× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Roadmap is essential to make Bangladesh an aviation hub Prime Minister
google_news print-icon

বাংলাদেশকে বিমান চলাচল কেন্দ্র করতে রোডম্যাপ জরুরি : প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশকে-বিমান-চলাচল-কেন্দ্র-করতে-রোডম্যাপ-জরুরি--প্রধানমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে ভিডিও ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ভৌগলিক-কৌশলগত সুবিধাকে পুঁজি করে কীভাবে আমরা আমাদের দেশকে একটি বিমান চলাচল কেন্দ্রে পরিণত করতে পারি, সেজন্য আমাদের একটি রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে।’

বাংলাদেশকে একটি বিমান চলাচল কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে এর ভৌগোলিক-কৌশলগত সুবিধার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে একটি রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ঢাকায় এভিয়েশন সামিটের প্রথম এভিয়েশনের উদ্বোধনী অধিবেশনে বুধবার এক ভিডিও ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। খবর বাসসের

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ভৌগলিক-কৌশলগত সুবিধাকে পুঁজি করে কীভাবে আমরা আমাদের দেশকে একটি বিমান চলাচল কেন্দ্রে পরিণত করতে পারি, সেজন্য আমাদের একটি রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে।’

যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের সহযোগিতায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ এভিয়েশন সামিট-২০২৩’ এর আয়োজন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী এই শীর্ষ সম্মেলনকে বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন। কারণ, এটি এই অঞ্চলে একটি বিমান চলাচল কেন্দ্রে পরিণত হওয়ার আকাঙক্ষা রয়েছে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে আইসিএও-এর সদস্যপদ পাওয়া মাত্রই আমাদের ভৌগোলিক অবস্থানের সুযোগ নিয়ে পূর্ব ও পশ্চিমকে সংযুক্ত করতে বাংলাদেশকে একটি ‘এভিয়েশন হাব’- এ পরিণত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পরপরই এই পদক্ষেপ স্থগিত করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, ‘আমরা একটি এভিয়েশন হাবের উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য বেশ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। গত এক দশকে, আমরা আমাদের বিমানবন্দর, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা এবং গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং উন্নত করার জন্য অনেকগুলো প্রকল্প বাস্তাবায়ন করেছি।’

আরও পড়ুন:
আরও ৭ জেলা ১৫৯ উপজেলাকে গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
জমি অনাবাদি না রাখতে ফের প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
বিশ্ব সম্প্রদায়ের উচিত ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া: প্রধানমন্ত্রী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The reason for the load shedding was given by the Minister of State for Power

লোডশেডিংয়ের কারণ জানালেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

লোডশেডিংয়ের কারণ জানালেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ছবি: সংগৃহীত
সরকার খুব দ্রুতই জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে বলে ফেসবুক পোস্টে জানান বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হবে।

চলমান লোডশেডিং কেন হচ্ছে তার কারণ ও ব্যাখ্যা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সোমবার এক পোস্টে তিনি এসব কথা জানান।

পোস্টে তিনি বলেছেন, তীব্র গরম এবং সেইসাথে লোডশেডিংয়ের কারণে সবার প্রচণ্ড কষ্ট হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি কারোরই কাম্য নয়। অনাকাঙ্ক্ষিত লোডশেডিংয়ের পেছনে বেশকিছু কারণ আছে, যা সবার জানা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ‘আপনাদের অজানা নয়, করোনা মহামারির ধাক্কা, পরবর্তীতে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব জ্বালানি বাজারে ভয়াবহ অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাস, কয়লা, ফার্নেস অয়েলসহ সকল প্রকার জ্বালানির মূল্য অস্বাভাবিক বেড়ে যায়, সেইসাথে প্রাপ্যতা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। যে সংকট এখনও চলমান।

‘অন্যদিকে, টাকার বিপরীতে ডলারের বিনিময় হার বেড়েছে লাগামহীনভাবে। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রাথমিক জ্বালানি যথা গ্যাস, কয়লা ও ফার্নেস অয়েল আমদানিতে অনেকটা প্রভাব পড়েছে। ফলশ্রুতিতে বর্তমানের এই অনাকাঙ্ক্ষিত লোডশেডিং।’

‘তবে আমরা খুব দ্রুতই জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছি’ বলে পোস্টে জানান তিনি। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা জানেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অবিচল নেতৃত্বে দিনরাত পরিশ্রম করে আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। ২০০৮ সালেও দেশের মাত্র ৪৪ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পেতেন, সেখানে আজ শতভাগ জনগোষ্ঠী বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে যা, বিশেষ করে, দক্ষিণ এশিয়ায় নজিরবিহীন ঘটনা।

‘শতভাগ বিদ্যুতায়নের ফলে জাতীয় অর্থনীতি ও সকল ধরনের উৎপাদনে অভাবনীয় গতি এসেছে। এতে দেশজুড়ে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ। চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে বিগত এক যুগে আমরা দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়েছি ৫ গুণেরও বেশি।

‘বর্তমানে আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় ২৭,৩৬১ মেগাওয়াট (ক্যাপটিভসহ)। ফলে উৎপাদন সক্ষমতার দিক থেকে বিদ্যুৎ বিভাগের কোনো ঘাটতি নেই। কিন্তু বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা বাজারের নজিরবিহীন উর্ধ্বগতির কারণেই আমরা এই অনাকাঙ্ক্ষিত লোডশেডিংয়ের কবলে পড়েছি।’

পোস্টে তিনি সর্বোপরি জনগণের ভোগান্তিতে দুঃখ প্রকাশ করেন। সে সঙ্গে তিনি এ পরিস্থিতি সাময়িক, খুব দ্রুতই আমরা ভালো অবস্থায় ফিরে আসবো বলে আশ্বস্ত করেন।

পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, ‘২০০৮ সালের আগে সারা দেশে দিনে ১৬-১৮ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকত না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই কঠিন সময় পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশ স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে বিদ্যুৎ খাতের ব্যাপক উন্নয়ন করেছে।’

‘আশা করি আপনাদের সেই আস্থা ও সমর্থন অব্যাহত থাকবে। সবাই মিলে আমরা দ্রুততম সময়ে এই ভোগান্তি পাড়ি দিতে সমর্থ হবো’, জানান প্রতিমন্ত্রী।

আরও পড়ুন:
লোডশেডিংয়ে হাতে হারিকেন
সময় এখন হাতপাখার
লোডশেডিং আরও ২ সপ্তাহ
ধানের বাজারে লোডশেডিংয়ের প্রভাব
লোডশেডিং দু’দিনের মধ্যে কাটার আশ্বাস প্রতিমন্ত্রীর

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Next election will be a challenge Sheikh Hasina

আগামী নির্বাচনটা চ্যালেঞ্জের হবে: শেখ হাসিনা

আগামী নির্বাচনটা চ্যালেঞ্জের হবে: শেখ হাসিনা সোমবার গণভবনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের জীবন যখন একটু উন্নত হয় তখনই কিছু কুলাঙ্গার দেশের বিরুদ্ধে সব জায়গায় বদনাম করে বেড়ায়। আর কিছু আছে বিদেশি অনুদানের টাকা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশ সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা দেয়। যারা স্বাধীনতার সময় আমাদের সমর্থন করেনি তাদের সঙ্গেই তাদের সব আত্মীয়তা।’

আগামী নির্বাচন চ্যালেঞ্জের হবে মন্তব্য করে নেতাকর্মীদের সেভাবে প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আগামী নির্বাচনটা একটা চ্যালেঞ্জ, কারণ নানা ধরনের চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র হয়।

সোমবার গণভবনে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের জীবন যখন একটু উন্নত হয়, তখনই এ দেশের কিছু কুলাঙ্গার দেশের বিরুদ্ধে সব জায়গায় বদনাম করে বেড়ায়, মিথ্যা বলে বেড়ায়। আর কিছু আছে বিদেশি অনুদানের টাকা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশ সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা দেয়।

‘যারা আমাদের স্বাধীনতায় বিশ্বাসই করেনি, যারা গণহত্যা চালিয়েছে, লুটপাট করেছে, নারী ধর্ষণ ও নির্যাতন করেছে- তারা আছে, তাদের আওলাদ আছে; তারা সারাক্ষণ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেই যাচ্ছে। যারা স্বাধীনতার সময় আমাদের সমর্থন করেনি তাদের সঙ্গেই তাদের সব আত্মীয়তা। এটা হচ্ছে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক।’

নির্বাচনে কারচুপি করা বিএনপির অভ্যাস মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘ভোট চুরি করা তাদের রেকর্ড। গণতন্ত্র হরণ করা তাদের রেকর্ড। ওদের মুখেই এখন আবার আমরা গণতন্ত্র শুনি!

যারা মিলিটারি ডিক্টেটরের হাতে তৈরি দল, তাদের কাছে গণতন্ত্রের ছবক শুনতে হয়। তাদের কাছে ভোটের কথা শুনতে হয়। চুরি করা যাদের অভ্যস, সেই চোরদের কাছ থেকে বাংলাদেশের জনগণ কী শুনবে, কী দেখবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০১ সালের নির্বাচনেও তো কম কারচুপি হয়নি। ১৯৯৬ সালে এই খালেদা জিয়াকেই বাংলাদেশের মানুষ ভোট চুরির অপরাধে বিতাড়িত করেছে। আবার ২০০৬ সালে নির্বাচনে ১ কোটি ২৩ কোটি ভুয়া ভোটার দিয়ে ভোট চুরি করতে গেছে। তখনও জনগণের আন্দোলনেই তাদের বিদায় নিতে হয়েছে।’

আওয়ামী লীগকে আরও শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে গড়ে তোলার নির্দেশনা দিয়ে দলটির প্রধান বলেন, ‘আমাদের সংগঠন যথেষ্ট শক্তিশালী। সংগঠনটা যেন আরও মজবুত থাকে সে ব্যবস্থা নিতে হবে।’

বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ত্যাগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘দিনের পর দিন কারাবরণ, অত্যাচার-নির্যাতন, তারপর মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ, মুক্তিযুদ্ধ করে যুদ্ধাহত হয়ে বাংলাদেশের পুনর্গঠন কাজ- এখানে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের যথেষ্ট অবদান রয়েছে।’

বঙ্গবন্ধু-কন্যা বলেন, আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার চেষ্টা, স্বাধীনতার ইতিহাস মুছে ফেলা, জয় বাংলা মুছে ফেলা, বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ইতিহাস মুছে ফেলা- অনেক অপকর্মই করা হয়েছে। আসলে সত্য এক সময় না এক সময় উদ্ভাসিত হবেই। সত্য কেউ মুছে ফেলতে পারে না। আজকে সেটাই হয়ে গেছে।

‘৭ই মার্চের ভাষণ আন্তর্জাতিক মর্যাদা পেয়েছে। ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার স্বীকৃতি পেয়েছে। জয় বাংলা স্লোগান আবার ফিরে এসেছে।’

বিগত বছরগুলোতে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে এটুকু করতে পেরেছি এই ১৪ বছরে। ২০০৮ এ সরকারে আসার পর একটানা ক্ষমতায় থাকার ফলে দেশে স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক পরিবেশ আছে বলেই বাংলাদেশের এই উন্নতিটা সম্ভব হয়েছে। আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের তৈরি হতে হবে, এগিয়ে যেতে হবে। এটাকে আমাদের স্থায়ী করতে হবে।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমার শক্তিশালী সংগঠন আছে। সংগঠনের শক্তিশালী নীতিমালা আছে। আমাদের একটা লক্ষ্য আছে, একটা পরিকল্পনা আছে। সুষ্ঠু পরিকল্পনা নিয়ে, জনগণকে নিয়ে উন্নয়নের কাজ করি বলেই আমরা সাফল্য আনতে পেরেছি।’

আরও পড়ুন:
আওয়ামী লীগ সরকার দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে: প্রধানমন্ত্রী
দেশ রক্ষায় গাছ লাগান: প্রধানমন্ত্রী
অভাব বিশ্বব্যাপী, বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
রেল দুর্ঘটনা রোধে সতর্ক হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
চিলাহাটি এক্সপ্রেস উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The government will talk to the congressmen who wrote to Biden

বাইডেনকে চিঠি দেয়া ৬ কংগ্রেসম্যানের সঙ্গে কথা বলবে সরকার

বাইডেনকে চিঠি দেয়া ৬ কংগ্রেসম্যানের সঙ্গে কথা বলবে সরকার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। ফাইল ছবি
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘৬ মাস আগে বিদেশি দূতদের কেউ কেউ দায়িত্বের বাইরে গিয়ে কাজ করেছিলেন। আবারও একই ঘটনা হলে প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেবে সরকার। তবে এমন কিছু এখনও আমাদের চোখে পড়েনি।’

বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চিঠি দেয়া ৬ কংগ্রেসম্যানের সঙ্গে কথা বলবে সরকার। আর কর্মরত বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা নিজ দায়িত্বের বাইরে গিয়ে কোনো কাজ করলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘৬ মাস আগে বিদেশি দূতদের কেউ কেউ দায়িত্বের বাইরে গিয়ে কাজ করেছিলেন। আবারও একই ঘটনা হলে প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেবে সরকার। তবে এমন কিছু এখনও আমাদের চোখে পড়েনি।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠি দেয়া সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘এখানে তথ্যের বড় ধরনের ঘাটতি আছে, অসামঞ্জস্যতা আছে। আমরা ওই কংগ্রেসম্যানদের সঙ্গে কথা বলব। শুধু তাই নয়, এ অঞ্চল নিয়ে যাদের আগ্রহ আছে বা এ ধরনের বিষয়ে যাদের আগ্রহ আছে তাদের সবাইকে নিয়মিতভাবে আমাদের অবস্থান জানাব।’

যুক্তরাজ্য, কানাডাসহ আরও কিছু দেশ ঘোষণা ছাড়াই বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি অনুসরণ করবে- এমন গুজবের বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এগুলো সবই প্রপাগান্ডা। নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে এগুলো আরও বাড়বে। সে বিষয়ে গণমাধ্যমকে সচেতন থাকতে হবে।’

শেখ হাসিনার সরকার সম্পর্কে বিভিন্ন নেতিবাচক মন্তব্য করে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে ২৫ মে জো বাইডেনকে চিঠি দেন ৬ জন কংগ্রেস সদস্য। চিঠিতে কিছু বাড়তি কথা বলা হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশেও রাজনীতিবিদেরা, সংসদ সদস্যরা বিশেষ করে অন্য দলের সংসদ সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীকে অনেক কিছু বলেন। কেউ হয়তো লেখেনও। কিন্তু আমরা সেটি জানি না। হয়তো আমার বিরুদ্ধে বলেন বা লেখেন। এটি রাষ্ট্র বা সরকারের প্রধানের ওপর নির্ভর করে যে তিনি ওই চিঠি বা কথাগুলো বিবেচনায় নেবেন কি নেবেন না।

‘এরকম চিঠি অতীতেও এসেছে। ভবিষ্যতে আরও বড় আকারে আসতে পারে। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে এই ধরনের কার্যক্রম তত বাড়তে থাকবে।’

বিভিন্ন লবিস্ট ফার্ম বা শক্তি কাজ করার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তারা তাদের কাজ করবে, আমরা আমাদের কাজ করব। প্রধানমন্ত্রী সবসময় বলেন- বাংলাদেশের মানুষ আমাদের শক্তি।’

শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘বিদেশে কারও কাছে ধরনা দিয়ে বা কারও চাপে পড়ে বা কারও সঙ্গে সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতেই হবে– এরকম কোনও নীতির প্রতি অগ্রসর হয়ে বাংলাদেশের মানুষকে পেছনে ফেলে দেয়ার নীতিতে আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে না।’

সম্প্রতি ভারতের সংসদ ভবনে ‘অখণ্ড ভারতের’ মানচিত্র স্থাপন করা হয়েছে, যাতে বাংলাদেশসহ আরও কয়েকটি দেশকে দেখানো হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, ভারতের আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা জানার জন্য দিল্লিতে বাংলাদেশ দূতাবাসকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যেটা জেনেছি- ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন যে এটি অশোকা সাম্রাজ্যের মানচিত্র, এটি খ্রীষ্টের জন্মের তিন শ’ বছর আগের। সেই সময়ের যে অঞ্চলটি ছিল, তার একটি মানচিত্র এবং এটি একটি ম্যুরাল। ওই ম্যুরালে চিত্রায়ণ করা হয়েছে মানুষের যাত্রা। এখানে সাংস্কৃতিক মিল থাকতে পারে। কিন্তু এর সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। তারপরও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা কী তা জানার জন্য আমরা দিল্লির মিশনকে বলেছি।’

আরও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে উদ্বেগ কেন, প্রশ্ন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
৪ ক্ষেত্রে জড়িতদের পরিবারও ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায়: ডোনাল্ড লু
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আ.লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির বৈঠক
গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি: পিটার হাস
নির্বাচনে অনিয়ম হলে যুক্তরাষ্ট্র শাস্তি দেয়ার কে: পরিকল্পনামন্ত্রী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The first shipment of Indian onions entered the country

দেশে ঢুকল ভারতীয় পেঁয়াজের প্রথম চালান

দেশে ঢুকল ভারতীয় পেঁয়াজের প্রথম চালান সোমবার রাত ৮ টার দিকে ৩টি ট্রাকে ৭৫ টন পেঁয়াজ বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। ছবি: নিউজবাংলা
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার তানভির আহমেদ বলেন, ‘প্রতি টন পেঁয়াজ ৩২০ ডলারের ওপর ডিউটি ও ১০ শতাংশ শুল্ককর পরিশোধ করে প্রতি কেজি পেঁয়াজের আমদানি খরচ পড়ছে ৩৮.৩৬ টাকা।’

২ মাস ২২ দিন বন্ধ থাকার পর যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ফের পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। সোমবার রাত ৮ টার দিকে ৩টি ট্রাকে ৭৫ টন পেঁয়াজ বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে।

বন্ধের পর এই প্রথম বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৭৫ টন পেঁয়াজ আমদানি করেছে রাজধানী ঢাকার আমদানিকারক জারিফ ইন্টারন্যাশনাল।

এ বছরের ১৫ মার্চ ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বন্ধ করে দেয় সরকার। ফলে এতদিন পেঁয়াজ আমদানি হয়নি।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার তানভির আহমেদ বলেন, ‘আজ ভারত থেকে ৭৫ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। প্রতি টন পেঁয়াজ ২০০ ডলার (২১,৫৫০ টাকা প্রায়) মূল্যে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ প্রতি টন পেঁয়াজ ৩২০ ডলারের ওপর ডিউটি ও ১০ শতাংশ শুল্ককর পরিশোধ করে প্রতি কেজি পেঁয়াজের আমদানি খরচ পড়ছে ৩৮.৩৬ টাকা।’

বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল বলেন, ‘২ মাস ২২ দিন পর বেনাপোল দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। আমদানি করা পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রুত খালাস করতে পারেন, তার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
পেঁয়াজের ঝাঁজ কমছে, কপাল ঘামছে মজুতদারদের
পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি সোমবার থেকে
কৃষকের ক্ষতি করে পেঁয়াজ আমদানি নয়: কৃষিমন্ত্রী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
A League demands proper implementation of the law to prevent the use of plastic products

প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার রোধে আইনের যথাযথ প্রয়োগ দাবি আ.লীগের

প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার রোধে আইনের যথাযথ প্রয়োগ দাবি আ.লীগের বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে সোমবার মানববন্ধন করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ছবি: নিউজবাংলা
পরিবেশের উন্নয়নে বর্তমান সরকার নানামুখী পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করলেও ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে অনেকেই পরিবেশ দূষণের জন্য দায়ী বলে উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।

পরিবেশ বিধ্বংসী প্লাস্টিক পণ্যের বেআইনি উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও ব্যবহার রোধে বিদ্যামান আইনের যথাযথ প্রয়োগের দাবি জানিয়েছে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটি।

জাতীয় জাদুঘর এর সামনে সোমবার এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়। বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে এ কর্মসূচির আয়োচন করা হয়।

মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।

তিনি বলেন, ‘পরিবেশকে সুন্দর রাখতে হলে আমাদের প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। প্লাস্টিক ও পলিথিন বন্ধে সুস্পষ্ট আইন এবং হাইকোর্টের নির্দেশনা থাকলেও আমরা পুরোপুরি এর ব্যবহার রোধ করতে পারছি না। এ জন্য ব্যাপক সচেতনতা প্রয়োজন। প্রয়োজন আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন।

পরিবেশের উন্নয়নে বর্তমান সরকার নানামুখী পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করলেও ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে অনেকেই পরিবেশ দূষণের জন্য দায়ী বলে উল্লেখ করেন তিনি।

আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করে পরিবেশবান্ধব উপকরণ ব্যবহার করার জন্য আমাদের প্রত্যেককেই একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য হেমায়েত উদ্দিন, বিমান রয়, হাবিবুর রহমান, মনির হোসেন, মামুনুর রশীদ, সাবরিনা চৌধুরী, চিত্রনায়িকা জ্যোতিকা জোতি, অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান রুবেল, সফিউল আযম, উৎপল সাহা, আতিকুর রহমান, ব্যারিস্টার গোলাম শাহরিয়া প্রমুখ।

আরও পড়ুন:
মাটি রক্ষার বার্তা নিয়ে সাইকেলে চড়ে বগুড়ায় ভারতীয় ২ যুবক
ফিরেছে প্লাস্টিক মেলা
দেশি চাল প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরলেই জব্দ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Onion groves are shrinking the foreheads of the hoarders are sweating

পেঁয়াজের ঝাঁজ কমছে, কপাল ঘামছে মজুতদারদের

পেঁয়াজের ঝাঁজ কমছে, কপাল ঘামছে মজুতদারদের আমদানির খবরে বিপাকে পড়ে পাইকাররা রোববার ২০ টাকা ও সোমবার আরও ১০ টাকা দাম কমায়। ছবি: নিউজবাংলা
চাকতাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম বলেন, ‘আমদানির অনুমতির খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই পাইকারি ক্রেতারা পেঁয়াজ কেনা বন্ধ করে দেন। বিপাকে পড়ে পাইকাররা রোববার ২০ টাকা ও সোমবার আরও ১০ টাকা দাম কমায়।

দেশের বাজারে পেঁয়াজের দামে লাগাম টানতে সোমবার থেকে পণ্যটি আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। আমদানির খবরেই পাইকারি বাজারে ৩০ টাকা কমেছে পেঁয়াজের দাম। এতে বিপাকে পড়েছেন পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারী মজুতদাররা।

দেশে ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে সোমবার ৬০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে রোববার আমদানির ঘোষণার আগপর্যন্ত এ বাজারে পেঁয়াজের পাইকারি দর ছিল ৯০ টাকা। পেঁয়াজ আমদানির অনুমতির খবর ছড়িয়ে পড়লে রোববারই কেজিতে ২০ টাকা কমে যায়। একদিন পেরোতেই তা আরও ১০ টাকা কমে গিয়েছে।

চাকতাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম বলেন, ‘আমদানির অনুমতির খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই পাইকারি ক্রেতারা পেঁয়াজ কেনা বন্ধ করে দেন। বিপাকে পড়ে পাইকাররা রোববার ২০ টাকা ও সোমবার আরও ১০ টাকা দাম কমায়।

‘এখন ৬০ টাকা দরে পাইকারিতে পেঁয়াজ বিক্রি হলেও ক্রেতা নেই।’

সবাই আমদানির অপেক্ষা করছে বলে মনে করেন সমিতির সভাপতি।

পেঁয়াজসহ ভোগ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির জন্য আমদানিকারকদের দুষলেন এ ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, ‘পেঁয়াজ, আদাসহ সব পণ্যের দাম বৃদ্ধির জন্য আমদানিকারকরাই দায়ী। তারা শীতাতপনিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন।’

আমদানির অনুমতি পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আইপি (অনুমতিপত্র) চট্টগ্রামে আসতে সময় লেগেছে। আমদানিকারকরা আইপি পেয়েছেন তিনটায়। আজ কিছু পেঁয়াজ ঢুকতে পারে। কাল থেকে পুরোদমে ঢুকবে।’

আমদানির পর পেঁয়াজের দাম আরও কমলে দেশের পেঁয়াজ চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, ‘যারা অতিরিক্ত পেঁয়াজ মজুত করে রেখেছে, তারাও বিপদে পড়বে।’

এদিকে আমদানির খবরে খুচরা বাজারেও ১৫ থেকে ২০ টাকা কমেছে পেঁয়াজের দাম। বর্তমানে চট্টগ্রামের খুচরা বাজারে ৮০ থেকে ৯৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ।

সোমবার নগরীর ২ নম্বর গেইট এলাকার কর্ণফুলী মার্কেটে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, আহমদীয়া ট্রেডার্সে ৮০ টাকা, এসএস মার্টে ৮৫ টাকা, কোয়ালিটি ডিপার্টমেন্ট স্টোরে ৯৫ টাকা ও কর্ণফুলী ট্রেডার্সে ৮০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।

নগরীর অক্সিজেন এলাকার আনয়ার স্টোর ও পাঁচলাইশ এলাকার উৎসব সুপারশপে ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে পণ্যটি।

রমজানের পর থেকে দেশের বাজারে হুঁ হুঁ করে বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম। কয়েক দফা বেড়ে ১০০ টাকার বেশি দামে বিক্রি হতে থাকে প্রতিকেজি পেঁয়াজ। ওই সময় পাইকারি বাজারে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা পর্যন্ত দাম ওঠে।

এর মধ্যে সম্প্রতি পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিতে কৃষি মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এর প্রেক্ষিতে রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার থেকেই পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়ার কথা জানায় কৃষি মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সীমিত আয়ের-শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট লাঘবসহ সব ভোক্তার স্বার্থরক্ষায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

২০২২ সালে চাহিদার চেয়ে অধিক আমদানির কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হন দেশের পেঁয়াজ চাষীরা। তাই চাষীদের পেঁয়াজ চাষে উৎসাহিত করতে এবার পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রাখে সরকার।

আরও পড়ুন:
পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি সোমবার থেকে
কৃষকের ক্ষতি করে পেঁয়াজ আমদানি নয়: কৃষিমন্ত্রী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
If we fail to protect the environment the next generation will be held accountable Information Minister

পরিবেশ রক্ষায় ব্যর্থ হলে আগামী প্রজন্ম কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে: তথ্যমন্ত্রী

পরিবেশ রক্ষায় ব্যর্থ হলে আগামী প্রজন্ম কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে: তথ্যমন্ত্রী সোমবার বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত আলোচনা সভায় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: নিউজবাংলা
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বছরে পৃথিবীতে ৪শ’ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক উৎপাদন হয় যার মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় উৎপাদন হয় ৩ হাজার টন। বিশ্বব্যাপী ১১ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক বর্জ্য সমুদ্রে নিক্ষেপ করা হয়। এ অবস্থা চললে বিশেষজ্ঞদের মতে ৫০ বছরে বিশ্বের অনেক জলাধার মৎস্যশূন্য হয়ে পড়বে।’

দেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে রক্ষা করার জন্য শুধু সরকার নয়, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে সোমবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অন্য কারো জন্য নয়, নিজেদের ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যই পরিবেশ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ এবং বন সৃষ্টি করা প্রয়োজন। অন্যথায় ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে।

‘জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত আমাদের নিত্য সঙ্গী। জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্ত বিরূপ প্রভাব আমাদের দেশে দৃশ্যমান। সে প্রেক্ষাপটে আমাদের দেশে পরিবেশ সংরক্ষণ একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় সেই দুরূহ কাজ করতে গিয়ে অনেক সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছে আমাদের সরকার।’

২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পরিবেশ সংরক্ষণে বিশ্বের সর্বোচ্চ পদক ‘চ্যাম্পিয়ন অফ দ্য আর্থ’ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে জানান তথ্যমন্ত্রী।

ড. হাছান বলেন, ‘পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ, মাথাপিছু সর্বনিম্ন কৃষি জমি ও আয়তনের দিক দিয়ে পৃথিবীর ৯২তম দেশ হওয়া সত্ত্বেও ধান ও মিঠাপানির মাছ উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয়, সবজি উৎপাদনে চতুর্থ, আলু উৎপাদনে সপ্তম এবং খাদ্যশস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ছোট্ট একটি দেশে প্রধানমন্ত্রীর অনন্য ব্যবস্থাপনাতেই এটি সম্ভবপর হয়েছে।‘

২০০২ সাল থেকে ১০ বছর আওয়ামী লীগের প্রথম পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বপালনকারী হাছান মাহমুদ এ বছর বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য ‘বিট প্লাস্টিক পলুশন, ইকোসিস্টেম রিস্টোরেশন’ অনুসারে প্লাস্টিক দূষণ সমাধানে ব্রতী হওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘বছরে পৃথিবীতে ৪শ’ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক উৎপাদন হয় যার মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় উৎপাদন হয় ৩ হাজার টন। বিশ্বব্যাপী ১১ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক বর্জ্য সমুদ্রে নিক্ষেপ করা হয়। এ অবস্থা চললে বিশেষজ্ঞদের মতে ৫০ বছরে বিশ্বের অনেক জলাধার মৎস্যশূন্য হয়ে পড়বে।

‘থাইল্যান্ডের সমুদ্র অনেকটা মৎস্যশূন্য হয়ে গেছে। আবার প্রতিদিন প্রায় দেড়শ’ থেকে দুইশ’ প্রজাতির প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় ১৩৭টি প্রজাতির প্রাণী বিলুপ্ত হচ্ছে বনভূমি উজাড় হওয়ার কারণে।’

পরিবেশ রক্ষায় ব্যর্থ হলে আগামী প্রজন্ম কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে: তথ্যমন্ত্রী

পরিবেশের এসব বিপর্যয় রোধে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আসুন সবাই মিলে দেশ গড়ি, পরিবেশ রক্ষা করি ও প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করি।’

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী এবং সচিব ড. ফারহিনা আহমদ স্বাগত বক্তা হিসেবে বক্তৃতা দেন।

এসময় প্লাস্টিক ব্যবহারের বিরুদ্ধে সতর্ক করে পরিবেশমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘প্লাস্টিক দূষণ রোধে দশ বছর মেয়াদী কর্মপরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। এছাড়া ২০৩০ সাল নাগাদ দেশে বৃক্ষাচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ বর্তমান ২২.৩৭% থেকে ২৫ শতাংশে এবং বনভূমির পরিমাণ ১৪.১% থেকে ১৬ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।’

উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এসময় পরিবেশ সংরক্ষণে সরকারের উদ্যোগের সাথে দেশব্যাপী সকলের অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

সাবের হোসেন চৌধুরী বিশ্বের সামনে পরিবেশগত তিনটি চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘বর্তমান বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন, জীববৈচিত্র‍্য হারানো ও প্লাস্টিক বিস্ফোরণের অভিঘাত মোকাবিলা করছে। বাংলাদেশও এই অভিঘাতের বাইরে নয়। বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়কে এ ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে।’

অনুষ্ঠানে সিলেটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আমিনুজ্জামান, সালেহ রেজা ও বগুড়ার বাংলাদেশ বায়োডাইভার্সিটি কনজারভেশন ফেডারেশন সভাপতি ড. এস এম ইকবালকে ‘বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন-২০২২’ দেয়া হয়।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জীবানন্দ রায়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এস এম মফিজুল ইসলাম, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ও বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সোসাইটিকে (বেডস) দেয়া হয় জাতীয় পরিবেশ পদক-২০২২।

পাশাপাশি ৬টি শ্রেণিতে নির্বাচিত ১৮ জনকে বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার-২০২১ এবং সামাজিক বনায়নে অংশগ্রহণকারী সর্বোচ্চ লভ্যাংশপ্রাপ্ত ৫ জন মহিলা ও ৫ জন পুরুষকে পুরস্কৃত করেন প্রধান অতিথি পরিবেশবিদ ড. হাছান মাহমুদ।

সভা শেষে তথ্যমন্ত্রী কনভেনশন সেন্টার সংলগ্ন শেরেবাংলা নগরে পরিবেশ মেলা, জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষ মেলা উদ্বোধন করেন। এসময় অতিথিবৃন্দকে নিয়ে বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।

পরিবেশ মেলা ১১ জুন পর্যন্ত ও বৃক্ষমেলা প্রথমে ২৬ জুন পর্যন্ত এবং ঈদের পর ১ থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত সকাল নয়টা থেকে সন্ধ্যা আটটা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকছে।

আরও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চায় সরকার: তথ্যমন্ত্রী
ভিসা নীতির পরও বিএনপির শুভবুদ্ধি হয়নি: তথ্যমন্ত্রী

মন্তব্য

p
উপরে