× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Jamal was killed in one and a half minutes in a two hour plan
google_news print-icon

২ ঘণ্টার পরিকল্পনায় দেড় মিনিটে খুন হন জামাল

২-ঘণ্টার-পরিকল্পনায়-দেড়-মিনিটে-খুন-হন-জামাল
নিহত যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন। ছবি: নিউজবাংলা
গত রোববার রাত পৌনে ৮টার দিকে দাউদকান্দির গৌরীপুর বাজারে বোরকা পরা ৩ দুর্বৃত্ত যুবলীগ নেতা জামাল হোসেনকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে। তাদের গুলি করে পালিয়ে যাওয়ার দৃশ্য সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে।

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে যুবলীগ নেতা জামাল হোসেনকে হত্যার আগে কয়েক দফা বৈঠক করে ঘাতকরা। টানা দুই ঘণ্টার বৈঠকে নেয়া সিদ্ধান্তের পর মাত্র দেড় মিনিটেই শেষ হয় কিলিং মিশন।

এর আগে গৌরীপুর ও তিতাসে রাজনৈতিক ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যত হত্যাকাণ্ড হয়েছে, তার মধ্যে যুবলীগ নেতা জামালকে ‘বোরকা পরে’ গুলি করে হত্যার ঘটনাটি সিনেমার চিত্রায়নকেও হার মানিয়েছে।

খুব সূক্ষ্ম পরিকল্পনা করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে মনে করছেন আইনশৃংখলা বাহিনীর কর্মকর্তারা।

এ ঘটনার পর থেকে তিতাসের রাজনৈতিক নেতাদের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পরবর্তী টার্গেট কে, এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে তাদের মাথায়।

এদিকে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম কাজ করছে বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করা হয়েছে। বোরকা পরে হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণ করলেও তাদের পরিচয় পাওয়া গেছে। যে কোনো সময় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হবে।

মামলার নথি ঘেটে পাওয়া গেছে চাঞ্চল্যকর বেশ কিছু তথ্য।

হত্যাকাণ্ডের আগে পরে কী হয়েছিল

হত্যাকাণ্ডের দিন ঘাতকরা দীর্ঘক্ষণ জামালের জন্য অপেক্ষা করেন। তবে একজন দফায় দফায় খোঁজ খবর রেখেছিলো- জামাল কখন কোথায় আছে্ন, কি করছেন। পরে খবর পেয়ে তিন দুর্বৃত্ত বোরকা পরে এসে জামালকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। দুই দফা গুলি করে ঘটনাস্থলেই জামালের মৃত্যু নিশ্চিত করে তারা দৌড়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। যাওয়ার আগে এক যুবকের পিস্তল হাত থেকে পড়ে যায়।

মাত্র এক থেকে দেড় মিনিটেই কিলিং মিশন শেষ করেন তারা।

ঘটনার আকস্মিকতায় প্রত্যক্ষদর্শীরা বুঝতে পারছিলেন না কি হচ্ছে। কিছুক্ষণ পর স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধ জামালকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

বাজারের এক প্রান্তে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটলেও অন্য প্রান্তের মানুষ জানতে পারেন প্রায় আধঘন্টা পর।

কী বলছে জামালের পরিবার

জামাল স্ত্রী ও স্বজনরা জানান, হত্যার আগে একাধিকবার জামাল হোসেন ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছিল। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জামালের স্ত্রী থানায় জিডিও করেছিলেন।

পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা নিহত জামাল হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে তিতাসের সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও হত্যা, অস্ত্রসহ ৯টি মামলার আসামি সন্ত্রাসী শাহীনুল ইসলাম ওরফে সোহেল শিকদারকে দায়ী করেছেন।

মঙ্গলবার রাতে জামালের স্ত্রী পপি আক্তার মামলায় এসব কথা উল্লেখ করেন।

মামলার এজাহারে যা আছে

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, জামালকে হত্যার আগে সোহেল শিকদারের নেতৃত্বে তার ওপর একাধিকার হামলা ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়।

এজাহারভুক্ত আসামিরা হচ্ছেন ৩২ বছর বয়সী সুজন, ২৮ বছর বয়সী আরিফ, ৩৮ বছর বয়সী ইসমাঈল, ৪৮ বছর বয়সী সোহেল শিকদার, ৪৫ বছর বয়সী বাদল, ৩৫ বছরের শাকিল, ৩৭ বছরের শাহ আলম, ৩৯ বছরবয়সী অলি হাসান, ৪২ বছর বয়সী কালা মনির। এছাড়াও অজ্ঞাত আছেন আরও ৮ জন।

এজাহারে বলা হয়েছে, ‘হত্যাকাণ্ডের কিছুক্ষণ আগে জামাল যখন বাসার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তখন মামলার ৩ নম্বর আসামি ইসমাইল সেখানে অবস্থান করে তাকে ঠাণ্ডা পানি খাওয়ানোর কথা বলে সময়ক্ষেপণ করেন। এর কিছুক্ষণ পরই বোরকা পরা ৩ সন্ত্রাসী গুলি চালায়।

‘মৃত্যুর আগে জামাল হোসেন হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপর আসামি সুজন ও আরিফের নাম বলে যান।’

আসামিরা সবাই সোহেল শিকদার বাহিনীর সদস্য বলে জানা গেছে।

কুমিল্লা উত্তরের ডন হতে চান সোহেল শিকদার

কুমিল্লা জেলায় রাজনৈতিক মতবিরোধে যতগুলো হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তার মধ্যে সবচেয়ে দুর্ধর্ষ হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটনা ঘটেছে তিতাস উপজেলায়। এখানে খুনের ঘটনা এখন স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে।

কেউ কেউ বলেন, রাজনৈতিক খুনাখুনি হলো পরম্পরা।

তিতাস উপজেলা ঘুরে ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, তিতাস, দাউদকান্দিসহ আশপাশের এলাকায় নিজের আধিপত্য বিস্তার করে ডন হতে চান নিহত যুবলীগ নেতা জামাল হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড সোহেল শিকদার।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় বাসিন্দা, রাজনৈতিক নেতা ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দসহ অন্তত ৫০ জন জানান, দীর্ঘদিন ধরে সোহেল শিকদার বাহিনীর সঙ্গে তিতাসের রাজনৈতিক নেতাদের বিরোধ চলছিল।

স্থানীয়রা আরও জানান, শিকদার বাহিনীর এসব কর্মকাণ্ডে কোনো বাধা এলে সু-পরিকল্পিতভাবে তা দমন করা হয়। হত্যাকাণ্ডের আগে কেউ কোনোকিছু টের পায় না।

গৌরীপুর বাজারসহ তিতাস উপজেলা সদরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর তিতাস উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও জিয়ারকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মনির হোসাইন সরকার ও তার শ্যালক মহিউদ্দিনকে গৌরিপুর বাজারে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনার ৫ মিনিট আগেও কেউ টেয় পায়নি এমন কিছু হতে যাচ্ছে।

সে সময় ধারালো অস্ত্র ও গুলির আঘাতে মনির খুন হওয়ার পর তার গ্রুপের নেতৃত্ব ও মামলার তদারকি করতেন নিহত জামাল।

মনির হত্যা মামলায় পরে ডিবি পুলিশের হাতে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হন সোহেল শিকদার। পরে জামিনে বেরিয়ে এসে জামাল এবং মনিরের স্ত্রীকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিতে থাকেন। এমনকি মনিরের ঢাকার বাসায় গিয়ে তার স্ত্রী ও জামালকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়া হয়। পরে মনিরের স্ত্রী ঢাকার কদমতলী থানায় এ বিষয়ে সোহেল শিকদারের নামে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

এদিকে ২০২২ সালের ২ নভেম্বর মনির হত্যা মামলায় স্বাক্ষীদের নিয়ে আদালতে আসেন জামাল হোসেন। ওই সময় আদালতের অভ্যন্তরে জামালসহ মামলার স্বাক্ষীদের ওপর হামলা করেন সোহেল শিকদারসহ অন্যরা।

মনির হত্যা মামলা মীমাংসা না করার জেরেই জামালকে সোহেল শিকদারসহ অন্যরা হত্যা করেছে বলে মামলার এজাহারে দাবি করা হয়েছে।

দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আলমগীর ভূঞাঁ বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মামলা করেছেন। তবে এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।’

কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, ‘পরিকল্পনা করেই জামালকে হত্যা করা হয়েছে। যাকে বলা হয় টার্গেট কিলিং। ইতোপূর্বে তিতাস, জিয়ারকান্দি, গৌরীপুর এলাকায় আধিপত্য নিয়ে অনেকগুলো হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আমরা অতীতের সব ঘটনাগুলো আমলে নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। তবে এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে কোনো রাজনৈতিক কারণ নেই বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা রেহাই পাবে না। তাদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।’

এর আগে, গত রোববার রাত পৌনে ৮টার দিকে দাউদকান্দির গৌরীপুর বাজারে বোরকা পরা ৩ দুর্বৃত্ত যুবলীগ নেতা জামাল হোসেনকে গুলি চালিয়ে হত্যা করেন। তাদের গুলি করে পালিয়ে যাওয়ার দৃশ্য সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে।

আরও পড়ুন:
অধ্যাপক তাহের হত্যা: আসামিদের ফাঁসি কার্যকরে ‘বাধা নেই’
স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
বরিশালে শিশু হত্যায় মা ও সৎবাবা আটক
একাত্তরের গণহত্যার স্বীকৃতি দিল আইএজিএস
ঝালকাঠিতে চাচা-ভাতিজাকে কুপিয়ে হত্যা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
One was arrested for trying to have an abortion by breaking his arms and legs with a hammer

হাতুড়ি দিয়ে হাত-পা ভেঙে গর্ভপাতের চেষ্টা, আটক এক

হাতুড়ি দিয়ে হাত-পা ভেঙে গর্ভপাতের চেষ্টা, আটক এক অমানবিক নির্যাতনের শিকার নারীকে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ছবি: নিউজবাংলা
বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কের জের ধরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়া এক নারীকে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে বসতঘরে আটকে রেখে জোরপূর্বক গর্ভপাতের চেষ্টা চালিয়েছেন রিপন নামে এক ব্যক্তি। গর্ভপাতে রাজি না হওয়ায় হাতুড়ি দেয় পিটিয়ে তার হাত-পা ভেঙে ফেলা হয়। এ সময় ঢাকা থেকে গর্ভপাত করতে আসা টিমের এক নারী সদস্যকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা।

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে বসতঘরে আটকে রেখে এক যুবতীকে জোরপূর্বক গর্ভপাত করানোর চেষ্টা এবং মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালানোর ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ঢাকা থেকে গর্ভপাত করতে আসা টিমের এক নারী সদস্যকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয়রা।

মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে শ্রীনগর উপজেলার পশ্চিম সিংপাড়া গ্রামের ইদ্রিস আলীর বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার পশ্চিম সিংপাড়া গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে রিপন শেখ চারদিন আগে ঢাকার মিরপুর থেকে এক যুবতীকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। ওই যুবতীকে রিপন নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দেয়া হয়।

বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কের জের ধরে তাদের শারীরিক সম্পর্ক এবং এক পর্যায়ে ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এরপর বিয়ের জন্য চাপ দেয়ায় চারদিন আগে ওই নারীকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন রিপন।

তারা জানান, দু’মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীকে মঙ্গলবার দুপুরে জোরপূর্বক গর্ভপাত ঘটাতে ঢাকা থেকে একটি টিম নিয়ে আসেন রিপন। এ সময় তিনি গর্ভপাতে রাজি না হওয়ায় হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তার হাত-পা ভেঙে জোরপূর্বক গর্ভপাত ঘটানোর চেষ্টা করা হয়।

এসময় ওই যুবতীর আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। পরে যুবতীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এছাড়া ওই সময় গর্ভপাত ঘটানোর টিমের আম্বিয়া নামে এক নারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে রিপন শেখ পালিয়ে যান।

রিপনের প্রথম স্ত্রী তানিয়া বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী রিপন ওই নারীকে ঘরে আটকে রেখে অজ্ঞাত দুই নারীর সহায়তায় জোরপূর্বক গর্ভপাত করানোর চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে তাকে হাতুড়ি দিয়ে পেটানো হয়।’

প্রতিবেশী মো. মামুন জানান, রিপন স্ত্রী পরিচয়ে যে নারীকে বাড়িতে নিয়ে আসেন তিনি দুই মাসের গর্ভবতী। রিপন লোকজন নিয়ে জোরপূর্বক গর্ভপাতের চেষ্টার পাশাপাশি ওই নারীকে অমানবিক নির্যাতন করেছে।’

তন্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আকবর বলেন, ‘রিপন ওই যুবতীকে হাতুড়িপেটা করেছে। পরে যুবতীকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।’

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. কাশফি জানান, নির্যাতনের কারণে ওই নারী স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারছেন না। তার হাত ও পায়ের হাড় ভাঙা। তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন।

শ্রীনগর থানার ওসি মো. ইয়াসিন মুন্সী বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এক নারীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।’

আরও পড়ুন:
চট্টগ্রামে চলন্ত বাসে নারীকে ধর্ষণের মামলায় চালক হেলপার গ্রেপ্তার
‘সামাজিক চাপে’ শেষ কিশোরীদের ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন
যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে মারধর ও খুন্তির ছ্যাঁকা দেয়ার অভিযোগ
সাভারে নারী পাচারকারী চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার, তিনজন উদ্ধার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Arakan Army returned 16 fishermen victims of robbery

ডাকাতির শিকার ১৬ জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি

ডাকাতির শিকার ১৬ জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি আরাকান আর্মির হেফাজত থেকে সোমবার রাতে ফেরার পর জেলেদের টেকনাফ বিজিবির দফতরে নিয়ে আসা হয়। ছবি: নিউজবাংলা
টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ জানান, সাগরে মাছ ধরার সময় ৫ অক্টোবর ১৬ জন মাঝি-মাল্লাসহ ‘এফবি মা-বাবার দোয়া’ নামে একটি ট্রলার ডাকাতের কবলে পড়ে। ডাকাতরা সবকিছু লুট করে ট্রলারের বরফ কল স্টোরে তাদেরকে আটকে ট্রলারটি সাগরে ছেড়ে দেয়। পরে আরাকান আর্মি তাদের উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়।’

বাংলাদেশি ১৬ জেলেকে ফেরত দিয়েছে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মি। এনেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আরাকান আর্মি বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ওপারের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর এমন ঘটনা দ্বিতীয়বার ঘটলো।

মঙ্গলবার দুপুরে ১৬ বাংলাদেশিকে মিয়ানমার থেকে ফেরত আনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ।

টেকনাফ বিজিবির সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ২৮ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার থেকে ১৬ জন মাঝি-মাল্লা ‘এফবি মা-বাবার দোয়া’ নামে একটি ট্রলারযোগে সাগরে মাছ শিকারে বের হয়। ৫ অক্টোবর সাগরে তারা একদল ডাকাতের কবলে পড়ে।

ডাকাত দল সবকিছু ছিনিয়ে নেয়ার পর তাদেরকে মারধর করে ট্রলারে বরফ কল স্টোরে আটকে ট্রলারটি সাগরে ছেড়ে দেয়। এক পর্যায়ে ট্রলারটি ভাসতে ভাসতে মিয়ানমার উপকূলে চলে যায়। পরে আরাকান আর্মি তাদের উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়।’

বিজিবির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘জেলেদের হেফাজতে নেয়ার পর তাদেরকে ফেরত দিতে আরাকান আর্মির পক্ষ থেকে বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাদের (আরাকান আর্মি) সঙ্গে মোবাইল ফোনে আলোচনা শেষে সোমবার রাতে তাদেরকে ফেরত আনা হয়। তাদের মধ্যে একজন টেকনাফের। বাকিরা কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।’

ডাকাতির শিকার ১৬ জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি

ফেরত আসা জেলে আব্দুল হাফেজ বলেন, ‘গত সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে আমরা ১৬ জন মাঝিমাল্লা মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে কক্সবাজার থেকে সাগরে যাই। ৪ অক্টোবর কক্সবাজারের পাটোয়ারটেক বরাবর সাগরে ডাকাতদল আমাদের ট্রলারটি লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে ওরা আমাদের আটক করে।’

তিনি বলেন, ‘আটক করার পর ডাকাতরা আমাদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়। আমাকে অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং মাঝির হাতে গুলি করে। ট্রলারে থাকা জাল ও মাছ লুট করে নিয়ে যায়।

‘ডাকাতরা ট্রলারে মাছ-বরফের কল স্টোরের ভেতরে আমাদের আটকে দিয়ে বাইরে থেকে পেরেক ঠুকে দরোজা আটকে মিয়ানমারের সীমানায় একটি চরে রেখে চলে যায়। পরে আমাদের নিয়ে যায় আরাকান আর্মি। বিজিবির সহায়তায় অবশেষে ১৫ দিন পর দেশে ফেরত আসতে পেরেছি।’

ডাকাতের কবলে পড়া ট্রলারটির মালিক মো. আয়ুব বলেন, ‘আমার ট্রলার নিয়ে ২৮ সেপ্টেম্বর ওরা সাগরে মাছ শিকারে যায়। তাদের সঙ্গে কয়েকদিন যোগাযোগ হয়েছিল। এরপর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে বিভিন্ন ট্রলার থেকে তাদের খোঁজখবর নিয়েছি।

‘অবশেষে গতকাল (সোমবার) বিজিবির পক্ষ থেকে ফোন করে জানানো হয় যে তারা মিয়ানমার থেকে আমার ট্রলারের মাঝিমাল্লাদের ফেরত এনেছে। আর আজ জানলাম তারা ডাকাত দলের কবলে পড়েছিল। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া তারা প্রাণে বেঁচে ফেরত এসেছে। কিন্তু আমার ট্রলার এখনও ফেরত পাইনি।’

এর আগে মাছ ধরতে গিয়ে নাফ নদে অপহৃত বাংলাদেশি পাঁচ জেলেকে ৯ অক্টোবর বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি।

আরও পড়ুন:
মিয়ানমার নৌবাহিনীর হাতে বাংলাদেশি জেলে হত্যার প্রতিবাদ ঢাকার
ধরে নিয়ে যাওয়া বাংলাদেশি ৫ জেলেকে ফেরত আরাকান আর্মির
টেকনাফে পাঁচ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি
রাখাইনে আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে জান্তা সরকারের নৌঘাঁটি
মোংলায় নিখোঁজের ২৯ ঘণ্টা পর জেলের মরদেহ উদ্ধার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
A mother and two children were killed in a truck crash in Chittagong

চট্টগ্রামে ট্রাকচাপায় মা ও দুই সন্তান নিহত

চট্টগ্রামে ট্রাকচাপায় মা ও দুই সন্তান নিহত মীরসরাই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দুর্ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে মরদেহ উদ্ধার করেন। ছবি: নিউজবাংলা
মীরসরাই ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা ইমাম হোসেন পাটোয়ারী জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বড়তাকিয়া এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় একটি অটোরিকশাকে ভুট্টা বোঝাই একটি ট্রাক পেছন থেকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই মা ও দুই সন্তান নিহত হন।

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে একটি ট্রাক চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই মা ও তার দুই সন্তান নিহত হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বড়তাকিয়ার খৈয়াছড়া ঝর্না রাস্তা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

মীরসরাই ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা ইমাম হোসেন পাটোয়ারী জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বড়তাকিয়া এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় একটি অটোরিকশাকে ভুট্টা বোঝাই একটি ট্রাক পেছন থেকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই মা ও দুই সন্তান নিহত হন।

তারা হলেন- সীতাকুণ্ড উপজেলার দক্ষিণ বগা চত্বর এলাকার আবুল কালএমর স্ত্রী নুরজাহান বেগম, তার মেয়ে কাজল রেখা ও ছয় মাস বয়সী ছেলে মোহাম্মদ আনাস।

এ বিষয়ে জোরারগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সোহেল সরকার বলেন, ‘দুর্ঘটনায় নিহতদের মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (মস্তাননগর হাসপাতালে) নেয়া হয়েছে। তাদের আত্মীয়-স্বজনরা এলে মরদেহ তাদেরকে বুঝিয়ে দেয়া হবে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে গাড়িটি উদ্ধার করে ফাঁড়িতে নেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন:
টাঙ্গাইলে বাস-ট্রাক সংঘের্ষ নিহত চার, আহত ১০
কক্সবাজারে বাইকে ডিসির গাড়ির ধাক্কায় শিশু নিহত, মা আহত
মানিকগঞ্জে মিনিবাসে ট্রাকের ধাক্কায় তিনজন নিহত, আহত ২০
কুয়াকাটা থেকে ফেরার পথে ফরিদপুরের সড়কে প্রাণ গেল দুই বন্ধুর
ডেমরায় গাড়ির ধাক্কায় নারী নিহত

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Former Aviation Minister Farooq Khan remanded in murder case

হত্যা মামলায় সাবেক বিমানমন্ত্রী ফারুক খান রিমান্ডে

হত্যা মামলায় সাবেক বিমানমন্ত্রী ফারুক খান রিমান্ডে মুহাম্মদ ফারুক খান। ফাইল ছবি
বিএনপিকর্মী মকবুল হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানকে সোমবার রাতে ঢাকার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাইলে দু’দিন মঞ্জুর করা হয়।

মকবুল নামে এক বিএনপিকর্মী হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানকে দুদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। এর আগে সোমবার রাতে ঢাকার বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ফারুক খানকে মঙ্গলবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হাচান তাকে দশদিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন।

অন্যদিকে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ছানাউল্ল্যা জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর এক দফা দাবিতে বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচি ঘিরে সারাদেশের নেতাকর্মীরা যখন নয়াপল্টনে জড়ো হতে থাকেন তখন আসামিরা বিএনপির সমাবেশ বানচালের সিদ্ধান্ত নেন। ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর অজ্ঞাতনামা ৫০০-৬০০ জন আসামি বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। আসামিরা বিএনপি অফিসে প্রবেশ করে ভাঙচুর করেন।

আসামিরা বিএনপি কার্যালয়ে থাকা নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ ও গুলি করেন। এ সময় মকবুল নামে এক বিএনপিকর্মী আহত হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়।

আরও পড়ুন:
সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ৫ দিনের রিমান্ডে
৫ দিনের রিমান্ডে সাবেক রেলমন্ত্রী সুজন
পিআইবির নতুন ডিজি ফারুক ওয়াসিফ
৩ দিনের রিমান্ডে সাবেক রেলমন্ত্রী সুজন
সাত দিনের রিমান্ডে শ্যামল দত্ত

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Former Agriculture Minister Abdur Razzak is on remand for two days in the murder case

হত্যা মামলায় সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক দু’দিনের রিমান্ডে

হত্যা মামলায় সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক দু’দিনের রিমান্ডে সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। ফাইল ছবি
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদকে গুলি করে হত্যার মামলায় সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাককে আদালতে হাজির করে দশদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার মিছিলে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদকে গুলি করে হত্যার মামলায় সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

মঙ্গলবার আসামিকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের রমনা জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আরিফ ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। অপরদিকে আসামি পক্ষে আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালত তার দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইস্কাটন থেকে আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।

আরও পড়ুন:
৫ দিনের রিমান্ডে সাবেক রেলমন্ত্রী সুজন
৩ দিনের রিমান্ডে সাবেক রেলমন্ত্রী সুজন
সাত দিনের রিমান্ডে শ্যামল দত্ত
সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ পাঁচ দিনের রিমান্ডে
ডিএমপির সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ৭ দিনের রিমান্ডে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The family found the missing son on the night of the fall of the government

সরকার পতনের রাতে নিখোঁজ ছেলেকে পেল পরিবার

সরকার পতনের রাতে নিখোঁজ ছেলেকে পেল পরিবার গাজীপুরের টঙ্গী এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে সোমবার রাতে জিহাদকে উদ্ধার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ। ছবি: নিউজবাংলা
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অলোক কুমার দে বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার নির্দেশে জিহাদ নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটি তদন্ত শুরু করি। প্রযুক্তির সহায়তা ও বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে জিহাদকে টঙ্গী এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে উদ্ধার করা হয়।’

ঢাকার সাভারে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের দিন থেকেই নিখোঁজ কিশোর জিহাদ। পরিবারের পক্ষ থেকে ভেবেই নেয়া হয়েছে, আন্দোলনের সময় কোনোভাবে হয়তো মৃত্যু হয়েছে জিহাদের।

পুলিশের প্রচেষ্টায় দুই মাস পর নিখোঁজ জিহাদের সন্ধান পেয়ে উচ্ছ্বসিত তার পরিবার।

গাজীপুরের টঙ্গী এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে সোমবার রাতে জিহাদকে উদ্ধার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ।

এর আগে গত ১৮ আগস্ট আশুলিয়ার জিরাবো এলাকার বাসিন্দা বেলাল হোসেন তার ছেলে জিহাদ নিখোঁজের ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

বেলাল হোসেন বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের পর রাতে জিহাদ বাড়ির পাশে থেকে নিখোঁজ হয়। এরপর অনেক জায়গায় মাইকিং করেছি। বিভিন্ন জায়গায় পোস্টারও লাগিয়েও তার সন্ধান পাইনি। পরে গত ১৮ আগস্ট আমরা আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি।

‘একপর্যায়ে কোথাও কোনো সন্ধান না পেয়ে ভেবেছিলাম জিহাদ আর কোনো দিনও ফিরবে না। ও হয়তো মারা গেছে। ছাত্র আন্দোলনের কারণে হাসিনা সরকার পতনের পর হয়তো কোনো বিপদে পড়ে জিহাদ মারা গেছে, এ রকম ধারণা করেছিলাম আমরা, তবে শেষ ইচ্ছা ছিল, কোনোভাবে যাতে ছেলের লাশটা অন্তত পাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘সবশেষ গতকাল রাতে জিহাদকে টঙ্গী থেকে উদ্ধার করে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেন এসআই অলোক। আমরা তখনও বিশ্বাস করতে পারছিলাম না যে, জিহাদকে জীবিত ফিরে পেয়েছি।

‘ওই পুলিশ কর্মকর্তা আমার ছেলেকে উদ্ধারে অনেক কষ্ট করেছেন। এ ঘটনার পর পুলিশের প্রতি আমার ধারণা পাল্টে গেছে। ৫ আগস্টের পর পুলিশের কার্যক্রম যেভাবে চলছে, তাতে পুলিশের ওপর মানুষের ভরসা এক প্রকার উঠেই গিয়েছিল।’

আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অলোক কুমার দে বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার নির্দেশে জিহাদ নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটি তদন্ত শুরু করি। প্রযুক্তির সহায়তা ও বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে জিহাদকে টঙ্গী এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে উদ্ধার করা হয়।

‘সে ওই আবাসিক হোটেলে তার বাবা-মা নেই, এই পরিচয়ে হোটেল বয়ের চাকরি নিয়েছিল। জিহাদ মূলত এতদিন আত্মগোপনেই ছিল। পরিবারের সাথে অভিমান করেই গত ৫ আগস্ট সে বাড়ি থেকে চলে যায়।’

তিনি বলেন, ‘প্রথম অবস্থায় জিহাদ একটি মোবাইল ব্যবহার করলেও পরে আর সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। সেই মোবাইলের সূত্র ধরেই প্রযুক্তির সহায়তায় জিহাদকে নিখোঁজের ৭০ দিন পর উদ্ধার করতে সক্ষম হই। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে আজ জিহাদকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
সাজেকে আটকে পড়া ১৪০০ পর্যটককে উদ্ধার
চার দিনে ৫৩ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২৫
বন্যায় উদ্ধার সংক্রান্ত সেবা মিলবে যেসব নম্বরে
সরকার পতন ষড়যন্ত্র মামলার আসামির নামে ছাত্র হত্যার মামলা
সাবেক সচিবের বাসা থেকে তিন কোটি টাকা ও বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The trial at the International Criminal Tribunal began on Thursday

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার কাজ শুরু বৃহস্পতিবার

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার কাজ শুরু বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ছবি: সংগৃহীত
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানসহ অপর দুই সদস্য মঙ্গলবার ট্র্যাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিয়েছেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তারা ট্রাইব্যুনালে আসেন। এ সময় ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার ও অন্যান্য কর্মকর্তা তাদের অভ্যর্থনা জানান। পরে চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বিচারিক কার্যক্রম শুরুর তারিখ জানান।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নির্মূলে জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের বিচারিক কার্যক্রম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শুরু হচ্ছে আগামী বৃহস্পতিবার।

ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানসহ অপর দুই সদস্য মঙ্গলবার ট্র্যাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিয়েছেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তারা ট্রাইব্যুনালে আসেন। এ সময় ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার ও অন্যান্য কর্মকর্তা তাদের অভ্যর্থনা জানান।

চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম পরে সাংবাদিকদের একথা জানান।

হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে শপথ নেয়া মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারকে চেয়ারম্যান করে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর আগে ৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

প্রসিকিউশন টিমের অপর পাঁচ প্রসিকিউটর হলেন মো. মিজানুল ইসলাম, গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম, বি এম সুলতান মাহমুদ, আবদুল্লাহ আল নোমান ও মো. সাইমুম রেজা তালুকদার।

অন্যদিকে ১০ জন কর্মকর্তার সমন্বয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা পুনর্গঠন করা হয়েছে। তদন্ত সংস্থার কো-অর্ডিনেটর পদে মো. মাজহারুল হক (এডিশনাল ডিআইজি, অবসরপ্রাপ্ত) ও কো-কোঅর্ডিনেটর পদে মুহাম্মদ শহিদুল্যাহ চৌধুরীকে (পুলিশ সুপার, অবসরপ্রাপ্ত) নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

তদন্ত সংস্থার অপর কর্মকর্তারা হলেন- মো. আলমগীর, মোহা. মনিরুল ইসলাম, মো. জানে আলম, সৈয়দ আবদুর রউফ, মো. ইউনুছ, মো. মাসুদ পারভেজ, মুহাম্মদ আলমগীর সরকার ও মো. মশিউর রহমান।

গত ৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন অফিসে অর্ধশতাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে সংঘটিত অভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে গত ৫ আগস্ট দেশ থেকে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ গ্রহণ করে।

বৈষম্যবিরোধী টানা ৩৬ দিনের আন্দোলন নির্মূলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও তৎকালীন আওয়ামী লীগ দলীয় ক্যাডারদের হামলায় প্রায় দেড় হাজার ছাত্র-জনতা শহীদ হয়েছেন। গুলিতে আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন পাঁচ শতাধিক। আহত হয়েছেন ২৩ হাজার ছাত্র-জনতা। তাদের অনেকে এখনও চিকিৎসাধীন।

আরও পড়ুন:
বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারকে চেয়ারম্যান করে ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন
শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেয়া হবে
হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গুমের শিকার সাবেক সেনা কর্মকর্তার
ট্রাইব্যুনালে হাসিনাসহ ২২৭ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার পাঁচ অভিযোগ
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হলেন তাজুল ইসলাম

মন্তব্য

p
উপরে