চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ থেকে ছেড়ে আসা এয়ার এরাবিয়ার একটি প্লেন থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১২ টি সোনার বার উদ্ধার করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ।
রোববার রাত পৌনে ৯ টার দিকে এয়ার এরাবিয়ার জি-৯৫২২ ফ্লাইটের ১৫এফইডি সিটের নিচ থেকে এসব সোনার বার উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার এসব সোনার ওজন ১ কেজি ৩৯২ গ্রাম। যার বাজার মূল্য ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের ডেপুটি কমিশনার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ থেকে ছেড়ে আসা ওই প্লেন রাত ৮ টা ৫০ মিনিটে চট্টগ্রামে অবতরণ করে। পরে প্লেনটির এক ক্রু আমাদের জানান যে, ১৫এফইডি সিটে সোনা বা সন্দেহজনক কিছু থাকতে পারে। এর ভিত্তিতে ওই সিটে তল্লাশি চালিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১২ টি সোনার বার পাই। ওই সিটটা কারো নামে রিজার্ভ করা ছিলো কি না বা কীভাবে সিটের নিচে এগুলো এসেছে আমরা সেটা বের করার চেষ্টা করছি। ’
এই ঘটনায় আইনানুগ প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানান কাস্টমস কর্মকর্তা আবুল কালাম।
চট্টগ্রামে স্ত্রীকে হত্যা করে বাসায় পানির ড্রামে মরদেহ গুমের অভিযোগে করা মামলায় এক ব্যক্তিকে আটক করেছে র্যাব।
ওই ব্যক্তিকে আটকের বিষয়টি সোমবার গণমাধ্যমকে জানায় র্যাব।
ফেনীর সোনাগাজী থানার রাঘবপুর এলাকা রোববার থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক ৪৫ বছর বয়সী আবুল হোসেন লিটন সোনাগাজীর রাঘবপুর এলাকার বাসিন্দা।
র্যাব জানায়, বাগেরহাটের মৌজারডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা নাসিমা বেগম ২০১০ সালের দিকে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর চট্টগ্রাম আসেন। সেখানে ভাইয়ের সঙ্গে থেকে তৈরি পোষাক কারখানায় চাকরি শুরু করেন। চাকরির সুবাদে লিটনের সঙ্গে পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
এক পর্যায়ে ২০১৩ সালে তারা বিয়ে করে পাহাড়তলীর গ্রীনভিউ আবাসিকে বসবাস শুরু করেন। বিয়ের কিছুদিন পর নাসিমার ছোট ভাই হিরণ শেখ লিটনের বাড়িতে বেড়াতে গেলে তার আগের বিবাহ ও সন্তান থাকার বিষয়টি জানাজানি হয়।
এ নিয়ে দুজনের ঝগড়াঝাঁটির জেরে নাসিমা বেগমকে হত্যা করে প্লাস্টিকের তৈরি পানির ড্রামে মরদেহ লুকিয়ে রেখে কৌশলে বাসা থেকে পালিয়ে যায় লিটন। পরবর্তীতে স্বজনরা ফোন করে নাসিমার সন্ধান চাইলে ঝগড়ার জেরে তিনি বাসা থেকে বেরিয়ে গেছে বলে জানান লিটন।
এতে স্বজনদের সন্দেহ হলে তারা বাসায় এসে জানালায় উঁকি দিয়ে দুর্গন্ধ পান। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে রান্নাঘরে পানির ড্রাম থেকে নাসিমার গলিত মরদেহ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় নিহতের ভাই সেলিম হোসেন বাদী হয়ে পাহাড়তলী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
র্যাব-৭ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কর্মকার বলেন, ‘এই ঘটনায় পলাতক আসামি লিটনকে গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে র্যাব। এক পর্যায়ে রোববার তার অবস্থান শনাক্ত করে ফেনীর সোনাগাজী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামি ঘটনায় জড়িত থাকার কথা ও নিজেকে ওই মামলার এজহারভূক্ত আসামি হিসেবে স্বীকার করেছেন।’
এ ঘটনায় আটক আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বরিশালের বানারীপাড়ায় অস্ত্রোপচারের পর প্রসূতির পেটে গজকাপড় রেখে সেলাই করার অভিযোগ উঠেছে বেসরকারি একটি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। ঘটনার ১৭ দিন পর দ্বিতীয় দফায় অপারেশন করে প্রসূতির পেট থেকে ওই গজ বের করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী নারী বর্তমানে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ভুক্তভোগীর বোন ইসরাত জাহান জানান, বানারীপাড়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে তাদের বাড়ি। প্রসব বেদনা উঠলে ডা. মো. লুৎফুল আজিজের অধীনে পৌর শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার বোনকে ভর্তি করা হয়। প্রথমে তারা স্বাভাবিক প্রসবের চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত না পেরে ১৩ সেপ্টেম্বর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কন্যা সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়।
ইসরাত জাহান বলেন, ‘অপারেশনের পর থেকে কয়েকদিন বোনের প্রস্রাব-পায়খানা বন্ধ থাকায় আমরা টেনশনে পড়ে যাই। পরে বেসরকারি ওই হাসপাতালে গেলে তারা বেশ কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করে, তবে আমাদের কিছুই জানাচ্ছিল না। পরে বোন আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে এনে ভর্তি করাই।’
‘শেবাচিমে পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানান, আমার বোনের পেটের মধ্যে কিছু একটা রয়েছে। তারা আমাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করান। তবে ঝুঁকি বুঝেও আমরা সিনিয়র এক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হই এবং তার রেফারেন্সে ২৯ সেপ্টেম্বর শেবাচিম হাসপাতালেই বোনের অপারেশনটি হয়।’
তিনি বলেন, ‘প্রায় তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অপারেশন থিয়েটারে ছিল আমার বোন। আর সে সময় আমার বোনের পেট থেকে বেশ লম্বা গজ কাপড় বের করা হয়।’
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘আর দুই তিনদিন এইভাবে থাকলে আমার বোন মারা যেতেন।’
মৃত্যু পথযাত্রী হওয়া বোনের অপচিকিৎসায় যারা দ্বায়ী তাদের বিচার দাবি করেছেন ইসরাত জাহানসহ প্রসূতির স্বজনরা।
এ বিষয়ে জানতে বেসরকারি হামিদ মেমোরিয়াল হাসপাতালের যোগাযোগ নম্বরে কল করা হলে অর্পণ নামে এক ব্যক্তি জানান, এ বিষয়ে তিনি কোনো কিছু জানেন না। বিস্তারিত জানতে হলে স্যারদের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করতে বলেন।
তবে সন্ধান না পাওয়ায় এবং নম্বর না দেয়ায় ওই হাসপাতালের চিকিৎসক আজিজের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন:পঞ্চগড়ে চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুর মুসলিমদের হত্যা ও অমানবিক নির্যাতন বন্ধ করে কারাবন্দি লক্ষাধিক মুসলিমের মুক্তির দাবিতে মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শহরের এম আর সরকারি কলেজ রোডে রোববার বেলা ১১টায় সচেতন নাগরিক সমাজ নামক একটি সামাজিক সংগঠনের আয়োজনে এক প্রতিবাদ মিছিল বের যা জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সামনে এসে মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় পরিনত হয়।
মানববন্ধনে বলা হয়, ১৯৩০ সাল থেকে ৯৩ বছর ধরে উইঘুর মুসলিমদেরকে জাতিগত বিনাস করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় বাহিনী নির্যাতন করে আসছে। বর্তমানে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নামে কারাগার তৈরী করে প্রায় পনের লক্ষ উইঘুর মুসলিমকে আটক করে রাখা হয়েছে।
এ সময় বক্তারা এ নির্যাতন বন্ধ করে কারাবন্দি উইঘুর মুসলিমদের মুক্তির দাবি জানান। তারা অবিলম্বে চীনের হাতে আটক দশ লাখ উইঘর পুরুষকে বন্দিশালা থেকে মুক্তি দেয়ার দাবি জানান। তারা উইঘুরদের ওপর অত্যচার বন্ধ করে স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার পথ তৈরী করে দিতে দেশটির সরকারের প্রতি আহবান জানান।
সচেতন নাগরিকের আহবায়ক সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ‘গত ৭ বছর ধরে কারিগরি শিক্ষা দেওয়ার নামে উইঘর পুরুষদের পরিবার থেকে আলাদা করে জেলে বন্দি করে অত্যাচার চালোনো হচ্ছে। এদের মধ্যে অনেকে জেলখানায় মৃত্যুবরণ করেছেন। অবিলম্বে তাদের মুক্তি দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সুযোগ করে দিন।’
সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সাধারন সম্পাদক আজহারুল ইসলাম জুয়েল বলেন, ‘২০০৯ সালে চীন দেশের জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘর মুসলিম হত্যাযজ্ঞ চালায় রাষ্ট্র। সেই থেকে আজও সেখানে মুসলিম হত্যা নির্যাতন লেগেই আছে। ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দফায় দফায় গনহত্যা চালানো হয়।’
পরিবেশকর্মী সরকার হায়দার বলেন, ‘উইঘুর মুসলমান সন্তানদের তাদের অভিভাবকদের কাছ থেকে কৌশলে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হচ্ছে। গর্ভপাত না ঘটালে উইঘুর ও অন্যান্য সংখ্যালঘু নারীদের বন্দিশিবিরে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়া হচ্ছে ।
‘যেসব নারীর সন্তান সংখ্যা দুইয়ের বেশি তাদের জরায়ুতে জোর করে জন্মনিয়ন্ত্রণ ডিভাইস প্রতিস্থাপনের আইনি বৈধতা দেয়া হয়েছে। অনেকের অপারেশনের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে বন্ধ্যা করা হচ্ছে। এছাড়া যেসব নারীর সন্তান সংখ্যা দুইয়ের বেশি তাদের বড় অংকের জরিমানা করা হচ্ছে। তিনি উইঘর নারীদের প্রতি যৌন নির্যাতন বন্ধের আহবান জানান।’
প্রেসক্লাবের সভাপতি ও পঞ্চগড় সচেতন নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে গণসংহতি আন্দোলনের পঞ্চগড় জেলা শাখার আহ্বায়ক সাজেদুর রহমান সাজু, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সাধারন সম্পাদক আজহারুল ইসলাম জুয়েল, সাংবাদিক ও পরিবেশ কর্মী সরকার হায়দার, সাবেক ছাত্র নেতা বাবুল হোসেন, গ্রামবাংলা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান পরিবেশ কর্মী সাইফুল ইসলাম শান্তি, সাংবাদিক নেতা মোশারফ হোসেন, সাবেক ছাত্র নেতা বাবুল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আগামী সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে। যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র অব্যাহত রাখতে হবে। কোনোভাবেই অগণতান্ত্রিক শক্তি ক্ষমতা দখল করতে পারবে না।’
বাসস জানায়, যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ বিষয়ক সর্বদলীয় সংসদীয় দলের (এপিপিজি) সদস্যরা সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে লন্ডনে তার অবস্থানস্থল তাজ হোটেলে সাক্ষাৎকালে তিনি একথা বলেন।
বাংলাদেশ ও রোহিঙ্গা বিষয়ক এপিপিজির চেয়ার এবং বিনিয়োগ ও ক্ষুদ্র ব্যবসা বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী রুশনারা আলী এমপি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- বাংলাদেশের সদস্যদের নিয়ে এপিপিজি ভাইস চেয়ারম্যান বীরেন্দ্র শর্মা, ভাইস চেয়ার ভ্যালেরি ওয়াজ, ভাইস চেয়ারম্যান ইমরান হুসেন এবং স্কটিশ পার্লামেন্টে বাংলাদেশের ক্রস-পার্টি গ্রুপের চেয়ার ফয়সল চৌধুরী।
বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাতের পর সংবাদ ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এসব কথা জানান।
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জানিয়ে এপিপিজি প্রতিনিধি দলকে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব সংস্কার ইতোমধ্যে করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে একটি আইন প্রণয়ন হয়েছে, সার্চ কমিটির মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন হয়েছে এবং ইসিকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য স্বাধীনভাবে কাজ করার সম্পূর্ণ প্রশাসনিক ও আর্থিক স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে।
‘বিরোধী দলে থাকাকালে আওয়ামী লীগের প্রস্তাবের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ছবিসহ ভোটার তালিকা ও স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বর্তমান সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে এপিপিজি প্রতিনিধি দল সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, আগামী সাধারণ নির্বাচন তদারকির জন্য বাংলাদেশ এপিপিজি প্রতিনিধি দলকে নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠানোরও প্রস্তাব দিয়েছে।
এপিপিজি’র সব সদস্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের অসামান্য উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে অব্যাহত গণতন্ত্র ও স্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।
শেখ হাসিনা ব্রিটেনের সঙ্গে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘বাংলাদেশ তাদের সঙ্গে বিভিন্ন ব্যবসা করছে এবং বাংলাদেশে ব্রিটিশ বিনিয়োগ বাড়ছে।’
বাংলাদেশে একশ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ৩৯টি হাই-টেক পার্ক স্থাপন করা হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বৃহত্তর বিনিয়োগ প্রত্যাশা করেন।
তিনি দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত ও জাপানের মতো বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যকেও একটি নিবেদিত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন।
রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে স্বদেশে ফেরত পাঠাতে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা চেয়ে বলেন, ‘রোহিঙ্গারা তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে যেতে চায়।’
মোমেন বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক তহবিল বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে যা সম্প্রতি কমে আসার প্রবণতা দেখাচ্ছে।
ব্রিটিশ সরকার রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে বাংলাদেশকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের অমানবিক অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গ টেনে ইউক্রেন যুদ্ধ সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ কখনোই যুদ্ধ চায় না। কারণ দরিদ্র জনগণ, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের যুদ্ধের জন্য চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বরং চায় যে আলোচনার মাধ্যমে যে কোনো সমস্যার সমাধান হোক।’
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম এবং প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:মেহেরপুর সদর উপজেলার বাজিতপুরে হেরোইনসহ এক পুলিশ সদস্য ও তার সঙ্গীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
সোমবার বিকেলে মেহেরপুর সদর উপজেলার বাজিতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে পুলিশের কনস্টেবল আশরাফুল ইসলাম ও তার সঙ্গী সবুজ শেখ আটক হন।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করেন বিজিবি সদস্যরা। পরে রাত সাড়ে নয়টার দিকে মাদক মামলা দিয়ে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আটক আশরাফুল ইসলাম মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার পরানপুর গ্রামের আফসার আলীর ছেলে। বর্তমানে তিনি সুপ্রিম কোর্ট অ্যান্ড স্পেশাল কোর্টে কনস্টেবল পদে কর্মরত। তার সঙ্গী সবুজ শেখ মেহেরপুর সদর উপজেলার রায়পুর গ্রামের মন্টু শেখের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মেহেরপুর বাজিতপুর বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার আলাউদ্দিন বিশ্বাস জানান, বাজিতপুর গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাকা সড়ক দিয়ে মাদক পাচার হচ্ছে- এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে ৩ গ্রাম হেরোইনসহ পুলিশ কনস্টেবল আশরাফুল ইসলাম ও সবুজ শেখকে আটক করা হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে মেহেরপুর সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারের স্থানে স্থানে অব্যবস্থাপনা-অবহেলার ছাপ। সর্বত্র এক ধরনের গা-ছাড়া ভাব। ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকরা সংবাদ লিখতে গিয়ে পড়েন বিড়ম্বনায়। কারণ রুমের কম্পিউটার, এসি, সোফা- কোনোটাই সেভাবে ব্যবহার উপযোগী নেই।
সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষকে এসব সমস্যা জানিয়েও প্রতিকার মেলেনি।
ডিএমপির নতুন কমিশনার হাবিবুর রহমান শনিবার দায়িত্ব গ্রহণের পর সোমবার ব্রিফিংয়ে আসেন। এ সময় সাংবাদিকরা মিডিয়া সেন্টারের নানা অব্যবস্থাপনা তুলে ধরেন তার কাছে। তাৎক্ষণিক কমিশনার নির্দেশ দেন- তিনদিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান করতে হবে।
জানা গেছে, দশ বছর আগে ডিএমপির তৎকালীন কমিশনার মিডিয়া সেন্টারে দুটি কম্পিউটার, বসার জায়গায় সোফা ও এসি সংযুক্ত করেছিলেন। সেসব জরাজীর্ণ হয়ে গেছে অনেক আগেই।
নতুন কমিশনার সোমবার ‘মিট দ্য প্রেস’ শেষে সাংবাদিকদের বসার জায়গা পরিদর্শন করে নতুন করে সবকিছু স্থাপনের নির্দেশ দেন।
পরিদর্শনকালে তিনি সাংবাদিকদের কাছে জানতে চান- কয়দিনের মধ্যে বদল চান এ অবস্থার? সাংবাদিকরা সাতদিনের মধ্যে বদলের ইচ্ছা প্রকাশ করলেও হাবিবুর রহমান প্রতিশ্রুতি দেন, সাতদিন নয়, তিনদিনে বদলে যাবে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারের সাংবাদিকদের বসার জায়গা।
নবনিযুক্ত কমিশনার বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় পরিবর্তন দরকার হলে আগে সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন। সচেতনতা ও অপরাধ দমনে সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। অপরাধবিয়ষক সাংবাদিকদের পেশাগত কাজে ডিএমপিতে আসতে হয়। মিডিয়া সেন্টারে বসতে হয়। এখানকার পরিবেশ জন ও সাংবাদিকবান্ধব হওয়া উচিত।’
তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ডিসি মিডিয়া ও ডিসি লজিস্টিককে ডেকে একটি এসি, দুটি নতুন আপডেটেড কম্পিউটার, নতুন সোফা ও টেবিল-চেয়ার স্থাপনের নির্দেশ দেন। তার এমন ঘোষণায় গণমাধ্যমকর্মীরা কমিশনারকে ধন্যবাদ জানান।
এর আগে ডিএমপির ৩৬তম কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেই রাজারবাগে ফোর্সদের ব্যারাকে যান হাবিবুর রহমান। সরেজমিনে তিনি সদস্যদের থাকার জায়গা, রান্নাঘর, বাথরুম, জিমনেসিয়াম পরিদর্শন করেন। তাৎক্ষণিক তিনি সদস্যদের থাকা-খাওয়ার সমস্যা সমাধানে নির্দেশনা দেন।
আরও পড়ুন:ময়মনসিংহে বিএনপির শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতা।
ঈশ্বরগঞ্জ থানায় রোববার ময়মনসিংহ বিভাগীয় রোড মার্চ কর্মসূচির সমাবেশে ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণে ঘটনায় আমিরুল ইসলাম ভূঁইয়া মনিকে প্রধান আসামি করে এবং ছয়জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাত ১২০ জনকে আসামি করে এ মামলাটি হয়।
মালমা বাদী মশিউর রহমান কাঞ্চন ঈশ্বরগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক। বর্তমানে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত রয়েছেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি পীরজাদা শেখ মোস্তাছিনুর রহমান।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, রোববার দুপুর দেড়টার দিকে বাদী ও তার বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ সড়কের ঈশ্বরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চর হোসেনপুর ভূইয়া ফিলিং স্টেশনের সামনের সড়কের পাশে আড্ডা দিচ্ছিলেন।
এ সময় বিএনপির রোড মার্চ কর্মসূচিতে অংশ নেয়া বেশকিছু নেতা-কর্মী অতর্কিতে তাদের ওপর ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটায়। পরে তাদের পাঁচটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে গুড়িয়ে দেয়। হামলাকারীরা পাশের একটি দোকানে হামলা চালিয়ে ফ্রিজ ভাঙচুর ও মালামাল তছনছ করে।
ভাঙচুরের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ময়মনসিংহ জেলা উত্তর বিএনপির সদস্য ও ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আমীরুল ইসলাম মনি বলেন, ‘সরকার হটানোর আন্দোলন থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের দূরে রাখতে এখন ঘটনা সাজিয়ে মামলা দেয়া হচ্ছে। গত রোববারের রোডমার্চ কর্মসূচির সমাবেশে যোগ দিতে আসা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের গাড়ি বহরে হামলা করেছে সরকারের পেটোয়া বাহিনী। এসব করে সরকার পতনের আন্দোলন থামানো যাবে না।
ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মশিউর রহমান কাঞ্চন বলেন, ‘আমাদের উপর সশস্ত্র হামলা করে গাড়ীতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। আমাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। আসামিদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’
ওসি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। বিএনপির পক্ষ থেকে কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
মন্তব্য