গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর থেকে এক প্রতারক চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মাদ ইমদাদ হুসাইন।
পুলিশ সুপার জানান, এক সময় সিনেমা হলের মাইকিং করতেন প্রতারক সৈয়ব আলী। পরে খাবার হোটেলে ম্যানেজারির কাজ শুরু করেন। এরপর স্ত্রী, ভাই ও তার ছেলেকে নিয়ে সংঘবদ্ধ চক্র গড়ে তোলেন। পরিবার নিয়ে নকল জুয়েলারি বিক্রির সংঘবদ্ধ চক্র গড়েছিলেন তিনি।
তিনি জানান, তারা এক বছর ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, নরসিংদী, ঢাকা, ফরিদপুর, বরিশাল, যশোর, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় জুয়েলারি দোকানে প্রতারণা করে আসছেন। এক বছরের মধ্যেই সৈয়ব আলীর গ্যাং হাতিয়ে নিয়েছে কোটি টাকার স্বর্ণালংকার।
পুলিশ সুপার জানান, তবে সম্প্রতি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় প্রতারণার কাজ করার পর ওই স্বর্ণের দোকানির অভিযোগ তদন্ত করে পুলিশ। এতে বেরিয়ে এসেছে তাদের এসব অজানা তথ্য। এরপর গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ চক্রের ৪ সদস্যক গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরা হলেন, গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের বড় দাউদপুরের ৪৭ বছর বয়সী সৈয়দ আলী, ৪২ বছর বয়সী তার স্ত্রী নাজমিন বেগম, ৪১ বছর বয়সী তৈয়ব আলী ও তার ছেলে ২১ বছর বয়সী তামিম
রহমান।
তাদের কাছ থেকে ২২ ক্যারেটের চারটি স্বর্ণের চেইন, প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত একটি মোবাইল জব্দ করা হয়েছে। চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল বলে জানিয়েছেন ইমদাদ হুসাইন।
সংবাদ সম্মেলনে সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) সুমন কর, মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু তাহের, জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার ওসি মোহাম্মদ মামুনুর রশীদসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:
কোনো দেশের নিষেধাজ্ঞা মেনে নয়, নিজেদের সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশ চলবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘একাত্তরে আমাদের হারাতে পারেনি, আজও নিষেধাজ্ঞা দিয়ে শেখ হাসিনাকে থামানো যাবে না। আমরা কারও নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করি না। আর তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা কেউ শোনে না। ভেনিজুয়েলা, গ্যাবন, সুদান কেউ শোনেনি। জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞাও প্রথম সারির অনেক মোড়ল দেশ মানে না।।’
মঙ্গলবার রাজধানীর কেরানীগঞ্জে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে এ মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
‘যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়, আর নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখায় বিএনপি’ মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কী আশ্চর্য! মনে হয় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিকে ভয় দেখানোর এজেন্সি দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কারও কাছে মাথা নত করবে না। বিএনপি কীভাবে ঢাকা দখল করে তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে আওয়ামী লীগ। লাল সবুজের পতাকা নিয়ে আওয়ামী লীগ সারা দেশ দখল করবে। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব যতদিন আছে, ততদিন আমরা লড়ে যাব। এই বীরের দেশে বীর জনতা কারও কাছে মাথা নত করবে না।’
কেরানীগঞ্জের নেতা-কর্মীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ভোটের জন্য তৈরি হয়ে যান। ভোট জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। বারবার আসব না, আপনারাই শেখ হাসিনার হয়ে জনগণের কাছে যাবেন। নৌকার হয়ে শেখ হাসিনার জন্য ভোট চাইবেন। শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা বলবেন।’
এসময় আওয়ামী লীগের কোনো কর্মীর গায়ে আঘাত করলে এবার পাল্টা আঘাত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আঘাত করলে কোনো ছাড় দেয়া হবে না।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ বিএনপিকে ক্ষমা করবে না। মির্জা আব্বাস ঝিনাইদহের রাস্তায় দাঁড়িয়ে বলছে- আজ নাকি চাঁদ রাত, চাঁদ রাতের আনন্দ।
‘কিছু লোকজন দেখে মির্জা আব্বাস আপ্লুত হয়ে চাঁদ রাতের স্বপ্ন দেখছেন। ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন দেখছেন মনে মনে। মির্জা আব্বাস সাহেব, যত চাঁদ রাতই দেখুন, আপনাদের এই স্বপ্ন, রঙিন বেলুনের মতো অচিরেই চুপসে যাবে। ক্ষমতার মুখ আপনারা দেখবেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি করেছে। খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য ৪৮ মিনিটের জন্য একটা আন্দোলনও করতে পারেনি।’
এ ইস্যুতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের কান্না প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কত মায়ের বুক খালি করে, কতজনকে স্বামীহারা, বাবাহারা করে বিএনপি এখন নিজেই কাঁদছে। ফখরুল সাহেব কাঁদতে কাঁদতে বাংলাদেশ কান্নার দরিয়া হয়ে যাবে, তবুও আপনাদের ক্ষমা নেই। পিতৃহত্যা, মাতৃহত্যার প্রতিশোধ আমরা নেব। বাংলাদেশের মানুষ বিএনপিকে ক্ষমা করবে না।’
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বিদুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমানসহ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
আরও পড়ুন:নাটোরে হত্যা ও বিস্ফোরণ মামলায় নির্দিষ্ট তারিখে আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু ও তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ছবির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে নাটোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শরীফ উদ্দিন এ আদেশ দেন।
মামলার বরাতে আদালত সূত্র জানায়, ২০১২ সালের ৮ ডিসেম্বর রাতে নাটোর শহরের রেল স্টেশন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা মোটরসাইকেল বহর নিয়ে আসার পথে আলাইপুর জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বিএনপি নেতা দুলুসহ তার সমর্থকরা পিস্তল, রিভলবার, দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে বহরের পথরোধ করে হামলা চালায়। হামলার সময় গুলিবিদ্ধ হন স্থানীয় আওয়ামী লীগকর্মী পলাশ। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনার পরের দিন আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ মোর্তজা আলী বাবলু বাদী হয়ে দুলুকে প্রধান আসামি করে ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১৫ থেকে ১৬ জনকে আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
এছাড়া ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর নাটোর জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম মাসুমের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের শান্তিপূর্ণ একটি মিছিল জেলা বিএনপি কার্যালয় অতিক্রম করার সময় দুলুর স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ছবির নির্দেশে মিছিলে হামলা করে বিএনপি নেতা-কর্মীরা। এসময় ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। ঘটনার দিনই ছাত্রলীগ নেতা মাসুম বাদী হয়ে ছবিকে প্রধান আসামি করে ৩৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ১৫ থেকে ২০ জনের নামে মামলা করেন।
২০১৩ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর শহরের কানাইখালি এলাকায় বিএনপি নেতা বাবুল চৌধুরীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের মিছিলে হামলা চালানো হয় এবং ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি শহরের তেবাড়িয়া এলাকায় আওয়ামী লীগের বিজয় র্যালিতে বিএনপি হামলা চালায় বলেও অভিযোগ ওঠে। সেসময় গুলি করে যুবলীগকর্মী রাকিব রায়হানকে হত্যা করা হয়।
এসব মামলায় শুনানির নির্দিষ্ট তারিখে উপস্থিত না হওয়ায় দুলু ও তার স্ত্রী ছবির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী আবুল হোসেন বলেন, ‘আসামি রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু অসুস্থ থাকায় আদালতের ধার্যকৃত তারিখে হাজির হতে পারেননি। এজন্য হাসপাতালের চিকিৎসা সনদ আদালতে দাখিল করা হয়েছে। আর স্বামীর অসুস্থতায় সেবাযত্ন করায় সাবিনা ইয়াসমিন ছবিও আদালতে হাজির হতে পারেনি। আদালতে সময় প্রার্থনা করেছিলাম। তবে তা নামঞ্জুর করে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আমরা উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হব।’
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আরিফুর রহমান বলেন, ‘হত্যা মামলার আসামি দুলু আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে নানা আবেদন করে দীর্ঘদিন আদালতে অনুপস্থিত। নানা কূটকৌশলে তিনি আদালতের সময় নষ্ট করছেন। এ বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হলে বিচারক তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।’
আরও পড়ুন:আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ. এইচ. এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ‘নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার চক্রান্ত করলে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিতে কী বললো সেটি আমরা দেখতে যাব না। বিএনপি-জামায়াতকে দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে।’
মঙ্গলবার রাজশাহীতে যুবলীগ রাজশাহী মহানগর ও জেলা শাখার ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মহানগরীর পাঠানপাড়া শিমুলতলার মোড়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন-ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ।
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘যারা নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে অথবা নানাভাবে বির্তকিত করতে ষড়যন্ত্র করেন, বিদেশিদের হাতে হাত মেলান, দেশি-বিদেশি চক্রান্তে লিপ্ত হন, তারা আবার সক্রিয় হয়েছে।
‘বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশে বলছি, নির্বাচনে আসবেন কি আসবেন না সেটি আপনাদের নিজস্ব রাজনৈতিক বিষয়। তবে নির্বাচনে এলে আপনাদেরই ভালো হবে। তা না করে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার চক্রান্ত করলে দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে। স্যাংশন দিয়ে আওয়ামী লীগের একটা পশমও ছেঁড়া যাবে না।’
শর্টকাটে ক্ষমতায় যাওয়ার পথ শেখ হাসিনা খোঁজেন না: পরশ
যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, ‘এ দেশে নির্বাচন বানচালের কোনো সুযোগ নাই। সেই ষড়যন্ত্র যুবসমাজ মেনে নেবে না। শেখ হাসিনার কর্মীরা প্রতিযোগিতাকে ভয় পায় না। অনির্বাচিত, অবৈধ সরকার ক্ষমতায় বসানোর অপচেষ্টা করা হলে তা প্রতিহত করা হবে।’
তিনি বলেন, শর্টকাটে ক্ষমতায় যাওয়ার পথ শেখ হাসিনা খোঁজেন না। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে আগামীতে শেখ হাসিনা আবারও ক্ষমতায় আসবেন।’
গণমাধ্যমের ওপর ভিসা নীতি কেন বোধগম্য নয়: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ শুধু দেশ পরিবর্তন হয়েছে তা নয়, তিনি দেশের মানুষের ভাগ্যেরও পরিবর্তন করেছেন। বাংলাদেশ যখন এভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে তারেক রহমান আবার ভবন, খোয়াব ভবন তৈরি করবেন। সারাদেশে ৫০০ জায়গায় বোমা হামলা হয়েছিল, এবার ৫ হাজার জায়গায় বোমা হামলা হবে। রাজশাহীর বাগমারায় বাংলাভাইয়ের উত্থান হয়েছিল, এবার সারাদেশে বাংলাভাই হবে। বাংলাদেশ পাকিস্তান, আফগানিস্তানের পর্যায়ে চলে যাবে।’
গণমাধ্যমের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি মুক্ত গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপ মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ভিসা নীতিতে কাকে ভিসা দেবে আর কাকে দেবে না সেটা তাদের ব্যাপার। তবে গণমাধ্যমকে কেন ভিসানীতিতে ফেলা হবে সেটি আমার বোধগম্য নয়।’
যুবলীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত মাঠে নামতে পারবে না: নিখিল
সম্মেলনে প্রধান বক্তা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ‘যুবলীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে আগামী নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত মাঠে নামতে পারবে না। দেশের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনা যাদের নৌকা প্রতীক দেবেন, ঐক্যবদ্ধ থেকে তাদের বিজয়ী করতে হবে।’
রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সভাপতি মো. রমজান আলীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য নূরুল ইসলাম ঠান্ডু ও সদস্য বেগম আখতার জাহান।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (চবিসাস) সদস্য ও দৈনিক প্রথম আলোর ক্যাম্পাস প্রতিনিধি মোশাররফ শাহ ও সম্প্রতি একাধিক সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে চবিসাস ও চিটাগং ইউনিভার্সিটি এক্স জার্নালিস্ট নেটওয়ার্ক (সিইউজেএন)।
মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) নেতৃবৃন্দ, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।
সাংবাদিকদের ওপর বারবার হামলার পেছনে প্রশাসনের ব্যর্থতাকে দায়ী করেছেন বক্তারা। এসময় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোরের ডেপুটি এডিটর তপন চক্রবর্তী চবি উপাচার্যের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনি কেন তাদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন? প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকবান্ধব মানুষ। উনি কখনও এ ধরনের ঘটনা মেনে নেবেন না। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে না পারেন, আমরা প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাব। একদিনের মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হব।’
চবির যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. আলী আজগর চৌধুরী বলেন, ‘গণমাধ্যমকর্মীরা সবসময় হামলা-মামলার শিকার হচ্ছেন। মোশাররফের ওপর হামলা একেবারেই পরিকল্পিত। সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় নামকাওয়াস্তে শাস্তি হয়েছে। আপনি (উপাচার্য) যদি শাস্তি দিতে ব্যর্থ হন, তাহলে আমরা বুঝে নেব, আপনি তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছেন।’
সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌল্লাহ বলেন, ‘আজকে সাংবাদিকদের মানববন্ধনে দাঁড়াতে হয়েছে। এটা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা রাষ্ট্র- সবার জন্য বিব্রতকর। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলা-পরিপন্থী কাজ বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে। মোশাররফ শাহের ওপর যে হামলা হয়েছে, এ ধরনের ঘটনার যাতে আর পুনরাবৃত্তি না হয়, সেই প্রত্যাশা করি।’
সিইউজেএন-এর সভাপতি ও দৈনিক আমাদের সময়ের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান হামিদ উল্লাহ বলেন, ‘এ ক্যাম্পাসে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে ব্যবহার করে ছাত্রলীগ নৈরাজ্য চালাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও জয় বাংলা স্লোগানকে ব্যবহার করে নিয়োগ থেকে শুরু করে সকল অনিয়মে এদের হাত রয়েছে। শিবির থেকে ছাত্রলীগ- কারও চরিত্র পরিবর্তন হয়নি। আজকে যারা ছাত্রলীগের নামে বিভিন্ন নৈরাজ্য চালাচ্ছে, খবর নিয়ে দেখেন, এরা আগে কোন দলের অনুসারী ছিল।’
সিইউজেএন-এর সাধারণ সম্পাদক, চবিসাসের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক আজকের পত্রিকার চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান সবুর শুভ বলেন, ‘গত দুই বছরে চবিতে সাংবাদিকদের ওপর বেশ কয়েকবার হামলা হয়েছে। হামলাকারীরা বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর পরিবর্তে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মানবিক আচরণ পেয়েছে।’
যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক খন্দকার আলী আর রাজি বলেন, ‘মারজান আক্তার, দোস্ত মোহাম্মদ, মোশাররফ শাহ- একে একে আমাদের বিভাগের অনেক শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের হামলার শিকার হয়েছেন। প্রশাসন ন্যূনতম দায়িত্ব পালন করতে পারেনি।’
যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও ডেইলি স্টারের ব্যুরো প্রধান শিমুল নজরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রশাসনের দলীয়করণ এমন পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে, উনারাও কথা বলতে এবং ব্যবস্থা নিতে সাহস পান না। খুব বেশিদিন নেই যখন আপনাদের ওপরও তারা এমন হামলা চালাতে দ্বিধা করবে না। কারণ আপনারা ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখার জন্য এ উচ্ছৃঙ্খলতাকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন। একদিন তারা আপনাদেরও মাথা ভেঙে দেবে। সেদিনও আমরা লিখব।’
সিউজেএনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সমকালের বিভাগীয় সম্পাদক সারোয়ার সুমন বলেন, ‘এ ক্যাম্পাসে আমাদের আবেগ জড়িয়ে আছে। এখানে আমরাও সাংবাদিকতা করেছি।’
উপাচার্যের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনি ছাত্রলীগের মাথা না হয়ে সকল শিক্ষার্থীর মাথা হন। এমন শাস্তির ব্যবস্থা করুন যাতে ভবিষ্যতে কেউ সাংবাদিকদের গায়ে হাত তোলার সাহস না পায়।’
সমাপনী বক্তব্যে চবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মাহবুব এ রহমান বলেন, ‘যারা মোশাররফ শাহের রক্ত ঝরিয়েছে, তারা দেশের সকল সাংবাদিকদের রক্ত ঝরিয়েছে। সাংবাদিকরা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে থাকে। আজকে সাংবাদিকরাই যদি নিরাপদ না হন, তাহলে এখানে শিক্ষার্থীরা কতটুকু নিরাপদ? বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বলতে চাই- প্রতিটি ঘটনায় শুধুমাত্র আশ্বস্ত করেছেন, অথচ পরবর্তীতে বিচারের নামে প্রহসন করেছেন।’
চবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইমাম ইমুর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক শাহাব উদ্দিন নিপু, সিইউজেএন-এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক, চবিসাস সভাপতি মাহবুব এ রহমান, চবিসাসের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নবাব আব্দুর রহিম ও সদস্য মারজান আক্তার।
আরও পড়ুন:কুমিল্লার দেবিদ্বারে গ্রামের চলাচলের রাস্তা নির্মাণের জের ধরে মো. রহিম সরকার নামে এক গাড়িচালককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় বিএনপির দুই নেতা এই ঘটনা ঘটিয়েছেন।
উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের বক্রিকান্দি গ্রামের মধ্যনগর বহুমুখী মাদ্রাসার পূর্ব পাশে সোমবার সকালে এই হামলার ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা আহত রহিমকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
এই হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার আহত রহিম সরকারের স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার দেবিদ্বার থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তবে বাদী এজাহারে প্রধান আসামি হিসেবে বিএনপি নেতা কাউছার ভূইয়া ও মুমিন ভূঁইয়ার নাম উল্লেখ করলেও তাদেরকে বাদ দিয়ে মামলা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ওসির বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত কাউছার আহম্মদ ভূঁইয়া দেবিদ্বার উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। অপরজন মুমিন ভূঁইয়াই বিএনপি নেতা হিসেবে বেশ পরিচিত।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রহিম সরকার মোবাইল ফোনে বলেন, ‘সোমবার সকাল ৬টার দিকে আমি গ্রামে রাস্তায় হাঁটতে বের হই। এ সময় বিএনপির ক্যাডার কাউছার আহাম্মদ ভূইয়ার নেতৃত্বে সন্ত্রাসী মুমিন ভূইয়া, শাহাদাত ভূইয়া, আবু সাঈদ ভূইয়া, নাজিম ভূইয়াসহ আর কয়েকজন মোটর সাইকেল দিয়ে আমার গতিরোধ করে।
‘সন্ত্রাসীরা আমাকে টেনেহিঁচড়ে মধ্যনগর বহুমুখী মাদ্রাসার পূর্ব পাশে একটি কালভার্টের ওপর নিয়ে যায়। সেখানে তারা রামদা, লোহার রড, হকিস্টিক ও গাছের ডাল দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আমাকে গুরুতর আহত করে। তারা আমার দুই পা ও দুই হাত ভেঙে দেয়। আমি চিৎকার করলেও সন্ত্রাসীদের ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে হামলাকারীরা আমাকে মৃত ভেবে রাস্তায় ফেলে যায়।’
সুমাইয়া আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামী হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। তার পুরো শরীর রড, রামদা ও হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমি সোমবার থানায় কাউসার ও মুমিনসহ ৮/১০ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছি। কাউসার ও মুমিনেরর নাম আমি মূল এজাহারে দিলেও ওসি বলেন যে তাদের নামে মামলা নেয়া যাবে না।
‘ওসি আমাকে ধমক দিয়ে ও চাপ প্রয়োগ করে একটি কাগজে সই নেন। মঙ্গলবার জানতে পারি যে কাউছার ভূঁইয়া ও মুমিন ভূইয়াকে বাদ দিয়ে ওসির বানানো মনগড়া এজাহারে মামলা রুজু করা হয়েছে।’
দেবিদ্বার থানার ওসি কমল কৃষ্ণ ধর এ বিষয়ে বলেন, ‘এজাহার থেকে নাম বাদ দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। বাদীর দায়ের করা এজাহারে উল্লেখ করা সবার নাম মামলার এফআইআর-এ দেয়া হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
সেতুটির পাটাতন কোথায় হারিয়ে গেছে সেই কবেই। চোখে পড়বে কিছু বাঁশের চাটাই, তারও বেশিরভাগই নষ্ট হয়ে গেছে। বয়োবৃদ্ধরা অন্যদের সহযোগিতায় পার হচ্ছে। স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা পার হচ্ছে ভয় আর শঙ্কা নিয়ে। নিয়মিত বিরতিতে ঘটে চলেছে দুর্ঘটনা। দেখার কেউ নেই।
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নে অকেজো হয়ে পড়া বেইলি সেতুর এই হাল দীর্ঘদিনের। উপজেলার পুঁইছড়ি ও ছনুয়া ইউনিয়নের প্রায় এক লাখ মানুষ যাতায়াতের মাধ্যম এই সেতু। জলকদর খালের ওপর সেতুটি সংস্কার না করায় জনভোগান্তি চরমে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় এই সেতু ধরে রাজাখালী ফৈজুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ, রাজাখালী বিইউআই ফাজিল মাদ্রাসা, পুঁইছড়ি মদিনাতুল উলুম মোহাম্মদিয়া মাদ্রাসা, পুঁইছড়ি কাদেরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছনুয়া কাদেরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, ছনুয়া ছেলবন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিত্যদিন যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু পাটাতন না থাকায় সেতুটি হয়ে আছে মৃত্যু ফাঁদ।
অভিভাবকরা সন্তানকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে সারাক্ষণ শঙ্কায় থাকেন। যে সন্তান একাকী স্কুল-মাদ্রাসায় যাতায়াত করার কথা তাকেও একা ছাড়ার সাহস পান না তারা। শুধু সেতুটি হাত ধরে পারাপারের জন্য অভিভাবককে সঙ্গে থাকতে হয়। তারপরও সেতুটি হেঁটে পারাপার হতে গিয়ে প্রায় ঘটে চলেছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এ অবস্থায় স্থানীয়রা চাঁদা তুলে বাঁশের চাটাই দিয়ে কোনোভাবে চলাচলের চেষ্টা করছেন বহুদিন ধরে।
উপজেলা এলজিইডি দপ্তর সূত্র জানায়, রাজাখালী আরবশাহ্ বাজারের উত্তরে অবস্থিত ১৩০ মিটার দীর্ঘ পুঁইছড়ি-ছনুয়া ব্রেইলি সেতুটি ২০০৬ সালে নির্মিত হয় । চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়লে উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে ২০১৭ সালে এটি সংস্কার করা হয়। তবে নিয়মিত লবণ ও মাছবাহী গাড়ি চলাচল করায় নিঃসৃত পানিতে ব্রিজটির পাটাতন দ্রুতই নষ্ট হয়ে যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুর ৯০ শতাংশের বেশি পাটাতন নষ্ট হয়ে গেছে। প্রতিদিন এই সেতু দিয়ে চরম ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন শিক্ষার্থীসহ দুই ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ। একটু অসতর্ক হলেই পা হড়কে ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। কয়েকেদিন আগে রাজাখালী ফৈজুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী নষ্ট হয়ে যাওয়া পাটাতনে পা আটকে গুরুতর আহত হয়।
সেতু দিয়ে নিয়মিত যাতায়াতকারী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আতিকুর রহমান বলেন, ‘এই সেতু দিয়ে স্কুল ও মাদ্রাসা পড়ুয়া ছোট ছোট বাচ্চারা যাতায়াতের সময় পা পিছলে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটছে নিয়মিত। সেতুটি সংস্কার করাটা খুবই জরুরি।'
ছনুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. হারুনুর রশীদ বলেন, ‘সেতুটি সংস্কারের জন্য উপজেলা এলজিইডির দায়িত্বে নিয়োজিতদের বহুবার বলা হয়েছে। তারা লোক দেখানো মাপজোখ আর পরিদর্শন করেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। আমার এলাকার মানুষের কষ্টের শেষ নেই। লোকজন ভাবছে আমি কাজ করছি না। কিন্তু আমি যে নিরুপায় তা বুঝাই কী করে?'
স্থানীয় ইউপি সদস্য আরাফাতুল ইসলাম এমরান বলেন, ‘প্রতিদিন দশ হাজারের বেশি মানুষ এই সেতু দিয়ে চলাচল করে। লবণবাহী শত শত ট্রাক চলে। তাই এটি বার বার সংস্কার করা হলেও তা টেকসই হয় না। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করব যাতে এটি কংক্রিটের সেতুতে রূপান্তরে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হয়।'
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এলজিইডি বাঁশখালী উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ফাহাদ বিন মাহমুদ বলেন, 'বর্তমানে ব্রেইলি সেতু খুব একটা দেখা যায় না। এটি সংস্কারের জন্য প্রাক্কলন জমা দিয়েছি বেশ কয়েকবার। নির্বাচনের আগে মনে হয় না এটার কোনো গতি হবে। এরপরও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।'
আরও পড়ুন:সংবিধান সংরক্ষণ করা বিচার বিভাগের সবার পবিত্র দায়িত্ব বলে উল্লেখ করেছেন দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
মঙ্গলবার দুপুরে সাভারে জাতীয় স্মৃতি সৌধের মূল বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এই স্মৃতিসৌধ আমাদের শহীদের আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান দেখিয়ে নির্মিত হয়েছে। আমি ও আমার সহকর্মীরা এখানে এসেছি তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য৷
‘শহীদদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, এ দেশের সংবিধান তৈরি হয়েছে। এই সংবিধানকে সংরক্ষণ করা আমি ও আমার সহকর্মীদের প্রত্যেকের পবিত্র দায়িত্ব। আমরা সেভাবেই শপথ নিয়েছি। এই শপথে বলীয়ান থাকার জন্য আবারও এসেছি স্মৃতিসৌধে।’
পরিদর্শন বইয়ে প্রধান বিচারপতি লেখেন, ‘ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলার স্বাধীনতার আন্দোলনে শাহাদাৎ বরণকারী সব শহীদের প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী ৩০ লাখ শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। শ্রদ্ধা জানাই ২ লক্ষাধিক মা-বোনের প্রতি।
‘জাতীয় স্মৃতিসৌধে দাঁড়িয়ে প্রতিজ্ঞা করছি যে মহান আদর্শ আমাদের বীর জনগণকে জাতীয় মুক্তিসংগ্রামে আত্মনিয়োগ করতে উদ্বুদ্ধ করেছিলো- জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার মূলনীতিসমূহ আমি বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে ও ব্যক্তি জীবনে দৃঢ়ভাবে অনুসরণ করবো।
‘বীর শহীদগণের আত্মত্যাগের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ ও এর সুপ্রীম কোর্ট। বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে আমি ও সুপ্রীম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতিগণের পক্ষ থেকে সকল শহীদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।
‘এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা আমরা তোমাদের ভুলবো না। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’
এর আগে সকাল ১১টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতিকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। গত ১২ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে বাংলাদেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য