× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
3 arrested in Coxs Bazar for stabbing SI
google_news print-icon

কক্সবাজারে এসআইকে ছুরিকাঘাত, গ্রেপ্তার ৩

কক্সবাজারে-এসআইকে-ছুরিকাঘাত-গ্রেপ্তার-৩
কক্সবাজারে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে পুলিশের এসআই সোহেল রানা। ছবি: নিউজবাংলা
কক্সবাজার সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাজমুল হুদা বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মুন্নাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেছে।

কক্সবাজারে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এরইমধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রোববার মধ্যরাত রাত ১২টার দিকে শহরের কলাতলীর জিয়া গেস্ট ইনের পাশের সড়ক এ ঘটনা ঘটে।

আহত পুলিশ সদস্যের নাম সোহেল রানা। তিনি শহর পুলিশ ফাঁড়ির উপ পরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত আছেন।

বর্তমানে আহত ওই পুলিশ কর্মকর্তা কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, তবে তিনি এখনও শঙ্কামুক্ত নন। পুলিশের ধারণা, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা সবাই ছিনতাইকারী।

গ্রেপ্তাররা হলেন- ২২ বছর বয়সী মিসবাউল হক মুন্না , ২৩ বছর বয়সী ইমাম হোসেন ও ২৬ বছর বয়সী সুজা উদ্দিন ওরফে রুবেল পাটোয়ারী (২৬)।

পুলিশের ভাষ্য, রাতে টহলে থাকা অবস্থায় ওই পুলিশ কর্মকর্তা সোহেলের তিন যুবককে সন্দেহ হলে পরিচয় জানতে চান। এসময় তাদের একজন সোহেলের পেটে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন। ঘটনাস্থল থেকে দুজন পালিয়ে গেলেও ছুরিকাঘাত করা যুবককে ধরে ফেলেন গুরুতর আহত সোহেল রানা।

পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাৎক্ষণিক পুলিশের একটি টিম গিয়ে সোহেল রানাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাজমুল হুদা বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মুন্নাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেছে।

২০১৫ সালের ২৩ জুলাই কক্সবাজারে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে ট্যুরিস্ট পুলিশের পারভেজ নামে এক কনস্টেবল নিহত হয়েছিলেন।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Eight people were killed in a private car that lost control in the canal

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে প্রাইভেট কার, আটজন নিহত

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে প্রাইভেট কার, আটজন নিহত পিরোজপুর সদরে সোমবার রাতে দুর্ঘটনার শিকার হওয়া প্রাইভেট কার। ছবি: নিউজবাংলা
নিহত আটজনের মধ্যে দুই পুরুষ, দুই নারী ও চার শিশু রয়েছে, যাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।

পিরোজপুর সদরে বুধবার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি প্রাইভেট কার খালে পড়ে আটজন নিহত হয়েছেন।

পিরোজপুর-নাজিরপুর মহাসড়কে উপজেলার কদমতলার নূরানী গেট এলাকায় রাত সোয়া ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে পিরোজপুর ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা গাড়িটির ভেতর থেকে আটজনকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক এ কে এম আসিফ আহমেদ তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

পিরোজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মামুনুর রশীদ জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পিরোজপুর সদর থানায় ফোন করেন তিনি। তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দ্রুত উদ্ধারের জন্য সব ধরনের চেষ্টা চালান।

নিহত আটজনের মধ্যে দুই পুরুষ, দুই নারী ও চার শিশু রয়েছে, যাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।

পিরোজপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক সেলিম হোসেন মিয়া বলেন, ‘রাত দুইটা ১৭ মিনিটে আমরা সংবাদ পাই কদমতলা এলাকায় নূরানী গেটে একটি প্রাইভেট কার খালে পড়ে গেছে। সাথে সাথে আমি ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট সেখানে পাঠাই এবং আমি নিজেই সেখানে উপস্থিত হয়ে দ্রুত লাশ উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করি।’

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সোবহান বলেন, ‘গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে সংবাদটি প্রাপ্ত হয়ে দ্রুত থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় গাড়ির ভেতরে থাকা আটটি মরদেহ উদ্ধার করি, যার মধ্যে দুইজন পুরুষ, দুইজন মহিলা এবং চারজন শিশু রয়েছে।

‘পুলিশ মরদেহগুলো সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে ও লাশের সুরতহাল প্রস্তুত করে। উক্ত লাশগুলোর মধ্যে একই পরিবারের চারজনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মৃত মোতালেব হোসেন সেনাবাহিনীর সিভিল বিভাগে কর্মরত ছিলেন। এ বিষয়ে সদর থানায় যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গৃহীত হচ্ছে।’

আরও পড়ুন:
মানিকগঞ্জে মিনিবাসে ট্রাকের ধাক্কায় তিনজন নিহত, আহত ২০
কুয়াকাটা থেকে ফেরার পথে ফরিদপুরের সড়কে প্রাণ গেল দুই বন্ধুর
ডেমরায় গাড়ির ধাক্কায় নারী নিহত
অটোরিকশায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কা, পাঁচজন নিহত
গজারিয়ায় গাড়ির ধাক্কায় দুই বাইক আরোহী নিহত

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Gone is the bullet ridden life of the student movement

চলে গেলেন ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ জীবন

চলে গেলেন ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ জীবন রমজান মিয়া জীবন। ছবি: সংগৃহীত
রমজান মিয়া জীবন পুরান ঢাকার আলুবাজারে স্যান্ডেল তৈরির একটি কারখানায় কাজ করতেন। ৫ আগস্ট গুলিস্তানে মাথায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকে ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে আইসিইউতে বুধবার বিকেলে মারা যান তিনি।

কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত রমজান মিয়া জীবন মারা গেছেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বিকেল ৩টার দিকে মারা যান তিনি।

জীবন পুরান ঢাকার বংশালের আলুবাজার এলাকায় স্যান্ডেল তৈরির একটি কারখানার শ্রমিক ছিলেন।

জীবনের চাচা মোহাম্মদ রোমান মিয়া বলেন, ‘আমাদের বাড়ি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার দিলালপুর ইউনিয়নের পাঠানহাটি গ্রামে। ওর বাবার নাম মোহাম্মদ জামাল মিয়া। ভাই-ভাবী পরিবার নিয়ে মিরপুরের লালমাটি এলাকায় থাকেন। তিন বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে জীবন ছিল তৃতীয়। ওর স্ত্রী সাহারা খাতুন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ওর বাবা নর্দা এলাকার একটি বাসার নিরাপত্তা কর্মী।’

তিনি আরও বলেন, ‘জীবন বিএনপির কর্মী ছিল। ৫ আগস্ট মিরপুরের বাসায় যাওয়ার কথা বলে সকালে সে কারখানা থেকে বেরিয়ে আসে। পরে গুলিস্তানে আওয়ামী লীগ পার্টি অফিসের আশপাশের এলাকায় বেলা আনুমানিক ১১টার দিকে আহত হয় সে। পরে লোকজন তাকে রিকশায় ঢামেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।

‘সংবাদ শুনে ঢামেক হাসপাতালে এসে শতাধিক আহতের মাঝে ওকে খুঁজে পাই। শুনেছি ওর মাথায় গুলি লেগেছে। জ্ঞান ছিল না। আর জ্ঞান ফেরেনি। হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থেকে আজ ছেলেটা একেবারে চলেই গেল।’

আরও পড়ুন:
অভ্যুত্থানে নিহত প্রতিটি শিশুর পরিবার পাবে পঞ্চাশ হাজার টাকা
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে নিহত ১৫৮১, আহত ৩১ হাজার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Rizveer called for quick elections to bring back democratic politics

গণতান্ত্রিক রাজনীতি ফেরাতে দ্রুত নির্বাচনের আহ্বান রিজভীর

গণতান্ত্রিক রাজনীতি ফেরাতে দ্রুত নির্বাচনের আহ্বান রিজভীর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘কোথায় যেন একটা ঢিলেঢালা ভাব! এভাবে চলবে না। আপনাদের ভেতর থেকে যদি কেউ অন্য উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করতে চায়, তাহলে বলে রাখতে চাই- আমরা আন্দোলন থেকে চূড়ান্ত ইস্তফা দেইনি। আমরা আন্দোলনী ঝড়ের আর্তনাদ আপনাদেরও শুনাব। তাই অবিলম্বে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।’

দেশে গণতান্ত্রিক রাজনীতি ফিরিয়ে আনতে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।

রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে বুধবার বিএনপির উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে গণসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ-পূর্ব এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান।

অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে রিজভী বলেন, ‘কোথায় যেন একটা ঢিলেঢালা ভাব! এভাবে চলবে না। আপনাদের ভেতর থেকে যদি কেউ অন্য উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করতে চায়, তাহলে আমি বলে রাখতে চাই- আমরা আন্দোলন থেকে চূড়ান্ত ইস্তফা দেইনি। আমরা আন্দোলনী ঝড়ের আর্তনাদ আপনাদেরও শুনাব। যদি নিজেরা শুধরে না যান, যদি সংস্কার ও নির্বাচনের মধ্যে রহস্য থাকে তাহলে আপনাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) প্রতিরোধের ঝড়ের নিনাদ শুনতে হবে। তাই সুষ্ঠু ধারায় গণতান্ত্রিক রাজনীতি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।’

বিএনপি’র এই নেতা বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দল এবং দেশের সর্বস্তরের জনগণের সমর্থনের সরকার। এই সরকার যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে গণতন্ত্র ও জনগণ ব্যর্থ হবে। শেখ হাসিনার মতো কুলাঙ্গারের যেন প্রত্যাবর্তন না হয়, এটাই জনগণ চায়।’

রিজভী বলেন, ‘বিএনপি একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক দল। গত ১৬/১৭ বছর নিরন্তর সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দলটি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চাঙ্গা রেখেছে। এ কারণে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার রোষানলে পড়ে গুম-খুনের শিকার হতে হয়েছে অসংখ্য নেতাকর্মীকে। অনেককে হাত-পা ভেঙে পঙ্গুত্ব বরণে বাধ্য করেছে। অনেককে অন্ধ করে দিয়েছে শেখ হাসিনার পুলিশ! কিন্তু কেন যেন মনে হয়, কতিপয় উপদেষ্টা সেই বিএনপিকে একচোখে দেখার চেষ্টা করছেন।’

জনগণ ভোট দিতে উন্মুখ হয়ে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার সফল হোক আমরা চাই। কিন্তু সফলতার নামে, সংস্কারের নামে নির্বাচন আয়োজন দীর্ঘায়িত করা হলে মানুষ তাদেরকে সন্দেহ করবে।’

বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতা নাজিম উদ্দীন আলম, সাইফুল আলম নীরব, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আমিনুল হক, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, যুবদল নেতা এস এম জাহাঙ্গীর, মেহবুব মাসুম শান্ত প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
গণতন্ত্রকামীদের পক্ষের মেধাবী লোক প্রশাসনে বসান: রিজভী
স্বৈরশাসকের পুনর্বাসন হলে দেশ ঘাতকের অভয়ারণ্য হবে: রিজভী
ভারতের সঙ্গে করা সব গোপন চুক্তি প্রকাশ করা হোক: রিজভী
গাড়ি পোড়ানোর মামলা থেকে খালাস পেলেন ফখরুল, রিজভীসহ আটজন
বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করলে ভালো হবে না

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Call on India to stop repeating border killing protests

সীমান্তে হত্যার প্রতিবাদ, পুনরাবৃত্তি বন্ধে ভারতের প্রতি আহ্বান

সীমান্তে হত্যার প্রতিবাদ, পুনরাবৃত্তি বন্ধে ভারতের প্রতি আহ্বান সীমান্তে বিএসএফ সদস্যদের টহল। ফাইল ছবি
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে পাঠানো প্রতিবাদলিপিতে বাংলাদেশ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সীমান্ত হত্যা ‘শূন্যের কোঠায়’ নামিয়ে আনতে বার বার প্রতিশ্রুতি দেয়া সত্ত্বেও সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যা অব্যাহত রয়েছে। এ ধরনের ঘটনা অনভিপ্রেত ও অযৌক্তিক। এটা ১৯৭৫ সালের যৌথ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত কর্তৃপক্ষের নির্দেশিকার শর্তাবলীর লঙ্ঘন।

সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের সরকারকে এ ধরনের জঘন্য কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। একইসঙ্গে সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করে দায়ীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানানো হয়েছে।

সোমবার (৭ অক্টোবর) ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত হন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার কামাল হোসেন। এ ঘটনার পর বুধবার আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে পাঠানো প্রতিবাদলিপিতে বাংলাদেশ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সীমান্ত হত্যা ‘শূন্যের কোঠায়’ নামিয়ে আনতে বার বার প্রতিশ্রুতি দেয়া সত্ত্বেও সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যা অব্যাহত রয়েছে।

বাংলাদেশ সরকার জোর দিয়ে বলেছে, সীমান্ত হত্যার এই ধরনের ঘটনা অনভিপ্রেত ও অযৌক্তিক। এ ধরনের কর্মকাণ্ড ১৯৭৫ সালের যৌথ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত কর্তৃপক্ষের নির্দেশিকার শর্তাবলীর লঙ্ঘন।

মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ৩১ বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে বিএসএফ। তাদের মধ্যে ২৮ জনই বিএসএফের গুলিতে নিহত হন।

এতে বলা হয়, ২০০৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বিএসএফের হাতে নিহত বাংলাদেশির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৬৩ জন।

আরও পড়ুন:
সীমান্ত হত্যা: বিএসএফের সঙ্গে বৈঠকে কড়া প্রতিবাদ বিজিবির
সীমান্ত হত্যা: গভীর রাতে কিশোরের মরদেহ ফেরত বিএসএফের
বিএসএফের গুলিতে ছেলে নিহত, বাবা আহত
বিএসএফের গুলিতে স্বর্ণা দাশ নিহতের ঘটনায় ঢাকার তীব্র প্রতিবাদ
বিএসএফের বিরুদ্ধে কিশোরীকে গুলি করে মরদেহ নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Four cases against the former home minister and his wife and children
শত শত কোটি টাকার অবৈধ লেনদেন

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্ত্রী-সন্তানের বিরুদ্ধে চার মামলা

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্ত্রী-সন্তানের বিরুদ্ধে চার মামলা আসাদুজ্জামান খান কামাল। ফাইল ছবি
অবৈধ অর্থ লেনদেনের অভিযোগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও তার স্ত্রী-সন্তানের বিরুদ্ধে চারটি মামলা করেছে দুদক। এর বাইরে তার একান্ত সচিব মনির হোসেনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।

অবৈধ অর্থ লেনদেনের অভিযোগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও তার স্ত্রী-সন্তান এবং একান্ত সচিব মনির হোসেনের বিরুদ্ধে পাঁচটি পৃথক মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন বুধবার এসব তথ্য জানান।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, অনুসন্ধানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তার স্ত্রী লুৎফুল তাহমিনা খান, তাদের ছেলে সাফি মুদ্দাসির খান ও মেয়ে সাফিয়া তাসনিম খানের অবৈধ সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে। আসাদুজ্জামান ও তার স্ত্রী-সন্তানদের ৬০ কোটি ৫৫ লাখ ৯৯ হাজার ১৫৬ টাকার অবৈধ সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুদক। পাশাপাশি তাদের নামে ৩৬টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৪১৬ কোটি ৭৪ লাখ ৮৬ হাজার ১৯ টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

আর দুদকের অনুসন্ধানে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব মো. মনির হোসেনের ১৮ কোটি ৮২ লাখ ৫৬ হাজার ১৪২ টাকার অবৈধ সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তার ১২টি ব্যাংক হিসাবে ৩১ কোটি ৩১ লাখ ৭০ হাজার ৮৩৪ টাকা অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে আসাদুজ্জামান আত্মগোপনে রয়েছেন। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বিএফআইইউ’র নির্দেশে ১৩ আগস্ট আসাদুজ্জামান খান কামাল, তার স্ত্রী, পরিবারের সদস্য ও তাদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে।

মামলায় কামালের বিরুদ্ধে ১৬ কোটি ৪১ লাখ ৫৭ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও আটটি ব্যাংক হিসাবে ৫৫ লাখ ৯২ লাখ ৪৪ হাজার ৪৩৬ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন এবং মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনে দুদক। এই মামলার বাদী দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। এই মামলার একমাত্র আসামি আসাদুজ্জামান খান কামাল।

দ্বিতীয় মামলায় স্ত্রী লুৎফুল তাহমিনা খানের সঙ্গে আসামি কামাল। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, কামালের দুর্নীতির টাকায় সম্পদশালী হয়েছেন তাহমিনা। তাহমিনার ১০টি ব্যাংক হিসাবে ৪৩ কোটি ৭৭ হাজার ৭৪৫ টাকার লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭ (১), মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২), ৪ (৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এই মামলার বাদী দুদকের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন।

তৃতীয় মামলার আসামি কামাল ও তার ছেলে শাফি। তাদের বিরুদ্ধে ১৯ কোটি ৮৯ লাখ ৭৮ হাজার ৫০২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। শাফি তার নামে ব্যাংক হিসাব খুলে সেখান ৮৪ কোটি ৭৭ লাখ ৫৭ হাজার ৫৭২ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করেছেন।

চতুর্থ মামলার আসামি কামাল ও তার মেয়ে শাফিয়া তাসনিম। তাদের বিরুদ্ধে আট কোটি ৭৭ লাখ ৬৮ হাজার ৪৮৯ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। শাফিয়ার ব্যাংক হিসাবে ২৬ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার ৫৪২ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন পাওয়া গেছে।

পঞ্চম মামলায় আসামি কামালের এপিএস মনির হোসেন। তার বিরুদ্ধে ১৮ কোটি ৮২ লাখ ৫৬ হাজার ১৪২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ব্যাংক হিসাবে ৩১ কোটি ৩১ লাখ ৭০ হাজার ৮৩৪ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের পেয়েছে দুদক।

গত ১৫ আগস্ট আসাদুজ্জামান খান কামাল ও তার পাঁচ সহযোগীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। ২১ আগস্ট কামালের পরিবার এবং তার সাবেক পিএস হারুন অর রশিদ বিশ্বাস, যুগ্ম সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্লা ইব্রাহিম হোসেন, সহকারী একান্ত সচিব মনির হোসেন এবং জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপুসহ আটজনের ব্যাংক হিসাবের সব লেনদেনের তথ্য তলব করা হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আসাদুজ্জামান খান কামাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই ঘুষ হিসেবে বস্তা বস্তা টাকা নিতেন। পুলিশ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও ফায়ার সার্ভিস থেকে এই টাকা আদায় করা হতো। এজন্য তৎকালীন অতিরিক্ত সচিব ড. হারুন অর রশীদ বিশ্বাসের নেতৃত্বে সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন তিনি।

আরও পড়ুন:
জয় ও কুবি ভিসিসহ ১৯ জনের নামে তথ্য ফাঁসের মামলা
বরখাস্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ‌ঊর্মির নামে মামলা, সমন
সাবেক এমপি হেনরী ও স্বামী লাবুর নামে চার মামলা
পতিত সরকারের চার মন্ত্রী আরও দুই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার
শেখ হাসিনা ও শামীম ওসমানের নামে হত্যা মামলা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Five member advisory committee on NBR reform

এনবিআর সংস্কারে পাঁচ সদস্যের পরামর্শক কমিটি

এনবিআর সংস্কারে পাঁচ সদস্যের পরামর্শক কমিটি
পরামর্শক কমিটির সদস্যরা হলেন- এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ ও নাসিরউদ্দিন আহমেদ, দেলোয়ার হোসেন (কর), ফরিদ উদ্দিন (শুল্ক) ও আমিনুর রহমান (কর)।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সংস্কারে পাঁচ সদস্যের পরামর্শক কমিটি গঠন করেছে সরকার। বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছে।

পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট এই পরামর্শক কমিটির সদস্যরা হলেন- আব্দুল মজিদ, নাসিরউদ্দিন আহমেদ, দেলোয়ার হোসেন (কর), ফরিদ উদ্দিন (শুল্ক) ও আমিনুর রহমান (কর)।

তাদের মধ্যে আব্দুল মজিদ ও নাসিরউদ্দিন আহমেদ এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান। বাকিরাও সাবেক কর্মকর্তা।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়- রাজস্ব নীতি, রাজস্ব প্রশাসন, এনবিআরের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার মূল্যায়ন ও আধুনিকায়ন, শুদ্ধাচার ও সুশাসনের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ও নীতিমালা প্রণয়ন, নাগরিক যোগাযোগ ও অংশীজন সম্পৃক্ততার কার্যক্রম ও রাজস্ব সংস্কার সংশ্লিষ্ট যেকোনো নীতিগত পরামর্শ দেবে এই কমিটি।

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এই সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানামুখী সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। তার ধারাবাহিকতায় এনবিআর সংস্কারে পরামর্শক কমিটি গঠন করা হলো।

এদিকে চলতি মাসে আয়কর আইন পর্যালোচনা করতে সাত সদস্যবিশিষ্ট একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। কর কমিশনার ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ মামুন এই টাস্কফোর্সের প্রধান।

এই টাস্কফোর্স আয়কর আইন, বিধি ও প্রজ্ঞাপনগুলোর খুঁটিনাটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। রাজস্ব আদায়ে নতুন আইনের প্রভাবও বিশ্লেষণ করবে টাস্কফোর্স। এছাড়া বিভিন্ন খাতে যে কর ছাড় দেয়া হয়েছে, এসব কর ছাড়ের প্রভাব ও যৌক্তিকতা নিয়েও কাজ করবে তারা। করছাড়ের বিষয়ে সুপারিশ থাকবে টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনে।

আরও পড়ুন:
সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্য হলেন যারা
পুলিশে সংস্কারে প্রয়োজনে ওয়েবসাইটে সাধারণের মতামত নেবে কমিশন
রাষ্ট্র সংস্কারে পাঁচটি কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন
সংস্কারের সুনির্দিষ্ট সুপারিশ তুলে ধরবে বিএনপি: সালাহউদ্দিন
সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের আগেই দলগুলোর সঙ্গে বসবে সরকার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Hasina and 11 people are accused in the tribunal by the former army officer who is the victim of disappearance

হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গুমের শিকার সাবেক সেনা কর্মকর্তার

হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গুমের শিকার সাবেক সেনা কর্মকর্তার বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল শেষে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেন গুমের শিকার সাবেক সেনা কর্মকর্তা হাসিনুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
সাবেক সেনা কর্মকর্তা হাসিনুর রহমান বীরপ্রতীক বলেন, ‘আমাকে গুম করার ঘটনার বিচার চেয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করেছি। আমাকে দুই দফায় গুম করা হয়। সেখানে অমানুষিক ও বর্বরোচিত নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আয়না ঘরে আমাকে এই নির্মম নির্যাতন করা হয়।’

ক্ষমতাচ্যুত সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।

গুমের শিকার সাবেক সেনা কর্মকর্তা হাসিনুর রহমান বীরপ্রতীক বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বরাবর এই অভিযোগ দাখিল করেন।

অভিযোগ দাখিল শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন হাসিনুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমাকে গুম করার ঘটনার বিচার চেয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করেছি। আমাকে দুই দফায় গুম করা হয়। সেখানে অমানুষিক ও বর্বরোচিত নির্যাতনের শিকার হয়েছি।

‘আয়না ঘরে আমাকে এই নির্মম নির্যাতন করা হয়। গুমের শিকার সাবেক সেনা কর্মকর্তা আজমিসহ আরও অনেককে সেখানে দেখতে পেয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘গুমের ঘটনায় ন্যায়বিচার, ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন চেয়েছি।’

হাসিনুর রহমান বীরপ্রতীক বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) সাবেক কর্মকর্তা। সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত হওয়ার সময় তিনি লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে ছিলেন। তিনি ২০১৮ সালের ৮ আগস্ট থেকে এক বছর ছয় মাস ১৪ দিন আয়নাঘরে গুম ছিলেন।

চাকরিতে থাকা অবস্থায়ও তাকে দীর্ঘদিন গুম করে রাখা হয়েছিল বলে জানান এই খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার তত্ত্বাবধানে একটি চক্র চরম বেআইনি ও অমানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছিল। বাংলাদেশের গর্বিত সেনাবাহিনীর একটি উচ্ছিষ্টলোভী অংশ এই অন্যায় কাজে জড়িত ছিল। আশা করি তা তদন্তে বের হয়ে আসবে।’

হাসিনুর রহমান জানান, সেনাবাহিনীতে চাকরি করা অবস্থায় ২০০৮ সালে তাকে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে কাজ করতে বলা হয়। তিনি অনীহা প্রকাশ করলে ক্ষুব্ধ হয়ে তার ওপর নানা নির্যাতন শুরু হয়। ২০১২ সালে তাকে সেনাবাহিনী থেকেও বরখাস্ত করা হয়।

পিলখানায় বিডিআর হত্যাযেজ্ঞের ঘটনায় একজন সেনা কর্মকর্তা হিসেবে উচ্চবাচ্য ও প্রতিবাদ করাও তার ওপর পরিচালিত নির্যাতনের অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করেন এই সাবেক সেনা কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ফজলে করিম চৌধুরীর একটি অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়াও আমার ওপর নির্যাতনের কারণ ছিল।

‘গুম নিয়ে মিডিয়ায় কথা বলায় আমার বিরুদ্ধে ১০টির বেশি মামলা হয়। আমি কারাগারে ছিলাম। খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার পরও জেলখানায় আমাকে ডিভিশন দেয়া হয়নি।’

হাসিনুর রহমান বলেন, ‘র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নে কর্মরত থাকা অবস্থায় জঙ্গিদের আটকে আমার সাফল্যের কথা সবাই জানেন। জেলে আটক অবস্থায় আমাকে জঙ্গি দিয়ে হত্যার অপচেষ্টা চালানো হয়েছিল। নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবি প্রধান শায়খ আব্দুর রহমানের ছেলে কারাবন্দি নাবিল আমাকে হত্যা করা হবে বলে জানিয়েছিল। আল্লাহর অশেষ কৃপায় আমি প্রাণে রক্ষা পেয়েছি।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদসহ সব শহীদ ও আহতদের প্রতি স্যালুট জানিয়ে হাসিনুর রহমান বলেন, ‘তাদের আত্মত্যাগের কারণেই আজ ন্যায়বিচার পাওয়ার আশা ও স্বাধীন-মুক্ত পরিবেশে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি।’

মন্তব্য

p
উপরে