ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাবি ছাত্রলীগ কর্তৃক গৃহীত কর্মসূচিতে মুগ্ধ হয়েছেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আসা অভিভাবকরা।
ছাত্রলীগের কারণে অনেক পরীক্ষার্থী ঠিক সময়ে পরীক্ষার হলে পৌঁছাতে পেরেছেন। ছাত্রলীগ সবসময় এমন ইতিবাচক কাজ বজায় রাখবে বলে প্রত্যাশা অভিভাবকদের।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ছাত্রলীগের গৃহীত কর্মসূচিগুলো হলো শিক্ষার্থী সহায়তা ও তথ্য কেন্দ্র, জয় বাংলা বাইক সার্ভিস, বিনা মূল্যে সুপেয় পানির ব্যবস্থা, অভিভাবকদের বিশ্রাম কেন্দ্র, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য হুইলচেয়ার ও প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সরবরাহ কেন্দ্র, প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র ও মোবাইল টয়লেট।
ছাত্রলীগ ছাড়াও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন এবং সামাজিক সংগঠনসমূহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থী সহায়তা ও তথ্য কেন্দ্র বসিয়েছে। এসব সহায়তা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সহায়তা করার পাশাপাশি পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে নেয়ার অনুপযোগী জিনিসপত্র রাখার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
শনিবার অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা অনেক শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের জয় বাংলা বাইক সার্ভিসের কারণে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে ঠিক সময়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে পৌঁছাতে পেরেছেন। ক্যাম্পাসের বাইশটি পয়েন্টে বসানো ছাত্রলীগের শিক্ষার্থী সহায়তা ও তথ্য কেন্দ্র ছাড়াও শাহবাগ, নীলক্ষেত, দোয়েল চত্বর আর পলাশী মোড়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বাইক নিয়ে শিক্ষার্থীদের সেবা দিতে নিয়োজিত ছিলেন।
পরীক্ষা শুরু হবে এগারোটা থেকে। দশটা সতের মিনিটে এক পরীক্ষার্থী তার সিটপ্ল্যান না দেখে ভুলক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন কেন্দ্রে চলে আসেন। পরে সেখানে থাকা ছাত্রলীগ কর্মীরা অনলাইনে চেক করে দেখেন এই শিক্ষার্থীর পরীক্ষার কেন্দ্র সরকারি বাংলা কলেজ। তৎক্ষণিকভাবে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ আমজাদ বাইকে করে সেই শিক্ষার্থী এবং তার অভিভাবককে নিয়ে কেন্দ্রে পৌঁছে দেন। তখনও পরীক্ষা শুরু হতে কিছু সময় বাকি ছিল।
এই বিষয়ে মাসুদ আমজাদ বলেন, ‘সময়মতো তাকে পরীক্ষার কেন্দ্রে পৌঁছাতে পেরেছি, এইটাই স্বার্থকতা। স্মার্ট বাংলাদেশে বিনির্মাণে স্মার্ট ছাত্রলীগের কর্মী হতে পেরে আমি গর্বিত।’
আরেক পরীক্ষার্থীর সিট পড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে। সেখানে থাকা ছাত্রলীগের হেল্প ডেস্কে উপস্থিত হয়ে সেই পরীক্ষার্থী জানান, তারা বাসা কদমতলী। ভুলক্রমে তিনি এইচএসসির রেজিস্ট্রেশন এবং এডমিট কার্ড ফেলে এসেছেন। কিন্তু হাতে সময় ছিল দেড় ঘণ্টা। এতে ওই পরীক্ষার্থী আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন।
পরে বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদিক হাসান মিয়া তাকে বাইকে করে তার বাসায় নিয়ে যান এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে আবার ফিরে আসেন। তখনও পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১৫ মিনিট বাকি ছিল। ঠিক সময়ে কেন্দ্রে আসতে পেরে ওই শিক্ষার্থী বার বার ছাত্রলীগের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
এ ছাড়া সন্তানদের পরীক্ষার কেন্দ্রে ঢুকিয়ে দিয়ে বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকতে বা মাটিতে বসে থাকতে হতো অভিভাবককে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের জন্য বসার ব্যবস্থা ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করে সেই কষ্ট দূর করে দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।
অভিভাবকদের হাতে পানি পৌঁছিয়ে দিয়ে তাদের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করতে দেখা যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতকে।
বন্ধের দিন পরীক্ষা পড়ায় ক্যাম্পাসের অনেক স্থাপনায় থাকা টয়লেটগুলোতে যেতে পারছেন না শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা। তাদের জন্য মোবাইল টয়লেটের ব্যবস্থা করেও প্রশংসায় ভাসছেন ঢাবি ছাত্রলীগ।
ছাত্রলীগের সেবা পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা। মোহাম্মদপুর থেকে আসা এক অভিভাবক বলেন, ‘পরীক্ষার্থীদের জন্য ছাত্রলীগ যেসব সেবা দিচ্ছে সেসবে সন্তুষ্ট না হয়ে উপায় নেই। তাদের আন্তরিকতা আমার ভালো লেগেছে। এমন কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখুক ছাত্রলীগ।’
মোবাইল টয়লেটের সামনে লাইনে দাঁড়ানো এক অভিভাবক এসেছেন কল্যাণপুর থেকে।
তিনি বলেন, ‘অনেক খুঁজছি। কোথাও টয়লেট পাচ্ছিলাম না। পরে আমাকে ছাত্রলীগের এক সদস্য এই টয়লেটের সন্ধান দেন। এটা তো জরুরি কাজ। শুধু এই মোবাইল টয়লেটই নয় তারা আমাদের জন্য পানি এবং বসার ব্যবস্থাও রেখেছেন। এমন ছাত্রলীগই আমরা প্রত্যাশা করি।’
এসব কর্মসূচির বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ‘ছাত্রলীগের সৃষ্টির লক্ষ্যই হচ্ছে দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাওয়া। এখনও ছাত্রলীগ এ দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা সামনের দিনগুলোতেও স্মার্ট ক্যাম্পাস বিনির্মাণে কাজ করে যাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘অভিভাবকদের আমরা এতটুকু আশ্বস্ত করতে চাই যেখানে ছাত্রলীগ রয়েছে সেখানে সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে তাদের অনিশ্চয়তায় ভুগতে হবে না।’
আরও পড়ুন:আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় মিছিল করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পরিকল্পনা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেই বলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।
রাত দুইটায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ, জুলাই গণহত্যায় আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত এবং প্রধান উপদেষ্টার আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ সংক্রান্ত বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে হল থেকে রাস্তায় বের হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে একদল শিক্ষার্থী।
মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া থেকে শুরু হয়ে মলচত্বর, ভিসি চত্বর হয়ে টিএসসিতে গিয়ে শেষ হয়।
পরে রাজু ভাস্কর্যের সামনে মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, দেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি চায় না ছাত্রজনতা। আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেওয়া মানে জুলাই শহীদের সঙ্গে প্রতারণা করা।
মিছিলে অংশ নেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফাহিম বলেন, আওয়ামী লীগকে ফেরাতে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এসব ষড়যন্ত্রে যারা মদদ দেবে, তারা যেই হোক না কেন, ছাত্রসমাজ রুখে দাঁড়াবে।
ঢাবির ছাত্রী তাবাসসুম বলেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে ন্যূনতম অনুশোচনা নেই। দেড় হাজার মানুষ হত্যার পর তারা ক্ষমা পর্যন্ত চায়নি। অথচ সামনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অন্তর্ভুক্ত করতে এখন থেকে নানা ফন্দি-ফিকির হচ্ছে। বাংলাদেশের মাটিতে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেবে না ছাত্রসমাজ।
যতদিন পর্যন্ত নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ না হবে, ততদিন পর্যন্ত লড়াই চলবে জানিয়ে বিক্ষোভকারীদের একজন বলেন, জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচার হতেই হবে। গণভোটের মাধ্যমে হলেও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তার আগ পর্যন্ত কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।
কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীদের একজন প্রতিনিধি শুক্রবার বিকেল তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে বিক্ষোভের ঘোষণা দেওয়ার পাশাপাশি সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন:কিডনি জটিলতায় আক্রান্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্র নাইমুর রহমান সীমান্তের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত ছিলেন।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজিতে মঙ্গলবার ভোর ৫টায় মৃত্যু হয় তার।
দীর্ঘদিন ধরে তিনি কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন বলে জানান তার সহপাঠীরা। তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলায়।
বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুমাইয়া ফারাহ খান বলেন, ‘আজ ভোর ৫টায় সীমান্ত শ্যামলীতে কিডনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। সে খুবই মেধাবী ছাত্র ছিল। আমরা যতটুকু জেনেছি গত দুই দিন আগে পেটে ব্যথা নিয়ে হাসাপাতালে ভর্তি হয়।
‘গতকাল ওর একটা সাজার্রি করার কথা ছিল। ওর বাবা কিছুদিন আগে মারা গেছে। মা এবং বোন আছে। বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। ওদের পরিবার ঢাকাতেই থাকে। তবে ওকে দাফনের জন্য কিশোরগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
সীমান্তের মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. সাবিনা শারমিন গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন:ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) যে ১২৮ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে, তাদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে।
এ তালিকায় চিহ্নিত অনেক হামলাকারীর নাম না থাকায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী।
বহিষ্কৃত এসব শিক্ষার্থী নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে খবর পাওয়া গেছে।
গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ১২৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই তালিকায় রয়েছে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ওয়ালি আসিফ ইনান ও ঢাবি শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নসহ আরও অনেকে।
তালিকায় নাম নেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত ও বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু ইউনুসের।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবি জুবায়ের বলেন, ‘তানভীর হাসান সৈকত, ইউনুসসহ স্পষ্ট ফুটেজ থাকা অনেক সন্ত্রাসীর নামই লিস্টে নাই। কাদের ইশারায় এই শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে, প্রশাসনকে তা স্পষ্ট জানাতে হবে। অপূর্ণাঙ্গ এই লিস্ট আমরা মানি না।’
সাবেক সমন্বয়ক রিফাত রশিদ লিখেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা ১২৮ জনের লিস্ট কারা তৈরি করছে, এইটা আমরা জানতে চাই। চোখের সামনে আমাদের যারা জসীম উদ্দীন হলের মাঠে ফেলে আমাকে আর হামজা ভাইকে পিটিয়ে মাথা ফাটানো মেহেদী হাসান শান্তের নাম নাই। আমার বোনদের যারা ভিসি চত্বরে পেটাল, তাদের নাম আসে নাই।’
তিনি লিখেন, ‘সবচেয়ে মজার ব্যাপার হইলো একটা সিঙ্গেল নারীকেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বহিষ্কার করে নাই। অথচ নির্যাতনের মাত্রা হিসাব করলে এরা পুরুষ ছাত্রলীগের থেকেও ভয়ংকর ছিল। নারী ছাত্রলীগার সন্ত্রাসীদের কারা শেল্টার দিচ্ছে?’
স্মৃতি আফরোজ সুমি লিখেন, ‘বহিষ্কৃতদের তালিকা করার তদন্তের দায়িত্ব কি কোনো লীগারকে দেওয়া হয়েছিলো? লিস্ট দেখে তো তাই মনে হচ্ছে। না হলে স্পষ্ট ফুটেজ, প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও প্রতি হল থেকে ১০ থেকে ১৫ জনের নাম বাদ পড়ে কীভাবে?’
সুমাইয়া ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী লিখেন, ‘১৫ জুলাই ছাত্রলীগের সবচেয়ে অমানবিক কাজ ছিল ঢাকা মেডিক্যালে হামলা। সেই হামলায় বেশির ভাগ হামলাকারী ছিল জগন্নাথ হলের। অথচ জগন্নাথ হল থেকে মাত্র দুজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। রিভু মন্ডল, রাজিব বিশ্বাসের মতো শীর্ষ সন্ত্রাসীরাও বাদ পড়ে গেল!’
এদিকে এই ঘটনায় তাৎক্ষণিক বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন এবি জুবায়ের।
১২৮ জনের তালিকায় দুইজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীই ছিলেন না, এমন নামও এসেছে।
তাদের কীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে এসবসহ শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ব্যাপারে বক্তব্য জানতে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের মৃত্যুতে ১৬ মার্চ (রবিবার) এক দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
ঢাবির জনসংযোগ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেওয়াজ অনুযায়ী তার প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জানিয়ে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, ‘একজন প্রাক্তন উপাচার্য ও অধ্যাপকের মৃত্যুতে পরিবারের সম্মতিক্রমে জানাজার সময় ও স্থান সম্পর্কে সকলকে অবহিত করার লক্ষ্যে ক্যাম্পাসে মাইকিং, শোকবার্তা প্রকাশ, কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশেষ মোনাজাতসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত সকল প্রথা অনুসরণ করা হয়েছে।
‘উল্লেখ্য, পরিবারের সিদ্ধান্তক্রমেই অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের জানাজা ও দাফনের স্থান নির্ধারণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিবারের এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানায়।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘প্রসঙ্গত, অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক অসুস্থ হয়ে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের নিউরোসায়েন্স ইউনিটের আইসিইউতে ভর্তি হওয়ার পরের দিন ৭ মার্চ শুক্রবার উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান হাসপাতালে তাকে দেখতে যান এবং তার শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার পরিবার এবং পারিবারিক বন্ধু ও সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা হয়।
‘ইন্তেকালের পর উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এবং প্রশাসনের অপরাপর গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ মরহুমের জানাজা ও দাফন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন এবং দাফন প্রক্রিয়ায় সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন।’
আরও পড়ুন:জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় প্রায় চার মাস ধরে বন্ধ আছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অবশেষে পরীক্ষামূলকভাবে জাবিতে কার্ট গাড়ি চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
৬৯৭.৯৬ একরের বৃহৎ এ বিশ্ববিদ্যালয়ে চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ছিলো ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। কিন্তু তা বন্ধ হওয়ায় দুর্ভোগে দিনাতিপাত করছেন শিক্ষার্থীরা। তারা যাতায়াতে প্যাডেলচালিত রিকশা ব্যবহার করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টরা জানান, গত চার মাস আগে জাবিতে অটোরিকশা বন্ধ হয়ে যায়, যার কারণে যাতায়াতে দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে প্রশাসন কিছু প্যাডেলচালিত অটোরিকশা অনুমোদন দিলেও তা ফলপ্রসূ হচ্ছে না। এ রিকশার বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। চলাচলে সময় অপচয়, অত্যধিক ভাড়া আদায়, উঁচু রাস্তায় নেমে যাওয়াসহ আরও নানা সীমাবদ্ধতার কথা জানিয়েছেন ব্যবহারকারীরা।
এ ছাড়া প্রতিদিন রুটিন করে ক্যাম্পাসের ভেতর শাটল বাস চললেও শিক্ষার্থীদের কাঙ্ক্ষিত চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। অনেককে দীর্ঘসময় রিকশার জন্য অপেক্ষা করতে হয় অথবা বাসে উঠে বসে থাকতে হয়। সময়মতো বাস পাওয়া যায় না, যার ফলে ক্যাম্পাসে ইজিবাইক বা কার্ট গাড়ি চালু করা জরুরি হয়ে পড়ে। অবশেষে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ক্যাম্পাসে কার্ট গাড়ি চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
এ বিষয়ে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আবু রায়হান বলেন, ‘এত বড় ক্যাম্পাসে চলাচল করার জন্য অটোরিকশা লাগে। যাদের বাইসাইকেল বা মোটরসাইকেল আছে, তাদের কোনো অসুবিধা নেই, কিন্তু যাদের এসব নেই, তাদের ভোগান্তির শেষ নেই।
‘দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকেও রিকশা পাওয়া যায় না। ক্লাস- পরীক্ষায় দেরি হয়; সময় অপচয় হয়। শুনলাম প্রশাসন কার্ট গাড়ি চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।’
ক্যাম্পাসে কার্ট গাড়ি চালুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান গবেষণা কারখানার সিনিয়র নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউর রহমান বলেন, ‘রমজানে শিক্ষার্থীদের কষ্টের কথা মাথায় রেখে দুইটি গাড়ি নিয়ে এসেছি। আমাদের ক্যাম্পাসের রাস্তাগুলো যেহেতু উঁচু-নিচু, তাই পরীক্ষামূলকভাবে ট্রায়াল দেব।
‘এটাতে ৮ থেকে ১০টি সিট থাকে। এটা পরিবেশবান্ধব হওয়ায় কোনো সমস্যা নেই। আশা করি একটা ভালো ও স্থায়ী সমাধান আসবে।’
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কষ্টের কথা মাথায় রেখেই আমরা দীর্ঘদিন থেকে এমন কিছু করার পরিকল্পনা করছিলাম। কয়েকটি মিটিংও করেছি এ ব্যাপারে। এ ছাড়া কয়েকটি গাড়ি কোম্পানির সাথে আমাদের কথাও হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পরীক্ষামূলকভাবে দুইটি গাড়ি নিয়ে এসেছি। ভালো ফলাফল পেলে মার্চের মাঝামাঝি নাগাদ আমরা আরও ১০ থেকে ১৫টি গাড়ি নিয়ে আাসব। আর সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আশা করি আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যেই আমরা একটা ভালো সমাধান দিতে পারব এবং এই সার্ভিস সম্পূর্ণভাবে চালু করতে পারব।’
গত বছরের ১৭ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আফসানা করিম রাঁচির অটোরিকশার ধাক্কায় নিহতের ঘটনায় ক্যাম্পাসে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন:ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ২৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (বিদ্যালয়-২) রেবেকা সুলতানা স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রজ্ঞাপনটি রবিবার মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামকরণ ও বিদ্যমান নাম পরিবর্তন নীতিমালা, ২০২৩ অনুযায়ী ২৭টি বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা হলো।
বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সূত্রাপুর, ঢাকার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে কারকুনবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মোহাম্মদপুর, ঢাকার নাম পরিবর্তন করে তাজমহল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মোহাম্মদপুর, ঢাকা, ১৬ নং বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সদর, নারায়ণগঞ্জ পরিবর্তন করে ১৬ নং পাইকপাড়া পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাঁচবাড়িয়া হাসিনা ওয়াজেদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাংশা, রাজবাড়ীর নাম পাঁচবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সদর, গাজীপুরের নাম পরিবর্তন করে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রাখা হয়েছে।
একইভাবে চর সতরাজ শেখ রাসেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাকেরগঞ্জ, বরিশালের নাম পরিবর্তন করে চর সতরাজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম পিরোজপুর বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সদর, পিরোজপুরের নাম পরিবর্তন করে পশ্চিম পিরোজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শেখ রাসেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধামইরহাট, নওগাঁর নাম পরিবর্তন করে জগৎনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শেখ রাসেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পত্নীতলা, নওগাঁর নাম পরিবর্তন করে নাদৌড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় করা হয়েছে।
অন্যদিকে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পীরগঞ্জ, রংপুরের নাম পরিবর্তন করে সুবর্ণপুকুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফুলপুর, ময়মনসিংহের নাম পরিবর্তন করে নয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহের নাম পরিবর্তন করে ভালুক চাপড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শেখ রাসেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুলাউড়া, মৌলভীবাজারের নাম পরিবর্তন করে কুলাউড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুজিবাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পার্বতীপুর, দিনাজপুরের নাম পরিবর্তন করে পার্বতীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডোলোপাড়া শেখ রাসেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সদর, পঞ্চগড়ের নাম পরিবর্তন করে ডোলোপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সদর, পঞ্চগড়ের নাম পরিবর্তন করে রাজমহল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দাগনভূঞা, ফেনীর নাম পরিবর্তন করে পশ্চিম করমূল্যাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় করা হয়েছে।
মুজিব রাসেল বিদ্যাপীঠ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জাজিরা, শরীয়তপুরের নাম পরিবর্তন করে হরিয়াসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নিতারকান্দি বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাজিতপুর, কিশোরগঞ্জের নাম পরিবর্তন করে নিতারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সদর, কিশোরগঞ্জের নাম পরিবর্তন করে বত্রিশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোপালপুর, টাঙ্গাইলের নাম পরিবর্তন করে দক্ষিণ সোনামুই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) ষষ্ঠ সমাবর্তন সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঢাকার শেরে বাংলা নগরের বিসিএফসিসিতে আয়োজিত এ বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও পবিত্র ধর্মগ্রন্থগুলো থেকে পাঠের মাধ্যমে শুরু হয়।
রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরের প্রতিনিধি হিসেবে সমাবর্তনে সভাপতিত্ব ও গ্র্যাজুয়েটদের ডিগ্রি প্রদান করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।
সমাবর্তনে বিইউবিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ বি এম শওকত আলী স্বাগত বক্তব্য দেন, যিনি গ্র্যাজুয়েটদের অ্যাকাডেমিক সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানান।
উপাচার্য তার বক্তব্যে বলেন, ‘প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আজ আপনারা যে সফলতা অর্জন করেছেন, এতে সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা, এবং অভিভাবকদের অবদানও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। স্মরণ রাখবেন, সাফল্য একদিনে আসে না; এটি অনেক বছরের পরিশ্রম এবং মানুষের কল্যাণে কাজ করার মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়।
‘আমি বিশ্বাস করি, যেখানেই যান, নিজেদের মধ্যে শৃঙ্খলা, সততা এবং মানবিক মূল্যবোধ বজায় রাখবেন।’
অতিথিদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বিইউবিটি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মো. শামসুল হুদা, এফসিএ।
তিনি তার বক্তব্যে গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা দেশের ভবিষ্যৎ এবং আমি দৃঢ় বিশ্বাসী যে, আজ যারা ডিগ্রি পাচ্ছেন, তারা সমাজের জন্য ভালো কিছু করবেন। মনে রাখবেন, আপনাদের পথচলা শুধু বিইউবিটির নয়, বরং সমগ্র জাতির উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য।’
অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষা জীবনের এই অর্জন শুধু ব্যক্তিগত কল্যাণেই সীমাবদ্ধ থাকবে না; বরং এটি পুরো সমাজ ও দেশকে এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে। জীবনে সফলতা পেতে হলে শিক্ষা, কঠোর পরিশ্রম এবং মানবিক মূল্যবোধে বিশ্বাস রাখা প্রয়োজন।’
সমাবর্তনের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ছিল স্নাতকদের আনুষ্ঠানিকভাবে ডিগ্রি প্রদান। এর পাশাপাশি কৃতী শিক্ষার্থীদের স্বর্ণপদক ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
এবারের সমাবর্তনে চ্যান্সেলর’স গোল্ড মেডেল অর্জন করেন এমবিএর ৪৮তম ইনটেকের শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান।
চেয়ারম্যান, বোর্ড অব ট্রাস্টিজ গোল্ড মেডেল লাভ করেন এমএসসি ইন ইকোনমিকসের ৩৮তম ইনটেকের শিক্ষার্থী লাবিবা ফেরদৌস। অন্যদিকে উপাচার্য গোল্ড মেডেল লাভ করেন বিবিএর ৪৫তম ইনটেকের শিক্ষার্থী রাবেয়া আফরিন মীম।
স্বর্ণপদক ও ক্রেস্ট প্রদান শেষে সমাবর্তনের সভাপতি অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেন, ‘আজকের এই দিনটি আপনাদের সবার জন্য অত্যন্ত গর্বের মুহূর্ত। আপনাদের এই অর্জন শুধু অ্যাকাডেমিক সাফল্য নয়; এটি আপনার নিষ্ঠা, পরিশ্রম এবং মানবিক গুণাবলীর ফল।
‘আমরা আশা করি, ভবিষ্যতে আপনি যেখানে থাকবেন, সেখানে আপনি শুধু নিজের উন্নতির দিকে মনোযোগ দেবেন না, বরং আপনার অর্জিত জ্ঞান এবং দক্ষতা ব্যবহার করে সমাজের উন্নয়ন ও কল্যাণে অবদান রাখবেন। আপনাদের মধ্যে অনেকেই ইতোমধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলী দেখিয়েছেন, এবং আমরা বিশ্বাস করি, আপনারা দেশের অগ্রগতি ও সাফল্যের জন্য ভবিষ্যতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য