চট্টগ্রামে আতশবাজির প্রলোভন দেখিয়ে সফিউল ইসলাম রহিম নামে ১১ বছর বয়সী এক শিশুকে অপহরণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত রহিমের প্রতিবেশী আযম খান ও তার বন্ধু হৃদয়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার রাতে নগরীর হালিশহর পানিরকল এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করে চান্দগাঁও থানা পুলিশ। পরে রাত ৩টার দিকে তাদের স্বীকারোক্তিতে পশ্চিম মোহড়া এলাকার নির্মাণাধীন একটি কলোনির ভেতর বালুচাপা অবস্থায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গত বুধবার ছিল শিশু রহিমের জন্মদিন।
নিহত রহিম চান্দগাঁও থানার পশ্চিম মোহড়া এলাকার মো. সেলিমের ছেলে। স্থানীয় পশ্চিম মোহড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল সে। অন্যদিকে গ্রেপ্তার ২৬ বছর বয়সী আযম খান তার প্রতিবেশী ও দূর সম্পর্কের আত্মীয়। আর হৃদয় হলেন আযমের বন্ধু।
রহিমের বাবা সেলিম উদ্দিন জানান, ২৯ এপ্রিল বিকেলে খেলতে বের হয়ে আর বাসায় ফেরেনি রহিম। অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে রাতে এলাকায় মাইকিং করা হয়। এরমধ্যে রাত ১২টার দিকে এক ব্যক্তি মোবাইলে ছেলেকে ফিরে পেতে হলে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এরপর সে আর যোগাযোগ করেনি।
পরদিন তিনি জানতে পারেন, নিখোঁজের আগে রহিম তার দূর সম্পর্কের আত্মীয় (সেলিমের ভাতিজা) আযমের সঙ্গে অনেকক্ষণ কথা বলেছিল। পরে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজে আযমের সঙ্গে সেখানকার একটি নির্মাণাধীন কলোনিতে ঢুকতে দেখেন রহিমকে। সেখানেও সবাই খোঁজ করেন। পরে আযমের মোবাইলও বন্ধ পান তিনি। পুরো বিষয়টা জানানো হয় পুলিশকে।
খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পর রাত ৩টার দিকে আযমের দেখানো একটি নির্মাণাধীন কলোনিতে বালিচাপা দেয়া অবস্থায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করেছি। সে বলছে, আতশবাজি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মুক্তিপণের জন্য শিশুটিকে অপহরণ করেছে। পরে মাথার পেছনে গাছ দিয়ে আঘাত করে শিশুটিকে হত্যা করেছে৷’
তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিপণের জন্য অপহরণ করলে তো বাচ্চাটিকে বাঁচিয়ে রাখতো, দ্রুত মেরে ফেলতো না। বিষয়টা আসলে কী ছিল জানতে আমরা তদন্ত করছি। গ্রেপ্তার আসামির ৫ দিনের রিমান্ডও আবেদন করা হয়েছে।’
শিশু রহিমকে অপহরণের একদিন আগে তার ১২ বছর বয়সী বড় ভাইকেও একইভাবে আতশবাজির লোভ দেখিয়ে অভিযুক্ত আযম ডেকেছিল বলে জানান সেলিম উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘রহিমকে অপহরণের একদিন আগে আমার বড় ছেলে সাইদুল ইসলাম করিমকে বাজি দেয়ার কথা বলে ডেকেছিল আযম। তখন সাইদুল কী যেন কাজ করছিল, তাই যেতে একটু দেরি হয়। ৫ মিনিট পর সে বের হয়ে আর আযমকে পায়নি। নয়তো সম্ভবত তাকেই অপহরণ করতো।’
রহিমের বাবা বলেন, ‘গত বুধবার ছেলের জন্মদিন ছিল। সে নেই, আমরা জন্মদিন পালন করতে পারিনি। জন্মদিনের রাতে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।’
আরও পড়ুন:
চট্টগ্রামে স্ত্রীকে হত্যা করে বাসায় পানির ড্রামে মরদেহ গুমের অভিযোগে করা মামলায় এক ব্যক্তিকে আটক করেছে র্যাব।
ওই ব্যক্তিকে আটকের বিষয়টি সোমবার গণমাধ্যমকে জানায় র্যাব।
ফেনীর সোনাগাজী থানার রাঘবপুর এলাকা রোববার থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক ৪৫ বছর বয়সী আবুল হোসেন লিটন সোনাগাজীর রাঘবপুর এলাকার বাসিন্দা।
র্যাব জানায়, বাগেরহাটের মৌজারডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা নাসিমা বেগম ২০১০ সালের দিকে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর চট্টগ্রাম আসেন। সেখানে ভাইয়ের সঙ্গে থেকে তৈরি পোষাক কারখানায় চাকরি শুরু করেন। চাকরির সুবাদে লিটনের সঙ্গে পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
এক পর্যায়ে ২০১৩ সালে তারা বিয়ে করে পাহাড়তলীর গ্রীনভিউ আবাসিকে বসবাস শুরু করেন। বিয়ের কিছুদিন পর নাসিমার ছোট ভাই হিরণ শেখ লিটনের বাড়িতে বেড়াতে গেলে তার আগের বিবাহ ও সন্তান থাকার বিষয়টি জানাজানি হয়।
এ নিয়ে দুজনের ঝগড়াঝাঁটির জেরে নাসিমা বেগমকে হত্যা করে প্লাস্টিকের তৈরি পানির ড্রামে মরদেহ লুকিয়ে রেখে কৌশলে বাসা থেকে পালিয়ে যায় লিটন। পরবর্তীতে স্বজনরা ফোন করে নাসিমার সন্ধান চাইলে ঝগড়ার জেরে তিনি বাসা থেকে বেরিয়ে গেছে বলে জানান লিটন।
এতে স্বজনদের সন্দেহ হলে তারা বাসায় এসে জানালায় উঁকি দিয়ে দুর্গন্ধ পান। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে রান্নাঘরে পানির ড্রাম থেকে নাসিমার গলিত মরদেহ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় নিহতের ভাই সেলিম হোসেন বাদী হয়ে পাহাড়তলী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
র্যাব-৭ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কর্মকার বলেন, ‘এই ঘটনায় পলাতক আসামি লিটনকে গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে র্যাব। এক পর্যায়ে রোববার তার অবস্থান শনাক্ত করে ফেনীর সোনাগাজী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামি ঘটনায় জড়িত থাকার কথা ও নিজেকে ওই মামলার এজহারভূক্ত আসামি হিসেবে স্বীকার করেছেন।’
এ ঘটনায় আটক আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সিলেটের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ে পরিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা (Ecologically Critical Area-ECA) থেকে অবৈধভাবে চলছে বালু ও পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে হুমকিতে পড়েছে ওই এলাকার পরিবেশ। বিনষ্ট হচ্ছে জীববৈচিত্র্য।
জাফলংয়ে ইসিএ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পেয়ে সোমবার অভিযান চালায় টাস্কফোর্স। এ সময় বালুবাহী পাঁচটি নৌকা জব্দ করা হয়। এছাড়া এসব নৌকার মালিকদের দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর, বিজিবি, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ যৌথভাবে সোমবার দুপুরে এই অভিযান চালায়।
গোয়াইনঘাট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তানভীর হোসেন জানান, সোমবার জাফলংয়ের পরিবেশ সংকটাপন্ন এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে তাদের একটি টিম, বিজিবি ও গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের অংশগ্রহণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে বালুবাহী পাঁচটি নৌকা আটক করে মামলা দেয়া হয়। এছাড়া এসব নৌকার পরিচালকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় মোট ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
পরিবেশ রক্ষায় এমন অভিযান নিয়মিত পরিচালিত হবে বলে জানান তানভীর হোসেন।
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং দেশের প্রধান পর্যটন কেন্দ্রগুলোর একটি। কিন্তু এই পর্যটন কেন্দ্র এখন পরিণত হয়েছে দেশের অন্যতম বৃহৎ পাথর কোয়ারিতে। অনিয়ন্ত্রিত পাথর ও বালু উত্তোলনের ফলে পর্যটন কেন্দ্রটির সৌন্দর্য নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি হুমকিতে পড়ছে পরিবেশও।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি জাফলংকে পরিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) ঘোষণা করে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়।
এর আগে পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে জাফলংকে ইসিএ ঘোষণার নির্দেশনা দেয় আদালত।
ইসিএ ঘোষণার পর জাফলং থেকে সব ধরনের বালু ও পাথর উত্তোলন নিষিদ্ধ করে প্রশাসন। তবে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও একটি গোষ্ঠী বালু ও পাথর উত্তোলনের মাধ্যমে জাফলংয়ের পরিবেশ বিনষ্ট করে চলেছে।
কক্সবাজারের উখিয়ায় আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) প্রধানের একান্ত সহকারী এরশাদ প্রকাশ নোমান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
উপজেলার কুতুপালং থেকে রোববার রাত একটার দিকে তাকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-১৫-এর অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উখিয়ার কুতুপালং থেকে এরশাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার নামে বিভিন্ন অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে। এ ছাড়াও তিনি আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি প্রধান আতা উল্লাহ আবু জুনুনীর একান্ত সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এরশাদের নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় বিভিন্ন ক্যাম্পে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হচ্ছিল। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন দেশের অর্থ সরবারহকারীদের সঙ্গে আসার অর্থ সম্বনয় করে আসছিলেন।’
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারের স্থানে স্থানে অব্যবস্থাপনা-অবহেলার ছাপ। সর্বত্র এক ধরনের গা-ছাড়া ভাব। ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকরা সংবাদ লিখতে গিয়ে পড়েন বিড়ম্বনায়। কারণ রুমের কম্পিউটার, এসি, সোফা- কোনোটাই সেভাবে ব্যবহার উপযোগী নেই।
সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষকে এসব সমস্যা জানিয়েও প্রতিকার মেলেনি।
ডিএমপির নতুন কমিশনার হাবিবুর রহমান শনিবার দায়িত্ব গ্রহণের পর সোমবার ব্রিফিংয়ে আসেন। এ সময় সাংবাদিকরা মিডিয়া সেন্টারের নানা অব্যবস্থাপনা তুলে ধরেন তার কাছে। তাৎক্ষণিক কমিশনার নির্দেশ দেন- তিনদিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান করতে হবে।
জানা গেছে, দশ বছর আগে ডিএমপির তৎকালীন কমিশনার মিডিয়া সেন্টারে দুটি কম্পিউটার, বসার জায়গায় সোফা ও এসি সংযুক্ত করেছিলেন। সেসব জরাজীর্ণ হয়ে গেছে অনেক আগেই।
নতুন কমিশনার সোমবার ‘মিট দ্য প্রেস’ শেষে সাংবাদিকদের বসার জায়গা পরিদর্শন করে নতুন করে সবকিছু স্থাপনের নির্দেশ দেন।
পরিদর্শনকালে তিনি সাংবাদিকদের কাছে জানতে চান- কয়দিনের মধ্যে বদল চান এ অবস্থার? সাংবাদিকরা সাতদিনের মধ্যে বদলের ইচ্ছা প্রকাশ করলেও হাবিবুর রহমান প্রতিশ্রুতি দেন, সাতদিন নয়, তিনদিনে বদলে যাবে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারের সাংবাদিকদের বসার জায়গা।
নবনিযুক্ত কমিশনার বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় পরিবর্তন দরকার হলে আগে সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন। সচেতনতা ও অপরাধ দমনে সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। অপরাধবিয়ষক সাংবাদিকদের পেশাগত কাজে ডিএমপিতে আসতে হয়। মিডিয়া সেন্টারে বসতে হয়। এখানকার পরিবেশ জন ও সাংবাদিকবান্ধব হওয়া উচিত।’
তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ডিসি মিডিয়া ও ডিসি লজিস্টিককে ডেকে একটি এসি, দুটি নতুন আপডেটেড কম্পিউটার, নতুন সোফা ও টেবিল-চেয়ার স্থাপনের নির্দেশ দেন। তার এমন ঘোষণায় গণমাধ্যমকর্মীরা কমিশনারকে ধন্যবাদ জানান।
এর আগে ডিএমপির ৩৬তম কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেই রাজারবাগে ফোর্সদের ব্যারাকে যান হাবিবুর রহমান। সরেজমিনে তিনি সদস্যদের থাকার জায়গা, রান্নাঘর, বাথরুম, জিমনেসিয়াম পরিদর্শন করেন। তাৎক্ষণিক তিনি সদস্যদের থাকা-খাওয়ার সমস্যা সমাধানে নির্দেশনা দেন।
আরও পড়ুন:মেহেরপুর সদর উপজেলার বাজিতপুরে হেরোইনসহ এক পুলিশ সদস্য ও তার সঙ্গীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
সোমবার বিকেলে মেহেরপুর সদর উপজেলার বাজিতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে পুলিশের কনস্টেবল আশরাফুল ইসলাম ও তার সঙ্গী সবুজ শেখ আটক হন।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করেন বিজিবি সদস্যরা। পরে রাত সাড়ে নয়টার দিকে মাদক মামলা দিয়ে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আটক আশরাফুল ইসলাম মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার পরানপুর গ্রামের আফসার আলীর ছেলে। বর্তমানে তিনি সুপ্রিম কোর্ট অ্যান্ড স্পেশাল কোর্টে কনস্টেবল পদে কর্মরত। তার সঙ্গী সবুজ শেখ মেহেরপুর সদর উপজেলার রায়পুর গ্রামের মন্টু শেখের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মেহেরপুর বাজিতপুর বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার আলাউদ্দিন বিশ্বাস জানান, বাজিতপুর গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাকা সড়ক দিয়ে মাদক পাচার হচ্ছে- এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে ৩ গ্রাম হেরোইনসহ পুলিশ কনস্টেবল আশরাফুল ইসলাম ও সবুজ শেখকে আটক করা হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে মেহেরপুর সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
জামালপুরে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যা মামলার অন্যতম আসামি মনিরুজ্জামান মনিরকে দেয়া হাইকোর্টের জামিন স্থগিত করেছে চেম্বার আদালত। আট সপ্তাহের জন্য তার জামিন স্থগিত করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার জজ আদালত এই আদেশ দেয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুল আলম।
পরে নিউজবাংলাকে তিনি জানান, চেম্বার আদালত ২৭ সেপ্টেম্বর মনিরের জামিন স্থগিত করে। ওই দিন আসামি পক্ষে আইনজীবী শুনানি করবেন বলে সময় নেন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড মধুমালতি চৌধুরী। পরে আদালত ২ অক্টোবর দিন ঠিক করে দেয়। সে অনুযায়ী সোমবারও শুনানিতে তার পক্ষে কেউ আসেনি। পরে আদালত আট সপ্তাহের জন্য তার জামিন স্থগিত রাখে।
হাইকোর্ট ২৫ সেপ্টেম্বর মনিরুজ্জামান মনিরকে জামিন দেয়। সেই জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
এদিকে একই মামলার প্রধান আসামি বহিষ্কৃত ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করে ২০ সেপ্টেম্বর আদেশ দেয় চেম্বার আদালত।
চলতি বছরের ১৪ জুন রাতে জামালপুরের বকশীগঞ্জের পাটহাটি এলাকায় সন্ত্রাসীরা সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমকে পিটিয়ে ও ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে গুরুতর আহত করে। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ জুন তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় ১৭ জুন নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বকশীগঞ্জ থানায় মাহমুদুল আলম বাবুসহ ২২ জন এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন:হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মাদক পাচারের অভিযোগে এক যাত্রীকে আটক করেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এবিপিএন)। এক্স-রে করে তার পাকস্থলি ভর্তি ইয়াবার পুটলি দেখা যায়। পরে সেগুলো অপারেশনের মাধ্যমে বের করা হয়।
কক্সবাজার থেকে একটি ফ্লাইটে করে ঢাকায় অবতনের পর রোববার সন্ধ্যায় বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ২৫ বছর বয়সী জাহিদ হোসেন কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে এবিপিএন।
এবিপিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, রোববার সন্ধ্যায় ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে জাহিদ অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে অবতরণ করলে সাদা পোশাকে দায়িত্বরত এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা দলের তাকে সন্দেহ হয়।
এক পর্যায়ে তারা তাকে আটক করে আর্মড পুলিশের অফিসে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় তিনি স্বীকার করেন তিনি পাকস্থলিতে ইয়াবা বহন করছেন এবং এর পরিমাণ হতে পারে ৩৫০০ পিস।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পাওয়ার পর এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য এয়ারপোর্ট এপিবিএন যাত্রীকে উত্তরার হলিল্যাব ডায়গনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যায় এবং তার এক্স-রে করা হয়। এক্স-রে রিপোর্টে জাহিদের পাকস্থলিতে ছোট ছোট প্যাকেট করা প্রায় ৭২টি প্যাকেটের অস্তিত্ব ধরা পড়ে।
ইয়াবার অস্তিত্ব নিশ্চিত হবার পর বিমানবন্দর থানার সহযোগিতায় জাহিদকে রাতেই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে তার পেট থেকে মোট ৭২টি ইয়াবা প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। গণনা শেষে সেখানে ৩ হাজার ৫১৮ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।
এবিপিএন আরও জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে জাহিদ জানিয়েছে যে, প্রতি ১০০০ পিস ইয়াবা বহনের জন্য তিনি ১০ হাজার টাকায় চুক্তিবদ্ধ। এই চালান পৌঁছে দিতে পারলে তিনি প্রায় ৪০ হাজার টাকা কমিশন পেতেন।
এবিপিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, ‘এর আগেও জাহিদকে গত ২৬ মে বিমানবন্দরের সামনে থেকে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করে মামলা দেয়া হয়। সেই মামলায় ১০ দিন আগে জামিন পেয়েই তিনি আবারও একই কাজ করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হলেন। জাহিদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য