চট্টগ্রামে বাড়ছে শিশুদের প্রতি নির্যাতন-নিপীড়নের ঘটনা। একের পর এক খুন হচ্ছে শিশু। গত ৭ মাসে চট্টগ্রামে শিশু খুনের ঘটনা ঘটেছে কমপক্ষে চারটি। হত্যার শিকাররা সবাই কন্যা শিশু। একই সময়ে শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৮টি।
পুলিশের তথ্যমতে, ওই চার শিশুর তিনটিই হত্যার আগে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। আবার প্রতিটি ঘটনাই ঘটেছে চট্টগ্রাম শহর এলাকায়। এই চার শিশুর মধ্যে দুটির মা ঘটনার সময় বাসায় থাকলেও বাকি দুটি শিশুর মায়েদের একজন গার্মেন্ট কর্মী ও অন্যজন ভিক্ষাবৃত্তি করেন।
এই একই সময়ে চট্টগ্রামে কন্যা শিশু ধর্ষণের ৮টি ঘটনা গণমাধ্যমে এসেছে৷ এর মধ্যে ৩ টি ঘটেছে শহরে৷ এই ৩ শিশুর মা-বাবাও কর্মজীবী। তাদের প্রায় সবাই তৈরি পোশাক কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন।
একের পর শিশুর প্রতি নিপীড়নের ঘটনায় উদ্বেগ ও আতঙ্কের সৃষ্টি করছে সাধারণ মানুষের মনে৷ অন্যদিকে নিপীড়নের শিকার শিশুদের অধিকাংশের বাবা-মা নিম্ন আয়ের কর্মজীবী হওয়ায় এসব ঘটনা শ্রমজীবী মা-বাবার মধ্যে বাড়তি আতঙ্ক সৃষ্টি করছে।
নিম্নবিত্ত কর্মজীবী বাবা-মায়েরা দিনের অধিকাংশ সময় বাসার বাইরে থাকেন। আর এই পুরো সময়টা শিশুকে একাকী বাসায় থাকতে হয়। এ অবস্থায় পরিচিত বা স্বল্প পরিচিতদের কেউ কেউ যৌন হেনস্তা করছে কন্যা শিশুদের। অনেক ক্ষেত্রে তা ধর্ষণ এমনকি হত্যাকাণ্ড পর্যন্ত গড়াচ্ছে।
অপরাধ বিজ্ঞানীদের মতে, কর্মজীবী মায়েরা সারাদিন বাইরে থাকায় শিশুরা বাসায় একা ও অরক্ষিত অবস্থায় থাকে৷ এটাকে সুযোগ হিসেবে নিয়ে চারপাশে ভালো মানুষের ছদ্মবেশে থাকা কিছু আড়ালে মানসিক বিকারগ্রস্থ ব্যক্তি তৎপর হয়ে ওঠে। তারা অনেকটা অরক্ষিত এসব শিশুর ওপর নিপীড়ন চালায়।
গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানার পোর্ট কলোনি এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাসা থেকে ৭ বছর বয়সী সুরমার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে ওসমান হারুন মিন্টু নামে এক রিকশাচালককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ওই শিশুর বাবা রিকশাচালক ও মা ভিক্ষাবৃত্তি করেন। বিরিয়ানির লোভ দেখিয়ে শিশুটিকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে মিন্টু।
১৫ অক্টোবর খুলশি থানার ঝাউতলা এলাকায় খাবারের লোভ দেখিয়ে ৮ বছর বয়সী কন্যা শিশুকে ধর্ষণের দায়ে খাবার হোটেল মালিক নজির আহম্মদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এর ১০ দিন পর নগরীর জামালখান এলাকায় নিখোঁজ হয় ৭ বছর বয়সী মারজানা হক বর্ষা। নিখোঁজের ৩ দিন পর একই এলাকার সিকদার হোটেলের পাশের নালা থেকে শিশুটির বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মিন্টু নামের এক দোকান কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এর এক সপ্তাহ না পেরুতেই ২ নভেম্বর নগরীর আকবর শাহ থানার কর্নেল হাট জোন্স রোড এলাকায় ধর্ষণের শিকার হয় ৫ বছর বয়সী আরেক কন্যা শিশু। এ ঘটনায় আলমগীর খান নামে এক রিকশাচালককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এরপর ১৫ নভেম্বর নগরীর ইপিজেড এলাকায় বাসার পাশে আরবি পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হয় ৫ বছর বয়সী আলিনা ইসলাম আয়াত৷ ৯ দিন পর ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আবির নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মুক্তিপণের জন্য আয়াতকে অপহরণের পর হত্যার স্বীকারোক্তি দেয় আবির।
ওই একই মাসের শেষ দিকে ২৭ নভেম্বর নগরীর বাকলিয়া থানা এলাকায় বাসায় বাবা-মা না থাকার সুযোগে পৌনে ২ বছর বয়সী কন্যশিশুকে ধর্ষণ করে পার্শ্ববর্তী ভবনের নিরপত্তা প্রহরী দুলাল। এ সময় শিশুর ৭ বছর বয়সী ভাইকে কৌশলে দোকানে পাঠিয়ে দেয় অভিযুক্ত ব্যক্তি। পরদিন শিশুর মায়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত দুলালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সবশেষ ২১ মার্চ নগরীর পাহাড়তলী এলাকার বাসা থেকে আরবি পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হয় ১০ বছর বয়সী আবিদা সুলতানা আয়নী ওরফে আঁখি মনি। ঘটনার ৮ দিন পর একই এলাকা থেকে তার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় রুবেল নামে এক সবজি বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
চট্টগ্রামে শিশুদের প্রতি একের পর এক এসব নিপীড়নের ঘটনায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন নিম্নবিত্ত কর্মজীবী বাবা-মায়েরা। নগরীর রৌফাবাদ এলাকায় কথা হয় গার্মেন্ট কর্মী জসীমের সঙ্গে। এক কন্যার জনক জসীমের স্ত্রীও গার্মেন্টকর্মী। ১২ বছর বয়সী শিশু কন্যাকে প্রতিদিন বাসায় একা রেখেই কর্মস্থলে যেতে হয় তাদের।
নিউজবাংলাকে জসীম বলেন, ‘যে অবস্থা চলতেছে, আমরা সন্তান একা বাসায় রেখে গিয়ে সবসময় দুশ্চিন্তার মধ্যে থাকি। ছেলে সন্তান হলে খুব বেশি সমস্যা নেই। কিন্তু আমার মেয়েকে সবসময় বাসায় একা রেখেই যেতে হয়।
‘চাকরি না করলে তো খেতে পারব না। এখন শহরে একের পর এক যে ঘটনাগুলো ঘটছে, ফেসবুক ও টিভিতে দেখলে ভয় লাগে। এগুলো আমাদের মনের ভয় আর দুশ্চিন্তাটা বাড়িয়ে দেয়। সবসময় ভয় হয়, সন্তানটা বিকারগ্রস্ত কারো চোখে পড়ে যায় কি না। সারাদিন কাজ করলেও মন পড়ে থাকে বাসায়।’
এ বিষয়ে কথা হয় অপরাধ বিজ্ঞানী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের অপকর্ম বা বীভৎস কর্মের প্রধান কারণ হচ্ছে আমাদের পরিবার গঠনের প্রক্রিয়া সঠিক পন্থায় যাচ্ছে না। আমরা সন্তান জন্ম দিচ্ছি ঠিকই, কিন্তু এরপর ওদের বেড়ে ওঠার যে সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া সে প্রক্রিয়া অনুসরণ করছি না। যথার্থ নীতি-নৈতিকতা, শিক্ষা বা আমরা যেগুলো বলি সামাজিক শিক্ষা- যা মানুষের আচরণকে সংযত করে, সুসংহত করে, সে বিষয়গুলো আমরা পরিবার থেকে আমাদের ছেলে-মেয়েদের দিতে পারছি না।
‘পরিবার হচ্ছে শিশুর প্রথম ও প্রধান শিক্ষাঙ্গন। মিনিমাম ৬ বছর পর্যন্ত পরিবার থেকেই তারা প্রথম শিক্ষা পায়। তারা যখন স্কুলে যাচ্ছে, সেখানেও তাদের ন্যূনতম নীতি-নৈতিকতা বা আরেকজনের প্রতি সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য, শ্রদ্ধা, ভালোবাসার বিষয়গুলো কী জিনিস সেগুলো আমরা ওদের শিক্ষা দিচ্ছি না৷
‘আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় পাঠদান প্রক্রিয়া ও বইয়ের কনটেন্টগুলোতেও ছোটবেলা থেকে নীতিনৈতিকতা বা হৃদয়ের গভীরে কোনো কিছু হবে- এমন কিছু নেই।’
অপরাধীরা আইনের ফাঁক-ফোকরে পার পেয়ে যাওয়াকে দোষেন এই অপরাধ বিজ্ঞানী। বলেন, ‘যারা এই বীভৎস ভয়ঙ্কর অপকর্মগুলো করছে, তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসছি আমরা। কিন্তু আইনের অসংখ্য ফাঁকফোকর ও আইনসংশ্লিষ্ট কতিপয় অর্থলোভী মানুষের সাহায্যে অল্প শাস্তির পর দুই-চারদিনের মধ্যে ওরা জামিন পেয়ে যায়।
‘এক্ষেত্রে অনেক সময় দেখা যায় নিম্নবিত্ত বা নিম্ন-মধ্যবিত্তরা আদালতে দৌড়াতে পারেন না। এ ধরনের ভুক্তভোগীরা আইনের সুরক্ষা কতটা পাচ্ছে তা রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হবে। শিশু-কিশোরদের প্রটেক্ট করার জন্য প্রয়োজনে আইনের প্রক্রিয়া ও প্রয়োগ সংশোধন করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিশু-কিশোরদের রক্ষা করার জন্য, অপরাধীদের আইনের সত্যিকার কঠোর কাঠামোয় আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে না পারলে সামনের দিনগুলোতে আরো কঠিন কিছু হয়তো আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে৷’
এসব ঘটনা বন্ধে অপরিকল্পিত নগরায়ন বন্ধের দিকে জোর দেয়ার তাগিদ দেন তিনি। বলেন, ‘নিপীড়নের শিকার শিশুদের অধিকাংশই দরিদ্র বা নিন্মবিত্ত পরিবারের৷ কেউ কেউ কর্মজীবী শিশু-কিশোর, কেউ বস্তিতে থাকে। তাদের জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রতিটি অলি-গলিতে, প্রত্যেক জেলা-উপজেলায় এমন সব প্রতিষ্ঠান থাকা দরকার যেখানে ওই শিশুদের জন্য ওরিয়েন্টেশনের ব্যবস্থা থাকবে।’
প্রশ্ন তুলে এই অপরাধ বিজ্ঞানী বলেন, ‘এই যে নিম্ন আয়ের কর্মজীবী বাবা-মায়ের সন্তান ধর্ষণ, হত্যা, নির্যাতনে শিকার হচ্ছে, এই পরিবার শহরমুখী কেন হল? এটা হয়েছে অপরিকল্পিত নগরায়নের নিকৃষ্টতম কর্মজজ্ঞের কারণে।
‘শহরে যত গার্মেন্টস পল্লী আছে, সেগুলো কেন আমরা গ্রামে করছি না? গ্রামাঞ্চলে কারখানাগুলো করলে তো এই মানুষগুলো শহরমুখী হবে না। আমাদের কৃষিতে আরও নজর দিতে হবে। মানুষ যেন শহরমুখী না হয় সে ব্যবস্থা নিতে হবে। কেননা আমরা যত শহরমুখী হচ্ছি তত বেশি দুর্বৃত্তায়নের শিকার হচ্ছি।’
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান চলাকালে গত ৫ আগস্ট রাজধানীর চানখাঁরপুলে গুলি করে ছয় জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার অভিযোগ গঠন বিষয়ে দ্বিতীয় দিনের শুনানি শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আসামি পক্ষে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চাওয়ার শুনানি শুরু হয়। ট্রাইব্যুনালে এই মামলায় গ্রেফতার চার আসামি হাজির রয়েছেন।
ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গঠন সংক্রান্ত প্রথম কোন শুনানি শুরু হওয়ায়, সে দিনটিকে ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করেন চিফ প্রসিকিউটর।
এর আগে, এই মামলার পলাতক চার আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে গত ৩ জুন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দেয়া হয়।
তবে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পরেও পলাতক আসামীরা হাজির না হওয়ায়, তাদের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী মো. কুতুবউদ্দিনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এই মামলার অভিযোগে বলা হয়, রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় আসামিগণ কর্তৃক নিরস্ত্র ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করা হয় এবং শহীদ শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ মাহদি হাসান জুনায়েদ, শহীদ মো ইয়াকুব, শহীদ মো রাকিব হাওলাদার, শহীদ মো ইসমামুল হক ও শহীদ মানিক মিয়াকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলে আওয়ামী লীগ সরকার, তার দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতা বিরোধী অপরাধ সংগঠিত করে বলে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ে।
জাজ্বল্যমান এ সব অপরাধের বিচার এখন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।
আদালত অবমাননার একটি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি)। গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার অপসারণের পর এটাই প্রথম কোনো আদালতের রায়, যাতে তাকে দণ্ডিত করা হয়েছে।
বুধবার (২ জুলাই) আইসিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
একই মামলায় গাইবান্ধা জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন নেতা শাকিল আকন্দ বুলবুলকে দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এই ধরনের মামলায় পলাতক আসামির জন্য আইনজীবী নিয়োগের পূর্ব নজির না থাকলেও ন্যায়বিচারের স্বার্থে শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রীয় খরচে একজন আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, গত বছরের ২৫ অক্টোবর শেখ হাসিনা ছাত্রলীগ নেতা শাকিলের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন।
সেই অডিও ক্লিপে শেখ হাসিনাকে বলতে শোনা যায়, ‘২২৬ জনকে মারার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’—যা বিচারব্যবস্থার প্রতি সরাসরি হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে আদালত। পরে এই ঘটনায় আইসিটিতে মামলা করেন রাষ্ট্রপক্ষ।
গত ৩০ এপ্রিল এ-সংক্রান্ত শুনানিতে দুই আসামিকে ২৫ মে ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। ধার্য তারিখে তারা হাজির হননি। কিংবা আইনজীবীর মাধ্যমেও ব্যাখ্যা দেননি। সেদিন ট্রাইব্যুনাল দুই আসামিকে সশরীর হাজির হয়ে অভিযোগের বিষয়ে জবাব দেওয়ার জন্য সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দিতে নির্দেশ দেন।
পরদিন দুটি সংবাদপত্রে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞপ্তিতে দুজনকে গত ৩ জুন ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে অভিযোগের বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়। সেদিনও তারা হাজির হননি। পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য ১৯ জুন তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল।
১৯ জুন এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামানকে অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের আইনি সহায়তাকারী) হিসেবে নিয়োগ দেন ট্রাইব্যুনাল। মামলার পরবর্তী শুনানি ধার্য করা হয় ২৫ জুন।
২৫ জুন মামলায় প্রস্তুতি নিতে অ্যামিকাস কিউরি মশিউজ্জামানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে এক সপ্তাহ সময় দেন ট্রাইব্যুনাল। সেদিনই এই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করা হয় ২ জুলাই। আজ দুই আসামিকে কারাদণ্ড দিয়ে রায় দিলেন ট্রাইব্যুনাল।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগে প্রাথমিকভাবে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেন।
মঙ্গলবার দুদকের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ থাকার পরও এই মামলা পরিসমাপ্তি করা হয়। গেল জানুয়ারিতে শুরু হওয়া অনুসন্ধানে ইতোমধ্যে পদ্মা সেতুর পরামর্শক নিয়োগে প্রাথমিকভাবে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণও মিলেছে।’
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, গায়ের জোরেই পদ্মা সেতু দুর্নীতি মামলায় আসামিদের অব্যাহতি দিয়েছিল তৎকালীন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সংস্থাটির চেয়ারম্যানের দাবি, বেশকিছু দুর্নীতির তথ্য মিলেছে। এই মামলায় আসামির অব্যাহতির পেছনে তৎকালীন কমিশনের দায় আছে কি না তাও খতিয়ে দেখার কথা জানান তিনি।
আব্দুল মোমেন বলেন, নতুন তদন্তে কারো সংশ্লিষ্টতা মিললে, তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
প্রসঙ্গত, পদ্মা সেতু পরামর্শক নিয়োগের বিষয়ে করা মামলা নিষ্পত্তির দীর্ঘ একযুগ পর; গত জানুয়ারি মাসে সেই মামলা পুনরায় অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। গঠন করা হয় উচ্চ পর্যায়ে কমিটি।
জানা যায়, ২০১২ সালে পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যে সাতজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে মামলা করে দুদক। তবে ২০১৪ সালে অদৃশ্য কারণে মামলাটি পরিসমাপ্তি করে তৎকালীন বদিউজ্জামান ও শাহাবুদ্দিন চুপ্পু কমিশন।
প্রহসনের নির্বাচন ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে শেরেবাংলা নগর থানার মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমানের আদালতে এ জবানবন্দি দেন তিনি।
এর আগে দুই দফায় চার দিন করে আট দিনের রিমান্ড শেষে নূরুল হুদাকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক শামসুজ্জোহা সরকার। এরপর নূরুল হুদা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মতি হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন এই তদন্তকারী কর্মকর্তা।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
নূরুল হুদার পক্ষে অ্যাডভোকেট তৌহিদুল ইসলাম সজিব এ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, নূরুল হুদার রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করেন পুলিশ। আমরা তার জামিনের দরখাস্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতে উপস্থিত হই। এরপর আদালতে এসে জানতে পারি তিনি দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিচ্ছেন।
গত ২২ জুন সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরার ৫ নম্বর সেক্টরে নূরুল হুদার বাড়িতে গিয়ে ‘স্থানীয় জনতা’ তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। পরদিন প্রভাব খাটিয়ে প্রহসনের নির্বাচন করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। চার দিনের রিমান্ড শেষে একই মামলায় গত ২৭ জুন আবারও চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার সিএমএম আদালত।
একই মামলায় গত ২৯ জুন তিন দিনের রিমান্ড শেষে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ২২ জুন দশম থেকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পরিচালনা করা তিন সিইসি যথাক্রমে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে প্রহসনের নির্বাচন করার অভিযোগে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহ উদ্দিন খান। পরবর্তীতে গত ২৫ জুন এ মামলায় নতুন করে রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারা যুক্ত করা হয়।
সাবেক আমলা নূরুল হুদা ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সিইসি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন দেশের দ্বাদশ সিইসি। তার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের কমিশনের অধীনে ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনসহ স্থানীয় পর্যায়ের সব ভোট হয়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আরও পাঁচ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ—তারা অবৈধ সম্পদ অর্জন, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং পক্ষপাতিত্বের সঙ্গে জড়িত। মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দুদক এই তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়ে এই কর্মকর্তারা বড় পরিসরে কর ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এতে করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের উল্লেখযোগ্য রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে।
এমন সব অভিযোগে যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে তারা হলেন— বড় করদাতা বিভাগের (ভ্যাট) অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল রশিদ মিয়া, সদস্য মো. লুৎফুর আজিম, কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের (সিআইআইডি) সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আলমগীর হোসেন, ঢাকার কর অঞ্চল-১৬ এর উপকর কমিশনার মো. শিহাবুল ইসলাম এবং যুগ্ম কমিশনার মো. তারেক হাসান।
এর আগে ২৯ জুন দুদক এনবিআরের আরও ছয়জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। যাদের বিরুদ্ধে কর্তৃত্বের অপব্যবহার ও গত দুই দশক ধরে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে অবৈধ সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
ছয় কর্মকর্তা হলেন— আয়কর নীতি বিভাগের সদস্য একেএম বদিউল আলম, ঢাকা কর অঞ্চল-৮ এর অতিরিক্ত কর কমিশনার মির্জা আশিক রানা, বিসিএস কর একাডেমির যুগ্ম কর কমিশনার মোহাম্মদ মোরশেদ উদ্দিন খান, ঢাকার কর অঞ্চল-১৬ এর উপকর কমিশনার মোনালিসা শাহরীন সুস্মিতা, অডিট-গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর-ভ্যাটের ঢাকার অতিরিক্ত কমিশনার হাসান তারেক রিকাবদার এবং কাস্টমস-আবগারি ও ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকা (দক্ষিণ) এর অতিরিক্ত কমিশনারসাধন কুমার কুন্ডু।
এই ছয় কর্মকর্তার মধ্যে হাসান তারেক এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি হিসেবে পরিচিত। তার নেতৃত্বাধীন পরিষদটি রাজস্ব বোর্ড ভেঙে দেওয়ার পরিবর্তে এর অভ্যন্তরে কাঠামোগত সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করছে।
দুদকের মুখপাত্র আক্তারুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত কর্মকর্তারা কর দায় কমানোর বিনিময়ে ঘুষ গ্রহণ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। আবার কেউ কেউ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাও দায়ের করেছেন—যারা তাদের অবৈধ দাবি পূরণে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, তাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগও রয়েছে যে, করদাতাদের কর ফেরত ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্বিত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে করদাতাদের তাদের পাওনা পেতে ঘুষ দিতে বা উপহার দিতে বাধ্য করা হয়েছে। কখনো কখনো এই ঘুষের পরিমাণ ছিল করদাতাদের পাওনার অর্ধেকের সম পরিমাণ।
প্লট বরাদ্দে জালিয়াতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছোট বোন শেখ রেহানা ও ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১০০ জনকে আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
আজ ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২০ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত।
দুদক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম বাসস’কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির ছয়টি মামলার আজ ধার্য তারিখ ছিল। পাঁচ মামলায় শেখ হাসিনাসহ আসামিরা পলাতক অবস্থায় রয়েছেন মর্মে প্রতিবেদন এসেছে। অপর এক মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১২ জন আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশের করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আজ দিন ধার্য ছিল। এদিন গেজেট প্রকাশ হয়ে আসেনি। আদালত ছয় মামলারই গেজেট প্রকাশের জন্য নির্দেশ দেন। ছয় মামলারই আগামী ২০ জুলাই পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এসব মামলায় চার্জশিট আমলে নিয়ে শেখ হাসিনাসহ ১০০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এরপর গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। আসামিদের গ্রেফতার করতে পারেনি বলে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করে। এরপর আইনুযায়ী আসামিদেন আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেন আদালত। গেজেট প্রকাশ হয়ে আসলে মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে।
শেরেবাংলা নগর থানার সন্ত্রাস বিরোধী আইনে করা মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের সাবেক সভাপতি ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার একটি আদালত।
অপর দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর ধানমন্ডি থানার আব্দুল মোতালেব হত্যা মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কার্যনির্বাহী সদস্য শাহে আলম মুরাদের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ কারাগার থেকে তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ।
এরপর তুহিনের সাত দিন ও শাহে আলম মুরাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
এ সময় তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র এ আদেশ দেন।
গত ২২ জুন গভীর রাতে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের আওনা গ্রামে বাবার বাড়ি থেকে তুহিনকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
গত ১৭ এপ্রিল সকালে উত্তরা এলাকা থেকে শাহে আলম মুরাদকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
তুহিনের মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ৪ এপ্রিল সকাল ৭টার দিকে যুব মহিলা লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ইশরাত জাহান নাসরিনসহ অজ্ঞাতনামা ১৪ থেকে ১৫ জন দুষ্কৃতকারীরা শেরেবাংলা নগর থানা এলাকায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সামনে নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী ও যুব মহিলা লীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল করে।
পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়। আসামিরা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের কার্যক্রমকে গতিশীল ও সন্ত্রাসী সংগঠনকে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্য প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের পদত্যাগের দাবি করে স্বাধীন দেশের সংহতি, জননিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার ষড়যন্ত্র করে।
এ ঘটনায় ৪ এপ্রিল রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।
মোতালেব হত্যা মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ছাত্র-জনতার মিছিলে থাকা আবদুল মোতালেব নামের এক কিশোর গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পরে ২৬ আগস্ট তার বাবা আব্দুল মতিন বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৭৬ জনকে আসামি করা হয়।
মন্তব্য