× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Chiangmai Ninth Dhaka at the top of the wind low
google_news print-icon

বাতাসের নিম্ন মানে শীর্ষে চিয়াংমাই, নবম ঢাকা

বাতাসের-নিম্ন-মানে-শীর্ষে-চিয়াংমাই-নবম-ঢাকা
দূষিত বাতাসে থাইল্যান্ডের চিয়াংমাই ও ঢাকার বাসিন্দাদের চলাচল। কোলাজ: নিউজবাংলা
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মানবিষয়ক প্রযুক্তি কোম্পানিটির র‌্যাঙ্কিংয়ে শনিবার সকাল ১০টা ৫ মিনিটে বাতাসের নিম্ন মানে ১০০টি শহরের মধ্যে নবম অবস্থানে ছিল ঢাকা। আগের দিন শুক্রবার বেলা ১১টা ৫৬ মিনিটে বাতাসের নিম্ন মানে শহরগুলোর মধ্যে ১১তম অবস্থানে ছিল বাংলাদেশের রাজধানী।

দ্বিতীয় রোজা ও সরকারি ছুটির দিনে আইকিউএয়ারের তালিকায় চরম অবনতি না হলেও বাতাসের নিম্ন মানে শীর্ষ দশে রয়েছে ঢাকা।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মানবিষয়ক প্রযুক্তি কোম্পানিটির র‌্যাঙ্কিংয়ে শনিবার সকাল ১০টা ৫ মিনিটে বাতাসের নিম্ন মানে ১০০টি শহরের মধ্যে নবম অবস্থানে ছিল ঢাকা। আগের দিন শুক্রবার বেলা ১১টা ৫৬ মিনিটে বাতাসের নিম্ন মানে শহরগুলোর মধ্যে ১১তম অবস্থানে ছিল বাংলাদেশের রাজধানী।

বাতাসের নিম্ন মানে শীর্ষে চিয়াংমাই, নবম ঢাকা

আজ সকালের ওই সময়ে বাতাসের নিম্ন মানের দিক থেকে শীর্ষে ছিল উত্তর থাইল্যান্ডের বৃহত্তম শহর চিয়াংমাই। দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে ছিল তাইওয়ানের কাউসিউং ও ঘানার আক্রা।

বাতাসের নিম্ন মানে শীর্ষে চিয়াংমাই, নবম ঢাকা

আইকিউএয়ার জানিয়েছে, শনিবার সকালের ওই সময়ে ঢাকার বাতাসে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অতি ক্ষুদ্র কণা পিএম২.৫-এর উপস্থিতি ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আদর্শ মাত্রার চেয়ে ১০ দশমিক ৩ গুণ বেশি। একই সময়ে চিয়াংমাইয়ের বাতাসে পিএম২.৫-এর উপস্থিতি ছিল ডব্লিউএইচওর আদর্শ মাত্রার চেয়ে ২৮ দশমিক ৬ গুণ বেশি।

নির্দিষ্ট স্কোরের ভিত্তিতে কোনো শহরের বাতাসের ক্যাটাগরি নির্ধারণের পাশাপাশি সেটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাকি ক্ষতিকর, তা জানায় আইকিউএয়ার।

কোম্পানিটি শূন্য থেকে ৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘ভালো’ ক্যাটাগরিতে রাখে। অর্থাৎ এ ক্যাটাগরিতে থাকা শহরের বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।

৫১ থেকে ১০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘মধ্যম মানের বা সহনীয়’ হিসেবে বিবেচনা করে কোম্পানিটি।

আইকিউএয়ারের র‌্যাঙ্কিংয়ে ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরিতে ধরা হয়।

১৫১ থেকে ২০০ স্কোরে থাকা শহরের বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরির বিবেচনা করা হয়।

র‌্যাঙ্কিংয়ে ২০১ থেকে ৩০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।

তিন শর বেশি স্কোর পাওয়া শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচনা করে আইকিউএয়ার।

সকাল ১০টা ৫ মিনিটে ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ১৪০। এর মানে হলো সে সময়টাতে সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ছিল রাজধানীর বাতাস। একই সময়ে চিয়াংমাইয়ের বাতাসের স্কোর ছিল ২০৩। এর অর্থ হলো ওই সময়ে খুবই অস্বাস্থ্যকর বাতাস নিতে হয় চিয়াংমাইবাসীকে।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Forestry wins SDG Brand Champion Awards in Climate and Environment category

জলবায়ু ও পরিবেশ বিভাগে এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ডস বিজয়ী ‘বনায়ন’

জলবায়ু ও পরিবেশ বিভাগে এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ডস বিজয়ী ‘বনায়ন’ র‍্যাডিসন ব্লু ঢাকা হোটেলের ওয়াটার গার্ডেনে এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ডস-২০২৩ আয়োজন করা হয়। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
র‍্যাডিসন ব্লু ঢাকা হোটেলের ওয়াটার গার্ডেনে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রামে ১১টি বিজয়ী ও ১৩টি সম্মানসূচক উল্লেখসহ বিভিন্ন বিভাগে ২৪টি উদ্যোগকে স্বীকৃতি দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে বনায়নের পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন গোলাম মঈন উদ্দীন।

দেশজুড়ে বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে ইতিবাচক প্রভাব রাখায় জলবায়ু ও পরিবেশ বিভাগে সম্মানজনক এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ডস-২০২৩ অর্জন করেছে বনায়ন।

র‍্যাডিসন ব্লু ঢাকা হোটেলের ওয়াটার গার্ডেনে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রামে ১১টি বিজয়ী ও ১৩টি সম্মানসূচক উল্লেখসহ বিভিন্ন বিভাগে ২৪টি উদ্যোগকে স্বীকৃতি দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে বনায়নের পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন গোলাম মঈন উদ্দীন।

এ সময় তার সঙ্গে বনায়নের প্রতিনিধি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন হোর্হে লুইস মাসেদো, আহমেদ রায়হান আহসান উল্লাহ ও সাজ্জাদ হোসেন।

বাংলাদেশ সরকারের বন অধিদপ্তরের ব্যাপক পরিসরে বৃক্ষরোপণের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৯৮০ সালে যাত্রা শুরু করে বনায়ন প্রকল্প।

সরকারের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজিএস) অর্জনে শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এ প্রকল্প।

২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে বৃক্ষ আচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ ২৫ শতাংশে উন্নীত করার মাধ্যমে এসডিজি-১৩ (জলবায়ু কার্যক্রম) ও এসডিজি-১৫ (স্থলজ জীবন) লক্ষ্য অর্জনে সরকারকে সহায়তা করছে বনায়ন প্রকল্প।

বনায়নের মাধ্যমে দেশের বেসরকারি খাতে সর্ববৃহৎ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে।

প্রতিবছর বনায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ৫০ লাখ ফল, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা বিতরণ করা হয়।

দেশের ২২টি জেলায় এ উদ্যোগের আওতায় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এ পর্যন্ত বিনামূল্যে ৪৫টির বেশি বিভিন্ন প্রজাতির ১২ কোটি চারা বিতরণ করা হয়।

গত বছরগুলোতে ফলপ্রসূ সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের মাধ্যমে বনায়ন দেশজুড়ে কয়েকটি ইমপ্যাক্ট জোন তৈরি করে।

বনায়নের উল্লেখযোগ্য কিছু প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, কুষ্টিয়া বাইপাস রোড, যমুনা সেতু সড়ক সবুজায়ন।

বনায়ন প্রকল্প এ পর্যন্ত পাঁচবার সম্মানজনক প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার এবং একবার প্রধান উপদেষ্টার পুরস্কার পায়।

আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও অর্জন করে এ উদ্যোগ। এর মধ্যে গ্রিন লিডারশিপের জন্য এন্টারপ্রাইজ এশিয়া থেকে ‘এশিয়া রেসপন্সিবল অন্টারপ্রনারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ ও ‘বাংলাদেশ ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড ২০২১’ রয়েছে।

আরও পড়ুন:
উপায় ঈদ ক্যাম্পেইনে বিজয়ী চট্টগ্রাম অঞ্চলের এজেন্টরা পেলেন পুরস্কার
উপায় ঈদ ক্যাম্পেইনের পুরস্কার পেলো বিজয়ীরা
স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
‘বিশ্ব শিশু পুরস্কার’ দৌড়ে নৌকা স্কুলের রেজোয়ান
যারা পেলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The wind low means that the top covers the second Delhi

বাতাসের নিম্ন মানে শীর্ষে ঢাকা, দ্বিতীয় দিল্লি

বাতাসের নিম্ন মানে শীর্ষে ঢাকা, দ্বিতীয় দিল্লি দূষণের মধ্য দিয়ে দিল্লি ও ঢাকার বাসিন্দাদের চলাচল। কোলাজ: নিউজবাংলা
সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ১৯১। এর মানে হলো সে সময়টাতে অস্বাস্থ্যকর বাতাসের মধ্যে বসবাস করতে হয় রাজধানীবাসীকে।

বাতাসের নিম্ন মানের দিক থেকে আইকিউএয়ারের তালিকায় নিয়মিত ওপরে থাকা ঢাকা ফের শীর্ষস্থান দখল করেছে।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মানবিষয়ক প্রযুক্তি কোম্পানিটির র‌্যাঙ্কিংয়ে রোববার সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে বাতাসের নিম্ন মানে ১০০টি শহরের মধ্যে প্রথম অবস্থানে ছিল ঢাকা।

বাতাসের নিম্ন মানে শীর্ষে ঢাকা, দ্বিতীয় দিল্লি

একই সময়ে বায়ুর নিম্ন মানের দিক থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে ছিল ভারতের রাজধানী শহর দিল্লি ও কুয়েতের রাজধানী কুয়েত সিটি।

আইকিউএয়ার জানিয়েছে, আজ সকালের ওই সময়ে ঢাকার বাতাসে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অতি ক্ষুদ্র কণা পিএম২.৫-এর উপস্থিতি ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আদর্শ মাত্রার চেয়ে ২৬ দশমিক ৫ গুণ বেশি। একই সময়ে দিল্লির বাতাসে পিএম২.৫-এর ‍উপস্থিতি ছিল ডব্লিউএইচওর আদর্শ মাত্রার চেয়ে ১৪ দশমিক ৪ গুণ বেশি।

নির্দিষ্ট স্কোরের ভিত্তিতে কোনো শহরের বাতাসের ক্যাটাগরি নির্ধারণের পাশাপাশি সেটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাকি ক্ষতিকর, তা জানায় আইকিউএয়ার।

কোম্পানিটি শূন্য থেকে ৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘ভালো’ ক্যাটাগরিতে রাখে। অর্থাৎ এ ক্যাটাগরিতে থাকা শহরের বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।

৫১ থেকে ১০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘মধ্যম মানের বা সহনীয়’ হিসেবে বিবেচনা করে কোম্পানিটি।

আইকিউএয়ারের র‌্যাঙ্কিংয়ে ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরিতে ধরা হয়।

১৫১ থেকে ২০০ স্কোরে থাকা শহরের বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরির বিবেচনা করা হয়।

র‌্যাঙ্কিংয়ে ২০১ থেকে ৩০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।

তিন শর বেশি স্কোর পাওয়া শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচনা করে আইকিউএয়ার।

সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ১৯১। এর মানে হলো সে সময়টাতে অস্বাস্থ্যকর বাতাসের মধ্যে বসবাস করতে হয় রাজধানীবাসীকে।

একই সময়ে দিল্লির বাতাসের স্কোর ছিল ১৬২। এর অর্থ হলো ওই সময়ে অস্বাস্থ্যকর বাতাস নিতে হয় দিল্লিবাসীকেও।

আরও পড়ুন:
ভিসা প্রদানে ঘুষ: মালয়েশিয়ান দূতাবাসের ২ কর্মকর্তা রিমান্ডে
শেষ কর্মদিবসে যাত্রীচাপ বেড়েছে সদরঘাটে
বৃষ্টির পর ছুটির দিনে ‘সহনীয়’ ঢাকার বাতাস
চিয়াংমাইয়ের বাতাস ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’, ঢাকার বায়ু ‘অস্বাস্থ্যকর’
বাতাসের নিম্ন মানে শীর্ষে চিয়াংমাই, নবম ঢাকা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Rain with thunder may occur in all the sections

বজ্রসহ বৃষ্টি ঝরতে পারে সব বিভাগে

বজ্রসহ বৃষ্টি ঝরতে পারে সব বিভাগে দেশজুড়ে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ফাইল ছবি
দিনভর আবহাওয়া কেমন থাকবে, তা নিয়ে জানানো হয়, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গা এবং রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

দেশের আট বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস দিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে হতে পারে শিলা বৃষ্টি।

রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এমন বার্তা দিয়েছে।

পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা নিয়ে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও সংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

দিনভর আবহাওয়া কেমন থাকবে, তা নিয়ে জানানো হয়, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গা এবং রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।

তাপমাত্রার বিষয়ে পূর্বাভাসে জানানো হয়, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

ঢাকায় বাতাসের গতি ও দিক নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, দক্ষিণ/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়ায় ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।

ঢাকায় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে সূর্য অস্ত যাবে জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, রোববার ঢাকায় সূর্যোদয় ৫টা ১২ মিনিটে।

পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার অবস্থা নিয়ে বলা হয়, বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে এবং তাপমাত্রা বাড়তে পারে।

আরও পড়ুন:
বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে সোমবার থেকে
দাবদাহ ফিরেছে, বাড়তে পারে গরম
মোখায় মিয়ানমারে ১৪৫ প্রাণহানি
সেন্ট মার্টিনে ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থ সহায়তা দেয়া শুরু
বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে সব বিভাগে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
2 Indian youths ride a bicycle in Bogra with the message of soil protection

মাটি রক্ষার বার্তা নিয়ে সাইকেলে চড়ে বগুড়ায় ভারতীয় ২ যুবক

মাটি রক্ষার বার্তা নিয়ে সাইকেলে চড়ে বগুড়ায় ভারতীয় ২ যুবক চাষযোগ্য জমি রক্ষায় সচেতনতা বাড়াতে বাইসাইকেল চালিয়ে বাংলাদেশে আসেন ভারতীয় দুই যুবক (বাঁ থেকে)। ছবি: নিউজবাংলা
পলাশ জানান, তারা প্রতিদিন একটি জেলার অন্তত ১৫ জন কৃষকের সঙ্গে কথা বলছেন। তাদের বুঝাচ্ছেন, কীটনাশক দিলে মাটির ক্ষতি হয়। এ ছাড়া রাসায়নিক সারের বদলে জৈব সার ব্যবহার এবং বেশি করে গাছ লাগানোর আহ্বান জানাচ্ছেন।

চাষযোগ্য জমি ও মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় সচেতনতা বাড়াতে বাইসাইকেল চালিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন দুই ভারতীয় যুবক।

‘মাটি বাঁচাও’ স্লোগানে ১৫ দিনের সফরে তারা বাংলাদেশের ৯টি জেলা ঘুরে প্রান্তিক মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন।

শুক্রবার দুপুরে ওই দুই যুবক বগুড়ায় পৌঁছেন।

তারা হলেন কলকাতার নদীয়ার কৃষ্ণপুর এলাকার ৪০ বছর বয়সী পলাশ পাইক ও বেলেঘাটার গৌতম কর্মকার। পলাশ পেশায় শিক্ষক। গৌতম ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার।

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে তারা ১৬ মে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন।

যশোর থেকে তারা যান খুলনায়। এরপর গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মুন্সিগঞ্জ, ঢাকা, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ হয়ে বগুড়ায় আসেন।

গৌতম জানান, পৃথিবীতে ক্রমাগতভাবে চাষযোগ্য জমি কমে যাচ্ছে। অতিমাত্রায় কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে পৃথিবীতে চাষযোগ্য জমি পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।

পলাশ ও গৌতম বিভিন্ন গবেষণার বরাতে দাবি করেন, পৃথিবীর জনসংখ্যা বাড়ছে। এতে খাদ্য উৎপাদনে বিভিন্ন সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

চাষযোগ্য জমি কমতে থাকলে পৃথিবীর মানুষ খাদ্য সংকটে পড়বে। এ প্রেক্ষাপটে ভারতে ইষা ফাউন্ডেশন নামের একটি সংগঠন মাটি বাঁচানোর আন্দোলন করছে। ওই আন্দোলনে অনুপ্রাণিত হয়ে তারা বাংলাদেশে সচেতনতা সৃষ্টিতে এসেছেন।

পলাশ জানান, তারা প্রতিদিন একটি জেলার অন্তত ১৫ জন কৃষকের সঙ্গে কথা বলছেন। তাদের বুঝাচ্ছেন, কীটনাশক দিলে মাটির ক্ষতি হয়। এ ছাড়া রাসায়নিক সারের বদলে জৈব সার ব্যবহার এবং বেশি করে গাছ লাগানোর আহ্বান জানাচ্ছেন।

পলাশ বলেন, ‘বগুড়া থেকে নাটোর, রাজশাহী, পাবনা, কুষ্টিয়ায় ক্যাম্পেইন করে বেনাপোল স্থলবন্দর হয়ে ভারতে ফিরব।’

আরও পড়ুন:
পরিবেশ অধিদপ্তর দিচ্ছে ২৭৫ সরকারি চাকরি
ছয় ভাটাকে ১৮ লাখ টাকা জরিমানা
হাঁটতে হাঁটতে আগারওয়াল এখন শেরপুরে
পঞ্চগড়ে ইউক্যালিপটাস নিয়ে উদ্বেগ
‘ম্যানেজ’ করে চলছে অবৈধ ইটভাটা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bangladesh is far behind in disaster management Mizanur Rahman

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে রয়েছে: মিজানুর রহমান

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে রয়েছে: মিজানুর রহমান দুর্যোগ ঝুঁকি নিরসনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বিষয়ক আয়োজিত কর্মশালায় অতিথিরা। ছবি: নিউজবাংলা
‘স্বাধীনতার পরে সবচেয়ে বড় কাজটি হয়েছে সিপিপি গঠন। যেটা ছিল পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের মতো একটি ধারণা। যা সারা বিশ্বে অনুকরণীয় মডেল হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে এবং সাইক্লোনের মতো দূর্যোগ ব্যস্থাপনায় বড় সক্ষমতা দিয়েছে।’

দুর্যোগ ঝুঁকি নিরসনে সকলের সমন্বিতভাবে কাজ করার তাগিদ জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মিজানুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে রয়েছে। এই ঝুঁকি নিরসনে আমাদের সম্মন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। অনেক টেকনিক ব্যবহার করতে হবে।’

বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে স্ট্রেংদেনিং আরবান পাবলিক-প্রাইভেট প্রোগ্রামিং ফর আর্থকোয়েক রেজিলিয়েন্স’ সুপার (সুপার) কনসোর্টিয়াম প্রকল্প আয়োজিত দুর্যোগ ঝুঁকি নিরসনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বিষয়ক আয়োজিত এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।

মিজানুর রহমান বলেন, ‘স্বাধীনতার পরে সবচেয়ে বড় কাজটি হয়েছে সিপিপি গঠন। যেটা ছিল পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের মতো একটি ধারণা। যা সারা বিশ্বে অনুকরণীয় মডেল হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে এবং সাইক্লোনের মতো দূর্যোগ ব্যস্থাপনায় বড় সক্ষমতা দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ঢাকায় জ্বলাশয় ভড়াট করে বিল্ডিং তৈরি করা হচ্ছে। প্রতিবছর ১ লাখ ভবন তৈরি হচ্ছে। কোন নিয়ম-নীতি মানা হচ্ছে না। এতে এই শহর বিপদের মুখে পড়ছে। তাই আমাদের আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে ভাবতে হবে। এই কর্মশালায় সুপার প্রকল্প দুর্যোগ ঝুঁকি নিরসনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারে কাজ করেছে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা আগুনের খবর খুব দ্রুত পেয়ে যাবো।’

সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে সুপার কনসোর্টিয়াম প্রকল্পের ব্যবস্থাপক আ ম নাসির উদ্দিন বলেন, স্ট্রেংদেনিং আরবান পাবলিক-প্রাইভেট প্রোগ্রামিং ফর আর্থকোয়েক রেজিলিয়েন্স' সুপার কনসোর্টিয়াম প্রকল্প, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একটি কৃত্রিক বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক সমাধান কল্ল্যাণপুর বস্তিতে পরীক্ষামূলকভাবে স্থাপন করেছে। যা আগুন এবং জলাবদ্ধতা সংক্রান্ত দুর্যোগ ঝুঁকির আগাম পূর্বাভাস দিতে সক্ষম। ফলে, দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি রোধ অনেকাংশে সম্ভব হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে ফায়ার সার্ভিস আসতে আসতে ১৫-২০ মিনিট লেগে যাচ্ছে। আমাদের এই প্রযুক্তির মাধ্যমে দুর্যোগের ১০ সেকেন্ডের মধ্যে খবর পেয়ে যাবো। এতে দুর্যোগ ঝুঁকির প্রথমেই যেনে গেলে খুব সহজেই আমরা মোকাবেলা করতে পারবো।’

কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন ডিজি একো বাংলাদেশের হেড অব অফিসের আন্না অরলান্ডি, ফায়ার সারভিস এবং সিভিল ডিফেন্স এর সাবেক মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ইঞ্জি. আলি আহমদ খান, ঢাকা ইউনাইটেড পারপাস বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর শ্রীরামাপ্পা গঞ্চিকারা, ইউনাইটেড পারপাস বাংলাদেশের দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও জরুরি সাড়াদান ইউনিটের প্রধান মাসুদ রানা, সুপার কনসোর্টিয়াম প্রকল্পের ব্যবস্থাপক আ ম নাসির উদ্দিন ও ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স ও প্রকৌশল বিভাগের প্রফেসর মোহাম্মদ কায়কোবাদ।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন সিভিল প্রটেকশন এন্ড হিউমেনিটেরিয়ান এইড (একো) এর অর্থায়নে জনসাধারণ এবং ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মাঝে দুর্যোগে সহনশীলতা গড়ে তোলার জন্য ‘সুপার কনসোর্টিয়াম প্রকল্পটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছে অ্যাকশনএইড, ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), ইউনাইটেড পারপাস এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন। এই প্রকল্পে কৌশলগত সহায়তাকারী সংস্থা হিসেবে কাজ করছে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর দফতর (ইউএনআরসিও)।

আরও পড়ুন:
দুর্যোগ প্রশমন না হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ঘুমান না: প্রতিমন্ত্রী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The endangered batagu baska is returning to nature
২৩ মে বিশ্ব কচ্ছপ দিবস

প্রকৃতিতে ফিরছে বিলুপ্তপ্রায় ‘বাটাগুর বাসকা’

প্রকৃতিতে ফিরছে বিলুপ্তপ্রায় ‘বাটাগুর বাসকা’ করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র থেকে সুন্দরবনের নদীতে অবমুক্ত করা হচ্ছে বাটাগুর বাসকা। ছবি: সংগৃহীত
করমজল প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, ‘সুন্দরবনের করমজলে প্রথমে ২০১৭ সালে দুটি কচ্ছপ ৬৩টি ডিম পাড়ে। তা থেকে ৫৭টি বাচ্চার জন্ম হয়। ২০১৭ সালে দুটি কচ্ছপের দেহে ট্রান্সমিটার লাগিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় সুন্দরবনের নদীতে। গবেষণার সুবাদে বিলুপ্তপ্রায় এই কচ্ছপ ধীরে ধীরে ফিরে আসছে প্রকৃতিতে।’

গবেষকরা ২০০০ সালের দিকে ধরেই নিয়েছিলেন যে বাংলাদেশ থেকে বাটাগুর বাসকা (কালি কাইট্টা) প্রজাতির কচ্চপ একেবারে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তবে গত ৯ বছরে সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে ৩২৬টি কচ্চপের জন্ম হয়েছে। সেখান থেকে ৫২টি কচ্ছপকে প্রকৃতিতে অবমুক্ত করা হয়েছে। প্রকৃতিতে ফিরছে বিলুপ্তপ্রায় এই কচ্ছপ।

এমনই বাস্তবতায় ২৩ মে মঙ্গলবার পালিত হচ্ছে বিশ্ব কচ্ছপ দিবস।

করমজল প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, ‘অনেক খোঁজাখুঁজির পর ২০০৮ সালের দিকে ভোলা, নোয়াখালী ও ফেনী জেলার কয়েকটি পুরনো জমিদার বাড়ির পুকরে ৮টি বাটাগুর বাসকা প্রজাতির কচ্ছপ পাওয়া যায়। সেগুলোর মধ্যে ছিল চারটি নারী ও চারটি পুরুষ। এরপর উদ্যোগ নেয়া হয় পরিচর্যার মাধ্যমে এগুলোর প্রজনন ঘটিয়ে বংশ বিস্তারের।

‘ওই বছরই গাজীপুরের ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে প্রজননের কাজ শুরু হয়। সেখানে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ৯৪টি বাচ্চার জন্ম হয়। কিন্তু বাচ্চাগুলো বার বার অসুস্থ হতে থাকে। কারণ প্রজাতিটি ঈষৎ লবণযুক্ত পরিবেশে ভাল বংশ বিস্তার করে। ভাওয়ালে তেমন পরিবেশ নেই।’

বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মূল ৮টি কচ্ছপ ও ভাওয়ালে জন্ম নেয়া ৯৪টি বাচ্চা ২০১৪ সালে লবণাক্ত বনভূমি সুন্দরবনের করমজলে নিয়ে আসা হয়। সেখানে গবেষণায় বাংলাদেশ বন বিভাগের সঙ্গে আরও তিনটি সংস্থা যোগ দেয়। এগুলো হলো- প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন, অস্ট্রিয়ার জু ভিয়েনার গবেষণা দল ও যুক্তরাষ্ট্রের টার্টল সারভাইভাল অ্যালায়েন্স। পুকুরে তাদের পরিচর্যা শুরু হয়। ডিম দেয়ার উপযোগী করে পুকুর পাড়ে স্যান্ড বিচ তৈরি করা হয়। ২০১৭ সাল থেকে কেন্দ্রটিতে ডিম দিতে শুরু করে মহাবিপন্ন প্রজাতির বাটাগুর বাসকা কচ্ছপগুলো।

প্রকৃতিতে ফিরছে বিলুপ্তপ্রায় ‘বাটাগুর বাসকা’

হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, ‘করমজলে প্রথমে ২০১৭ সালে দুটি কচ্ছপ ৬৩টি ডিম পাড়ে। তা থেকে ৫৭টি বাচ্চার জন্ম হয়। বাটাগুর বাসকার প্রজাতির কচ্ছপের চলাফেরা, পছন্দের পরিবেশ ও যাত্রাপথসহ বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য জানতে ২০১৭ সালে অবমুক্ত করা দুটি কচ্ছপের দেহে ট্রান্সমিটার লাগিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল সুন্দরবনের নদীতে।

এরপর প্রতি বছরই ডিম দিচ্ছে ও বাচ্ছার জন্ম হচ্ছে। গবেষণার জন্য এগুলোকে প্রকৃতিতেও অবমুক্ত করা হচ্ছে। বর্তমানে করমজলে ৪৩২টি বাটাগুর বাসকা রয়েছে।’

প্রকৃতিতে বাটাগুর বাসকা টিকে আছে কি-না, তা জানতে ট্রান্সমিটার লাগানো হয়েছিল শুধু পুরুষ কচ্চপের গায়ে। গবেষকদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর পাঁচটি বাটাগুর বাসকার শরীরে রেডিও ট্রান্সমিটারের সঙ্গে স্যাটেলাইট যুক্ত করে সুন্দরবনের ৪৩ নম্বর কম্পার্টমেন্ট এলাকা কালিরচরে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় অবমুক্ত করা হয়। অবমুক্ত হওয়া বাটাগুর বাসকাগুলোর বিচরণ ও জীবনাচার ভিয়েনা থেকে পর্যবেক্ষণ করা হতে থাকে। তবে প্রকৃতিতে কোনো নারী বাটাগুর বাসকার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। সাধারণত এক বছর পর খোলস বদলালে কচ্ছপের দেহ থেকে ওই ট্রান্সমিটার পড়ে যায়।

ঈষৎ লবণযুক্ত পরিবেশ বাটাগুর বাসকা বসবাসের উপযোগী হলেও, মিঠা ও নোনা দুই ধরনের পানিতেই এরা টিকে থাকতে পারে। এই ক্ষমতা অন্য কোনো কচ্ছপের নেই। এদের দেহ অপেক্ষাকৃত বড়। দৈর্ঘ্যে প্রায় ৬০ সেন্টিমিটার ও ওজন ১৮ কেজি পর্যন্ত হতে পারে।

পুরুষ কচ্ছপের খোলস বা কৃত্তিকাবর্ম বাদামি থেকে সবুজ। স্ত্রী কচ্ছপের ক্ষেত্রে জলপাই ধূসর রঙের। মাথা ছোট, তুণ্ড উপরের দিকে বাঁকানো, সূঁচালো এবং বেশ প্রসারিত। প্রকৃতিতে এরা বেঁচে থাকতে পারে ৪০ থেকে ৭০ বছর পর্যন্ত।

আজাদ কবির বলেন, ‘বাটাগুর বাসকা সাধারণত পূর্ণিমা গোনের কাছাকাছি সময়ে রাতের শেষভাগে পুকুর পাড়ের বালুতে প্রায় এক ফুট গর্ত করে ডিম পাড়ে। পরে সেই ডিম তুলে নিয়ে ইনকিউবেশনে (বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সংরক্ষণ) রাখা হয়। ২৮ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তামপাত্রায় ইনকিউবেশনে রাখলে প্রায় ৬০ থেকে ৬৫ দিনের মধ্যে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়।

‘গবেষণার জন্য করমজল থেকে এখনও মাঝেমধ্যে কিছু বাচ্চা গাজীপুরের ভাওয়ালে নেয়া হয়। এই গবেষণায় বেশ সফলতা এসেছে। আর সে সুবাদে বিলুপ্তপ্রায় এই কচ্ছপ ধীরে ধীরে ফিরে আসছে প্রকৃতিতে।’

এক সময় সুন্দরবন থেকে শুরু করে মিয়ানমার-থাইল্যান্ড হয়ে মালয়েশিয়া উপকূল পর্যন্ত বাটাগুর বাসকা প্রজাতির কচ্ছপের বসতি ছিল। তবে কিছু মানুষের খাবার হিসেবে এই কচ্ছপের দিকে দৃষ্টি এবং প্রকৃতির বিরূপতায় এটি বিলুপ্ত হতে বসেছিল।

প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ে কাজ করা সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচারের (আইইউসিএন) তালিকায় এই প্রাণীর নাম মহাবিপন্ন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত। ফলে এটি শিকার, মাংস বা অংশবিশেষ অথবা এর থেকে উৎপন্ন দ্রব্য দান, বিক্রি বা অন্য কার‌ও কাছে হস্তান্তর করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

আরও পড়ুন:
বিপন্ন কচ্ছপগুলোর মৃতদেহে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন
সুন্দরবনে ১২টি ‘বাটাগুর বাসকা’ অবমুক্ত
করমজলে ‘বাটাগুর বাসকা’র ৩৩টি বাচ্চা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Pand surrounded the city building in protest against the cutting of trees by the police

গাছ কাটার প্রতিবাদে নগর ভবন ঘেরাও পুলিশের বাধায় পণ্ড

গাছ কাটার প্রতিবাদে নগর ভবন ঘেরাও পুলিশের বাধায় পণ্ড ‘সাতমসজিদ সড়ক গাছ রক্ষা আন্দোলন’-এর ব্যানারে রোববার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবন ঘেরাওয়ে পদযাত্রা বের করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা
আন্দোলনকারীরা ‘যেই মেয়র গাছ কাটে সেই মেয়র চাই না’, ‘গাছ কেটে উন্নয়ন, রুখে দাও জনগণ’, ‘নিষ্ঠুর নগর প্রশাসন চাই না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

রাজধানীর সাত মসজিদ রোডসহ ঢাকার সব পাবলিক পরিসরে গাছ কাটা বন্ধ এবং কাটা গাছের স্থানে দেশীয় প্রজাতির গাছ রোপণসহ পাঁচ দাবিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবন ঘেরাও কর্মসূচি পুলিশের বাধায় পণ্ড হয়েছে।

‘সাতমসজিদ সড়ক গাছ রক্ষা আন্দোলন’-এর ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর থেকে মিছিল নিয়ে নগর ভবন অভিমুখে যাত্রা শুরু করে আন্দোলনকারীরা। পদযাত্রায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ গাছ ও বিভিন্ন প্রাণীর প্রতিকৃতির ব্যানার নিয়ে অংশ নেন।

পদযাত্রাটি নগর ভবনে পৌঁছানোর আগেই বঙ্গবাজার সংলগ্ন এনেক্সকো টাওয়ার এলাকায় ব্যারিকেড দিয়ে আন্দোলনকারীদের থামিয়ে দেয় পুলিশ।

পরে সেখানেই সড়কের একাংশে অবস্থান নেন তারা। এ সময় আন্দোলনকারীরা ‘যেই মেয়র গাছ কাটে সেই মেয়র চাই না’, ‘গাছ কেটে উন্নয়ন, রুখে দাও জনগণ’, ‘নিষ্ঠুর নগর প্রশাসন চাই না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

আন্দোলনকারীরা দাবি করেন, মেয়র কিংবা সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের তাদের সামনে এসে গাছ কাটার ব্যাপারে জবাবদিহি করতে হবে।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান।

এ সময় তার কাছে সাত মসজিদ সড়কের গাছ কাটা বন্ধ করে সেই স্থানে দেশীয় প্রজাতির গাছ লাগানো, প্রকল্পের নামে বাণিজ্য বন্ধ, বৃক্ষ ও নগরবাসীবান্ধন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা গ্রহণের মাধ্যমে নগরের গাছ ও সবুজবলয় সুরক্ষা, ধানমন্ডির সাত মসজিদ সড়কসহ সব পাবলিক পরিসরে উন্নয়নের নামে গাছ কাটা বন্ধ, নগর উন্নয়নে প্রকৃতিভিত্তিক পরিকল্পনার দাবি জানানো হয়।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘উন্নয়নকাজে কিছু গাছ কাটা পড়েছে। নগরের যে কোনো উন্নয়নকাজ সিটি করপোরেশনের প্রকোশলী, নগর পরিকল্পনাবিদসহ বিভিন্ন অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে গ্রহণ করা হয়। যেসব গাছ কাটা হয়েছে সেখানে নতুন করে গাছ লাগানো হবে।’

দাবিগুলো মেয়রকে জানিয়ে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন এই নির্বাহী কর্মকর্তা।

আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক আমিরুল রাজিব বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করতে চেয়েছি। কিন্তু কোনো উসকানি ছাড়াই পুলিশ বাধা দিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। আমাদের দাবি তাদের অবশ্যই মানতে হবে। না হলে আমরা আরও জোরদার আন্দোলন গড়ে তুলব।’

আরও পড়ুন:
আদালতে আপিল শুনানির আগেই কাটা হলো সহস্রাধিক গাছ
ভূমিহীনদের লাগানো তিন হাজার কলাগাছ কেটেছে দুর্বৃত্তরা
৬০০ কলাগাছে কোপ পড়েছে দুর্বৃত্তের
খেজুরের রস: গাছ আছে, গাছি নেই
সুন্দরবনের সুন্দরীকেও বশ মানালেন পলাশ

মন্তব্য

p
উপরে