× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
There is no death of an ideal student leader
google_news print-icon

‘আদর্শিক ছাত্রনেতার মৃত্যু নাই’

আদর্শিক-ছাত্রনেতার-মৃত্যু-নাই
আওয়ামী লীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর। ছবি: নিউজবাংলা
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর বলেন, ‘শহীদ ছাত্রনেতা মঈনুল করিম চৌধুরী ছিলেন সত্যিকারের আদর্শিক ছাত্রনেতা। প্রতিকূল অবস্থায় রাজনীতি করে ছাত্রলীগকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা ছিলৎ অতুলনীয়।

আদর্শিক ছাত্রনেতার মৃত্যু নাই, কর্মই তাকে সবার মাঝে বাঁচিয়ে রাখে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর।

শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর নন্দনকান স্হানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে ছাত্রনেতা মঈনুল করিম চৌধুরীর ২৮ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আয়োজিত স্মরণ সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন ।

ছাত্রনেতা মঈনুল করিম চৌধুরী চট্টগ্রামে ছাত্ররাজনীতির আঁতুড়ঘর হিসেবে পরিচিত ওমরগণি এমইএস বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর বলেন, ‘শহীদ ছাত্রনেতা মঈনুল করিম চৌধুরী ছিলেন সত্যিকারের আদর্শিক ছাত্রনেতা। প্রতিকূল অবস্থায় রাজনীতি করে ছাত্রলীগকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা ছিলৎ অতুলনীয়। প্রতিকূল অবস্থায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে গিয়ে ১৯৯৫ সালে আজকের দিনে তিনি নোয়াখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। আমরা তার বিদেহীর আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।’

মঈনুল করিম স্মৃতি সংসদ আয়োজিত এই সভার সভাপতিত্ব করেন ওমর গণি এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এম কুতুবউদ্দিন চৌধুরী।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শহীদ ছাত্রনেতা মঈনুল করিম চৌধুরীর বড় ভাই রেজাউল করিম চৌধুরী, আওয়ামীলীগ নেতা সুজিত ঘোষ, জাহিদ হাসান সাইমুন, হাসমত খান আতিফ, আবদুল্লাহ আল সাইমুন,আশরাফ উদ্দীন লাভলু, ইয়াছির আরাফত রিকু, রতন চৌধুরী, নিয়াজ উদ্দীন তামিম প্রমুখ।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Khaleda Zias appeal verdict in Orphanage Trust case on Wednesday

অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার আপিলের রায় বুধবার

অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার আপিলের রায় বুধবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: বাসস
জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীনসহ শুনানিতে অংশ নেওয়া আইনজীবীরা মামলায় খালেদা জিয়া খালাস পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা বাড়িয়ে হাইকোর্টের দেওয়া ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে।

আদালত বুধবার রায় ঘোষণার জন্য দিন ঠিক করেছে।

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের বেঞ্চ আজ আপিলের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য দিন ঠিক করে আদেশ দেন।

আদালতে বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। এ ছাড়াও বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে বিপুলসংখ্যক আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ ও অনিক আর হক। আর দুদকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. আসিফ হাসান।

আপিল শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা সর্বোচ্চ আদালতকে জানান, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট গঠনের ক্ষেত্রে খালেদা জিয়া সই-স্বাক্ষর করেছেন, এমন কোনো নথি প্রসিকিউশন দেখাতে পারেনি। আর টাকা কোথা থেকে এসেছে, তাও দেখাতে পারেনি। আর যে অর্থ আত্মসাৎ বলা হয়েছে, তা ব্যাংক হিসাবে রক্ষিত আছে এবং সেই টাকা সেখানে অনেক বেড়েছে।

তারা জানান, এ মামলার বিচারে সংবিধান ও আইন অনুসরণ করা হয়নি। মামলাটি আইনগত, মৌখিক, এমনকি শোনা সাক্ষ্য-প্রমাণহীন। সর্বোপরি অনুমাননির্ভর ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ অন্যদের সাজা দেওয়া হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীনসহ শুনানিতে অংশ নেওয়া আইনজীবীরা মামলায় খালেদা জিয়া খালাস পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।

ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় বিচারিক আদালতে খালেদা জিয়ার জবানবন্দি সর্বোচ্চ আদালতের শুনানিতে পড়ে শোনাতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

ওই সময় আদালতে পিনপতন নীরবতায় উপস্থিত অনেক আইনজীবীকেও আবেগাপ্লুত হতে দেখা যায়।

এর আগে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে বেগম খালেদা জিয়ার করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে করা আবেদন) গত ১১ নভেম্বর মঞ্জুর করে ১০ বছরের কারাদণ্ড স্থগিতের আদেশ দেন বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বিভাগ।

শুনানিতে দুদকের আইনজীবী মো. আসিফ হাসান আদালতকে বলেছিলেন, ‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের টাকা কিন্তু আত্মসাৎ হয়নি। জাস্ট ফান্ডটা মুভ হয়েছে। তবে সুদে আসলে অ্যাকাউন্টেই টাকাটা জমা আছে। কোনো টাকাটা ব্যয় হয়নি।’

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এ মামলায় খালেদা জিয়ার দেওয়া ৩৪২ ধারায় বক্তব্য তুলে ধরে সর্বোচ্চ আদালতকে বলেন, ‘কবি কাজী নজরুল ইসলামের সেই রাজবন্দির জবানবন্দির প্রতিফলন বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যে উঠে এসেছে। আর খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীর এতিম তহবিল সংক্রান্ত কোনো অনুদান গ্রহণ বা বিতরণের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না বলা হয়েছে।’

বিগত শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।

একই বছরে ২৮ মার্চ খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদকের করা আবেদনে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এরপর সাজা বৃদ্ধিতে দুদকের আবেদনে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেন।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করেছেন রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপতির এ ক্ষমার পরেও মামলা দুটি আইনগতভাবে লড়ার কথা জানিয়ে বিএনপির আইনজীবীরা বলেন, বেগম খালেদা জিয়া আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। রাষ্ট্রপতি তার সাজা মওকুফ করেছেন। তবে সেখানে ক্ষমার কথা আছে। খালেদা জিয়া ক্ষমার প্রতি বিশ্বাসী নন। তিনি অপরাধ করেননি; তিনি ক্ষমাও চাননি। তাই এটা আইনগতভাবে মোকাবিলা করবেন।

আরও পড়ুন:
আগস্টের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন চায় বিএনপি
স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আলোচনা জাতীয় ভোটের সময়ক্ষেপণ, মত বিএনপি নেতাদের
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা স্থিতিশীল: চিকিৎসক
তাড়াইলে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত: পুলিশ
ট্রাইব্যুনালে ক্রসফায়ার ও গুমের অভিযোগ বিএনপির

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP wants national elections by August

আগস্টের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন চায় বিএনপি

আগস্টের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন চায় বিএনপি দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পরের দিন মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: ইউএনবি
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‌‘আমরা মনে করি এ বছরের মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব।’

দেশের বৃহত্তর স্বার্থে চলতি বছরের আগস্টের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে বিএনপি।

দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‌‘আমরা মনে করি এ বছরের মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব।’

দলটির স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পরের দিন মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবির কথা জানান।

এর আগে সোমবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে অংশ নেন নেতারা।

চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচন আয়োজনে পদক্ষেপ নিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান ফখরুল।

তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, যেহেতু নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে এবং প্রশাসনে আপেক্ষিক স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে, তাই নির্বাচন পেছানোর কোনো কারণ নেই।’

বিএনপির বর্ষীয়ান এ রাজনীতিক বলেন, সরকার গঠিত নির্বাচন সংস্কার কমিশনও বুধবার তাদের প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে।

ফখরুল বলেন, ‘তাই নির্বাচন পেছানোর কোনো যৌক্তিকতা আছে বলে আমরা মনে করি না। যত বিলম্ব হবে, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট তত গভীর হবে।’

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছেন যে, নির্বাচিত সরকারের কোনো বিকল্প নেই। কারণ এটি গণতন্ত্রের ভিত্তি।

আরও পড়ুন:
স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আলোচনা জাতীয় ভোটের সময়ক্ষেপণ, মত বিএনপি নেতাদের
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা স্থিতিশীল: চিকিৎসক
তাড়াইলে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত: পুলিশ
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে থাকবে কি না, বলে দেবে সময়: সিইসি
ট্রাইব্যুনালে ক্রসফায়ার ও গুমের অভিযোগ বিএনপির

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP leaders are talking about local government elections as delaying national elections
বাসসের প্রতিবেদন

স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আলোচনা জাতীয় ভোটের সময়ক্ষেপণ, মত বিএনপি নেতাদের

স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আলোচনা জাতীয় ভোটের সময়ক্ষেপণ, মত বিএনপি নেতাদের বিএনপির লোগো। ফাইল ছবি
বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে সূত্রের বরাত দিয়ে বাসস জানায়, বর্তমানে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের যে আলোচনা বা চিন্তা, সেটি জাতীয় নির্বাচনের সময়ক্ষেপণ বলে বৈঠকে আলোচনায় নেতারা মত প্রকাশ করেন। তাদের মতে, অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত স্থানীয় সরকার নির্বাচনের চিন্তা বাদ দিয়ে জনআকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী চলতি বছরের মাঝামাঝিতেই জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করা এবং এর সকল আয়োজন সম্পন্ন করা।

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির নেতারা স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে আলোচনাকে জাতীয় নির্বাচনের সময়ক্ষেপণ মনে করছেন বলে জানিয়েছে বাসস।

বৈঠক সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এ তথ্য জানায় রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থাটি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।

গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে সূত্রের বরাত দিয়ে বাসস জানায়, বর্তমানে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের যে আলোচনা বা চিন্তা, সেটি জাতীয় নির্বাচনের সময়ক্ষেপণ বলে বৈঠকে আলোচনায় নেতারা মত প্রকাশ করেন। তাদের মতে, অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত স্থানীয় সরকার নির্বাচনের চিন্তা বাদ দিয়ে জনআকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী চলতি বছরের মাঝামাঝিতেই জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করা এবং এর সকল আয়োজন সম্পন্ন করা।

ওই সূত্র আরও জানায়, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিএনপি নেতারা সভা-সেমিনারের মধ্য দিয়ে নির্বাচনের এ দাবিকে শিগগিরই সামনে নিয়ে আসবেন।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। গত বৃহস্পতিবার রাতে এ সংক্রান্ত দুটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়।

বৈঠকে এ ভ্যাট এবং ট্যাক্স বৃদ্ধির ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্রটি।

বিএনপি নেতারা মনে করেন, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় কোনো নির্বাচিত সরকার থাকলে তারা কোনোভাবে জনগণের দুর্ভোগ বাড়ানোর কারণ হয়ে দাঁড়াত না। তারা জনঘনিষ্ঠ এবং দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত পণ্যে এভাবে ভ্যাট-ট্যাক্স বাড়াত না।

স্থায়ী কমিটির বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

বৈঠকে যুক্তরাজ্যে চিকিৎসারত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। দলের চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্য ক্রমাগত উন্নতির দিকে থাকায় শুকরিয়া আদায় করেন বিএনপি নেতারা।

নেতাদের একজন বলেন, ‘ধীরে ধীরে ম্যাডামের স্বাস্থ্যের উন্নতি হওয়া আমাদের জন্য সুখবর। ম্যাডাম এখন খুব প্রফুল্ল আছেন। তিনি হাসপাতালে পারিবারিক পরিমণ্ডলে বেশ ভালো সময় কাটাচ্ছেন।’

গত ৮ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের দ্য ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। তিনি অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডির তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন।

বৈঠকে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাউদ্দিন আহমেদ, বেগম সেলিমা রহমান ও হাফিজ উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

আরও পড়ুন:
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা স্থিতিশীল: চিকিৎসক
তাড়াইলে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত: পুলিশ
ট্রাইব্যুনালে ক্রসফায়ার ও গুমের অভিযোগ বিএনপির
লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি খালেদা জিয়া
খালেদা জিয়া লন্ডন যাচ্ছেন মঙ্গলবার রাতে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Khaleda Zias health condition is stable Doctors

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা স্থিতিশীল: চিকিৎসক

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা স্থিতিশীল: চিকিৎসক যুক্তরাজ্যে পুত্রবধূ জুবাইদা রহমানের সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: ইউএনবি
এ জেড এম জাহিদ হোসেন রোববার বলেন, ‘তার স্বাস্থ্যের রুটিন পরীক্ষা প্রতিদিনই চলছে। তবে সোমবার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শে বিশেষ কিছু পরীক্ষা করা হতে পারে। হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখেছেন বিখ্যাত হেপাটোলজিস্ট অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডি। এ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অধীনেই তার চিকিৎসা চলছে।’

যুক্তরাজ্যের লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।

তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন রোববার এমন তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘তার স্বাস্থ্যের রুটিন পরীক্ষা প্রতিদিনই চলছে। তবে সোমবার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শে বিশেষ কিছু পরীক্ষা করা হতে পারে। হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখেছেন বিখ্যাত হেপাটোলজিস্ট অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডি। এ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অধীনেই তার চিকিৎসা চলছে।

‘হাসপাতালে ভর্তির পরই খালেদা জিয়ার ফিজিওথেরাপি করানো হয়েছে। এতে তার শারীরিক অবস্থার আরও উন্নতি হয়েছে।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার সার্বক্ষণিক পরিচর্যা করছেন বলেও জানান জাহিদ হোসেন।

উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৮ জানুয়ারি খালেদা জিয়া লন্ডনে যান। ওই দিনই হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি বিশেষায়িত হাসপাতাল দ্য লন্ডন ক্লিনিকে তাকে ভর্তি করা হয়।

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিভিন্ন পরীক্ষা এরই করা হয়েছে। সেই পরীক্ষার ফলের ওপর ভিত্তি করে তার চিকিৎসা চলছে।

লিভার সিরোসিস, কিডনি, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও আর্থ্রাইটিসসহ শারীরিক নানা অসুস্থতায় ভুগছেন ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া।

আরও পড়ুন:
তাড়াইলে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত: পুলিশ
ট্রাইব্যুনালে ক্রসফায়ার ও গুমের অভিযোগ বিএনপির
লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি খালেদা জিয়া
খালেদা জিয়া লন্ডন যাচ্ছেন মঙ্গলবার রাতে
নওগাঁয় বিএনপির দুই নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
One person was killed in a clash between two sides of BNP during the chase Police

তাড়াইলে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত: পুলিশ

তাড়াইলে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত: পুলিশ নিহত আবুল হাসান রতন (৫৫) বানাইল গ্রামের প্রয়াত নূরুল হকের ছেলে ও রাউতি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি। ছবি: সংগৃহীত
তাড়াইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বির রহমান জানান, উপজেলা বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে রাউতি ইউনিয়ন বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আবুল হাসান রতন নিহত হয়েছেন। তার মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহত ও আটজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

উপজেলার রাউতি ইউনিয়নের বানাইল গ্রামে রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ সংঘর্ষ হয়।

নিহত আবুল হাসান রতন (৫৫) বানাইল গ্রামের প্রয়াত নূরুল হকের ছেলে ও রাউতি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি।

পুলিশ ও স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, তাড়াইল উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাঈদুজ্জামান মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার হোসেন লিটনের পরস্পরবিরোধী দুটি গ্রুপ আগে থেকেই সক্রিয় রয়েছে। আগামী ১৫ জানুয়ারি তাড়াইল উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে দুজনই সভাপতি প্রার্থী। সম্মেলনকে সামনে রেখে শনিবার রাতে রাউতি ইউনিয়ন বিএনপির পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন রাউতি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য গিয়াস উদ্দিন। তিনি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার হোসেন লিটনের সমর্থক।

অপরদিকে রাউতি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান রতন উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাঈদুজ্জামান মোস্তফার সমর্থক। আবুল হাসান রতন ও গিয়াস উদ্দিন আত্মীয়তার সূত্রে চাচা-ভাতিজা। পথসভায় গিয়াস উদ্দিন সভাপতিত্ব করায় ক্ষিপ্ত হন আবুল হাসান রতন ও তার লোকজন। রোববার সকালে এ নিয়ে কথাকাটাকাটি থেকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।

একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের বল্লমের আঘাতে আবুল হাসান রতন নিহত হন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষে আহত হন আটজন।

স্থানীয় বিএনপির দাবি, দলীয় বিষয় নয়; পারিবারিক বিষয় নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে।

তাড়াইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বির রহমান জানান, উপজেলা বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে রাউতি ইউনিয়ন বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আবুল হাসান রতন নিহত হয়েছেন। তার মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

এদিকে হত্যাকণ্ডের প্রতিবাদে নিহত রতনের সমর্থকরা রোববার দুপুরে তাড়াইল উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

আরও পড়ুন:
নওগাঁয় বিএনপির দুই নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার
লন্ডনযাত্রার আগে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বসছে বিএনপির স্থায়ী কমিটি
প্যারোলে মেলেনি মুক্তি, বাবার জানাজায় অংশ নিতে পারেননি স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান
সিলেটে হারিছ চৌধুরীর দাফন রোববার
চিকিৎসা: ৭ জানুয়ারি লন্ডন যেতে পারেন খালেদা জিয়া 

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Khaleda Zia admitted to London clinic

লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি খালেদা জিয়া

লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি খালেদা জিয়া যুক্তরাজ্যের বিশেষায়িত হাসপাতাল লন্ডন ক্লিনিক। ছবি: ইউএনবি
ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের সদস্য আল মামুন জানান, প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বাংলাদেশ সময় বুধবার বিকেল পাঁচটার দিকে তাকে হাসপাতালটিতে ভর্তি করা হয়।

উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের বিশেষায়িত হাসপাতাল লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে।

ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের সদস্য আল মামুন জানান, প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বাংলাদেশ সময় বুধবার বিকেল পাঁচটার দিকে তাকে হাসপাতালটিতে ভর্তি করা হয়।

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য ও মেডিক্যাল রিপোর্ট পর্যালোচনা করে হাসপাতালটির চিকিৎসকরা পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে থাকা এ চিকিৎসক।

বিএনপির শীর্ষ নেতাকে হাসপাতালে ভর্তির সময় বাংলাদেশি চিকিৎসক ও তার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বাংলাদেশ সময় বুধবার বেলা দুইটা ৫৫ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি।

সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান।

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর মায়ের দেখা পেয়ে এগিয়ে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরেন ছেলে তারেক ও পুত্রবধূ জুবাইদা। একে অপরের দেখা পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন মা ও ছেলে।

কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে মঙ্গলবার রাতে ঢাকা ছাড়েন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

এরপর স্থানীয় সময় সকালে লন্ডন পৌঁছালে তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদার সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনকে শুভেচ্ছা জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত হন যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মোহাম্মদ হযরত আলী খান, যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক ও সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমদসহ দলটির অনেক নেতা-কর্মী।

হাইকমিশনারের পাশাপাশি তারাও বিএনপিপ্রধানকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

আরও পড়ুন:
খালেদা জিয়া লন্ডন যাচ্ছেন মঙ্গলবার রাতে
নওগাঁয় বিএনপির দুই নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার
লন্ডনযাত্রার আগে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বসছে বিএনপির স্থায়ী কমিটি
সিলেটে হারিছ চৌধুরীর দাফন রোববার
চিকিৎসা: ৭ জানুয়ারি লন্ডন যেতে পারেন খালেদা জিয়া 

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Khaleda Zia is going to London on Tuesday night

খালেদা জিয়া লন্ডন যাচ্ছেন মঙ্গলবার রাতে

খালেদা জিয়া লন্ডন যাচ্ছেন মঙ্গলবার রাতে খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসা ফিরোজায় রোববার রাত ৯টার দিকে তার সঙ্গে কুশল বিনিময় ও শুভেচ্ছা জানাতে যান দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। ছবি: ইউএনবি
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রোববার রাতে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার রাতে লন্ডন যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

কাতারের আমিরের পাঠানো ‘বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে’ করে তিনি রওনা দেবেন।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রোববার রাতে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

এদিন রাত ৯টায় খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় তার সঙ্গে কুশল বিনিময় ও শুভেচ্ছা জানাতে যান দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। পরে খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রার দিনক্ষণ সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন মির্জা ফখরুল।

খালেদা জিয়া দ্রুত সুস্থ হয়ে যাতে দেশে ফিরে আসেন, সেই প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন তিনি।

বিএনপির মহাসচিব জানান, তারা বিএনপিপ্রধানের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। কিন্তু সেখানে রাজনৈতিক কোনো বিষয় ছিল না।

তিনি বলেন, ‌‌‘তার সফলযাত্রা ও উন্নত চিকিৎসা শেষে নিরাপদ প্রত্যাবর্তন কামনা করে আমরা আল্লাহর কাছে মোনাজাত করছি।’

খালেদা জিয়া কখন দেশে ফিরতে পারেন, জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটা কেবল চিকিৎসকরা বলতে পারবেন। আমরা আশা করছি, তিনি দ্রুতই দেশে ফিরে আসবেন।’

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আলোচনায় খালেদা জিয়ার নির্দেশনা কিংবা বার্তার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ম্যাডাম নির্দেশনা দিয়েছেন, একসঙ্গে কাজ করো, জনগণের পক্ষে কাজ করো, গণতন্ত্রের পক্ষে কাজ করো।’

গতকাল রাত ৯টায় ‘ফিরোজা’য় একে একে প্রবেশ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হেসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও এজেডএম জাহিদ হোসেন।

স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বের হয়ে আসার পর দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান ও উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান ফিরোজায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন।

লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, কিডনি সমস্যাসহ নানা স্বাস্থ্য জটিলতায় দীর্ঘদিন ভুগতে থাকা ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া মঙ্গলবার রাতে প্রথমে লন্ডনে তার ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে যাবেন।

ছেলের বাসায় কয়েক দিন থাকার পর লিভারের উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

আরও পড়ুন:
নওগাঁয় বিএনপির দুই নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার
লন্ডনযাত্রার আগে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বসছে বিএনপির স্থায়ী কমিটি
সিলেটে হারিছ চৌধুরীর দাফন রোববার
চিকিৎসা: ৭ জানুয়ারি লন্ডন যেতে পারেন খালেদা জিয়া 
বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ খেলাফত মজলিস নেতাদের

মন্তব্য

p
উপরে