গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) বিরুদ্ধে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির অভিযোগ তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এতিমখানায় খাবার বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি শুনেছি গাজীপুরের কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ফেসবুক লাইভে এসে মাহি কিছু বক্তব্য দিয়েছেন। এ জন্য মামলা হয়েছে। আমি সব কিছু জানি না, শুনেছি। এটা ভালো করে জেনে আমি বলতে পারব।’
মাহি তার স্বামীর শোরুম ভাঙচুর ও দখলের অভিযোগ করেছেন পুলিশের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ তদন্ত করা হবে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যখন একটা অভিযোগ আসে তখন তদন্ত করতে হয়। তদন্তে সবকিছু বেরিয়ে আসবে। মাহির বক্তব্য সঠিক কি না কিংবা পুলিশ যেটা করেছে সেটি সঠিক কি না তদন্তেই বেরিয়ে আসবে।’
পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলার পলাতক আসামি আরাব খান ওরফে রবিউল ইসলামকে ফেরানোর উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ইন্টারপোলের সহায়তায় তাকে ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে তাকে ধরতে ইন্টারপোলের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
‘আমরা অনেক কিছুই শুনেছি, জেনেছি। যেসব তথ্য আমাদের কাছে এসেছে, তা যাচাই-বাচাই করে বাদবাকি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শনিবার গ্রেপ্তার করে জিএমপি।
জিএমপি ডিবির সহকারী কমিশনার (মিডিয়া) আসাদুজ্জামান জানান, সৌদি আরব থেকে আসা মাহিকে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, ‘মাহীর স্বামী রকিব সরকার পলাতক রয়েছে।’
জিএমপির মামলা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মাহিয়া মাহি ও তার স্বামী রকিব সরকারের নামে শুক্রবার রাতে মামলা করে জিএমপি।
গাজীপুর মহানগরের বাসন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রোকন মিয়া বাদী হয়ে ওই মামলা করেন।
এর বাইরে জমি দখলের অভিযোগে মাহি ও তার স্বামীকে হুকুমের আসামি করে আরও একটি মামলা করেন স্থানীয় বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন। এ মামলায় মাহি ও রকিব সরকারসহ ২৮ জনকে আসামি করা হয়।
জিএমপি কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি মিথ্যা বলে মানুষের সহানুভূতি নেয়ার চেষ্টা করেছেন। পুলিশের বিরুদ্ধে ঢালাও অভিযোগ করেছেন। তারা পুলিশকে বিতর্কিত করার মিশনে নেমেছেন। ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশ বাদী হয়ে তাদের নামে মামলা করেছে।
তিনি আরও জানান, শুক্রবার ভোরে জমি দখলের বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দুই পক্ষই পালিয়ে যায়। ইসমাইল হোসেনসহ তার পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে আহত ইসমাইল বাদী হয়ে ২৮ জনের নামে বাসন থানায় মামলা করেন, যা নিয়ে তদন্ত চলছে।
ফেসবুক লাইভ
স্বামীর সঙ্গে ওমরাহ পালন করতে যাওয়া চিত্রনায়িকা মাহি শুক্রবার ভোরে সৌদি আরবের মক্কা শহর থেকে ফেসবুক লাইভে রকিবের গাড়ির শোরুম ভাঙচুর ও হামলার অভিযোগ করেন।
ওই সময় তিনি দাবি করেন, ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের পূর্ব পাশে ‘সনিরাজ কার প্যালেস’ নামে তার স্বামীর একটি গাড়ির শোরুম রয়েছে। সেই শোরুমে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীরা তার শোরুমের গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা শোরুমের বিভিন্ন আসবাব, দরজা, জানালার কাচ, টেবিল-চেয়ার ভাঙচুর করেছে।
মাহির অভিযোগ, শোরুমের সাইনবোর্ডও খুলে ফেলা হয়েছে। দুর্বৃত্তরা তার স্বামীর অফিসকক্ষ তছনছ করে টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। ইসমাইল হোসেন ওরফে লাদেন ও মামুন সরকারের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়।
মাহি ও রকিব ফেসবুক লাইভে দাবি করেন, জিএমপি কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম দেড় কোটি টাকার বিনিময়ে তাদের গাড়ির শোরুম দখল করে দিচ্ছেন ইসমাইলকে।
মাহির ফেসবুক লাইভের পর সংবাদ সম্মেলন করেন স্থানীয় বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন।
তিনি সংবাদ সম্মেলনে পাল্টা অভিযোগ তুলে বলেন, ‘রকিব সরকার তার প্রায় সোয়া ১১ শতাংশ জমি দখল করে গাড়ির শোরুম করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে তিনি এ বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি মীমাংসার জন্য দফায় দফায় চেষ্টাও করা হয়।’
এরপর শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে মাহি ও রকিব আবারও সৌদি আরব থেকে ফেসবুক লাইভে আসেন।
লাইভে বলা হয়, ‘গাজীপুর মহানগর পুলিশ আমাদের সিকিউরিটিসহ অন্যান্যদের অ্যারেস্ট করেছে। আমাদের শোরুম থেকে সবাইকে বের করে দিচ্ছে। বলেছে, না বের হলে গুলি করবে। পুলিশ কখনও এগুলো করতে পারে? আমরা সকালে এয়ারপোর্টে নামব। হয়তো আমাদেরও গ্রেপ্তার করবে।’
আরও পড়ুন:এক ফ্রেমে ধরা দিলেন দুই বাংলার দুই জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান ও স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।
সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এর জন্য ফটোশুটে অংশ নেয়ার মধ্যদিয়ে তাদের এই এক সঙ্গে পথ চলা শুরু হলো।
ফেসবুকে জয়া ও স্বস্তিকা উভয়েই তাদের বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করে প্রকাশ করেছেন উচ্ছ্বাস। পর্দার বাইরেও তারা কেমন মানুষ; দুজনে দুজনকে নিয়ে তারও মূল্যায়ন করলেন। এই সম্পর্ক যেন স্থায়ী হয়, সে প্রত্যাশার কথাও জানিয়েছেন তারা।
ফটোশুটের ছবি প্রকাশ করে জয়া আহসান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এটা সত্যিই সম্পূর্ণভাবে সংস্কৃতির একটি সংমিশ্রণ! এই ফটোশুটের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছি!
‘আর স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় এটা আমার মনে হয় শুরু মাত্র; এক সঙ্গে আরও অনেক কাজের জন্য একটি অংশ মাত্র; অনেক ভালোবাসা!’
জয়া লিখেছেন, ‘তোমার কাজ এবং উদ্যোগ সবসময় আমাকে শুধু একজন অভিনেত্রী হিসেবেই নয় একজন মানুষ হিসেবে অনুপ্রাণিত করে। আমাদের এই বন্ধন চিরকাল স্থায়ী হোক।’
উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন স্বস্তিকাও। জয়াকে নিয়ে ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘আমি তার সব চলচ্চিত্র দেখেছি, শ্রোতা হিসেবে হেসেছি এবং কেঁদেছি। সব সমসময়ই তার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করতে চেয়েছি।’
ছবি নিয়ে স্বস্তিকা লিখেছেন, ‘এটি বহুল প্রতীক্ষিত ফটোশুট এবং ইন্টারভিউ, যেখানে অত্যন্ত প্রতিভাবান জয়া আহসান এবং আমি প্রথমবারের মতো কিছু তৈরি করতে একত্রিত হয়েছি। দেখা করানোর জন্য কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ। এই দেখা হওয়া যেন স্থায়ী হয়।’
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) ফিল্ম এ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী শিক্ষক মনোজ কুমার প্রামাণিকের বিরুদ্ধে নম্বর জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছে।
ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে অভিযোগে বলা হয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম এ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ (এম.এ) শিক্ষাবর্ষের স্নাতকোত্তর শ্রেণীর দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষায় অভ্যন্তরীণ পরীক্ষক মনোজ কুমার প্রামাণিক শিক্ষার্থীদের নির্মিত আংশিক কাজ দেখে মূল্যায়ন করে তার প্রদেয় নাম্বার জমা দিয়ে ঢাকা চলে যান। ১৬ মার্চ পরীক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ না করেও সেই তারিখ দেখিয়ে স্বাক্ষর করার অভিযোগ উঠেছে মনোজ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে।
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে অনার্স ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের এবং মাস্টার্স ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘১৬ তারিখ তিনি ছিলেনই না। তিনি ১৫ তারিখ এসে নম্বর শিটে ১৬ তারিখের পরীক্ষার নম্বর দিয়ে চলে যান। এই ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বললে দুটো পত্রিকায় নিউজ হয়। তখন প্রেসক্লাবের যে ফেসবুক গ্রুপ আছে সেখানে বিষয়টি নিয়ে পোস্ট দিয়েছে।’
ফিল্ম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের অনার্স ফাইনাল বর্ষের শিক্ষার্থী আহসাবুল ইয়ামিন রিয়াদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত ৩০ মার্চ একটি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে ভুল তথ্য দিয়ে 'অভিনেতা মনোজের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ' শিরোনামে যেই সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে সেটির কোনো ভিত্তি নেই। সেখানে শিরোনামটাই ভুলভাবে উত্থাপন করা হয়েছে। কারণ স্বাক্ষর জালিয়াতি বলতে বুঝায়, অন্যের স্বাক্ষর নিজে দেয়া ৷ যদি স্যার নিজে স্বাক্ষর দেয় তাহলে জালিয়াতি করল কখন!’
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরও দু'জন শিক্ষার্থী জানান, জাককানইবি প্রেসক্লাবের সভাপতি নিহার সরকার অংকুর ফিল্ম এ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী। সে বিভিন্ন সময় নম্বর কম পাওয়ায় মনোজ স্যারকে পছন্দ করতেন না। তিনি ভাবতেন ওই শিক্ষক তাকে ইচ্ছে করেই নম্বর কম দিতেন। এজন্য শিক্ষকের প্রতি মনোক্ষুণ্ণ হয়ে ইশারা-ইঙ্গিত করে ফেসবুকে পোস্টও দিয়েছেন। তাদের ধারণা, তিনিই হয়ত নিজের অনুগত সংবাদকর্মীকে দিয়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে মনোজ কুমার প্রামাণিক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রথমত, আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগই হয়নি। এটা একটা ফেসবুক পোস্টে লেখা হয়েছে। যার কোনো লিখিত ডকুমেন্টস নেই। কারও ব্যক্তিগত স্বার্থে আঘাত লাগলে মনগড়া একটা কথা তিনি ফেসবুকে লিখলে তো অভিযোগ হলো না। আমার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং কোনো শিক্ষক তো অভিযোগ করেননি।’
আপনার সঙ্গে ব্যক্তিগত শত্রুতা আছে কি না, এই প্রশ্নে বলেন ‘আমার সঙ্গে কারও কোনো ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। তবে যিনি এটা করেছেন তার ফেসবুকে আগেও এমন অনেক পোস্ট আছে শিক্ষকদের টিজিং করে লেখা। যেগুলো দিয়ে তিনি ব্ল্যাকমেইল করে টাকা চেয়েছেন বলে জানি। তার কি স্বার্থ আমি জানিনা। তবে এ ঘটনা তিনি নতুন ঘটাননি। আর এই ধরনের পোস্টগুলোকে কেন্দ্র করে লোকাল পত্রিকা এর আগেও এমন নিউজ করেছে।’
৩০ মার্চ ওই সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছিল আমার সংবাদ পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে। এই পত্রিকার ক্যাম্পাস প্রতিনিধির নাম নবাব। তিনি জানান, নিউজে মিথ্যা ও বানোয়াট কোনো তথ্য নেই। আমি যা জেনেছি সেটাই প্রকাশ করেছি।’
পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ও বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. তুহিন অবন্ত বলেন, ‘যেই সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তারা তথ্য প্রমাণ ছাড়া এই নিউজ করল কিভাবে! গত ১৬ তারিখে পরীক্ষা হয়েছে। সেদিন উনার (শিক্ষক মনোজ কুমার প্রামাণিক) অফিস ছিল। এর এক সপ্তাহ আগে ভারতে যাওয়ার জন্য ছুটির নিতে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তিনি না যাওয়ার কারণে ছুটি বাতিল হয় ১৭ তারিখ থেকে। ওই শিক্ষকের কোনো অপরাধ নেই। পুরো বিষয়টি নিয়ে আমরা বিব্রত। অংকুরের হুমকি প্রসঙ্গে বলেন, আমি স্টাফদের কাছ থেকে শুনেছি বিভাগে এসে শাসিয়ে গেছেন।’
ফিল্ম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগটি কলা অনুষদের আওতাধীন। এ অনুষদের ডিন ও সঙ্গীত বিভাগের অধ্যাপক ড. মুশাররাত শবনম নিউজবাংলাকে বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্তের নির্দেশ দিলে সত্য উদঘাটন করা হবে।
আরও পড়ুন:সব জল্পনা দূর হচ্ছে আস্তে আস্তে। বিয়ের দিন এগিয়ে আসছে বলিউড তারকা অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়ার। এতদিন প্রেমের যে গুঞ্জন ছিল, সত্যি হচ্ছে তা।
আম আদমি পার্টি নেতা রাঘব চাড্ডার সঙ্গে নায়িকা শিগগিরই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
দুজনের কেউই সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলেননি। তবে বন্ধু-বান্ধবের মুখ থেকেই যেন ফাঁস গেল খবর। কিছু দিন আগে দুই তারকার বাগদান নিয়ে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছিল। এবার তাদের বিয়ের খবর দিলেন গায়ক, অভিনেতা হার্ডি সন্ধু।
সন্ধু এক সাক্ষাৎকারে বলেই ফেললেন, পরিণীতি যে থিতু হচ্ছেন শেষমেশ, এতেই তিনি আনন্দিত। সন্ধুর কথায়, ‘আমি ভীষণ খুশি যে ব্যাপারটা ঘটছে অবশেষে! পরিণীতিকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা। সব ভালো হোক।’
সন্ধু আরও জানান, তিনি আর পরিণীতি বিয়ে নিয়ে আলোচনা করতেন খুব। ২০২২ সালে স্পাই থ্রিলার ‘কোড নেম: তিরঙ্গা’-র শুটিংয়ে পরিণীতি তাকে কি বলেছিলেন, স্পষ্ট মনে রেখেছিলেন সন্ধু। বললেন, পরিণীতি বলেছিল ও তখনই বিয়ে করবে, যখন ভিতর থেকে অনুভব করবে যে, ঠিক মানুষকে খুঁজে পেয়েছে।
এর পরই বিয়ের জল্পনায় সিলমোহর দিয়ে ফেলেন সন্ধু। জানালেন, পরিণীতিকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। অর্থাৎ, পরিণীতি নিশ্চিত যে, তার মনের মানুষকে খুঁজে পেয়েছেন।
অভিনেত্রী এখন রয়েছেন নয়াদিল্লিতে, রাঘবেরই সঙ্গে। মুম্বাইয়ের এক রেস্তরাঁয় পর পর দুদিন একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল তাদের। সেই থেকে গুঞ্জন শুরু।
লন্ডনে একসঙ্গে কলেজে পড়তেন রাঘব-পরিণীতি, তখনই বন্ধুত্ব। সেই বন্ধুত্ব কবে যে মোড় নিয়েছে প্রেমে, তা নিয়ে কেউই কথা বলতে চাননি।
ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, আত্মীয়-পরিজনের মধ্যে প্রাথমিক আলোচনার পরেই নাকি রেস্তরাঁয় যান তাঁর। পরিবারের সদস্যরাও একে অপরের সঙ্গে পরিচিত। খুব শিগগিরই নাকি দুই পরিবারের উপস্থিতিতে ব্যক্তিগত পরিসরে ‘রোকা’ অনুষ্ঠান হতে চলেছে পরিণীতির। তার পরে সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আনতে চাইছেন যুগল।
কবে হবে চারহাত এক? এখনও শুভদিন দেখছে রাঘব-পরিণীতির পরিবার। বিয়ের তোড়জোড় চলছে ভালো মতোই।
অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর এবং সমাজবাদী পার্টির যুবনেতা ফাহাদ আহমেদের মতোই আবার চারহাত এক করার পথেই হাঁটছেন বিনোদন এবং রাজনীতি জগতের দুই তারকা।
আরও পড়ুন:সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের হ্যাপিনেস স্টোরে বিক্রয়কর্মীর ভূমিকায় দেখা গেছে অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা সাহা মিমকে।
রাজধানীর বর্ধিত পল্লবীর রূপনগর রোডে স্টোরটিতে বৃহস্পতিবার কিছুক্ষণের জন্য বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করেন তিনি।
দরিদ্রদের জন্য নামমাত্র দামে পণ্য বিক্রি করা হয় বিদ্যানন্দের হ্যাপিনেস স্টোরে। দুই তলাবিশিষ্ট সুপারশপটিতে তিন টাকা কেজিতে চাল, চার টাকা কেজিতে ডাল পাওয়া যায়। এতে কাছাকাছি দামে পাওয়া যাচ্ছে আটা, লবণ, চিনি, তেল, সুজি, মাছ, মাংস, সবজি, ক্রোকারিজ সামগ্রী, শিশুদের পোশাক, খেলনাসহ বিভিন্ন পণ্য।
সম্প্রতি হ্যাপিনেস স্টোর চালু করে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। সংস্থাটির আমন্ত্রণে এটি পরিদর্শনে যান বাংলাদেশে ইউনিসেফের দূত মিম।
হ্যাপিনেস স্টোরের বিষয়ে বিদ্যানন্দ জানিয়েছে, বৈশ্বিক মন্দার প্রভাবে দেশের বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়মিত সংবাদের শিরোনাম হয়। দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে সবকিছু। এ ছাড়া রমজানেও নতুন করে দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এসব বিষয় মাথায় রেখে দরিদ্র মানুষকে নামমাত্র মূল্যে পণ্য দেয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনমতো বাছাই করে পণ্য নেয়ার স্বাধীনতা দিতে বিদ্যানন্দের এ আয়োজন।
সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন সুপারমার্কেটের ধারণাকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করেছে হ্যাপিনেস স্টোরে।
দেশের বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনকারী ও বড় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সাড়া দিয়েছে বিদ্যানন্দের আয়োজনে। এসব প্রতিষ্ঠানের পাঠানো পণ্যগুলোও স্থান পেয়েছে বিদ্যানন্দের সুপারশপে।
হ্যাপিনেস স্টোরে ক্রেতাদের খাবার গ্রহণের জন্য আলাদা ফুড জোন এবং শিশুদের জন্য কিড জোনও রয়েছে।
বিদ্যানন্দের স্বেচ্ছাসেবীরা ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় দরিদ্র মানুষ বাছাই করে পরিবারপ্রতি মেম্বারশিপ কার্ড দিচ্ছে। সেই কার্ড দেখিয়ে পরিবারগুলো সুপারশপ থেকে পণ্য কিনতে পারবে। প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ পরিবার পাবে এ পণ্য কেনার কার্ড।
দূরবর্তী এলাকার মানুষের আসা-যাওয়ার জন্য আলাদা বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এখান থেকে প্রতিটি কার্ডধারী সর্বোচ্চ ২৫ টাকার পণ্য কিনতে পারবে, যার বাজার মূল্য প্রায় ৫০০ টাকা।
আরও পড়ুন:বলিউড তারকা সালমান খানের বিরুদ্ধে সাংবাদিককে মারধরের এক মামলা খারিজ করে দিয়েছে ভারতের আদালত।
মুম্বাই হাইকোর্টের বিচারক ভারতি এইচ ডাঙ্গরের একক বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয় বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
২০১৯ সালে সাংবাদিক আশোক পান্ডে ও তার ক্যামেরাম্যান সালমান খানের সাইকেল তোলার দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করছিলেন। সেই মুহূর্তেই তাদের বাধা দেন সালমানের দেহরক্ষী।
ওই সাংবাদিকের দাবি, সালমানের দেহরক্ষীর অনুমতি নেয়া হলেও তাদের শুধু যে বাধা দেয়া তা-ই নয়, মারধরও করা হয়েছে। ছিনিয়ে নেয়া হয় তাদের ফোন।
এ ঘটনার পর ডি এন নগর পুলিশে অভিযোগ জানাতে যান অশোক। কিন্তু সেখানে তার অভিযোগ নেয়া হয়নি। এরপর ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অভিযোগ করেন তিনি।
এর আগে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলার বিচার হয়। সেখানে সালমান ও তার দেহরক্ষী নওয়াজ শেখের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু হাইকোর্ট সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে গিয়ে দুজনকে আবেদনের সুযোগ দেয়।
মুম্বাই হাইকোর্ট আদেশে বলেছে, একজন অভিনেতা হোক বা আইনজীবী, আদালতের বিচারপতি হন বা অন্য কেউ, তারও ব্যক্তিগত জীবন রয়েছে। এ ছাড়া ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যে ভিত্তিতে ফৌজদারি কার্যবিধি শুরু করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল সেখানে বেশ কয়েকটি পদ্ধতি ঠিকভাবে অনুসরণ করা হয়নি।
আরও পড়ুন:মা হয়েছেন আলোচিত চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি।
রাজধানীর একটি হাসপাতালে মঙ্গলবার রাতে ছেলেসন্তানের মা হন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজ অ্যাকাউন্টে বুধবার ভোররাত ৪টা ৩ মিনিটে নবজাতকের একটি ছবি প্রকাশ করেন চিত্রনায়িকা। এর ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ’।
ছবিতে দেখা যায়, হাসপাতালের বিছানায় ছেলেকে নিয়ে শুয়ে আছেন মাহি। সন্তানের দিকে তাকিয়ে আছেন মাহির স্বামী রাকিব সরকার।
এ ছবিতে কমেন্ট করে অনেকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নায়িকাকে।
অভিনেত্রী শাবস্তী দত্ত তিন্নি লিখেন, ‘অভিনন্দন সুইটহার্ট। ছোট্ট রাজপুত্রের জন্য প্রার্থনা ও ভালোবাসা। মা ও বাবার জন্য শুভেচ্ছা।’
আরেক অভিনেত্রী সাবরিনা সুলতানা কেয়া লিখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, অনেক দোয়া…অভিনন্দন।’
অভিনেতা শিপন মিত্র লাভ চিহ্ন দিয়ে লিখেন, ‘অভিনন্দন’।
আরও পড়ুন:দীর্ঘ দুমাস চিকিৎসা শেষে অবশেষে বাড়ি ফিরলেন শুটিং হাউজে বিস্ফোরণে দগ্ধ হওয়া মডেল অভিনেত্রী শারমিন আঁখি।
মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এ অভিনেত্রীকে ছাড়পত্র দেয়া হয়।
এসময় বার্ন ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন শারমিন, শ্বাসনালিও দগ্ধ ছিল। তাকে কয়েক দিন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছিল। সব মিলিয়ে দীর্ঘ দুই মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ তাকে ছাড়পত্র দেয়া হলো।
তিনি আরও বলেন, অনেকটা যুদ্ধ করে তাকে সুস্থ করে তুলেছেন আমাদের চিকিৎসকেরা। এ জন্য আমরাও অনেক আনন্দিত। তবে এমন ঘটনা থেকে পরিত্রাণ পেতে আমাদের এখনই সজাগ হতে হবে। নইলে এমন ঘটনার শিকার আমাদের হতেই হবে।
অভিনেত্রী আঁখি বলেন, সামনের ছয় মাস আমার জন্য আরও চ্যালেঞ্জিং হবে। এ সময়ে শরীরে রোদ লাগাতে পারব না। লাইটের আলো থেকেও নিজেকে দূরে রাখতে হবে। পুরোপুরি অন্ধকার ঘরবন্দী থাকতে হবে।
গত ২৮ জানুয়ারি বেলা ২টার দিকে মিরপুর-১১, কালশী রোড অ্যাপেক্স শো–রুমের পাশের একটি শুটিং স্পটে দুর্ঘটনার শিকার হন আঁখি। ওই দিন সন্ধ্যায় তাঁকে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। তার দুই হাতের সম্পূর্ণ, দুই পা, মুখমণ্ডল ও মাথার একপাশসহ শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়।
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিনয় করছেন শারমিন আঁখি। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা আঁখির মঞ্চে যাত্রা শুরু ‘অরিন্দম নাট্য সম্প্রদায়’র মধ্য দিয়ে। এই দলের নিয়মিত প্রযোজনা তারাসংকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কবি’ নাটকের মূল চরিত্র ‘বসন’ করেই আলোচনায় আসেন তিনি। পরবর্তীতে টিভি নাটকে কাজ করেন তিনি।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য