× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The decision of DUs Bengal department to keep ears and mouths open has been suspended in the High Court
google_news print-icon

কান-মুখ খোলা রাখতে ঢাবির বাংলা বিভাগের সিদ্ধান্ত হাইকোর্টে স্থগিত

কান-মুখ-খোলা-রাখতে-ঢাবির-বাংলা-বিভাগের-সিদ্ধান্ত-হাইকোর্টে-স্থগিত
ফাইল ছবি
শিক্ষার্থীদের পক্ষে করা রিটের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগে সব ধরনের পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীর পরিচয় শনাক্তে কানসহ মুখমণ্ডল দৃশ্যমান রাখার নোটিশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছে হাইকোর্ট।

শিক্ষার্থীদের পক্ষে করা রিটের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেয়।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. ফয়জুল্লাহ ফয়েজ।

গত ১১ ডিসেম্বর বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যানের দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলা বিভাগের সব শিক্ষার্থীকে জানানো যাচ্ছে যে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বাংলা বিভাগের একাডেমিক কমিটি সর্বসম্মতভাবে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী বাংলা বিভাগের প্রতি ব্যাচের সংযোগ ক্লাস (টিউটোরিয়াল/ প্রেজেন্টেশন), মিডটার্ম পরীক্ষা, চূড়ান্ত পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীকে পরিচয় শনাক্ত করার জন্য কানসহ মুখমণ্ডল পরীক্ষা চলাকালীন দৃশ্যমান রাখতে হবে।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ সিদ্ধান্ত প্রতিটি ক্লাসে শিক্ষকরা ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের অবহিত করেছেন। কিন্তু লক্ষ করা যাচ্ছে যে, কোনো কোনো শিক্ষার্থী এই সিদ্ধান্ত পালনে শৈথিল্য দেখাচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়- ১৮ সেপ্টেম্বর গৃহীত সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে যারা পালন করবে না তাদের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। রিটে শিক্ষা সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, রেজিসট্রার ও বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়।

পরে আইনজীবী মো. ফয়জুল্লাহ ফয়েজ বলেন, কান ও মুখ খোলা রাখতে হবে; এটা যারা পর্দা করেন তাদের জন্য ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিপন্থি। তাই এ রিট আবেদন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
জেসমিনের মৃত্যু রক্তক্ষরণে, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাইকোর্টে
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে আবেদন খারিজ
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে রিট সরাসরি খারিজ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Habiprobi student arrested in case of cheating by dressing as a woman on Facebook

ফেসবুকে নারী সেজে প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার হাবিপ্রবির ছাত্র

ফেসবুকে নারী সেজে প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার হাবিপ্রবির ছাত্র দিনাজপুরে প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার দুজন। ছবি: নিউজবাংলা
গ্রেপ্তার হওয়া সুজন ফেসবুকে চ্যাটিং ও কলে মেয়েলি কন্ঠে কথা বলতেন। এক পর্যায়ে কৃষি প্রজেক্টে বিনিয়োগের কথা বলে নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।

ফেসবুকে মেয়ের নামে ভুয়া আইডি খুলে প্রতারণার মাধ্যমে ১৮ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) এক ছাত্রসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়টির সামনের সড়ক থেকে ওই ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার বিকেলে তাকে আদালতে তোলা হয়।

ওই ছাত্রের নাম সুজন সরকার। ২৩ বছর বয়সী সুজন হাবিপ্রবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্র।

অপর যুবক ৩০ বছর বয়সী ভগদীশ চন্দ্র রায় দিনাজপুর সদর উপজেলার মুজাহিদপুর গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, হাবিপ্রবির ছাত্র সুজন সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘মোছা. জান্নাতুল নাহিমা (অচেনা পথিক)’ নামে একটি ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলেন।

ওই আইডি ব্যবহার করে নবাবগঞ্জ উপজেলার পারহরিণা গ্রামের ফরিদুল ইসলামের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বন্ধুত্ব করেন।

সুজন ফেসবুকে চ্যাটিং ও কলে মেয়েলি কন্ঠে কথা বলতেন। এক পর্যায়ে কৃষি প্রজেক্টে বিনিয়োগের কথা বলে নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে ফরিদুলের কাছ থেকে ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।

এরপর ৩ মে মামলা করেন রফিকুল ইসলাম।

নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, গ্রেপ্তারের সময় প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত সিমসহ একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফরিদুলের কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করেছেন সুজন।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশিদের সঙ্গে নিয়ে ২ নাইজেরিয়ানের পার্সেল ফাঁদ
সরকারি কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা, অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে চক্র
‘র‌্যাপিড ক্যাশ’ চক্রের টার্গেটে বাংলাদেশসহ তিন দেশ
র‍্যাপিড ক্যাশ অ্যাপে প্রতারণা, চক্রের হোতা আটক
ডিবি পরিচয়ে রেশনের মাল বিক্রির নামে প্রতারণা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Honesty Hospital Silgala due to dishonesty

অসততার দায়ে ‘সততা হাসপিটাল’ সিলগালা

অসততার দায়ে ‘সততা হাসপিটাল’ সিলগালা লাইসেন্স না থাকাসহ নানা অনিয়মের দায়ে রোববার কুমিল্লা শহরে অবস্থিত সততা হসপিটাল সিলগালা করে দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। ছবি: নিউজবাংলা
কুমিল্লা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কানিজ ফাতেমা বলেন, ‘সততা হসপিটালে অনেক অনিয়ম। পর্যাপ্ত ডাক্তার নেই। যন্ত্রপাতি নেই। লাইসেন্স নেই। মেয়াদোত্তীর্ণ রক্ত পাওয়া গেছে। অপরিচ্ছন্ন কক্ষ। এসব কারণে হসপিটালটি সিলগালা করেছি। অর্থদণ্ডও দেয়া হয়েছে।’

জরুরি বিভাগ আছে, অপারেশন থিয়েটারও আছে। তবে লাইসেন্স নেই। ডাক্তার এবং পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতিও নেই। পাওয়া গেছে অপরিচ্ছন্ন নোংরা কক্ষ ও মেয়াদ উর্ত্তীণ রক্ত।

অসততা আর অব্যবস্থার এমন চিত্র মিলেছে কুমিল্লা শহরের ‘সততা স্পেশালাইজড হসপিটালে’। আর এ কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত হাসপাতালটি সিলগালা করে দিয়েছে। একইসঙ্গে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।

রোববার বিকেল সাড়ে ৩টায় কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালের সামনে অবস্থিত সততা স্পেশালাইজড হসপিটালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন কুমিল্লা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কানিজ ফাতেমা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার আবদুল কাইয়ুমসহ পুলিশের একটি টিম।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কানিজ ফাতেমা বলেন, ‘গত বছরও এই সততা হসপিটালের যারা মালিক তাদেরকে বলা হয়েছিল লাইসেন্স করার জন্য। তারা তা করেনি।

‘এই হসপিটালে অনেক অনিয়ম। পর্যাপ্ত ডাক্তার নেই। যন্ত্রপাতি নেই। লাইসেন্স নেই। মেয়াদোত্তীর্ণ রক্ত পাওয়া গেছে। অপরিচ্ছন্ন কক্ষ। এসব কারণে হসপিটালটি সিলগালা করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এই অভিযানে পুলিশ লাইন্স এলাকায় একজন ভুয়া ডাক্তারকে ধরতে ন্যাশনাল ডিজিটাল স্পেশালাইজড ডায়গনস্টিক সেন্টারে যাই। সেখানে গিয়ে ওই ভুয়া ডাক্তারকে পাইনি। তবে ডায়গনস্টিক সেন্টারটিতে কোনো কার্যক্রম দেখতে পাইনি। তারা দালালের মাধ্যমে এখানে রোগী আনে। তারপর বাইরে থেকে পরীক্ষা করিয়ে আনে।

‘তবে এরা অনেক ডাক্তারের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে। যাদের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে তারা কেউ এখানে রোগী দেখেন না। এসব অপরাধের কারণে ওই ডায়গনস্টিক সেন্টারটিও সিলগালা করা হয়েছে।’

কুমিল্লা জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা ১৩৮ জন ভুয়া ডাক্তারের তালিকা তৈরি করেছি। অনিয়ম করা হসপিটাল ও ডায়গনস্টিক সেন্টারেরও তালিকা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা এসব অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যহত রেখেছি।’

আরও পড়ুন:
ময়মনসিংহে অনুমোদনহীন ৩ হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সিলগালা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Theft in agent bank 6 lakhs recovered and arrested 2

এজেন্ট ব্যাংকে চুরি: ৬ লাখ টাকা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২

এজেন্ট ব্যাংকে চুরি: ৬ লাখ টাকা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২ সুনামগঞ্জে ডাচ-বাংলা এজেন্ট ব্যাংকর চুরি হওয়া টাকার একাংশ ও ল্যাপটপসহ গ্রেপ্তার দুজন। ছবি: নিউজবাংলা
সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন জানান, শুক্রবার রাতে চুরি হওয়ার ঘটনা তদন্তে নেমে পুলিশ শনিবার রাত ১২টায় চোর সুহেল ও ব্যাংকের স্টাফ আলী আজগরকে গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকে পাঁচ লাখ ৯৪ হাজার টাকা ও ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়েছে।

সুনামগঞ্জ শহরতলির মঙ্গলকাটা বাজারের ডাচ-বাংলা এজেন্ট ব্যাংক থেকে চুরি হওয়া সাড়ে ৯ লাখ টাকার মধ্যে ৫ লাখ ৯৪ হাজার টাকা ও একটি ল্যাপটপ উদ্ধার হয়েছে। এ ঘটনায় ওই ব্যাংকের একজন স্টাফসহ দু’জনকে শনিবার রাতে আটক করেছে পুলিশ। এর আগে শুক্রবার রাতে ওই চুরির ঘটনা ঘটে।

ডাচ-বাংলা এজেন্ট ব্যাংকের মঙ্গলকাটা শাখার পরিচালক মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘বৃহস্পতিবার অফিসের একজন স্টাফ ছুটিতে ছিলেন। দিন শেষে রাতে অন্য স্টাফ সুহেল মিয়া ক্যাশ বুঝিয়ে দেয়ার সময় কৌশলে সাড়ে ৯ লাখ টাকা আরেক ড্রয়ারে সরিয়ে রাখেন।

রাতে আলী আজগর নামের আরেক চোরকে সঙ্গে নিয়ে তার (সুহেল) কাছে থাকা চাবি দিয়ে অফিস খুলে সাড়ে ৯ লাখ টাকা, একটি ল্যাপটপ ও সিসি ক্যামেরার ডিবিআর নিয়ে যায়। শনিবার সকালে এ বিষয়ে থানায় জিডি করি আমরা।’

সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন জানান, থানায় জিডি হওয়ার পর তদন্তে নামে পুলিশ। শনিবার রাত ১২টায় সুহেলকে তার নির্মাণাধীন বাড়ি থেকে এবং একই গ্রামের অন্য চোর আলী আজগরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে পাঁচ লাখ ৯৪ হাজার টাকা ও ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
38 lakhs per sack of rice

চালের বস্তায় ৩৮ লাখ টাকা

চালের বস্তায় ৩৮ লাখ টাকা লালমনিরহাট-রংপুর মহাসড়কের তিস্তা সেতুর টোল প্লাজায় বাসে তল্লাশি চালিয়ে চালের বস্তা থেকে টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। ছবি: নিউজবাংলা
বাসটি কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকা যাচ্ছিল। বস্তাটি বাসের ব্যাগ রাখার বাক্সে ছিল।

লালমনিরহাটে চালের বস্তা থেকে ৩৮ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রোববার দুপুর ১২টার দিকে লালমনিরহাট-রংপুর মহাসড়কের তিস্তা সেতুর টোল প্লাজায় নাবিল পরিবহনের বাস থামিয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ। এ সময় ওই টাকা পাওয়া যায়। আটক করা হয় এক যাত্রীকে।

ওই যাত্রীর নাম মমিনুল ইসলাম। তিনি কুড়িগ্রামের উলিপুর থানার কিশামত তবকপুর গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ জানায়, বাসটি কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকা যাচ্ছিল। বস্তাটি বাসের ব্যাগ রাখার বাক্সে ছিল।

লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, ‘এটি আমাদের নিয়মিত তল্লাশির অংশ ছিল। মমিনুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। তিনি জানিয়েছেন, তার মামার ভবন নির্মাণকাজের লেনদেনের জন্য টাকাগুলো ঢাকা নিয়ে যাচ্ছিলেন।’

আরও পড়ুন:
টাকায় ঋণ পাবে বিদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান
নতুন দুই ও পাঁচ টাকার নোটে কী নতুন?
২৫ লাখ জাল টাকাসহ নানা-নাতি আটক
অর্থ পাচার ও টাকা ফেরানো নিয়ে দুদক ঘুমিয়ে: হাইকোর্ট
আসছে ৫০০ টাকার নতুন নোট

মন্তব্য

বাংলাদেশ
6 teachers of Meherpur with fake certificates face dismissal

চাকরিচ্যুতির মুখে জাল সনদধারী মেহেরপুরের ৬ শিক্ষক

চাকরিচ্যুতির মুখে জাল সনদধারী মেহেরপুরের ৬ শিক্ষক মেহেরপুরর গাংনী উপজেলার বামন্দী নিশিপুর স্কুল ও কলেজ। ছবি: নিউজবাংলা
অভিযুক্তদের এমপিও বন্ধ এবং অবৈধভাবে এমপিও বাবদ ভোগ করা টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত নিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্কুল-কলেজে কর্মরত ৬৭৮ জন জাল সনদধারী শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই তালিকায় মেহেরপুরের রয়েছেন ছয়জন শিক্ষক।

তাদের মধ্যে তিনজন গাংনী উপজেলার বামন্দী নিশিপুর স্কুল ও কলেজের শিক্ষক।

প্রতিষ্ঠানপ্রধানরা বলছেন, তাদের কাছে এখনও সরকারিভাবে নির্দেশনা আসেনি। প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

অভিযুক্ত মেহেরপুরের শিক্ষকরা হলেন মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি এআরবি কলেজের যুক্তিবিদ্যার প্রভাষক ফাতেমা মহতাসিমা, মোমিনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক মুজিবুর রহমান, গাংনী উপজেলার বামন্দী নিশিপুর স্কুল ও কলেজের কম্পিউটার শিক্ষক আরেফিন ইসলাম, তথ্য ও প্রযুক্তি শিক্ষার শিক্ষক প্রভাষক মাহমুদ হাসান, প্রদর্শক (কম্পিউটার) জাহাঙ্গীর আলম ও সাহেবনগর বহুমুখী উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক কাফুর উদ্দীন।

অভিভাবকরা বলছেন, জাল সনদে চাকরি পাওয়া শিক্ষকরা প্রতারণা করেছেন। তাই তাদের কাছ থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের ভালো কিছু শেখার আশা করা যায় না।

বামন্দী নিশিপুর স্কুল ও কলেজের এক ছাত্রের বাবা সেলিম রেজা বলেন, ‘এই প্রতিষ্ঠানে আমার বড় ছেলে লেখাপড়া করে। শুনছি, এখানে সনদ জাল করে অনেকেই চাকরি করছেন। জাল সনদে চাকরি পাওয়া শিক্ষকরা তথ‍্য চুরি করে চাকরি করছেন, তাই তাদের কাছ থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের ভালো কোনো শিক্ষা পাওয়ার আশা নেই।’

তবে জাল সনদের অভিযোগ অস্বীকার করেন অভিযুক্তরা।

গাংনী উপজেলার সাহেবনহর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অভিযুক্ত শিক্ষক কাফুর উদ্দীন বলেন, ‘আমি নট্রামস কর্তৃক কম্পিউটার সনদ নিয়েছি। আমাকে ২০১৩ সালে একবার ধরেছিল, সেখানে আমার ওই সনদ দেখিয়ে রেহাই পাই। এবার আমার সনদকে জাল বললে, আমি আইনের আশ্রয় নেব। কারণ, এর সঙ্গে আমাদের সম্মান জড়িয়ে আছে।’

বামন্দী নিশিপুর স্কুল ও কলেজের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন অনলাইনের মাধ্যমে এ খবরটি জেনেছি। সবচেয়ে দুর্ভাগ্য ও কষ্টের বিষয়, আমাদের প্রতিষ্ঠানের তিন শিক্ষক রয়েছেন এ তালিকায়। তবে সরকারিভাবে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনো চিঠিপত্র আসেনি। সরকারিভাবে বা বোর্ডের কোনো চিঠি পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

একই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মাসুম রেজা বলেন, ‘জাল সনদধারীদের তালিকা করে সরকার খুব ভালো কাজ করেছে। যদিও আমার প্রতিষ্ঠানেরই তিনজন শিক্ষক রয়েছেন। তারপরও বলব, যারাই জাল সনদে চাকরি করছে, তাদের সবার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া উচিত।’

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্বাস উদ্দিন বলেন, ‘যে ছয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে জাল সনদে চাকরি নেয়ার অভিযোগ উঠেছে, আমরা তাদের বিষয়ে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পরিষদ ও প্রতিষ্ঠান প্রধানদের খোঁজ খবর নিয়ে জানাতে বলেছি। পরে ওপরের কর্মকর্তারা যে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে নির্দেশ দেবেন, তাদের বিরুদ্ধে সেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই নির্দেশে অভিযুক্তদের এমপিও বন্ধ এবং অবৈধভাবে এমপিও বাবদ ভোগ করা টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত নিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেয়া হয়।

এ ছাড়া জাল সনদধারী যেসব শিক্ষক অবসরে গেছেন, তাদের অবসর সুবিধা বাতিল করতে বলেছে মন্ত্রণালয়। যারা অবসরে গেছেন বা চাকরি ছেড়েছেন তাদের টাকা অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে আদায় করতে বলা হয়।

আরও পড়ুন:
স্থানীয়দের নিয়োগে পাহাড়ে শিক্ষক সংকট কাটবে: শিক্ষা উপমন্ত্রী
প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছনা, মেয়রের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ছাত্রকে শাসন করায় শিক্ষককে কুপিয়ে জখম, হাসপাতালে ভর্তি
রাষ্ট্রের সেবকদের কেন ‘স্যার’ ডাকতে হবে: উমর ফারুক
এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ দাবিতে ১১ দিন ধরে প্রেস ক্লাবে শিক্ষকরা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Supporters of 2 councilor candidates clash in Tongi 15 injured

টঙ্গীতে ২ কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১৫

টঙ্গীতে ২ কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১৫ শুক্রবার রাত ১০টার দিকে টঙ্গীর বড় দেওড়া পুরোনো মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ছবি: নিউজবাংলা
পুলিশ জানায়, নির্বাচনে জয়ের পর শুক্রবার সন্ধ্যায় ভোটার ও সমর্থকদের ফুল দিয়ে বরণ করে নিতে বের হন কাউন্সিলর সোলেমান হায়দার। এ সময় বড় দেওড়া আদর্শপাড়া এলাকায় পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী সেলিম হোসেনের সমর্থক আলমাসের সঙ্গে সোলেমান হায়দারের সমর্থকদের ঝগড়া হয়। পরে তা সংঘাতে রূপ নেয়।

ভোটে জিতে কাউন্সিলর হওয়ার একদিন পর ভোটারদের শুভেচ্ছা জানাতে বের হয়ে হেরে যাওয়া প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে গাজীপুরের টঙ্গীর এক কাউন্সিলরের সমর্থকরা। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন সমর্থক আহত হয়েছেন।

শুক্রবার রাত ১০টার দিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের বড় দেওড়া পুরোনো মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে টঙ্গীর পশ্চিম থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্তকর্তা (ওসি) শাহ আলম।

ভোটে পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী সেলিম হোসেনের আহত সমর্থকরা হলেন ৩৩ বছর বয়সী আলমাস, ১৯ বছরের শাহজালাল মোল্লা, ২৬ বছর বয়সী আজাহার, ৩২ বছর বয়সী হেলাল উদ্দিন, ২৫ বছর বয়সী সাইফুল ইসলাম সাগর, ২৪ বছরের নিয়ামত, ২১ বছরের তানভীর ও ৩১ বছর বয়সী মর্জিনা আক্তার।

বিজয়ী কাউন্সিলর সোলেমান হায়দারের আহত সমর্থকরা হলেন ৩২ বছর বয়সী রাজিব হায়দার সাদিম, ৩৫ বছর বয়সী আজিম হায়দার আদিম, ৩০ বছর বয়সী ঝলক হায়দার, ২৮ বছরের বিজয় হায়দার ও আরিফ মণ্ডল।

টঙ্গীতে ২ কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১৫

আহতদের স্বজন ও স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ি প্রতীকে সেলিম হোসেন ও লাটিম প্রতীকে সোলেমান হায়দার কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে সেলিম হোসেনকে পরাজিত করে সোলেমান হায়দার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।

নির্বাচনে জয়ের পর শুক্রবার সন্ধ্যায় ভোটার ও সমর্থকদের ফুল দিয়ে বরণ করে নিতে বের হন কাউন্সিলর সোলেমান হায়দার। এ সময় বড় দেওড়া আদর্শপাড়া এলাকায় পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী সেলিম হোসেনের সমর্থক আলমাসের সঙ্গে সোলেমান হায়দারের সমর্থকদের ঝগড়া হয়। পরে তা সংঘাতে রূপ নেয়।

এক পর্যায়ে সেলিম হোসেনের ভাই মামুন ও তাদের সমর্থক হারুন, অনিক ও মানিকসহ বেশ কয়েকজন দেশি অস্ত্র নিয়ে ওই এলাকার পুরোনো মসজিদের সামনে সোলেমান হায়দারের সমর্থকদের ওপর পাল্টা হামলা চালান। এ সময় সাদিম, আদিম, ঝলক, বিজয় ও আরিফ আহত হন।

এ নিয়ে জানতে চাইলে পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী সেলিম হোসেন বলেন, ‘আমার লোকেদের মারধর করে আহত করা হয়েছে। আমি এ নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করব।’

এ বিষয়ে কাউন্সিলর সোলেমান হায়দার বলেন, ‘ভোটে হেরে সেলিমের লোকজন এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। এ বিষয়ে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলেছি। আহতরা সুস্থ হয়ে ফিরলেই সালিশের মাধ্যমে এর সমাধান করা হবে।’

আরও পড়ুন:
গাজীপুর সিটিতে কাউন্সিলর হলেন যারা
আজমত-জাহাঙ্গীরকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করব: জায়েদা
ভোট সুষ্ঠু হয়েছে, নতুন মেয়রকে অভিনন্দন: আজমত

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Complaints of negligence in the recovery of dead bodies of 3 friends while visiting the Rohingya bride

রোহিঙ্গা কনে দেখতে গিয়ে লাশ ৩ বন্ধু, উদ্ধারে গাফিলতির অভিযোগ

রোহিঙ্গা কনে দেখতে গিয়ে লাশ ৩ বন্ধু, উদ্ধারে গাফিলতির অভিযোগ প্রতীকী ছবি
রোহিঙ্গা নারীকে চতুর্থ স্ত্রী হিসেবে পাওয়ার শখ পূরণ হয়নি রুবেলের। তিন বন্ধু ২৫ দিন নিখোঁজের পর বুধবার রাতে টেকনাফের দমদমিয়া এলাকার পাহাড় থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাদের অপহরণ করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। এদিকে ভুক্তভোগীদের উদ্ধারে পুলিশের গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে।

কক্সবাজারের টেকনাফের জমির হোসেন রুবেল তিনটি বিয়ে করেও সংসার টেকাতে পারেননি। চতুর্থ বিয়ের জন্য উদগ্রীব রুবেল সন্ধান পান এক রোহিঙ্গা নারীর। তাকে দেখতে দুই বন্ধুকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন।

কিন্তু রোহিঙ্গা নারীকে স্ত্রী হিসেবে পাওয়ার শখ পূরণ হয়নি রুবেলের। তিন বন্ধু ২৫ দিন নিখোঁজের পর বুধবার রাতে টেকনাফের দমদমিয়া এলাকার পাহাড় থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাদের অপহরণ করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের।

এদিকে ভুক্তভোগীদের উদ্ধারে পুলিশের গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ওই রোহিঙ্গা নারীর নাম কোহিনুর আক্তার, মামলা সুরাহা করতে যাকে খুঁজছে পুলিশ। এ ছাড়া মিনা নামে আরেক রোহিঙ্গা নারীর নামও বলছেন পরিবারের সদস্যরা।

২৮ এপ্রিল নিখোঁজ হন তিন বন্ধু জমির হোসেন রুবেল, শেখ ইমরান সরকার ও মোহাম্মদ ইউছুপ। পরদিন রুবেলের মোবাইল ফোন নম্বর থেকে কল করে পরিবারের কাছে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবিসহ অপহৃতদের ওপর নিযার্তনের ভিডিও পাঠানো হয়।

ইউসুফের ভাই মো. ইউনুছ জানান, তার ভাই গত ২৮ এপ্রিল বিকেল ৪টার দিকে বাড়ি থেকে বের হন। এর তিন দিন পর একটি নম্বর থেকে একের পর এক কল করে ৫০ হাজার টাকা পাঠাতে করা হয়।

সর্বশেষ গত ১৫ মে পাঁচ লাখ টাকা পাঠাতে বলে তার ভাই জানান, ‘টাকা না দিলে আমাকে মেরে ফেলবে অপহরণকারীরা।’ এরপর আর কোনো যোগাযোগ হয়নি।

রুবেলের ভাগনি রূপা আক্তার অভিযোগ করেন, ‘রুবেল মামা এর আগে তিনটি বিয়ে করেন, তবে সব বিয়ে ভেঙে যায়। তাই বিয়ের জন্য তিনি নতুন পাত্রী খুঁজছিলেন। এর মধ্যে মামা কোহিনুর নামে এক রোহিঙ্গা নারীর ফাঁদে পড়েন। ওই নারীই কৌশলে মামা ও তার বন্ধুদের টেকনাফ নিয়ে অপহরণকারীদের হাতে তুলে দেন।’

পুলিশের গাফিলতির অভিযোগ

এদিকে ইমরানের বাবা মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ‘২৮ এপ্রিল থেকে ইমরানের খোঁজ নেই। সন্ধান চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গেলে আমাদের গুরুত্ব দেয়নি দুই থানার ওসি ও অফিসাররা। আমার ছেলেসহ তিনজনকে অপহরণের পর পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘অপহরণকারীরা নির্যাতন করছে, এমন ফুটেজ দেখিয়ে জিডি করতে গিয়ে হয়রানির শিকার হয়েছি। রহস্যজনক আচরণ করছে কক্সবাজার সদর থানা ও টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ। ওই দুই থানায় ঘুরতে ঘুরতে আমাদের পাঁচদিন সময় চলে গেছে। অভিযোগ এবং এর সপক্ষে কোনো প্রমাণকেই পাত্তা দিল না থানা। যদি তারা দ্রুত জিডি নিয়ে অভিযান চালাত ছেলেকে ফিরিয়ে পেতাম। এদের গাফিলতির কারণে এ অবস্থা।’

কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তিন বন্ধুর স্বজনরা মামলা ও জিডি করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তিনজন তো এখান থেকে নিখোঁজ হননি। তারা যেখান থেকে নিখোঁজ হয়েছেন, সেখানের থানায় মামলা করতে বলেছি। সর্বশেষ আমার থানায় জিডি এন্ট্রি করেছি। আমার থানায় তাদেরকে কোন হয়রানি করা হয়নি।’

নিহত ইমরানের মা হামিদা বেগম বলেন, ‘গত ২৯ এপ্রিল অপহরণকারীরা ইমরানের মোবাইল ফোন নম্বর থেকে কল করে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। আমরা ধার করে ইমরান ও রুবেলের নম্বরে বিকাশের মাধ্যমে এক লাখ এক হাজার টাকা দেই। বাকি টাকা দিতে না পারায় তাদের খুন করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘টেকনাফ থানায় আমার স্বামী ইব্রাহিম অন্তত সাতবার গিয়েছেন। কোনোবারই পুলিশ জিডি বা মামলা নেয়নি। কক্সবাজার সদর থানা কর্তৃপক্ষও জিডি বা মামলা রেকর্ড করেনি। এটাই কষ্ট আমাদের।’

অভিযোগ অস্বীকার করে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হালিম বলেন, ‘তাদের সঙ্গে আমার একবার দেখা হয়। তারা সদর থানায় জিডি করায় আমরা জিডি না নিয়ে স্বজনদের অভিযোগের পরপরই অপহৃত তিনজনকে উদ্ধারে কাজ শুরু করি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পরপরই স্বজনদের অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়।’

আরও পড়ুন:
সাবেক স্ত্রীর তথ্যে ধরা অপহরণকারী চক্রের হোতা
এক চক্রের হাতে অপহৃত ৫ শতাধিক শিশু
আতশবাজির প্রলোভন দেখিয়ে খুন, জন্মদিনে শিশুর মরদেহ উদ্ধার
৯৯৯-এ ফোন পেয়ে অপহৃতকে উদ্ধার, নারীসহ গ্রেপ্তার ৩
অপহরণ-মুক্তিপণের ‘হটস্পট’ পর্যটন নগরী

মন্তব্য

p
উপরে