র্যাবের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও র্যাব মেমোরিয়াল ডে-২০২৩ উপলক্ষে র্যাব মহাপরিচালকের দরবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের দরবারে বীরত্বপূর্ণ ও সেবামূলক কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ র্যাব মহাপরিচালক পদক পেয়েছেন ৮৫ সদস্য।
বিশেষ সম্মাননা (সাহসিকতা) ৩৫ জন ও বিশেষ সম্মাননা (সেবা) পুরস্কার পেয়েছেন ৫০ র্যাব সদস্য।
উত্তরা কুর্মিটোলাস্থ র্যাব সদর দপ্তরের শহীদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল আজাদ মেমোরিয়াল হলে সোমবার আভিযানিক কার্যক্রমের স্বীকৃতিস্বরূপ তাদের পদক পরিয়ে দেন মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন।
এর আগে তিনি শহীদ র্যাব সদস্যদের স্মৃতি স্মরণে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও শহীদ র্যাব সদস্যদের পরিবারের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করেন।
এবারের দরবারে রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারে ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় তিন মরদেহ উদ্ধার করায় র্যাব ডগ স্কোয়াডের এক কুকুরকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। এবারই প্রথম র্যাবের ডগ স্কোয়াডের একটি কুকুর র্যাব মহাপরিচালক পদক পেল।
বিএনপির সঙ্গে সংলাপ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমুর দেয়া বক্তব্য তার ব্যক্তিগত অভিমত বলে মন্তব্য করেছেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘দলের ও সরকারের মধ্যে এ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। এমনকি ১৪ দলের মধ্যেও নয়।’
বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি ওই কথা বলেন।
এর আগে মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু বলেন, ‘প্রয়োজনে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি আসুক, আমরা বিএনপির সঙ্গে মুখোমুখি বসে আলোচনা করে দেখতে চাই সুষ্ঠু নির্বাচন করার বাধা কোথায়? কীভাবে সেটা নিরসন করা যায়।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমত আমির হোসেন আমু আমাদের দলের অন্যতম জ্যেষ্ঠ নেতা। তিনি যে বক্তব্যটি দিয়েছেন, সেটি তার ব্যক্তিগত বক্তব্য। তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, কাগজ বা গণমাধ্যমে যেভাবে এসেছে, তিনি ঠিক সেভাবে বলেননি। যেভাবেই আসুক এটি তার ব্যক্তিগত অভিমত।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই নির্বাচনে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করুক। সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি চমৎকার নির্বাচন হোক।’
বিএনপির নির্বাচন ভাবনা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘তারা ২০১৪ সালে নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করেছে। তারা আসলে নির্বাচন প্রতিহত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এবং সেই কথাটি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আবার বলেছেন। কিন্তু এবার আর তাদের পক্ষে নির্বাচন প্রতিহত করা কিংবা বর্জন করা সম্ভব হবে না।’
আরও পড়ুন:রাজধানীর তেজগাঁও রেলক্রসিংয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে দুলাল হোসেন নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৫ বছর বয়সী দুলালকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান।
তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তেজগাঁও বিভাগের ফায়ার সার্ভিস লিডার আবুল হোসেন।
দুলালের ভাগিনা তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘মামা গাড়িচালক। তার গাড়িটি নষ্ট হওয়ায় তেজগাঁওয়ে মেরামত করতে দেয়া হয়। আজ সকালে গাড়িটি আনতে সেখানে যান তিনি।’
ঢামেক পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেরে জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি রেলওয়ে থানাকে জানানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন:বাংলাদেশে রোগী অনুপাতে ফ্যাটি লিভারের চিকিৎসার নূন্যতম আর্থিক মূল্য ৭৫ হাজার ৬৯০ কোটি টাকা জানিয়ে হেপাটোলজি সোসাইটি বলেছে, এ অর্থ জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দের দ্বিগুণ।
ষষ্ঠ আর্ন্তজাতিক ন্যাশ দিবস উপলক্ষে বুধবার সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে হেপাটোলজি সোসাইটি আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে এ তথ্য জানিয়েছেন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শাহিনুল আলম।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন লিভার বিশেষজ্ঞ ও হেপাটোলজি সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক মবিন খান। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল অধ্যাপক ডা. এ এস এম মতিউর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ন্যাশনাল লিভার ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী, বাংলাদেশ অ্যাকাউন্টিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম হারুন উর রশিদ, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আমির খসরু ও গ্লোবাল লিভার ইনস্টিটিউটের সভাপতি ডোনা ক্রাইয়ার।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোলজি বিভাগের কনসালট্যান্ট ডা. মো. সাইফুল ইসলাম এলিন বাংলাদেশে ফ্যাটি লিভারে আক্রান্তের বিষয়ে বলেন, দেশে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি লোক ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত। দিনে দিনে তা বেড়েই চলেছে। তাই ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধে চিকিৎসকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধ বিষয়ে আলোকপাত করে একই বিভাগের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা বলেন, জীবনাচরণ পরিবর্তনের পাশাপাশি ৭ থেকে ১০ শতাংশ ওজন হ্রাস হচ্ছে ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধের মূলমন্ত্র।
ফ্যাটি লিভারের কারণে দেশে যে আর্থিক বোঝা তৈরি হচ্ছে তার একটি হিসাব দেখান হেপাটোলজি সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. শাহিনুল আলম। তার টিমের গবেষণালব্ধ উপাত্ত অনুযায়ী, প্রতিটি ফ্যাটি লিভার রোগীর হাসপাতালে একবার চিকিৎসা নিতে গড়ে ১৬ হাজার ৮১০ টাকা ব্যয় হয়। সে হিসাবে সব রোগী একবারের জন্য চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে গেলে মোট ব্যয় ৭৫ হাজার ৬৯০ কোটি টাকা, যা জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দের দ্বিগুণ।
অধ্যাপক আলম জানান, ফ্যাটি লিভারজনিত সিরোসিস ও লিভার ক্যানসারের রোগী ক্রমাগত বাড়ছে। এ সংক্রান্ত জটিলতার ক্ষেত্রে শারীরিক ও আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ আরও অনেক বেশি।
১০ সুপারিশ
বাংলাদেশকে বিপুল আর্থিক বোঝা থেকে পরিত্রাণ দিতে ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধ এবং দ্রুত রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার ওপর জোর দিয়ে হেপাটোলজি সোসাইটি গোলটেবিল বৈঠকে ১০টি সুপারিশ উত্থাপন করে।
১. প্রত্যেক ব্যক্তির সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন ৩০ মিনিট করে হাঁটতে হবে।
২. সম্ভব হলে দড়ি লাফ, সাইকেল চালানো ও সাঁতার কাটার মাধ্যমে শরীরচর্চা প্রয়োজন।
৩. হাঁটা ও শরীরচর্চার জন্য পর্যাপ্ত সবুজ জায়গার ব্যবস্থা করা আবশ্যক।
৪. ‘স্বাস্থ্যকর নাগরিকের জন্য স্বাস্থ্যকর নগর’ স্লোগানের আওতায় শহরগুলোকে সবুজ, পরিচ্ছন্ন এবং
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের উপযোগী করে তুলতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে।
৫. প্রক্রিয়াজাত খাবার, ভাজাপোড়া কমাতে হবে এবং দুধ, ফল ও শাকসবজি খাওয়া বাড়াতে হবে।
৬. গণসচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জাংক ফুড পরিহার এবং বাসায় বানানো স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
৭. প্রক্রিয়াজাত খাবারের ক্ষেত্রে প্রস্ততকারী প্রতিষ্ঠানকে পুষ্টিমাণ বজায় রাখার জন্য আদর্শমান সরবরাহ এবং আইন করে তা নিশ্চিত করতে হবে।
৮. দেশের প্রতিটি স্কুলে ‘স্কুল হেলথ প্রোগ্রাম’-এর আওতায় খেলার মাঠ বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং ক্লাসের শুরুতে শরীরচর্চার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
৯. স্কুলভিত্তিক স্বাস্থ্যকর খাবার টিফিন হিসেবে প্রদান নিয়মে পরিণত করতে হবে।
১০. দেশি প্রতিটি বড় রাস্তার পাশে বাইসাইকেল চালানোর লেন করতে হবে এবং সবাইকে মোটরযানের পরিবর্তে বাইসাইকেল চালাতে উৎসাহিত করতে হবে।
আরও পড়ুন:মানহানির অভিযোগে দৈনিক পত্রিকা ডেইলি স্টারের কাছে ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি বুধবার জানান তাপসের আইনজীবী মেজবাহুর রহমান।
তিনি জানান, গত ৫ জুন রেজিস্ট্রি ডাকে ওই নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশটি ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম, নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক ও লেখক নাজিবা বাশারকে পাঠানো হয়।
নোটিশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অনলাইনে থাকা প্রতিবেদন অপসারণ এবং সাত দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়।
আইনজীবী মেজবাহুর রহমান বলেন, ‘ডেইলি স্টারের পত্রিকা এবং অনলাইন ভার্সনে প্রতিবেদন বা কলাম প্রকাশ করা হয়। কলামের লেখা ছিল ‘বাতাস প্রবাহের জন্য গাছ কর্তন’, আরেকটি টাইটেল ছিল যেখানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নামকে বিকৃত করে লেখা হয় ‘ধোকা সাউথ টাউন করপোরেশন পরিবেশবাদীর চেয়ে একধাপ এগিয়ে আছে’। শুধু তাই নয় মেয়র তাপসের নাম বিকৃত করে লেখা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করা হয়। এ ধরণের বক্তব্য আমাদের প্রচলিত ফৌজদারি আইন অনুযায়ী মানহানির পর্যায়ে পড়ে। প্রতিবেদন দেখে মেয়র তাপস আমাকে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশনা দেন।’
সাত দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষ না নিলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওই আইনজীবী।
আরও পড়ুন:জনগণের ক্ষমতা অব্যাহত রাখতে সবার সঙ্গে আলোচনার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সদরদপ্তরে স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৩ উদযাপন অনুষ্ঠান শেষে বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে মঙ্গলবার ১৪ দলের সমাবেশে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্রের স্বার্থে নির্বাচনী সমস্যা সমাধানে সরকার আলোচনায় রাজি হয়েছে। সংবিধানের মধ্যে থেকে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে আলোচনার দরজা সবসময় খোলা। বিএনপির সাথে যেকোনো আলোচনা হতে পারে। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে আলোচনার দ্বার সবসময় খোলা আছে। প্রয়োজনে জাতিসংঘের প্রতিনিধির মধ্যস্ততায় বিএনপির সাথে আলোচনা হতে পারে।’
এর এক দিন পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিএনপির সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। আর জাতিসংঘ মধ্যস্থতা করবে, এমন কোনো সংকটও দেশে নেই।’
একই দিনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সংলাপের কোনো বিকল্প নেই। আমরা মনে করি, সব কিছুই সংলাপের মাধ্যমে, আলোচনার মাধ্যমে শেষ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটি পপুলার পার্টি। আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ক্ষমতায় রয়েছে। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণের ক্ষমতায় চলতে হবে। আর জনগণের ক্ষমতা অব্যাহত রাখতে হলে সবার সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। তাই আলোচনার বিকল্প কিছু নাই।’
জামায়াতে ইসলামীকে বিক্ষোভ সমাবেশের অনুমতির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যারা রাজনীতি করেন, রাজনৈতিক অধিকার, সভা-সমাবেশ করবে, তারা তাদের মতামত প্রদর্শন করবে, জানাবে। এটাই তো স্বাভাবিক। আমি যতদূর জানি, জামায়াতে ইসলামী এখনও নির্বাচন কমিশনের স্বীকৃত দল নয়।
‘কাজেই এ বিষয়ে আমাদের ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পুলিশ কমিশনার নিরূপণ করবেন এখানে সমাবেশ করতে দিলে কোনো নাশকতা বা বিশৃঙ্খলার সম্ভাবনা রয়েছে কি না। পরেই তারা সিদ্ধান্ত দেবেন।’
বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছেন। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ। তারা যেটা বলেছে সেটাই যথেষ্ট। তারাই মনিটরিং করছেন।
‘আমরা এটুকু মনে করি, রাষ্ট্রদূতরা যাতে তাদের শিষ্টাচার মেনে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেন। এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
আরও পড়ুন:রাজধানীর তেজগাঁওয়ের এলেনবাড়িতে প্রাইভেট কারের ভেতর দুজন নারী-পুরুষের মরদেহ নগ্ন অবস্থায় পড়ে ছিল।
পরে স্থানীয় লোকজনের দেয়া খবরে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে তেজগাঁও থানা-পুলিশ।
তেজগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহ আলম জানান, এলেনবাড়ি এসএসএফের স্টাফ কোয়ার্টারের ভেতরে প্রাইভেট কারটি দাঁড় করানো ছিল।
মরদেহ দুটি ৫৩ বছর বয়সী দেলোয়ার হোসেন ও ৪২ বছর বয়সী মৌসুমী আক্তার রানির।
দেলোয়ার এসএসএফের অফিস সহায়ক এবং মৌসুমীর বাড়ি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায়।
পরিদর্শক শাহ আলম বলেন, ‘তাদের দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। অবস্থা দেখে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে, প্রাইভেট কারে তারা অক্সিজেনের অভাবে মারা গেছেন অথবা উত্তেজক কিছু সেবন করেছিলেন। নারীর ব্যাগে কনডম পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। পুলিশের পক্ষে মামলাসহ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন:নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিএনপির সঙ্গে আলোচনার সিদ্ধান্ত হয়নি জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জাতিসংঘের মধ্যস্থতা করার মতো সংকট দেশে নেই।
ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে বুধবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে মঙ্গলবার ১৪ দলের সমাবেশে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্রের স্বার্থে নির্বাচনী সমস্যা সমাধানে সরকার আলোচনায় রাজি হয়েছে। সংবিধানের মধ্যে থেকে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে আলোচনার দরজা সবসময় খোলা। বিএনপির সাথে যেকোনো আলোচনা হতে পারে। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে আলোচনার দ্বার সবসময় খোলা আছে। প্রয়োজনে জাতিসংঘের প্রতিনিধির মধ্যস্ততায় বিএনপির সাথে আলোচনা হতে পারে।’
এর এক দিন পর কাদের বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিএনপির সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। আর জাতিসংঘ মধ্যস্থতা করবে, এমন কোনো সংকটও দেশে নেই।’
আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ‘আমাদের দেশে আমরা আলোচনা করব, এটা নিজেদের বিষয়, নিজেরাই সমাধান করব।’
বিগত নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের।
জাতিসংঘ কেন মধ্যস্থতা করতে যাবে, এমন প্রশ্ন করে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে এমন কোনো রাজনৈতিক সংকট হয়নি যে জাতিসংঘের এখানে ইন্টারফেয়ার করতে হবে। জাতিসংঘ মধ্যস্থতা করবে এই রকম কোনো সংকট স্বাধীন বাংলাদেশে হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে নির্বাচন কমিশন আরও গণতান্ত্রিক হয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থা আরও গণতান্ত্রিক হয়েছে। গণতন্ত্র হঠাৎ করে রাতারাতি প্রতিষ্ঠা পায় না। প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে সময় লাগে। একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া হয়।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের গণতন্ত্র এখন অনেক পরিপূর্ণ হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এগিয়ে চলছে। কাজেই এখানে বাইরের কোনো মধ্যস্থতা, বাইরের কোনো হস্তক্ষেপের দরকার নেই। নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধান করব। ‘সময় বলে দেবে কখন কী হবে। আপাতত আলাপ-আলোচনার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
কাদের বলেন, ‘তারা (বিএনপি) আমাদের নেত্রীকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। তাদের সঙ্গে আমরা কী আলোচনা করব? তারা আজ নালিশের রাজনীতি করছে। কী পেয়েছে?
‘তারা আমেরিকায় নালিশ করেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে নালিশ করে তারা কী পেয়েছে? পেয়েছে ঘোড়ার ডিম। এখন তারা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধান চায়। এই তত্ত্বাবধানে আবার নতুন সূত্র তুলে ধরছে।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সংকটে সমাধান হলো আমাদের সংবিধান। সংকটে আর কোনো সমাধান নেই। সংবিধানই যদি কোনো দেশের সমাধান না দিতে পারে, তাহলে সে দেশে গণতন্ত্র হবে কী করে?’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য