পটুয়াখালীর বাউফলে ছুরিকাঘাতে দুই শিক্ষার্থীকে হত্যা করা হয়েছে। আহত হয়েছে আরও এক শিক্ষার্থী।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার সূর্য্যমনি ইউনিয়নের ইন্দ্রকূল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, ইন্দ্রকূল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হামলায় নিহত হয়েছেন দশম শ্রেণির ওই দুই ছাত্র।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন। তিনি জানান, মরদেহ শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে মর্গে রাখা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, রাত সাড়ে ৭টার দিকে শেবাচিম হাসপাতালে মারা যায় দুই শিক্ষার্থী। নিহতরা হলো ১৬ বছর বয়সী নাফিস মোস্তফা আনসারী ও ১৫ বছরের মো. মারুফ হোসেন। হামলায় আহত হয়েছে ১৫ বছরের আরেক শিক্ষার্থী ফুজাযেল হোসেন সিয়াম।
আহত সিয়াম জানায়, ইন্দ্রকূল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এসএসসি শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান ছিল বুধবার। অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফিরছিল সবাই। স্কুলের পাশে ব্রিজের ওপর আসলে গায়ে ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে নবম শ্রেণির রায়হান, সৈকত, হাসিবুল এবং তাদের বন্ধু নাঈম (১) ও নাঈম (২) সহ আরও কয়েকজন মিলে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিস, মারুফ ও সিয়ামের ওপর ছুরিকাঘাত করে।
সিয়াম জানায়, এতে নাফিস ও মারুফ গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদেরকে শেবাচিম হাসপাতালে পাঠায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল শেবাচিমে পৌঁছার পর চিকিৎসারত অবস্থায় রাত সাড়ে ৭টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বাচ্চু বলেন, ঘটনা শুনেছি। নাফিস ও মারুফ দুইজন শিক্ষার্থী বরিশাল হাসপাতালে মারা গেছে। আর সিয়াম বাউফল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মিরাজুল ইসলাম জানান, নাফিস ও মারুফের পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাত থাকায় তাদেরকে বরিশালে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। এ ছাড়া সিয়ামের উরুতেও ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল।
বাউফল থানার ওসি জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর সুবল-আফতাব উচ্চ বিদ্যালয়ের ২২ শিক্ষার্থী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থদের মধ্যে চারজন দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছে।
শিক্ষার্থীদের অসুস্থতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহিনুল ইসলাম।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, বুধবার ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা ছিল। ওই সময় বিভিন্ন কক্ষের শিক্ষার্থীরা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় তাদেরকে দ্রুত দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম জানান, চারজন শিক্ষার্থী গরমে অসুস্থ হয়ে পড়লে অন্যরাও ভয় ও আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে পড়ে। সবাইকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে বেশিরভাগই চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছে।
হাসপাতালে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের দেখতে যান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম, দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজর মোহাম্মদ আলী সুমনসহ অনেকে।
মঙ্গলবার একই স্কুলের শিক্ষার্থী হাবিবা অসুস্থ হয়ে মারা যায়। তার চোখ মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়। যে কারণে অনেকেই ধারণা করেছেন হিট স্ট্রোকে হাবিবার মৃত্যু হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, ময়নাতদন্তের পর হাবিবার মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন:খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেয়ায় নওগাঁয় জেলা প্রশাসকের (ডিসি) প্রত্যাহার দাবিতে পূর্বঘোষিত মানববন্ধন স্থগিত করেছেন সাংবাদিকরা।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শহরের মুক্তির মোড়ে কর্মসূচির অংশ হিসেবে মানববন্ধন করার কথা ছিল সাংবাদিকদের, তবে নওগাঁ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও খাদ্যমন্ত্রী উদ্ভূত পরিস্থিতি নিরসনের আশ্বাস দেয়ায় মানববন্ধন স্থগিত করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণ, ‘সরকারি স্বার্থ’ ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সংবাদ প্রকাশে বাধা সৃষ্টি এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ডিসি খালিদ মেহেদী হাসানের প্রত্যাহার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি দিয়েছিল সম্মিলিত সাংবাদিক সংগ্রাম কমিটি, নওগাঁ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সম্মিলিত সাংবাদিক সংগ্রাম কমিটি নওগাঁর আহ্বায়ক কায়েস উদ্দিন বলেন, ‘জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবকে অবজ্ঞা করে সাংবাদিকদের সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণ করছেন। তার খামখেয়ালি আচরণে সরকারি স্বার্থ ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সংবাদ প্রকাশে ব্যাঘাত হচ্ছে। এতে সরকার ও নওগাঁবাসী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের ক্ষতিসাধনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকায় জেলার সকল সাংবাদিকের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
‘জেলার একাধিক পেশাজীবী ও বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গেও তিনি এমন আচরণ করছেন। তার কর্মকাণ্ডে জেলাবাসী ক্ষুব্ধ। সমন্বয়হীনতায় তিনি জেলা প্রশাসন চালাতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই তাকে (খালিদ মেহেদী হাসান) প্রত্যাহারে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেয়া হয়েছিল। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার উদ্ভূত পরিস্থিতি নিরসনের আশ্বাস দেয়ায় মানববন্ধন কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘খাদ্যমন্ত্রী যেহেতু উদ্ভূত পরিস্থিতি নিরসনের আশ্বাস দিয়েছেন, সে কারণে আমরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ আপাতত স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশা করছি সমস্যাটির সঠিক সুরাহা হবে। আর যদি সমাধান না হয়, তবে আগামীতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’
আরও পড়ুন:দিনাজপুর সদরে দম্পতির ঝগড়া মীমাংসা করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন আবদুস সোবহান (৪২) নামের এক ব্যক্তি।
এ ঘটনায় হত্যাকারী নূর মোহাম্মদকে (৬০) আটক করেছে পুলিশ।
সদর উপজেলার আস্করপুর ইউনিয়নের মুকুন্দপুর এলাকায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে খুনের ঘটনা ঘটে। বুধবার ভোররাত ৪টার দিকে নূর মোহাম্মদকে আটক করা হয়।
খুন হওয়া আবদুস সোবহান আস্করপুর ইউনিয়নের সুন্দরা মাঝাপাড়া এলাকার আমিনুদ্দিন ইসলামের ছেলে। নূর মোহাম্মদ কুড়িগ্রাম জেলার প্রয়াত আবদুল গণির ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, নূর মোহাম্মদ সুন্দরা মাঝাপাড়া এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। এক বছর আগে স্ত্রীকে নিয়ে মুকুন্দপুর গ্রামে গিয়ে বসবাস শুরু করেন তিনি। নানা বিষয় নিয়ে প্রায়ই স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া লেগে থাকত তার।
মঙ্গলবার নূর মোহাম্মদের শ্বশুর জয়নাল আবেদীন ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার মোতাহারের পাশাপাশি শাহাজান, হামিদুলকে নিয়ে তাদের বিবাদ মীমাংসা করার জন্য। একপর্যায়ে নূর মোহাম্মদকে বাড়ি থেকে ডাকার জন্য সোবহানকে পাঠানো হয়। তিনি বাড়িতে ডাকতে গেলে নূর মোহাম্মদ দা দিয়ে সোবহানের ঘাড়ের ওপর কোপ দেন। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান আবদুস সোবহান।
দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম বলেন, নুর মোহাম্মদকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন:প্রচণ্ড গরম থেকে মুক্তি ও বৃষ্টির আশায় সালাতুল ইসতিসকার নামের নামাজ আদায় করেছেন ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার চার শতাধিক মুসল্লি।
বুধবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার শরিফবাগ কামিল মাদ্রসার মাঠে খোলা আকাশের নিচে নামাজ হয়। বিশেষ এ নামাজে ৪ শতাধিক মুসল্লি অংশ নেন।
নামাজের আগে সব নিয়মকানুন শিখিয়ে দেন শরিফবাগ ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ড. মোহাম্মদ ফাইজুল আমীন সরকার। পরে নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তির জন্য বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন তিনি।
নামাজ পড়তে আসা স্থানীয় বাসিন্দা মো. আশরাফুল বলেন, ‘গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা ক্রমাগত বাড়ছেই। এ জন্য আমরা মহান আল্লাহর দরবারে প্রশান্তির বৃষ্টি চেয়েছি।
‘যেকোনো বিপদ থেকে রক্ষা পেতে আমরা প্রথমেই সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করি। এ নামাজ ও দোয়ার মধ্য দিয়ে সেই কাজ করা হলো। সৃষ্টিকর্তা রহমত বর্ষণ করবেন বলে আশা করছি।’
প্রিন্সিপাল ড. মোহাম্মদ ফাইজুল আমীন সরকার বলেন, ‘ধামরাইয়ের কয়েকটি গ্রাম একত্রিত হয়ে আজ সালাতুল ইসতিসকার অর্থাৎ বৃষ্টির জন্য আমরা সালাত আদায় করেছি। আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা চেয়েছি, ভিক্ষা চেয়েছি তিনি যেন আমাদের সকলের গুনাহ ক্ষমা করে দিয়ে আমাদের মাঝে বৃষ্টি প্রদান করেন।
‘এই প্রার্থনাই আমরা আল্লাহর দরবারে করেছি এবং সারা দেশবাসী বৃষ্টি জন্য যে কষ্ট করছেন, সেটি যেন বৃষ্টি দিয়ে আল্লাহ লাঘব করে দেন, এই দোয়া করেছি। ইনশাল্লাহ আল্লাহ আমাদের দোয়া কবুল করে বৃষ্টি দিয়ে এই কষ্ট থেকে মুক্তি দেবেন।’
আরও পড়ুন:আমের ভারে ডালগুলো নুইয়ে পড়ছে। রং, আকার, আকৃতি প্রায় এক। কোনো কোনো গাছ থেকে ভেসে আসছে পাকা আমের সুমিষ্ট ঘ্রাণ। এমন দৃশ্য এখন কুমিল্লা লালমাই পাহাড়ের চূড়ায়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কুমিল্লার লালমাই পাহাড়ে বাড়ছে মিষ্টি আমের চাষ।
পাহাড়ের বড় ধর্মপুর, বারপাড়া, রতনপুরসহ বিভিন্ন এলাকার বাগানে থোকায় থোকায় ঝুলছে নানা জাতের আম। শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়ে আমের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন বাগান মালিকরা।
পাহাড়ের বারপাড়া এলাকার একটি বাগানে গিয়ে দেখা যায়, পাহাড় ও ঢালুতে এই বাগানের অবস্থান। বাগানের পরিমাণ দুই একর। চার থেকে পাঁচ হাত উঁচু আম গাছ। প্রতি গাছে কয়েকশো আম ঝুলছে। গাছে গাছে আম দেখে মনে হবে আমের মেলা বসেছে কিংবা কোনো শিল্পী তার পটে ছবি এঁকে রেখেছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা আসছেন বাগানের আম দেখতে। এই বাগানে হালকা বাতাসে দুলছে বারি-৪ আম।
বাগানের মালিক পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সাবেক কর্মকর্তা এআরএম হারিছুর রহমান ও তার স্ত্রী জোহরা নাছরিন বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত। তারা গাছের মরা ডাল ভেঙ্গে দিচ্ছেন। গাছে পানি দিচ্ছেন। আগাছা পরিষ্কার করছেন।
এআরএম হারিছুর রহমান বলেন, ‘এটা আমার গ্রামের বাড়ি। জায়গাটি খালি পড়ে ছিল। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের লোকজনের পরামর্শে বাগানটি করেছি। এই শুকনো মাটিতে এই আম হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ ছিল। তাদের পরামর্শে পরিচর্যা করেছি। এই বাগান থেকে সাত বছর ফল সংগ্রহ করছি। আমার বাগান দেখে আরও কয়েকজন উদ্বুদ্ধ হয়েছে।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আশাবাদ আগামী কয়েক বছরে পাহাড়ে আমের চাষ আরও বাড়বে।
স্থানীয় উপসহকারী কৃষি অফিসার এম এম শাহারিয়ার ভূঁইয়া বলেন, ‘বারি-৪ ওজনে ৫০০ থেকে ৯০০ গ্রাম হয়ে থাকে। স্বাদ ভালো। কাঁচা পাকা উভয় অবস্থায় এটি মিষ্টি। আমাদের পরামর্শ মোতাবেক পরিচর্যা করায় তার বাগানের ফলন ভালো হয়েছে। তার দেখাদেখি অন্যরাও আগ্রহী হচ্ছেন।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘বাগানটি পরিদর্শন করেছি। এই আম সবার শেষে বাজারে আসে। স্বাদ অসাধারণ। রসালো। বাজারে এই আমের চাহিদা ভালো। তাই বারি-৪ চাষ করে কৃষক লাভবান হতে পারবেন।’
আরও পড়ুন:সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় পিকআপে ট্রাকের ধাক্কার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমার নাজির বাজার এলাকার কুতুবপুর নামক স্থানে বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে ১৪ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ৫৫ বছর বয়সী মো. সিজিল মিয়া, ৫৫ বছর বয়সী একলিম মিয়া, ৬৫ বছর বয়সী হারিছ মিয়া, ২৭ বছর বয়সী সৌরভ মিয়া, ৬০ বছর বয়সী সাজেদুর, ৩০ বছর বয়সী বাদশা মিয়া, ৫০ বছর বয়সী সাধু মিয়া, ৫০ বছর বয়সী রশিদ মিয়া , ২৫ বছর বয়সী মেহের, সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার ৪০ বছর বয়সী শাহীন মিয়া, ২৬ বছর বয়সী দুলাল মিয়া , ৫০ বছর আওলাদ হোসেন, হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের ৪৫ বছর বয়সী আমিনা বেগম এবং নেত্রকোণার বারহাট্টার ৪০ বছর বয়সী আওলাদ মিয়া। একজনের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সিলেট মহানগর থেকে পিকআপে প্রায় ৩০ জন নারী-পুরুষ নির্মাণ শ্রমিক জেলার ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার যাচ্ছিলেন। বুধবার সকাল সাড়ে ৫টার দিকে দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজার এলাকার কুতুবপুর নামক স্থানে পৌঁছলে মুনশীগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী বালুবাহী ট্রাকটি ধাক্কা দেয় শ্রমিক বহনকারী পিকআপটিকে।
এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন ১১ জন। পরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও প্রায় ১০ জন। হতাহতদের উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হতাহতরা সকলেই নির্মাণ শ্রমিক।
ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মনিরুজ্জামান জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়েই পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে।
দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি মো. শামসুদ্দোহা জানান, দুর্ঘটনার পর নাজিরবাজারের দুদিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের তৎপরতায় তিন ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আরও পড়ুন:মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মা-মেয়ের মৃত্যু হয়েছে।
জেলার গাংনী উপজেলার কাজিপুর ইউনিয়নের হাড়াভাঙা গ্রামে মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রাণ হারানো দুজন হলেন হাড়াভাঙা গ্রামের মিন্টু মিয়ার স্ত্রী ২৩ বছর বয়সী তাসলিমা খাতুন ও তার মেয়ে ১৪ মাস বয়সী মেয়ে মারিয়া।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে কাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলম হুসাইন জানান, মিন্টু মিয়া তার নিজ বাড়িতে ব্যাটারিচালিত পাখি ভ্যান চার্জে দিয়ে বাহিরে যান। ব্যাটারি চার্জ হওয়ার পর মিন্টুর স্ত্রী তাসলিমা চৌদ্দ মাস বয়সী মেয়ে মারিয়াকে কোলে নিয়ে বিদ্যুৎতের লাইন থেকে চার্জার খুলতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ঘটনাস্থলেই মা-মেয়ের মৃত্যু হয়।
ভবানীপুর পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হাড়াভাঙা গ্রামে মা ও মেয়ের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসেছি। আমাদের প্রাথমিক তদন্ত চলমান রয়েছে।’
মন্তব্য