রাজধানীতে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু বিশেষত অটিস্টিক শিশু ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সচেতন করতে অটিজম বিষয়ক এক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে বনানীতে ‘এ মিরাকল প্রোজেক্ট অটিস্টিক ফাউন্ডেশন’-এ ডুফা ক্লাবে এই আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশে কীভাবে অটিজম বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা যায় সে বিষয়ে অনুষ্ঠানটিতে সারা বিশ্বের বিভিন্ন পেশাদার ব্যক্তিরা এতে আলোচনা করেন।
আয়োজনটি তিনটি পর্বে বিভক্ত ছিল। প্রথম পর্বে শিশু ও মায়েদের জন্য চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানী ও গবেষক মো. মিজানুর রহমান কাউন্সেলিং সেশন পরিচালকা করেন। দ্বিতীয় পর্বে বাংলাদেশ সরকারে কর্মরত বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তারা, গবেষক, বিজ্ঞানী ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ; বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান এবং দেশের বাইরের প্রথিতযশা গবেষক, বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদরা বক্তব্য দেন।
এ পর্বে তারা অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের মতামত, নির্দেশনা ও গবেষণাধর্মী তথ্য, উপাত্ত তুলে ধরেছেন। এই পর্বের অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে ছিল শিশুদের মাঝে ঈদের পোশাক, খেলনা এবং বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ। পরে উপস্থিত সবশিশু, তাদের অভিভাবকরা এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা ইফতারে অংশগ্রহণ করেন।
সবশেষে, অর্থাৎ তৃতীয় পর্বে ছিল “এ মিরাকল প্রোজেক্ট অটিস্টিক ফাউন্ডেশন” -এর ফাউন্ডারদের সঙ্গে উপস্থিত স্কলারদের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের চলমান কার্যক্রম ‘রাউন্ড টেবিল সেশন উয়িথ ফাউন্ডার্স রো’ ও ভবিষ্যত কর্মসূচি এবং শিশুদের উন্নয়ন বিষয়ে প্রশ্নোত্তর পর্ব।
অনুষ্ঠানটিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরাসরি অনলাইনে চার জন বিশেষজ্ঞ অতিথি যোগ দেন। এদের মধ্যে দাতা প্রতিষ্ঠান জেন ইনিটিয়েটিভ এর সিইও মালাক সাব বলেন, যেহেতু অটিজম আক্রান্ত শিশুদের বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ থাকে, সেহেতু মায়েদের নিজেদের প্রত্যাশার প্রতি যত্নবান হতে হবে।
বেইট আলফার সিইও ড. রোমেল মোর্শেদ বলেন, সমাজে অটিজম নিয়ে যত ধরনের বিভ্রান্তি, অপবাদ ও বৈষম্যের চর্চা রয়েছে সেগুলো থেকে আমাদের অবশ্যই বেরিয়ে আসতে হবে। সেই সঙ্গে তিনি অটিস্টিক শিশুদেরকে স্বাভাবিক ধারার শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
জর্জ ওয়াসিংটন কারভার একাডেমির এডুকেটর ফারজানা শারমিন অনলাইনে সরাসরি তার অটিজম স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবহার করা শিক্ষা উপকরণ ও সেগুলোর ব্যবহার প্রক্রিয়া এবং উপকারতিা তুলে ধরেন।
প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে সিনিয়র ওরাকল ডেটাবেইজ এডমিনিস্ট্রেটর বাশীরুদ্দিন মোহাম্মদ ২১ শতকের প্রযুক্তি কীভাবে অটিস্টিক বিশ্বে সচেতনতা বাড়াতে ভূমিকা রেখেছে সে বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে সরাসরি উপস্থিত ছিলেন সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব আব্দুল মান্নান হাওলাদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মাদ মাহমুদুর রহমান, মনোয়ারা অটিস্টিক অ্যান্ড ডিজেবল রেসিডেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আজমা সুলতানা, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান এবং আইসিডিডিআর, বি‘র সাবেক বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ, প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের গাইনি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আইসিডিডিআর, বি‘র সাবেক ট্রেইনিং কোঅর্ডিনেটর ডা. সমিনা সুলতানা, আইসিডিডিআর, বি‘র সহকারী বিজ্ঞানী সৈয়দা মাহে মুনীর, এ মিরাকল প্রজেক্ট অটিস্টিক ফাউন্ডেশন এর চিফ অপারেটিং অফিসার মিসেস আরমিন সুলতানা। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানী ও গবেষক মো. মিজানুর রহমান এবং উপস্থাপনা করেছেন নমিরা আহমেদ।
আব্দুল মান্নান হাওলাদার বলেন , অটিজম আক্রান্ত ব্যক্তিরা উপযুক্ত শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা এবং কর্ম সংস্থানের সুযোগের অভাবে যেসব অসুবিধার সম্মুখীন হন সেগুলোর টেকসই সমাধান করে তাদেরকে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে কাজে লাগাতে হবে।
অধ্যাপক মুহাম্মাদ মাহমুদুর রহমান অটিজম ও অটিস্টিক শিশু বিষয়ে গবেষণাধর্মী কাজের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য উদ্যোগ বিনিয়োগের মাধ্যমে ব্যাধি সম্পর্কে বোঝাপড়ার উন্নতি করার কথা বলেন।
সৈয়দা মাহে মুনীর বলেন, জনস্বাস্থ্য প্রচারাভিযানগুলি অটিজম সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এবং স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণের সুযোগগুলোকে উন্নত করতে পারে। অভিভাবক, শিক্ষাবিদ এবং স্বাস্থ্যসেবা পেশাজীবিদের লক্ষ্য করে করে আমরা ব্যাধি সম্পর্কে আগে ভাগে বুঝতে ও চিকিৎসা গ্রহনে ভূমিকা রাখতে পারি।
অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ বলেন, আটিজম আক্রান্ত ব্যাক্তিরা প্রতিনিয়তই নেতিবাচক মনো ভাব ও বৈষম্যের স্বীকার হয় যা তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা এবং কর্ম সংস্থানে প্রবেশে বাধা দেয়। এর কারণে সামাজিক বিচ্ছিন্নতা, আত্মসম্মানবোধ, এবং মানসিক সমস্যা দেখা দেয় যা তাদের স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠা ও সহজাত বিচরণকে বাধাগ্রস্ত করে। এসব সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য তিনি “এ মিরাকল প্রোজেক্ট অটিস্টিক ফাউন্ডেশন" এর ই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান এবং বাংলাদেশ সরকারের সাথে সমন্বয় করে কাজ করার অনুরোধ জানান।
ডা. সামিনা সুলতানা বলেন, অটিস্টিক শিশুদের জন্য আচরণ পরিবর্তনের চিকিৎসা গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকরী ভূমিকা রাখছে। এই ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতিতে নতুন দক্ষতা এবং আচরণসহ ব্যক্তিদের শেখানোর জন্য পজিটিভ বলবর্ধক (পজিটিভ রিইনফোর্সমেন্ট) ব্যবহার করা হয় ।
অনুষ্ঠানে আচরণ পরিবর্তনের চিকিৎসা পদ্ধতি যেমন, প্রয়োগকৃত আচরণ বিশ্লেষণ অন্তর্ভুক্ত, যার মধ্যে কাজগুলোকে ছোট ছোট ধাপে ভাগ কেরে করতে শেখানো হয় এবং সেগুলো সম্পন্ন করলে পুরষ্কার প্রদান করা হয়। পাইভোটাল রেসপন্স ট্রিটমেন্ট-এ সামাজিক-পারস্পরিক যোগাযোগ শুরু করা ও তাতে সাড়া দেয়ার পদ্ধতিগুলো শেখানো হয় ।
এতে বলা হয়, স্পিচ থেরাপির মাধ্যমে বাচ্চাদের ভাষাগত দক্ষতা, কথা বলা ও যোগাযেগের দক্ষতাকে বাড়ানো হয়। অকুপেশনাল থেরাপিস্ট প্রতিদিনের ক্রিয়াকলাপগুলি সম্পাদন ও তাদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা বিকাশের জন্য নিজের পোশাক পড়া, খাওয়া-দাওয়া, দাঁত ব্রাশ করা ইত্যাদি কাজ শেখানো যায়।
বক্তব্য উপস্থাপন শেষে শিশুদের মাঝে ঈদের পোশাক, গুটি ব্যাগ, খেলনা এবং বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করা হয় ও ইফতার দেয়া হয়। সবশেষে, “এ মিরাকল প্রোজেক্ট অটিস্টিক ফাউন্ডেশন” এর ফাউন্ডারদের সঙ্গে উপস্থিত পেশাজীবীদের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির চলমান কার্যক্রম, ভবিষ্যত কর্ম-পরিকল্পনা, একটি অটিজম স্কুল প্রতিষ্ঠা ও অটিস্টিক শিশুদের জন্য একটি আবাসিক ভবন নির্মান পরিকল্পনা বিষয়ে ‘‘রাউন্ড টেবিল সেশন উয়িথ ফাউন্ডার্স রো‘‘ বিষয়ক প্রশ্নোত্তর পর্ব সম্পাদনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে গত দুই দিনে ২ হাজার ২৪৬টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ৩২২টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৯৯টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সোমবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করে।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
ঢাকা মহানগরীতে দরিদ্র ও অসচ্ছল মানুষের জন্য ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে আজ সকাল থেকে।
ঢাকার সচিবালয়ের সামনে থেকে শুরু করে যাত্রাবাড়ী, বাড্ডা, ধোলাইপাড়, ধোলাইখাল, রামপুরাসহ বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি করছেন নির্বাচিত ডিলাররা।
প্রতিটি ট্রাক থেকে দরিদ্র একটি পরিবার ২ কেজি ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল ন্যায্য মূল্যে কিনতে পারছেন।
টিসিবির উপ পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, স্বল্প আয়ের মানুষের সুবিধার্থে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) উদ্যোগে রোববার থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ভর্তুকি মূল্যে রাজধানীতে ৬০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। পণ্যগুলো হল ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডাল।
জানা যায়, ঢাকা মহানগরীতে আজ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩০ দিন (শুক্রবার ছাড়া) টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে।
এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২৫টি, গাজীপুর মহানগরীতে ৬টি, কুমিল্লা মহানগরীতে ৩টি এবং ঢাকা জেলায় ৮টি, কুমিল্লা জেলায় ১২টি, ফরিদপুর জেলায় ৪টি, পটুয়াখালী জেলায় ৫টি ও বাগেরহাট জেলায় ৫টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে আজ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১৯ দিন (শুক্রবার ছাড়া) পণ্য বিক্রি করা হবে।
দৈনিক প্রতিটি ট্রাক থেকে ৫শ’ জন সাধারণ মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। একজন ভোক্তা একসঙ্গে সর্বোচ্চ ২ লিটার ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল কিনতে পারবেন। ভোজ্যতেল ২ লিটার ২৩০ টাকা, চিনি ১ কেজি ৮০ টাকা এবং মসুর ডাল ২ কেজি ১৪০ টাকায় বিক্রি করা হবে। যে কোনো ভোক্তা ট্রাক থেকে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি এসব পণ্য বিক্রি করা হবে।
ঢাকার বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালিয়ে ধাক্কামারা চক্রের দুই সক্রিয় সদস্যকে শুক্রবার বিকেলে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন জুথী আক্তার শ্রাবন্তী ওরফে যুথী আক্তার জ্যোতি ওরফে লিমা আক্তার (২২) এবং শাহনাজ বেগম (৪২)।
ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এ তথ্য জানানো হয়।
গত শুক্রবার বিকাল আনুমানিক ৫টার দিকে তেজগাঁও থানাধীন বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আসামিরা বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের সপ্তম তলার লিফটের সামনে কৌশলে এক নারীকে ধাক্কা মেরে তার ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা চুরি করে। এ সময় সন্দেহ হলে তিনি তার ব্যাগ পরীক্ষা করে টাকা খোয়া যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন। এরপর ভুক্তভোগী ও তার স্বামী চিৎকার দিলে শপিং মলের নিরাপত্তা প্রহরীরা এগিয়ে আসেন। তাদের সহায়তায় ওই দুই নারীকে আটক করা হয়। তবে তাদের সঙ্গে থাকা অপর দু’জন কৌশলে পালিয়ে যান।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত আরও দুই নারী ভুক্তভোগী জানান, তাদের যথাক্রমে এক লাখ টাকা ও ৪.৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণের টিকলি (মূল্য আনুমানিক ৬৪ হাজার ৫০০ টাকা) এবং ১০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা চুরির কথা স্বীকার করেছে।
তেজগাঁও থানা পুলিশ ও নারী পুলিশের সহায়তায় আসামি যুথী আক্তারের ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে চুরি হওয়া নগদ এক লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং স্বর্ণের টিকলি উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, যুথী আক্তার আন্তঃজেলা পকেটমার চক্রের নেতা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৪টি মামলা রয়েছে।
এ ঘটনায় তেজগাঁও থানায় মামলা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানানো হয়।
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ২ হাজার ১৭২টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ২৮৩টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৭৫টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বুধবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করা হয়।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
রাজধানী ঢাকার বস্তির শিশুদের দেহে নীরব ঘাতক সিসার বিপজ্জনক মাত্রার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এসব শিশুদের ৯৮ শতাংশের দেহে প্রতি ডেসিলিটার রক্তে ৬৭ মাইক্রোগ্রাম সিসা শনাক্ত করা হয়েছে।
আইসিডিডিআরবির (আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ) এক গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে। গতকাল বুধবার আইসিডিডিআরবির সম্মেলনকক্ষে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ গবেষণার ফল প্রকাশ করা হয়।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) শিশুদের দেহে প্রতি লিটারে ৩৫ মাইক্রোগ্রামের উপস্থিতিকে উদ্বেগজনক মাত্রা বলে বিবেচনা করে। তবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে সিসার কোনো নিরাপদ মাত্রা নেই। সিসার যেকোনো মাত্রাই শিশুর জন্য ক্ষতিকর।
আইসিডিডিআরবি ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে থাকা বস্তির শিশুদের ওপর গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়। ওই গবেষণায় ২ থেকে ৪ বছর বয়সী ৫০০ শিশুর রক্তের নমুনা নেওয়া হয়।
আইসিডিডিআরবির অ্যাসিস্ট্যান্ট সায়েন্টিস্ট ডা. জেসমিন সুলতানা জানান, এসব শিশুর রক্তে প্রতি ডেসিলিটারে ৬৭ মাইক্রোগ্রাম সিসার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তবে তাদের মধ্যে অর্ধেকের শরীরের এই মাত্রা ছিল ৬৭ মাইক্রোগ্রামের বেশি। গবেষণায় দেখা যায়, সিসা পোড়ানো, গলানো বা রিসাইক্লিংয়ের (পুনঃচক্র) মতো কাজগুলো যেখানে হয়, সেসব এলাকার শিশুদের মধ্যে সিসায় আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি।
উদাহরণ দিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, গবেষণায় চিহ্নিত সিসানির্ভর শিল্পস্থাপনার এক কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারী শিশুদের রক্তে সিসার মাত্রা ছিল পাঁচ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে বসবাসকারী শিশুদের তুলনায় ৪৩% বেশি। সিসার অন্যান্য উৎসের মধ্যে রয়েছে ঘরের ভেতর ধূমপান, দূষিত ধূলিকণা, সিসাযুক্ত প্রসাধনসামগ্রী ও রান্নার পাত্র।
এই আলোচনা সভা থেকে লেড-অ্যাসিড ব্যাটারি বানানো বা রিসাইক্লিং করার কারখানা বা স্থান, অথবা যেসব কারখানা বা স্থাপনায় সিসা গলানো বা পোড়ানো হয়, এমন সিসানির্ভর শিল্পস্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। কারণ, এসব প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নিলে বা দূষণ কমানোর ব্যবস্থা নিলে সেসব এলাকার শিশুদের সিসা দূষণ থেকে বাঁচানো সম্ভব।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আইসিডিডিআরবির রিসার্চ ট্রেইনি ডা. সানজিদা তাপসি আদিবা। স্বাগত বক্তব্য দেন আইসিডিডিআরবির হেলথ সিস্টেম অ্যান্ড পপুলেশন স্টাডিজ ডিভিশনের জ্যেষ্ঠ পরিচালক ড. সারাহ স্যালওয়ে।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে ১২ হাজার পিস ইয়াবা ও ইয়াবা পরিবহনে ব্যবহৃত বাসসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা-বিভাগ (ডিবি)। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. বাবু মিয়া (৩৬) ও মো. রাকিবুল হাসান (২৮)। ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সোমবার ডিবি-মতিঝিল বিভাগ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কতিপয় মাদক কারবারি একটি যাত্রীবাহী বাসে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ যাত্রাবাড়ীর আসমা আলী সিএনজি রিওয়েলিং অ্যান্ড ওয়ার্কশপ লি. এর পূর্ব পাশে হামজা বডিবিল্ডারের সামনে অবস্থান করছে বলে জানতে পারে।
পরে দুপুর পৌনে ৩ টার দিকে অভিযান চালিয়ে ইয়াবা পরিবহনে ব্যবহৃত একটি বাসসহ বাবু ও রাকিবুলকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ১২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দীর্ঘদিন যাবৎ কক্সবাজার সীমান্ত এলাকা থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন মাদক কারবারিদের কাছে বিক্রি করত বলে স্বীকার করে।
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ৩ হাজার ১৯২টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ২৬৭টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৮৪টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বুধবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করা হয়।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
মন্তব্য