মনোনয়নপত্র দাখিলের মধ্য দিয়ে জমে উঠেছে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন। আর মূল আলোচনায় আওয়ামী লীগ মনোনীত অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েই জাহাঙ্গীর আলম গুম হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, কালকের পর হয়তো আমার পায়ে শেকল পরাতে পারে। আমাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে।
অপরদিকে নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা খান বলেছেন, ‘আমার শক্তি জনগণ। আমি কাউকে প্রতিপক্ষ মনে করি না। নৌকার পক্ষে জনতা আছে, তাই আমি কাউকে নৌকার প্রতিপক্ষ মনে করি না।’
বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিনে আজমত উল্লাহ খান ও জাহাঙ্গীর আলমসহ মেয়র পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন আটজন প্রার্থী। এর আগে বুধবার মেয়র পদে আরও চারজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন।
দুপুর ১২টার দিকে নেতাকর্মীদের নিয়ে শহরের বঙ্গতাজ অডিটরিয়ামে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে আসেন নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা খান। পরে তিনি অল্প কয়েকজন নেতাকর্মী নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। তবে আচরণবিধি ভঙ্গ করে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের বাইরে গাজীপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়ন জমা দেয়ার সময় আজমত উল্লা খানের সঙ্গে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মণ্ডল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মতিউর রহমান মতি, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল আহসান সরকার রাসেল ও মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
আজমত উল্লা খান যা বললেন
মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় আজমত উল্লাহ খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা আমাদের অস্তিত্বের নির্বাচন, দুর্নীতমুক্ত সিটি করপোরেশন গঠনের নির্বাচন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ার নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে গাজীপুর সিটি করপোরেশনকে স্মার্ট নগরী উপহার দিতে চাই।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘গাজীপুর নগরবাসী চায় একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক সিটি করপোরেশন গঠিত হোক। আমি নির্বাচিত হলে অনিয়ম ও দুর্নীতিমুক্ত জনকল্যাণমুখী একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে সিটি করপোরেশনকে গড়ে তুলব।’
আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের সব নেতা-কর্মী ঐক্যবদ্ধ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত ইনশাআল্লাহ।’
জাহাঙ্গীর আলম যা বললেন
সাময়িক বরখাস্ত মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে এলাকার সাধারণ মানুষ এবং জাহাঙ্গীর আলম তার মায়ের পক্ষে বিকেল ৩টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এসময় জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সাবেক সদস্য আসকর আলী, সাবেক সহ-দফতর সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম এবং সাবেক গাছা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কাদির উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ, প্রধানমন্ত্রী ও নৌকা আমার কাছে একটা শ্রদ্ধার জায়গা। আমি ব্যক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি। যে এই শহরকে ধ্বংস করবে তার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি।
‘আমার মা বলেছেন যে শহর রক্ষা করতে যা প্রয়োজন তা করো। সে হিসেবে মায়ের দোয়া ও সহযোগিতা নিয়ে এখানে দাঁড়িয়েছি। আমি ভোটের মাধ্যমে প্রমাণ করে দেব কে খারাপ আর কে ভালো। কে অন্যায়কারী আর কে সৎ। সত্যকে প্রকাশ ও প্রতিষ্ঠিত করতে মা ও ছেলে মিলে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি।’
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমি আমার শহর রক্ষা করতে চাই। শহরের মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে ৫ বছরের জন্য নির্বাচিত করেছিল। আমি শহরের মানুষের কাছে একটা পরীক্ষা দিতে চাই। নির্বাচন থেকে স্বেচ্ছায় সরে যাওয়ার কোনো পথ নেই। আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করব শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকার জন্য। আমি এই শহরের মানুষকে নিয়ে লড়তে চাই, যদি না আমাকে সরিয়ে দেওয়া না হয়।’
তিনি বলেন, ‘কালকের পর হয়তো আমার পায়ে শেকল পরাতে পারে। আমাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। আমাকে গুম করতে পারে। আমি দেশবাসী ও নগরবাসীকে বলে যাই- যদি আমার মৃত্যু হয়, আপনারা বিশ্বাস করবেন যে এই শহর রক্ষা করতে গিয়ে যা যা ভাল কাজ আছে আমি সব করেছি।’
নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও সুন্দর ভোট প্রত্যাশা করে জাহাঙ্গীর আরও বলেন, ‘আজ আমার কাছ থেকে সব ছায়া সরে গেছে। কিন্তু আল্লাহর ছায়া, মায়ের ছায়া, নগরবাসীর ছায়া এবং দেশের আপামর জনগণের ছায়া রয়েছে। এই নগরীতে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। আমি কোনো অন্যায় করে থাকলে এই শহরের মানুষ ভোটের মাধ্যমে তার বিচার করবে। আর যদি ভালো কিছু করে থাকি তাহলে অবশ্যই সত্যের জয় হবে।’
মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন রনি
একইদিন সকালে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান উদ্দিন সরকারের ভাতিজা সরকার শাহনুর ইসলাম রনি। রনি বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় যুব বিষয়ক সম্পাদক নুরুল ইসলাম সরকারের ছেলে। নুরুল ইসলাম সরকার গাজীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে বর্তমানে কারাগারে বন্দি।
মনোনয়নপত্র জমাদানের পর রনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি বিএনপি পরিবারের সন্তান। আমার চাচা, বাবা সবাই বিএনপির রাজনীতি করেন। আমি ইতোমধ্যে অনেকউঠোন বৈঠক করেছি। তৃণমূল কর্মীদের সমর্থন পেয়েছি। সে কারণে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করব। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জয়ের ব্যাপারে আমি আশাবাদী।’
বিএনপির পক্ষ থেকে সমর্থন বা বাধা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিএনপি হয়তো নির্বাচনে আসছে না। কিন্তু তৃণমূল পর্যায়ের বিএনপির সমর্থন আমার প্রতি রয়েছে। আমি বুঝেশুনেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি বিশ্বাস করি, আমার সঙ্গে সবাই থাকবেন। শুধু বিএনপি নয়, রাজনৈতিক দল-মত নির্বিশেষে সবাই আমাকে সমর্থন করবেন। আমার মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা খানের সঙ্গে।’
আচরণ বিধি লঙ্ঘন: দুই মেয়র ও এক কাউন্সিলর প্রার্থীকে শো-কজ
আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে দুই মেয়র প্রার্থী এবং একজন কাউন্সিলর প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা। নোটিশপ্রাপ্তরা হলেন- স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) আব্দুল্লাহ আল মামুন মণ্ডল, জাতীয় পার্টি মনোঈত প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন ও নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী সনজিৎ মল্লিক।
শো-কজ নোটিশে ২৮ এপ্রিলের (শুক্রবার) মধ্যে প্রচার সংক্রান্ত সব পোস্টার ও বিলবোর্ড নিজ খরচে অপসারণের নির্দেশ দেয়া হয়। এছাড়াও ওই বিধিমালার অধীনে কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না সে বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। অন্যথায় আইন ও বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম জানান, নির্বাচন সুশৃংখল করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। প্রার্থীদের আচরণবিধি মেনে চলতে বিভিন্ন এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ৩০ এপ্রিল ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দিন ৮ মে। প্রতীক বরাদ্দ হবে ৯ মে এবং ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২৫ মে।
সিটি করপোরেশনের ৫৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৮৪ হাজার।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতন্ত্রে উত্তরণ প্রক্রিয়ায় গোটা বিশ্বের সমর্থন রয়েছে।’
গত শুক্রবার রাতে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্রে থেকে দেশে ফিরে হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের টার্মিনালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের বার্তা একটাই, গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়ার জন্য ফেব্রুয়ারি মাসে যে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে, আমাদের নেতা তারেক রহমান যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, সেইভাবে আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেব।’
আজকে গণতন্ত্রে উত্তরণের এই বিষয়টাতে গোটা পৃথিবীর সমর্থন রয়েছে। বিশেষ করে গণতান্ত্রিক বিশ্বের সমর্থনটা এখানে সম্পূর্ণভাবেই রয়েছে বলে উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশন উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুসের সফরসঙ্গী হিসেবে নিউইয়র্ক যান বিএনপি মহাসচিব। প্রধান উপদেষ্টা ২ অক্টোবর দেশে ফেরেছেন।
বিএনপি মহাসচিব যুক্তরাষ্ট্রে দলীয় একটি অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে গত শুক্রবার রাতে দেশে ফেরেন।
প্রধান উপদেষ্টার এই প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনিম জারা।
জাতিসংঘের অধিবেশনে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সাথে আপনার আলাপ হয়েছে কিনা প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের সকলের সঙ্গেই আলাপ হয়েছে। আর যারা গিয়েছেন তাদের সঙ্গে তো অবশ্যই আলাপ হবে-এটাই তো স্বাভাবিক।’
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের যোগদানের সফর সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে আমরা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে আমরা তার সফরসঙ্গি হয়েছিলাম এবং সেখানে আমাদের যতটুকু দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল সেই দায়িত্ব পালন করেছি। আমি মনে করি, আমাদের এই সফর সফল হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই প্রথমবারের মতো অন্তর্বর্তী কালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঐক্য প্রদর্শন করবার জন্য প্রধান কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন সেদিক থেকেও এই সফর অবশ্যই সফল হয়েছে। বাংলাদেশের কথা বিশ্বের কাছে পৌঁছে গেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নিউইয়র্কের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের পাশাপাশি যেসব সভা হয়েছে আমরা মনে করি যে, এটা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত ভালো হয়েছে, এজ এ হোল গণতন্ত্রের জন্য ভালো হয়েছে।’
নিউইয়র্কে বিমানবন্দরে অবতরণের পরে হেনস্তা হওয়ার ঘটনা সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা এগুলোকে খুব বড় মনে করি না। এটা হচ্ছে, আওয়ামী লীগের একটা কালচার।’
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আওয়ামী লীগের ঘাঁটি বলে পরিচিত গোপালগঞ্জ-৩ (কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া) আসনে গণঅধিকার পরিষদ থেকে প্রার্থী হতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন আবুল বসার ও কাজী রনি।
আবুল বসার গণঅধিকার পরিষদের কোটালীপাড়া উপজেলা শাখার আহবায়ক ও কাজী রনি ঢাকা মহানগর উত্তরের দপ্তর সম্পাদক।
আবুল বসার দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে গণঅধিকার পরিষদের পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কর্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন তিনি। আবুল বসার কোটালীপাড়া উপজেলার মাঝবাড়ি গ্রামের মৃত ধলা দাড়িয়ার ছেলে ও স্থানীয় প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী।
এর আগে কাজী রনি সংগ্রহ করেন মনোনয়ন ফরম। কাজী রনি কোটালীপাড়া উপজেলার কুরপালা গ্রামের মৃত. কাজী নজরুল ইসলামের ছেলে। পেশায় একজন ব্যাংকার। ঢাকায় একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত।
আবুল বসার বলেন, গণঅধিকার পরিষদ গণমানুষের দল। জনসাধারণের কল্যাণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। গণঅধিকার পরিষদে কোন সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজদের ঠাঁই নাই। গোপালগঞ্জ-৩ একটি ভিআইপি আসন। এ আসনের মানুষ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বর্তমান কর্মকান্ড অনুযায়ী গণঅধিকার পরিষদকেই বেছে নিবে বলে আমি আশাবাদী। আমি মনোনয়ন চেয়েছি, দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে আমি আশাকরি দলের সম্মান বজায় রাখতে পারব।
বৈষম্যহীন ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে এবং প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি বন্ধ করতে জনসাধারণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। ইতোমধ্যে গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে কোটালীপাড়া উপজেলায় লিফলেট বিতরণসহ বিভিন্ন সাংগঠনিক কর্মকান্ড নিয়মিত পরিচালিত হচ্ছে। আগামী সংসদ নির্বাচনে আমাকে যদি গোপালগঞ্জ-৩ (কোটালীপাড়া-টুঙ্গীপাড়া) আসনে গণ অধিকার পরিষদের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয় তাহলে আমি নির্বাচনে অংশ নিতে চাই।
গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বিভিন্ন সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় গ্রেফতারের ভয়ে এলাকাছাড়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। অনেকে রয়েছেন জেলে। এদিকে অন্তর্ন্তীকালীন সরকার আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর থেকেই আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় সরব হয়ে উঠেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। সম্ভাব্য প্রার্থীরা চষে বেড়াচ্ছেন উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শেষে যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুক্রবার (৩ অক্টোবর) দেশে ফিরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের নেতা তারেক রহমান যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, সেভাবেই আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। গণতন্ত্র উত্তরণের এই প্রক্রিয়ায় গোটা পৃথিবীর সমর্থন রয়েছে, বিশেষ করে গণতান্ত্রিক বিশ্বের পূর্ণ সমর্থন আমাদের সঙ্গে আছে।’
যুক্তরাষ্ট্র সফর সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, দেশের ইতিহাসে এটি বিরল ঘটনা যে, সরকার প্রধান রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন। জাতীয় ঐক্য প্রদর্শনের জন্যই সবাইকে নিয়ে এ সফর। জাতিসংঘের অধিবেশনের বাইরেও বিভিন্ন সভা হয়েছে, বিশেষ করে প্রবাসীদের উপস্থিতিতে, যা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক।
তিনি বলেন, বিদেশ সফরে গিয়ে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। যারা গিয়েছিলেন তাদের সঙ্গেই আলাপ হয়েছে, এটা তো স্বাভাবিক। আমাদের প্রত্যাশা অনেকটাই পূরণ হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিবের ভাষায়, প্রধান উপদেষ্টা কয়েকটি দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এতে জাতীয় ঐক্যের একটি দৃষ্টান্ত তৈরি হয়েছে। জাতিসংঘের অধিবেশনের বাইরেও বিভিন্ন সভা হয়েছে, বিশেষ করে প্রবাসীদের উপস্থিতিতে, যা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক।’
তিনি উল্লেখ করেন, গণতন্ত্রের স্বার্থে এসব আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সফর চলাকালে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেও তা বড় করে দেখার কিছু নেই।
এর আগে, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে গত ২১ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিউইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন। এ সময় তার সফরসঙ্গী হিসেবে সেখানে যান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও এনসিপির সদস্য সচিবসহ ৩টি রাজনৈতিক দলের ৬ নেতা।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টায় তারা দেশে ফেরেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘ধর্ম ব্যবসায়ী একটি দল নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।’
গতকাল শুক্রবার দিনব্যাপী খিলগাঁও বাগিচা এবং শাহজাহানপুর এলাকায় গণসংযোগ এবং নিজ বাসভবনে উঠোন বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘পিআরসহ কিছু অযৌক্তিক দাবিতে নির্বাচন বানচালের হুমকি দিয়ে একটি ধর্ম ব্যবসায়ী দল বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। একদিকে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নির্বাচনী কর্মকাণ্ড পুরোদমে চালিয়ে যাচ্ছে। এ দলটি সবসময়ই জাতিকে অন্ধকারে রাখতে পছন্দ করে। তারা মুখে এক কথা বলে আর বাস্তবে ভিন্নরূপ।’
তিনি বলেন, ‘কোনো রকম ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না। জনগণকে ধোঁকা দেওয়ার দিন শেষ। বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে একটি দল দেশের প্রশাসন দখল করে নিয়েছে। স্কুল-কলেজ, সামাজিক প্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মাদ্রাসাসহ সকল জায়গা দখল নিয়েছে ধর্ম ব্যবসায়ী এদলটি, যা দৃশ্যমান।’
তিনি বলেন, ‘এই দলটি মুখে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বললেও তলে তলে তারা পতিত দোসরদের সাথে আঁতাত করছে। কয়েকদিন আগেও জামায়াত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছিল। আর এখন বলছে সব আওয়ামী লীগার খারাপ না।’
দিনব্যাপী গণসংযোগকালে মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য মির্জা খোকন, হাবিবুর রশিদ হাবিব, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, যুবদলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক খন্দকার এনামুল হক এনাম, যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি ইউসুফ বিন জলিল কালু, সাবেক কমিশনার সাজ্জাদ জহির, আরিফুর রহমান আরিফ, ফজলে রূবায়েত পাপ্পুসহ স্থানীয় বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ইসলামী সমমনা দলগুলোর সঙ্গে ঐক্যের সমঝোতা হলে জামায়াত ১০০ আসন ছেড়ে দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। গতকাল শুক্রবার খুলনার আল ফারুক সোসাইটি মিলনায়তনে ইসলামী ছাত্রশিবির খুলনা মহানগর শাখা আয়োজিত সদস্য পুনর্মিলনী (১৯৭৭-২০২৫) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘যদিও আমরা ৩০০ আসন চূড়ান্ত করেছি, প্রাথমিক বাছাই হয়ে গেছে, তবে যাদের সঙ্গে আমরা সমঝোতা করব, যাদের সঙ্গে ঐক্য হবে, যে কয়টি দলের সঙ্গেই হোক, কিছু সিট তো আমাদের ছাড়া লাগবে, তা নাহলে তো ঐক্য হবে না। আমিরে জামায়াত আমাকে একটা আইডিয়া দিয়েছেন, এমনও হতে পারে, সমঝোতা করতে করতে শেষ পর্যন্ত একশ আসনও আমাদের ছেড়ে দিতে হতে পারে। আমাদের বলেছেন মাইন্ড সেট রাখবেন, কমপক্ষে ২০০ আসনে আমরা ইনশাআল্লাহ নির্বাচন করব।’
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘দ্বীনকে সংসদে পাঠানোর জন্য এখনই সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। যারা একসময় ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাদের সবাইকে এখন আবার সক্রিয় হয়ে দেশের জন্য ভূমিকা রাখতে হবে। আমিরে জামায়াত বলেছেন, ‘মুসলমানদের সামনে ৫৪ বছরের মধ্যে ইসলামী আন্দোলনের শক্তিকে পার্লামেন্টে নেওয়ার এমন অবারিত সুযোগ অতীতে আর কোনো দিন আসেনি।’ ভবিষ্যতেও আসবে কি না আমরা জানি না। ফ্যাসিস্ট আমাদের গর্তে ঢোকাতে চেয়েছিল, আল্লাহ তাআলা তাদের গর্তে দিয়ে ইসলামী আন্দোলনকে মর্যাদার আসনে বসিয়েছে।’
জামায়াত নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়ে জামায়াতের এই সেক্রেটারি বলেন, এখন থেকে আপনারা পরিকল্পনা করেন যার যার নির্বাচনী এলাকায় কবে বাড়ি যাবেন, যতক্ষণ যেতে দেরি হবে নিজের উপজেলা, ইউনিয়ন, গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করার কথাও বলেন তিনি।
পরে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশনে আমরা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি চেয়েছি, তবে একটি বড় দলের বাধায় জুলাই সনদ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তারা মৌলিক সংস্কার চায় না। তারা মনে করছে তারা ক্ষমতায় চলে গেছে, এটা ভেবেছে বলেই ডাকসু, জাকসু নির্বাচনে ফল পেয়েছে।’ একইসঙ্গে নির্বাচন ও আন্দোলন দুই প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জামায়াত বলেও জানান তিনি।
খুলনা মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি রাকিব হোসাইনের পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন, খুলনা জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা এমরান হোসাইন, মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল ও নড়াইল জেলা জামায়াতের আমীমির অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান বাচ্চু।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য নতুন করে রাজনীতিতে প্রশ্নবোধক চিহ্ন তৈরি হয়েছে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয় আইন-আদালত বা সরকারি সিদ্ধান্ত নয়, এই সিদ্ধান্ত নেবে দেশের জনগণ। গণহত্যাকারী, গুম-খুনের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আজহার-শফিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বিচারের জন্য বিএনপি সোচ্চার। গণহত্যাকারী যারা আদেশ দিয়েছে, তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানিয়েছে বিএনপি। প্রধানমন্ত্রী হোক আর অতি উৎসাহী যেই হোক– বিএনপি বারবার বলেছে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ। আইন-আদালত করবে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত, বিএনপির বক্তব্য পরিষ্কার। সব সময়ই তা বলে এসেছি।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এত কথা বলে, কিন্তু তাদের ২৪-এর গণহত্যা নিয়ে কোনও অনুশোচনা নেই। আয়নাঘর, লুটপাট যারা করেছে, প্রতিহিংসা যারা করেছে, দিনের ভোট রাতে যারা করেছে, তাদের কোনো অনুশোচনা আছে? তাদের বিচার করতে হবে। আওয়ামী লীগকে নিঃশর্তভাবে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে, তাদের ক্ষমা করবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত জনগণ নেবে।
ডা. জাহিদ বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের একটি সম্ভাবনা রয়েছে, আমরা চাই সেটা হোক। জনগণ দীর্ঘদিন ধরে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারেনি। নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচনের সেই সুযোগটা আসুক।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ভাবতে হবে এই সমাজটা আমাদের সবার। এই ভাবনাটা যদি না আসে তাহলে কিন্তু ইনক্লুসিভনেস তৈরি হবে না। আর তা তৈরি না হলে সমাজে সাস্টেনেবিলিটি আসবে না। সমাজের প্রবীণ মানুষদের জন্য আলাদা উইন্ডো তৈরি করার জন্য একটা চিন্তা দরকার। তাদের জন্য সামান্য বাজেট রাখা দরকার।
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে দ্বিতীয় দফায় ১২ দিনের যুগপৎ আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর মগবাজারের আল ফালাহ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, নতুন কর্মসূচি হিসেবে ৫ দফা গণদাবির পক্ষে জনমত গঠনের লক্ষ্যে ১ অক্টোবর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে গণসংযোগ পালন করা হবে। এ উপলক্ষে মতবিনিময় সভা, গোলটেবিল বৈঠক, সেমিনার ইত্যাদি আয়োজন করা হবে। ১০ অক্টোবর রাজধানীসহ সকল বিভাগীয় শহরে গণমিছিল অনুষ্ঠিত হবে এবং ১২ অক্টোবর সারাদেশে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি পেশ করা হবে।
জামায়াতের ৫ দফা দাবি হলো:
১. জুলাই সনদের ভিত্তিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হবে।
২. নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে হতে হবে।
৩. সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে।
৪. গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান হতে হবে।
৫. বিশেষ ট্রাইব্যুনালে ভারতীয় তাবেদার ও ফ্যাসিবাদের দোসর জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলের বিচার করতে হবে এবং বিচার চলাকালীন তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাড. এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. এএইচএম হামিদুর রহমান আজাদ, মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোমাইন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, ঢাকা মহানগর উত্তরের নায়েবে আমির আবদুর রহমান মূসা প্রমুখ।
মন্তব্য