সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপি নেতা হাফিজ ইব্রাহিমের নামে দুর্নীতি মামলাটি আগামী ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
মিথ্যা তথ্য দিয়ে রাজউকের প্লট নেয়ার দুর্নীতি মামলার বিচার কাজ স্থগিত থাকার আদেশ প্রত্যাহার করে রোববার এ আদেশ দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরী হাইকোর্ট বেঞ্চ।
এ আদেশের ফলে বিচারিক আদালতে মামলাটি চলতে আর বাধা নেই বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি।
অপরদিকে হাফিজ ইব্রাহিমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাব্বির হামজা।
দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাফিজ ইব্রাহিমের নামে করা প্লট জালিয়াতির দুর্নীতির মামলা বাতিল চেয়ে করা রিভিশন আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বিচারিক আদালতে থাকা মামলাটি ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছে। ফলে বিচারিক আদালতে মামলাটি চলমান থাকবে।’
ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।
মামলা থেকে জানা যায়, ২০০১ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত জাতীয় সংসদের এম. পি থাকাকালীন রাজউকে মিথ্যা হলফনামা দিয়ে ঢাকার বনানী আবাসিক এলাকায় ৫ কাঠার একটি সরকারি প্লট গ্রহণ করেন। এতে তিনি অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ করে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ করেন। মিথ্যা হলফনামা দিয়ে প্লট নেয়ার কারণে ২০১৭ সালের ১৩ মার্চ মতিঝিল থানায় মামলা করে দুদক। এরপর ২০১৯ সালের ২৩ জানুয়ারি ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালত অভিযোগ গঠন করে। সেই অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করলে হাইকোর্ট ওই বছরের ১৬ এপ্রিল রুল জারি করে এবং মামলা কার্যক্রম স্থগিত করে। এরপর সেই রুলের দীর্ঘ শুনানি নিয়ে রোববার রুলটি খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট।
সাভারের আশুলিয়ায় ভাড়া বাসার ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রী ও শিশুকে গলা কেটে হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। টাকাপয়সার লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এ ঘটনায় সাগর ও ঈশিতা নামে দুজনকে আটক করে র্যাব। তারা পরস্পর স্বামী-স্ত্রী।
র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সোমবার রাতে নিউজবাংলাকে এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন র্যাবের এই কর্মকর্তা।
শনিবার রাত ১০টার দিকে আশুলিয়ায় ইউনিক ফকিরবাড়ী মোড় এলাকায় মেহেদী হোসেনের মালিকানাধীন পাঁচতলা বাড়ির চতুর্থ তলা থেকে শিশুসহ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতরা হলেন- বাবুল হোসেন, তার স্ত্রী সহিদা বেগম ও তাদের ১২ বছর বয়সী ছেলে মেহেদী হাসান জয়।
সে সময় নিহতের পাশের ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়া গার্মেন্টস কর্মীী আঁখি আক্তার জানান, বাবুল স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে ৭-৮ বছর ধরে দুই রুমের ওই ফ্ল্যাটটিতে ভাড়া থাকতেন। তারা দুজনই পৃথক দুটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। ফ্ল্যাটের অন্যদের সঙ্গে তেমন পরিচয় বা মেলামেশা ছিল না তাদের।
শনিবার সন্ধ্যায় চতুর্থ তলার বাবুলদের ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ পান পাশের ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়া। এ সময় তাদের ফ্ল্যাটের বাইরের দরজা ভেড়ানো অবস্থায় ছিল। পরে ভেতরে গিয়ে একটি কক্ষের বিছানায় মা ও তার ছেলে জয়ের এবং আরেকটি কক্ষে বাবুলের হাত বাঁধা গলাকাটা মরদেহ দেখতে পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, ‘আমিই প্রথম পুলিশে খবর দেই।’
আরেক ভাড়াটিয়া আফরোজা বেগম বলেন, ‘আমরা তেমন কিছু জানি না। আজ দুর্গন্ধ পেয়ে সবাই এসে দেখে এই অবস্থা। প্রথমে জয় ও তার মায়ের লাশ সবাই দেখতে পেলেও পরে আরেক কক্ষে জয়ের বাবা বাবুলের লাশ পাওয়া যায়।’
আরও পড়ুন:আইফোনের শখ ছিল এসএসসি পাস করে সদ্য কলেজে ভর্তি হওয়া এক শিক্ষার্থীর। পরিবারকে বিষয়টি জানালে তার শখ পূরণে অপরাগতা প্রকাশ করে সদস্যরা। তাই চুরির পথ বেছে নেন ওই যুবক।
রোবাবর মিরপুর শপিং কমপ্লেক্সের সামনে থেকে ওই কলেজ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকালে তার কাছ স্বর্ণ ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, পরিবার আইফোন কেনার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে চুরির পথ বেছে নেন তিনি।
জিজ্ঞাসাবাদে ইমনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার মিরপুর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘আইফোন কেনার জন্য বাসা থেকে চুরি করেন ওই যুবক।’
ওসি জানান, ‘গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে মিরপুর মডেল থানার পূর্ব মনিপুরের একটি বাসার দ্বিতীয় তলায় চুরি হয়। ঘরের তালা ভেঙে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ মোট চার লাখেরও বেশি টাকার মালামাল চুরি হয়। পরে পাশের একটি দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তসহ দুজনকে শনাক্ত করা হয়। পরে রোবাবর মিরপুর শপিং কমপ্লেক্সের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যে একটি স্বর্ণের ও একটি ডায়মন্ডের নাকফুল এবং চুরি করা স্বর্ণ বিক্রির ৯৭ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।’
আরও পড়ুন:সিলেটের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ে পরিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা (Ecologically Critical Area-ECA) থেকে অবৈধভাবে চলছে বালু ও পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে হুমকিতে পড়েছে ওই এলাকার পরিবেশ। বিনষ্ট হচ্ছে জীববৈচিত্র্য।
জাফলংয়ে ইসিএ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পেয়ে সোমবার অভিযান চালায় টাস্কফোর্স। এ সময় বালুবাহী পাঁচটি নৌকা জব্দ করা হয়। এছাড়া এসব নৌকার মালিকদের দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর, বিজিবি, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ যৌথভাবে সোমবার দুপুরে এই অভিযান চালায়।
গোয়াইনঘাট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তানভীর হোসেন জানান, সোমবার জাফলংয়ের পরিবেশ সংকটাপন্ন এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে তাদের একটি টিম, বিজিবি ও গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের অংশগ্রহণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে বালুবাহী পাঁচটি নৌকা আটক করে মামলা দেয়া হয়। এছাড়া এসব নৌকার পরিচালকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় মোট ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
পরিবেশ রক্ষায় এমন অভিযান নিয়মিত পরিচালিত হবে বলে জানান তানভীর হোসেন।
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং দেশের প্রধান পর্যটন কেন্দ্রগুলোর একটি। কিন্তু এই পর্যটন কেন্দ্র এখন পরিণত হয়েছে দেশের অন্যতম বৃহৎ পাথর কোয়ারিতে। অনিয়ন্ত্রিত পাথর ও বালু উত্তোলনের ফলে পর্যটন কেন্দ্রটির সৌন্দর্য নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি হুমকিতে পড়ছে পরিবেশও।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি জাফলংকে পরিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) ঘোষণা করে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়।
এর আগে পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে জাফলংকে ইসিএ ঘোষণার নির্দেশনা দেয় আদালত।
ইসিএ ঘোষণার পর জাফলং থেকে সব ধরনের বালু ও পাথর উত্তোলন নিষিদ্ধ করে প্রশাসন। তবে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও একটি গোষ্ঠী বালু ও পাথর উত্তোলনের মাধ্যমে জাফলংয়ের পরিবেশ বিনষ্ট করে চলেছে।
ঢাকার সাভারে নেশাদ্রব্য খাইয়ে নয় বছরের এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে প্রতিবেশী এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই শিশুকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আসামিকে সোমবার দুপুরে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছে সাভার মডেল থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার ৪০ বছর বয়সী ভ্যানচালক মো. আরিফ সাভারের ছায়াবিথী এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন।
এর আগে রবিবার শিশুটির মা বাদী হয়ে আসামির বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করলে ওই রাতেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
শিশুটির পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রোববার দুপুর থেকেই মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না তার মা। পরে প্রতিবেশী আরিফের ঘরের সামনে মেয়ের জুতা দেখে ভিতরে প্রবেশ করেন তিনি। তখন মেয়েকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। সেখান থেকে শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসকরা।
সাভার মডেল থানার এসআই শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘ভুক্তভোগীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিকভাবে ধর্ষণচেষ্টার আলামত পেয়েছি। শিশুটিকে নেশাদ্রব্য তাড়ি খাইয়ে অচেতন করে লুকিয়ে রেখেছিল আরিফ। কিন্তু ধর্ষণ করার আগেই শিশুটির মা তার খোঁজ পায় বলে ধারণা করছি। শিশুটিকে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে অপহরণ ও ধর্ষণচেষ্টার মামলা করা হয়েছে। তবে রিপোর্টে যদি ধর্ষণের প্রমাণ মেলে তাহলে মামলাটি ধর্ষণ মামলায় রূপান্তরিত হবে।’
কক্সবাজারের টেকনাফে ৩৭ হাজার ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় এক রোহিঙ্গাকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করেছে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) এ এম আমিন উদ্দিন মানিক।
মামলার বিবরণে উল্লেখ আছে, গত বছরের ২ মে রাতে কক্সবাজারের টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের উত্তর পাশে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) বিশেষ জোনের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে আসামির হাতে থাকা একটি শপিং ব্যাগের ভেতর থেকে এক কোটি ১১ লক্ষ টাকা মূল্যের ৩৭ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে।
ওই রোহিঙ্গা উখিয়া পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী ২ নম্বর ক্যাম্পের বাসিন্দা। পরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে তাকে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
ডিএজি আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, ‘আসামির বয়স ১৭ বছর ৫ মাস দেখানো হয়েছে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট তাকে জামিন দেয়। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এ জামিন স্থগিত চেয়ে আমরা আবেদন করি। আদালত শুনানি নিয়ে তার এ জামিন আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে দেয়। এ কারণে আসামির জামিন আপাতত হচ্ছে না।’
আরও পড়ুন:কুমিল্লায় অটোরিকশা ছিনতাই করে চালক সঞ্জিত চন্দ্র দেবনাথকে হত্যার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার দেবপুর এলাকা থেকে রোববার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বড়ইয়াকুড়ি গ্রামের ২৫ বছর বয়সী মো. নুর ইসলাম, দেবিদ্বার উপজেলার বারেরা গ্রামের ২৪ বছর বয়সী মো. মিজান, মুরাদনগর উপজেলার বড়কুইয়া গ্রামের ২৩ বছর বয়সী শিপন মিয়া, চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার পনশাহী গ্রামের ৩৫ বছর বয়সী মো. মিজানুর রহমান ও চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার ৩৭ বছর বয়সী মো. মোখলেছ।
প্রাণ হারানো ৫৮ বছর বয়সী সঞ্জিত চন্দ্র দেবনাথ কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার শাহদৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
কুমিল্লা র্যাব-১১ এর অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার একেএম মনিরুল আলম তার কার্যালয়ে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতরা আন্তজেলা ডাকাতদলের সদস্য। তারা এর আগেও একাধিক অটো ছিনতাই করেছে। তাদের পরবর্তী টার্গেট ছিল নোয়াখালী অঞ্চলে একটি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি করা এবং পরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পণ্যবাহী বাহন ছিনতাই করা। চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির আগে তারা সূক্ষ্মভাবে পরিকল্পনা করে, তবে তার আগেই তারা ধরা পড়েছে।
‘তাদের নামে চুরি, ছিনতাইসহ একাধিক মামলা রয়েছে। রোববার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার দেবপুর এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সময় আরও অন্তত তিন থেকে চারজন পালিয়ে যায়। তারা প্রাথমিকভাবে খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।’
র্যাব কর্মকর্তা একেএম মনিরুল আলম বলেন, ‘গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ছোরা, চাকু, ক্রিজ, স্টিলের পাইপ, পাইপ গিয়ার, টাকা ও মোবাইল ফোন জব্দ উদ্ধার করা হয়।’
এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর সঞ্জিত চন্দ্র দেবনাথের অটোরিকশায় গ্রেপ্তারকৃতরা ২০০ টাকা ভাড়ায় ক্যান্টনমেন্ট থেকে কংশনগর যাওয়ার জন্য অটোরিকশায় চড়ে। পথে সঞ্জিতকে হত্যা করে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যান তারা। পরে ২৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের রামপুর এলাকার একটি জলাশয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত সঞ্জিতের ছেলে অর্পণ দেবনাথ অজ্ঞাতদের আসামি করে বুড়িচং থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
আরও পড়ুন:কক্সবাজারের উখিয়ায় আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) প্রধানের একান্ত সহকারী এরশাদ প্রকাশ নোমান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
উপজেলার কুতুপালং থেকে রোববার রাত একটার দিকে তাকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-১৫-এর অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উখিয়ার কুতুপালং থেকে এরশাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার নামে বিভিন্ন অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে। এ ছাড়াও তিনি আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি প্রধান আতা উল্লাহ আবু জুনুনীর একান্ত সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এরশাদের নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় বিভিন্ন ক্যাম্পে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হচ্ছিল। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন দেশের অর্থ সরবারহকারীদের সঙ্গে আসার অর্থ সম্বনয় করে আসছিলেন।’
মন্তব্য