রাজধানীতে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু বিশেষত অটিস্টিক শিশু ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সচেতন করতে অটিজম বিষয়ক এক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে বনানীতে ‘এ মিরাকল প্রোজেক্ট অটিস্টিক ফাউন্ডেশন’-এ ডুফা ক্লাবে এই আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশে কীভাবে অটিজম বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা যায় সে বিষয়ে অনুষ্ঠানটিতে সারা বিশ্বের বিভিন্ন পেশাদার ব্যক্তিরা এতে আলোচনা করেন।
আয়োজনটি তিনটি পর্বে বিভক্ত ছিল। প্রথম পর্বে শিশু ও মায়েদের জন্য চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানী ও গবেষক মো. মিজানুর রহমান কাউন্সেলিং সেশন পরিচালকা করেন। দ্বিতীয় পর্বে বাংলাদেশ সরকারে কর্মরত বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তারা, গবেষক, বিজ্ঞানী ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ; বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান এবং দেশের বাইরের প্রথিতযশা গবেষক, বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদরা বক্তব্য দেন।
এ পর্বে তারা অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের মতামত, নির্দেশনা ও গবেষণাধর্মী তথ্য, উপাত্ত তুলে ধরেছেন। এই পর্বের অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে ছিল শিশুদের মাঝে ঈদের পোশাক, খেলনা এবং বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ। পরে উপস্থিত সবশিশু, তাদের অভিভাবকরা এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা ইফতারে অংশগ্রহণ করেন।
সবশেষে, অর্থাৎ তৃতীয় পর্বে ছিল “এ মিরাকল প্রোজেক্ট অটিস্টিক ফাউন্ডেশন” -এর ফাউন্ডারদের সঙ্গে উপস্থিত স্কলারদের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের চলমান কার্যক্রম ‘রাউন্ড টেবিল সেশন উয়িথ ফাউন্ডার্স রো’ ও ভবিষ্যত কর্মসূচি এবং শিশুদের উন্নয়ন বিষয়ে প্রশ্নোত্তর পর্ব।
অনুষ্ঠানটিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরাসরি অনলাইনে চার জন বিশেষজ্ঞ অতিথি যোগ দেন। এদের মধ্যে দাতা প্রতিষ্ঠান জেন ইনিটিয়েটিভ এর সিইও মালাক সাব বলেন, যেহেতু অটিজম আক্রান্ত শিশুদের বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ থাকে, সেহেতু মায়েদের নিজেদের প্রত্যাশার প্রতি যত্নবান হতে হবে।
বেইট আলফার সিইও ড. রোমেল মোর্শেদ বলেন, সমাজে অটিজম নিয়ে যত ধরনের বিভ্রান্তি, অপবাদ ও বৈষম্যের চর্চা রয়েছে সেগুলো থেকে আমাদের অবশ্যই বেরিয়ে আসতে হবে। সেই সঙ্গে তিনি অটিস্টিক শিশুদেরকে স্বাভাবিক ধারার শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
জর্জ ওয়াসিংটন কারভার একাডেমির এডুকেটর ফারজানা শারমিন অনলাইনে সরাসরি তার অটিজম স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবহার করা শিক্ষা উপকরণ ও সেগুলোর ব্যবহার প্রক্রিয়া এবং উপকারতিা তুলে ধরেন।
প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে সিনিয়র ওরাকল ডেটাবেইজ এডমিনিস্ট্রেটর বাশীরুদ্দিন মোহাম্মদ ২১ শতকের প্রযুক্তি কীভাবে অটিস্টিক বিশ্বে সচেতনতা বাড়াতে ভূমিকা রেখেছে সে বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে সরাসরি উপস্থিত ছিলেন সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব আব্দুল মান্নান হাওলাদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মাদ মাহমুদুর রহমান, মনোয়ারা অটিস্টিক অ্যান্ড ডিজেবল রেসিডেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আজমা সুলতানা, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান এবং আইসিডিডিআর, বি‘র সাবেক বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ, প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের গাইনি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আইসিডিডিআর, বি‘র সাবেক ট্রেইনিং কোঅর্ডিনেটর ডা. সমিনা সুলতানা, আইসিডিডিআর, বি‘র সহকারী বিজ্ঞানী সৈয়দা মাহে মুনীর, এ মিরাকল প্রজেক্ট অটিস্টিক ফাউন্ডেশন এর চিফ অপারেটিং অফিসার মিসেস আরমিন সুলতানা। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানী ও গবেষক মো. মিজানুর রহমান এবং উপস্থাপনা করেছেন নমিরা আহমেদ।
আব্দুল মান্নান হাওলাদার বলেন , অটিজম আক্রান্ত ব্যক্তিরা উপযুক্ত শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা এবং কর্ম সংস্থানের সুযোগের অভাবে যেসব অসুবিধার সম্মুখীন হন সেগুলোর টেকসই সমাধান করে তাদেরকে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে কাজে লাগাতে হবে।
অধ্যাপক মুহাম্মাদ মাহমুদুর রহমান অটিজম ও অটিস্টিক শিশু বিষয়ে গবেষণাধর্মী কাজের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য উদ্যোগ বিনিয়োগের মাধ্যমে ব্যাধি সম্পর্কে বোঝাপড়ার উন্নতি করার কথা বলেন।
সৈয়দা মাহে মুনীর বলেন, জনস্বাস্থ্য প্রচারাভিযানগুলি অটিজম সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এবং স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণের সুযোগগুলোকে উন্নত করতে পারে। অভিভাবক, শিক্ষাবিদ এবং স্বাস্থ্যসেবা পেশাজীবিদের লক্ষ্য করে করে আমরা ব্যাধি সম্পর্কে আগে ভাগে বুঝতে ও চিকিৎসা গ্রহনে ভূমিকা রাখতে পারি।
অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ বলেন, আটিজম আক্রান্ত ব্যাক্তিরা প্রতিনিয়তই নেতিবাচক মনো ভাব ও বৈষম্যের স্বীকার হয় যা তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা এবং কর্ম সংস্থানে প্রবেশে বাধা দেয়। এর কারণে সামাজিক বিচ্ছিন্নতা, আত্মসম্মানবোধ, এবং মানসিক সমস্যা দেখা দেয় যা তাদের স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠা ও সহজাত বিচরণকে বাধাগ্রস্ত করে। এসব সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য তিনি “এ মিরাকল প্রোজেক্ট অটিস্টিক ফাউন্ডেশন" এর ই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান এবং বাংলাদেশ সরকারের সাথে সমন্বয় করে কাজ করার অনুরোধ জানান।
ডা. সামিনা সুলতানা বলেন, অটিস্টিক শিশুদের জন্য আচরণ পরিবর্তনের চিকিৎসা গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকরী ভূমিকা রাখছে। এই ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতিতে নতুন দক্ষতা এবং আচরণসহ ব্যক্তিদের শেখানোর জন্য পজিটিভ বলবর্ধক (পজিটিভ রিইনফোর্সমেন্ট) ব্যবহার করা হয় ।
অনুষ্ঠানে আচরণ পরিবর্তনের চিকিৎসা পদ্ধতি যেমন, প্রয়োগকৃত আচরণ বিশ্লেষণ অন্তর্ভুক্ত, যার মধ্যে কাজগুলোকে ছোট ছোট ধাপে ভাগ কেরে করতে শেখানো হয় এবং সেগুলো সম্পন্ন করলে পুরষ্কার প্রদান করা হয়। পাইভোটাল রেসপন্স ট্রিটমেন্ট-এ সামাজিক-পারস্পরিক যোগাযোগ শুরু করা ও তাতে সাড়া দেয়ার পদ্ধতিগুলো শেখানো হয় ।
এতে বলা হয়, স্পিচ থেরাপির মাধ্যমে বাচ্চাদের ভাষাগত দক্ষতা, কথা বলা ও যোগাযেগের দক্ষতাকে বাড়ানো হয়। অকুপেশনাল থেরাপিস্ট প্রতিদিনের ক্রিয়াকলাপগুলি সম্পাদন ও তাদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা বিকাশের জন্য নিজের পোশাক পড়া, খাওয়া-দাওয়া, দাঁত ব্রাশ করা ইত্যাদি কাজ শেখানো যায়।
বক্তব্য উপস্থাপন শেষে শিশুদের মাঝে ঈদের পোশাক, গুটি ব্যাগ, খেলনা এবং বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করা হয় ও ইফতার দেয়া হয়। সবশেষে, “এ মিরাকল প্রোজেক্ট অটিস্টিক ফাউন্ডেশন” এর ফাউন্ডারদের সঙ্গে উপস্থিত পেশাজীবীদের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির চলমান কার্যক্রম, ভবিষ্যত কর্ম-পরিকল্পনা, একটি অটিজম স্কুল প্রতিষ্ঠা ও অটিস্টিক শিশুদের জন্য একটি আবাসিক ভবন নির্মান পরিকল্পনা বিষয়ে ‘‘রাউন্ড টেবিল সেশন উয়িথ ফাউন্ডার্স রো‘‘ বিষয়ক প্রশ্নোত্তর পর্ব সম্পাদনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার শিশুমেলা থেকে আগারগাঁও রোডের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কার্যালয় ও আশপাশের এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আগামীকাল রবিবার (২২ জুন) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশনা কার্যকর হবে। শনিবার (২১ জুন) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ‘শেরেবাংলা নগর থানার অন্তর্গত শিশুমেলা থেকে আগারগাঁও রোডে অবস্থিত এনবিআর কার্যালয় (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড), বিডা কার্যালয় (বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) ও আশেপাশের এলাকায় সব ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হলো।’
ডিএমপি জানিয়েছে, জনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশের ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে আগামী রবিবার (২২ জুন) সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশনা কার্যকর থাকবে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে সই করেন ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার শিশুমেলা থেকে আগারগাঁও রোডের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কার্যালয় ও আশপাশের এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আগামীকাল রবিবার (২২ জুন) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশনা কার্যকর হবে। শনিবার (২১ জুন) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ‘শেরেবাংলা নগর থানার অন্তর্গত শিশুমেলা থেকে আগারগাঁও রোডে অবস্থিত এনবিআর কার্যালয় (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড), বিডা কার্যালয় (বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) ও আশেপাশের এলাকায় সব ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হলো।’
ডিএমপি জানিয়েছে, জনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশের ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে আগামী রবিবার (২২ জুন) সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশনা কার্যকর থাকবে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে সই করেন ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী।
টানা চতুর্থ দিনের মতো ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে আন্দোলন ও বিক্ষোভ করছেন সরকারি কর্মচারীরা। অধ্যাদেশটি বাতিল না হলে আরও কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ভবনের নিচে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীরা একত্রিত হয়ে আন্দোলন ও বিক্ষোভ করেন কর্মচারীরা। পরে সচিবালয়ের ভিতরে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।
এ সময় বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যাননুরুল ইসলাম জানান, চাকরি অধ্যাদেশ পুরোপুরি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে।
গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের পর সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের খসড়া বাতিলের দাবিতে গত ২৪ মে আন্দোলনে নামেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা।
কর্মচারীদের আন্দোলনের মধ্যেই ২৫ মে রাতে এই অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। অধ্যাদেশ অনুযায়ী, চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে।
সরকারি কর্মচারীরা অধ্যাদেশটিকে নিবর্তনমূলক ও কালো আইন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। । এটি বাতিল করার জন্য সচিবালয়ে বিক্ষোভ মিছিল, কর্মবিরতি, অবস্থান কর্মসূচি ছাড়াও কয়েকজন উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা।
সারা দেশে লঘুচাপের প্রভাবে গত দুদিন ধরে বৃষ্টিপাতের কারণে বাতাসে দূষণের উপস্থিতিও কমে এসেছে অনেকটা। গত দুদিনের মতো আজও ঢাকার বায়ুমান ‘ভালো’র কাছাকাছি রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকাল ৯টায় ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৬৪। এই সূচক ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত, যেকোনো প্রকার অস্বাস্থ্যকার শ্রেণি থেকে যা অনেক দূরে।
কণা দূষণের একিউআই সূচক যদি ০ থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকে, তবে তা ‘ভালো’ হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০-এর মধ্যে হলে সেটি ‘মাঝারি’।
একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে।
ফলে আজ সকালে রাজধানী ঢাকার বাতাস দূষণ থেকে দূরে এবং ‘ভালো’র একপ্রকার কাছাকাছি বলা চলে।
এই সময়ে ১৬৭ একিউআই স্কোর নিয়ে বিশ্বের শীর্ষ দূষিত শহর ছিল পাকিস্তানের লাহোর। সূচক ১৫২, ১৩৯, ১৩৭ ও ১৩৫ নিয়ে তারপরই ছিল যথাক্রমে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা, চিলির রাজধানী সান্তিয়াগো, ফিলিপাইনের ম্যানিলা এবং কুয়েত সিটি।
এ ছাড়াও ৯৯ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার সপ্তম স্থানে ছিল পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের শহর দিল্লি। তবে দূষণের মাত্রা কম থাকায় একই সময়ে ঢাকার অবস্থান ছিল অনেক নিচে; ৫৪ নম্বরে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে ঢাকা। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়। বর্ষার শুরুতেই অবশ্য এই আভাস মিলতে শুরু করেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।
রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বরে মানি এক্সচেঞ্জে ব্যবসায়ীর ২২ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ ঘটনার পর আসামিদের ব্যবহৃত মাইক্রোবাসের সূত্র ধরেই অস্ত্রসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গত মঙ্গলবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-চক্রের হোতা মো. জলিল মোল্লা (৫২), মো. জাফর (৩৩), মোস্তাফিজুর রহমান (৪০), সৈকত হোসেন ওরফে দিপু মৃধা (৫২), মো. সোহাগ হাসান (৩৪) ও পলাশ আহমেদ (২৬)। এ ঘটনায় ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস, তিনটি মোটরসাইকেল, পিস্তল, গুলি, জাল টাকা ও লুণ্ঠিত টাকা-বিদেশি মুদ্রাও উদ্ধার করা হয়েছে।
পেশাদার চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে টাকা ও স্বর্ণালংকার ডাকাতি করে আসছিল। চক্রটি দীর্ঘদিন মানি এক্সচেঞ্জের মালিকের ওপর নজরদারি করে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর মিন্টুরোডের ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান যুগ্ম-কমিশনার ডিবি (দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, গত ২৭ মে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাহমুদ মানি এক্সচেঞ্জের মালিক রাসেল ও তার ভগ্নিপতি জাহিদুল হক চৌধুরী মিরপুর-১১ সি-ব্লকের বাসা থেকে ২১ লাখ টাকা ও বিভিন্ন দেশের মুদ্রা নিয়ে হেঁটে মিরপুর-১০ নম্বরের অফিসে যাচ্ছিলেন। শেরে বাংলা স্টেডিয়াম ও ফায়ার সার্ভিসের মাঝামাঝি গলির মুখে পৌঁছালে মোটরসাইকেলযোগে ওত পেতে থাকা ৭ থেকে ৮ জন মুখোশধারী ছিনতাইকারী তাদের গতিরোধ করে। তাদের একজন পিস্তল ঠেকিয়ে টাকা ভর্তি ব্যাগটি ছিনিয়ে নেয়। বাধা দিলে আরেকজন গুলি ছোড়ে এবং একজন ধারালো চাপাতি দিয়ে জাহিদুলের কোমরে আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় জাহিদুল রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। ডাকাতরা চারটি মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার ভিডিও একজন পথচারী মোবাইল ফোনে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে তা দেশজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় আহত জাহিদুল হক চৌধুরী বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় একটি ডাকাতি মামলা করেন। ঘটনার পরপরই ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশে ডিবির একাধিক টিম মাঠে নামে। গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডিবি প্রথমে ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস শনাক্ত করে। মাইক্রোবাসের চালক জাফরকে (৩৩) গাজীপুরের টঙ্গী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাফর ছিনতাইয়ের ঘটনায় তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে।
তিনি বলেন, পরবর্তীতে তথ্য বিশ্লেষণ করে একযোগে ঢাকা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ময়মনসিংহ ও যশোরে অভিযান চালিয়ে ডাকাত দলের মূল পরিকল্পনাকারী জলিল মোল্লাসহ চক্রের আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারদের অধিকাংশের বিরুদ্ধেই দেশের বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, হত্যা ও অস্ত্র আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। আসামিদের কাছ থেকে ডাকাতির ৫ লাখ ৩ হাজার টাকা, ১০৬টি বিভিন্ন দেশের মুদ্রা, ২ লাখ ১২ হাজার টাকার জাল নোট, একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি গুলি, একটি চাপাতি এবং তিনটি খেলনা পিস্তল উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, এ চক্র আগেও ভয়াবহ কয়েকটি ঘটনায় জড়িত ছিল। গত ২৪ জানুয়ারি কামরাঙ্গীরচর এলাকায় গুলি করে ৫০ ভরি স্বর্ণ ছিনতাই এবং ২০২৪ সালের ২০ অক্টোবর ধানমন্ডি সাত মসজিদ রোডে গুলি চালিয়ে ৫২ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় এ চক্রের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন আসামিরা।
ডিবি সূত্রে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংঘবদ্ধ ডাকাতি চালাতে এ চক্র আধুনিক প্রযুক্তি, আগ্নেয়াস্ত্র ও বিভিন্ন ছদ্মবেশে কার্যক্রম পরিচালনা করতো। বাকি অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও লুণ্ঠিত সম্পদ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে যুগ্ম-কমিশনার ডিবি (দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম।
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিল করা না হলে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সচিবালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম। তাছাড়া, অধ্যাদেশটি বাতিল না হওয়ার পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথাও জানান তিনি।
বুধবার (১৮ জুন) সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের নিচে মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবনের নিচে আন্দোলনকালে এসব কথা জানান তিনি।
নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের আট বিভাগে সম্মেলনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে গেছে। আলোচনার নামে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আস্থা ভঙ্গ করেছেন, বিশ্বাস নষ্ট করেছেন। আমরা চাই আমাদের ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হোক। এ ছাড়া যারা ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলা রয়েছেন, তাদের তাড়াতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সরকারি কর্মচারী, আমরা নিয়ম-শৃঙ্খলায় বিশ্বাসী। অধ্যাদেশ বাতিল না হলে রবিবার (২২ জুন) আরও বৃহত্তর আন্দোলন আসবে।’
এর আগে, চাকরি অধ্যাদেশ পুরোপুরি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর।
গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের পর সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের খসড়া বাতিলের দাবিতে গত ২৪ মে আন্দোলনে নামেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা।
কর্মচারীদের আন্দোলনের মধ্যেই ২৫ মে রাতে এই অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। অধ্যাদেশ অনুযায়ী, চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে।
সরকারি কর্মচারীরা অধ্যাদেশটিকে নিবর্তনমূলক ও কালো আইন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এটি বাতিল করার জন্য সচিবালয়ে বিক্ষোভ মিছিল, কর্মবিরতি, অবস্থান কর্মসূচি ছাড়াও আজ (বুধবার) সমাজকল্যাণ উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা।
ঈদুল আজহায় টানা ছুটির মাঝে বৃষ্টি হওয়ায় ঢাকার বাতাস মোটামুটি স্বাস্থ্যকর ছিল। তবে গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টিহীন শুষ্ক পরিবেশ আর ক্রমেই রাজধানীর পুরনো ভিড় বাড়তে থাকায় দূষণও বাড়ছে সমান তালে।
রবিবার (১৫ জুন) সকাল ৯টার দিকে দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকায় ফের শীর্ষস্থানগুলোতে জায়গা করে নিয়েছে ঢাকা। এ সময়ে ১৪২ একিউআই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় দূষিত বাতাসের শহর ছিল বাংলাদেশের রাজধানী, সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য যা অস্বাস্থ্যকর।
এ সময় ১৫৩ স্কোর নিয়ে শীর্ষ দূষিত শহর ছিল ইন্দোনেশিয়ার মেদান। এ ছাড়া ১২৬ ও ১২৪ স্কোর নিয়ে ঢাকার পরেই ছিল যথাক্রমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই ও মিসরের কায়রো।
কণা দূষণের একিউআই মান যদি ০ থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকে, তবে তা ‘ভালো’ হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০-এর মধ্যে হলে সেটি ‘মাঝারি’।
একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।
মন্তব্য