× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Whether Jahangir will regain the post of mayor or not will be decided on Thursday
google_news print-icon

জাহাঙ্গীর মেয়র পদ ফিরে পাবেন কি না সিদ্ধান্ত বৃহস্পতিবার

জাহাঙ্গীর-মেয়র-পদ-ফিরে-পাবেন-কি-না-সিদ্ধান্ত-বৃহস্পতিবার
মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। ছবি: সংগৃহীত
জাহাঙ্গীর আলমকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে জারি করা রুলের শুনানি শেষে বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের দিন ধার্য করেন।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ ফিরে পেতে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের করা রিটের শুনানি শেষ হয়েছে, পরে রায়ের জন্য বৃহস্পতিবার দিন ঠিক করেছে দিয়েছে আদালত।

জাহাঙ্গীর আলমকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে জারি করা রুলের শুনানি শেষে বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের দিন ধার্য করে।

আদালতে জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও আইনজীবী এমকে রহমান। আর গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মমতাজ উদ্দিন ফকির ও আইনজীবী সানজিদা খানম।

এর আগে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া জাহাঙ্গীর আলম পদ ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে তাকে সাময়িক বরখাস্তের আইনি বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়।

বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীরকে দল থেকে বহিষ্কার করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এরপর জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। তবে ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে গাজীপুরের সাময়িক বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে ক্ষমা ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ।

এর আগে ২০১৮ সালে গাজীপুর সিটি করপোরশেন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দলীয় প্রতীকে মেয়র নির্বাচিত হন জাহাঙ্গীর আলম।

আরও পড়ুন:
ক্রিকেটার আল আমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি ফের পেছাল
‘৭০ বছরেও বাংলা আইনের ভাষা না হওয়াটা লজ্জার’
ধর্ষণের মামলায় মামুনুলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য তিন পুলিশ কর্মকর্তার
আদালত থেকে বিচারপ্রার্থীকে বের করে দিলেন আইনজীবী
প্রশ্নপত্র ফাঁস: বুয়েট অধ্যাপকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
42 gold bars recovered and arrested in Jeevannagar

জীবননগরে ৪২টি স্বর্ণ বার উদ্ধার, আটক ৫

জীবননগরে ৪২টি স্বর্ণ বার উদ্ধার, আটক ৫ জীবননগর পৌর এলাকার বাজারপাড়ায় পুলিশের অভিযানে উদ্ধার স্বর্ণ বার ও অলঙ্কার। ছবি: নিউজবাংলা
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় বৃহস্পতিবার দিনভর অভিযান চালায় বিজিবি ও পুলিশ। এসব অভিযানে ৪২টি স্বর্ণ বার উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত এই স্বর্ণের দাম আনুমানিক সাড়ে ৫ কোটি টাকা।

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে পৃথক অভিযান চালিয়ে ৪২টি স্বর্ণের বার এবং অলঙ্কার উদ্ধার করেছে পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি। এ সময় আটক করা হয়েছে ৫ চোরাকারবারিকে।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জীবননগর উপজেলার পাতিলা গ্রাম, হাসাদহ বাসস্ট্যান্ড ও জীবননগর পৌর এলাকার বাজারপাড়ায় ওই পৃথক অভিযান চালানো হয়। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের ওজন প্রায় ৫ কেজি, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা।

জীবননগরে ৪২টি স্বর্ণ বার উদ্ধার, আটক ৫
জীবননগরের হাসাদহ বাসস্ট্যান্ডে অভিযানে উদ্ধার হওয়া স্বর্ণ বার ও আটককৃতরা। ছবি: নিউজবাংলা

পুলিশ ও বিজিবি জানায়, স্বর্ণ চোরাচালান চেষ্টার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সকালে জীবননগর উপজেলার পাতিলা গ্রামে অভিযান চালানো হয়। এ সময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে মোটরসাইকেলযোগে পালানোর চেষ্টা করে দুই ব্যক্তি। এ সময় মোটরসাইকেলের পেছনের আসনে বসা ব্যক্তি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে পড়ে গেলে তাকে আটক করা হয়। পরে তার দেহ তল্লাশি করে ১৬টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। আটক সেলিম হোসেন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা গ্রামের জাফর আলীর ছেলে।

অপরদিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জীবননগর পৌর এলাকার বাজারপাড়ায় অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায় এক চোরাকারবারি। পরে ওই মোটরসাইকেল তল্লাশি করে দেড় কেজি ওজনের ১২টি স্বর্ণের বার, একটি চেইন ও দুটি ব্রেসলেট উদ্ধার করা হয়।

এছাড়া স্বর্ণ চোরাচালানের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জীবননগর উপজেলার হাসাদহ বাসস্ট্যান্ডে অভিযান চালিয়ে একটি প্রাইভেটকারসহ চারজনকে আটক করা হয়। এ সময় প্রাইভেটকারটি তল্লাশি করে উদ্ধার করা হয় ১৪টি স্বর্ণের বার। যার ওজন প্রায় আড়াই কেজি। আনুমানিক মূল্য ২ কোটি ২৪ লাখ ৭৫ হাজার ৭৫১ টাকা।

জীবননগরে ৪২টি স্বর্ণ বার উদ্ধার, আটক ৫

আটককৃতরা হলেন- নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার জিহাদ মোল্লার ছেলে ওবাদুল মোল্লা, তমসুল মোল্লার ছেলে মাহাবুব হাসান, ইনসান কাজীর ছেলে রিয়াজ কাজী এবং একই জেলার নড়াগাতী উপজেলার থাশিয়ান গ্রামের ইয়ার আলীর ছেলে শেখ সোহেল রানা।

ঝিনাইদহ মহেশপুর-৫৮ বিজিবির পরিচালক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মাসুদ পারভেজ রানা জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দিয়ে জীবননগর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন:
চট্টগ্রামে এক দিনের ব্যবধানে আবারও স্বর্ণ উদ্ধার
দরজার কব্জায় মিলল ১ কেজি স্বর্ণ, আটক যাত্রী
শার্শার পাঁচ ভুলাট সীমান্তে ১৪ স্বর্ণের বার উদ্ধার
স্বর্ণের দাম কিছুটা কমল
কোমরে লুকিয়ে ৩ কোটি টাকার স্বর্ণ যাচ্ছিল ভারতে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Few judges for 18 crore people Justice Naima Haider

১৮ কোটি মানুষের জন্য বিচারকের সংখ্যা কম: বিচারপতি নাইমা হায়দার

১৮ কোটি মানুষের জন্য বিচারকের সংখ্যা কম: বিচারপতি নাইমা হায়দার সিরাজগঞ্জ বিচার বিভাগের আয়োজনে শুক্রবার মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন বিচারপতি নাইমা হায়দার। ছবি: নিউজবাংলা
বিচারপতি নাইমা হায়দার বলেন, ‘মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে বিচারক ও আইনজীবী উভয়ের ভূমিকা রয়েছে। মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।’

১৮ কোটি মানুষের জন্য দেশে বিচারকের সংখ্যা কম। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি নাইমা হায়দার এ কথা বলেছেন।

শুক্রবার সকালে সিরাজগঞ্জ বিচার বিভাগের আয়োজনে শহীদ সোহেল আহম্মেদ জগন্নাথ পাড়ে স্মৃতি সম্মেলনকক্ষে এক মতবিনিময় সভায় তিনি ওই কথা বলেন।

বিচারপতি নাইমা হায়দার বলেন, ‘নানা ধরনের জটিলতার কারণে বিচার দ্রুত সময়ে হয়ে থাকে না। এ ক্ষেত্রে বিচারকরা মূল ভূমিকায় নয়। অনেক মামলায় সাক্ষীর কারণে সময় পার হয়। মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে বিচারক ও আইনজীবী উভয়ের ভূমিকা রয়েছে। মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।’

বক্তব্যে তিনি সিরাজগঞ্জ আদালতে মামলা দ্রুত সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি হচ্ছে জানিয়ে সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান।

সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মো. নাজিরের সভাপতিত্বে ‘আদালতে বিচারাধীন মামলা বিশেষত পুরাতন দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলাসমূহ অগ্রাধিকারভিত্তিক দ্রুত নিষ্পত্তি আইনি সহায়তা’ মতবিনিময় সভা হয়।

এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক নাসিরুল হক, ২-এর বিচারক সালমা খাতুন, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাশেদ তালুকদার, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আহসান হাবীব, সহকারী প্রসিকিউটর আব্দুর রহমান, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি কায়সার আহমেদ লিটন।

এর আগে সিরাজগঞ্জ আদালত চত্বরে নির্মিত ন্যায়কুঞ্জ ভবনের উদ্বোধন করা হয়। পরে আদালত চত্বরে বৃক্ষরোপণ করেন বিচারপতি নাইমা হায়দার।

আরও পড়ুন:
বিচারিক ক্ষমতা হারালেন বগুড়ার সেই বিচারক
বিচারকের পা ধরলেন অভিভাবকরা, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিচারক বদলির আল্টিমেটামের সময় বাড়ালেন আইনজীবীরা
বিচারককে গালির ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি নারী বিচারকদের
বিচারকের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের বিচার আদালত করবে: আইনমন্ত্রী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Yunus Center explained about tax evasion allegations

কর ফাঁকির অভিযোগের ব্যাখ্যা ইউনূস সেন্টারের

কর ফাঁকির অভিযোগের ব্যাখ্যা ইউনূস সেন্টারের শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ফাইল ছবি
ড. মুহাম্মদ ইউনূস জীবনে কোনো সম্পদের মালিক হতে চাননি জানিয়ে ইউনূস সেন্টার বলে, কোথাও তার মালিকানায় কোনো সম্পদ নেই। সে কারণেই তিনি নিজের উপার্জনের টাকা দিয়ে ‘প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ট্রাস্ট’ ও ‘ইউনূস ফ্যামিলি ট্রাস্ট’ নামে দুটি ট্রাস্ট গঠন করেন।

আয়কর রেফারেন্স মামলা নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে রাষ্ট্রপক্ষের সঙ্গে আইনি লড়াই চলছে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ১৫ কোটি টাকা কর দাবি করা মামলা নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে ইউনূস সেন্টার।

শুক্রবার সকালে ফেসবুক পোস্টে সংস্থাটি জানায়, ড. ইউনূসের টাকা নিয়ে পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনে যে আলাপ চলছে, তার পুরোটাই প্রফেসর ইউনূসের উপার্জিত টাকা। এই টাকা বৈধভাবে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে আনা হয়েছে। এ বিষয়ে কর বিভাগ অবহিত আছে। কারণ সব টাকার হিসাব তার আয়কর রিটার্নে উল্লেখ থাকে।

টাকার উৎস

ড. ইউনূসের অর্থ উপার্জনের উৎসের বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ড. ইউনূসের আয়ের প্রধান উৎস তার বক্তৃতার ওপর প্রাপ্ত ফি, বই বিক্রি ও পুরস্কারের টাকা। আয়ের প্রায় সম্পূর্ণ অর্থই বিদেশে অর্জিত ও বৈধভাবে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে আনা।

ট্রাস্ট গঠন

ড. মুহাম্মদ ইউনূস জীবনে কোনো সম্পদের মালিক হতে চাননি বলে জানায় সেন্টার। পোস্টে সংস্থাটি বলে, এত টাকা দিয়ে কী করবেন, সেটি ভাবছিলেন শান্তিতে নোবেলজয়ী।

ইউনূস সেন্টারের ভাষ্য, ড. ইউনূস মালিকানামুক্ত থাকতে চান। কোথাও তার মালিকানায় কোনো সম্পদ (বাড়ি, গাড়ি, জমি, শেয়ার ইত্যাদি) নেই। সে কারণেই তিনি নিজের উপার্জনের টাকা দিয়ে ‘প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ট্রাস্ট’ ও ‘ইউনূস ফ্যামিলি ট্রাস্ট’ নামে দুটি ট্রাস্ট গঠন করেন।

সংস্থাটি জানায়, উত্তরসূরিদের কল্যাণে মোট টাকার ৬ শতাংশ দিয়ে ইউনূস ফ্যামিলি ট্রাস্ট গঠন করেন ড. ইউনূস। শুধু তাই নয়, তার পরবর্তী প্রজন্ম ছাড়া ফ্যামিলি ট্রাস্টের সম্পদ পরিবারের আর কোনো সদস্য বা পরবর্তী প্রজন্মগুলো ভোগ করতে পারবে না বলেও বিধান রাখেন তিনি। ফ্যামিলি ট্রাস্টের মূল দলিলে তিনি বিধান রাখেন, তার পরবর্তী এক প্রজন্ম পরে এই ট্রাস্টের অবশিষ্ট টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে মূল ট্রাস্টে অর্থাৎ প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ট্রাস্টে ফিরে যাবে।

ট্রাস্টের লক্ষ্য বাস্তবায়নে তার অবর্তমানে টাকাগুলো যাতে ট্রাস্টিদের তত্ত্বাবধানে নিরাপদে থাকে, সে কারণেই এমন বিধান বলে জানায় সংস্থাটি।

দানকর প্রসঙ্গে

ওই পোস্টে ইউনূস সেন্টার জানিয়েছে, নিজের টাকা নিজের কাছে রেখে দিলে ড. ইউনূসকে তুলনামূলক কম ট্যাক্স দিতে হতো। কারণ ব্যক্তিগত করের হার প্রতিষ্ঠানিক করের হারের চেয়ে কম।

এতে আরও বলা হয়, দানকরের প্রসঙ্গটি প্রথম তোলেন তার আইনজীবী। তিনি বলেন, ট্রাস্ট গঠন করলে তাকে দানকর দিতে হবে না। কারণ বড় ট্রাস্টটি জনকল্যাণের জন্য প্রতিষ্ঠিত। ফ্যামিলি ট্রাস্টের ব্যাপারে তিনি পরামর্শ দেন, এ ক্ষেত্রে (ড. ইউনূসের অবর্তমানে তার সম্পদের কী হবে, সে চিন্তায় যদি তিনি কোনো ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন) তাকে কোনো কর দিতে হবে না। কারণ এটা হবে তার অর্জিত টাকার একটি সুব্যবস্থা করে যাওয়া।

ইউনূস সেন্টারের ভাষ্য, আইনজীবীর পরামর্শেই টাকা ট্রাস্টে স্থানান্তর করার সময় ড. ইউনূস কোনো কর দেননি, কিন্তু আয়কর রিটার্ন জমার পর কর বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা তাকে জানান, এ ক্ষেত্রে তাকে কর দিতে হবে। রিটার্নের যেখানে তিনি দানের তথ্যটি উল্লেখ করেছিলেন, সংশ্লিষ্ট কর কর্মকর্তা তার ওপর দানকর ধার্য করে দিলেন।

টাকার অঙ্কটা তিনি ‘রিটার্নস’-এ উল্লেখ করায় কর কর্মকর্তা তা দেখে কর আরোপ করেন।

আদালতের শরণাপন্ন

ইউনূস সেন্টারের ভাষ্য, আইনজীবীর পরামর্শের সঙ্গে কর বিভাগের কর্মকর্তার কথার মিল না থাকায় ড. ইউনূস এ বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত চাইলে আদালত কর দেয়ার পক্ষে মত দেয়। এখানে তার কর ফাঁকি দেয়ার কোনো প্রশ্নই নেই। কর দিতে হবে কি না, এ ব্যাপারে তিনিই আদালতের সিদ্ধান্ত জানতে চান। আদালতে সরকার পক্ষ নয়, অধ্যাপক ইউনূস গিয়েছেন।

ইউনূস সেন্টার জানায়, কর বিভাগ কোনো পর্যায়ে বলেনি যে, প্রফেসর ইউনূস কর ফাঁকি দিয়েছেন। এখানে কর ফাঁকি দেওয়ার কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। প্রশ্ন ছিল আইনের প্রয়োগযোগ্যতা নিয়ে। আদালতের সিদ্ধান্তের পর এখন অধ্যাপক ইউনূস বিবেচনা করবেন, তিনি কর পরিশোধ করবেন নাকি উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত চাইবেন।

করের আইন যদি এ ক্ষেত্রে প্রয়োগযোগ্য না হয়, তাহলে দাবিকৃত ওই টাকা তিনি জনহিতকর কাজে ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন।

ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার জন্য নয়, জনকল্যাণে টাকাটা খরচ করাই তার মূল উদ্দেশ্য বলে জানায় ইউনূস সেন্টার।

বিদেশ ভ্রমণ প্রসঙ্গে

ড. ইউনূস বিদেশ ভ্রমণে বিপুল অর্থ ব্যয় করেন বলে যে অভিযোগে উঠেছে, তা মোটেও সত্য নয় বলে দাবি করেছে ইউনূস সেন্টার।

সংস্থাটি জানায়, তার বিদেশ ভ্রমণের সব ব্যয় আমন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বহন করে। শুধু তাই নয়, প্রতিবার ভ্রমণের সময় সফরসঙ্গী হিসেবে একজন অতিরিক্ত ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার খরচও আমন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বহন করে থাকে।

ইউনূস সেন্টার জানায়, নোবেলজয়ী এ অর্থনীতিবিদের বিদেশ ভ্রমণ-সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যয় তার কোনো ট্রাস্টকে বা তাকে বহন করতে হয় না। এমনকি মাঝে মাঝে তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রাইভেট বিমানও পাঠিয়ে দেয়া হয়।

আয়কর রেফারেন্স মামলা

আয়কর রেফারেন্স নিয়ে করা তিনটি মামলার শুনানি শেষে ৩১ মে এনবিআরের নোটিশের বৈধতা নিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চ্যালেঞ্জ খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে তাকে এনবিআরের দাবি করা ১৫ কোটি টাকা দানকর পরিশোধ করতে নির্দেশ দেয় আদালত।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ১৯৯০ সালের দানকর আইন অনুযায়ী ২০১১-২০১২ করবর্ষে ৬১ কোটি ৫৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকা দানের বিপরীতে প্রায় ১২ কোটি ২৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা কর দাবি করে নোটিশ পাঠায় এনবিআর। একইভাবে ২০১২-২০১৩ করবর্ষে ৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা দানের বিপরীতে প্রায় এক কোটি ৬০ লাখ টাকা দানকর দাবি করে আরেকটি নোটিশ দেয় প্রতিষ্ঠানটি।

২০১৩-২০১৪ করবর্ষে ৭ কোটি ৬৫ হাজার টাকা দানের বিপরীতে প্রায় এক কোটি ৫০ লাখ টাকা কর দাবি করে নোটিশ দেয়া হয়। দানের বিপরীতে কর দাবি করে এনবিআরের এসব নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন ড. ইউনূস। তার দাবি, আইন অনুযায়ী দানের বিপরীতে এনবিআর এই কর দাবি করতে পারে না।

এই মামলার শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালে খারিজ করে রায় দেয় কর আপিল ট্রাইব্যুনাল। এরপর হাইকোর্টে আলাদা তিনটি আয়কর রেফারেন্স মামলা করেন ড. ইউনূস।

হাইকোর্ট তার মামলার প্রাথমিক শুনানি নিয়ে দানকর দাবির নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত করে ২০১৫ সালে রুল জারি করে। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বুধবার রায় দেয় উচ্চ আদালত।

নিয়ম অনুযায়ী করের ১০ শতাংশ হারে ৩ কোটি ৬১ লাখ ৭০ হাজার ৪৪৮ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। বাকি ১২ কোটি টাকা ড. ইউনূসকে পরিশোধ করতে হবে।

আরও পড়ুন:
ড. ইউনূসের নামে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা চলতে বাধা নেই
ড. ইউনূসকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ৪০ বিশ্বনেতার খোলা চিঠি
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে ড. ইউনূসের আপিল
শ্রম আদালতে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা চলবে
ড. ইউনূসের মামলা বাতিল প্রশ্নে রুলের শুনানি চলছে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bean seller beaten to death in Chittagong

চট্টগ্রামে পান বিক্রেতাকে পিটিয়ে হত্যা

চট্টগ্রামে পান বিক্রেতাকে পিটিয়ে হত্যা বৃহস্পতিবার রাতে পতেঙ্গা থানাধীন চরপাড়া সৈকত এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। ছবি: নিউজবাংলা
পতেঙ্গা থানার ওসি আফতাব হোসাইন বলেন, ‘কথা কাটাকাটির জেরে এক ভাতের হোটেল মালিকের সঙ্গে নিহত আলমগীর মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তিনি সংজ্ঞা হারালে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’

চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় খাবারের দোকানি ও তার কর্মচারীর মারধরে মো. আলমগীর নামের এক ফেরি করে পান-সিগারেট বিক্রেতার মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে পতেঙ্গার চরপাড়া সৈকত এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

নিহত ৫০ বছর বয়সী আলমগীর চরপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পতেঙ্গা থানার ওসি আফতাব হোসাইন।

তিনি বলেন, ‘কথা কাটাকাটির জেরে চরপাড়া সৈকত এলাকার এক ভাতের হোটেল মালিকের সঙ্গে নিহত আলমগীর মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় ওই ভাতের হোটেল মালিক ও তার কর্মচারী মিলে আলমগীরকে মারধর করেন। একপর্যায়ে তিনি সংজ্ঞা হারালে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয়। তখন চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’

এই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন:
নিয়ম না মেনে তেলাপোকা মারার বিষ ব্যবহারে দুই শিশুর মৃত্যু: ডিবি
‘বিষক্রিয়ায়’ দুই ভাইয়ের মৃত্যু: বালাইনাশক কোম্পানির এমডি, চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে বাবার মৃত্যু

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Husband accused of hacking and burning Metlife Insurance worker

স্বামীর বিরুদ্ধে মেটলাইফ ইন্স্যুরেন্সের কর্মীকে কুপিয়ে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ

স্বামীর বিরুদ্ধে মেটলাইফ ইন্স্যুরেন্সের কর্মীকে কুপিয়ে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ ইন্স্যুরেন্স কর্মীর মরদেহ ঢামেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ফাইল ছবি
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের এক চিকিৎসক নিউজবাংলাকে জানান, নিনার শরীর পুড়ে যাওয়ার পাশাপাশি তাতে ক্ষতচিহ্ন ছিল। তার স্বামীর তাড়াহুড়া দেখে চিকিৎসকের সন্দেহ হয়। পরে হাসপাতাল থেকে থানায় ফোন করলে পুলিশ এসে বার্ন ইনস্টিটিউট থেকে স্বামীকে আটক করে।

রাজধানীর রামপুরার হাজীপাড়ার বিসমিল্লাহ টাওয়ারে নিনা খান (৪৩) নামের নারীকে তার স্বামী কুপিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

মেটলাইফ বাংলাদেশ নামের ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির কর্মী নিনাকে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান তার স্বামী গিয়াস উদ্দিন। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।

বার্ন ইনস্টিটিউটের এক চিকিৎসক নিউজবাংলাকে জানান, নিনার শরীর পুড়ে যাওয়ার পাশাপাশি তাতে ক্ষতচিহ্ন ছিল। তার স্বামীর তাড়াহুড়া দেখে চিকিৎসকের সন্দেহ হয়। পরে হাসপাতাল থেকে থানায় ফোন করলে পুলিশ এসে বার্ন ইনস্টিটিউট থেকে স্বামীকে আটক করে।

ইন্স্যুরেন্স কর্মীর ভাই শওকত হোসেন খান বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে এসে দেখি, আমার বোনের পোড়া ও ক্ষতচিহ্ন নিয়ে নিথর দেহ পড়ে আছে বিছানায়।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যা শুনেছি শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে এসে দেখি সব উল্টো। যদি আমার বোন পুড়ে থাকে, তাহলে তার দেহতে ধারালো অস্ত্রের ক্ষত হলো কীভাবে? এটা দুর্ঘটনা নয়, আমার বোনকে ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে।’

কান্নাজড়িত কণ্ঠে শওকত বলেন, ‘আপনাদের লেখনীর মাধ্যমে আমার বোনের হত্যার বিচার চাই।’

তিনি জানান, তার বোন ও ভগ্নিপতি উভয়ই মগবাজার এলাকায় মেটলাইফ বাংলাদেশে কাজ করেন। তাদের (নিনা) গ্রামের বাড়ি নরসিংদী জেলার পলাশ থানায়।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, ময়নাতদন্তের জন্য নিনার মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
বলাৎকারের দৃশ্য দেখে ফেলায় শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যা
তেলাপোকার ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা, হাসপাতালে মৃত্যু চবি ছাত্রীর
মহাসড়কে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে যুবককে হত্যা
জুয়ার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে হত্যা, সব আসামি খালাস
বনানী চেকপোস্টে বুকে গুলি করে পুলিশ সদস্যের ‘আত্মহত্যা’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Tried to burn the housewife by tying her hands and feet

হাত-পা বেঁধে গৃহবধূকে আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা

হাত-পা বেঁধে গৃহবধূকে আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা অগ্নিদগ্ধ ওই নারী বর্তমানে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। ফাইল ছবি
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, বোরকা পরে দুইজন অজ্ঞাতনামা লোক এসে ওই নারীকে আগুন দিয়ে বাইরে থেকে ঘ‌রের দরজা বন্ধ করে চলে যায়। এ সময় তার সঙ্গে একটি শিশু ছিল। সেও আগু‌নে দগ্ধ হ‌য়ে‌ছে।

পটুয়াখালীর দুমকী‌তে এক গৃহবধূর হাত-পা বেঁধে শরী‌রে কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্প‌তিবার বিকাল তিনটার দিকে দুমকী নতুন বাজারের দক্ষিণ পাশে চেয়ারম্যান বাড়ির এক‌টি বাসায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, বোরকা পরে দুইজন অজ্ঞাতনামা লোক এসে ওই নারীকে আগুন দিয়ে বাইরে থেকে ঘ‌রের দরজা বন্ধ করে চলে যায়। এ সময় তার সঙ্গে একটি শিশু ছিল। সেও আগু‌নে দগ্ধ হ‌য়ে‌ছে।

পরে ভুক্তভোগীর চিৎকারে আশেপাশের মানুষ এসে তাদের উদ্ধার ক‌রে দ্রুত ব‌রিশালের শেবা‌চিম হাসপাতা‌লে পা‌ঠা‌নো হয়। সেখানে ওই নারীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠা‌নো হয়।

অ‌গ্নিদগ্ধ গৃহবধূ ওই এলাকার জামাল হো‌সেনের স্ত্রী। জামাল দুমকী বাজা‌রে এক‌টি ক‌ম্পিউটা‌রের দোকা‌নে কাজ ক‌রেন।

দুমকী থানার ও‌সি আবুল বাশার বলেন, ‘দুপু‌রের খাবা‌র খেয়ে জামাল বাসা থেকে দোকানের উ‌দ্দেশে বাসা থে‌কে বের হবার ২০ মি‌নিটের মধ্যে বোরকা প‌রি‌হিত দুইজন লোক তার ঘরে প্রবেশ ক‌রে গৃহবধূর হাত-পা বেঁধে শরীরে কেরো‌সিন ঢেলে আগুন জ্বা‌লি‌য়ে চলে যায়।’

ও‌সি বলেন, ‘সব‌কিছু যাচাই-বাচাই করা হচ্ছে। আমরা খোঁজ-খবর নি‌চ্ছি। প্রাথ‌মিকভা‌বে কোনোকিছুই ধারণা করা যাচ্ছে না।’

পরব‌র্তীতে কোনো তথ‌্য পে‌লে জানানো হ‌বে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন:
কয়েলের আগুনে মা ও দুই সন্তানের মৃত্যু
সাগরে জ্বলছিল নৌযান, কিছু করার ছিল না ফায়ার সার্ভিসের

মন্তব্য

বাংলাদেশ
EC directed to take action on allegations of vote rigging in 8 centers

৮ কেন্দ্রে ভোটে কারচুপির অভিযোগ নিয়ে ব্যবস্থার নির্দেশ ইসির

৮ কেন্দ্রে ভোটে কারচুপির অভিযোগ নিয়ে ব্যবস্থার নির্দেশ ইসির এস এম ইমরুল কায়েস চৌধুরী। ফাইল ছবি
গত মঙ্গলবার কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েলকে উদ্দেশ্য করে ইমরুল কায়েস বলেন, ‘কায়সারুল হক জুয়েল তুমি একজন অকৃতজ্ঞ ও অমানুষ। কারণ গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে গিয়ে তোমার জন্য আটটি কেন্দ্রে আমি ভোট ডাকাতি করেছি।’

কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে নৌকার মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে আটটি কেন্দ্রে ভোটে কারচুপি করেছেন বলে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছেন হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী। তিনি উখিয়া উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

মঙ্গলবার রাতে কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহবুবুর রহমান চৌধুরীর পক্ষে নির্বাচনী পথসভায় এমন বক্তব্য দিলে বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের নজরে আসে৷

উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এস এম ইমরুল কায়েস চৌধুরীর বক্তব্যের বিষয়ে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে ইসি।

বৃহস্পতিবার ইসির জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক আশাদুল হক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে ৮ তারিখ প্রকাশিত সংবাদে কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব এস এম ইমরুল কায়েস চৌধুরীর বক্তব্যের বিষয়ে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করার জন্য সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়কে পত্র দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

গত মঙ্গলবার কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েলকে উদ্দেশ্য করে ইমরুল কায়েস বলেন, ‘কায়সারুল হক জুয়েল তুমি একজন অকৃতজ্ঞ ও অমানুষ। কারণ গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে গিয়ে তোমার জন্য আটটি কেন্দ্রে আমি ভোট ডাকাতি করেছি।’

আরও পড়ুন:
চট্টগ্রাম-১০ আসনে ভোট ৩০ জুলাই
সিলেটে পোস্টার নিয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা মানছেন না প্রার্থীরা
নির্বাচন কমিশন সরকারের প্রতিনিধিত্ব করে না: সিইসি

মন্তব্য

p
উপরে