× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Tiger deer hunting tourism does not stop in Sundarbans pollution is increasing
google_news print-icon
২১ মার্চ আন্তর্জাতিক বন দিবস

সুন্দরবনে থেমে নেই বাঘ-হরিণ শিকার, পর্যটনে বাড়ছে দূষণ

সুন্দরবনে-থেমে-নেই-বাঘ-হরিণ-শিকার-পর্যটনে-বাড়ছে-দূষণ
সুন্দরবনে পর্যটকদের ফেলে যাওয়া পলিথিনের খাবারের প্যাকেট কামড়ে খাচ্ছে বন্যপ্রানী বানর। সম্প্রতি সুন্দরবনের পূর্ব বন বিভাগের হাড়বাড়িয়া ইকোট্যরিজম কেন্দ্র থেকে তোলা। ছবি: আওয়াল শেখ।
হরিণের মাংস ও বাঘের চামড়া পাচার চলছে এখনও। নদ ও খালে অসাধু জেলেরা বিষ দিয়ে মাছ শিকার করায় নষ্ট হচ্ছে জলজ পরিবেশ। এ ছাড়া পরিবেশবান্ধব পর্যটন না হওয়ায় বনে বাড়ছে দূষণও।

বিশ্বের একক বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনভূমি সুন্দরবন বাঘ, চিত্রা হরিণ, কুমিরসহ নানা প্রজাতির মাছ, সরীসৃপ ও পাখির আবাসস্থল। সম্প্রতি এ বনে গাছকাটা প্রায় শূন্যের কোটায় নামলেও থেমে নেই বেশকিছু অনিয়ম।

হরিণের মাংস ও বাঘের চামড়া পাচার চলছে এখনও। নদ ও খালে অসাধু জেলেরা বিষ দিয়ে মাছ শিকার করায় নষ্ট হচ্ছে জলজ পরিবেশ। এ ছাড়া পরিবেশবান্ধব পর্যটন না হওয়ায় বনে বাড়ছে দূষণও।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা থেকে একটি বাঘের চামড়াসহ দুজনকে আটক করে র‌্যাব। ওই ব্যক্তিরা বনের মধ্যে ছাগলের মাংসের মধ্যে বিষাক্ত কীটনাশক ব্যবহার করে বাঘ শিকার করেছিলেন।

র‌্যাব-৬-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোসতাক আহমেদ বলেন, ‘এ শিকার তারা প্রায় কোটি টাকা মূল্য বিক্রি করার জন্য শৌখিন মানুষ খুঁজছিলেন গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে তাদের আটক করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘কারা এই পাচার দলের সঙ্গে সংযুক্ত ও কারা এর ক্রেতা, তার কিছু তথ্য আমাদের কাছে আছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা তদন্তাধীন।’

বিভিন্ন হিসেবে, বর্তমানে বিশ্বের ১৩টি দেশে ৩ হাজার ৮৪০টি বাঘ প্রকৃতিতে টিকে আছে। এর মধ্যে ২০১৮ সালের জরিপ অনুয়ায়ী, বাংলাদেশে সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা আছে ১১৪টি। তবে ২০০৪ সালের জরিপ অনুসারে সুন্দরবনে বাঘ ছিল ৪৪০টি। অর্থ্যাৎ ১৫ বছরে বন থেকে ৩২৬ টি বাঘ কমে গেছে।

বন বিভাগের হিসাব মতে, ২০০১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সুন্দরবনে বাঘ মারা গেছে কমপক্ষে ৪৬টি। এর মধ্যে প্রাকৃতিক কারণে মারা গেছে ৮টি, শিকারিদের হাতে মারা গেছে ১৩টি, লোকালয়ে প্রবেশ করায় স্থানীয়দের হাতে মারা গেছে ৫টি, দুর্বৃ্ত্তদের হাতে মারা যাওয়া বাঘের চামড়া উদ্ধার হয়েছে ১৯টি ও ২০০৯ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডরে মারা গেছে একটি। বাকি বাঘগুলি কোথায় গেল তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই।

বন বিভাগের দাবি, সম্প্রতি সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বেশ বেড়েছে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি নতুন করে শুরু হয়েছে বাঘ জরিপ। সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) ও বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, ‘২০২৪ সালের মার্চ মাসে এ জরিপের ফলাফল প্রকাশ করবে বন বিভাগ।’

বাঘের পাশাপাশি সুন্দরবনে থেমে নেই হরিণ শিকারও। বন বিভাগ ও স্থানীর পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৪০ জন শিকারিকে হরিণের মাংস ও চামড়াসহ আটক করা হয়েছে।

বনজীবীরা জানান, হরিণ শিকারের জন্য নাইলনের দড়ির ফাঁদ ব্যবহার করা হয়। সাধারণ গহীন বনে বেশি হরিণ শিকার করা হয়। বাজারে প্রতি কেজি হরিণের মাংসের মূল্য ৮০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘সুন্দরবনে হরিণ হত্যা ও পাচারের অপরাধে অনেকে আটক হয়েছেন। এই চোরা শিকারিরা অনেক শক্তিশালী। এদের বিরুদ্ধে মানুষ সাক্ষ্য দিতেও ভয় পায়। তারা এই সুযোগ নিয়ে আইনের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে আসে, আবারও অপরাধে লিপ্ত হয়। তবে ব্যাপকভাবে যে হরিণ শিকার হয়, তা নয়।’

তিনি বলেন, আমাদের পূর্ব ডিভিশনে ৫১৬ জনবলের বিপরীতে কর্মরত আছেন ২৯০ জন। এত কম জনবল নিয়েও আমরা যথেষ্ট অপরাধ নিয়ন্ত্রণ কাজ করছি।

সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, ‘সম্প্রতি সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী রক্ষায় অপরাধে জড়িতদের তথ্য প্রদানকারীকে পুরস্কার করা হচ্ছে। তথ্য দিলে ৮ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত পুরস্কার দেয়া হচ্ছে। ফলে কেউ হরিণ শিকার করলে আমাদের কাছে তথ্য আসছে, আমরা আটক করতে পারছি।’

২০১৮ সালের জরিপ মতে, এক থেকে দেড় লাখ হরিণ রয়েছে। বাঘ জরিপের আওয়তায় ২০২৪ সালের মার্চ মাসে হরিণের সংখ্যাও জানাবে বন বিভাগ।

খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দে বলেন, ‘সুন্দরবনে বাঘের ৮০ শতাংশ খাবার আসে হরিণ থেকে। তাই একই প্রকল্পের আওতায় বাঘের শিকার হরিণ ও বন্য শূকর-এ ধরনের প্রাণীর জরিপ করা হচ্ছে।'

সুন্দরবন বনদস্যুদের হাত থেকে বনজীবীরা মুক্তি পেলেও, বনজীবীদের বিষের উৎপাত থেকে মুক্তি পাচ্ছে না সুন্দরবন। জেলেদের ভাষ্য মতে, বনে এখন অল্প সংখ্যক স্থানে অধিক পরিমাণে জেলে একত্রে মাছ শিকার করতে যান। ফলে অনেক সময়ে কোন কোন জেলে বেশি মাছ আহরণ করতে পারেন না। তবে বিষ দিয়ে মাছ শিকার করলে একসঙ্গে প্রচুর মাছ পাওয়া যায়।

জেলেরা জানান জানান, একবার কোনো খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকার করলে ১৫ দিনের মধ্যে ওই খালে কোনো মাছ তো পাওয়ায় যায় না। এমনকি মাছের ডিম বা পোনা পাওয়া যায় না।

বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, কিছু অসাধু জেলে বিষ দিয়ে মাছ শিকারে জড়িত। কিন্তু তারা অল্পদিনে আইনের গণ্ডি পেরিয়ে আবারও বনে গিয়ে অপধার শুরু করে।

বন বিভাগের তথ্যমতে, সুন্দরবনে অভ্যন্তরে বর্তমানে সাতটি পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। যেগুলে হলো, করমজল, হারবাড়িয়া, কটকা, কচিখালী, দুবলার চর, হিরণ পয়েন্ট ও কলাগাছী। ওইসব স্থানে প্রতি বছর প্রায় ২ থেকে আড়াই লাখ পর্যটক ভ্রমণ করেন। এ ছাড়াও নতুন করে আরও চারটি পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি এন্ড উড ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. ওয়াসিউল ইসলাম বলেন, সুন্দরবনের পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে বনবিভাগ পরিবেশবান্ধব বলে দাবি করলেও, বাস্তবে তা হয়নি। তারা পরিবেশবান্ধব করার চেষ্টা করছে এটা বলা যেতে পারে। আর আমাদের দেশে এটা বাস্তবায়ন হতে আরও অনেক দেরি লাগবে।

তিনি বলেন, ‘বনে পর্যটকরা পলিথিন নিয়ে যাচ্ছেন। খাবারের অংশসহ সেই পলিথিন ফেলে আসছে, এটা বন্যপ্রাণী খাচ্ছে। ফলে তাদের শরীরে এটি ইফেক্ট পড়বে। এখারে বন বিভাগের তদারকির অভাব আছে, কারণ বনে জনবল সংকট। আর আমাদের দেশের মানুষও পরিবেশ সম্পর্ক সচেতন নয়।’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
If we fail to protect the environment the next generation will be held accountable Information Minister

পরিবেশ রক্ষায় ব্যর্থ হলে আগামী প্রজন্ম কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে: তথ্যমন্ত্রী

পরিবেশ রক্ষায় ব্যর্থ হলে আগামী প্রজন্ম কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে: তথ্যমন্ত্রী সোমবার বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত আলোচনা সভায় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: নিউজবাংলা
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বছরে পৃথিবীতে ৪শ’ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক উৎপাদন হয় যার মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় উৎপাদন হয় ৩ হাজার টন। বিশ্বব্যাপী ১১ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক বর্জ্য সমুদ্রে নিক্ষেপ করা হয়। এ অবস্থা চললে বিশেষজ্ঞদের মতে ৫০ বছরে বিশ্বের অনেক জলাধার মৎস্যশূন্য হয়ে পড়বে।’

দেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে রক্ষা করার জন্য শুধু সরকার নয়, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে সোমবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অন্য কারো জন্য নয়, নিজেদের ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যই পরিবেশ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ এবং বন সৃষ্টি করা প্রয়োজন। অন্যথায় ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে।

‘জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত আমাদের নিত্য সঙ্গী। জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্ত বিরূপ প্রভাব আমাদের দেশে দৃশ্যমান। সে প্রেক্ষাপটে আমাদের দেশে পরিবেশ সংরক্ষণ একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় সেই দুরূহ কাজ করতে গিয়ে অনেক সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছে আমাদের সরকার।’

২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পরিবেশ সংরক্ষণে বিশ্বের সর্বোচ্চ পদক ‘চ্যাম্পিয়ন অফ দ্য আর্থ’ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে জানান তথ্যমন্ত্রী।

ড. হাছান বলেন, ‘পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ, মাথাপিছু সর্বনিম্ন কৃষি জমি ও আয়তনের দিক দিয়ে পৃথিবীর ৯২তম দেশ হওয়া সত্ত্বেও ধান ও মিঠাপানির মাছ উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয়, সবজি উৎপাদনে চতুর্থ, আলু উৎপাদনে সপ্তম এবং খাদ্যশস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ছোট্ট একটি দেশে প্রধানমন্ত্রীর অনন্য ব্যবস্থাপনাতেই এটি সম্ভবপর হয়েছে।‘

২০০২ সাল থেকে ১০ বছর আওয়ামী লীগের প্রথম পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বপালনকারী হাছান মাহমুদ এ বছর বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য ‘বিট প্লাস্টিক পলুশন, ইকোসিস্টেম রিস্টোরেশন’ অনুসারে প্লাস্টিক দূষণ সমাধানে ব্রতী হওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘বছরে পৃথিবীতে ৪শ’ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক উৎপাদন হয় যার মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় উৎপাদন হয় ৩ হাজার টন। বিশ্বব্যাপী ১১ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক বর্জ্য সমুদ্রে নিক্ষেপ করা হয়। এ অবস্থা চললে বিশেষজ্ঞদের মতে ৫০ বছরে বিশ্বের অনেক জলাধার মৎস্যশূন্য হয়ে পড়বে।

‘থাইল্যান্ডের সমুদ্র অনেকটা মৎস্যশূন্য হয়ে গেছে। আবার প্রতিদিন প্রায় দেড়শ’ থেকে দুইশ’ প্রজাতির প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় ১৩৭টি প্রজাতির প্রাণী বিলুপ্ত হচ্ছে বনভূমি উজাড় হওয়ার কারণে।’

পরিবেশ রক্ষায় ব্যর্থ হলে আগামী প্রজন্ম কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে: তথ্যমন্ত্রী

পরিবেশের এসব বিপর্যয় রোধে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আসুন সবাই মিলে দেশ গড়ি, পরিবেশ রক্ষা করি ও প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করি।’

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী এবং সচিব ড. ফারহিনা আহমদ স্বাগত বক্তা হিসেবে বক্তৃতা দেন।

এসময় প্লাস্টিক ব্যবহারের বিরুদ্ধে সতর্ক করে পরিবেশমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘প্লাস্টিক দূষণ রোধে দশ বছর মেয়াদী কর্মপরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। এছাড়া ২০৩০ সাল নাগাদ দেশে বৃক্ষাচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ বর্তমান ২২.৩৭% থেকে ২৫ শতাংশে এবং বনভূমির পরিমাণ ১৪.১% থেকে ১৬ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।’

উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এসময় পরিবেশ সংরক্ষণে সরকারের উদ্যোগের সাথে দেশব্যাপী সকলের অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

সাবের হোসেন চৌধুরী বিশ্বের সামনে পরিবেশগত তিনটি চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘বর্তমান বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন, জীববৈচিত্র‍্য হারানো ও প্লাস্টিক বিস্ফোরণের অভিঘাত মোকাবিলা করছে। বাংলাদেশও এই অভিঘাতের বাইরে নয়। বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়কে এ ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে।’

অনুষ্ঠানে সিলেটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আমিনুজ্জামান, সালেহ রেজা ও বগুড়ার বাংলাদেশ বায়োডাইভার্সিটি কনজারভেশন ফেডারেশন সভাপতি ড. এস এম ইকবালকে ‘বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন-২০২২’ দেয়া হয়।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জীবানন্দ রায়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এস এম মফিজুল ইসলাম, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ও বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সোসাইটিকে (বেডস) দেয়া হয় জাতীয় পরিবেশ পদক-২০২২।

পাশাপাশি ৬টি শ্রেণিতে নির্বাচিত ১৮ জনকে বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার-২০২১ এবং সামাজিক বনায়নে অংশগ্রহণকারী সর্বোচ্চ লভ্যাংশপ্রাপ্ত ৫ জন মহিলা ও ৫ জন পুরুষকে পুরস্কৃত করেন প্রধান অতিথি পরিবেশবিদ ড. হাছান মাহমুদ।

সভা শেষে তথ্যমন্ত্রী কনভেনশন সেন্টার সংলগ্ন শেরেবাংলা নগরে পরিবেশ মেলা, জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষ মেলা উদ্বোধন করেন। এসময় অতিথিবৃন্দকে নিয়ে বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।

পরিবেশ মেলা ১১ জুন পর্যন্ত ও বৃক্ষমেলা প্রথমে ২৬ জুন পর্যন্ত এবং ঈদের পর ১ থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত সকাল নয়টা থেকে সন্ধ্যা আটটা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকছে।

আরও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চায় সরকার: তথ্যমন্ত্রী
ভিসা নীতির পরও বিএনপির শুভবুদ্ধি হয়নি: তথ্যমন্ত্রী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Severe fire in two northern districts

উত্তরের দুই জেলায় তীব্র দাবদাহ

উত্তরের দুই জেলায় তীব্র দাবদাহ মাথায় কাপড় দিয়ে উত্তাপ থেকে বাঁচার চেষ্টা এক ব্যক্তির। ফাইল ছবি
তাপমাত্রার বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

উত্তরবঙ্গের দুটি জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বা দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, দেশের বিভিন্ন এলাকার ওপর দিয়ে বইছে মৃদু থেকে মাঝারি দাবদাহ, যা অব্যাহত থাকতে পারে।

রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এমন বার্তা দিয়েছে।

পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা নিয়ে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

দিনভর আবহাওয়া কেমন থাকবে, তা নিয়ে জানানো হয়, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপপ্রবাহ বা দাবদাহ নিয়ে পূর্বাভাসে জানানো হয়, নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রংপুর বিভাগের অবশিষ্টাংশসহ ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগ এবং ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও বান্দরবান জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা অব্যাহত থাকতে পারে।

তাপমাত্রার বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

ঢাকায় বাতাসের গতি ও দিক নিয়ে বলা হয়, দক্ষিণ/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার।

পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার অবস্থা নিয়ে বলা হয়, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু টেকনাফ উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে।

আরও পড়ুন:
সারা দেশে চলছে মৃদু থেকে মাঝারি দাবদাহ
দিনে ১-২ ডিগ্রি বাড়তে পারে তাপমাত্রা
দেশজুড়ে বাড়তে পারে গরম
বজ্রসহ বৃষ্টি ঝরতে পারে সব বিভাগে
বজ্রসহ বৃষ্টির প্রবণতা কমতে পারে শনিবার থেকে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
When can the intense heat subside?

তীব্র গরম কমতে পারে কবে

তীব্র গরম কমতে পারে কবে গরমে পানিতে দাপাদাপি শিশুর। ফাইল ছবি
আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক রোববার বেলা সোয়া ১১টার দিকে নিউজবাংলাকে জানান, দাবদাহের কারণে দেশের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি হলেও সামগ্রিক তাপমাত্রা কমছে না। তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে ১২ জুনের পর।

দাবদাহ বা তাপপ্রবাহ বইছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এতে চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে গরম। ঘরে কিংবা বাইরে অসহনীয় হয়ে উঠেছে তাপমাত্রা। এ থেকে কবে নিষ্কৃতি মিলতে পারে, তা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রাষ্ট্রীয় সংস্থাটির আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক রোববার বেলা সোয়া ১১টার দিকে নিউজবাংলাকে জানান, দাবদাহের কারণে দেশের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি হলেও সামগ্রিক তাপমাত্রা কমছে না। তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে ১২ জুনের পর।

তিনি আরও জানান, জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষের দিক থেকে তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে পারে। শেষ সপ্তাহ থেকে সহনীয় হতে পারে সেটি।

২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাস

আবহাওয়া অধিদপ্তরের রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা নিয়ে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

দিনভর আবহাওয়া কেমন থাকবে, তা নিয়ে পূর্বাভাসে জানানো হয়, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপপ্রবাহ বা দাবদাহ নিয়ে বলা হয়, রাজশাহী, নওগাঁ, নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং মৌলভীবাজার, চাঁদপুর ও নোয়াখালী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

তাপমাত্রার বিষয়ে পূর্বাভাসে জানানো হয়, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার অবস্থা নিয়ে বলা হয়, সারা দেশে তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।

আরও পড়ুন:
দিনে ১-২ ডিগ্রি বাড়তে পারে তাপমাত্রা
দেশজুড়ে বাড়তে পারে গরম
বজ্রসহ বৃষ্টি ঝরতে পারে সব বিভাগে
বজ্রসহ বৃষ্টির প্রবণতা কমতে পারে শনিবার থেকে
সব বিভাগে ঝড়-বৃষ্টির আভাস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The burning may continue

দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে

দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে গরম থেকে বাঁচতে মাথায় গামছা জড়িয়েছেন এক শ্রমিক। ফাইল ছবি
তাপমাত্রার বিষয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দেশের অন্যান্য জায়গায় তা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

দেশের সব বিভাগে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বা দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, এ অবস্থা অব্যাহত থাকতে পারে।

রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এমন বার্তা দিয়েছে।

পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা নিয়ে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

দিনভর আবহাওয়া কেমন থাকবে, তা নিয়ে জানানো হয, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপপ্রবাহ বা দাবদাহের বিষয়ে বলা হয়, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও ফেনী জেলা এবং রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

তাপমাত্রার বিষয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দেশের অন্যান্য জায়গায় তা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

ঢাকায় বাতাসের গতি ও দিক নিয়ে বলা হয়, দক্ষিণ/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার।

ঢাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪২ মিনিটে সূর্য অস্ত যাবে জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, ঢাকায় শুক্রবার সূর্যোদয় ভোর ৫টা ১১ মিনিটে।

পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার অবস্থা নিয়ে জানানো হয়, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু টেকনাফ উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে।

আরও পড়ুন:
সব বিভাগে ঝড়-বৃষ্টির আভাস
গরম একটু কমতে পারে শিগগিরই
দেশে বিক্ষিপ্তভাবে হতে পারে শিলা বৃষ্টি
চাল কিনবেন না ঘর বাঁধবেন, দুশ্চিন্তায় সেন্ট মার্টিনের বাসিন্দারা
বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে সোমবার থেকে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
2nd Kuwait City covered with wind lows at the top

বাতাসের নিম্ন মানে শীর্ষে ঢাকা, দ্বিতীয় কুয়েত সিটি

বাতাসের নিম্ন মানে শীর্ষে ঢাকা, দ্বিতীয় কুয়েত সিটি দূষিত বাতাসের মধ্য দিয়ে ঢাকা ও কুয়েত সিটিতে যান চলাচল। কোলাজ: নিউজবাংলা
সপ্তাহের চতুর্থ কর্মদিবসে সকাল ১০টা ২২ মিনিটে ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ১৬৪। এর মানে হলো সে সময়টাতে অস্বাস্থ্যকর বাতাসের মধ্যে বসবাস করতে হয় রাজধানীবাসীকে।

বাতাসের নিম্ন মানের দিক থেকে আইকিউএয়ারের তালিকায় ফের শীর্ষে উঠে এসেছে ঢাকা।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মানবিষয়ক প্রযুক্তি কোম্পানিটির র‌্যাঙ্কিংয়ে বুধবার বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা ২২ মিনিটে বাতাসের নিম্ন মানে ৯৯টি শহরের মধ্যে প্রথম অবস্থানে ছিল বাংলাদেশের রাজধানী। একই সময়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে ছিল কুয়েতের রাজধানী কুয়েত সিটি ও ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা।

বাতাসের নিম্ন মানে শীর্ষে ঢাকা, দ্বিতীয় কুয়েত সিটি

আইকিউএয়ার জানিয়েছে, আজ সকালের ওই সময়ে ঢাকার বাতাসে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অতি ক্ষুদ্র কণা পিএম২.৫-এর উপস্থিতি ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আদর্শ মাত্রার চেয়ে ১৬ গুণ বেশি। একই সময়ে কুয়েত সিটির বাতাসে পিএম২.৫-এর ‍উপস্থিতি ছিল ডব্লিউএইচওর আদর্শ মাত্রার চেয়ে ১৪ দশমিক ২ গুণ বেশি।

নির্দিষ্ট স্কোরের ভিত্তিতে কোনো শহরের বাতাসের ক্যাটাগরি নির্ধারণের পাশাপাশি সেটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাকি ক্ষতিকর, তা জানায় আইকিউএয়ার।

কোম্পানিটি শূন্য থেকে ৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘ভালো’ ক্যাটাগরিতে রাখে। অর্থাৎ এ ক্যাটাগরিতে থাকা শহরের বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।

৫১ থেকে ১০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘মধ্যম মানের বা সহনীয়’ হিসেবে বিবেচনা করে কোম্পানিটি।

আইকিউএয়ারের র‌্যাঙ্কিংয়ে ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরিতে ধরা হয়।

১৫১ থেকে ২০০ স্কোরে থাকা শহরের বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরির বিবেচনা করা হয়।

র‌্যাঙ্কিংয়ে ২০১ থেকে ৩০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।

তিন শর বেশি স্কোর পাওয়া শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচনা করে আইকিউএয়ার।

সপ্তাহের চতুর্থ কর্মদিবসে সকাল ১০টা ২২ মিনিটে ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ১৬৪। এর মানে হলো সে সময়টাতে অস্বাস্থ্যকর বাতাসের মধ্যে বসবাস করতে হয় রাজধানীবাসীকে।

একই সময়ে কুয়েত সিটির বাতাসের স্কোর ছিল ১৫৯। এর অর্থ হলো ওই সময়ে অস্বাস্থ্যকর বাতাস নিতে হয় কুয়েত সিটিবাসীকেও।

আরও পড়ুন:
বাতাসের নিম্ন মানে শীর্ষে কাঠমান্ডু, ১৩তম ঢাকা
ভিসা প্রদানে ঘুষ: মালয়েশিয়ান দূতাবাসের ২ কর্মকর্তা রিমান্ডে
শেষ কর্মদিবসে যাত্রীচাপ বেড়েছে সদরঘাটে
বৃষ্টির পর ছুটির দিনে ‘সহনীয়’ ঢাকার বাতাস
চিয়াংমাইয়ের বাতাস ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’, ঢাকার বায়ু ‘অস্বাস্থ্যকর’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The wind low means Dubai Fifth Dhaka at the top

বাতাসের নিম্ন মানে শীর্ষে দুবাই, পঞ্চম ঢাকা

বাতাসের নিম্ন মানে শীর্ষে দুবাই, পঞ্চম ঢাকা ধোঁয়াশায় দুবাই। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে দুবাইয়ের বাতাসের স্কোর ছিল ১৬৯। এর অর্থ হলো ওই সময়ে অস্বাস্থ্যকর বাতাস নিতে হয় দুবাইবাসীকে।

বাতাসের নিম্ন মানের দিক থেকে আইকিউএয়ারের তালিকায় নিয়মিত ওপরে থাকা ঢাকা শীর্ষস্থানে না থাকলেও রয়েছে প্রথম পাঁচে।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মানবিষয়ক প্রযুক্তি কোম্পানিটির র‌্যাঙ্কিংয়ে সোমবার বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে বাতাসের নিম্ন মানে ৯৮টি শহরের মধ্যে প্রথম অবস্থানে ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই। একই সময়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে ছিল ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা ও চিলির সান্তিয়াগো। ওই সময়ে বাতাসের নিম্ন মানে পঞ্চম অবস্থানে ছিল ঢাকা।

আইকিউএয়ার জানিয়েছে, আজ সকালের ওই সময়ে ঢাকার বাতাসে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অতি ক্ষুদ্র কণা পিএম২.৫-এর উপস্থিতি ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আদর্শ মাত্রার চেয়ে ১১ দশমিক ৪ গুণ বেশি। একই সময়ে দুবাইয়ের বাতাসে পিএম২.৫-এর ‍উপস্থিতি ছিল ডব্লিউএইচওর আদর্শ মাত্রার চেয়ে ১৮ দশমিক ১ গুণ বেশি।

নির্দিষ্ট স্কোরের ভিত্তিতে কোনো শহরের বাতাসের ক্যাটাগরি নির্ধারণের পাশাপাশি সেটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাকি ক্ষতিকর, তা জানায় আইকিউএয়ার।

কোম্পানিটি শূন্য থেকে ৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘ভালো’ ক্যাটাগরিতে রাখে। অর্থাৎ এ ক্যাটাগরিতে থাকা শহরের বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।

৫১ থেকে ১০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘মধ্যম মানের বা সহনীয়’ হিসেবে বিবেচনা করে কোম্পানিটি।

আইকিউএয়ারের র‌্যাঙ্কিংয়ে ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরিতে ধরা হয়।

১৫১ থেকে ২০০ স্কোরে থাকা শহরের বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরির বিবেচনা করা হয়।

র‌্যাঙ্কিংয়ে ২০১ থেকে ৩০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।

তিন শর বেশি স্কোর পাওয়া শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচনা করে আইকিউএয়ার।

সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবসে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ১৫২। এর মানে হলো সে সময়টাতে অস্বাস্থ্যকর বাতাসের মধ্যে বসবাস করতে হয় রাজধানীবাসীকে।

একই সময়ে দুবাইয়ের বাতাসের স্কোর ছিল ১৬৯। এর অর্থ হলো ওই সময়ে অস্বাস্থ্যকর বাতাস নিতে হয় দুবাইবাসীকেও।

আরও পড়ুন:
বাতাসের নিম্ন মানে শীর্ষে কাঠমান্ডু, ১৩তম ঢাকা
ভিসা প্রদানে ঘুষ: মালয়েশিয়ান দূতাবাসের ২ কর্মকর্তা রিমান্ডে
শেষ কর্মদিবসে যাত্রীচাপ বেড়েছে সদরঘাটে
বৃষ্টির পর ছুটির দিনে ‘সহনীয়’ ঢাকার বাতাস
চিয়াংমাইয়ের বাতাস ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’, ঢাকার বায়ু ‘অস্বাস্থ্যকর’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Forestry wins SDG Brand Champion Awards in Climate and Environment category

জলবায়ু ও পরিবেশ বিভাগে এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ডস বিজয়ী ‘বনায়ন’

জলবায়ু ও পরিবেশ বিভাগে এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ডস বিজয়ী ‘বনায়ন’ র‍্যাডিসন ব্লু ঢাকা হোটেলের ওয়াটার গার্ডেনে এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ডস-২০২৩ আয়োজন করা হয়। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
র‍্যাডিসন ব্লু ঢাকা হোটেলের ওয়াটার গার্ডেনে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রামে ১১টি বিজয়ী ও ১৩টি সম্মানসূচক উল্লেখসহ বিভিন্ন বিভাগে ২৪টি উদ্যোগকে স্বীকৃতি দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে বনায়নের পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন গোলাম মঈন উদ্দীন।

দেশজুড়ে বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে ইতিবাচক প্রভাব রাখায় জলবায়ু ও পরিবেশ বিভাগে সম্মানজনক এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ডস-২০২৩ অর্জন করেছে বনায়ন।

র‍্যাডিসন ব্লু ঢাকা হোটেলের ওয়াটার গার্ডেনে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রামে ১১টি বিজয়ী ও ১৩টি সম্মানসূচক উল্লেখসহ বিভিন্ন বিভাগে ২৪টি উদ্যোগকে স্বীকৃতি দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে বনায়নের পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন গোলাম মঈন উদ্দীন।

এ সময় তার সঙ্গে বনায়নের প্রতিনিধি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন হোর্হে লুইস মাসেদো, আহমেদ রায়হান আহসান উল্লাহ ও সাজ্জাদ হোসেন।

বাংলাদেশ সরকারের বন অধিদপ্তরের ব্যাপক পরিসরে বৃক্ষরোপণের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৯৮০ সালে যাত্রা শুরু করে বনায়ন প্রকল্প।

সরকারের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজিএস) অর্জনে শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এ প্রকল্প।

২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে বৃক্ষ আচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ ২৫ শতাংশে উন্নীত করার মাধ্যমে এসডিজি-১৩ (জলবায়ু কার্যক্রম) ও এসডিজি-১৫ (স্থলজ জীবন) লক্ষ্য অর্জনে সরকারকে সহায়তা করছে বনায়ন প্রকল্প।

বনায়নের মাধ্যমে দেশের বেসরকারি খাতে সর্ববৃহৎ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে।

প্রতিবছর বনায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ৫০ লাখ ফল, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা বিতরণ করা হয়।

দেশের ২২টি জেলায় এ উদ্যোগের আওতায় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এ পর্যন্ত বিনামূল্যে ৪৫টির বেশি বিভিন্ন প্রজাতির ১২ কোটি চারা বিতরণ করা হয়।

গত বছরগুলোতে ফলপ্রসূ সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের মাধ্যমে বনায়ন দেশজুড়ে কয়েকটি ইমপ্যাক্ট জোন তৈরি করে।

বনায়নের উল্লেখযোগ্য কিছু প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, কুষ্টিয়া বাইপাস রোড, যমুনা সেতু সড়ক সবুজায়ন।

বনায়ন প্রকল্প এ পর্যন্ত পাঁচবার সম্মানজনক প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার এবং একবার প্রধান উপদেষ্টার পুরস্কার পায়।

আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও অর্জন করে এ উদ্যোগ। এর মধ্যে গ্রিন লিডারশিপের জন্য এন্টারপ্রাইজ এশিয়া থেকে ‘এশিয়া রেসপন্সিবল অন্টারপ্রনারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ ও ‘বাংলাদেশ ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড ২০২১’ রয়েছে।

আরও পড়ুন:
উপায় ঈদ ক্যাম্পেইনে বিজয়ী চট্টগ্রাম অঞ্চলের এজেন্টরা পেলেন পুরস্কার
উপায় ঈদ ক্যাম্পেইনের পুরস্কার পেলো বিজয়ীরা
স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
‘বিশ্ব শিশু পুরস্কার’ দৌড়ে নৌকা স্কুলের রেজোয়ান
যারা পেলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার

মন্তব্য

p
উপরে