× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Jail for selling dead chickens
google_news print-icon

মরা মুরগি বিক্রি করতে গিয়ে কারাগারে

মরা-মুরগি-বিক্রি-করতে-গিয়ে-কারাগারে
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বিক্রি করা হচ্ছে মরা ব্রয়লার মুরগির মাংস। ছবি: নিউজবাংলা
স্থানীয়দের ভাষ্য, ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকায় সাপ্তাহিক হাট বসে। বিকেলে ওই হাটে মরা মুরগির মাংস বিক্রি করছিল দুই যুবক। এসময় মাংস থেকে দুর্গন্ধ ও মাছি উড়তে থাকায় স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। পরে স্থানীয়রা মাংসসহ আহাদকে আটক করলে সাগর নামের অন্যজন দৌড়ে পালিয়ে যান।

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মরা ব্রয়লার মুরগি বিক্রির অপরাধের আহাদ মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে এক মাসের কারাদণ্ড ও তিন হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ওই ব্যক্তির কাছ থেকে ৮০ কেজি মরা ব্রয়লার মুরগির মাংসও জব্দ করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে উপজেলার পৌর এলাকায় অভিযান চালিয়ে কারাদণ্ড ও জরিমানার আদেশ দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান।

৩৫ বছর বয়সী কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আহাদ মিয়া ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানাধীন রফিক মিয়ার ছেলে।

স্থানীয়দের ভাষ্য, ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকায় সাপ্তাহিক হাট বসে। বিকেলে ওই হাটে মরা মুরগির মাংস বিক্রি করছিল দুই যুবক। এসময় মাংস থেকে দুর্গন্ধ ও মাছি উড়তে থাকায় স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। পরে স্থানীয়রা মাংসসহ আহাদকে আটক করলে সাগর নামের অন্যজন দৌড়ে পালিয়ে যান।

নিউজবাংলাকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর আহাদকে জিজ্ঞেস করলে প্রথমে মরা মুরগি বিক্রির কথা অস্বীকার করলেও একপর্যায়ে তিনি দোষ স্বীকার করনে। তিনি জানান যে, ময়মনসিংহ শহর থেকে ৮০ কেজি মরা মুরগির মাংস নিয়ে এসে তারা বাজারে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছিলেন।

এ ঘটনায় তাকে এক মাসের কারাদণ্ড ও তিন হাজার টাকা জরিমানা করে জব্দকৃত মাংস মাটির নিচে পুঁতে ফেলা হয়। এসময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
স্ত্রীকে হত্যার ২৭ বছর পর যাবজ্জীবন পাওয়া স্বামী গ্রেপ্তার
নবজাতকের মৃত্যুর পর ধর্ষণের মামলা, যুবক গ্রেপ্তার
শিশুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, গ্রেপ্তার ২
আবাসিক হোটেলে তরুণীর গলাকাটা মরদেহ
চালককে মেয়রের পিটুনি, ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জে বাস চলাচল স্বাভাবিক

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Former MP Fazle Karims instructions to be sent to jail

সাবেক এমপি ফজলে করিমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

সাবেক এমপি ফজলে করিমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাইনবোর্ড। ছবি: বাসস
ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আল নোমান। ওই সময় উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর বিএম সুলতান মাহমুদ, গাজী মনোয়ার হোসেন তামিম, ব্যারিস্টার মইনুল করিম, তারেক আবদুল্লাহ ও সাইমুম রেজা।

গত বছরের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখিয়ে চট্টগ্রামের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট মূলে ট্রাইব্যুনালে তাকে হাজির করা হলে প্রসিকিউশনের আবেদনে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে বিচারিক প্যানেল রবিবার এ আদেশ দেন।

ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আল নোমান।

ওই সময় উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর বিএম সুলতান মাহমুদ, গাজী মনোয়ার হোসেন তামিম, ব্যারিস্টার মইনুল করিম, তারেক আবদুল্লাহ ও সাইমুম রেজা।

আরও পড়ুন:
সাবেক এমপি আবদুল মজিদ খান গ্রেপ্তার
সাবেক এমপি আবদুল আজিজ গ্রেপ্তার
সাবেক এমপি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন গ্রেপ্তার
দেশে একমাত্র এইচএমপিভি রোগীর মৃত্যু
এইচএমপিভি নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Administrator appointment in cash is valid High Court

নগদে প্রশাসক নিয়োগ বৈধ: হাইকোর্ট

নগদে প্রশাসক নিয়োগ বৈধ: হাইকোর্ট নগদের লোগো ও সুপ্রিম কোর্ট ভবন। ছবি: ইউএনবি
এ আদেশের ফলে নগদে প্রশাসক নিয়োগে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত বৈধ বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নগদে প্রশাসক নিয়োগের বৈধতার প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ আদেশের ফলে নগদে প্রশাসক নিয়োগে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত বৈধ বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

আলাদা দুটি রিটের ওপর জারি করা রুল খারিজ করে রবিবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

নগদ বাংলাদেশ ডাক বিভাগের এজেন্ট উল্লেখ করে রায়ে আদালত বলেন, ‘আইন বাস্তবায়ন করেই বাংলাদেশ ব্যাংক প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে।’

আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জমির উদ্দিন সরকার, মুহাম্মদ নওশাদ জমির, মোস্তাফিজুর রহমান খান ও আবুল কালাম খান দাউদ। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, আইনজীবী কামরুজ্জামান কচি ও সাইফুল ইসলাম।

রায়ের পর আইনজীবী আবুল কালাম খান দাউদ বলেন, ‘নগদে প্রশাসক নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। রিটকারীদের লুকাস স্ট্যান্ডি নাই (আইনগত এখতিয়ার নেই), এই গ্রাউন্ডে রিটটি খারিজ করেছে আদালত।’

রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, রিটকারীর সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

রায়ের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী বি এম ইলিয়াস কচি বলেন, ‘নগদ ডাক বিভাগের এজেন্ট বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রশাসক নিয়োগের আগে কারণ দর্শানোর জন্য ডাক বিভাগকে নোটিশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ডাক বিভাগ নোটিশের জবাব দেয়। এ ছাড়া নগদের কার্যক্রম পরিদর্শন করে বাংলাদেশ ব্যাংক অনিয়ম পায়। এসবের ভিত্তিতে গ্রাহকদের স্বার্থেই প্রশাসক নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ক্ষেত্রে রিট আবেদনকারীকে কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি বলে দাবি করা হয় রিটে।

‘যেহেতু নগদ ডাক বিভাগের এজেন্ট, তাই রিট আবেদনকারীর সংক্ষুব্ধতা থাকলে তিনি সেখানে আবেদন করতে পারতেন, যা তিনি করেননি। এসব দিক বিবেচনায় রিট গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় তা খারিজ করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নগদে প্রশাসক নিয়োগ বৈধ বলে প্রমাণিত হলো।’

অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক গত বছরের ২১ আগস্ট এক বছরের জন্য নগদে প্রশাসক নিয়োগ দেয়।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক অভ্যন্তরীণ আদেশে বলা হয়, “ডাক বিভাগের ডিজিটাল আর্থিক সেবা ‘নগদ’-এ চট্টগ্রাম অফিসের পরিচালক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদারকে এক বছরের জন্য প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলো। পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান, যুগ্ম পরিচালক আনোয়ার উল্লাহ, পলাশ মন্ডল, আবু ছাদাত মোহাম্মদ ইয়াছিন, উপপরিচালক চয়ন বিশ্বাস ও আইয়ুব খানকে সহায়ক কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হলো।”

সে সময় নগদের আগের পর্ষদও ভেঙে দেওয়া হয়।

পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক সাংবাদিকদের জানান, নগদ ডাক বিভাগের সেবা। তাদের পক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক সেবাটি পরিচালনা করবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নগদের নির্বাহী পরিচালক সাফায়েত আলম হাইকোর্টে রিট করেন।

রিটে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগের পরিচালক, ডাক বিভাগের মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নগদে নিযুক্ত প্রশাসক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদারকে বিবাদী করা হয়।

রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর রুল জারি করে হাইকোর্ট। রুলে নগদে প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। ১০ দিনের মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

রুল শুনানির ধারাবাহিকতায় অপর এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৮ ডিসেম্বর নগদে নিয়োগ করা প্রশাসকের কার্যক্রমের ওপর দুই সপ্তাহের জন্য স্থিতাবস্থা জারি করে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ। সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে রবিবার রায় ঘোষণা করে হাইকোর্ট।

একই বিষয়ে মোহাম্মদ আমিনুল হক নামে নগদের অপর এক পরিচালক আরেকটি রিট করেন। ওই রিটের শুনানি শেষে আদালত একইভাবে রুল জারি করে। আজ সেই রুল খারিজ করে রায় দেয় একই আদালত।

আরও পড়ুন:
কয়েক শ কোটি টাকার বিদেশি বিনিয়োগ এনেছে নগদ: সিইও
প্রশাসক হিসেবে ১২ সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব পেলেন যারা
ঢাকার দুটিসহ ১২ সিটির মেয়র অপসারণ, প্রশাসক নিয়োগ
নগদ উত্তোলনের সীমা বাড়িয়ে ৩ লাখ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
ড. ইউনূসসহ উপদেষ্টাদের শুভেচ্ছা নগদের

মন্তব্য

কথাকাটাকাটির জেরে গুলিতে আহত ভাই, বোন

কথাকাটাকাটির জেরে গুলিতে আহত ভাই, বোন ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগ এলাকা। ফাইল ছবি
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (পরিদর্শক) মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ‘আজ ভোরের দিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ভাই-বোনকে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসা হয়েছে। জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।’

রাজধানীর পল্লবীতে শনিবার ভোরে কথাকাটাকাটির জেরে গুলিতে মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন ও শাহিনুর বেগম নামের দুই সহোদর আহত হয়েছেন।

তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা তাদের ভগ্নিপতি আমির হোসেন বলেন, ‘আমার শ্যালক জসিম টিভি শোরুমের ব্যবসায়ী। আজ ভোরের দিকে শবে বরাতের নামাজ পড়ে বাসায় ফেরার সময় বাসার সামনে আমাদের এলাকার কয়েকজন ছেলে শরিফ, তুহিন, শহিদুল, সুজন, রিয়াজের সঙ্গে জসিমের কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে জসিমকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে শহিদুল। এতে জসিমের দুই পায়ের হাঁটুর ওপর দুটি গুলি বিদ্ধ হয়।

‘এ দৃশ্য দেখে তার বোন শাহিনুর বেগম এগিয়ে আসলে শাহিনুর বেগমের ডান পায়ের হাঁটুর নিচে একটি গুলি বিদ্ধ হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে। দুইজনকে ওই অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোরের দিকে তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে।’

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (পরিদর্শক) মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ‘আজ ভোরের দিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ভাই-বোনকে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসা হয়েছে। জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The Awami League demanded the ban on the custody of Islam

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি হেফাজতে ইসলামের

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি হেফাজতে ইসলামের হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের লোগো। ছবি: বাসস
বিবৃতিতে হেফাজত নেতাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‌‘জাতিসংঘের ফ্যাক্টচেকিং মিশনের দীর্ঘ অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দোসরদের ভয়াবহ মানবতাবিরোধী অপরাধগুলো তথ্য-প্রমাণসহ উঠে এসেছে। হাসিনার পরিকল্পনা ও নির্দেশে তার আজ্ঞাবাহী বাহিনীর সদস্যরা গুম, খুন ও নির্যাতনে নৃশংসতার সকল সীমা ছাড়িয়েছে।’

জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

সংগঠনটির আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান শুক্রবার দেওয়া বিবৃতিতে এ দাবি জানান।

বিবৃতিতে হেফাজতের নেতাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‌‘জাতিসংঘের ফ্যাক্টচেকিং মিশনের দীর্ঘ অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দোসরদের ভয়াবহ মানবতাবিরোধী অপরাধগুলো তথ্য-প্রমাণসহ উঠে এসেছে। হাসিনার পরিকল্পনা ও নির্দেশে তার আজ্ঞাবাহী বাহিনীর সদস্যরা গুম, খুন ও নির্যাতনে নৃশংসতার সকল সীমা ছাড়িয়েছে।’

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড, গুম-খুন, ৫ মে শাপলা চত্বর ও চব্বিশের গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। তা না হলে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ সরকার ও জনগণকে এক মুহূর্তও শান্তিতে থাকতে দেবে নাৎ।

‘তারা একের পর এক স্যাবোট্যাজ ঘটিয়ে ছাত্র নেতৃত্ব ও তৌহিদি জনতাকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। কালচারাল ঘরানার ফ্যাসিবাদপন্থি আওয়ামী লোকজন আবারও মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে। গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষগুলোর মধ্যে তারা বিভেদ-বিভক্তি ছড়িয়ে দিতে তৎপর।’

এতে আরও বলা হয়, ‘ভারত এখনও শত্রু রাষ্ট্রের মতো আচরণ করছে। হাসিনা পরবর্তী নতুন বাংলাদেশকে এখনও তারা মেনে নিতে পারছে না; বরং তাদের আশ্রয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে একের পর এক ষড়যন্ত্র করার সুযোগ দিয়ে যাচ্ছে। তাই গুম-খুন ও গণহত্যার দায়ে হাসিনার বিচার কাজ ত্বরান্বিত করতে হবে।

‘সেই সাথে বিভিন্ন বাহিনীতে তাদের অনুগত চিহ্নিত দোসরদেরও দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। তবেই গণ-অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-জনতার জুলাই বিপ্লব সুরক্ষিত হবে বলে আমরা মনে করি।’

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশে সরকার পতনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা ছিল না: ট্রাম্প
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে পদক্ষেপ শিগগিরই: উপদেষ্টা আসিফ
ডিবি হেফাজতে অভিনেত্রী শাওন
পুলিশের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নেওয়া আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
আওয়ামী লীগ ক্ষমা না চাইলে কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হবে না: প্রেস সচিব

মন্তব্য

বাংলাদেশ
People will not forgive if Sheikh Hasina does not face trial Dr Yunus

শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি না করলে জনগণ ক্ষমা করবে না: ড. ইউনূস

শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি না করলে জনগণ ক্ষমা করবে না: ড. ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: বাসস
ড. ইউনূস বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছি এবং আশা করছি এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। এটি অবশ্যই করা হবে, অন্যথায় জনগণ আমাদের ক্ষমা করবে না।’

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি বলেন, ‘যদি তাদের অপরাধের বিচার না করা হয়, তাহলে দেশের মানুষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ক্ষমা করবে না।’

সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রীয় ইংরেজি দৈনিক পত্রিকা দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই কথা বলেন।

দুবাইয়ের ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টস সামিটের (ডব্লিউজিএস) এক ফাঁকে অধ্যাপক ইউনূস এ সাক্ষাৎকার দেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা তাকে (হাসিনা) বিচারের আওতায় আনব। এটি অবশ্যই করা হবে। অন্যথায় জনগণ আমাদের ক্ষমা করবে না।’

তিনি উল্লেখ করেন, ‘ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের খুঁজে বের করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে এবং আইনের মুখোমুখি করা হবে।’

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশত্যাগ করেন। এর মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার টানা ১৫ বছরের একদলীয় শাসনের অবসান হয়। এরপর গত বছরের ৮ আগস্ট নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী অধ্যাপক ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন।

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন পুলিশ ও শেখ হাসিনার দলের লোকজন প্রায় ১ হাজার ৪০০ জনকে হত্যা করে এবং আহত করে ১১ হাজার জনকে।

ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গিয়ে এখনও সেখানে অবস্থান করছেন।

হাসিনার প্রত্যর্পণ প্রসঙ্গে ভারতকে নোটিশ

প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস দ্য ন্যাশনাল পত্রিকার ওই সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, ‘আমরা ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছি, শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে অপরাধ সংগঠিত হওয়ার বিপুল পরিমাণ প্রমাণ আছে, যার মধ্যে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টও অন্তর্ভুক্ত।

‘জাতিসংঘ এটিকে নথিভুক্ত করেছে এবং আমাদের কাছে শেখ হাসিনা, তার সরকার এবং ঘনিষ্ঠ সমর্থকদের অপরাধের প্রচুর প্রমাণ রয়েছে।’

ড. ইউনূস বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছি এবং আশা করছি এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। এটি অবশ্যই করা হবে, অন্যথায় জনগণ আমাদের ক্ষমা করবে না।’

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশে স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা চালু করতে মাস্ক-ইউনূস আলোচনা
ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটে যোগ দিতে দুবাইয়ে প্রধান উপদেষ্টা
ড. ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন
প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে: প্রেস সচিব
ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ শক্তভাবে প্রতিহত করা হবে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Infant of July coup UNICEF wants protection and accountability

জুলাই অভ্যুত্থানে শিশুমৃত্যু: সুরক্ষা ও জবাবদিহি চায় ইউনিসেফ

জুলাই অভ্যুত্থানে শিশুমৃত্যু: সুরক্ষা ও জবাবদিহি চায় ইউনিসেফ বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স। ফাইল ছবি/ইউনিসেফ
বাংলাদেশের শিশুদের সঙ্গে আর কখনোই যেন এমনটি না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে দেশের সব মানুষের কাছে আহ্বান জানিয়েছে ইউনিসেফ।

গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন প্রকাশের পর এটিকে ‌হৃদয়বিদারক বলে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক অঙ্গ সংস্থা ইউনিসেফ।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক অফিসের প্রতিবেদনটির বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে যে ১ হাজার ৪০০ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে শতাধিক শিশু ছিল। ইউনিসেফ এসব মৃত্যুর অনেকের বিষয়ে ইতোমধ্যে রিপোর্ট করেছে এবং মোট কত শিশু নিহত বা আহত হয়েছে, তা স্পষ্ট করার জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা তাদের প্রত্যেকের জন্য শোক প্রকাশ করছি।’

অভ্যুত্থানে নারী ও শিশুদের ওপর সহিংসতার চিত্রও তুলে ধরেন তিনি। তার ভাষ্য, ‘এ সময় নারীদের বিক্ষোভে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখার জন্য শারীরিক নির্যাতন ও ধর্ষণের হুমকিসহ নানা ধরনের জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতার ঘটনার নথি পাওয়া গেছে।

‘শিশুরাও এই সহিংসতা থেকে রেহাই পায়নি; তাদের অনেককে হত্যা করা হয়, পঙ্গু করে দেওয়া হয়, নির্বিচারে গ্রেপ্তার করা হয়, অমানবিক অবস্থায় আটক করে রাখা হয় এবং নির্যাতন করা হয়।’

বিবৃতিতে শিশুদের ওপর সহিংসতার তিনটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন ফ্লাওয়ার্স।

তিনি বলেন, ‘একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে ধানমণ্ডিতে, যেখানে ২০০টি ধাতব গুলি ছোড়ার কারণে ১২ বছর বয়সী এক বিক্ষোভকারী অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের ফলে মারা যায়। আরেকটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে নারায়ণগঞ্জে, সেখানে ছয় বছর বয়সী এক কন্যাশিশু তার বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে সংঘর্ষ প্রত্যক্ষ করার সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়।

‘এই বিক্ষোভের সবচেয়ে ভয়ংকর দিন ৫ আগস্ট পুলিশের গুলি চালানোর বর্ণনা দিয়ে আজমপুরের ১২ বছর বয়সী একটি ছেলে বলে, সব জায়গায় বৃষ্টিপাতের মতো গুলি চলছিল। সে অন্তত এক ডজন মৃতদেহ দেখতে পেয়েছিল সেদিন।’

তিনি বলেন, ‘এই ঘটনাগুলো অবশ্যই আমাদের সবাইকে আতঙ্কিত করে তুলছে।’

বাংলাদেশের শিশুদের সঙ্গে আর কখনোই যেন এমনটি না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে দেশের সব মানুষের কাছে আহ্বান জানিয়েছে ইউনিসেফ।

প্রাপ্ত এসব ফলাফলের আলোকে এবং এই মর্মান্তিক ঘটনা-বিষয়ক ইউনিসেফের আগের বিবৃতিগুলোর জের ধরে বাংলাদেশের সমস্ত নীতিনির্ধারক, গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও কর্মকর্তাদের বাংলাদেশের শিশু, যুবসমাজ ও পরিবারগুলোকে শারীরিক ও মানসিক ক্ষত সারিয়ে ওঠার পাশাপাশি আশা সঞ্চার করে তাদের এগিয়ে যেতে সহায়তা করতে আহ্বান জানিয়েছে ইউনিসেফ।

এ জন্য তিনটি বিশেষ ক্ষেত্রে জরুরিভাবে কাজ করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক অঙ্গ সংস্থাটি।

প্রথমত, যেসব শিশু প্রাণ হারিয়েছে, তাদের ও তাদের শোকাহত পরিবারের জন্য জবাবদিহি নিশ্চিত করা এবং প্রয়োজনীয় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

দ্বিতীয়ত, যারা এখনও আটক অবস্থায় আছে এবং যাদের জীবন কোনো না কোনোভাবে এই ঘটনাগুলোর দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে, তাদের সবার জন্য পুনর্বাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একজোট হওয়া।

তৃতীয়ত ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, এ সময়টাকে ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য সার্বিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। সব রাজনৈতিক নেতা, দল ও নীতিনির্ধারকদের পুলিশ ও বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য একজোট হতে হবে, যাতে বাংলাদেশের কোনো শিশুকে আর কখনও এমন বিচার-বহির্ভূতভাবে ও যথাযথ প্রক্রিয়ার অভাবে আটক থাকতে না হয়। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে গিয়ে, যা তাদের অধিকার, তাদের যেন নির্যাতন ও সহিংসতার শিকার হতে না হয়। আর এভাবে বাংলাদেশের শিশুদের সুরক্ষা, মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের অধিকার সমুন্নত রাখা সম্ভব।

আরও পড়ুন:
অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া শুরু
শাহবাগ মোড় অবরোধ, বিচার ও পুনর্বাসনের দাবি শহিদ পরিবারের স্বজনদের
কিডস টাইম ফেয়ার: গান-গল্পে শিশুদের মন জিতে নিল শক্তি মাসকট লায়ন
জুলাই অভ্যুত্থানকালীন মানবাধিকার লঙ্ঘন: জাতিসংঘ মিশনের প্রতিবেদন মধ্য ফেব্রুয়ারিতে
অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা বাবদ ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ সরকারের

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Father suicide after killing two children in Habiganj Police

হবিগঞ্জে দুই সন্তানকে বিষ পান করিয়ে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা: পুলিশ

হবিগঞ্জে দুই সন্তানকে বিষ পান করিয়ে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা: পুলিশ হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানা ভবন। ছবি: ওমর ফারুক
চুনারুঘাট থানার ওসি মোহাম্মদ নূর আলম জানান, পারিবারিক কলহের জেরে আবদুর রউফ সন্তানদের বিষ পান করানোর পর নিজেও বিষ পানে আত্মহত্যা করেন।

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে দুই সন্তানকে বিষ পান করিয়ে হত্যার পর বাবা একই উপায়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

চুনারুঘাটের আতিকপুর গ্রামে শুক্রবার ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে।

ওই তিনজন হলেন চুনারুঘাট উপজেলার আতিকপুর গ্রামের আবদুর রউফ (৩২) এবং তার দুই সন্তান আয়েশা আক্তার (৩) ও খাদিজা আক্তার (৫)।

হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, আবদুর রউফ বিদেশে যাওয়ার জন্য স্থানীয় এক দালালের কাছে টাকা দিলেও বিষয়টি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। এ নিয়ে সম্প্রতি তার স্ত্রী হাফসার সঙ্গে ঝগড়া হয়। এর জেরে দুই দিন আগে হাফসা দুই শিশু সন্তানকে রেখে এক বছরের অপর শিশুকে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যান।

পুলিশ আরও জানায়, পারিবারিক বিষয় নিয়ে ক্ষোভ ও অভিমানে আবদুর রউফ শুক্রবার ভোররাতে প্রথমে তার দুই সন্তানকে বিষ পান করিয়ে নিজে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। বিষয়টি টের পেয়ে পরিবারের লোকজন তাদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক প্রথমে দুই সন্তান ও পরে আবদুর রউফকে মৃত বলে জানান।

খবর পেয়ে হবিগঞ্জ সদর থানা পুলিশ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নূর আলম জানান, পারিবারিক কলহের জেরে আবদুর রউফ সন্তানদের বিষ পান করানোর পর নিজেও বিষ পানে আত্মহত্যা করেন।

আরও পড়ুন:
হবিগঞ্জে আকিজের কারখানায় গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে নিহত ৪
সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত ছবি ছড়ানোর অভিযোগ, বিষপানে আত্মহত্যা
হবিগঞ্জে মা-মেয়ে হত্যায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড
ভিডিও কলে নববধূর, পরে প্রবাসী প্রেমিকের আত্মহত্যা: পুলিশ
লাখাইয়ে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

মন্তব্য

p
উপরে