× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Jabi students death after falling ill family says planned murder
google_news print-icon

অসুস্থ হয়ে জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবার বলছে পরিকল্পিত হত্যা

অসুস্থ-হয়ে-জবি-শিক্ষার্থীর-মৃত্যু-পরিবার-বলছে-পরিকল্পিত-হত্যা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজু আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত
ওয়ারী থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ময়নাতদন্তের রিপোর্টে অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া গেলে স্থানীয় থানার মাধ্যমে পুলিশই মামলা করবে। আমরা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় আছি।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ইংরেজি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র রাজু আহমেদের মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।

খিঁচুনি ও শ্বাসকষ্টে অচেতন অবস্থায় রাজুর মৃত্যু হলেও ঘটনার চার দিন পর পরিবারের পক্ষ থেকে তার মৃত্যু স্বাভাবিক নয় বলে দাবি করা হচ্ছে। পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চেয়েছেন রাজুর বাবা।

রাজুর পরিবার ও তার বন্ধুরা জানান, গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড় থেকে ফিরে শনিবার পুরান ঢাকার নারিন্দার একটি মেসে হঠাৎ খিঁচুনি দিয়ে রাজু অচেতন হয়ে পড়েন। পরবর্তী সময়ে অবস্থা খারাপ দেখে রাজুর সহপাঠী ও মেসের অন্যরা তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।

রাজুর পরিবারের দাবি, তাদের বাসার টিউবওয়েলের মধ্যে পরিকল্পিতভাবে কেউ ঘুমের ওষুধ বা এমন জাতীয় কোনো রাসায়নিক মিশিয়ে দিয়েছিল, যার ফলে বিষক্রিয়ায় রাজুর মৃত্যু হয়। একই টিউবওয়েলের পানি পান করে রাজুর পরিবারের বাকি সদস্যরাও বমি করে ও দুই দিন অতিরিক্ত ঘুমে মগ্ন ছিলেন।

রাজুর বাবা কৃষক আকতারুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার আগের দিন শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে রাজু, রাজুর মা এবং বোন একসাথে খাবার খায়। খাবার খাওয়ার পর রাজুর মা ও বোনের বমি হয়। আমি সকালের নাশতা ও টিউবওয়েলের পানি খেয়ে মাঠে বীজ বুনতে যাই।

‘এরপর বাসায় ফিরে মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে শরীর খারাপ অনুভব করি। পরে বাসায় ফিরে দেখি রাজু, রাজুর মা ও আমার ছোট মেয়ে ঘুমাচ্ছে। মাঠে কাজ থাকায় শরীর খারাপ লাগলেও আমি কাজে চলে যাই। এরপর সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে এসে দেখি, ওরা সবাই তখনও ঘুমাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার বড় বোন (রাজুর ফুফু) ওদেরকে ডাকাডাকি করলেও কোনো সাড়াশব্দ দেয়নি। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় রাজুর ঢাকায় যাওয়ার ট্রেন থাকায় রাত ৮ টার দিকে তাকে টেনে তুলে তার ফুফু। ততক্ষণে শরীর খারাপ থাকায় আমিও ঘুমিয়ে যাই।

‘রাজুর ফুপু ওকে তুলে দিয়ে, জামা কাপড় গুছিয়ে দিয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় রান্না করা খাবার টিফিন বক্সে দিয়ে বাসার পাশের এক ভ্যানগাড়িতে তুলে দেয়। তিনি রাজুকে স্টেশনে পৌঁছে দেন। সেখানে রাজুর ক্লাসমেট একই বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়ার সঙ্গে তার দেখা হয়।’

রাজুর বাবার ভাষ্য অনুযায়ী, ভ্যানচালক সাদিয়াকে বলে রাজুকে একটু দেখে রাখতে এবং তার বাসায় সবাই যে অসুস্থ সে বিষয়টিও জানান। পরবর্তী সময়ে ঢাকার ট্রেনে ওঠার আগেই রাজু তার এই সহপাঠীকে তার অসুস্থতার কারণ সন্দেহজনক বলে জানান।

তিনি জানান, তাদের টিউবওয়েলে হয়তো কেউ কিছু দিয়েছে এবং বাসার সবাই এই পানি খেয়ে ঘুমাচ্ছে।

রাজুর রুমমেট শরীয়তুল্লাহ জানান, শনিবার বিকেলে রাজুর খাওয়া-দাওয়ার পর তিনি তার গায়ে হাত দিয়ে দেখেন শরীর অনেক গরম। তখন কারণ জানতে চাইলে রাজু তাকে তাদের বাসায় এক আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটেছে এবং সবাই টানা ঘুমাচ্ছে বলে জানান।

শরীয়তুল্লাহর ভাষ্য অনুযায়ী, পরবর্তী সময়ে রাজু খেলা দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়েন। তারপর হঠাৎ খিঁচুনি ওঠার মতো হয় এবং তিনি গিয়ে রাজুকে নাড়াচাড়া করে কোনো সাড়া না পেয়ে তার আরেক রুমমেট আরাফাতকে জানান। তারপর তারা রাজুর অন্য বন্ধুদের জানিয়ে তাকে আজগর আলী হাসপাতালে নিয়ে যান।

রাজুর সহপাঠী ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সিফাত জানান, আজগর আলী হাসপাতালে নেয়া হলে সেখান থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলা হয়। দেরি না করে অ্যাম্বুলেন্সে করে রাজুকে ঢাকা মেডিক্যালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান। পরবর্তী সময়ে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়, তবে এখনও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।

এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন রাজুর বাবা।

রাজুর বাবা আকতারুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। টাকা-পয়সা না থাকলে মামলা চালাব কীভাবে? তাই প্রথমে মামলা করতে চাইনি।

‘এখন গ্রামের সবাই মামলা করার পরামর্শ দিচ্ছেন। তাই মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সুষ্ঠু বিচারের জন্য রাজুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ সবার সহযোগিতা চাই।’

এ বিষয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘এই ঘটনায় ময়নাতদন্ত হয়েছে। আমরা মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি। সংশ্লিষ্ট থানাকেও জানানো হয়েছে।’

ওয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ময়নাতদন্ত হয়ে গেছে, তবে এখনও আমরা রিপোর্ট হাতে পাইনি। ঘটনার পর রাজুর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল। স্থানীয় থানার মাধ্যমেও যোগাযোগ করা হয়েছিল, তবে তারা মামলা করতে চাননি।

‘এখন তারা চাইলেও মামলা করতে পারবেন না। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া গেলে স্থানীয় থানার মাধ্যমে পুলিশই মামলা করবে। আমরা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় আছি।’

আরও পড়ুন:
জবি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ হকারদের
জবি শিক্ষার্থীদের পেটাল স্থানীয়রা
২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি
গুচ্ছ নয়, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থী ভর্তি চায় জবি শিক্ষক সমিতি
জবি ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীর মামলা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Expired committee of Chhatra Dal in Barisal University is cancelled 

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের লোগো। ফাইল ছবি
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৬ সালে ছাত্রদলের প্রথম আংশিক কমিটি গঠিত হয় রেজা শরিফকে সভাপতি করে। পরে ২০২১ সালে রেজা শরিফ ও হাসান আল হাসিবকে সাধারণ সম্পাদক করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।  

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) শাখা ছাত্রদলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম রাহাত স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে কমিটি বিলুপ্তির বিষয়টি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো।

দ্রুত কমিটি দেয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিটিতে।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হয় ২০২১ সালে। এর তিন বছর পর কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করল সংগঠনটি।

গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের মেয়াদোত্তীর্ণ এ কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে হলের কক্ষ দখল, ছাত্রলীগকে প্রশ্রয়সহ বেশ কিছু বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে বিতর্ক ও চাপের মুখে অবশেষে ছাত্রদলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত করা হলো।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৬ সালে ছাত্রদলের প্রথম আংশিক কমিটি গঠিত হয় রেজা শরিফকে সভাপতি করে। পরে ২০২১ সালে রেজা শরিফ ও হাসান আল হাসিবকে সাধারণ সম্পাদক করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

আরও পড়ুন:
আবু সাঈদের কবর জিয়ারত ও পরিবারের পাশে ছাত্রদল
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় বিএম কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত ১৫০
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রক্টরসহ ১৯ জনের পদত্যাগ
উপাচার্যের পদত্যাগের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান ববি শিক্ষার্থীদের
শাহবাগে ছাত্র আন্দোলন ও শহীদ মিনারে ছাত্রদলের অবস্থান

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Checkpost at the entrance of DU to celebrate Durga Puja peacefully

দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনে ঢাবি’র প্রবেশমুখে চেকপোস্ট

দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনে ঢাবি’র প্রবেশমুখে চেকপোস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে পূজা মণ্ডপে উন্মুক্ত হওয়ার অপেক্ষায় প্রতীমা। ছবি: নিউজবাংলা
চেকপোস্টগুলো হলো- নীলক্ষেত, পলাশী, শাহবাগ, বার্ন ইনস্টিটিউট, দোয়েল চত্বর ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা। ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত এই চেকপোস্টের কার্যক্রম চলবে।

নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ, সুশৃঙ্খল ও উৎসবমুখর পরিবেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ছয়টি প্রবেশমুখে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।

সোমবার থেকে আগামী সাতদিন অর্থাৎ ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত এই চেকপোস্টের কার্যক্রম চলবে।

চেকপোস্টগুলো হলো- নীলক্ষেত, পলাশী, শাহবাগ, বার্ন ইনস্টিটিউট, দোয়েল চত্বর ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

দুর্গোৎসব চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আতশবাজি না করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে পূজা উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আগত সব পুণ্যার্থী ও দর্শনার্থীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন:
দুর্গাপূজায় তিন স্তরের নিরাপত্তা: আইজিপি
দুর্গোৎসব: চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Abrar Fahad Memorial Plaque at Buet

বুয়েটে ‘আবরার ফাহাদ স্মৃতিফলক’

বুয়েটে ‘আবরার ফাহাদ স্মৃতিফলক’ বুয়েটে শের-এ-বাংলা হল প্রাঙ্গণে সোমবার আবরার ফাহাদ স্মৃতি ফলকের ভিত্তি স্থাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. বি. এম. বদরুজ্জামান। ছবি: নিউজবাংলা
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. বি. এম. বদরুজ্জামান বলেন, ‘আমি আবরার ফাহাদের বাবা ও তার পরিবারবর্গের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি- আপনারা সন্তানকে আমাদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন কিন্তু আমরা তাকে রাখতে পারিনি। আল্লাহর কাছে একটিই দোয়া, ঘরে ঘরে যেন আবরার ফাহাদের মতো সন্তান আসে- যারা সত্য বলতে ভয় পাবে না, যারা দেশের জন্য লড়বে।’

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শাখা ছাত্রলীগের নির্যাতনে নিহত আবরার ফাহাদের নামে শের-এ-বাংলা হল প্রাঙ্গণে ‘আবরার ফাহাদ স্মৃতিফলক’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।

সোমবার সকাল ১১টায় এই স্মৃতিফলকের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. বি. এম. বদরুজ্জামান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ‘আমি আবরার ফাহাদের বাবা ও তার পরিবারবর্গের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি যে আপনারা সন্তানকে আমাদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন কিন্তু আমরা তাকে রাখতে পারিনি। আল্লাহর কাছে একটিই দোয়া, ঘরে ঘরে যেন আবরার ফাহাদের মতো সন্তান আসে- যারা সত্য বলতে ভয় পাবে না, যারা দেশের জন্য লড়বে।’

তিনি বলেন, ‘আবরারের জীবন থেকে আমরা এই শিক্ষাই নেব। ভবিষ্যতে আর যেন কারও আবরারের মতো জীবন দিতে না হয়। এই স্মৃতিফলক তৈরি করতে যা কিছু প্রয়োজন শের-এ-বাংলা হল অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা কাজ করে যাব।’

দীর্ঘদিন ধরেই আবরার ফাহাদের নামে স্মৃতিফলক নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন স্মৃতিফলক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। পরে কমিটি গঠনের মাধ্যমে স্মৃতিফলকের নকশা নির্বাচন করে হল প্রাঙ্গণেই এই স্মৃতিফলক নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়।

শেরেবাংলা হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার ঘোষণা দেয়া হয়।

এ সময় বুয়েটের ডিনবৃন্দ, বিভাগীয় প্রধানগণ, বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন দপ্তর-পরিদপ্তরের পরিচালকবৃন্দ, উপদেষ্টামণ্ডলী, হল প্রভোস্ট, সহকারী প্রভোস্টবৃন্দ ও শের-এ-বাংলা হল অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দসহ হলের ছাত্র, কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
আবরার ফাহাদ এই শতাব্দীর শহীদ তিতুমীর: মাহমুদুর রহমান
বুয়েটের নতুন ভিসি অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান
বুয়েটের উপাচার্য সত্য প্রসাদের পদত্যাগ
বুয়েটে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত স্থগিত
বুয়েটে নিরাপত্তা চেয়ে ফের ভিসির কাছে আবেদন ছাত্রলীগমনা ৩ শিক্ষার্থীর

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Abrar Fahad Martyr Titumir of this century Mahmudur Rahman

আবরার ফাহাদ এই শতাব্দীর শহীদ তিতুমীর: মাহমুদুর রহমান

আবরার ফাহাদ এই শতাব্দীর শহীদ তিতুমীর: মাহমুদুর রহমান সোমবার পলাশীর মোড়ে বুয়েট ক্যাম্পাসে আয়োজিত শহীদ আবরার ফাহাদ স্মরণ সভায় বক্তব্য দেন মাহমুদুর রহমান। ছবি: নিউজবাংলা
ছাত্রলীগের মারধরে নিহত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ স্মরণসভায় তার বাবা বরকত উল্লাহ বলেন, ‘আবরার ফাহাদ দেশের জন্য জীবন দিয়েছে। প্রথম দুই বছর সন্তান হত্যার বিচারের জন্য আমাদেরকে দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়েছে। রায়ের তিন বছর পার হলেও আমরা এখনও হত্যার বিচার পাইনি।’

ছাত্রলীগের মারধরে শহীদ হওয়া বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে এই শতাব্দীর শহীদ তিতুমীর বলে উল্লেখ করেছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেছেন, ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৫৪ বছরের সংগ্রামে শহীদ আবরার ফাহাদ টার্নিং পয়েন্ট।

আবরার ফাহাদের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় পলাশীর মোড়ে আয়োজিত স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এই সভার আয়োজন করে ‘আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদ’।

এর আগে ২০২০ সালে এই স্তম্ভ নির্মাণ করেন ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন। সে সময় সেটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় পুলিশ।

সোমবার এই স্মৃতিস্তম্ভ পুনঃনির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে সংগঠনটির আহ্বায়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন আবরার ফাহাদ হত্যার দিনকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘আগ্রাসন বিরোধী দিবস’ ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন।

আবরার ফাহাদ এই শতাব্দীর শহীদ তিতুমীর: মাহমুদুর রহমান

স্মৃতিস্তম্ভের ফলকে লেখা হয়েছে- ‘অনন্ত মহাকালে মোর যাত্রা, অসীম মহাকাশের অন্তে’।

উক্তিটি আবরার ফাহাদ তার ফেসবুক প্রোফাইলের বায়োতে ব্যবহার করেছিলেন।

সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, গণপ্রতিরক্ষা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা, দেশীয় শিল্প-কৃষি ও নদী-বন-বন্দর রক্ষা, সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা এবং মানবিক মর্যাদা- এই আটটি বিষয়ের প্রতীক হিসেবে তারা আটটি স্তম্ভ বানিয়েছেন।

এর আগে স্মরণ সভায় উপস্থিত হয়ে আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘শহীদ আবরার ফাহাদ আমাদের সার্বভৌমত্বের পক্ষে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আগ্রাসনবিরোধী প্রতীক। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু হলেন ফ্যাসিবাদের প্রতীক ও স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম স্বৈরশাসক।

‘আমাদের তরুণ সমাজ হাসিনার পতনের সংগ্রামে প্রথম ধাপে জয়লাভ করেছে। কিন্তু দ্বিতীয় ধাপে ভারতীয় অগ্রাসনের বিরুদ্ধে এখনও জয়লাভ করতে পারেনি। আমাদের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই আগ্রাসন রুখে দিতে হবে।’

জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘গত ১৫ বছরে যে সংবিধান আমাদের ওপর চেপে বসেছিল, যে সংবিধান আবরার ফাহাদের মৃত্যুর জন্য দায়ী, যে সংবিধান জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শত শত শহীদ হওয়ার জন্য দায়ী, যে সংবিধান হাজার হাজার মানুষের হাহাকারের জন্য দায়ী, সেই সংবিধান এখনও বাংলাদেশ রাষ্ট্রে কীভাবে বিরাজমান? আমলারা জয়বাংলার স্টেটমেন্ট দিয়ে বেড়াচ্ছেন। আমরা চাই এই সংবিধান অবিলম্বে বাতিল হোক।’

আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ বলেন, ‘আবরার ফাহাদ দেশের জন্য জীবন দিয়েছে। প্রথম দুই বছর হত্যার বিচারের জন্য আমাদেরকে দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়েছে। রায়ের তিন বছর পার হলেও আমরা এখনও হত্যার বিচার পাইনি। যে আট স্তম্ভ নির্মাণ করা হচ্ছে সেটা যেন যেকোনো বাধা-বিপত্তিতেও টিকে থাকে।’

আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদের আহ্বায়ক আখতার হোসেন বলেন, ‘আবরার ফাহাদ একক কোনো ব্যক্তি নয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রতীক। আবরার ফাহাদের খুনিদের গ্রেপ্তার করলেও বিচার প্রক্রিয়া এখনও সম্পন্ন হয়নি। অতিদ্রুত বিচার সম্পন্ন করতে হবে। খুনিদের মধ্যে যারা বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে তাদেরকেও গ্রেপ্তার করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে কোনো দেশের আগ্রাসন চলতে দেয়া হবে না। ভারতীয় আগ্রাসনকে বাংলাদেশ মেনে নেবে না। ভারতের জনগণের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। ৭ অক্টোবরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে আগ্রাসনবিরোধী দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি।’

স্মরণসভায় অন্যদের মধ্যে আবরার ফাহাদের সহপাঠী, ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজসহ বিশিষ্টজনেরা বক্তব্য দেন।

আরও পড়ুন:
বুয়েটের নতুন ভিসি অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান
বুয়েটের উপাচার্য সত্য প্রসাদের পদত্যাগ
বুয়েটে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত স্থগিত
বুয়েটে নিরাপত্তা চেয়ে ফের ভিসির কাছে আবেদন ছাত্রলীগমনা ৩ শিক্ষার্থীর
বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবিতে সাবেক শিক্ষার্থীদের ওয়েবিনার যুক্তরাষ্ট্রে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Joby is the divisional champion at the NASA Space Apps Challenge

নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন জবি

নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন জবি রাজধানীর আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি) এবং অনলাইনে গতকাল রাতে একসঙ্গে শুরু হওয়া নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ হ্যাকাথন প্রতিযোগিতার বাংলাদেশ পর্বের ফলাফল ঘোষণা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা
ফলাফলে ঢাকা বিভাগীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম ‘কোয়ান্টাম ভয়েজার্স’ তাদের গৌরবগাঁথা সাফল্য রচনা করে।

নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-২০২৪-এর বাংলাদেশ পর্বের ঢাকা বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)।

এ হ্যাকাথন শুক্রবার থেকে শুরু হয়ে একটানা ৩৬ ঘণ্টা চলার পর শনিবার সন্ধ্যা ছয়টায় শেষ হয়।

গতকাল রাতে রাজধানীর আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি) এবং অনলাইনে একসঙ্গে শুরু হওয়া নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ হ্যাকাথন প্রতিযোগিতার বাংলাদেশ পর্বের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

ফলাফলে ঢাকা বিভাগীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম ‘কোয়ান্টাম ভয়েজার্স’ তাদের গৌরবগাঁথা সাফল্য রচনা করে।

টিমের সদস্যরা হলেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের নাহিদ রায়হান (টিম লিডার), ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের জাহাঙ্গীর হোসেইন ও ফারহান মাসুদ সোহাগ, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মুয়াম্মার তাজওয়ার আসফি এবং ইউসুফ হাসান সিফাত।

গত ১০ বছর বিশ্বব্যাপী এ প্রতিযোগিতায় টানা তিনবারসহ সর্বমোট চারবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে বাংলাদেশ।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যারোনটিকস অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-নাসা আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বের ১৮৫টি দেশের প্রযুক্তিবিদ, বিজ্ঞানী, ডিজাইনার, আর্টিস্ট, শিক্ষাবিদ, উদ্যোক্তাদের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রের মেধাবী তরুণদের একত্রিত করে পৃথিবীর বিভিন্ন বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজে বের করার লক্ষ্যে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এরই অংশ হিসেবে বেসিসের উদ্যোগে বাংলাদেশের ৯টি শহরে (ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ এবং কুমিল্লা) এ আয়োজন করা হয়।

নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে এবার ১ কোটি শিক্ষার্থীকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যুক্ত করার পাশাপাশি ২ লাখ শিক্ষার্থীকে সরাসরি ও প্রতিযোগিতায় যুক্ত করার পরিকল্পনা নেয়া হয়।

এবার বাংলাদেশের ৯টি শহর থেকে ৩ হাজারেরও বেশি প্রতিযোগী অংশ নেন।

সর্বমোট ৫০০টি প্রকল্পের মধ্যে হাইব্রিড মডেলে বাছাইকৃত শীর্ষ ৫০টি নিয়ে এআইইউবিতে এবং বাকি ৪৫০টি প্রকল্প নিয়ে অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০২৪-এর দুই দিনব্যাপী নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ হ্যাকাথন।

আরও পড়ুন:
চলে গেলেন গুলিবিদ্ধ জবি শিক্ষার্থী সাজিদ
সংষর্ঘে জবি শিক্ষার্থী নিহত, বিশ্ববিদ্যালয়ের শোক
জবি বন্ধ ঘোষণা, ছাত্রীদের হল ছাড়ার নির্দেশ
জবি শিক্ষার্থীদের সংযত থাকার আহ্বান
জিরো পয়েন্ট দ্বিতীয় দিনের মতো অবরুদ্ধ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Prayers in memory of the martyrs started classes in Chabi

ফরহাদ-হৃদয়হীন চবিতে সশরীরে ক্লাস শুরু

ফরহাদ-হৃদয়হীন চবিতে সশরীরে ক্লাস শুরু সশরীরে ক্লাস শুরু হওয়া চবি ক্যাম্পাসে রোববার কোনো উচ্ছ্বাস ছিল না ইতিহাস বিভাগে। কারণ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে এই বিভাগের দুই শিক্ষার্থী শহীদ হয়েছেন। ছবি: নিউজবাংলা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় একশ’ দিন পর সশরীরে ক্লাস পরীক্ষা শুরু হয়েছে রোববার। তবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছিল বন্ধু-সহপাঠী হারানোর বেদনা। বিরাজ করছিল হৃদয় ও ফরহাদের শূন্যতা।

নবীন শিক্ষার্থী বরণে মেতেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাস। একইসঙ্গে প্রায় একশ’ দিন পর সশরীরে ক্লাস পরীক্ষা শুরু হয়েছে রোববার। তবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছিল বন্ধু-সহপাঠী হারানোর বেদনা। বিরাজ করছিল হৃদয় ও ফরহাদের শূন্যতা।

এদিন ক্লাসে যোগ দেয়ার আগে শহীদ মিনারের পাদদেশে দাঁড়িয়ে শহীদদের প্রতি সম্মান জানান শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অন্যরা।

রোববার সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সমবেত হয়ে নিজ নিজ ধর্মমতে শহীদদের জন্য প্রার্থনা করেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি সম্মান জানাতে এ সময় ‘লাল ব্যাজ’ পরিধান করেন তারা।

দীর্ঘ ৯৭ দিন বন্ধ থাকার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পাশাপাশি শুরু হয় ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী ক্লাস।

আন্দোলন-পরবর্তী ক্লাসে ফেরা নিয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলেন শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পৃথকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগের পক্ষ থেকে নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়েছে উচ্ছ্বাসের সঙ্গে। ব্যতিক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে। এই বিভাগের দুজন শিক্ষার্থী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন। তাদের একজন হৃদয় চন্দ্র তরুয়া, অন্যজন মো. ফরহাদ হোসেন।

হৃদয় ২৩ জুলাই চট্টগ্রাম বহদ্দারহাট মোড়ে আন্দোলনে গিয়ে নিহত হন। আর ফরহাদ ৪ আগস্ট নিজ এলাকায় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন। হৃদয় ছিলেন ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং ফরহাদ দ্বিতীয় বর্ষের।

আরও পড়ুন:
উপাচার্য নিয়োগ দাবিতে চবিতে শাটডাউনের ঘোষণা
চবিতে ছাত্রলীগের দফায় দফায় হামলা, ছাত্রীদের হেনস্তা
চবিতে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা
চট্টগ্রামে কোটাবিরোধীদের বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি পালন
কোটাবিরোধী আন্দোলনের পরিসর বাড়ছে চট্টগ্রামে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Dr Hashanat Ali is the Vice Chancellor of Naogaon University

নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হলেন ড. হাছানাত আলী

নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হলেন ড. হাছানাত আলী অধ্যাপক ড. মোহা. হাছানাত আলী। ছবি: সংগৃহীত
নওগাঁ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগ পেয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহা. হাছানাত আলী। তাকে চার বছরের জন্য নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর মো. সাহাবুদ্দিন।

নওগাঁ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগ পেয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইনস্টিটিউট অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহা. হাছানাত আলী। তাকে চার বছরের জন্য নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর মো. সাহাবুদ্দিন।

রোববার বিকেলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব মো. শাহীনুর ইসলাম সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহা. হাছানাত আলী বিধি অনুযায়ী পদ-সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিক ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। তিনি বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতাদি প্রাপ্য হবেন। রাষ্ট্রপতি ও আচার্য প্রয়োজনে যে কোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।

ড. হাছানাত আলী ১৯৮৫ সালে নিজ জেলা বগুড়া থেকে দাখিল ও ১৯৮৭ সালে এইচএসসি সম্পন্ন করেন। এরপর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে ১৯৯১ সালে স্নাতক ও ১৯৯২ সালে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ২০০৭ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ১৯৯৬ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন ড. হাছানাত আলী। এরপর ১৯৯৯ সালে সহকারী অধ্যাপক হন।

ড. হাছানাত আলী ২০০৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনস্টিটিউট অফ বিজনেস স্টাডিজ বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। ২০০৭ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০১৩ সালে অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান তিনি। দেশ-বিদেশে অধ্যাপক হাছানাত আলীর ২৯টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ হয়েছে।

আরও পড়ুন:
ববির নতুন উপাচার্য অধ্যাপক শুচিতা শরমিন
ইবির উপাচার্য হলেন অধ্যাপক নকীব নসরুল্লাহ
কুবির উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ
নতুন উপাচার্য পেল আরও তিন বিশ্ববিদ্যালয়
চবির নতুন উপাচার্য ড. ইয়াহ্ইয়া আখতার

মন্তব্য

p
উপরে