ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট আড়াই ঘণ্টার প্রচেষ্টায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

শ্রমিকদের ভাষ্য, কয়েকদিন ধরে বেতন ভাতা, ওভারটাইম, অতিরিক্ত কাজ করানোসহ বিভিন্ন ইস্যুতে তাদের মধ্যে অসন্তোষ ছিল। রোববার সকালে তারা কারখানায় প্রবেশ করে কর্মবিরতি শুরু করেন ও মালিক পক্ষের প্রতিনিধিকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এ নিয়ে মালিক এবং শ্রমিক পক্ষের মধ্যে বিকেলে বৈঠক হয়। তবে বিকেল থেকে উত্তেজিত শ্রমিকরা কারখানার ভেতরে ভাঙচুর শুরু করেন। এসময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছুড়েন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।

টঙ্গী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মেহেদী হাসান জানান, শ্রমিকরা পুলিশের ওপর হামলা চালালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়। এসময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা পঞ্চম তলার সুইং সেকশনে আগুন লাগিয়ে দেয়।

কারখানার অ্যাডমিন অফিসার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, সকাল থেকে শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করছিল। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বৈঠকের মধ্যেই হঠাৎ শ্রমিকরা ভাঙচুর শুরু করেন। পুলিশ শ্রমিকদের নিবৃত করার চেষ্টা করলে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে উত্তেজিত শ্রমিকরা কারখানায় আগুন লাগিয়ে দেয়।

টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইকবাল হাসান বলেন, ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিটের প্রচেষ্টায় রাত ১১টা৩৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

আরও পড়ুন:
চট্টগ্রামের আগুন নিয়ন্ত্রণে, ট্রেন চলাচল শুরু
দেওয়ানহাটে ভয়াবহ আগুন, রেলে বিচ্ছিন্ন চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে ঈদগাহ এলাকায় অগ্নিকাণ্ড
সাভারে আগুনে পুড়ল ফার্নিচারের দোকান
১৬ মিনিটে নির্বাপণ সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের আগুন

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Family not giving marriage Youth in police station with suicide note

বিয়ে দিচ্ছে না পরিবার, সুইসাইড নোট নিয়ে থানায় কিশোর

বিয়ে দিচ্ছে না পরিবার, সুইসাইড নোট নিয়ে থানায় কিশোর ২০ টাকার স্ট্যাম্পে যুবকের হাতে লেখা সুইসাইড নোট। ছবি: নিউজবাংলা
আশুলিয়া থানার এসআই নোমান ছিদ্দিক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ছেলেটির পরিবারের কাছে গিয়ে জানতে পারি একটি মেয়ের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে। সম্প্রতি ছেলেটি ওই মেয়েটিকে বিয়ে করতে চায়। কিন্তু তার পরিবার এখনি সেই বিয়েতে সম্মত ছিলো না। এতেই ক্ষোভে-দুঃখে আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয় ছেলেটি।’

ঢাকার সাভারে বিশ টাকার স্ট্যাম্পে সুইসাইড (আত্মহত্যা) নোট লিখে নিজেই থানায় হাজির হয়েছেন এক কিশোর।

সাভারের আশুলিয়া থানায় পুলিশের ডিউটি অফিসারের সামনে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সুইসাইড নোটসহ ওই কিশোরকে বসে থাকতে দেখা যায়।

আত্মহননের সিদ্ধান্ত নেয়া ওই কিশোর আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের কলতাসূতি গ্রামের বাসিন্দা এবং আব্দুল মান্নান ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী।

এ সময় থানার পুলিশ কর্মকর্তারা ওই যুবককে বুঝিয়ে আত্মহত্যা থেকে বিরত রাখেন।

প্রেমিকাকে নিয়ে তার পরিবারের সাথে সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণেই তিনি এমন আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং তার মৃত্যুর পর পরিবার যাতে আইনি জটিলতায় না পড়ে সে জন্যই তিনি থানায় এসেছেন বলে নিউজবাংলাকে জানান।

সুইসাইড নোটে ওই যুবক লেখেন, আমি মো. শিমুল হাসান, বাংলাদেশের একজন নাগরিক। আমার বয়স ১৮। অতএব আমি প্রাপ্তবয়স্ক। আমি আমার বুঝ বুঝতে শিখেছি। অতএব, আমি শিমুল হাসান সজ্ঞানে চিন্তাভাবনা করিয়া এই মর্মে অঙ্গীকার করিতেছি যে, ভবিষ্যতে আমার যদি কোন প্রকার ক্ষতি হয় বা আমি মারা যাই এর জন্য এই পৃথিবীর কেউ দায়ী থাকবে না।

আমার মৃত্যুর জন্য কেবল আমি নিজেই দায়ী। আমার কোন ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার পর আইন যাতে আমার পরিবার অন্য কারও উপর কোন প্রকার হয়রানি করতে না পারে।

আশুলিয়া থানার এসআই নোমান ছিদ্দিক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাতে সুইসাইড নোট লিখে ডিউটি অফিসারের রুমে জমা দিতে এসেছিলেন এক যুবক। পরে বিষয়টি আমার নজরে আসলে তার সাথে কথা বলি। এক পর্যায়ে বুঝিয়ে তাকে তার পরিবারের কাছে নিয়ে যাই।

‘সেখানে গিয়ে জানতে পারি ছেলেটির পরিবার অনেক দরিদ্র। তার বাবা একজন কৃষক। একটি মেয়ের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে। সম্প্রতি ছেলেটি ওই মেয়েটিকে বিয়ে করতে চায়। কিন্তু তার পরিবার এখনি সেই বিয়েতে সম্মত ছিলো না। কারণ আরও কিছুটা প্রাপ্ত বয়স্ক হলে তারপর তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেবে। এতেই ক্ষোভে-দুঃখে আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয় ছেলেটি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি ছেলেটির বাবা-মা ও আত্মীয়দের সাথে কথা বলেছি। ছেলেটিকেও বুঝিয়ে তার পরিবারের জিম্মায় দিয়ে এসেছি। এখন সবকিছু স্বাভাবিক আছে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
They returned the 50000 rupees left by the passenger

যাত্রীর ফেলে যাওয়া ৫০ হাজার টাকা ফিরিয়ে দিলেন তারা

যাত্রীর ফেলে যাওয়া ৫০ হাজার টাকা ফিরিয়ে দিলেন তারা মঙ্গলবার বিকেলে ব্যাগের মালিককে টাকা ও মালামাল-সমেত ব্যাগটি বুঝিয়ে দেয়া হয়। ছবি: নিউজবাংলা
মঙ্গলবার বিকেলে টাকা, কাগজপত্রসহ ব্যাগটি ফেরত পাওয়ার পর আনন্দে অভিভূত হয়ে যান মানবাধিকারকর্মী জয়নাল আবেদীন।

সততার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন কুমিল্লার পাপিয়া ট্রান্সপোর্টের একটি বাসের চালক, সুপারভাইজার ও হেলপাররা। যাত্রীর ফেলে যাওয়া ৫০ হাজার টাকা ও মূল্যবান কাগজপত্রসহ একটি ব্যাগ মালিককে ফিরিয়ে দিয়েছেন তারা।

এ ঘটনায় তাদের নিয়ে প্রশংসার জোয়ার বইছে স্থানীয় যাত্রী সাধারণ ও বাস টার্মিনালের পরিবহন মালিক-শ্রমিক ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে।

মঙ্গলবার বিকেলে টাকা, কাগজপত্রসহ ব্যাগটি ফেরত পাওয়ার পর আনন্দে অভিভূত হয়ে যান মানবাধিকারকর্মী জয়নাল আবেদীন।

তিনি জানান, সোমবার কুমিল্লা-দাউদকান্দি রুটে পাপিয়া ট্রান্সপোর্টের একটি বাসে করে ইলিয়েটগঞ্জ থেকে কুমিল্লা শহরে ফিরছিলেন জয়নাল। তার বাড়ি জেলার চান্দিনা উপজেলার ভাগুরা পাড়া গ্রামে। কুমিল্লার শাসনগাছা টার্মিনালে এসে বাস থেকে নেমে গেলেও ভুলবশত তার সঙ্গে থাকা ব্যাগটি গাড়িতে ফেলে যান তিনি। ব্যাগে নগদ ৫০ হাজার টাকা, কাপড়-চোপড় ও কিছু মূল্যবান কাগজপত্র ছিল।

বাসটি শাসনগাছায় বাসস্ট্যান্ডে আসলে যাত্রীরা নেমে পড়েন। পরে বাসের চালক মো. সুমন, সুপারভাইজার নাজমুল হাসান, দুই সহকারী (হেলপার) সজিব ও সাইফুল যাত্রীর ফেলে যাওয়া ব্যাগটি পাপিয়া ট্রান্সপোর্টের মহাসচিব তাজুল ইসলামের নিকট জমা রাখেন।

পরে তাজুল ইসলাম মোবাইল ফোনে ব্যাগের মালিক জয়নাল আবেদীনের সঙ্গে যোগযোগ করেন। মালিকানা নিশ্চিত হওয়ার পর তিনি মঙ্গলবার বিকেলে চালক ও স্টাফদের উপস্থিতিতে টাকা, মালামাল ও ব্যাগ জয়নাল আবেদীনের হাতে বুঝিয়ে দেন। টাকার পাশাপাশি মূল্যবান কাগজপত্র ফিরে পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন জয়নাল আবেদীন।

তিনি বলেন, ‘ব্যাগ হারিয়ে আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। তবে বাসের চালক-হেলপারদের সততায় মুগ্ধ হয়েছি।’

এদিকে বাসের চালক, হেলপার ও সুপারভাইজারের সততায় মুগ্ধ হয়ে পরিবহনটির মালিক তাদের পুরস্কৃত করেন।

আরও পড়ুন:
ব্যাংকের ভুলে লাখ টাকা পেয়েও ফেরত
কোরবানির টাকা কুড়িয়ে পেয়ে ফেরত দিলেন সঞ্জীব

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Disappeared with money saying to increase blessings by blowing

ফুঁ দিয়ে বরকত বাড়ানোর কথা বলে টাকা নিয়ে উধাও

ফুঁ দিয়ে বরকত বাড়ানোর কথা বলে টাকা নিয়ে উধাও টাকা হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই গৃহবধূ। ছবি: নিউজবাংলা
প্রতারক প্রথমে ওই টাকা থেকে ১ হাজার টাকা ফুঁ দিয়ে আলাদা রাখেন। এরপর গৃহবধূ কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাকি ৩০ হাজার টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায় চক্রটি।

মৌলভীবাজার জেলার জুড়ীতে ফুঁ দিয়ে বরকত বাড়ানোর কথা বলে এক গৃহবধূর টাকা নিয়ে সটকে পড়েছে প্রতারক চক্র।

সোমবার দুপুরে উপজেলার কামিনীগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, মেয়েকে কলেজে ভর্তি করতে পূবালী থেকে ৩১ হাজার টাকা উত্তোলন করেন উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের কালিনগর গ্রামের দুবাই প্রবাসী আব্দুল মতিনের স্ত্রী গৃহবধূ শাহিদা বেগম। তার টাকার ‍ুপর নজর গেলে তা আত্মসাতের পরিকল্পনা আঁটে চক্রটি। ব্যাংক থেকে বের হওয়ার পর টাকায় বরকত বাড়ানোর কথা বলে ওই গৃহবধূর টাকাগুলো এক প্রতারকের হাতে দিতে বলেন অন্য প্রতারকরা। প্রতারকদের কথা শুনে সরল বিশ্বাসে তিনি টাকাগুলো তার হাতে তুলে দেন।

প্রতারক প্রথমে ওই টাকা থেকে ১ হাজার টাকা ফু দিয়ে আলাদা রাখেন। এরপর গৃহবধূ কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাকি ৩০ হাজার টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায় তারা। কিছুক্ষণ পর বিষয়টি বুঝতে পেরে হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করেন ওই গৃহবধূ। বিষয়টি দেখে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে তিনি ঘটনাটি সবিস্তারে বর্ণনা করেন।

গত ২৬ সেপ্টেম্বর বড়লেখা উপজেলায় একই কায়দায় সুজানগর ইউপির বড়থল গ্রামের কাতার প্রবাসী ছুয়াব আলীর স্ত্রী ছাবিয়া বেগমের কাছ থেকে কৌশলে ৭৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়‌ প্রতারক চক্র। প্রতারক চক্রের এমন ঘটনায় জেলাজুড়ে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।

জুড়ী থানার ওসি মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আরও পড়ুন:
বরিশালে তৈরি হচ্ছিল নকল স্বর্ণের বার
স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে গৃহবধূর অবস্থান
৯৩ হাজারের চেক হয়ে গেল ৫ লাখ ৯৩ হাজার!
হত্যার তদন্তে বেরিয়ে এলো ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’
অনলাইন জুয়া: এক মাসে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Fake gold bars were being manufactured in Barisal

বরিশালে তৈরি হচ্ছিল নকল স্বর্ণের বার

বরিশালে তৈরি হচ্ছিল নকল স্বর্ণের বার আটক জসিমের বসতঘরে তল্লাশি চালিয়ে ৬টি স্বর্ণের বার সদৃশ বস্তু, ১২টি পিতলের বারসহ নকল স্বর্ণ প্রস্তুত করার সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে পুলিশ। ছবি: নিউজবাংলা
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার তোতা মিয়া বলেন, ‘এ চক্রটি মূলত নগরের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল ও এর আশপাশের এলাকাকে কেন্দ্র করে প্রতারণার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল। গ্রাম থেকে আসা সহজ-সরল মানুষকে টার্গেট করত তারা।’

বরিশালে নকল স্বর্ণের বার তৈরির সময় জসিম হাওলাদার নামে প্রতারক চক্রের এক সদস্যকে আটক করেছে মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ। তবে চক্রের অপর ৫ সদস্য কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।

আটককালে ছয়টি নকল স্বর্ণের বার, ১২টি পিতলের বার (পিতলের চামচ কেটে বানানো টুকরো) ও নকল স্বর্ণ তৈরির সরমাঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় আটককৃত জসিমসহ চক্রের পলাতক ৫ সদস্যকে আসামি করে মঙ্গলবার বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউনিয়া থানায় মামলা করেছেন ডিবি পুলিশের এসআই ফখর উদ্দীন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডিবি অ্যাডমিন এন্ড ক্রাইম) মো. তোতা মিয়া।

পুলিশ জানায়, বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল চক্রটি। বিষয়টি বেশ কিছুদিন থেকে নজরদারিতে রেখেছিল পুলিশ। সোমবার রাতে বরিশাল মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, নগরের কাউনিয়া প্রথম গলির একটি বাসায় নকল স্বর্ণ তৈরি করা হচ্ছে। তাৎক্ষণিক ফোর্স নিয়ে ডিবির এসআই মো. ফখর উদ্দীন ও এএসআই মো. জামাল হোসাইন ওই এলাকায় অভিযান চালান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রতারক চক্রের ৫ সদস্য পালিয়ে গেলেও প্রতারক জসিম হাওলাদারকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এ সময় জসিমের বসতঘরে তল্লাশি চালিয়ে ৬টি স্বর্ণের বার সদৃশ বস্তু, ১২টি পিতলের বারসহ নকল স্বর্ণ প্রস্তুত করার সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় ডিবির এসআই মো. ফখর উদ্দীন বাদী হয়ে আটককৃত ৩২ বছর বয়সী জসিমসহ পালিয়ে যাওয়া প্রতারক চক্রের সদস্য আগৈলঝাড়া থানার নাগার গ্রামের মৃত মাহেন্দ্রনাথ বল্লভের ছেলে ৪৫ বছর বয়সী অপু ঘোষ ওরফে মঙ্গল বল্লভ, কাউনিয়া সাধুর বটতলা এলাকার বাসিন্দা বাদশার ছেলে ৩০ বছর বয়সী সুমন, কাউনিয়া বাসু মিয়ার গলির ভাড়াটিয়া ৩২ বছর বয়সী এমরান, পুরানপাড়া এলাকার ৩৫ বছর বয়সী কালু ও কাউনিয়া হাউজিং এলাকার মফিজকে আসামি করে মেট্রোপলিটন কাউনিয়া থানায় মামলা করেন।

মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডিবি এডমিন এন্ড ক্রাইম) মো. তোতা মিয়া বলেন, ‘এ চক্রটি মূলত নগরের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল ও এর আশপাশের এলাকাকে কেন্দ্র করে প্রতারণার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল। গ্রাম থেকে আসা সহজ-সরল মানুষকে টার্গেট করত তারা।

‘একজনকে যখন আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে, বাকি স্বর্ণ প্রতারকদেরও ধরা সম্ভব হবে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

আরও পড়ুন:
১০ সেকেন্ডেই মোটরসাইকেল হাওয়া করে দিত ওরা
অ্যাম্বুলেন্সে গাঁজা বহন, মন্ত্রী-মেয়রের নামে ফেসবুকে ক্ষোভ
কবিরাজির নামে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে করা হয় অচেতন
শিশুকে তাড়ি খাইয়ে ধর্ষণচেষ্টা, যুবক গ্রেপ্তার
কুমিল্লায় অটোরিকশাচালক সঞ্জিত হত্যার ঘটনায় পাঁচজন গ্রেপ্তার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The hospital is empty on the news of the arrival of the magistrate

ম্যাজিস্ট্রেট আসার খবরে হাসপাতাল ফাঁকা

ম্যাজিস্ট্রেট আসার খবরে হাসপাতাল ফাঁকা কুমিল্লায় মঙ্গলবার স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযানে এক হাসপাতালকে জরিমানা ও সিলগালা করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা
অভিযানে উপস্থিত থাকা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘হাসপাতালটি অনুমতি ছাড়া অস্ত্রোপচার, রোগী ভর্তি, বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষা চালিয়ে আসছিল। এছাড়াও হাসপাতালে গিয়ে কোন ডিউটি ডাক্তার বা কর্তৃপক্ষকে পাওয়া যায় নি। এমন অভিযোগে তাদের দুই লাখ টাকা জরিমানা ও প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়। স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

কুমিল্লায় ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযান থেকে বাঁচতে হাসপাতাল একদম ফাঁকা করে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

কুমিল্লা নগরীর টমছম ব্রিজ এলাকায় অবস্থিত ‘কুইন্স হাসপাতালে’ মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে।

নিয়ম অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছিলো না এমন অভিযোগে হাসপাতালটির বিরুদ্ধে অভিযানে যায় কুমিল্লা স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট।

অভিযানে গিয়ে প্রথমে হাসপাতালে রোগী, চিকিৎসক,নার্সসহ কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীও খোঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানান অভিযান পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ।

কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ইমদাদুল হক তালুকদারের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. মেহেদী হাসান ও ডা. মো. আবদুল কাইয়ুম উপস্থিত ছিলেন।

অভিযানের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, হাসপাতালটির কোনো লাইসেন্স কিংবা অনুমতিপত্র ছিল না। নিয়ম না মেনেই সাত তলা আবাসিক ভবনের পাঁচটি ফ্লোরের ফ্ল্যাট গুলোকে কেবিন ও ওয়ার্ড বানিয়ে কুইন্স ডিজিটাল হাসপাতাল নামের কথিত এই সেবা কেন্দ্র খোলা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে নগরীর এই গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কোনো ডিউটি চিকিৎসক ছাড়াই সেবা দিয়ে আসছিল।

হাসপাতালে অভিযানের ভয়ে সকাল থেকেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাসপাতাল রেখে পালিয়ে যায়। যদিও ভবনের কেয়ারটেকার জানায় তিন মাসের ভাড়া বকেয়া থাকায় তাদের চলে যেতে বলা হয়েছে। এসময় বিভিন্ন মাধ্যমের সহযোগিতা নিয়ে ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ডেকে এনে এর কারণ জিজ্ঞেস করা হয়। পরে কোন কাগজপত্র না দেখাতে পারায় দুই লাখ টাকা জরিমানা ও প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়।

অভিযানে উপস্থিত থাকা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘হাসপাতালটি অনুমতি ছাড়া অস্ত্রোপচার, রোগী ভর্তি, বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষা চালিয়ে আসছিল। এছাড়াও হাসপাতালে গিয়ে কোন ডিউটি ডাক্তার বা কর্তৃপক্ষকে পাওয়া যায় নি। এমন অভিযোগে তাদের দুই লাখ টাকা জরিমানা ও প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়। স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

সিনিয়র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক বলেন, ‘অভিযান পরিচালনাকালে কুইন্স হাসপাতাল তাদের বৈধতার কোন কাগজ দেখাতে পারিনি। তাই তাদেরকে জরিমানা ও সিলগালা করা হয়েছে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
They used to wind the motorcycle in 10 seconds

১০ সেকেন্ডেই মোটরসাইকেল হাওয়া করে দিত ওরা

১০ সেকেন্ডেই মোটরসাইকেল হাওয়া করে দিত ওরা মঙ্গলবার চট্টগ্রামের মিরসরাই ও জোরারগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রটির মূল হোতাসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ছবি: নিউজবাংলা
পুলিশ জানায়, চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করত চক্রটি। পরে অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিয়ে এবং অন্যান্য চোরচক্রের সঙ্গে যোগযোগ করে সেগুলো বিক্রি করে আসছিল তারা।

খুবই দক্ষ চোর চক্রটি। মাত্র ১০ সেকেন্ডেই একেকটি মোটরসাইকেল হাওয়া করে দেয়ার সক্ষমতা রাখে তারা। চট্টগ্রামের ফুটপাত, বাসাবাড়ি কিংবা অফিসের পার্কিং থেকে একের পর এক মোটরসাইকেল উধাও হয়ে যাওয়ার পর অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়েছে চক্রটি।

মঙ্গলবার চট্টগ্রামের মিরসরাই ও জোরারগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের মূল হোতা রায়হানসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় ৭টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করত চক্রটি। পরে অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিয়ে এবং অন্যান্য চোরচক্রের সঙ্গে যোগযোগ করে সেগুলো বিক্রি করে আসছিল তারা।

মহানগর গোয়েন্দা বিভাগ (উত্তর ও দক্ষিণ) পুলিশের উপকমিশনার নিহাদ আদনান তাইয়ান বলেন, ‘নগরীর হালিশহর থানাধীন বড়পোল এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোটরসাইকেল চোর চক্রের মূলহোতা আব্দুল্লাহ আল রায়হান, তার সহযোগী ইরফাদুল আলম ও আক্তার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বাকিদের আটক করা হয়।’

আরও পড়ুন:
অ্যাম্বুলেন্সে গাঁজা বহন, মন্ত্রী-মেয়রের নামে ফেসবুকে ক্ষোভ
কবিরাজির নামে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে করা হয় অচেতন
শিশুকে তাড়ি খাইয়ে ধর্ষণচেষ্টা, যুবক গ্রেপ্তার
কুমিল্লায় অটোরিকশাচালক সঞ্জিত হত্যার ঘটনায় পাঁচজন গ্রেপ্তার
অস্ত্রসহ আরসা প্রধানের একান্ত সহকারী গ্রেপ্তার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Peoples sanctions are more severe Amir Khusrau

জনগণের স্যাংশন আরও কঠিন: আমির খসরু

জনগণের স্যাংশন আরও কঠিন: আমির খসরু ফরিদপুরে মঙ্গলবারের বিএনপির রোড মার্চ কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: নিউজবাংলা
আমির খসরু বলেন, ‘জীবনের বিনিময়ে হলেও ভোট চুরি প্রতিরোধ করতে হবে। জীবন দিয়ে আমাদের জয়লাভ করতে হবে। এই যুদ্ধ বিএনপির নয়, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের।’

আমেরিকার দেয়া ভিসা নিষেধাজ্ঞায় সরকারের কম্পন শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘এরপর বাংলাদেশের মানুষের পক্ষ থেকে যে ভিসানীতি আসবে সেটি আরও কঠিন হবে। এখানে মাফ পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’

বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় রোড মার্চ উপলক্ষে জেলা শহরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে মঙ্গলবার দুপুরে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির এক দফা দাবিতে সারাদেশে বিভাগীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বেলা ১১টার দিকে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ থেকে এ রোড মার্চ শুরু হয়।

আমির খসরু বলেন, ‘জীবনের বিনিময়ে হলেও ভোট চুরি প্রতিরোধ করতে হবে। জীবন দিয়ে আমাদের জয়লাভ করতে হবে। এই যুদ্ধ বিএনপির নয়, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের।’

তিনি বলেন, ‘নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে রাতের আঁধারে নির্বাচন হতে দেয়া হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এ দেশের মানুষের অধিকার যতদিন ফিরিয়ে দিতে না পারি ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে যতদিন নির্বাচন না হয় ততদিন আমরা রাজপথে থাকব।’

সভায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুকের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টুসহ অনেকে।

মন্তব্য

p
উপরে