× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
RABs Dog Squad dogs are receiving gallantry medals
google_news print-icon

বীরত্বপূর্ণ পদক পাচ্ছে র‍্যাবের ডগ স্কোয়াডের কুকুর

বীরত্বপূর্ণ-পদক-পাচ্ছে-র‍্যাবের-ডগ-স্কোয়াডের-কুকুর
র‌্যাবের ডগ স্কোয়াডের কুকুর। ফাইল ছবি
‘দেশে প্রথমবারের মতো র‍্যাব ডগ স্কোয়াডের একটি কুকুর বীরত্বপূর্ণ কাজের জন্য র‍্যাব মহাপরিচালক পদক পাচ্ছে। র‍্যাব ফোর্সেসের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও র‍্যাব মেমোরিয়াল ডে-২০২৩ উপলক্ষে মহাপরিচালকের দরবার অনুষ্ঠানে ডগ স্কোয়াডের কুকুর চিতাকে মহাপরিচালক পদক দেয়া হবে।’

দেশে প্রথমবারের মতো ডগ স্কোয়াডের একটি কুকুর বীরত্বপূর্ণ কাজের জন্য পদক পেতে যাচ্ছে। এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বা র‌্যাবের ডগ স্কোয়াডের কুকুর ‘চিতা’ পাচ্ছে এ পদক।

রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় উদ্ধার কার্যক্রম অংশগ্রহণ করে দুর্ঘটনায় নিহত তিন ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে র‍্যাবের ডগ স্কোয়াডের কুকুর চিতা। এরপরই পদকের সিদ্ধান্ত আসে।

র‍্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সোমবার নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘দেশে প্রথমবারের মতো র‍্যাব ডগ স্কোয়াডের একটি কুকুর বীরত্বপূর্ণ কাজের জন্য র‍্যাব মহাপরিচালক পদক পাচ্ছে। র‍্যাব ফোর্সেসের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও র‍্যাব মেমোরিয়াল ডে-২০২৩ উপলক্ষে মহাপরিচালকের দরবার অনুষ্ঠানে ডগ স্কোয়াডের কুকুর চিতাকে মহাপরিচালক পদক দেয়া হবে।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন র‍্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন, বিশেষ অতিথি থাকবেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) কর্নেল কামরুল হাসান ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ইমতিয়াজ আহমেদ।

আরও পড়ুন:
গোয়েন্দা পরিচয়ে পুলিশকে ‘ঘোল খাইয়ে’ লুটপাট
জঙ্গিরা চতুর হয়ে গেছে: র‌্যাব মহাপরিচালক
ছেলেকে দেখতে এসে গ্রেপ্তার ফাঁসির আসামি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
50 thousand rupees fine for keeping the charger fan price high

চার্জার ফ্যানের দাম বেশি রাখায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

চার্জার ফ্যানের দাম বেশি রাখায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা মঙ্গলবার বিকেলে প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান পরিচালনা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের একটি দল। ছবি: নিউজবাংলা
এসময় অন্য দোকানদারদের সতর্ক করা হয় বলে জানান ভোক্তা অধিকার অধিপ্তর মাদারীপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদাউস।

মাদারীপুরে চার্জার ফ্যান অতিরিক্ত দামে বিক্রি করায় খান ইলেকট্রনিক্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার বিকেলে অভিযান পরিচালনা করে ওই প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

সদর উপজেলার পুরান বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিপ্তর মাদারীপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদাউস।

জান্নাতুল ফেরদাউস বলেন, ‘লোডশেডিং ও তাপমাত্রা বেশি থাকার সুযোগে কিছু ব্যবসায়ী চার্জার ফ্যানের দাম বেশি নিচ্ছে বলে অভিযোগ আসে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে খান ইলেকট্রনিক্সকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।’

এসময় অন্য দোকানদারদের সতর্ক করা হয় বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন:
কাঁচা ও রান্না করা মাছ-মাংস একসঙ্গে রেস্টুরেন্টের ফ্রিজে, জরিমানা
নকল জুস তৈরি করায় দোকানিকে জরিমানা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Wifes lover killed husband hiding in in laws house

স্ত্রীর প্রেমিক খুন, শ্বশুরবাড়িতে স্বামীর আত্মগোপন

স্ত্রীর প্রেমিক খুন, শ্বশুরবাড়িতে স্বামীর আত্মগোপন শ্বশুরবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার আল-আমিন শেখ। ছবি: নিউজবাংলা
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘ইমনের মরদেহ বস্তায় ভরে কদমতলীর হেনোলাক্স গলির একটি ডোবায় ফেলে পালিয়ে বরিশালে শ্বশুরবাড়ি চলে যান আল-আমিন।’

এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ার অভিযোগ উঠে ইমন কাজীর বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে তিনি খুন হন। এ মামলায় ওই নারীর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার হওয়া আল-আমিন শেখ শ্বশুরবাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন।

সোমবার বরিশালের হিজলা থানার গোবিন্দপুর খন্না এলাকায় অভিযান চালিয়ে আল-আমিনকে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার ওয়ারী বিভাগ।

মঙ্গলবার দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি জানান, গত শনিবার কদমতলীর পশ্চিম মোহাম্মদবাগ সোনা মারিয়া জামে মসজিদের দক্ষিণ পাশে বস্তাবন্দী ইমন কাজীর মরদেহ পাওয়া যায়। পরে ভুক্তভোগীর বাবা কদমতলী থানায় মামলা করেন। মামলাটি ছায়া তদন্ত শুরু করে ডিবি ডেমরা জোনাল টিম। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় হত্যার সঙ্গে জড়িতকে শনাক্ত করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তিনি আরও জানান, ইমন কাজী ও আল-আমিন শেখ পেশায় অটোরিকশাচালক। সেই সুবাদে আল-আমিনের বাড়িতে ইমনের যাতায়াত ছিল। একপর্যায়ে আল-আমিনের স্ত্রীর সঙ্গে ইমন পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উঠে। আল-আমিন বিষয়টি জানতে পেরে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন।

পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইমনকে পাঁচ হাজার টাকা ধার দেয় আল-আমিন। কয়েকদিন পর ধারের টাকার জন্য ইমনকে চাপ দিতে থাকে।

গত ৩০ মে আল-আমিন ভুক্তভোগী ইমনকে কৌশলে তার বাসায় আনেন। সেখানে তাকে কোকের বোতলে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানোর পর গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘হত্যার পর ইমনের অটোরিকশাটি গেন্ডারিয়ার গঙ্গা শাহ মাজার এলাকায় ফেলে দেয়া হয়। পরদিন সন্ধ্যায় ইমনের মরদেহ বস্তায় ভরে কদমতলীর হেনোলাক্স গলির একটি ডোবায় ফেলে পালিয়ে বরিশালে শ্বশুরবাড়ি চলে যান আল-আমিন।’

আরও পড়ুন:
ব্যাগের সূত্রে খুলল মেছের হত্যা রহস্যের জট
আধিপত্য, টেন্ডার-চাঁদাবাজির দ্বন্দ্বের বলি টিপু, ৩৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
ঝগড়া থামাতে গিয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী খুন
বলাৎকারের দৃশ্য দেখে ফেলায় শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যা
তেলাপোকার ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা, হাসপাতালে মৃত্যু চবি ছাত্রীর

মন্তব্য

বাংলাদেশ
E Valleys Russell Bails in Digital Law Case

ডিজিটাল আইনের মামলায় ই-ভ্যালির রাসেলের জামিন

ডিজিটাল আইনের মামলায় ই-ভ্যালির রাসেলের জামিন ফাইল ছবি
তবে তার বিরুদ্ধে আরও মামলা থাকায় সহসাই কারামুক্ত হচ্ছেন না ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসএ) মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেলকে জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার নিম্ন আদালতের খারিজাদেশের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল মঞ্জুর করে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি আমিনুল ইসলামের বেঞ্চ এ জামিন দেন।

তবে তার বিরুদ্ধে আরও মামলা থাকায় সহসাই কারামুক্ত হচ্ছেন না তিনি।

আদালতে রাসেলের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

জামিন বিষয়ে জানতে চাইলে আহসানুল করিম বলেন, ‘জামিনের জন্য আপিল আবেদন করলে আদালত তা গ্রহণ করে জামিন দিয়েছেন। তবে তার বিরুদ্ধে আরও মামলা থাকায় তিনি এখনই কারামুক্তি পাচ্ছেন না।’

এদিকে হাইকোর্টের এ জামিনাদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

প্রতারণার অভিযোগে ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টম্বর স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার হন মো. রাসেল। এরপর দীর্ঘদিন কারাবাসের পর জামিনে তার স্ত্রী মুক্তি পেলেও রাসেলের কারামুক্তি মেলেনি।

২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর রাসেল দম্পতিসহ অজ্ঞাত ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করে বাড্ডা থানায় মামলা করেন ইভ্যালির গ্রাহক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইভ্যালি থেকে ইলেকট্রনিক পণ্য কেনার জন্য বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে ২৮ লাখ টাকা পাঠান বাদী। অর্ডারের ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি দেয়ার কথা থাকলেও ৭ মাস পরও তিনি তা পাননি।

মামলার তদন্ত শেষে চার্জশীট দাখিল করলে চলতি বছরের ২ মার্চ অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত। মামলাটি যা এখনও বিচারাধীন।

আরও পড়ুন:
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ইভ্যালির রাসেলের জামিন আবেদন
ইভ্যালির রাসেল, শামীমার বিচার শুরু

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Militants are returning to the plains from the mountains

পাহাড় ছেড়ে সমতলে ফিরছে জঙ্গিরা

পাহাড় ছেড়ে সমতলে ফিরছে জঙ্গিরা পার্বত্য এলাকার গহীন অরণ্যে সশস্ত্র প্রশিক্ষণে জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত
র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘২০২২ সালের অক্টোবর থেকে লাগাতার অভিযান পরিচালনা করছে র‌্যাব। এতে অনেকটা কোণঠাসা হয়ে জঙ্গিরা পাহাড় ছাড়ছে। এখন ‘সমতলে ফেরা জঙ্গিদের গ্রেপ্তারে র‍্যাব সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেকে ধরাও পড়েছে।’

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর লাগাতার অভিযানে পার্বত্য অঞ্চল ছাড়ছে নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফীল হিন্দাল শারক্বীয়ার সদস্যরা। ছোট ছোট দলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে তারা। এই দলে বান্দারবানের গহীন পাহাড়ে সশস্ত্র প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরাও রয়েছে।

র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) সূত্রে এসব তথা জানা গেছে। তাদের ভাষ্য, সংগঠনটির আমিরের নির্দেশে ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়েছে জঙ্গিরা। উদ্দেশ্যে, সমতলে পুনরায় সংগঠিত হওয়া। সমতলে ফেরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এসব জঙ্গিকে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত নিরাপত্তার হুমকি রয়েছে।

র‌্যাবের গোয়েন্দা তথ্য ও পাহাড় থেকে সমতলে ফেরা একাধিক জঙ্গি গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছেন বাহিনীটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, ‘২০২২ সালের অক্টোবর থেকে লাগাতার অভিযান পরিচালনা করছে র‌্যাব। অভিযানে বিভিন্ন পর্যায়ের শীর্ষ নেতাসহ ৭২ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া এই নতুন জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের পাহাড়ে প্রশিক্ষণ প্রদানকারী বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএনএফ-এর ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।’

পাহাড় ছেড়ে সমতলে ফিরছে জঙ্গিরা
পাহাড় থেকে সমতলে ফেরা তিন জঙ্গিকে গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর এলাকা থেকে আটক করেছে র‍্যাব। ছবি: নিউজবাংলা

র‌্যাবের পাশাপাশি অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরাও পাহাড়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এতে অনেকটা কোণঠাসা হয়ে জঙ্গিরা পাহাড় ছাড়ছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।

জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার আমির আনিসুর রহমান ওরফে মাহমুদ। তার নির্দেশেই জঙ্গিরা আত্মগোপনে থেকে সংগঠিত হওয়ার জন্য সমতলে ফিরছে বলে মঙ্গলবার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে জানান বাহিনীটির মুখপাত্র।

খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘সমতলে ফেরা জঙ্গিদের গ্রেপ্তারে র‍্যাব সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেকে ধরাও পড়েছে।’

হরকাতুল জিহাদ, হুজিবি, জেএমবি ও আনসার আল ইসলাম নিষিদ্ধ হওয়ায় ওইসব সংগঠন থেকে সদস্য সংগ্রহ ও অন্যান্য সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা দুরূহ হয়ে পড়েছিল। এ অবস্থায় জেএমবি ও আনসার আল ইসলামের বেশ কিছু সদস্য ২০১৭ সালে নতুন একটি উগ্রবাদী সংগঠনের কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’ (পূর্বাঞ্চলীয় হিন্দের জামাতুল আনসার) নামে কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করে।

নতুন জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের প্রশিক্ষণের জন্য বেছে নেয়া হয় পার্বত্য অঞ্চলকে। সেখানকার বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চীন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) প্রতিষ্ঠাতা নাথাং বমের সঙ্গে ২০২১ সালে জামাতুল আনসারের আমীর আনিসুর রহমান ওরফে মাহমুদের পরিচয় হয়।

র‌্যাবের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, পার্বত্য অঞ্চলে জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’ সদস্যদের ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয় কেএনএফ। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে তিন লাখ টাকা এবং কেএনএফের সব সদস্যের খাবারের ব্যয় বহন করে জামাতুল আনসার।

পাহাড় ছেড়ে সমতলে ফিরছে জঙ্গিরা
গহীন পাহাড়ে প্রশিক্ষণরত জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত

ছোট ছোট দলে ফিরছে জঙ্গিরা

সমতলে ফেরার ক্ষেত্রে ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে আত্মগোপনে যাচ্ছে জামাতুল আনসারের সদস্যরা। এমন একটি দল নিয়ে টাঙ্গাইলের মধুপুরে যাওয়ার সময় গ্রেপ্তার হয়েছেন সংগঠনটির শুরা সদস্য ও অর্থ শাখার প্রধান মোশারফ হোসেন রাকিবসহ তিন সদস্য। বাকি দুজন হলেন জাকারিয়া হোসাইন ও আহাদুল ইসলাম মজুমদার ওরফে সিফাত ওরফে মামিদ।

তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, নগদ ১২ লাখ ৪০ হাজার টাকা ও বিভিন্ন উগ্রবাদী লিফলেট জব্দ করা হয়।

এই তিনজনকে গ্রেপ্তারের সময় কয়েকজন পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছে র‌্যাব। পাহাড় থেকে সমতলে ফেরা প্রতিটি দলে কতজন সদস্য রয়েছে তা সুনির্দিষ্টভাবে জানায়নি বাহিনীটি।

মসজিদ-মাদ্রাসা, এতিমখানার কথা বলে জঙ্গিদের অর্থ সংগ্রহ

জঙ্গিরা মিথ্যা তথ্য দিয়ে দেশের ভেতরে ও বাইরের মানুষের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করেছে বলে জানতে পেরেছে র‌্যাব। এ বিষয়ে কমান্ডার মঈন বলেন, ‘নতুন সংগঠনটির আত্মপ্রকাশে মূল ভূমিকা পালন করে আনসার আল ইসলাম। তারাই প্রথম অর্থের জোগান দেয়।

‘দাওয়াতি শাখার প্রধান মায়মুনকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তথ্য মেলে যে, ইউরোপের একটি দেশ থেকে ৫০ লাখ টাকার বেশি অর্থের জোগান পেয়েছে সংগঠনটি। বিভিন্ন সময় যোগাযোগের মাধ্যমে মসজিদ-মাদ্রাসা ব এতিমখানাসহ নানা খাতের কথা বলে এই অর্থ সংগ্রহ করে নতুন জঙ্গি সংগঠনটি।

অর্থ শাখার প্রধান রাকিব এই টাকা কখনও মোবাইল ব্যাংকিং আবার কখনও হাতে হাতে পৌঁছে দিয়েছেন পাহাড়সহ বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে থাকা সদস্যদের কাছে। এর বাইরে সশস্ত্র প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য কেএনএফকে তারা মাসে ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা দিত।

পাহাড় ছেড়ে সমতলে ফিরছে জঙ্গিরা
পার্বত্য জেলাগুলোর দুর্গম অঞ্চলে সশস্ত্র প্রশিক্ষণ নিচ্ছে জঙ্গিরা। ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচন ও জঙ্গিবাদ

জাতীয় নির্বাচনের আগে জঙ্গি তৎপরতা বিষয়ে জানতে চাইলে খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘দেশের মানুষ কখনও জঙ্গিদের প্রশ্রয় দেয় না। সাধারণ মানুষের সহায়তা ছিল বলেই জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে র‍্যাব অনেকটা সফল। কোনো রাজনৈতিক দল যদি ফায়দা নেয়ার জন্য জঙ্গিদের কাজে লাগায় এটা তাদের ভুল সিদ্ধান্ত। দেশের জনগণ তাদের মেনে নেবে না।

‘নির্বাচন ঘিরে জঙ্গি ও সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের আমাদের গোয়েন্দারা নজদারিতে রেখেছেন। তথ্য পেলেই তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তবে আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত এমন তথ্য নেই যে কোনো রাজনৈতিক দল তাদেরকে ব্যবহার করবে।’

নির্বাচন ঘিরে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা আছে কি না এমন প্রশ্নে মঈন বলেন, ‘জঙ্গিদের মুভমেন্ট বা কোনো কর্মকাণ্ডের তথ্য পেলেই তাদেরকে সঙ্গে সঙ্গে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। তবে নির্বাচন ঘিরে কোনো জঙ্গি তৎপরতা আছে এমন তথ্য আমাদের কাছে আসেনি।’

আরও পড়ুন:
দেশেই আছেন হিন্দাল শারক্বীয়ার আমির: র‌্যাব
জঙ্গি নেতা মায়মুনের বাসায় যেতেন মেজর জিয়া
আনসার আল ইসলামের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার
পালানোর পরও শিখার বাসায় যাতায়াত ছিল জঙ্গি সোহেলের
৬ মাসের পরিকল্পনায় আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই

মন্তব্য

বাংলাদেশ
30 were injured in the firing from both sides of the wedding gate

বিয়েবাড়ির গেট নিয়ে দুপক্ষের গোলাগুলি, আহত ৩০

বিয়েবাড়ির গেট নিয়ে দুপক্ষের গোলাগুলি, আহত ৩০ প্রতীকী ছবি
নবীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ ডালিম আহমেদ বলেন, ‘প্রত্যক্ষদর্শীরা সংঘর্ষ চলাকালে গুলির শব্দ শুনেছেন বলে জানান। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত বলা যাবে।’

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে বিয়েবাড়ির ‘গেট’ স্থাপনকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। ওই সময় কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন। গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মঙ্গলবার দুপুরের দিকে উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের বুরহানপুর গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার গেদা মিয়া চৌধুরীর ছেলে রাহিম চৌধুরীর বিয়ে। এ জন্য সড়কের ওপর তারা গেট স্থাপন করেন।

মঙ্গলবার সকালে ৮ থেকে ১০ জন যুবক বিয়ের গেট জাকির হোসেনের বাড়ির সামনে হওয়ায় তাদের মানহানি হয়েছে দাবি করে ভাঙচুর করে জিনিসপত্র নিয়ে যায়।

পরে রাহিম চৌধুরীসহ পঞ্চায়েতের লোকজন ঘটনাস্থলে গেলে জাকির হোসেন ও তার লোকজনের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় উভয় পক্ষ থেকে গুলি ছোড়ার শব্দ পাওয়া যায়।

খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ডালিম আহমেদ বলেন, ‘প্রত্যক্ষদর্শীরা সংঘর্ষ চলাকালে গুলির শব্দ শুনেছেন বলে জানান। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত বলা যাবে।’

আরও পড়ুন:
‘বিয়ে না করা যৌক্তিক কাজ হতে পারে না’
১ ডলার দেনমোহরে ইন্দোনেশিয়ার নিকির সঙ্গে পটুয়াখালীর ইমরানের বিয়ে
বিয়ের পিঁড়িতে ক্রিকেটার সাইফুদ্দিন
বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্বামীকে হত্যা!
গোপালগঞ্জে উড়ে এসে ঘর বাঁধলেন জার্মানির জেনিফার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Amir of Hindal Sharqiya is in the country RAB

দেশেই আছেন হিন্দাল শারক্বীয়ার আমির: র‌্যাব

দেশেই আছেন হিন্দাল শারক্বীয়ার আমির: র‌্যাব মঙ্গলবার নতুন জঙ্গি সংগঠনের আমিরের বিষয়ে কথা বলেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। ছবি: নিউজবাংলা
সামনে নির্বাচন। নির্বাচন ঘিরে নতুন জঙ্গি দলকে কোনো রাজনৈতিক দল কাজে লাগাতে পারে কি না, এমন প্রশ্নে কমান্ডার মঈন বলেন, ‘দেশের মানুষ কখনও জঙ্গিদের প্রশ্রয় দেয় না। সাধারণ মানুষের সহায়তা ছিল বলেই, জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে র‌্যাব অনেকটা সফল। কোনো রাজনৈতিক দল যদি ফায়দা নেয়ার জন্য জঙ্গিদের কাজে লাগায়, এটা তাদের ভুল সিদ্ধান্ত। দেশের জনগন তাদের মেনে নেবে না।’

নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র আমির আনিসুর রহমান ওরফে মাহমুদ দেশের অভ্যন্তরেই আছেন। তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাননি। তবে কোথায় আছেন, সেটা নিশ্চিত করতে র‌্যাবের গোয়েন্দারা কাজ করছেন।

মঙ্গলবার র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান। এদিন নতুন জঙ্গি দলের তিনজনকে গ্রেপ্তার বিষয়ে কথা বলেন তিনি।

নতুন জঙ্গি দলের সদস্যরা তাদের আমিরের নির্দেশে বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছেন। তাহলে আমিরকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছে না কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে মঈন বলেন, ‘আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি আমিরের নির্দেশেই তারা সব করছেন। আমরা আমিরের অবস্থান জানতে প্রতিনিয়ত কাজ করছি।

‘যতটুকু তথ্য আছে, তাতে জানা গেছে, তাদের আমির আনিসুর রহমান ওরফে মাহমুদ দেশের অভ্যন্তরেই আছেন। তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাননি। তাকে আইনের আওতায় আনতে গোয়েন্দারা কাজ করছেন।’

র‌্যাব বলছে, সংগঠনের আমির আনিসুর রহমান ওরফে মাহমুদের সঙ্গে কেএনএফ প্রধান নাথান বমের সুসম্পর্ক ছিল। নাথান বমের সঙ্গে তাদের অর্থের বিনিময়ে চুক্তি হয়। এরপর তারা পাহাড়ে আশ্রয়, অস্ত্র ও রসদ সরবরাহ এবং সশস্ত্র প্রশিক্ষণ দেয়। বিভিন্ন সময় কেএনএফ-এর প্রধান নাথান বম, বাংচুং, রামমোয়, ডিকলিয়ান, পাহল ও কাকুলিসহ অনেকেই প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে আসত।

কী পরিমাণ সদস্য এই দলে আছে, এমন প্রশ্নে খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে ৫৫ জনের নাম দিয়েছি। তবে ধারণা করছি, এখন পর্যন্ত তাদের সদস্য সংখ্যা শতাধিক। অনেক ক্ষেত্রে সদস্য সংখ্যা বলা কঠিন।

‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অব্যহত অভিযানের কারণে তারা আত্মগোপনে আছেন; তবে সদস্য সংখ্যা সঠিকভাবে বলা যায় না। অনেকে হয়ত গোপনে সদস্য হয়ে আছেন, কিন্তু অভিযানের কারণে চুপচাপ রয়েছেন। জঙ্গি রাকিব, মাঈনুলের মাধ্যমে একটা দল সদস্য হয়েছে। তাদের মধ্যে এ ধরনের চেইন আছে।’

সামনে নির্বাচন। নির্বাচন ঘিরে নতুন জঙ্গি দলকে কোনো রাজনৈতিক দল কাজে লাগাতে পারে কি না, এমন প্রশ্নে কমান্ডার মঈন বলেন, ‘দেশের মানুষ কখনও জঙ্গিদের প্রশ্রয় দেয় না। সাধারণ মানুষের সহায়তা ছিল বলেই, জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে র‌্যাব অনেকটা সফল। কোনো রাজনৈতিক দল যদি ফায়দা নেয়ার জন্য জঙ্গিদের কাজে লাগায়, এটা তাদের ভুল সিদ্ধান্ত। দেশের জনগন তাদের মেনে নেবে না।

‘নির্বাচন ঘিরে জঙ্গি, সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের আমাদের গোয়েন্দারা নজদারিতে রেখেছেন। তথ্য পেলেই তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত তথ্য নেই, কোনো রাজনৈতিক দল তাদেরকে ব্যবহার করবে।’

নির্বাচন ঘিরে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা আছে কি না, এমন প্রশ্নে র‌্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘জঙ্গিদের মুভমেন্ট বা কোনো কর্মকাণ্ডের তথ্য পেলেই আমরা সাথে সাথে তাদের আইনের আওতায় আনছি। নির্বাচন ঘিরে কোনো তৎপরতা আছে, এমন তথ্য আমাদের কাছে আসেনি।

‘মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জঙ্গিদলের কাছে দেশের ভেতর ও বাইরে থেকে টাকা আসছে। এ ব্যাপারে আমরা বেশকিছু তথ্য পেয়েছি। পার্বত্য চট্টগ্রামে যে অর্থ পাঠানো তাও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাঠানো হয়।’

আরও পড়ুন:
জঙ্গি নেতা মায়মুনের বাসায় যেতেন মেজর জিয়া
আনসার আল ইসলামের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার
পালানোর পরও শিখার বাসায় যাতায়াত ছিল জঙ্গি সোহেলের

মন্তব্য

বাংলাদেশ
An official of the pesticide company was arrested in connection with the death of two brothers due to cockroach poisoning

‘বিষক্রিয়ায়’ দুই ভাইয়ের মৃত্যু: বালাইনাশক কোম্পানির কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

‘বিষক্রিয়ায়’ দুই ভাইয়ের মৃত্যু: বালাইনাশক কোম্পানির কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

বাসায় বিষক্রিয়ায় মারা গেছে দু ভাই। ছবি: সংগৃহীত
ওসি বলেন, এ ঘটনায় নিহত শিশুদের বাবা মোবারক হোসেন তুষার সোমবার তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা করেছিলেন। তদন্ত চলছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর আসামির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বাসায় তেলাপোকা মারার স্প্রেতে দুই শিশুর মৃত্যুর অভিযোগের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বালাইনাশক কোম্পানি দ্য পেষ্ট কন্ট্রোলের কর্মকর্তা টিটু মোল্লাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি মঙ্গলবার ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় সোমবার রাতে বালাইনাশক কোম্পানি পেষ্ট কন্ট্রোলের কর্মকর্তা টিটু মোল্লাকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। তিনি ওই বাসায় তেলাপোকা মারার বিষ স্প্রে করেছিলেন। তাকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি।

ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় নিহত শিশুদের বাবা মোবারক হোসেন তুষার সোমবার তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা করেছিলেন। তদন্ত চলছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর আসামির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

পুলিশ জানিয়েছে, গত শুক্রবার বসুন্ধরার আই ব্লকের একটি নতুন বাসায় পেস্ট কন্ট্রোল সার্ভিসের কর্মীরা তেলাপোকা মারার বিষ স্প্রে করেন। এর দুদিন পর পরিবারটি রোববার ওই বাসায় ওঠে। বাসায় প্রবেশ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা।

পরে তাদের হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে রোববার সকালে ৯ বছরের শাহিল মোবারত জায়ান মারা যায়। একইদিন রাত ১০টায় মারা যায় ১৫ বছরের শায়েন মোবারত জাহিন।

এ ছাড়া মারা যাওয়া দুই শিশুর মা শারমিন জাহান লিমা ও বাবা মোবারক হোসেন বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বর্তমানে তারা সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন।

মন্তব্য

p
উপরে