× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
As torture increases the pace of protest will intensify Fakhrul
google_news print-icon

নির্যাতন যত বাড়বে প্রতিবাদের গতি তত তীব্র হবে: ফখরুল

নির্যাতন-যত-বাড়বে-প্রতিবাদের-গতি-তত-তীব্র-হবে-ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশব্যাপী বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশির নামে প্রতিনিয়ত হয়রানি করা হচ্ছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে দেশটা আওয়ামী লীগের পৈতৃক সম্পত্তি। শাসক গোষ্ঠী দেশকে বিরোধী দলশূন্য করে নিজেদের একচ্ছত্র শাসন দীর্ঘায়িত করার গভীর চক্রান্তে লিপ্ত।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘কর্তৃত্ববাদী সরকার বুঝে গেছে যে তাদের আয়ুষ্কাল ফুরিয়ে এসেছে। সে জন্য তারা বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মরণকামড় দিতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর ভোটারবিহীন আওয়ামী লীগ সরকারের নির্যাতন-নিপীড়ন যত বাড়বে প্রতিবাদের ঝড়ের গতি ততই তীব্র হবে।’

রাজধানীর একটি ক্লাব থেকে বিএনপির ৫৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে সোমবার দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের মানুষ গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা। সেই সময়টাতে বর্বর ফ্যাসিস্ট সরকার নির্বিচারে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে মামলা, হামলা, গ্রেপ্তার, রিমান্ডে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন ও কারান্তরীণ করা অব্যাহত রেখেছে। দেশের মানুষকে ব্যক্তিগত কিংবা সামাজিক অনুষ্ঠানেও বাধা দিচ্ছে এই সরকার।’

সারা দেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নেত্রকোণাসহ দেশব্যাপী বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশির নামে প্রতিনিয়ত হয়রানি করা হচ্ছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে দেশটা আওয়ামী লীগের পৈতৃক সম্পত্তি। বর্তমান শাসক গোষ্ঠী দেশকে বিরোধী দলশূন্য করে নিজেদের একচ্ছত্র শাসন দীর্ঘায়িত করার গভীর চক্রান্তে লিপ্ত।’

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলা চেয়ারম্যান মমিন আলী, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস ধীরেন, শ্রীনগর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমসহ ৫৩ জনকে ঢাকায় একটি সামাজিক অনুষ্ঠান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, ‘এছাড়া নেত্রকোনা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান দুদু, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আয়নাল হককে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

আরও পড়ুন:
আওয়ামী লীগের মূলনীতি টাকা পাচার: ফখরুল
আওয়ামী লীগ প্যাথলজিক্যাল চোর: ফখরুল
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কেন সংলাপ নয়, জানাল বিএনপি
পঞ্চগড়ের ঘটনায় ফায়দা নেয়ার চেষ্টায় সরকার: ফখরুল
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে আ.লীগ ক্ষমতায় থাকতে চায়: ফখরুল

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
A meeting with BNP may be held through UN mediation Amu

জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় বিএনপির সঙ্গে বৈঠক হতে পারে: আমু

জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় বিএনপির সঙ্গে বৈঠক হতে পারে: আমু রাজধানীতে মঙ্গলবার ১৪ দলীয় জোটের সমাবেশে বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু।
আমির হোসেন আমু বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্রের স্বার্থে নির্বাচনী সমস্যা সমাধানে সরকার আলোচনা রাজি হয়েছে। সংবিধানের মধ্যে থেকে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে আলোচনার দরজা সবসময় খোলা।’

জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় বিএনপির সঙ্গে অন্তর্বতীকালীন সরকার নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, ‘সংবিধানের মধ্যে থেকে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দলের জন্য আলোচনার দরজা সবসময় খোলা আছে।’

মঙ্গলবার রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বিএনপি ও জামায়াতের দেশবিরোধী ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এই সমাবেশের আয়োজন করে কেন্দ্রীয় ১৪ দল।

আমির হোসেন আমু বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্রের স্বার্থে নির্বাচনী সমস্যা সমাধানে সরকার আলোচনা রাজি হয়েছে। সংবিধানের মধ্যে থেকে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে আলোচনার দরজা সবসময় খোলা। বিএনপির সাথে যে কোনো আলোচনা হতে পারে। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে আলোচনার দ্বার সবসময় খোলা আছে। প্রয়োজনে জাতিসংঘের প্রতিনিধির মধ্যস্ততায় বিএনপির সাথে আলোচনা হতে পারে।’

এসময় ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘আমেরিকার ভিসানীতি দুরভিসন্ধিমূলক। এর মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে বিএনপি বা সুশীল সমাজের কাছে ক্ষমতা তুলে দেয়া যায়। মার্কিন ভিসা নীতির কারনে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তবে বিএনপিকে বলবো-সাহস থাকলে সেই নির্বাচনে আপনারা আসেন।’

সভায় আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
নির্বাচনের মাঠ ফাঁকা করার চক্রান্ত চলছে: ফখরুল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
US visa policy due to BNPs apathy Information Minister

বিএনপির অপরাজনীতির কারণেই যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি: তথ্যমন্ত্রী

বিএনপির অপরাজনীতির কারণেই যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি: তথ্যমন্ত্রী তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। ছবি: নিউজবাংলা
হাছান মাহমুদ বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসা নীতি ঘোষণার পর বিএনপির অন্তর্জ্বালা শুরু হয়েছে। কারণ তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি নাকচ করেছে। অন্য কোনো দেশের সমর্থনও তারা পায়নি। ফলে তাদের পক্ষে আগের মতো ‘নির্বাচন প্রতিহত করবো, বর্জন করবো’ এগুলো বলার সুযোগ নেই।”

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির নেতিবাচক, ধ্বংসাত্মক, মানুষ পোড়ানোর অপরাজনীতি, নির্বাচন প্রতিহত-বয়কট করার অপরাজনীতির কারণেই যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে।

সমসাময়িক বিষয়ে মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তথ্যমন্ত্রী। এ সময় বিএনপি মহাসচিবের ‘আওয়ামী লীগ সরকারের কারণেই নতুন মার্কিন ভিসা নীতি’ বক্তব্যের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসা নীতি ঘোষণার পর বিএনপির অন্তর্জ্বালা শুরু হয়েছে। কারণ তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি নাকচ করেছে। অন্য কোনো দেশের সমর্থনও তারা পায়নি। ফলে তাদের পক্ষে আগের মতো ‘নির্বাচন প্রতিহত করবো, বর্জন করবো’ এগুলো বলার সুযোগ নেই।

“যে কারণে এখন ফখরুল সাহেব একটু হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে একেক সময় একেক কথা বলছেন। বিভিন্ন কথা বলে আত্মতুষ্টি লাভের চেষ্টা করছেন।’

ড. হাছান বলেন, ‘শেষ কথা হচ্ছে তাদেরকে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। নির্বাচন প্রতিহত করার রাজনীতি তাদের পক্ষে আর করা সম্ভব নয়। তাই তাদেরকে অনুরোধ জানাব, দেশে গণ্ডগোল করার পরিকল্পনা না করে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের পরিকল্পনা গ্রহণ করুন।’

‘বিএনপি-জামায়াত আবার এক হচ্ছে’

জামায়াত ১০ জুন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে- সাংবাদিকদের এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামাত তো সবসময় এক। তারা কোনো সময়‌ই বিচ্ছিন্ন হয়নি। মাঝে মধ্যে মৌনতা অবলম্বন করে। নির্বাচন সামনে রেখে তারা দেশে গণ্ডগোল বাধানোর চেষ্টা করবে। ‘গণ্ডগোলের পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই তারা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সামনে অবস্থান কর্মসূচি দিয়েছে। এটি কোনো সাধারণ রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়। তবে সেই গণ্ডগোল তাদেরকে করতে দেয়া হবে না। আমরা সতর্ক আছি, বিএনপি-জামায়াতকে কিভাবে মোকাবিলা করতে হয় দেশের জনগণ জানে।’

‘গুজব প্রতিরোধ করবে সরকার ও গণমাধ্যম’

নির্বাচন সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা গুজবের উদ্ভব হচ্ছে- এ বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব বিশ্বব্যাপী একটি চ্যালেঞ্জ। আমি ক’দিন আগে এশিয়া মিডিয়া সামিটে গিয়েছিলাম। সেখানে এই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং সামিটের ঘোষণাপত্রে সর্বাধিক গুরুত্ব পেয়েছে। বিএনপি-জামাতের পেইড এজেন্ট যারা খুন ও দুর্নীতির দায়ে পলাতকম তারা বিদেশে বসে আর কিছু ব্যক্তিবিশেষ দেশ থেকে নানা গুজব ছড়ায়।’

তিনি বলেন, ‘গুজব প্রতিরোধে সরকার নানা ব্যবস্থা নিয়েছে। আগামী জুলাই থেকে বিটিআরসির সক্ষমতা বাড়বে। আমাদের মন্ত্রণালয়ও গুজব প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। আর মূলধারার গণমাধ্যম পত্রিকা ও টেলিভিশন করোনার মধ্যেও গুজবের বিরুদ্ধে অত্যন্ত বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছে। আশা করব, নির্বাচন সামনে রেখে হোক বা যে কোনো প্রেক্ষাপটেই হোক, গুজবের বিরুদ্ধে গণমাধ্যম সবসময় বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে।’

আরও পড়ুন:
পরিবেশ রক্ষায় ব্যর্থ হলে আগামী প্রজন্ম কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে: তথ্যমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চায় সরকার: তথ্যমন্ত্রী
আফছারুল আমীনের মৃত্যু দলের জন্য ক্ষতি: তথ্যমন্ত্রী
ভিসা নীতির পরও বিএনপির শুভবুদ্ধি হয়নি: তথ্যমন্ত্রী
সরকারের লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ ও মানবিক রাষ্ট্র: তথ্যমন্ত্রী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jamaats rally in Dhaka has not been decided by the police

ঢাকায় জামায়াতের সমাবেশ, সিদ্ধান্ত জানায়নি পুলিশ

ঢাকায় জামায়াতের সমাবেশ, সিদ্ধান্ত জানায়নি পুলিশ জামায়াতের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার বিকেলে ডিএমপি কার্যালয়ে যান। ছবি: নিউজবাংলা
বিকেল ৪ টা ৪০ মিনিটের দিকে ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয় থেকে বেরিয়ে জামায়াতের প্রতিনিধি দলের প্রধান সাইফুর রহমান বলেন, ‘জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ করতে অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছি।’

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ১০ জুন সমাবেশ ও মিছিল করতে চায়। এ জন্য অনুমতি চেয়ে মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে জামায়াতের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল ডিএমপি কার্যালয়ে যান।

তবে আবেদনটি গ্রহণ করে অনুমতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরে জানানোর কথা বলেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

ডিএমপি সদর দপ্তরের যুগ্ম-কমিশনার (অপারেশন্স) বিপ্লব কুমার সরকার সাংবাদিকদের বলেন, ‘জামায়াতের প্রতিনিধি দল ডিএমপি সদর দপ্তরে এসেছিলেন। তারা ১০ জুন রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের অনুমতি চান। কমিশনারের কার্যালয় থেকে আবেদনপত্রটি গ্রহণ করা হয়েছে। তবে অনুমতি দেয়া হবে কি হবে না, সে সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে।’

বিকেল ৪ টা ৪০ মিনিটের দিকে ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয় থেকে বেরিয়ে জামায়াতের প্রতিনিধি দলের প্রধান সাইফুর রহমান বলেন, ‘জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ করতে অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছি।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের পরিচালক আশরাফুল আলম ইমন জানান, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিরোধ, জামায়াতের আমীর শফিকুর রহমানসহ বন্দীদের মুক্তি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতে গত ৫ জুন সমাবেশ ও মিছিল করতে চেয়ে তারা আবেদন করেন।

ওই সময় কর্মদিবসের কথা বলে ডিএমপি কমিশনার আবেদনটি নাকচ করে দেন। তাই কর্মসূচি বাস্তবায়নে তারা আবারও আবেদন করেছেন।

আরও পড়ুন:
জামায়াতের বিক্ষোভ ঘিরে ঢাকার প্রবেশমুখে চেকপোস্ট, তল্লাশি
জামায়াত নেতার বাড়ির সিলিংয়ে ককটেল সদৃশ বস্তু, সরাতে গিয়ে বিস্ফোরণ
পুলিশ ধরল কেন, ছাড়ল কেন?
‘বাইডেন প্রশাসনে লবিস্ট নিয়োগ দিয়েছে বিএনপি-জামায়াত’
জামায়াতের ৪ নেতাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The government is afraid of the publics support for the movement Fakhrul

আন্দোলনে জনতার সমর্থন দেখে সরকার ভয় পেয়েছে: ফখরুল

আন্দোলনে জনতার সমর্থন দেখে সরকার ভয় পেয়েছে: ফখরুল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। ফাইল ছবি
সরকারকে উদ্দেশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘মানুষের মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব খাটিয়ে অতীতে কোনো স্বৈরাচারী সরকার নিজেদের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে পারেনি। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রতি যত্নবান না হয়ে আপনারা কুমতলবে বিভোর থাকলে আপনাদের পরিণতিও হবে ভয়াবহ।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘রাষ্ট্র পরিচালনায় সব ক্ষেত্রে ব্যর্থ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার। তারা এখন বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচিতে জনগণের অভাবনীয় সমর্থন দেখে ভয় পেয়েছে। আর সেই ভয় থেকেই তারা বিরোধী দল ও মতের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।’

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সোমবার বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা স্থলবন্দরে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না এবং গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকিসহ গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতাদের গাড়িবহর ও তাদের অবস্থান করা আবাসিক হোটেলে হামলা চালানো হয়েছে। গণতন্ত্র মঞ্চের এই শান্তিপূর্ণভাবে রোডমার্চ কর্মসূচিতে হামলা সরকারের অপরাজনীতি থেকে কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।’

সরকারকে উদ্দেশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘মানুষের মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রতি নেতিবাচক প্রভাব খাটিয়ে অতীতে কোনো স্বৈরাচারী সরকার নিজেদের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে পারেনি। বরং তাদের করুণ পরিণতি ভোগ করতে হয়েছে।

‘আপনারাও যদি বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রতি যত্নবান না হয়ে হরণ করার কুমতলবে বিভোর থাকেন তাহলে আপনাদের পরিণতিও হবে ভয়াবহ।’

বিএনপি মহাসচিব অবিলম্বে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। বিবৃতিতে ওই ঘটনায় আহত নেতা-কর্মীদের সুস্থতাও কামনা করেন বিএনপি মহাসচিব।

আরও পড়ুন:
জনতার লড়াই চূড়ান্ত পরিণতির দিকে যাচ্ছে: ফখরুল
ভয় দেখিয়ে, ভয় করে লাভ নেই: ফখরুল
বিরোধীদের জেলে পাঠিয়ে সরকার আন্দোলন দমাতে চায়: ফখরুল
সরকারের লাফালাফি থেমে গেছে: ফখরুল
বিরোধীদের গ্রেপ্তারের খেলায় মেতেছে সরকার: ফখরুল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP will stand in front of the electricity office in the district

জেলায় জেলায় বিদ্যুৎ অফিসের সামনে অবস্থান করবে বিএনপি

জেলায় জেলায় বিদ্যুৎ অফিসের সামনে অবস্থান করবে বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির পক্ষ থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা
রিজভী বলেন, অসহনীয় লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দুর্নীতির প্রতিবাদে আগামী ৮ জুন জেলা শহরে বিদ্যুৎ অফিসের সামনে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি।

চলমান লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে দেশের সব জেলা শহরের বিদ্যুৎ অফিসের সামনে ৮ জুন এক ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি।

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, অসহনীয় লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দুর্নীতির প্রতিবাদে আগামী ৮ জুন জেলা শহরে বিদ্যুৎ অফিসের সামনে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি।

রিজভী জানান, অবস্থান কর্মসূচি শেষে স্মারকলিপি দেয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস প্রমুখ।

আরও পড়ুন:
সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় সিলেটে বিএনপির ৪৩ নেতা বহিষ্কার
সিলেটে এক মেয়র ও ৪০ কাউন্সিলর প্রার্থীকে বিএনপির শোকজ
নির্বাচনে অংশ নিয়ে খুলনা বিএনপির ৯ নেতা আজীবন বহিষ্কার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Khaleks 40 point manifesto to build Smart Khulna

স্মার্ট খুলনা গড়তে খালেকের ৪০ দফা ইশতেহার

স্মার্ট খুলনা গড়তে খালেকের ৪০ দফা ইশতেহার মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক। ছবি: নিউজবাংলা
স্মার্ট খুলনা গড়ার ব্যাপারে তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, ‘নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা, বাস স্টপেজসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে বিনামূল্য ওয়াই-ফাইয়ের ব্যবস্থা করা হবে। সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে একটি ই-লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা হবে। নাগরিক সমস্যা জানানো, সেবা ও প্রয়োজনীয় তথ্য সমৃদ্ধ মোবাইল অ্যাপ চালু করা হবে। সকল সেবাসমূহকে পর্যায়ক্রমে ডিজিটাল করা হবে এবং ই-সেবা চালু করা হবে।’

খুলনাকে পরিকল্পিত ও পরিচ্ছন্ন স্মার্ট সিটি গড়ে তুলতে ৪০ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় খুলনা প্রেসক্লাবে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন তিনি।

৪০ দফা ইশতেহারের প্রথমেই রয়েছে পরিচ্ছন্ন, সবুজ ও পরিবেশবান্ধব খুলনা গড়ার প্রত্যয়। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, ‘রাস্তাঘাট, বাসাবাড়ি নির্মাণ ও নগর পরিকল্পনায় সবুজকে প্রাধান্য দেয়া হবে। সবুজ খুলনা গড়ে তুলতে এলাকাভিত্তিক পরিকল্পিত বনায়ন করা হবে। বাড়িভিত্তিক সবুজায়নে উৎসাহিত করা হবে। নগর পরিকল্পনায় পরিবেশকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হবে। নগরায়ন হবে পরিবেশবান্ধব। জমি, বায়ু, শব্দ দূষণের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেয়া হবে।’

ইশতেহারে দ্বিতীয় দফায় নগরীতে পার্ক-উদ্যান নির্মাণ ও বনায়ন সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন খালেক। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে নগরীতে বিদ্যমান পার্ক ও উদ্যানগুলোর প্রয়োজনীয় সংস্কার ও উন্নয়ন করা হবে। এছাড়া উন্মুক্ত সুবিধাজনক স্থানে একটি বড় পার্ক, লেডিস পার্ক ও ২টি শিশুপার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে। নদী-সংলগ্ন স্থানে ভ্রমণের জন্য ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে।’

স্মার্ট খুলনা গড়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা, বাস স্টপেজসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে বিনামূল্য ওয়াই-ফাইয়ের ব্যবস্থা করা হবে। সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে একটি ই-লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা হবে। নাগরিক সমস্যা জানানো, সেবা ও প্রয়োজনীয় তথ্য সমৃদ্ধ মোবাইল অ্যাপ চালু করা হবে। সকল সেবাসমূহকে পর্যায়ক্রমে ডিজিটাল করা হবে এবং ই-সেবা চালু করা হবে।’

খালেকের ৪০ দফার মধ্যে আরও রয়েছে- জলাবদ্ধতা দূরীকরণে বিশেষ ব্যবস্থা, স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ড্রেন পরিষ্কার, আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বৃক্ষ পরিচর্যা ও সংরক্ষণ, স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন ও নিরাপদ স্বাস্থ্যকর খুলনা সিটি গড়ে তোলা, সুলভ মূল্যে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা, সূর্যোদয়ের আগেই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন, মাদকমুক্ত নগর গড়ে তোলা, সড়কে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, পথচারী-বান্ধব ফুটপাত, মানবিক উন্নয়নের খুলনা, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান উপযোগী নগরী, সিভিক সেন্টার গড়ে তোলা, অনুদান তহবিল চালু, মিডিয়া সেন্টার চালু ও সেরা সংবাদ পুরস্কার প্রবর্তন, কবরস্থান ও শ্মশান ঘাটের উন্নয়ন, মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিবছর প্রতিযোগিতার আয়োজন, স্মার্ট ডিজিটাল খুলনা, নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মানচিত্র প্রদর্শন, অংশগ্রহণমূলক ও সুশাসিত খুলনা, ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস মিটিগেশন সেল স্থাপন, হটলাইন নগর তথ্য কেন্দ্র চালু, পরিকল্পনা প্রণয়নে পরামর্শক কমিটি গঠন, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের উন্নয়ন ও বিকাশ, জলাশয় ও পুকুর সংরক্ষণ, শিশুদের সাঁতার শেখানোর বিশেষ উদ্যোগ, নগরীর বাজারগুলোর আধুনিকায়ন, হোল্ডিং ট্যাক্স না বাড়িয়ে সেবার মান বৃদ্ধি, মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামে রাস্তার নামকরণ, বধ্যভূমিগুলোর স্মৃতি সংরক্ষণ, যাতায়াত ও ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়ন, শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন, নারী উন্নয়ন ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা প্রদান, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ, ওয়াসা, কেডিএ, রেলওয়ে, টেলিকমিউনিকেশন ও বিদ্যুৎ পরিষেবার উন্নয়ন, কেসিসিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে বুলেটিন প্রকাশ এবং খুলনা মহানগরী সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ।

ইশতেহার ঘোষণার আগে গত পাঁচ বছরে বাস্তবায়ন করা উন্নয়ন প্রকল্পের বর্ণনা দেন সদ্য বিদায়ী মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।

এসময় তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ সংক্রমণের কারণে দেশের সকল উন্নয়ন কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে-যা প্রায় ৩ বছর স্থায়ী ছিল। সে কারণে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও যথাসময়ে বিশাল এ কর্মযজ্ঞ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। ফলে নগরবাসীকে হয়ত কিছুটা দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।’

অনিচ্ছাকৃত ও অনাকাঙ্খিত এ বিলম্বের জন্য নগরবাসীর কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। তবে চলমান উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত হলে খুলনা আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত একটি স্বাস্থ্যকর নগরীতে পরিণত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন সদ্য বিদায়ী এ মেয়র।

ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক ও এস এম কামাল হোসেন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পারভীন জাহান কল্পনা, কেসিসি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক কাজী আমিনুল হক, আওয়ামী লীগ নেতা এম ডি এ বাবুল রানা, অ্যাডভোকেট সুজিত কুমার অধিকারী, সাবেক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
লোডশেডিংয়ে খুলনায় ভোট কমার ভয় আ.লীগের
ভোটে ইসলামকে ব্যবহার করা উচিৎ নয়: ইসি হাবিব
নির্বাচনে অংশ নিয়ে খুলনা বিএনপির ৯ নেতা আজীবন বহিষ্কার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP is giving bad name to Bangladesh in the world court Kader

বিএনপি বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের বদনাম রটাচ্ছে: কাদের

বিএনপি বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের বদনাম রটাচ্ছে: কাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
ওবায়দুল কাদের বলেন, দলটি স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে ম্লান করে হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলে বিদেশি প্রভুদের কাছে ধরনা দিচ্ছে এবং দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। দেশের মানুষের প্রতি তাদের কোনো আস্থা ও বিশ্বাস নেই এবং দেশের সংবিধান, গণতন্ত্র, নির্বাচন ও গণরায়কে অবজ্ঞা করে তারা কেবল বিদেশি প্রভুদের কাছে করুণা প্রার্থনা করছে।

বিএনপি বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের মান ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করে তারা প্রতিনিয়ত সরকারবিরোধী কুৎসা ও বদনাম রটাচ্ছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ সব কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেন, দলটি স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে ম্লান করে হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলে বিদেশি প্রভুদের কাছে ধরনা দিচ্ছে এবং দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। দেশের মানুষের প্রতি তাদের কোনো আস্থা ও বিশ্বাস নেই এবং দেশের সংবিধান, গণতন্ত্র, নির্বাচন ও গণরায়কে অবজ্ঞা করে তারা কেবল বিদেশি প্রভুদের কাছে করুণা প্রার্থনা করছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত ভিসানীতি নিয়ে আওয়ামী লীগ ও সরকার ভীত নয়। কারণ আমরা সর্বদা সংবিধান, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যদি এই ভিসানীতি যথাযথভাবে প্রয়োগ হয়, তাহলে বিএনপি নেতাকর্মীদের এর আওতায় আসার আশঙ্কা রয়েছে। কেন না, তারা বরাবরই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করছে। তারা নির্বাচনি ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত করতে ও নির্বাচন প্রতিরোধের নামে সন্ত্রাসের মাধ্যমে সাংবিধানিক রাজনীতির অচলাবস্থা সৃষ্টির পাঁয়তারা করে আসছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মিথ্যাচার-অপপ্রচারের মাধ্যমে বিএনপি নেতারা খুনি-স্বৈরশাসক, সংবিধান ও গণতন্ত্রের হত্যাকারী স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা হিসেবে ভ্রান্ত মিথ তৈরি করার অপচেষ্টা করে আসছে। মূলত জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও সংবিধান ধ্বংস করেছে।

তিনি বলেন, প্যাডসর্বস্ব ভুঁইফোড়, বিবৃতিজীবী, পাকিস্তানপন্থি রাজনীতিক ও যুদ্ধাপরাধীদের ধরে এনে সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে রাজনৈতিক দল গঠন করে পাকিস্তানপন্থিদের ক্ষমতায়ন করেছিল জিয়াউর রহমান। রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম ও গণমাধ্যম থেকে মুক্তিযুদ্ধের জয়ধ্বনি ‘জয় বাংলা’ ও ‘জয় বঙ্গবন্ধু’-কে নির্বাসনে পাঠিয়েছিল। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীতে পাকিস্তানি দর্শনের রাজনীতির প্রচলন করেছিল। দিনের পর দিন আওয়ামী লীগের কার্যালয় তালাবদ্ধ করে কার্যত অঘোষিতভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করে রাখা হয়েছিল।

সরকার এ ধরনের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী খুনিগোষ্ঠী ও ষড়যন্ত্রকারীদের কাছে আত্মসমর্পণ করবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশবিরোধী এই অপশক্তিকে উৎখাত করা হবে।

আরও পড়ুন:
বিএনপি মিথ্যাকে পুঁজি করে শেখ হাসিনাকে হটাতে চায়: কাদের
ফখরুলের বক্তব্যে আদালত অবমাননা দেখছেন কাদের
বিএনপি শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়: কাদের

মন্তব্য

p
উপরে