× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
10 dead bodies in the trawler Police operation to unravel the mystery
google_news print-icon

ট্রলারে ১০ মরদেহ: রহস্য উদঘাটনে পুলিশের অভিযান শুরু

ট্রলারে-১০-মরদেহ-রহস্য-উদঘাটনে-পুলিশের-অভিযান-শুরু
সোমবার কক্সবাজার হাসপাতাল প্রাঙ্গণে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন। ছবি: নিউজবাংলা
চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা সুনিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না কীভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে এবং কারা ঘটিয়েছে। তদন্তকারীরা কাজ করছেন। ঢাকা থেকে সিআইডি, পিবিআইয়ের দল এসে অনুসন্ধান শুরু করেছে। জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি আমরা।’

কক্সবাজারে ভাসমান ট্রলার থেকে উদ্ধার হওয়া দশজন পরিকল্পিত হত্যার শিকার হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ, সিআইডি ও পিবিআই ঢাকা থেকে স্পেশাল টিম কাজ করছে। ইতোমধ্যে তারা সম্ভাব্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযানও শুরু করেছে।

পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন সোমবার দুপুরে কক্সবাজারে এসব তথ্য জানান। তিনি আরও জানান, হাত-পা বাঁধা পচন ধরা মরদেহগুলোর পরিচয় শনাক্ত করেছেন স্বজনরা।

ডিআইজি আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি দল সোমবার দুপুরে কক্সবাজার হাসপাতাল মর্গে যান। এ সময় ডিআইজি ট্রলারডুবির ঘটনায় নিহতদের কয়েকজন স্বজনের সঙ্গে কথা বলেন। স্বজনরাও তার কাছে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন। এ সময় সেখানে সিআইডি ও পিবিআইর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা সুনিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না কীভাবে হত্যাকাণ্ডের এই ঘটনা ঘটেছে এবং কারা ঘটিয়েছে। আমাদের ইনভেস্টিগেটররা (তদন্তকারী) কাজ করছেন। ঢাকা থেকে সিআইডি, পিবিআইয়ের দল এসে অনুসন্ধান শুরু করেছে। আমরা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি।’

নিহতরা সবাই মহেশখালী ও চকরিয়ার বাসিন্দা। তাদের মধ্যে ৬ জনেরই বাড়ি মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর মিঠাছড়ি এলাকায়। স্থানীয় মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে নুর কবিরের মাধ্যমে ওই এলাকার ৫ কিশোর সাগরে যায়। কিন্তু নুর কবির ছাড়া বাকি ৫ কিশোর পেশায় জেলে নয়৷ হঠাৎ কেন তারা সাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিল তা-ও স্বজনরা বুঝে উঠতে পারছেন না।

স্বজনরা বলেন, সাগরের নাজিরারটেক এলাকায় ভাসমান অবস্থায় যে ট্রলার থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার হয়েছে সেটির মালিক মহেশখালীর হোয়ানক ইউনিয়নের ছনখোলা এলাকার মোহাম্মদ রফিকের ছেলে শামসুল আলম। তিনি নিজেও সাগরে মাছ ধরতে যান তার নিজের ট্রলারে। ৭ এপ্রিল মাঝিমাল্লা নিয়ে তিনি সাগরে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তারা।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গ থেকে বের হয়ে আহাজারি করছিলেন হাশেম বানু নামে এক নারী। তার দাবি, মর্গে তার ভাইকে তিনি শনাক্ত করতে পেরেছেন। তার ভাইয়ের নাম শামসুল আলম।

১৪ বছরের কিশোর পারভেজের ভাই রহিম উদ্দিন জানান, তার ভাই কখনো জেলে ছিল না। কেন তাকে সাগরে নেয়া হয়েছে তাও তিনি নিশ্চিত নন। শরীরে থাকা পোশাক দেখে ভাইকে শনাক্ত করেছেন রহিম। তারও সন্দেহ, পরিকল্পিতভাবে তাদের হত্যা করা হয়েছে।

উদ্ধার হওয়া মরদেহ গুলোর চেহারা শরীরের প্রায় ৯৫ শতাংশ গলে গেছে। এর ফলে তাদের শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছিল।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মিজানুর রহমান বলেন, ‘স্বজনদের দাবি অনুযায়ী ১০ মরদেহের পরিচয়ই শনাক্ত হওয়া গেছে। কিন্তু মরদেহগুলো গলে গেছে। তাই ডিএনএ টেস্টের সিদ্ধান্ত ছাড়া পরিচয় নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়। তারপরও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সিনিয়ররা নেবেন।’

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. আশিকুর রহমান বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়না তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে। একে একে প্রত্যেক মরদেহের ময়না তদন্ত করা হচ্ছে।

যে ১০ জনের পরিচয় স্বজনের দাবিমতো শনাক্ত করা হয়েছে তারা হলেন- মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের ছনখোলা পাড়ার রফিক মিয়ার ছেলে সামশুল আলম, শাপলাপুর ইউনিয়নের মিটাছড়ি গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম, জাফর আলমের ছেলে সওকত উল্লাহ, মুসা আলীর ছেলে ওসমাণ গনি, সাহাব মিয়ার ছেলে সাইফুল্লাহ, মোহাম্মদ আলীর ছেলে পারভেজ মোশাররফ, মোহাম্মদ হোসাইনের ছেলে নুরুল কবির, চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের কবির হোসাইনের ছেলে সাইফুল ইসলাম, শাহ আলমের ছেলে মোহাম্মদ শাহজাহান ও চকরিয়া পৌরসভার চিরিঙ্গা এলাকার জসিম উদ্দীনের ছেলে তারেক জিয়া।

মাছ ধরার যে ট্রলার থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে সেটি শনিবার বিকেলে নাজিরারটেক কূলের কাছাকাছি টেনে নিয়ে আসে আরেকটি মাছ ধরার ট্রলার। যার মাঝি ছিলেন গুরা মিয়া। ওই ট্রলারে মরদেহগুলো বরফ ও মাছ রাখার স্টোরে হাত-পা বেঁধে ঢুকিয়ে দরজা পেরেক ঠুকে আটকে দেয়া ছিল।

আরও পড়ুন:
কক্সবাজারে ট্রলার থেকে উদ্ধার ১০ মরদেহ শনাক্তের দাবি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The thief calls 999 in fear of a mob attack

গণপিটুনির ভয়ে ৯৯৯-এ চোরের ফোন

গণপিটুনির ভয়ে ৯৯৯-এ চোরের ফোন অবস্থা বেগতিক দেখে ৯৯৯-এ ফোন করেন চোর হৃদয়। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা
‘হ্যালো এটা কি পুলিশের কন্ট্রোল? আমি একটা দোকানে ঢুকছিলাম চুরি করতে। এখন লোকজন টের পাইয়া গেছে। আমারে তো পিটাইয়া মাইরা ফালাইবো। আমারে গ্রেপ্তার করেন। তাড়াতাড়ি খানকা রোডে পুলিশ পাঠান। আমারে বাঁচান!’

‘হ্যালো এটা কি পুলিশের কন্ট্রোল? আমি একটা দোকানে ঢুকছিলাম চুরি করতে। এখন লোকজন টের পাইয়া গেছে। আমারে তো পিটাইয়া মাইরা ফালাইবো। আমারে গ্রেপ্তার করেন। তাড়াতাড়ি খানকা রোডে পুলিশ পাঠান। আমারে বাঁচান!’

মঙ্গলবার ভোর সোয়া চারটার দিকে রাজধানীর কদমতলী এলাকার খানকা রোডে অবস্থিত পাসপোর্ট অফিসের পাশের একটি দোকান থেকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে এমন অনুরোধ জানান হৃদয় নামের এক কলার।

কল পেয়ে জাতীয় জরুরি সেবা থেকে তাৎক্ষণিক কদমতলী থানায় বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়।

এ বিষয়ে জরুরি সেবা ৯৯৯-এর গণমাধ্যম কর্মকর্তা আনোয়ার সাত্তার বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে কদমতলী থানা পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। ততক্ষণে জনগণ কলার হৃদয়কে ধরে পিটুনি দেয়া শুরু করেছিল। পুলিশের দলটি ওই অবস্থা থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। প‌রে গ্রেপ্তার করে তাকে থানায় নি‌য়ে আসে।’

২৫ বছর বয়সী হৃদয় কদমতলী থানার মেরাজনগরের বি ব্লকে বসবাস করে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসা‌মি‌কে ইতোমধ্যে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
ডুবন্ত ট্রলার থেকে ৯৯৯-এ ফোন, ২৯ জেলে উদ্ধার
মোবাইল চুরি: চক্রের টার্গেট জানাজা ও জুমার নামাজ
চোরাই পথে আসা ভারতীয় চিনি ঢুকছে সিলেটের বাজারে
কসাই, গরু ব্যবসায়ীই যখন চোর চক্রে
নিরাপত্তাকর্মীহীন ফাঁকা বাসা টার্গেট, দুই বছরে শতাধিক চুরি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bloodsucker Johnny arrested

‘রক্তচোষা’ জনি গ্রেপ্তার

‘রক্তচোষা’ জনি গ্রেপ্তার মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ‘রক্তচোষা’ জনি। ছবি: নিউজবাংলা
ডিএমপি’র তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার এইচ এম আজিমুল হক বলেন, ‘জনির নামে ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের ১৪টি মামলা রয়েছে। সে মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান, চন্দ্রিমা মডেল টাউন, একতা হাউজিং, নবীনগর হাউজিং ও বসিলা এবং আদাবর থানা এলাকায় ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, মারামারি ও মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত।’

রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার চিহ্নিত ছিনতাইকারী ও পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী মো. মনির হোসেন ওরফে মো. জনি মিয়া ওরফে ‘রক্তচোষা’ জনিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার দুপুরে মোহাম্মদপুরের একতা হাউজিং এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, পাঁচ রাউন্ড গুলি ও তিনশ’ গ্রাম হেরোইন জব্দ করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, মোহাম্মদপুর এলাকায় সংঘবদ্ধ কিশোর গ্যাং নিয়ে কাজ করতে গিয়ে এই এলাকার দুর্ধর্ষ, কুখ্যাত সন্ত্রাসী রক্তচোষা জনিকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) তোফাজ্জল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল তুরাগ নদী সংলগ্ন একতা হাউজিং এলাকা থেকে জনিকে গ্রেপ্তার করে।’

ডিসি বলেন, ‘জনির নামে ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের ১৪টি মামলা রয়েছে। সে মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান, চন্দ্রিমা মডেল টাউন, একতা হাউজিং, নবীনগর হাউজিং ও বসিলা এবং আদাবর থানা এলাকায় ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, মারামারি ও মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত।

‘জিনকে মোহাম্মদপুর এলাকার ত্রাস বলা চলে। এমন কোনো অপরাধ নেই যা সে করেনি। একবার তাকে আটক করতে গেলে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের একজন এসআইকে কুপিয়ে আহত করে সে। অনেক বড় বড় অপরাধে জড়িত এই জনি। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে নতুন করে দুটি মামলা হবে।’

জনির নামের সঙ্গে রক্তচোষা যোগ হওয়ার বিষয়ে ডিসি আজিমুল হক বলেন, ‘কুখ্যাতির জন্য স্থানীয়রা তাকে এই নামে ডেকে থাকে। অবশ্যই সে এমন কোনো কাজ করেছে যার কারণে এই ভয়ঙ্কর নাম পরিচিতি পেয়েছে। মামলার সংখ্যা দেখেই বোঝা যাচ্ছে সে কতটা ভয়ঙ্কর।

‘বেশকিছু দিন ধরে সে সাধারণ মানুষকে বিরক্ত করছিল। এছাড়া জনির দুষ্কর্মের সহযোগী, আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়ার লোকজন থাকতে পারে। এ বিষয়গুলো আমরা তদন্তে আনার চেষ্টা করব। তাকে গ্রেপ্তারের পর জনমনে স্বস্তি ফিরেছে।’

আরও পড়ুন:
তেজগাঁওয়ে গাড়ি থামিয়ে গুলির ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার
পুলিশ দম্পতি অপহরণ করে ‘ফেঁসে গেছে’ অপহরণকারীরা
ইয়াবা-গাঁজাসহ একই পরিবারের ৫ জন গ্রেপ্তার
ছুরিসহ ‘তোমাদের আরিফ ভাইয়া’কে ধরেছে পুলিশ
ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে গৃহশিক্ষক গ্রেপ্তার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Arrest warrant issued against BNP leader Dulu and his wife

বিএনপি নেতা দুলু ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরোয়ানা

বিএনপি নেতা দুলু ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরোয়ানা বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু ও তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ছবি। ছবি: নিউজবাংলা
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আরিফুর রহমান বলেন, ‘হত্যা মামলার আসামি দুলু আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে নানা আবেদন করে দীর্ঘদিন আদালতে অনুপস্থিত। নানা কূটকৌশলে তিনি আদালতের সময় নষ্ট করছেন। এ বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হলে বিচারক তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।’

নাটোরে হত্যা ও বিস্ফোরণ মামলায় নির্দিষ্ট তারিখে আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু ও তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ছবির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

মঙ্গলবার দুপুরে নাটোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শরীফ উদ্দিন এ আদেশ দেন।

মামলার বরাতে আদালত সূত্র জানায়, ২০১২ সালের ৮ ডিসেম্বর রাতে নাটোর শহরের রেল স্টেশন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা মোটরসাইকেল বহর নিয়ে আসার পথে আলাইপুর জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বিএনপি নেতা দুলুসহ তার সমর্থকরা পিস্তল, রিভলবার, দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে বহরের পথরোধ করে হামলা চালায়। হামলার সময় গুলিবিদ্ধ হন স্থানীয় আওয়ামী লীগকর্মী পলাশ। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনার পরের দিন আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ মোর্তজা আলী বাবলু বাদী হয়ে দুলুকে প্রধান আসামি করে ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১৫ থেকে ১৬ জনকে আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

এছাড়া ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর নাটোর জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম মাসুমের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের শান্তিপূর্ণ একটি মিছিল জেলা বিএনপি কার্যালয় অতিক্রম করার সময় দুলুর স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ছবির নির্দেশে মিছিলে হামলা করে বিএনপি নেতা-কর্মীরা। এসময় ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। ঘটনার দিনই ছাত্রলীগ নেতা মাসুম বাদী হয়ে ছবিকে প্রধান আসামি করে ৩৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ১৫ থেকে ২০ জনের নামে মামলা করেন।

২০১৩ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর শহরের কানাইখালি এলাকায় বিএনপি নেতা বাবুল চৌধুরীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের মিছিলে হামলা চালানো হয় এবং ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি শহরের তেবাড়িয়া এলাকায় আওয়ামী লীগের বিজয় র‌্যালিতে বিএনপি হামলা চালায় বলেও অভিযোগ ওঠে। সেসময় গুলি করে যুবলীগকর্মী রাকিব রায়হানকে হত্যা করা হয়।

এসব মামলায় শুনানির নির্দিষ্ট তারিখে উপস্থিত না হওয়ায় দুলু ও তার স্ত্রী ছবির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী আবুল হোসেন বলেন, ‘আসামি রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু অসুস্থ থাকায় আদালতের ধার্যকৃত তারিখে হাজির হতে পারেননি। এজন্য হাসপাতালের চিকিৎসা সনদ আদালতে দাখিল করা হয়েছে। আর স্বামীর অসুস্থতায় সেবাযত্ন করায় সাবিনা ইয়াসমিন ছবিও আদালতে হাজির হতে পারেনি। আদালতে সময় প্রার্থনা করেছিলাম। তবে তা নামঞ্জুর করে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আমরা উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হব।’

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আরিফুর রহমান বলেন, ‘হত্যা মামলার আসামি দুলু আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে নানা আবেদন করে দীর্ঘদিন আদালতে অনুপস্থিত। নানা কূটকৌশলে তিনি আদালতের সময় নষ্ট করছেন। এ বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হলে বিচারক তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।’

আরও পড়ুন:
চোর-ডাকাত মুক্তি পাচ্ছে, খালেদা জিয়া পাচ্ছেন না: শামসুজ্জামান দুদু
তেজগাঁওয়ে গাড়ি থামিয়ে গুলির ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার
পুলিশ দম্পতি অপহরণ করে ‘ফেঁসে গেছে’ অপহরণকারীরা
তাপসের বক্তব্য মহল্লার সন্ত্রাসীদের মতো: রিজভী
খালেদাকে বিদেশ পাঠাতে এবার আব্বাসের ৩৬ ঘণ্টার আলটিমেটাম

মন্তব্য

বাংলাদেশ
It is our sacred duty to preserve the Constitution
জাতীয় স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধা জানানো শেষে প্রধান বিচারপতি

সংবিধান সংরক্ষণ করা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব

সংবিধান সংরক্ষণ করা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান মঙ্গলবার সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ছবি: নিউজবাংলা
‘শহীদদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, এ দেশের সংবিধান তৈরি হয়েছে। এই সংবিধানকে সংরক্ষণ করা আমি ও আমার সহকর্মীদের প্রত্যেকের পবিত্র দায়িত্ব। আমরা সেভাবেই শপথ নিয়েছি। এই শপথে বলীয়ান থাকার জন্য আবারও এসেছি স্মৃতিসৌধে।’

সংবিধান সংরক্ষণ করা বিচার বিভাগের সবার পবিত্র দায়িত্ব বলে উল্লেখ করেছেন দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

মঙ্গলবার দুপুরে সাভারে জাতীয় স্মৃতি সৌধের মূল বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এই স্মৃতিসৌধ আমাদের শহীদের আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান দেখিয়ে নির্মিত হয়েছে। আমি ‌ও আমার সহকর্মীরা এখানে এসেছি তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য৷

‘শহীদদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, এ দেশের সংবিধান তৈরি হয়েছে। এই সংবিধানকে সংরক্ষণ করা আমি ও আমার সহকর্মীদের প্রত্যেকের পবিত্র দায়িত্ব। আমরা সেভাবেই শপথ নিয়েছি। এই শপথে বলীয়ান থাকার জন্য আবারও এসেছি স্মৃতিসৌধে।’

পরিদর্শন বইয়ে প্রধান বিচারপতি লেখেন, ‘ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলার স্বাধীনতার আন্দোলনে শাহাদাৎ বরণকারী সব শহীদের প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী ৩০ লাখ শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। শ্রদ্ধা জানাই ২ লক্ষাধিক মা-বোনের প্রতি।

‘জাতীয় স্মৃতিসৌধে দাঁড়িয়ে প্রতিজ্ঞা করছি যে মহান আদর্শ আমাদের বীর জনগণকে জাতীয় মুক্তিসংগ্রামে আত্মনিয়োগ করতে উদ্বুদ্ধ করেছিলো- জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার মূলনীতিসমূহ আমি বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে ও ব্যক্তি জীবনে দৃঢ়ভাবে অনুসরণ করবো।

‘বীর শহীদগণের আত্মত্যাগের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ ও এর সুপ্রীম কোর্ট। বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে আমি ও সুপ্রীম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতিগণের পক্ষ থেকে সকল শহীদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।

‘এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা আমরা তোমাদের ভুলবো না। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’

এর আগে সকাল ১১টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতিকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। গত ১২ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে বাংলাদেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।

আরও পড়ুন:
কখনও আমেরিকা যাইনি, যাবও না
বিচার বিভাগ রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার হচ্ছে না: নতুন প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতির সংবর্ধনা বর্জন বিএনপির আইনজীবীদের
গণতন্ত্রে বিশ্বাস করলে সহনশীল হতে হবে: প্রধান বিচারপতি
শহীদদের সঠিক তালিকা থাকা উচিত: প্রধান বিচারপতি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Hospital Silgala accepts extra fee for dengue test

ডেঙ্গু টেস্টে অতিরিক্ত ফি নেয়ায় সাভারে হাসপাতাল সিলগালা

ডেঙ্গু টেস্টে অতিরিক্ত ফি নেয়ায় সাভারে হাসপাতাল সিলগালা শ্রীপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মঙ্গলবার দুপুরে দ্বীপ জেনারেল হাসপাতালে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত। ছবি: নিউজবাংলা
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা জানান, হাসপাতালটি ডেঙ্গু টেস্টে সরকার নির্ধারিত ফি ৩০০ টাকার পরিবর্তে সাধারণ রোগীদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা আদায় করছিল।

ডেঙ্গু টেস্টে সরকার নির্ধারিত ফির চেয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় ও সাধারণ ফ্রিজে রক্ত সংরক্ষণসহ কয়েকটি অভিযোগে সাভারের আশুলিয়ায় একটি হাসপাতাল সিলগালা করেছে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ওই সময় প্রতিষ্ঠানটিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

আশুলিয়ার শ্রীপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মঙ্গলবার দুপুরে দ্বীপ জেনারেল হাসপাতালে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা জানান, হাসপাতালটি ডেঙ্গু টেস্টে সরকার নির্ধারিত ফি ৩০০ টাকার পরিবর্তে সাধারণ রোগীদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা আদায় করছিল।

এ ছাড়া সাধারণ ফ্রিজে রক্ত সংরক্ষণ, মেয়াদোত্তীর্ণ রিএজেন্ট পাওয়ার অভিযোগে হাসপাতালটিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাসহ সিলগালা করে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

ওই সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আশুলিয়া সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুর রহমান ও সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পণা কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা অভিযানে অংশ নেন।

আরও পড়ুন:
হাসপাতালগুলোর অতি মুনাফা প্রবৃত্তিতে ভুগছে জনগণ: তথ্যমন্ত্রী
হাসপাতালে রোগীর মৃত্যু, ইন্টার্নদের সঙ্গে স্বজনদের সংঘর্ষে আহত ১৮
হেলথকেয়ারে ‘জিরো কম্প্রোমাইজ’ অঙ্গীকারে ইউনাইটেডের ১৭ বছরপূর্তি
সিলগালা করার পরও ব্যাটারি পুড়িয়ে তৈরি হচ্ছে সিসা
হাসপাতালই যখন ডেঙ্গুর বাহক এডিসের বাসা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Justice Obaidul Hasan took oath as the 24th Chief Justice

২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান

২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে শপথবাক্য পাঠ করান। ছবি: বাসস
বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে গত ১২ সেপ্টেম্বর নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। এই নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হয়েছে।

দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

মঙ্গলবার সকালে বঙ্গভবনের দরবার হলে সকাল ১১টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতিকে শপথবাক্য পাঠ করান।

শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, রাষ্ট্রপতির স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা, মন্ত্রিসভার সদস্য, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য, জাতীয় সংসদের উপনেতা, সাবেক প্রধান বিচারপতিগণ, আপিল ও হাইকোর্ট উভয় বিভাগের বিচারপতি, জাতীয় সংসদের হুইপ, তিন বাহিনীর প্রধান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, অ্যাটর্নি জেনারেল, বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও সংবাদ সংস্থার সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিক, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীসহ সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে গত ১২ সেপ্টেম্বর নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। এই নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হয়েছে।

সদ্যবিদয়ী প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্বপালনের সময়সীমা ছিল ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ১৯৫৯ সালের ১১ জানুয়ারি নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ থানাধীন ছয়াশী (হাটনাইয়া) গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসএস (অনার্স), এমএসএস (অর্থনীতি) ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৬ সালে আইনজীবী হিসেবে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের বারের সনদ পেয়ে জেলা বার-কমিটি যোগদান করেন। ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে এবং ২০০৫ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।

তিনি সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এবং ডেপুটি এটর্নি জেনারেল হিসেবে ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে ৫ বছর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে ২০০৯ সালের ৩০ জুন যোগদান করেন এবং ২০১১ সালের ৬ জুন একই বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন।

তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর একজন সদস্য হিসেবে ২০১২ সালের ২৫ মার্চ যোগদান করেন এবং ১৩ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে এই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হয়ে ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ কর্মরত থাকাকালীন ১১টি মামলার রায় প্রদান করা হয়েছে। তিনি ২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন।

তিনি ‘অবর্ণনীয় নির্মমতার চিত্র: একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যাকা- ও অন্যান্য’ এবং ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ: একজন যুদ্ধশিশুর গল্প ও অন্যান্য’ নামক দুটি গ্রন্থ রচনা করেছেন।

বিচারপতি হিসেবে যোগদানের আগে ওবায়দুল হাসান দেওয়ানি, ফৌজদারি এবং সাংবিধানিক বিষয়াদি সম্পর্কিত মোকদ্দমার একজন দক্ষ আইনজীবী হিসেবে ব্যাপক পরিচিত লাভ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধানমন্ডি ল কলেজের একজন খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
One arrested in Tejgaon car stop shooting incident

তেজগাঁওয়ে গাড়ি থামিয়ে গুলির ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার

তেজগাঁওয়ে গাড়ি থামিয়ে গুলির ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার
পুলিশের তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে প্রাইভেট কার থামিয়ে এলোপাতাড়ি গুলির ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার পুরান ঢাকা থেকে মারুফ বিল্লাহ ওরফে হিমেল নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশের তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, মারুফ বিল্লাহ ঘটনাস্থলে ছিলেন। তিনি হামলার শিকার সন্ত্রাসী তারিক সাঈদ মামুনকে বার বার ফোন দিয়ে তার অবস্থানের খোঁজ নিচ্ছিলেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকার কথা তিনি স্বীকার করেছেন।

মারুফকে মঙ্গলবার আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

এর আগে রোববার রাত ৯টার দিকে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় একটি গাড়ি থামিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় দুজন আহত ও একজন পথচারী গুলিবিদ্ধ হন।

গুলিবিদ্ধ পথচারী হলেন ৫৫ বছরের ভুবন চন্দ্র শীল। আহত দুজন হলেন ৫৪ বছরের মো. মামুন ও ৩০ বছরের আরিফুল হক ইমন।

গুরুতর আহত অবস্থায় রাতেই ভুবনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে পরে তাকে নেয়া হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন:
পুলিশ দম্পতি অপহরণ করে ‘ফেঁসে গেছে’ অপহরণকারীরা
ইয়াবা-গাঁজাসহ একই পরিবারের ৫ জন গ্রেপ্তার
ছুরিসহ ‘তোমাদের আরিফ ভাইয়া’কে ধরেছে পুলিশ

মন্তব্য

p
উপরে