আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে শেষ কর্মদিবসে রাজধানীর প্রধান নৌবন্দর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে বেড়েছে যাত্রী চাপ। দক্ষিণাঞ্চলের লঞ্চগুলো যাত্রী বোঝাই করে ছেড়ে যাচ্ছে ঘাট। তবে পদ্মা সেতু দিয়ে সড়ক পথে সময় কম লাগায় বরিশালরুটে যাত্রী চাপ কিছুটা কম।
মঙ্গলবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভোলা, হাতিয়া, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালীগামী লঞ্চগুলোতে যাত্রীর চাপ গত কয়েকদিনের তুলনায় বেড়েছে। এদিন বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পন্টুনগুলোতে যাত্রী উপস্থিতি বাড়তে শুরু করে।
ঈদ উপলক্ষে মঙ্গলবার অগ্রিম টিকিট বিক্রির দ্বিতীয় দিন হলেও প্রায় দুই সপ্তাহ আগে থেকেই টিকিট বিক্রি শুরু করেছেন লঞ্চ মালিকরা। তারা জানিয়েছেন, এরইমধ্যে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটের ২০ এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় সব অগ্রিম টিকিট বিক্রি শেষ। এছাড়া ২১ এপ্রিলেরও প্রায় ৬০ শতাংশেরও বেশি বিক্রি হয়ে গেছে। পোশাক কারখানা ছুটি হয়ে গেলে যাত্রী আরও বাড়বে বলে আশা করছেন তারা।
এদিকে ঈদযাত্রায় বিভিন্ন রুটে লঞ্চের বাড়ানো হয়েছে ভাড়া। ঢাকা বরগুনা রুটে সোমবার পর্যন্ত ডেকের ভাড়া ৫৫০ টাকা রাখা হলেও মঙ্গলবার থেকে ৬০০ টাকা করে রাখা হচ্ছে। অন্যান্য রুটেও একই চিত্র। কেবিনের ভাড়াও বেড়েছে এক শ থেকে দুই শ টাকা পর্যন্ত। তবে অন্যান্য পরিবহনের চেয়ে তুলনামূলক কম ভাড়া নেয়ায় তেমন অভিযোগ নেই যাত্রীদের।
টার্মিনালে কথা হয় বাড্ডা থেকে আসা পুলিশ সদস্য আবু সুফিয়ান মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এবার ঈদে আমার ছুটি নেই। তাই আগেভাগেই পরিবারের সদস্যদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছি। গতকালই ফোন করে কেবিন বুকিং দিয়ে রেখেছিলাম। তাই তেমন ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি। টার্মিনালে এসেও দেখলাম আগের থেকে ভোগান্তি কম।’
বরিশাল রুটের লঞ্চ সুন্দরবন-১১ এর করণিক আব্দুল হাকিম বলেন, ‘অন্যান্য রুটে যাত্রীর চাপ বাড়লেও বরিশাল রুটে যাত্রীর চাপ কম। আমরা তেমন যাত্রী পাচ্ছিনা। তবে যেহেতু এই রুটে কিছু অগ্রীম টিকিট বিক্রি হয়েছে। পোশাক কারখানা ও অন্যান্য অফিস ছুটি হলে ২৭ বা ২৮ রমজান থেকে যাত্রীর চাপ বাড়তে পারে।
ঢাকা-ইলিশা রুটে চলাচলকারী পারাবত-১৫ এর কেবিন ইনচার্জ গোলাম রাব্বি বলেন, ‘আমাদের রুটে যাত্রীর চাপ অন্যান্য রুটের চেয়ে একটু বেশি। আমাদের মোটামুটি অগ্রিম টিকিট বিক্রি শেষের পথে। ২১ এপ্রিলেরও ৬০ ভাগের মতো বিক্রি হয়েছে।’
ঢাকা-চরফ্যাশন (ভোলা) রুটে চলাচলকারী এমভি টিপু-১৩ এর সুপারভাইজার মামুন হোসেন বলেন, ‘আজ তুলনামূলক যাত্রীর চাপ একটু বেশি। ডেক-কেবিনের টিকিট প্রায় সব বিক্রি হয়েছে। আমাদের ২৭ রমজানের অগ্রিম টিকিট সব বিক্রি হয়ে গেছে। সেদিন থেকে যাত্রীর চাপ আরও বাড়তে পারে।
লঞ্চ মালিক সমিতির মহাসচিব শহিদুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘ভোলা, হাতিয়া এসব রুটে যাত্রী মোটামুটি বাড়ছে, কিন্তু বরিশাল রুটে যাত্রীর চাপ কম। পদ্মা সেতুর কারণে এই রুটের অনেকেই সড়কপথে চলে যাচ্ছে। এই রুটে আপাতত দুইটি লঞ্চ চলছে। আজ অফিস ছুটি হয়ে যাচ্ছে। কাল থেকে সব রুটেই যাত্রী বাড়তে পারে। আমাদের লঞ্চ প্রস্তুত আছে, যাত্রী বাড়লে রুটগুলোতে লঞ্চও বাড়ানো হবে।’
এদিকে ঈদের আগে পাঁচ দিন সদরঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চগুলোতে মালামাল ও মোটরসাইকেল পরিবহন বন্ধ এবং ঈদের পরে পাঁচ দিন অন্য নদীবন্দর থেকে ঢাকা সদরঘাটে আসা নৌযানে মালামাল ও মোটরসাইকেল পরিবহন সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর।
সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুর রহমান খান বলেন, ‘ঈদ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীর চাপ বাড়তে শুরু করেছে। ঈদযাত্রায় ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নিরাপদ করতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, আনসার, নৌ-পুলিশসহ স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করছেন। সন্দেহজনক কিছু দেখলে তল্লাশিও চালানো হচ্ছে। যাত্রীর চাপ বাড়লে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘মালামাল তেমন পরিবহন করা হচ্ছেনা। যাত্রীদের ব্যক্তিগত কিছু মালামাল তারা নিয়ে যাচ্ছেন। আমরা মোটরসাইকেল আটকে দিচ্ছি।’
সদরঘাটের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক কবির হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আগের চেয়ে যাত্রীর চাপ বাড়ছে। সোমবার ৪১ টি রুটে ৭১ টি লঞ্চ চলাচল করেছে। মঙ্গলবার ৮৫ টির মতো লঞ্চ বিভিন্ন রুটে ঢাকা নদী বন্দর থেকে ছেড়ে গেছে। এদিন প্রায় ১৮ হাজারের মতো যাত্রী নৌপথে ঢাকা ছেড়েছে।’
আরও পড়ুন:মৌলভীবাজার জেলার জুড়ীতে ফুঁ দিয়ে বরকত বাড়ানোর কথা বলে এক গৃহবধূর টাকা নিয়ে সটকে পড়েছে প্রতারক চক্র।
সোমবার দুপুরে উপজেলার কামিনীগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, মেয়েকে কলেজে ভর্তি করতে পূবালী থেকে ৩১ হাজার টাকা উত্তোলন করেন উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের কালিনগর গ্রামের দুবাই প্রবাসী আব্দুল মতিনের স্ত্রী গৃহবধূ শাহিদা বেগম। তার টাকার ুপর নজর গেলে তা আত্মসাতের পরিকল্পনা আঁটে চক্রটি। ব্যাংক থেকে বের হওয়ার পর টাকায় বরকত বাড়ানোর কথা বলে ওই গৃহবধূর টাকাগুলো এক প্রতারকের হাতে দিতে বলেন অন্য প্রতারকরা। প্রতারকদের কথা শুনে সরল বিশ্বাসে তিনি টাকাগুলো তার হাতে তুলে দেন।
প্রতারক প্রথমে ওই টাকা থেকে ১ হাজার টাকা ফু দিয়ে আলাদা রাখেন। এরপর গৃহবধূ কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাকি ৩০ হাজার টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায় তারা। কিছুক্ষণ পর বিষয়টি বুঝতে পেরে হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করেন ওই গৃহবধূ। বিষয়টি দেখে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে তিনি ঘটনাটি সবিস্তারে বর্ণনা করেন।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর বড়লেখা উপজেলায় একই কায়দায় সুজানগর ইউপির বড়থল গ্রামের কাতার প্রবাসী ছুয়াব আলীর স্ত্রী ছাবিয়া বেগমের কাছ থেকে কৌশলে ৭৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্র। প্রতারক চক্রের এমন ঘটনায় জেলাজুড়ে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
জুড়ী থানার ওসি মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন:বরিশালে নকল স্বর্ণের বার তৈরির সময় জসিম হাওলাদার নামে প্রতারক চক্রের এক সদস্যকে আটক করেছে মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ। তবে চক্রের অপর ৫ সদস্য কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।
আটককালে ছয়টি নকল স্বর্ণের বার, ১২টি পিতলের বার (পিতলের চামচ কেটে বানানো টুকরো) ও নকল স্বর্ণ তৈরির সরমাঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় আটককৃত জসিমসহ চক্রের পলাতক ৫ সদস্যকে আসামি করে মঙ্গলবার বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউনিয়া থানায় মামলা করেছেন ডিবি পুলিশের এসআই ফখর উদ্দীন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডিবি অ্যাডমিন এন্ড ক্রাইম) মো. তোতা মিয়া।
পুলিশ জানায়, বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল চক্রটি। বিষয়টি বেশ কিছুদিন থেকে নজরদারিতে রেখেছিল পুলিশ। সোমবার রাতে বরিশাল মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, নগরের কাউনিয়া প্রথম গলির একটি বাসায় নকল স্বর্ণ তৈরি করা হচ্ছে। তাৎক্ষণিক ফোর্স নিয়ে ডিবির এসআই মো. ফখর উদ্দীন ও এএসআই মো. জামাল হোসাইন ওই এলাকায় অভিযান চালান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রতারক চক্রের ৫ সদস্য পালিয়ে গেলেও প্রতারক জসিম হাওলাদারকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এ সময় জসিমের বসতঘরে তল্লাশি চালিয়ে ৬টি স্বর্ণের বার সদৃশ বস্তু, ১২টি পিতলের বারসহ নকল স্বর্ণ প্রস্তুত করার সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ডিবির এসআই মো. ফখর উদ্দীন বাদী হয়ে আটককৃত ৩২ বছর বয়সী জসিমসহ পালিয়ে যাওয়া প্রতারক চক্রের সদস্য আগৈলঝাড়া থানার নাগার গ্রামের মৃত মাহেন্দ্রনাথ বল্লভের ছেলে ৪৫ বছর বয়সী অপু ঘোষ ওরফে মঙ্গল বল্লভ, কাউনিয়া সাধুর বটতলা এলাকার বাসিন্দা বাদশার ছেলে ৩০ বছর বয়সী সুমন, কাউনিয়া বাসু মিয়ার গলির ভাড়াটিয়া ৩২ বছর বয়সী এমরান, পুরানপাড়া এলাকার ৩৫ বছর বয়সী কালু ও কাউনিয়া হাউজিং এলাকার মফিজকে আসামি করে মেট্রোপলিটন কাউনিয়া থানায় মামলা করেন।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডিবি এডমিন এন্ড ক্রাইম) মো. তোতা মিয়া বলেন, ‘এ চক্রটি মূলত নগরের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল ও এর আশপাশের এলাকাকে কেন্দ্র করে প্রতারণার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল। গ্রাম থেকে আসা সহজ-সরল মানুষকে টার্গেট করত তারা।
‘একজনকে যখন আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে, বাকি স্বর্ণ প্রতারকদেরও ধরা সম্ভব হবে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
আরও পড়ুন:কুমিল্লায় ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযান থেকে বাঁচতে হাসপাতাল একদম ফাঁকা করে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
কুমিল্লা নগরীর টমছম ব্রিজ এলাকায় অবস্থিত ‘কুইন্স হাসপাতালে’ মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে।
নিয়ম অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছিলো না এমন অভিযোগে হাসপাতালটির বিরুদ্ধে অভিযানে যায় কুমিল্লা স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট।
অভিযানে গিয়ে প্রথমে হাসপাতালে রোগী, চিকিৎসক,নার্সসহ কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীও খোঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানান অভিযান পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ইমদাদুল হক তালুকদারের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. মেহেদী হাসান ও ডা. মো. আবদুল কাইয়ুম উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, হাসপাতালটির কোনো লাইসেন্স কিংবা অনুমতিপত্র ছিল না। নিয়ম না মেনেই সাত তলা আবাসিক ভবনের পাঁচটি ফ্লোরের ফ্ল্যাট গুলোকে কেবিন ও ওয়ার্ড বানিয়ে কুইন্স ডিজিটাল হাসপাতাল নামের কথিত এই সেবা কেন্দ্র খোলা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে নগরীর এই গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কোনো ডিউটি চিকিৎসক ছাড়াই সেবা দিয়ে আসছিল।
হাসপাতালে অভিযানের ভয়ে সকাল থেকেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাসপাতাল রেখে পালিয়ে যায়। যদিও ভবনের কেয়ারটেকার জানায় তিন মাসের ভাড়া বকেয়া থাকায় তাদের চলে যেতে বলা হয়েছে। এসময় বিভিন্ন মাধ্যমের সহযোগিতা নিয়ে ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ডেকে এনে এর কারণ জিজ্ঞেস করা হয়। পরে কোন কাগজপত্র না দেখাতে পারায় দুই লাখ টাকা জরিমানা ও প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়।
অভিযানে উপস্থিত থাকা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘হাসপাতালটি অনুমতি ছাড়া অস্ত্রোপচার, রোগী ভর্তি, বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষা চালিয়ে আসছিল। এছাড়াও হাসপাতালে গিয়ে কোন ডিউটি ডাক্তার বা কর্তৃপক্ষকে পাওয়া যায় নি। এমন অভিযোগে তাদের দুই লাখ টাকা জরিমানা ও প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়। স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
সিনিয়র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক বলেন, ‘অভিযান পরিচালনাকালে কুইন্স হাসপাতাল তাদের বৈধতার কোন কাগজ দেখাতে পারিনি। তাই তাদেরকে জরিমানা ও সিলগালা করা হয়েছে।’
খুবই দক্ষ চোর চক্রটি। মাত্র ১০ সেকেন্ডেই একেকটি মোটরসাইকেল হাওয়া করে দেয়ার সক্ষমতা রাখে তারা। চট্টগ্রামের ফুটপাত, বাসাবাড়ি কিংবা অফিসের পার্কিং থেকে একের পর এক মোটরসাইকেল উধাও হয়ে যাওয়ার পর অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়েছে চক্রটি।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের মিরসরাই ও জোরারগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের মূল হোতা রায়হানসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় ৭টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করত চক্রটি। পরে অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিয়ে এবং অন্যান্য চোরচক্রের সঙ্গে যোগযোগ করে সেগুলো বিক্রি করে আসছিল তারা।
মহানগর গোয়েন্দা বিভাগ (উত্তর ও দক্ষিণ) পুলিশের উপকমিশনার নিহাদ আদনান তাইয়ান বলেন, ‘নগরীর হালিশহর থানাধীন বড়পোল এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোটরসাইকেল চোর চক্রের মূলহোতা আব্দুল্লাহ আল রায়হান, তার সহযোগী ইরফাদুল আলম ও আক্তার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বাকিদের আটক করা হয়।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভারতকে দরকার আছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘কোথায় স্যাংশন, কোথায় ভিসানীতি, তলে তলে আপস হয়ে গেছে।’
রাজধানীর সাভারের আমিন বাজারে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মঙ্গলবার কাদের আরও বলেন, ‘দিল্লি আছে, যুক্তরাষ্ট্রেরও দিল্লিকে দরকার। আমরা আছি, দিল্লিও আছে। শত্রুতা কারও সঙ্গে নেই। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব। শেখ হাসিনা এমন ভারসাম্য সবার সঙ্গে করে ফেলেছেন। আর কোনো চিন্তা নেই। ইলেকশন হবে, যথাসময়ে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অক্টোবরে সোজা হয়ে দাঁড়ান, কৌশল ভালো করে শিখে নেন। করতে হবে যুদ্ধ। বিএনপির লোকেরা এখন পথ হারিয়ে দিশেহারা। দুই সেলফিতেই বাজিমাত। এক সেলফি দিল্লিতে আরেক সেলফি নিউইয়র্কে। প্রথমে দিল্লিতে গিয়ে, পরে নিউইয়র্কে বাজিমাত।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘খেলা হবে ভোট চুরির বিরুদ্ধে, খেলা হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে, খেলা হবে লুটপাটের বিরুদ্ধে, খেলা হবে অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে, খেলা হবে চোরদের বিরুদ্ধে। সব চোর একত্র হয়েছে ক্ষমতার জন্য। ক্ষমতায় বসে দেশ ধ্বংস করবে। ওই দিন শেষ। ডিসেম্বরে বলেছিল না খালেদা জিয়া দেশ চালাবে, মনে আছে? নয় মাস চলে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনার কাছে আবেদন করেছে। ৪টা ৫টা বছর আদালতে হাজিরা পর্যন্ত দেয়নি। এত দিন খালেদা জিয়ার মামলার ফয়সালা হয়ে যেত। কিন্তু এ মামলা ফয়সালা হয়নি বিএনপির জন্য। বিএনপির মামলা রয়ে গেছে। আদালতে ঝুলে আছে। খালেদা জিয়াকে দেখিয়ে যদি কিছু করা যায়। অক্টোবরে নাকি পতন, কোন অক্টোবর, এই অক্টোবর নাকি আগামী অক্টোবর। নাকি তার পরের বছরের অক্টোবর। অক্টোবরে নভেম্বরে ডিসেম্বরে কিছুই হবে না।’
কাদের বলেন, ‘অক্টোবর থেকে শুরু, মার্চ থেকে শুরু, খেলা হবে আগামী মাসে সেমিফাইনাল। জানুয়ারিতে ফাইনাল। বিএনপি এখন ফাউল করছে। ফাউল করলে হলুদ কার্ড। ফাউল হলে লাল কার্ড। খেলা নিয়ে ফাউল করা চলবে না। খালেদা জিয়া ছাড়া বিএনপি ইলেকশন করবে না। এত দিন কই ছিল? খালেদা জিয়া বছরের পর বছর জেলে। তার জন্য একটা আন্দোলন হোক, করতে পারল না ফখরুল। আর এখন খালেদা জিয়া ছাড়া নির্বাচন করবে না।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা নাকি নিষ্ঠুরতা দেখাচ্ছে, কেমন নিষ্ঠুরতা, ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারকে তারা হত্যা করেছে। শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা সেদিন বিদেশে ছিলেন বলে বেঁচে গিয়েছিলেন। সেদিন নিষ্ঠুরতা কোথায় ছিল। এই হত্যাকাণ্ডের নায়ক জেনারেল জিয়াউর রহমান। নিষ্ঠুর কারা? জাতির পিতাকে হত্যা করেছে, জেলখানায় চার নেতাকে হত্যা করেছে। শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে। কে করেছে এগুলো, হাওয়া ভবন কে করেছে, তারেক জিয়া শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। বেগম জিয়াকে একবারও কি কেউ হত্যা করতে গিয়েছিল। তারেক রহমানের জীবনের ওপর একবারও কি হামলা হয়েছে? আওয়ামী লীগ করবে না, আওয়ামী লীগ হত্যা-সন্ত্রাসের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করে না। আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্রের শিকার। এখনো আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘অক্টোবর মাস তো চলে যাচ্ছে। আর কত হুমকি, ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম বুড়িগঙ্গায় ভেসে গেছে। গত ডিসেম্বরের আন্দোলন গরুর হাটের খাদে পড়েছে। আর আন্দোলন আছে? কোথায় যাবেন? এখন এই জায়গায়, ওই জেলায়, ওই নগরীতে, আজকে দিশেহারা পথিকেরা আন্দোলনের নামে ঘুরে বেড়ায়। এতে কোনো কাজ হবে না। নির্বাচন ছাড়া বাংলাদেশের জনগণ আর কিছুই চায় না।’ আমেরিকার ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট এক সমীক্ষায় মন্তব্য করেছে, এই মুহূর্তে ভোট হলে বাংলাদেশের শতকরা ৭০ জন লোক শেখ হাসিনাকে ভোট দেবে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগাঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম প্রমুখ।
আরও পড়ুন:ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে অন্যতম বিপ্লবী জ্ঞানচন্দ্র মজুমদারের আজ ৫৩তম প্রয়াণ দিবস।
জ্ঞানচন্দ্র মজুমদার ১৮৮৯ সালে তৎকালীন নেত্রকোনা মহকুমার বারহাট্টা উপজেলার রায়পুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। অনুশীলন সমিতির নেতা ছিলেন তিনি। অনুশীলন সমিতিতে তিনিই বিধিবদ্ধ শপথ গ্রহণ করে সর্বপ্রথম সদস্য হন।
১৯০৬ সালে এন্ট্রাস পাস করার পর ঢাকা কলেজে পড়ার সময় অনুশীলন সমিতির প্রতিষ্ঠাতা পি. মিত্রের সংশ্রবে আসেন জ্ঞানচন্দ্র। ১৯০৬ সাল থেকে ১৯১০ সাল পর্যন্ত সমিতির সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজে তার বিশেষ ভূমিকা ছিল।
বিপ্লবের মধ্যে থেকেও তিনি ১৯১০ সালে বিএসসি পাস করেন। প্রেসিডেন্সি কলেজে এমএসসি পড়ার সময় আচার্য প্রফুল্লচন্দ্রের দৃষ্টিতে পড়েন জ্ঞানচন্দ্র। পরে পুলিশি তৎপরতায় তার পড়া শেষ হওয়ার আগেই ১৯১৬ সালে আটক হন।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষে ১৯১৯ সালে ছাড়া পেয়ে কংগ্রেস আন্দোলনে যোগ দেন তিনি। এ সময় ময়মনসিংহ জেলায় কংগ্রেস সংগঠন গড়ে তুলে বহু বছর তার সম্পাদক এবং পরে সভাপতি হিসেবে কাজ করেন। ১৯২৫-৩০ সালে তিনি বাংলার প্রধান নেতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন।
১৯৩৮ সনে জ্ঞানচন্দ্র তদানীন্তন কংগ্রেস হাই কমান্ডের বিপক্ষে গিয়ে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর সঙ্গে মিলিত হয়ে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্য নির্বাচিত হন। জীবনের ২৬ বছর তাকে ব্রিটিশ রাজের কারাগারে বন্দি থাকতে হয়।
দেশ বিভাগের পর ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত তিনি পাকিস্তানে বাস করেন। এ সময় তিনি পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য ছিলেন।
মহান এই বিপ্লবী ১৯৭০ সালের ৩রা অক্টোবর কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।
কাঁঠালের বার্গার তৈরি করল বাংলাদেশে। সেই বার্গার রপ্তানি হতে যাচ্ছে ইউরোপের বাজারে। সম্প্রতি আইসল্যান্ডের একটি সুপারস্টোর বাংলাদেশ থেকে চার লাখ কাঁঠালের বার্গার নেয়ার অর্ডার দিয়েছে।
গত ডিসেম্বরে গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কাঁঠালের জিনোম সিকোয়েন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আমাদের দেশের উচ্চবিত্তরা বার্গার, রোলজাতীয় খাবার খেতে পছন্দ করেন। এসব খাবারে মাংসের পরিবর্তে কাঁঠাল ব্যবহার করা যায়। কাঁঠালের পুষ্টিগুণও অনেক।
তার বক্তব্যের পরই নেটিজেনরা নানা সমালোচনা শুরু করেন। তবে সব সমালোচনাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে এবার সত্যি রপ্তানি হতে যাচ্ছে কাঁঠালের বার্গার। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন গ্রামীণ উন্নয়ন সংস্থা পিকেএসএফ কর্মকর্তারা বলেন, খাদ্য পরীক্ষাগারে গবেষকদের সাফল্যের পর বাণিজ্যিকভাবে কাঁঠালের রেসিপি নিয়ে কাজ করতে উৎসাহী হয় পিকেএসএফ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট) থেকে আর্থিক সহায়তাও মিলেছে। সংস্থাটি তার কৃষি বাণিজ্যিকীকরণ এবং উদ্যোগ প্রচার প্রকল্পের অধীনে ১২৯ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেয়। জাতিসংঘের এজেন্সি-সহায়তা প্রকল্পের অধীনে বাস্তবায়িত হওয়া ছোট আকারের প্রকল্পগুলোর মধ্যে কাঁঠালের বার্গার অন্যতম।
১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট ইনোভেশন অ্যান্ড প্র্যাকটিস (সিডিআইপি) নামের এনজিওটি এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পে মোট বিনিয়োগ করা হয়েছে ১ দশমিক ৮৯ কোটি টাকা। এরমধ্যে পিকেএসএফ দিয়েছে ১ দশমিক ৪৪ কোটি টাকা এবং বাকি টাকা দিচ্ছে সিডিআইপি।
সিডিআইপির নির্বাহী পরিচালক মিফতা নাইম হুদা বলেন, আইসল্যান্ডের প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে পিকেএসএফের মাধ্যমে কারখানা পরিদর্শন করতে চেয়েছে। সিডিআইপি বিষয়টি মাথায় নিয়েই প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বাংলাদেশ কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চে (বিসিএসআইআর) ইতোমধ্যেই কাঁঠালের বার্গারের খাদ্যমান যাচাই করা হয়েছে। বিসিএসআইআর থেকে ডায়েটারি ফাইবার অ্যানালাইজারের মাধ্যমে পরীক্ষায় প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁঠালের প্যাটিতে ৯ দশমিক ৭৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১০ দশমিক ৮৭ গ্রাম প্রোটিন, ৮ দশমিক ৪৭ গ্রাম ফ্যাট, ১৯ দশমিক ৩২ গ্রাম ডায়েটারি ফাইবার এবং ১৫৯ কিলোক্যালরি এনার্জি রয়েছে বলে জানা যায়।
পিকেএসএফের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের বলেন, স্বাদ, গন্ধ কিংবা রসালোভাবের দিক দিয়ে মাংসের প্যাটির বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে কাঁঠালের প্যাটি। বিশ্বে ভেজিটেরিয়ানদের (নিরামিষভোজী) কাছে এর চাহিদা থাকার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে, ফলে রপ্তানিতেও তৈরি হয়েছে সম্ভাবনা।
বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশে বছরে ১৮ লাখ ৯৩ হাজার ৩০৩ মেট্রিক টন কাঁঠাল উৎপাদিত হচ্ছে। ফলে এ উৎপাদন ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে, পণ্য বৈচিত্র্যকরণের মাধ্যমে সারাবছর কাঁঠালের পণ্য বিপণন সম্ভব হবে। এতে কাঁঠালের ভ্যালু অ্যাডিশন বা মূল্য সংযোজন কয়েকগুণ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পোস্ট হার্ভেস্ট টেকনোলজি বিভাগের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও খাদ্য প্রযুক্তিবিদ ড. মো. গোলাম ফেরদৌস বলেন, শুধু বার্গারই নয়– কাঁচা কাঁঠাল দিয়ে স্যান্ডুইচ, কাঁঠালের রোল, কাটলেট, শিঙ্গাড়া, সমুচা, কাঁঠালের দই, কাঁঠালসত্ত্ব, শরবত, কাস্টার্ড, কেক, আইসক্রিমও তৈরি করা সম্ভব। যদি সচেতনতা তৈরি করা যায় তাহলে কাঁঠালপণ্যের একটি বড় বাজার তৈরি করা যেতে পারে এবং বিদেশের বাজারেও এটি ব্যাপক রপ্তানি সম্ভাবনা তৈরি করবে। তার মতে, ম্যাকডোনাল্ডস আমেরিকায় কাঁঠালের বার্গার বানাচ্ছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য