মেট্রোরেলের জানালায় ঢিল ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে ট্রেনের একটি কোচের জানালার কাঁচ ভেঙে গিয়েছে। এ ঘটনায় কাফরুল থানায় অভিযোগ করেছে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
সোমবার দুপুরে কাফরুল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাফিজুর রহমান এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, রোববার আগারগাঁও স্টেশন থেকে শেওড়াপাড়া হয়ে কাজীপাড়া দিয়ে উত্তরা যাওয়ার সময় মেট্রোরেলে ঢিল ছোড়া হয়। ঘটনাটি ঘটে কাজীপাড়া বর্ডার এলাকায়। এ বিষয়ে গতকাল একটি অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। অভিযোগটি আজ মামলা আকারে দায়ের হওয়ার প্রস্তুতি চলছে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলছি কোন আইনে মামলাটি করা যায়।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ আটক আছে কি না জানতে চাইলে কাফরুল থানার ওসি বলেন, এখনও এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। তবে আমাদের বেশ কয়েকটি টিম জোরালোভাবে কাজ করছে।
তিনি বলেন, কোথায় থেকে ঢিলটি মারা হয়েছে এবং কারা এই কাজটির সঙ্গে জড়িত সে বিষয়ে আমরা গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি। অভিযুক্তরা সনাক্ত হলেই তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে ডিএমটিসিএলের ম্যানেজার (সিভিল এন্ড পি-ওয়ে) মাহফুজুর রহমান বলেন, গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার পর আগারগাঁও থেকে উত্তরা উত্তর স্টেশনগামী একটি মেট্রো ট্রেন কাজীপাড়া স্টেশনের ঢোকার মুখে একটি জানালার কাঁচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তিনি জানান, ঘটনাটি কাজীপাড়া মেট্রো স্টেশনের ঠিক দক্ষিণ প্রান্তে ঘটে। যখন ট্রেনটি স্টেশনের ঢুকতে যাচ্ছে, ঠিক এমন সময় বিকট একটি আওয়াজে জানালার গ্লাসটি ভেঙে যায়। ট্রেন ছিল পশ্চিম দিকের ট্র্যাকে, আর পূর্ব দিক থেকে ঢিল আসে। যার ফলে ট্রেনের পূর্ব দিকের একটি ক্লাস ভেঙে গেছে। যিনি এই রিপোর্ট প্রথম করেছেন, তার ভাষ্যমতে এটি কাজীপাড়া স্টেশনে ঢোকার ঠিক একটু আগে ঘটে।
মাহফুজুর রহমান বলেন, আমরা সঠিক লোকেশনটা গতকালকে বের করার চেষ্টা করেছি। পুলিশের কর্মকর্তারা বিষয়টি দেখছেন, তারা ফাইন্ড আউট করার চেষ্টা করছেন কীভাবে বিষয় ঘটনাটি ঘটল।
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে রাজধানীর চানখারপুলে ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আটজনের বিরুদ্ধে নবম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ।
রোববার (৫ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেল এ সাক্ষ্যগ্রহণ হবে। এ দিন ট্রাইব্যুনালে তিনজন সাক্ষীর জবানবন্দি নেওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে, ২৫ সেপ্টেম্বর অষ্টম দিনের মতো সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
ওই দিন জবানবন্দি দিয়েছেন তিন সাক্ষী। এর মধ্যে এক পুলিশ সদস্যও ছিলেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাদের জেরা করেন স্টেট ডিফেন্স ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন ১৭ জন।
ট্রাইব্যুনালে ওই দিন প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর আবদুস সাত্তার পালোয়ান ও মামুনুর রশীদ।
১৪ আগস্ট সপ্তম দিনে সাক্ষ্য দিয়েছেন তিনজন। এর মধ্যে দুজন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্য ছিলেন। তারা হলেন- কনস্টেবল অজয় কুমার ও কনস্টেবল আবদুর রহমান।
১১ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠ কার্যদিবসে প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সাক্ষ্য দেন রাজধানীর নিউমার্কেটের দোকানের কর্মচারী মো. টিপু সুলতান ও নৌবাহিনীতে মালামাল সরবরাহকারী মো. মনিরুজ্জামান।
৭ সেপ্টেম্বর পঞ্চম দিনের মতো জবানবন্দি দেন তিনজন। এর মধ্যে একজন শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের মা সানজিদা খান দীপ্তি। বাকি দুজন হলেন- আনাসকে গুলি করতে দেখা প্রত্যক্ষদর্শী রাব্বি হোসেন ও ব্যবসায়ী আবদুল গফুর।
২১ আগস্ট চতুর্থ দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়। ওই দিন ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দিয়েছেন শহীদ রাকিব হোসেন হাওলাদারের বাবা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও বড় ভাই রাহাত হাওলাদার। তারা দুজনই হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন।
১৩ আগস্ট তৃতীয় দিনে সাক্ষ্য দেন শহীদ ইয়াকুবের মা রহিমা আক্তার, তার প্রতিবেশী চাচা শহীদ আহমেদ ও শহীদ মো. ইসমামুল হকের ভাই মহিবুল হক।
১২ আগস্ট দ্বিতীয় দিনে জবানবন্দি দিয়েছেন দুজন। এর মধ্যে একজন কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আঞ্জুয়ারা ইয়াসমিন ও আরেকজন শেখ মাহদী হাসান জুনায়েদের বাবা শেখ জামাল হাসান।
১১ আগস্ট চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের সূচনা বক্তব্য শেষে মামলার প্রথম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন শহীদ আনাসের বাবা সাহরিয়ার খান পলাশ। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ১৪ জন জবানবন্দি দিয়েছেন।
এ মামলার গ্রেফতার চার আসামি হলেন- শাহবাগ থানার সাবেক ওসি (অপারেশন) মো. আরশাদ হোসেন, কনস্টেবল মো. সুজন মিয়া, মো. ইমাজ হোসেন ইমন ও মো. নাসিরুল ইসলাম।
পলাতক আসামিরা হলেন- সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ আলম মো. আখতারুল ইসলাম ও রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল।
গত ১৪ জুলাই চানখারপুলের মামলাটির পলাতক চার আসামিসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট চানখারপুল এলাকায় শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে গুলি চালায় পুলিশ। এতে বহু হতাহতের ঘটনার পাশাপাশি শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ জুনায়েদ, মো. ইয়াকুব, মো. রাকিব হাওলাদার, মো. ইসমামুল হক ও মানিক মিয়া শাহরিক নিহত হন।
বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় টেলিভিশন শো ব্যাচেলর পয়েন্টের সাথে বিশেষ অংশীদারিত্বে দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচিত হয়েছে অপো এ৬ প্রো, বলে জানিয়েছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি ব্র্যান্ড অপো। এই মাইলফলক উদযাপনে এবার শোটির বহুল প্রতীক্ষিত ‘বছরের সবচেয়ে বড় বাচেলর ট্রিপ’ স্পেশাল এপিসোডের আরও আনন্দ-হাসি, পাগলামি ও অবিস্মরণীয় মুহূর্তের সঙ্গী হতে যাচ্ছে অপো এ৬ প্রো। স্পেশাল এপিসোডে দেখা যাবে, গ্যাংটি হাস্যরস ও আবেগ সহ একটি অবিস্মরণীয় যাত্রায় বের হয়, যেখানে অপো এ৬ প্রো নিখুঁত ভ্রমণসঙ্গী হয়ে ওঠে।
অপো এ৬ প্রো এর আন্ডারওয়াটার ভিডিওগ্রাফি মোড ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে; পানীর নিচে অ্যাডভেঞ্চার ধারণ করার সুযোগ করে দেয়। এর ৭০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি দীর্ঘ সময় ধরে চালু থাকতে সহায়তা করে, ৮০ ওয়াট সুপারভুক ফাস্ট চার্জিং যেকোনো সময় দ্রুত চার্জ করতে সক্ষম। ভ্রমণকারীরা এর রিভার্স চার্জিংয়ের মাধ্যমে ব্যাটারির সক্ষমতা শেয়ার করতে পারেন। দীর্ঘ সড়কযাত্রার জন্য, উন্নত সুপারকুল ভিসি সিস্টেম ডিভাইসটিকে ঠান্ডা রাখে, এমনকি দীর্ঘসময় নিরবচ্ছিন্ন ব্যবহার করা হলেও এটি অ্যাডভেঞ্চারের জন্য যথার্থ সঙ্গী হিসেবে থাকবে।
অপো এ৬ প্রো-এর বেজেল-লেস আলট্রা ব্রাইট অ্যামোলেড স্ক্রিন ম্যাপ, বিনোদন ও ছবি দেখার সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে, এর কালারওএস ১৫ মাল্টিটাস্কিংকে সহজ ও সুনির্দিষ্ট করে তোলে। ৬০ মাসের ফ্লুয়েন্সি সার্টিফিকেশনের মাধ্যমে ডিভাইসটি বছরের পর বছর ধারাবাহিক পারফরম্যান্স প্রদান করে। এআই ইমেজিং ও এআই নেটওয়ার্কস পরিষ্কার ছবি ধারণ ও স্থিতিশীল সংযোগ নিশ্চিত করে; পাশাপাশি, এআই এডিটর ২.০ ব্যবহারকারীদের ট্র্যাভেল মেমোরি ইনস্ট্যান্ট সম্পাদনা করার সুযোগ করে দেয়। এআই লিঙ্কবুস্ট ৩.০ আরও উন্নত নেটওয়ার্ক সক্ষমতা নিশ্চিত করে, ভ্রমণকারীদের দূরের বা ভিড়যুক্ত স্থানেও একইরকম সংযুক্ত রাখে।
এই উন্মোচন উদযাপনে অপো বাংলাদেশ আকর্ষণীয় প্রি-অর্ডার অফার চালু করেছে। যারা অপো এ৬ প্রো আগেই অর্ডার করবেন, তারা একটি ট্রেন্ডি অপো ব্যাকপ্যাক ও দুই বছরের অফিসিয়াল ওয়ারেন্টি পাবেন। ডিভাইসটিকে আরও সহজলভ্য করতে কার্ডলেস ইজি ইএমআই এবং ০% সুদে ১২ মাস পর্যন্ত ব্যাংক ইএমআই সহ নমনীয় পেমেন্ট অপশন প্রদান করেছে টপপে। ফ্লিপারের মাধ্যমে একটি এক্সচেঞ্জ অফারে রয়েছে আরও ২,০০০ টাকা ডিসকাউন্ট।
রোজউড রেড ও স্টেলার ব্লু এই দুইটি অনন্য রঙে অপো এ৬ প্রো (৮ জিবি র্যাম + ২৫৬ জিবি স্টোরেজ) নিয়ে আসা হচ্ছে মাত্র ৩৪,৯৯০ টাকায়। ক্রেতারা এখন দেশের সকল অপো ব্র্যান্ড শপ, অনুমোদিত আউটলেট ও অনলাইন শপগুলো থেকে প্রি-অর্ডার করতে পারবেন এবং অপোর এক্সক্লুসিভ গিফট ও অফার উপভোগ করার সুযোগ পাবেন।
এ বিষয়ে অপো বাংলাদেশ অথোরাইজড এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়াং বলেন, “অপো সবসময় উদ্ভাবন ও লাইফস্টাইলের মাধ্যমে তরুণদের সাথে অর্থপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করায় গুরুত্বারোপ করেছে। বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় শো, ব্যাচেলর পয়েন্টের সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমরা দেখাতে পেরেছি কীভাবে আজকের তরুণদের প্রাণবন্ত, অ্যাডভেঞ্চারপূর্ণ ও মজাদার স্পিরিটের সাথে অপো এ৬ প্রো মানানসই। আমরা বিশ্বাস করি এ সহযোগিতা কেবল দর্শকদের বিনোদন দেবে না; বরং, অপো এ৬ প্রোকে তাদের বিশ্বস্ত সঙ্গী হিসেবে নিয়ে প্রতিটি যাত্রা উপভোগ করতে অনুপ্রাণিত করবে।”
প্রিমিয়ার দেখতে ভিজিট করুন https://www.facebook.com/share/17RPS4DPgz/ এবং অপো এ৬ প্রো সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন https://www.oppo.com/bd/smartphones/series-a/a6-pro/.
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসের পেছনে আরেক বাসের ধাকায় এক যুবক (৩৫) নিহত হয়েছেন। রোববার সকাল সাড়ে আটটার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের সিরাজদীখান উপজেলার চালতিপাড়া নামক এলাকায় মাওয়াগামী লেনে এ দুর্ঘটনায় অন্তত আটজন আহত হয়েছেন।
নিহত ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি। তবে তিনি দুর্ঘটনাগ্রস্ত ইমাদ পরিবহনের হেলপার ছিলেন বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, এক্সপ্রেসওয়ের মাওয়ামুখী চালতি পাড়া নামক এলাকায় হানিফ পরিবহনের দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসের পেছনে মাওয়াগামী ইমাদ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ইমাদ পরিবহনের বাসটির সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই বাসটির হেলপার মারা যায়। এতে ইমাদ পরিবহনের চালকসহ আহত হয় অন্তত আটজন। আহতেদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হাসাড়া হাইওয়ে থানার এসআই নুর মোহাম্মদ বলেন, হানিফ পরিবহনের বাসটি নষ্ট হওয়ার কারণে বাসটি রাস্তায় থামানো ছিল। কিন্ত ইমাদ পরিবহনের দ্রুতগামী বাস হানিফ পরিবহনের পেছনে ধাক্কা দিলে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই ইমাদ পরিবহনের হেলপার মারা যায়। চালকসহ কয়েকজন আহত আছে তাদের শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।
দুর্ঘটনার ফলে এক্সপ্রেসওয়েতে মাওয়ামুখী লেনে ৪০ মিনিটের মতো যান চলাচল বিঘ্নিত হয় এবং দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে হাসাড়া হাইওয়ে থানার এসআই নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘সড়ক এখন স্বাভাবিক আছে।’
চলতি বছরের প্রথম আট মাসে সারা দেশে ৫৪ নারী যৌন হয়রানি এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৫৪ কন্যাশিশু। একই সময়ে ৩৯০ কন্যাশিশু ধর্ষণ ও গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। আর আত্মহত্যা করেছে ১০৪টি শিশু। কন্যাশিশুর প্রতি নির্যাতন ও সহিংসতার চিত্র পর্যবেক্ষণবিষয়ক এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম।
গতকাল শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহায়তা করেছে এডুকো বাংলাদেশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের আট মাসে ৩৪ জন শিশু অপহরণ ও পাচারের শিকার হয়েছে।
এর মধ্যে ১৮ জন কন্যাশিশুকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এই সময়ে ৮৩ জন কন্যাশিশু খুন হয়েছে এবং ৫০ জন কন্যাশিশুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে, যাদের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদন তুলে ধরেন জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটর সৈয়দা আহসানা জামান এ্যানি। তিনি বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের মধ্য দিয়ে অবশ্যই নারীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে, যাতে একজন নারী বা কন্যাশিশু যেকোনো সময়ে কোনো ধরনের সহিংসতার ভয় ছাড়াই ঘর-বাসা থেকে বের হতে পারেন এবং নির্বিঘ্নে পথ চলতে পারেন।
জানুয়ারি থেকে আগস্টের এই সময়ে মোট ৫৪ জন কন্যাশিশু যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। তবে ২০২৩ সালের তুলনায় কম। ২০২৪ সালের একই সময়ে ২৮ জন এবং ২০২৩ সালে ১১৭ জন কন্যাশিশু যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। কন্যাশিশু ও নারীরা পথেঘাটে, যানবাহনে, বাজারে, জনবহুল স্থানে, এমনকি শিক্ষা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ বাসাবাড়িতে হরহামেশা যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন।
সংকট থেকে উত্তরণে ১১টি সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের পক্ষ থেকে। এর মধ্যে যৌন হয়রানি, উত্ত্যক্তকরণ ও নিপীড়ন রোধে সর্বস্তরের জন্য ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫’ অনুমোদন; শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যার সব ঘটনাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন করা; ধর্ষণের ঘটনার অভিযোগ এলে ধর্ষণের শিকার নারী ও কন্যার পরিবর্তে অভিযুক্ত ব্যক্তিকেই প্রমাণ করতে হবে যে সে এ ঘটনা ঘটায়নি, এ–সম্পর্কিত প্রচলিত আইনের বিধান সংশোধন করা; হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী বাধ্যতামূলকভাবে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল গঠনের কঠোর নির্দেশনা মনিটরিংয়ের ভিত্তিতে নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন বিষয় রয়েছে।
জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সভাপতি বদিউল আলম মজুমদারের সভাপতিত্বে এবং অপরাজেয় বাংলাদেশ-এর নির্বাহী পরিচালক ওয়াহিদা বানুর সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরন, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের পলিসি, অ্যাডভোকেসি, ইনফ্লুয়েঞ্জিং অ্যান্ড ক্যাম্পেইনের পরিচালক নিশাত সুলতানা, আইনজীবী ফাহমিদা রিংকী।
কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল শনিবার বাংলাদেশের প্রতি অভিনন্দন বার্তা দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেছেন, কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক পরিস্থিতি যেভাবেই পরিবর্তিত হোক না কেন, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাঁচটি নীতির ভিত্তিতে দুই দেশ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে।
চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, চীন এবং বাংলাদেশ ঐতিহ্যবাহী বন্ধু ও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী। দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ আদান-প্রদানের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। উভয় পক্ষই পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সমান আচরণ এবং উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতার একটি চমৎকার উদাহরণ স্থাপন করেছে।
সি চিন পিং বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন ও বাংলাদেশ তাদের রাজনৈতিক পারস্পরিক আস্থা ক্রমাগত সুসংহত করেছে। উচ্চমানের বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাস্তব সহযোগিতা ক্রমাগত প্রসারিত হয়েছে। দুই দেশের ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্ব আরও গভীর হয়েছে।
চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্রমবর্ধমান গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে সি চিন পিং
জানান, তিনি কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীকে ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার, পারস্পরিক উপকারী সহযোগিতা আরও গভীর করার, দুই দেশের জনগণের জন্য আরও বেশি সুবিধা প্রদান এবং বিশ্ব শান্তি ও উন্নয়নে বৃহত্তর অবদান রাখার সুযোগ হিসেবে গ্রহণের জন্য কাজ করতে প্রস্তুত।
এদিকে, পৃথক বার্তায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বলেছেন, গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ ও চীন যৌথভাবে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, পারস্পরিক বিশ্বাস এবং স্থায়ী সহযোগিতার ওপর ভিত্তি করে একটি গভীর বন্ধুত্ব গড়ে তুলেছে, যা দুই দেশের জনগণের জন্য বাস্তব সুবিধা বয়ে এনেছে।
তিনি বলেন, আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও অভিন্ন সমৃদ্ধি বৃদ্ধিতে চীনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নে চীনের দীর্ঘমেয়াদী ও মূল্যবান সহায়তার জন্য বাংলাদেশ অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।
তিনি আস্থা প্রকাশ করেন, দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও ফলপ্রসূ ফলাফল বয়ে আনবে।
অপরদিকে, কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকীতে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং এবং বাংলাদেশি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসও একে অপরকে অভিনন্দন বার্তা দিয়েছেন।
লি বলেন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের উন্নয়নকে আমরা অত্যন্ত মূল্য দেই। ৫০তম বার্ষিকীকে উচ্চমানের বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতা, বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা ত্বরান্বিত করার এবং চীন-বাংলাদেশ ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ হিসেবে গ্রহণের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত চীন।
ড. ইউনূস বলেন, গত ৫০ বছরে দুই দেশের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হয়েছে, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্থিতিশীলভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা ফলপ্রসূ ফলাফল এনে দিয়েছে, যা সত্যিই উদযাপনের যোগ্য।
তিনি আরও বলেন, ধারাবাহিক ও বৃহত্তর ফলাফল অর্জনের জন্য বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ওমরাহ পালন সবসময়ই মুসলিমদের জন্য স্বপ্নের সফর। তবে ভিসা, হোটেল বুকিং ও পরিবহন ব্যবস্থাপনায় জটিলতা অনেক সময় ভ্রমণকারীদের বিপাকে ফেলে। অনেকে এজেন্টের ওপর নির্ভর করেন, আবার কেউ কেউ পর্যটক ভিসায় গিয়ে ওমরাহ পালন করে থাকেন। কিন্তু সম্প্রতি সৌদি আরব নতুন নিয়ম চালু করেছে, যা ভ্রমণ প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ ও সুশৃঙ্খল করবে।
এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে খালিজ টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এখন থেকে ভিসা আবেদন থেকে শুরু করে হোটেল, পরিবহন সবকিছুই সরকারি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে করতে হবে। এমন বেশ কিছু শর্ত মানতে হবে ওমরাহ করতে ইচ্ছুক মুসল্লিদের।
১. ভিসার সময় হোটেল বুকিং বাধ্যতামূলক
এখন থেকে ভিসার আবেদন করার সময়ই হোটেল বুক করতে হবে। অনুমোদিত হোটেল মাসার সিস্টেম বা নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে বেছে নিতে হবে।
আরব আমিরাত ভিত্তিক আসা ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী কায়সার মাহমুদ বলেন, ‘হোটেল ও পরিবহণ ব্যবস্থা সৌদি আরবের ‘মাসার’ নামক ব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত। এমনকি ট্যাক্সিও পোর্টালের মাধ্যমে বুক করতে হয়, যাতে শুধু অনুমোদিত পরিষেবা ব্যবহার করা যায়।’
২. আত্মীয়ের বাসায় থাকলে সৌদি আইডি লাগবে
পরিবার বা আত্মীয়ের বাসায় থাকার ক্ষেত্রে হোস্টের ইউনিফাইড সৌদি আইডি ভিসার সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। সময় পরিবর্তন বা সফর পিছালেও একই আইডি সিস্টেমে হালনাগাদ করতে হবে।
৩. পর্যটক ভিসায় ওমরাহ নয়
এখন থেকে পর্যটক ভিসায় ওমরাহ পালন সম্ভব নয়। যারা চেষ্টা করবেন, তাদের থামিয়ে দেয়া হতে পারে এবং মদিনার রিয়াজুল জান্নাতেও প্রবেশ বন্ধ থাকবে।
৪. ওমরাহ ভিসা বাধ্যতামূলক
বাধ্যতামূলক ওমরাহ ভিসা সকল হজযাত্রীদের নুসুক প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে একটি ডেডিকেটেড ওমরাহ ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে, হয় ই-ভিসা হিসেবে অথবা অনুমোদিত অপারেটরদের মাধ্যমে প্যাকেজ বুকিং করে।
৫. কঠোর ভ্রমণসূচি নিয়ম
ভিসার সঙ্গে সফরসূচি জমা দিতে হবে, যা পরে পরিবর্তন বা স্থগিত করা যাবে না। নির্ধারিত সময়ের বেশি অবস্থান করলে জরিমানা দিতে হবে।
মাহমুদ বলেন,‘আপনি যদি অনুমোদিত পরিকল্পনার বাইরে আপনার অবস্থান বাড়াতে চান, তাহলে তা করা যাবে না। যদি ফেরার যাত্রা স্থগিত করা হয়, তাহলে এজেন্টদের ব্যক্তি প্রতি ৭৫০ রিয়াল থেকে শুরু করে জরিমানা করা হয় এবং এমনকি সিস্টেম ব্লকেজের সম্মুখীন হতে পারে।’
৬. কিছু দেশের জন্য ভিসা অন অ্যারাইভাল
যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা বা শেনজেন দেশগুলোর ভিসাধারীরা শর্তসাপেক্ষে ভিসা অন অ্যারাইভাল পাবেন। শর্ত হলো, আগে এসব দেশে অন্তত একবার ভ্রমণ করতে হবে এবং এবং ভিসার মেয়াদ এক বছর হতে হবে।
৭. বিমানবন্দরে বুকিং যাচাই
আগমনের পর বিমানবন্দরে কর্তৃপক্ষ নুসুক বা মাসার সিস্টেমে থাকা হোটেল ও পরিবহন বুকিং যাচাই করবে। কোনো কিছু অনুপস্থিত থাকলে জরিমানা বা ভ্রমণে বাধা দেয়া হতে পারে।
৮. অনুমোদিত ট্যাক্সি ও পরিবহণ ব্যবহার বাধ্যতামূলক
পথচারী ট্যাক্সি বা যে কোনো গাড়ি নেওয়া যাবে না। শুধুমাত্র নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে অনুমোদিত ট্যাক্সি, বাস বা ট্রেন ব্যবহার করতে হবে।
৯. হারামাইন ট্রেনের নির্দিষ্ট সময়
হারামাইন এক্সপ্রেস ট্রেন রাত ৯টার পর আর চলে না। তাই এ সময়ের পর আসলে আগে থেকেই অনুমোদিত পরিবহন বুক করতে হবে। অন্যথায় হজযাত্রীরা সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।
১০. নিয়ম ভাঙলে কড়া জরিমানা
যে কোনো নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য ভারি জরিমানা রয়েছে। নিয়ম ভঙ্গের জন্য কর্তৃপক্ষ হজযাত্রী এবং এজেন্ট উভয়ের উপরই বড় ধরনের জরিমানা আরোপ করতে পারে।
আবুধাবির জনপ্রিয় বিগ টিকিট লটারিতে ২০ মিলিয়ন দিরহাম (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা) জিতেছেন শারজাহপ্রবাসী বাংলাদেশি হারুন সরদার নূর নবী সরদার। গত শুক্রবার লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর এই টিকিট কেনেন হারুন।
৪৪ বছর বয়সি ট্যাক্সিচালক হারুন ২০০৯ সাল থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাস করছেন। শারজাহতে ট্যাক্সি চালান তিনি। গত ১৫ বছর ধরে আবুধাবিকেই নিজের ঘর মনে করেন হারুন। তার পরিবার বাংলাদেশে থাকে।
হারুন জানান, জয়ের স্বপ্ন নিয়ে প্রতি মাসেই নিয়মিতভাবে বিগ টিকিট কিনতেন তিনি। কখনো হাল ছাড়েননি।
শো সঞ্চালক রিচার্ড ও বুশরার সঙ্গে ‘গোল্ডেন ফোনে’ কথা বলার সময় লটারি জেতার কথা শুনে বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে পড়েন হারুন। তিনি বলতে থাকেন, ‘ওকে, ওকে। আমি বাংলাদেশি। শারজাহতে আছি। আমি একজন প্রাইভেট ট্যাক্সি (ড্রাইভার)। ওকে, থ্যাঙ্ক ইউ। আমি এই পুরস্কার ১০ জনের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছি।’
পুরস্কারের অর্থ নিয়ে কী করবেন, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত না হলেও, তিনি টিকিট কেনা চালিয়ে যেতে এবং বিগ টিকিটের সঙ্গে যুক্ত থাকতে খুবই আগ্রহী বলে জানান। হারুন বলেন, ‘আমি অন্যদেরও স্বপ্ন না ছাড়তে উৎসাহিত করি, কারণ বিগ টিকিটে কোনো স্বপ্নই দূরে নয়।’
হারুনের লটারি জয়ের পাশাপাশি আরও চারজনের প্রত্যেকে ৫০ হাজার দিরহাম করে জিতেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন ভারতে বসবাসকারী শিহাব উমাইর এবং দুবাইতে বসবাসকারী ভারতীয় প্রবাসী সিদ্দিক পাম্বলাথ। এছাড়াও ভাগ্য খুলেছে আরও দুই প্রবাসী আবুধাবিতে বসবাসকারী বাংলাদেশি আলী হুসেন আলী এবং দুবাই ও শারজাহতে বসবাসকারী পাকিস্তানি আদেল মোহাম্মদের।
অন্যদিকে, বিগ উইন কন্টেস্ট স্পিন দ্য হুইল-এ দেড় লাখ দিরহাম পুরস্কার জেতার জন্য ভাগ্য পরীক্ষা করতে নাম লিখিয়েছিলেন চার প্রবাসী।
কাতারপ্রবাসী রিয়াসকে প্রতিযোগিতায় (বিগ উইন কন্টেস্ট) তার ভাগ্য পরীক্ষার জন্য মনোনীত করা হয়েছিল। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণে তিনি আবুধাবিতে যেতে না পারায় ‘স্পিন দ্য হুইল’ প্রতিযোগিতায় নিজের হয়ে অংশ নেওয়ার জন্য বন্ধু আশিক মোট্টামকে মনোনীত করেন। রিয়াস ও আশিক মিলে আরও ২০ জনের সঙ্গে টিকিট কিনেছিলেন। স্পিন শুরুর আগে রিয়াস এক বার্তায় বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, সে ১ লাখ ৫০ হাজার দিরহাম জিতবে।’ অবশেষে বন্ধুর ইচ্ছা পূরণ হয়। আশিক জিতে যান।
ড্রতে একমাত্র নারী হিসেবে বিজয়ী ছিলেন ভারতের কেরালার নাগরিক সুসান রবার্ট। স্পিনের আগে তিনি জানান, জেতা অর্থ ছেলের পড়াশোনা এবং বিদেশ ভ্রমণে ব্যয় করতে চান, বিশেষ করে জাপানে যাওয়ার ইচ্ছা তার। স্পিন শেষে তিনি জিতে নেন ১ লাখ ১০ হাজার দিরহামের পুরস্কার। বিজয়ের পর তিনি সব নারী দর্শকদের অংশ নিতে আহ্বান জানান। সুসান বলেন, ‘বিগ টিকিটে অংশ নিন এবং আরও বেশি টিকিট কিনুন, নারীরা।’
বিগ টিকিটে আবুধাবি প্রবাসী আলিমউদ্দিন সোনজা জিতেছেন ৮৫ হাজার দিরহাম। তিনি এই অর্থ তার সঙ্গে টিকিট কেনা ১০ জনের সঙ্গে ভাগ করে নেবেন।
’স্পিন দ্য হুইল’ প্রতিযোগিতার চতুর্থ বিজয়ী হন আল আইনে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসী জাজরুল ইসলাম ফকির। তিনিও পুরস্কারের অর্থ ১০ জনের সঙ্গে ভাগ করে নেবেন।
এছাড়া শারজাহ প্রবাসী আরেক বাংলাদেশি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আহমেদ নবী জিতেছেন একটি রেঞ্জ রোভার ভেলার গাড়ি।
বিগ টিকিট সম্প্রতি ঘোষণা করেছে, অক্টোবর মাসের প্রমোশনে থাকছে ২ কোটি ৫০ লাখ দিরহামের গ্র্যান্ড প্রাইজ। আগামী ৩ নভেম্বরের লাইভ ড্রতে ভাগ্যবান বিজয়ীর হাতে তুলে দেওয়া হবে এই পুরস্কার।
এছাড়া, প্রতি সপ্তাহে পাঁচজন বিজয়ী ঘরে তুলতে পারবেন ২৪ ক্যারেট স্বর্ণের ২৫০ গ্রাম বার।
মন্তব্য