× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The famous Bajlu of Chanpara has died
google_news print-icon

চনপাড়ার সেই আলোচিত বজলু মেম্বারের মৃত্যু

চনপাড়ার-সেই-আলোচিত-বজলু-মেম্বারের-মৃত্যু
র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার আলোচিত ইউপি সদস্য মো. বজলুর রহমান। ছবি: নিউজবাংলা
নারায়ণগঞ্জ কারাগারের জেল সুপার মোকাম্মেল হোসেন জানান, বজলু আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন। হৃদযন্ত্রে সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি। এক সপ্তাহ আগে তিনি কারাগারে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন।

র‍্যাব সদস্যদের হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের চনপাড়া বস্তির আলোচিত ইউপি সদস্য মো. বজলুর রহমান ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

বজলুরের বাড়ি বরিশালে। তিনি কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।

ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির পরির্দশক বাচ্চু মিয়া জানান, বজুলর মরহেদ মর্গে রাখা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ কারাগারের জেল সুপার মোকাম্মেল হোসেন জানান, বজলু আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন। হৃদযন্ত্রে সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি। এক সপ্তাহ আগে কারাগারে তিনি বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাই তাকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ জানান, নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে বজুলকে পাঠানো হলে তাকে দ্রুত ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা দিচ্ছিলেন। সেখানে তিনি মারা গেছেন।

র‍্যাব সদস্যদের হত্যাচেষ্টা মামলায় গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর বজলুকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সময় র‍্যাব-১ অধিনায়ক কর্নেল আব্দুল্লাহ আল-মোমেন জানান, চনপাড়া বস্তির শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক সম্রাট ছিলেন বজলু। তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ২৩টি মামলার রেকর্ড পাওয়া গেছে।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা আরও জানান, বজলুর বিরুদ্ধে হত্যা, মাদকের কারবার, চাঁদাবাজি, কিশোর গ্যাং পরিচালনা, ধর্ষণ, যৌন হয়রানি এবং যৌন ব্যবসা পরিচালনার তথ্য পাওয়া গেছে। এরপর তাকে ছয় দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পরে আদালত বজলুকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। তারপর থেকে বজলু নারায়ণগঞ্জ কারাগারে বন্দি ছিলেন।

বজলুর রহমানের মেঝ মেয়ে রুমা আক্তার বলেন, ‘আমার বাবা বজলুর রহমান কায়েতপাড়া ইউনিয়নের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান ছিলেন। বর্তমানে তিনি শেখ নাসের নগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

‘আমাদের নিজ বাড়ি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রে। আমার দাদার নাম নাদের বক্স সরদার।’

আরও পড়ুন:
জেসমিনের মাথায় আঘাতের তথ্য নেই, মৃত্যুতে কারও দায় থাকলে ব্যবস্থা: র‌্যাব
জেসমিনের মৃত্যু রক্তক্ষরণে, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাইকোর্টে
বাড়ি ফিরেছেন সৈকত
র‌্যাব হেফাজতে মায়ের মৃত্যুর পর এবার ছেলে নিখোঁজ
পিস্তলসহ কুখ্যাত ফেন্সি মাসুদ আটক

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Four people injured in a stabbing in Thakurgaons death

ঠাকুরগাঁওয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ছুরিকাঘাতে আহত চারজন

ঠাকুরগাঁওয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ছুরিকাঘাতে আহত চারজন ঠাকুরগাঁও সদরে হামলায় আহত আবদুল জলিল ও তার স্ত্রী পারুল বেগম। কোলাজ: নিউজবাংলা
রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ টি এম নাজমুল হুদা বলেন, ‌‘খবর পেয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। স্থানীয়রা একজনকে আটক করেছে। তার পূর্ণাঙ্গ নাম, পরিচয় পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ফিরলে বিস্তারিত জানা যাবে।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন চারজন, যারা হাসপাতালে পাঞ্জা লড়ছেন মৃত্যুর সঙ্গে।

সদর উপজেলার রুহিয়া থানা এলাকার পাটিয়াডাঙ্গী বাজারের খড়িবাড়ি হঠাৎপাড়া গ্রামে রবিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

আহত চারজন হলেন আবদুল জলিল, তার স্ত্রী পারুল বেগম এবং তাদের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক ও ইউনুস আলী।

গুরুতর আহত অবস্থায় সাংবাদিকদের আবদুল জলিল বলেন, ‘গতকাল (শনিবার) রাত থেকে জাল দিয়ে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে বাড়িতে ভাড়া করা লোক এনে হামলা করা হয়েছিল। আমি তারাবির নামাজ আদায় করতে গিয়েছিলাম। এরই মধ্যে আমার ছোট ভাইয়ের বউ খুব ডেঞ্জারাস। সে তার ভাইয়ের ছেলে এনে আমার বড় ছেলেকে মারধর করে। রাতে বিষয়টি কুলায়ে উঠতে পারিনি।

‘পরদিন সকালে প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করি। আমার ছোট ভাইয়ের ছেলেকে শাসন করি। লাঠি দিয়ে মারি। এরই মধ্যে আমার আরেক ভাতিজা সাদেকুল ইসলাম ছুরি দিয়ে আমাদের আঘাত করে।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাদেকুলের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রাকিবুল আলম বলেন, ‘ছুরিকাঘাতে চারজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আমরা রংপুর মেডিক্যাল কলেজে রেফার করেছি। তাদের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন আছে।’

রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ টি এম নাজমুল হুদা বলেন, ‌‘খবর পেয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

‘স্থানীয়রা একজনকে আটক করেছে। তার পূর্ণাঙ্গ নাম, পরিচয় পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ফিরলে বিস্তারিত জানা যাবে।’

আরও পড়ুন:
গৃহবধূকে পানিতে চুবিয়ে হত্যার অভিযোগ
কক্সবাজারে বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে দুর্বৃত্তদের হামলা: আইএসপিআর
কুয়েট শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা: বিএনপি ও যুবদলের ৪ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
ইরানে বোমা হামলার দায় স্বীকার পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর
কুয়েটে হামলায় জড়িতদের দ্রুতই আইনের আওতায় আনা হবে: উপদেষ্টা আসিফ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In the former PP jail of Jhalakathi

ঝালকাঠির সাবেক পিপি আবদুল মান্নান কারাগারে

ঝালকাঠির সাবেক পিপি আবদুল মান্নান কারাগারে ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সাবেক পিপি আবদুল মান্নান রসুল। ছবি: নিউজবাংলা
ঝালকাঠি আইনজীবী সমিতিতে হামলা, জেলা বিএনপি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ, আইনজীবী শাহাদাৎ হোসেনের বাড়িতে হামলার ঘটনায় মামলাসহ ছয়টি মামলার আসামি আবদুল মান্নান। গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকে পলাতক ছিলেন আওয়মী লীগের এ নেতা।

ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি), ঝালকাঠি বারের সাবেক সভাপতি ও জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আবদুল মান্নান রসুলের জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

ঝালকাঠি জজ আদালতে রবিবার সকালে হাজির হলে তার জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. রহিবুল ইসলাম।

ঝালকাঠি আইনজীবী সমিতিতে হামলা, জেলা বিএনপি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ, আইনজীবী শাহাদাৎ হোসেনের বাড়িতে হামলার ঘটনায় মামলাসহ ছয়টি মামলার আসামি আবদুল মান্নান। গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকে পলাতক ছিলেন আওয়মী লীগের এ নেতা।

চার মামলায় আসামির পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আওয়ামী লীগ দলীয় আইনজীবী বনি আমিন বাকলাই এবং মুহাম্মদ নাসির উদ্দীন কবীর। আগামী ১৮ মার্চ একই আদালতে আসামির অন্য দুটি মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

সাবেক পিপি আবদুল মান্নান রসুলের জামিন নাকচের পর গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘মান্নান রসুল আইনজীবী হয়েও তিনি আইনজীবীদের ওপর হামলা ও মিথ্যা মামলা করেছিল। তার পক্ষে আজ যে যে আইনজীবী দাঁড়িয়েছে, তারা নীতি নৈতিকতা হারিয়েছে।’

আওয়ামী লীগের আইনজীবী জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আবদুল মান্নান রসুল ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত টানা ১৫ বছর ঝালকাঠিতে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এবং আইনজীবী সমিতির সভাপতি ছিলেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমুর একক সিদ্ধান্তে ঝালকাঠিতে এ পদে অন্য কেউ আসতে পারেননি।

আরও পড়ুন:
ঝুঁকি নিয়ে বিচারকাজ চলছে ঝালকাঠির আদালতে
ঝালকাঠি জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি অনুমোদন
ঝালকাঠিতে হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ককে ‌‘হত্যাচেষ্টা’: অ্যাম্বুলেন্সের চালক গ্রেপ্তার
ঝালকাঠিতে ব্যবসায়ী হত্যা: জড়িতরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ
সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের ছোট ভাই মৃদুল কারাগারে

মন্তব্য

আওয়ামী লীগ আমলের আমলাদের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ

আওয়ামী লীগ আমলের আমলাদের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ (শেকৃবি) বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফ্যাসিবাদবিরোধী শিক্ষার্থীরা অংশ নেন বিক্ষোভে। ছবি: ইউএনবি
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ (শেকৃবি) বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফ্যাসিবাদবিরোধী শিক্ষার্থীরা অংশ নেন বিক্ষোভে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কার আমলাদের অপসারণের দাবিতে রাজধানীর খামারবাড়ীতে রবিবার সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন শিক্ষার্থীরা।

দুপুরে এ বিক্ষোভ শুরু হয়, যা এ প্রতিবেদন লেখার সময়ও চলে।

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ (শেকৃবি) বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফ্যাসিবাদবিরোধী শিক্ষার্থীরা অংশ নেন বিক্ষোভে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হন।

শেকৃবির শিক্ষার্থী রাহাত হোসেন বলেন, ‘স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার আমলে আমলারা খামারবাড়ীতে বসে ফ্যাসিস্ট হাসিনার জন্য কাজ করতেন। তারা এখনও বহাল তবিয়তে থেকে দায়িত্ব পালন করছেন, যা আমাদের দেশের জন্য কল্যাণকর না।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের কৃষি খাতকে অকার্যকর করার জন্য তারা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এ জন্য ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলের আমলাদের অপসারণের জন্য দাবিতে আন্দোলন করছি। তাদের অপসারণ না করার পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।’

রাহাত বলেন, ‘কেবল কৃষি খাতই না, সব খাতেই যেসব আমলা হাসিনার আমলে বিশেষ সুবিধা নিয়েছেন, তাদেরকেও অপসারণের দাবি জানিয়েছি।’

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শেখ হাসিনার সরকার পরিচালনায় আমলা তথা সচিবরা বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছেন। বিশেষত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোতে বরাবরই বিশ্বস্ত সচিব ও কর্মকর্তাদের পদায়ন করতেন তিনি। কিন্তু সেই আমলারা বহাল তবিয়তে থেকে এখনও দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সংগঠক ও শেকৃবির শিক্ষার্থী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সচিবালয়ে যাব। আর বাকিরা এখানে অবস্থান করবেন। যদি আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হয়, তাহলে আন্দোলন চলমান থাকবে।’

আরও পড়ুন:
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলা: ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ৯ জনসহ ৪৭ আসামি খালাস
শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের বিষয়ে ফের মন্তব্যহীন দিল্লি
শেখ হাসিনাকে ফেরত আনতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার সরকারের: প্রেস সচিব
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রকল্প বাস্তবায়নে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Abrar Murder Twenty five death sentences and five life imprisonment

আবরার হত্যা: ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনের যাবজ্জীবন বহাল

আবরার হত্যা: ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনের যাবজ্জীবন বহাল বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ। ফাইল ছবি
আসামিদের মধ্যে তিনজন মামলার শুরু থেকেই পলাতক। বাকি ২২ জনের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মুনতাসির আল জেমি কারাগার থেকে পালিয়েছেন। গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর গত ৬ আগস্ট তিনি গাজীপুরের হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের দেয়াল ভেঙে পালিয়ে যান।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনের যাবজ্জীবনের রায় বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আপিল বেঞ্চ রবিবার এ রায় দেন।

এর আগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি হয়।

বুয়েটের শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র আবরারকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়।

২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলা বিচারে এসেছিল। দুই পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর রায় আসে, যাতে ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।

আসামিদের মধ্যে তিনজন মামলার শুরু থেকেই পলাতক। বাকি ২২ জনের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মুনতাসির আল জেমি কারাগার থেকে পালিয়েছেন। গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর গত ৬ আগস্ট তিনি গাজীপুরের হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের দেয়াল ভেঙে পালিয়ে যান।

আবরার ছিলেন বুয়েটের তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি।

মামলার আসামিদের সবাই বুয়েট ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী। গ্রেপ্তার ২১ জনের মধ্যে আটজন আদালতে দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

আবরারকে কীভাবে ক্রিকেট স্টাম্প আর স্কিপিং রোপ দিয়ে কয়েক ঘণ্টা ধরে বেধড়ক পেটানো হয়েছিল। সেই ভয়ংকর বিবরণ উঠে আসে তাদের জবানবন্দিতে।

আরও পড়ুন:
ট্রাম্পের গলফ রিসোর্টে হামলা
খাগড়াছড়িতে মা-বাবাকে কুপিয়ে জখম, ছেলে আটক
প্রাথমিকের ৬ হাজার ৫৩১ সহকারী শিক্ষকের যোগদানে বাধা নেই
সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ১৫ এপ্রিল
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে সম্মত ইসরায়েল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Initial information of violence against women given to the Help App will be assumed to be preliminary information DMP

হেল্প অ্যাপে দেওয়া নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনাকে প্রাথমিক তথ্য ধরা হবে: ডিএমপি

হেল্প অ্যাপে দেওয়া নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনাকে প্রাথমিক তথ্য ধরা হবে: ডিএমপি রাজধানীর কারওয়ান বাজারের দ্য ডেইলি স্টার ভবনের তৌফিক আজিজ খান সেমিনার হলে শনিবার বেলা ১১টার দিকে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার আয়োজিত গণপরিবহনে নারীদের নিরাপত্তায় সহায়ক HELP অ্যাপের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। ছবি: ডিএমপি
অনুষ্ঠানে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, হেল্প অ্যাপের মাধ্যমে ঢাকা মহানগরীর গণপরিবহনে কোনো নারী সহিংসতার শিকার হলে তাৎক্ষণিক সহায়তা চাইতে পারবেন, জরুরি সেবা নিতে পারবেন এবং ঘটনাটি রিপোর্ট করতে পারবেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, হেল্প (HELP) অ্যাপে দাখিলকৃত নারীর প্রতি যেকোনো সহিংসতার তথ্য বা ঘটনা এখন থেকে ওই ঘটনার প্রাথমিক তথ্য হিসেবে গণ্য হবে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের দ্য ডেইলি স্টার ভবনের তৌফিক আজিজ খান সেমিনার হলে শনিবার বেলা ১১টার দিকে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার আয়োজিত গণপরিবহনে নারীদের নিরাপত্তায় সহায়ক HELP (Harassment Elimination Literacy Program) অ্যাপের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‌‘নারী ও শিশুদের ওপর যেকোনো ধরনের সহিংসতা পীড়াদায়ক। অনেক ক্ষেত্রেই এসব ঘটনার শিকার ব্যক্তিগণ তা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে অবহিত করতেও দ্বিধাবোধ করেন। তা ছাড়া তাদের অভিভাবকরাও নানা কারণে ঘটনাগুলো গোপন রাখেন।’

তিনি বলেন, ‘গৃহকর্মীরা আমাদের সমাজে সবচেয়ে বেশি নিগৃহীত। অনেক সময় তারাও শ্লীলতাহানির শিকার হয়। সুনাগরিক হিসেবে গৃহকর্মীদের থাকার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা আমাদের কর্তব্য।’

হেল্প অ্যাপ কী

অনুষ্ঠানে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, হেল্প অ্যাপের মাধ্যমে ঢাকা মহানগরীর গণপরিবহনে কোনো নারী সহিংসতার শিকার হলে তাৎক্ষণিক সহায়তা চাইতে পারবেন, জরুরি সেবা নিতে পারবেন এবং ঘটনাটি রিপোর্ট করতে পারবেন।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আর্থিক সহায়তায় ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার পাইলট প্রকল্প হিসেবে রাজধানীর বছিলা থেকে সায়েদাবাদ সড়কে প্রাথমিকভাবে এটা বাস্তবায়ন করবে।

মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে সায়েদাবাদ পর্যন্ত চলা বাসে কিউআর কোড স্থাপন ও এ অঞ্চলে অবস্থানরত স্বেচ্ছাসেবীদের সহায়তায় সহিংসতার শিকার নারীরা এই সেবা নিতে পারবেন।

ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের সভাপতি রেজোয়ানুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ সভাপতি ডা. ফৌজিয়া মোসলেম। এ ছাড়া ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনরাও উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করার সর্বোত্তম সুযোগ ক্রান্তিকালে: শিরীন হক
একুশে ফেব্রুয়ারি ঘিরে শহীদ মিনারে চার স্তরের নিরাপত্তা: ডিএমপি
নারীদের ফুটবলে বাধার ঘটনায় উদ্বিগ্ন সরকার: প্রেস উইং
ভারতে বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা, ধারণা পুলিশের
সাবেক এমপি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন গ্রেপ্তার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Abrar Fahad Kill High Court verdict Sunday

আবরার ফাহাদ হত্যা: হাইকোর্টের রায় রবিবার

আবরার ফাহাদ হত্যা: হাইকোর্টের রায় রবিবার বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ। ফাইল ছবি
বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর হাইকোর্টের রায় ঘোষণা করা হবে রবিবার।

বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

এর আগে আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের ওপর ২৪ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষ করে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার, খন্দকার বাহার রুমি, নূর মুহাম্মদ আজমী ও রাসেল আহম্মেদ এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল জব্বার জুয়েল, লাবনী আক্তার, তানভীর প্রধান ও সুমাইয়া বিনতে আজিজ।

আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান, আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু, মাসুদ হাসান চৌধুরী ও মোহাম্মদ শিশির মনির।

সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে শনিবার দেখা যায়, এটি রায়ের জন্য রবিবারের কার্যতালিকায় রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ ও ভারতের পানিবণ্টন নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাসের জেরে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে নৃশংস কায়দায় পিটিয়ে হত্যা করে সংগঠনটির ক্যাডাররা। পরে রাত ৩টার দিকে শেরে বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে পরের দিন ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ। মাত্র ৩৭ দিনে তদন্ত শেষ করে একই বছরের ১৩ নভেম্বর অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান।

হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর বুয়েটের ২০ শিক্ষার্থীকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। এ মামলায় আরও পাঁচ শিক্ষার্থীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মেহেদী হাসান রাসেল (২৪), মো. অনিক সরকার ওরফে অপু (২২), মেহেদী হাসান রবিন ওরফে শান্ত (২৩), ইফতি মোশাররফ সকাল (২০), মো. মনিরুজ্জামান মনির (২১), মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (২৩), মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ (২০), মো. মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ (২১), খন্দকার তাবাকারুল ইসলাম ওরফে তানভির (২১), হোসেন মোহাম্মদ তোহা (২১), মো. শামীম বিল্লাহ (২১), এ এস এম নাজমুস সাদাত (২১), মুনতাসির আল জেমী (২০), মো. মিজানুর রহমান মিজান (২২), এস এম মাহমুদ সেতু (২৪), সামসুল আরেফিন রাফাত (২১), মো. মোর্শেদ ওরফে মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম (২০), এহতেশামুল রাব্বি ওরফে তানিম (২০), যিনি পলাতক, মোহাম্মদ মোর্শেদ উজ্জামান মণ্ডল প্রকাশ জিসান (২২), যিনি পলাতক এবং মুজতবা রাফিদ (২১), যিনি পলাতক।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন অমিত সাহা (২১), ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না (২১), মো. আকাশ হোসেন (২১), মুহতাসিম ফুয়াদ (২৩) ও মো. মোয়াজ ওরফে মোয়াজ আবু হোরায়রা (২১)।

বিচারিক আদালতের রায় খতিয়ে দেখতে ডেথ রেফারেন্স হিসেবে ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি মামলার নথি হাইকোর্টে পৌঁছায়।

ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসারে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলে তা অনুমোদনের জন্য মামলার যাবতীয় কার্যক্রম উচ্চ আদালতে পাঠাতে হয়। এটাকেই ডেথ রেফারেন্স বলা হয়।

পরে কারাবন্দি আসামিরা জেল আপিল করেন। পাশাপাশি অনেকে ফৌজদারি আপিলও করেন।

গত বছরের ২৮ নভেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চে এ ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের বিষয়ে শুনানি শুরু হয়।

আরও পড়ুন:
খাগড়াছড়িতে মা-বাবাকে কুপিয়ে জখম, ছেলে আটক
প্রাথমিকের ৬ হাজার ৫৩১ সহকারী শিক্ষকের যোগদানে বাধা নেই
সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ১৫ এপ্রিল
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে সম্মত ইসরায়েল
ইচ্ছা ছিল বিচারক হওয়ার, বাড়িতে ফিরলেন লাশ হয়ে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Sexual harassment Teknafs teacher dismissed

যৌন নিপীড়ন: টেকনাফের সেই শিক্ষক বরখাস্ত

যৌন নিপীড়ন: টেকনাফের সেই শিক্ষক বরখাস্ত কক্সবাজারের টেকনাফের কচুবনিয়া এমপি বদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক আলী আকবর সাজ্জাদ। ফাইল ছবি
জেলা শিক্ষা অফিসারের স্বাক্ষরিত চিঠিতে বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেওয়া হয়।

ছাত্রীদের যৌন হয়রানি ও শ্লীলতাহানির অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় বরখাস্ত করা হয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফের কচুবনিয়া এমপি বদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী আকবর সাজ্জাদকে।

জেলা শিক্ষা অফিসারের স্বাক্ষরিত চিঠিতে বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেওয়া হয়।

জেলা শিক্ষা অফিসারের চিঠিতে বলা হয়, ‘টেকনাফ উপজেলার কচুবনিয়া এমপি বদি সরকারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলী আকবর সাজ্জাদের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। আজকে থেকে এ আদেশ কার্যকর করা হবে।’

বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা শিক্ষা অফিসার মো. শাহীন মিয়া বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক আলী আকবর সাজ্জাদ কর্তৃক উক্ত বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে যৌন হয়রানির করার অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। জাতীয় গণমাধ্যম নিউজবাংলা ও দৈনিক বাংলাকে ধন্যবাদ জানাই সত্য নিউজ করার জন্য।এ ছাড়া যেকোনো স্কুলে যেন এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, সে জন্য শিক্ষকদের সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলার নতুন প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান আরজু বলেন, ‘এমপি বদি কচুবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলী আকবর সাজ্জাদকে বরখাস্ত করার জন্য জেলা শিক্ষা অফিসারের চিঠি হাতে পেয়েছি। ফলে তিনি এখন আর বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক নন। এ জন্য প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।’

এক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এসব অভিযোগ সামনে আসার পরপরই কর্তৃপক্ষ আমলে নিলে এ রকম ঘটনা ঘটত না। এসব বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে জানালে কিন্তু অদৃশ্য কারণে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর ফলে তিনি আরও সাহস পেয়ে যান। তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।

গত বছরের ২৫ নভেম্বর ‘টেকনাফে যৌন হয়রানির অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে’ শিরোনামে নিউজবাংলায় সংবাদ প্রকাশ হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৮ নভেম্বর যৌন হয়রানির অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়।

কক্সবাজার জেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. সাজ্জাদকে আহ্বায়ক করে এক সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি সরেজমিনে গিয়ে গোপন ও প্রকাশ্যে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও অভিযোগকারী তিন ছাত্রী ও অভিভাবকের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

শিক্ষার্থীদের একজন বলে, “স্যার আমাদের বলেন, ‘তোমরা স্কুলে আসার সময় দুই ঘণ্টা আগে আসবা।’ খালি ক্লাসরুমে প্রবেশ করায় দরজা বন্ধ করে আমাদের সবসময় যৌন হয়রানির করত। স্যার আমাদের বলত যে, ‘তোমাদের পরীক্ষায় ভালো নম্বর দিয়ে পাস করিয়ে দিব এবং তোমরা প্রতিজ্ঞা করবা, তোমাদের সঙ্গে যা ঘটছে জীবনেও তা কারও কাছে কিছু বলা যাবে না।’ পরে এগুলো বলে আমাদের স্পর্শকাতর স্থানে হাতে হাত দেয়।”

এক ছাত্রীর অভিভাবক বলেন, ‘আমার মেয়ে স্কুলে যায় না। মেয়ের মার থেকে জানতে চাইলাম কেন হঠাৎ স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিছে। বিষয়টি মাও জানে না। ১০ বছরের ছোট্ট মেয়ে। তাই ভয়ে আমাদের জানায়নি, কিন্তু ওদের বান্ধবীরা একদিন মেয়ের মাকে বিষয়টি অবগত করল যে, আপনার মেয়েকে হেড স্যার যৌন হয়রানির করে আসছে। তাই উনি স্কুলে যাচ্ছে না।

‘আমি বিষয়টি স্কুলের সহকারী শিক্ষকদের জানাই। তারা আমাকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাতে বলেন। পরে আমি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করি।’

আরও পড়ুন:
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল প্রধান শিক্ষক ও স্ত্রীর
শাহবাগ অবরোধ সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের, জলকামান ও লাঠিচার্জ পুলিশের
প্রাথমিকের সাড়ে ছয় হাজার শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল
খুলনার সাবেক কাউন্সিলর হত্যা: আরেক সাবেক কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
কক্সবাজারে হোটেলের সামনে খুলনার সাবেক কাউন্সিলরকে গুলি করে হত্যা

মন্তব্য

p
উপরে