× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The husband caught the womans body in the pipe of the irrigation pump
google_news print-icon

সেচ পাম্পের পাইপে নারীর মরদেহ, স্বামী আটক

সেচ-পাম্পের-পাইপে-নারীর-মরদেহ-স্বামী-আটক
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় সেচ পাম্পের পাইপে নারীর মরদেহ। ছবি: নিউজবাংলা
আলমডাঙ্গা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে ডালিমার স্বামী ফোন্টুকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা সে স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় সোলার সেচ পাম্পের পাইপের ভেতর থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আলমডাঙ্গা উপজেলার পোলবাগুন্দা গ্রামের গাবতলা মাঠ থেকে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত ৪৫ বছর বয়সী ডালিমা খাতুন একই গ্রামের ফোন্টু মণ্ডলের স্ত্রী।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন ধরে অনেক নারীর সঙ্গে অবৈধভাবে মেলামেশা করত ফোন্টু মণ্ডল। বিষয়টি জানার পর নিষেধ করে তার স্ত্রী ডালিমা। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। একই বিষয়ের জেরে বুধবার রাতে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর মরদেহটি পোলবাগুন্দা গ্রামের গাবতলা মাঠের মিলন আলীর সোলার সেচ পাম্পের পাইপের ভেতর ফেলে রেখে যায় ফোন্টু। পরে ডালিমাকে বাড়িতে না পেয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করে পরিবারের লোকজন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সেচ পাম্পের পাইপের কাছে রক্ত ও মাথার চুল পড়ে থাকতে দেখে পরিবারের সদস্যরা। পরে ওই সোলার সেচ পাম্পের পাইপের ভেতরে মরদেহটি দেখতে পায় তারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় দীর্ঘ সাত-আট ঘণ্টা চেষ্টার পর ২০ ফুট পাম্পের পাইপের ভেতর থেকে ডালিমার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

তিনি আরও জানান, নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ওসি জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে ডালিমার স্বামী ফোন্টুকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা সে স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

আরও পড়ুন:
নওগাঁয় পুকুর খননের সময় মিলল বিষ্ণু মূর্তি
নিখোঁজের দুই দিন পর ইজিবাইক চালকের মরদেহ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জে প্যানেল মেয়র বাদলের স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার
ভোলার হোটেল থেকে উদ্ধার ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ হস্তান্তর
ভোলার আবাসিক হোটেলে ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
A League leaders son in hospital after police torture

‘পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়ে’ হাসপাতালে আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে

‘পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়ে’ হাসপাতালে আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে আহত কৃষক সিরাজ উদ্দিন। ছবি: নিউজবাংলা
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সারোয়ার জাহান বলেন, ‘এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ নিয়ে থানায় আসেনি। অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় এক আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত হয়ে জেলার বাজিতপুরে জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এ বিষয়ে তারা কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি।

উপজেলার পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়নের মহিষবেড় এলাকায় নলা বিল থেকে বাড়ি ফেরার পথে রোববার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

স্বজনরা জানান, অতর্কিত পুলিশি হামলা-নির্যাতনের শিকার হন মো. সিরাজ উদ্দিন। পুলিশের বেধড়ক বুটের লাথি ও লাঠিপেটায় তার বাম পায়ের ঊরুর হাড় ভেঙে যায়। এ ছাড়াও শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীল হয়ে গেছে, ফুলে জখম হয়ে যায় তার। এক পর্যায়ে সিরাজের চিৎকার শুনে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা।

গুরুতর আহত ৪৫ বছর বয়সী কৃষক সিরাজ উদ্দিন পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়নের বাসিন্দা। তার বাবা আশ্রাব আলী এই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি।

সিরাজের ভাই মো. রিয়াজ উদ্দিন জানান, নলা বিলে মাছের খাদ পাহাড়া দিতে যায় তার ভাই সিরাজ। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে এএসআই নুরুল হকসহ অন্য পুলিশ সদস্যেরা পথরোধ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। এ সময় সিরাজ প্রতিবাদ করায় এএসআই নুরুল হক ক্ষিপ্ত হয়ে সিরাজের বাম উরু লক্ষ্য করে বুট দিয়া লাথি মারে। এ লাথিতে সিরাজের বাম উরুর হাড় ভেঙ্গে গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে পড়ে যান।

তারপর ভাঙ্গা স্থানে আরও কয়েকটি লাথি মারে এবং গলায় পা দিয়া চেপে ধরে নূরুল হক। এ সময় তার সাথে থাকা অন্য পুলিশ সদস্যরাও সিরাজকে মারধর করে। সিরাজের চিৎকার শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা এগিয়ে এলে তারা সটকে পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সিরাজ সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

রিয়াজ উদ্দিন আরও জানান, এ বিষয়ে পাকুন্দিয়া থানায় গিয়ে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি তিনি। তাই এ ঘটনায় আদালতে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

কৃষক সিরাজ উদ্দিনের স্ত্রী জেসমিন আক্তার বলেন, ‘তার স্বামীকে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। চিকিৎসক জানান, তার আঘাতগুলো গুরুতর। অপারেশন লাগতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘তিনটা কন্যা সন্তান নিয়ে এমনিতেই ভালভাবে চলতে পারছিনা। যে মানুষটার উপার্জনে সংসার চলে পুলিশে মেরে সে মানুষটার পা ভেঙ্গে দিয়েছে। এখন খুবই বিপদে আছি। এমন বর্বরোচিত হামলার তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করি।’

৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. মস্তুফা জানান, সিরাজ উদ্দিন খুব ভালো লোক। সে সাবেক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আশ্রব আলীর ছেলে।

তিনি বলেন, ‘কেউ অপরাধ করলে পুলিশ তাকে আটক করতে পারে। তবে তার শরীরে এভাবে আঘাত করতে পারে না। আমি এ ঘটনাটি শুনেই ওই পুলিশ সদস্যের মোবাইলে ফোন করি। ঘটনার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতেই সে মোবাইল ফোন কেটে দেয়। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’

এ বিষয়ে কথা বলতে আহুতিয়া তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী উপপুলিশ পরিদর্শক নূরুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন। তার দাবি তিনি সেখানে যাননি।

পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সারোয়ার জাহান বলেন, ‘এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ নিয়ে থানায় আসেনি। অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

আরও পড়ুন:
থানায় নিয়ে নির্যাতন, ওসি-এসআইর বিরুদ্ধে পরোয়ানা
জামিন পেয়েই সাংবাদিককে ‘দাঁত ভাঙা’ জবাব দেয়ার হুমকি চেয়ারম্যানের
শিশু গৃহকর্মীর পায়ে গরম পানি ঢালার অভিযোগ, গৃহকর্ত্রী আটক
বিস্কুট খাওয়ার অভিযোগে শিশুকে বেঁধে মারধরের অভিযোগ
যৌন হয়রানি প্রতিরোধের অভিজ্ঞতা জানাল ৬ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Prothom Alo journalist detained in Savar

সাভারে প্রথম আলোর সাংবাদিককে ‘আটক’

সাভারে প্রথম আলোর সাংবাদিককে ‘আটক’ সাভারে কর্মরত প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক মো. শামসুজ্জামান। ছবি: সংগৃহীত
মো. শামসুজ্জামান সাভারে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে কর্মরত। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫তম আবর্তনে বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন। তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুরে।

ঢাকার সাভারে ভাড়া বাসা থেকে প্রথম আলোর এক সাংবাদিককে আটকের খবর পাওয়া গেছে।

উপজেলার আশুলিয়ার আমবাগান এলাকার বাসা থেকে বুধবার ভোররাতে ওই সাংবাদিককে ‘আটক’ করা হয়।

আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাজু মন্ডল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওখানে সিআইডির এক এসপি স্যার ছিলেন। ওখানে আমাকে জাস্ট উনারা প্রেজেন্ট থাকতে বলছে। পোশাক পরিহিত পুলিশ হিসেবে আমাকে রাখছে। এটা খুব সিকিউরড করে ধরা হয়েছে। এডিশনাল এসপি স্যার আসছিলেন চারজন। কোনো প্রশ্ন করার সুযোগ ছিল না।

‘কাকে ধরতে আসছে, কাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে, এটা সম্বন্ধে আমি জানিই না। আসলে কোন ব্যাপারে তাকে কেন ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, আমি জানি না। পরে আপনাদের স্থানীয় এক সাংবাদিক একটু বলল।’

মো. শামসুজ্জামান সাভারে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে কর্মরত। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫তম আবর্তনে বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন। তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুরে।

শামসুজ্জামান গুলশানের হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় নিহত এসপি রবিউল ইসলামের ভাই। তিনি সাভারের আমবাগান এলাকায় ভাড়া বাসায় একাই থাকতেন, তবে মঙ্গলবার রাতে আরিফুল ইসলাম নামে এক সাংবাদিক শামসুজ্জামানের বাসায় ছিলেন, যিনি ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন।

সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি সাভার-ধামরাইয়ে সাংবাদিকতা করছি। মাঝেমধ্যে অফিসের কাজে ঢাকা যাই। গতকাল (মঙ্গলবার) ঢাকা গিয়েছিলাম। ফেরার পথে বেশি রাত হওয়ায় ভাইয়ের বাসায় আসি কাল সকালে আবার ঢাকা যাব এ জন্য।’

আরিফ আরও বলেন, “আমি রাতে ঘুমিয়েছিলাম। ভোর ৪টার দিকে শামস ভাই আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলে। উঠে দেখি, ডাইনিংয়ে পাঁচ/ছয় ব্যক্তি দাঁড়ানো। আর এক ব্যক্তি ভাইয়ের কক্ষে তল্লাশি করে তার ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ, দুটি মুঠোফোন ও একটি পোর্টেবল হার্ড ডিস্ক নিয়ে নেয়। বাইরে থাকা একটি ব্যাগ ফাঁকা করে সেই ব্যাগে ওসব ঢুকাচ্ছে। এরপর কর্মকর্তা গোছের একজন ঘরের ভিতরে ঢুকে আমার কাছে পরিচয় জানতে চায়। বলে, জিজ্ঞাসাবাদ করবে। তারপর বাসায় দিয়ে যাবে।

“সিআইডি পরিচয়দানকারী এদের মধ্যে একজন বাড়িওয়ালার সঙ্গে কথা বলছিলেন, ‘নিউজ দিয়ে রাষ্ট্রবিরোধী কাজ করছে। সেটাই শুনব।’ তাদেরই একজন শামস ভাইয়ের প্রয়াত বড় ভাই রবিউলের কথা বলেন। উনি তো এসি রবিউলের ছোট ভাই। এরপর ১০-১৫ মিনিট অবস্থান করার পর তারা বাসা ছেড়ে চলে যায়।’

ওই সাংবাদিক আরও বলেন, ‘এর ৪৫ মিনিট পর তারা আবার শামসুজ্জামান ভাইকে নিয়ে বাসায় আসেন। এ সময় তারা জব্দ করা মালামালের তালিকা করেন। শামসুজ্জামানকে জামাকাপড় নিতে বলা হয়। এ সময় কক্ষের ভেতরে দাঁড় করিয়ে তার ছবি তোলা হয়। পাঁচ/সাত মিনিটের মধ্যে আবার তারা বের হয়ে যান। বাসা তল্লাশির সময় দুইবারই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন উপস্থিত ছিলেন।’

প্রত্যক্ষদর্শী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, ক্যাম্পাসে বটতলার নূরজাহান হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন, একজন নিরাপত্তা প্রহরী, শামসুজ্জামানসহ মোট ১৯ জন ব্যক্তি সেহরির খাবার খান। ভোর পৌনে ৫টার দিকে বটতলা থেকে তারা আবার শামসুজ্জামানের বাসায় যান। শামসুজ্জামানের বাসার সামনে থাকা দুটি গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছিল ঢাকা মেট্রো চ ৫৬-২৭৪৭ ও ঢাকা মেট্রো জ ৭৪-০৩৩১। আরেকটিতে কোনো নম্বর প্লেট দেখা যায়নি। দ্বিতীয়বার বাসায় যাওয়ার সময় আশুলিয়া থানার এসআই রাজু সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

শামসুজ্জামান যে বাসায় থাকতেন, সে বাড়ির মালিক ফেরদৌস আলম কবির বলেন, ‘শামসুজ্জামান নিচ তলায় এক বছর আগে বাসা ভাড়া নেয়। ওই একমাত্র ব্যাচেলর ছিল। গুলশানে হলি আর্টিজানে ওর ভাই রবি শহীদ হয়েছেন। সে হিসেবেই ওর প্রতি আলাদা মায়া ছিল আমার, যে কারণে ওরে বাসা ভাড়া দিয়েছি।

‘গতকাল রাতে সিআইডি পরিচয়ে ৫-৭ জন বাসায় এসেছিল। তাদের আচরণ পেশাদার ছিল। শামসকে নিয়ে তারা ভোর ৪টার দিকে বের হয়ে যায় একসাথে সেহরি খাওয়ার কথা বলে। পরে শামসকে নিয়ে তারা আবার আসছে। কাপড়চোপর আর ফোন ও ল্যাপটপজাতীয় ডিভাইসগুলো নিয়ে গেছে। আমি তাদের জিজ্ঞেস করেছিলাম, আসলে কী ব্যাপার। তারা বলেছে, উনি একটা নিউজ করেছিল। সেটার প্রেক্ষিতে একটা মামলা হয়েছে।’

তিনি আরও জানান, যারা সিআইডি পরিচয়ে এসেছিল, তাদের সাথে শামসের আচরণও অস্বাভাবিক মনে হয়নি। মনে হচ্ছিল তারা পূর্ব পরিচিত।

সিআইডির ভাষ্য

সিআইডি ঢাকা বিভাগের ডিআইজি মো. ইমাম হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঢাকা বিভাগ কাউকে আটক করেনি।’
সিআইডি সদরদপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই।’
সিআইডি ঢাকা মেট্রোর দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের ঢাকা মেট্রোর কেউ আটক করলে বিষয়টা জানতাম। সিআইডির নাম করে অন্য কেউ করেছে কি না, বিষয়টা জানি না।’
আরও পড়ুন:
সংঘর্ষের ছবি তুলতে গিয়ে সাংবাদিক লাঞ্ছিত, এসআই প্রত্যাহার
‘গাড়ি চালকের সাহায্যে বাসায় ঢুকে সাংবাদিক আফতাবকে হত্যা’
সাংবাদিক তৌহিদুল ইসলাম মিন্টুর মায়ের মৃত্যু
মিরপুরে ফ্ল্যাট থেকে সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার
বরিশালে সংবাদের জে‌রেই অপূর্বর ওপর হামলা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The chairman tortured the goat thief by not finding the son and bringing the father

ছাগল চুরি: ছেলেকে না পেয়ে বাবাকে তুলে এনে নির্যাতন চেয়ারম্যানের

ছাগল চুরি: ছেলেকে না পেয়ে বাবাকে তুলে এনে নির্যাতন চেয়ারম্যানের আঙ্গুর মিয়াকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। ছবি: নিউজবাংলা
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফরিদ উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাত ১০টার দিকে চেয়ারম্যান বিল্পব আমাকে বিষয়টা জানান। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’

নরসিংদীর মনোহরদীতে ছাগল চুরির অভিযোগ উঠেছে ১৮ বছর বয়সী ছাদিকুল নামে এক কিশোরের বিরুদ্ধে। পরিবারের দাবি, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে কিশোরকে না পেয়ে তার বাবা আঙ্গুর মিয়াকে বাড়ি থেকে তুলে নেয় চেয়ারম্যানের লোকেরা। পরে মঙ্গলবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদে বন্দি করে নির্যাতন করা হয়।

রাত পৌনে ১টার দিকে নির্যাতিত আঙ্গুর মিয়াকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বাড়িতে নিয়ে আসেন তার পরিবারের লোকজন। স্বজনদের অভিযোগ, আপোষের জন্য এক লাখ টাকা দাবি করেন চেয়ারম্যানের লোকজন।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার খিদিরপুর ইউনিয়ন পরিষদে। মঙ্গলবার রাতে ওই ইউনিয়ন পরিষদের সামনে সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করেন আটকে রাখা আঙ্গুরের স্ত্রী রিমা আক্তার।

এ বিষয়ে রাত পৌনে ১২টার দিকে আঙ্গুরের মেয়ে ময়না আক্তার নিউজবাংলাকে বলেছিলেন, ‘সকাল ১০টার দিকে খিদিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের লোক পরিচয় দিয়ে নিজ বাড়ি থেকে তুলে নেয় বাবাকে। তারা দুই দফায় ১০/১২জন লোক আসে তাদের মধ্যে মামুন, সাদ্দাম, নাজমুল নামে তিনজনকে চিনেছি বাকিদের চেহারা চিনি নাম জানি না। সঙ্গে আমার মাকেও নিয়ে যায়। পরে মাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। আমার ভাইকে নিয়ে গেলে বাবাকে ছাড়া হবে। ভাই কোথায় জানিনা। এখনো মা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে আছে বাবা বন্দি পরিষদের ভেতরে। এ ঘটনার বিচারের জন্য আমরা সকালে পুলিশের কাছে যাব।

অভিযুক্ত খিদিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান কাউছার হোসেন বিপ্লব নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাকে হেয় করতে অনেকে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। মূল বিষয়টা হলো আমার এলাকা থেকে গরু-ছাগল চুরির হচ্ছে ঘনঘন। গত বৃহস্পতিবার আঙ্গুরের ছেলে ছাদিকুল ছাগল চুরি করে ধরা খেয়েছে কটিয়াদি গ্রামে।

‘আজ আমার পরিষদে বিচার আসে চরসবুদ্ধি, পাড়াতলা, চরআহম্মদপুর গ্রামে থেকে ছাগল চুরি হয়েছে। এর মধ্যে চুরি হওয়া ছাগলের মালিক সোহাগ মিয়া, মানিক মিয়া ও শাহজাহান মিয়া বলেন পাড়াতলা গ্রামে আঙ্গুরের ছেলে ছাদিকুল তা চুরি করে পালিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘পরে স্থানীয় লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে আঙ্গুরের বাড়িতে গিয়ে তার ছেলেকে না পেয়ে আঙ্গুর মিয়াকে জিঙ্গাসা করতে পরিষদে নিয়ে আসে। এ খবর বিকেলে ৫টার দিকে পেয়েছি। পরে পরিষদে এসে তাদের বলে যাই ইফতার, তারাবী নামাজ শেষে শালিসে বসব। এরপর আমি থানা পুলিশকে বিষয়টা অবগত করে রাত ১০টার দিকে পরিষদে আসি।’

ইউপি চেয়ারম্যানের দাবি, তার হুকুমে আঙ্গুরকে তুলে আনা হয় নাই। বরং তার আসতে দেরি হওয়ায় গ্রাম-পুলিশের পাহারায় আঙ্গুরকে আটকে রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘তাকে কোনো নির্যাতন করা হয় নাই। আর টাকা চাওয়ার কোনো প্রমাণ দেখাতে বলেন আঙ্গুরের স্ত্রীকে।’

এদিকে খিদিরপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান জামিলের নিউজবাংলাকে বলেন, গত তিনদিন আগে ছাগল চুরি হয়ে যায় চরআহম্মদপুর গ্রামে। এ ঘটনায় ছাদিকুলকে সন্দেহ করে চেয়ারম্যান বিপ্লবের কাছে লোকজন যায়। পরে সকাল ১০টার দিকে বিল্পবের লোকেরা সন্ত্রাসী কায়দায় ছাদিকুলের বাবা আঙ্গুরকে পরিষদে নিয়ে বন্দি করে রাখে।

এ বিষয়ে মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফরিদ উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাত ১০টার দিকে চেয়ারম্যান বিল্পব আমাকে বিষয়টা জানান। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
জামিন পেয়েই সাংবাদিককে ‘দাঁত ভাঙা’ জবাব দেয়ার হুমকি চেয়ারম্যানের
শিশু গৃহকর্মীর পায়ে গরম পানি ঢালার অভিযোগ, গৃহকর্ত্রী আটক
বিস্কুট খাওয়ার অভিযোগে শিশুকে বেঁধে মারধরের অভিযোগ
যৌন হয়রানি প্রতিরোধের অভিজ্ঞতা জানাল ৬ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
ফের পেছাল ক্রিকেটার আল আমিনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Polada got 12 days leave and went on permanent leave

‘পোলাডা ১২ দিনের ছুটি পাইয়া চির ছুটিতে চইলা গেল’

‘পোলাডা ১২ দিনের ছুটি পাইয়া চির ছুটিতে চইলা গেল’ সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত কুমিল্লার মুরাদনগরের মামুন মিয়া ও গ্রামের বাড়িতে তার শোকগ্রস্ত মা ও বাবা। কোলাজ: নিউজবাংলা
মামুন মিয়ার বাবা চিৎকার করে বলেন, ‘আমার পোলাডা ১২ দিনের ছুটি পাইয়া চির ছুটিতে চইলা গেল।’

সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো কুমিল্লার মুরাদনগরের মামুন মিয়ার বাড়িতে চলছে মাতম।

ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে স্থানীয় সময় সোমবার বিকেলে পবিত্র নগরী মক্কায় যাওয়ার পথে সৌদি আরবের আসির অঞ্চলের আবহা জেলায় ৪৭ যাত্রী নিয়ে একটি বাস ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হয়। যাত্রীদের মধ্যে ৩৫ বাংলাদেশি ছিলেন।

জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট জানায়, দুর্ঘটনাস্থলটি জেদ্দা থেকে আনুমানিক ৬০০ কিলোমিটার দূরে। সবশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এই দুর্ঘটনায় ২২ জন নিহত হন।

প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের মধ্যে ৮ বাংলাদেশি রয়েছেন। ওই আটজনের মধ্যে তিনজন কুমিল্লার। তারা হলেন জেলার মুরাদনগরের মামুন, রাসেল মোল্লা ও দেবিদ্বার উপজেলার রাজামেহার এলাকার গিয়াস হামিদ।

মামুনের বাড়ি মুরাদনগরের মোস্তাপুর গ্রামে। সৌদি আরবে ২২ বছর বয়সী এ যুবকের নিহত হওয়ার খবর পেয়ে বুধবার সকাল থেকে প্রতিবেশী ও স্বজনরা ভিড় করতে থাকেন তার বাড়িতে।

‘পোলাডা ১২ দিনের ছুটি পাইয়া চির ছুটিতে চইলা গেল’

বাড়িতে দেখা যায়, মামুনের বাবা আবদুল আওয়াল তেমন কথা বলছেন না। মা মমতাজ বেগম ছেলের জন্য হাউমাউ করে কাঁদছেন। মোবাইলে ছবি দেখে বুক চাপড়াতে দেখা যায় তাকে।

আবদুল আওয়ালের তিন মেয়ে, দুই ছেলের মধ্যে মামুন মিয়া চতুর্থ। ছয় মাস আগে মামুন তার মামা ইয়ার হোসেনের মাধ্যমে সৌদিতে যান। সেখানে হোটেল বয় হিসেবে কাজ করতেন।

নিহত মামুনের মামী তাসলিমা বেগম জানান, মামুন, তার মামা ইয়ার হোসেন এবং মামুনের ভাগ্নে জাহিদুল ইসলাম বাসে করে ওমরাহ করার জন্য মক্কার উদ্দেশে রওনা হন। পথে তারা সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন।

তাসলিমা আরও জানান, মামুন ও স্বজনদের বহন করা বাসটি ব্রেকফেল করে একটি ব্রিজের সঙ্গে ধাক্কা খায়। পরে এতে আগুন ধরে যায়। মামুন গাড়ি থেকে বের হতে পারেননি; আগুনে পুড়ে তার মৃত্যু হয়।

এ দুর্ঘটনায় মামুনের মামা ইয়ার হোসেন ও ভাগ্নে জাহিদ গুরুতর আহত হন। তারা মক্কার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

মামুনের বাবা আবদুল আওয়াল জানান, অন্তত ৯ মাস আগে মামুন ভিসার জন্য আবেদন করেন। বয়স কম হওয়ায় সে আবেদন বাদ দেয়া হয়। পরে ৬ মাস আগে ফের আবেদন করেন মামুন। ৫ লাখ টাকা খরচ করে তাকে সৌদিতে আরবে পাঠানো হয়। পুরো টাকা আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের কাছ থেকে ধার করা।

তিনি বলেন, ‘সৌদিতে সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আমরা খবর পাই রাত ১টার দিকে। আমার নাতি জাহিদ ফোন করে বলে নানা, মামুন মামা তো নাই। কলিজাডা ফাইট্টা গেছে কথাডা হইন্না। আমার ছেলের লাশটা আইন্না দাও; আমি দেখমু।’

ওই সময় তিনি চিৎকার করে বলেন, ‘আমার পোলাডা ১২ দিনের ছুটি পাইয়া চির ছুটিতে চইলা গেল।’

মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলাউদ্দিন ভূঁইয়া জনি বলেন, ‘আমি নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রশাসনিকভাবে পরিবারটির জন্য যা করার দরকার আমরা তাই করব।’

কুমিল্লা জনশক্তি ও কর্মসংস্থান দপ্তরের কর্মকর্তা দেব্রবত ঘোষ বলেন, ‘আমরা ঘটনা শুনেছি। মরদেহ দেশে নিয়ে আসার জন্য যা যা করতে হয়, তার সবই করব।’

আরও পড়ুন:
কাভার্ড ভ্যান-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ২
বাস-পিকআপ সংঘর্ষ, নিহত ৩
বান্দরবানে দুই ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ৬
আজিমপুর বাস স্ট্যান্ডে গাড়ির ধাক্কায় হেলপার নিহত
সফরের আমন্ত্রণ সৌদি বাদশাহর, স্বাগত জানালেন ইরানের প্রেসিডেন্ট

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Tanklori killed 2 in autorickshaw in Shahjadpur

শাহজাদপুরে অটোরিকশাকে চাপা ট্যাংকলরির, নিহত ২

শাহজাদপুরে অটোরিকশাকে চাপা ট্যাংকলরির, নিহত ২
শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, বাঘাবাড়ী থেকে যাত্রীবাহী একটি অটোরিকশা শাহজাদপুর যাওয়ার পথে গঙ্গাপ্রসাদ এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্যাংকলরি সেটিকে চাপা দেয়।

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে তেলবাহী ট্যাংকলরির চাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন।

উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের গঙ্গাপ্রসাদ এলাকায় হাটিকুমরুল-নগরবাড়ী মহাসড়কে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের একজন অটোরিকশাচালক উপজেলার নরিনা ইউনিয়নের নাববিলা গ্রামের আব্দুল হাই। অপরজনের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহত মিজানুর রহমান পৌর এলাকার ছয়ানিপাড়ার বাসিন্দা। তাকে শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়, পরে অবস্থা গুরুতর হলে রাতেই বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।

শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, বাঘাবাড়ী থেকে যাত্রীবাহী একটি অটোরিকশা শাহজাদপুর যাওয়ার পথে গঙ্গাপ্রসাদ এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্যাংকলরি সেটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই চালকসহ তিনজন আহত হন।

আহত তিনজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে সেখানে চালকের মৃত্যু হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই আরেকজনের মৃত্যু হয়। নিহত অটোরিকশা চালকের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আরেকজনের মরদেহ হাইওয়ে পুলিশের কাছে দেয়া হয়েছে। আহত মিজানুর রহমানের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন:
প্রতিবেশীর ‘দায়ের কোপে’ পান বিক্রেতা নিহত
অটোরিকশায় ট্রাকের ধাক্কা, দুজন নিহত    
এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনার যেসব কারণ জানানো হলো প্রতিবেদনে
কাভার্ড ভ্যান-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ২
আজিমপুর বাস স্ট্যান্ডে গাড়ির ধাক্কায় হেলপার নিহত

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Ayanis body has been recovered after rains in Chittagong

চট্টগ্রামে বর্ষা, আয়াতের পর এবার আয়নীর মরদেহ উদ্ধার

চট্টগ্রামে বর্ষা, আয়াতের পর এবার আয়নীর মরদেহ উদ্ধার স্কুলছাত্রী আবিদা সুলতানা আয়নী। ছবি: নিউজবাংলা
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক ইলিয়াস খান বলেন, ‘১০ বছর বয়সী স্কুলছাত্রী আবিদা সুলতানা আয়নী নিখোঁজের পর পিবিআই ছায়া তদন্ত শুরু করে ঘটনার রহস্য উন্মোচন করে একজনকে আটক করে। তার দেখানো মতে পাহাড়তলী থানার আলমতারা পুকুরপাড়া মুরগীর ফার্ম এলাকা থেকে আয়নীর মরদেহ পাওয়া যায়।’

চট্টগ্রামে নিখোঁজের ৮ দিন পর চতুর্থ শ্রেণি পড়ুয়া আবিদা সুলতানা আয়নীর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় রুবেল নামের এক সবজি ব্যবসায়ীকেও আটক করা হয়েছে।

পাহাড়তলী থানার পুকুরপাড়া মুরগীর ফার্ম এলাকা থেকে বুধবার ভোরে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

আবিদা সুলতানা আয়নী নগরীর পাহাড়তলী থানার কাজীর দিঘি এলাকার আব্দুল হাদী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত। আটক সবজি ব্যবসায়ী রুবেলও একই এলাকার বাসিন্দা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক ইলিয়াস খান বলেন, ‘১০ বছর বয়সী স্কুলছাত্রী আবিদা সুলতানা আয়নী নিখোঁজের পর পিবিআই ছায়া তদন্ত শুরু করে ঘটনার রহস্য উন্মোচন করে একজনকে আটক করে। তার দেখানো মতে পাহাড়তলী থানার আলমতারা পুকুরপাড়া মুরগীর ফার্ম এলাকা থেকে আয়নীর মরদেহ পাওয়া যায়।’

পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার (এসপি) নাঈমা সুলতানা সাংবাদিকদের বলেন, ‘শিশুটিকে অপহরণের পর ধর্ষণ করে রুবেল। এ সময় আয়নী চিৎকার করায় শ্বাসরোধে হত্যা করে সে। পরবর্তী সময়ে মরদেহটি বস্তাবন্দির পর সবজির ঝুড়িতে করে রাতেই পুকুরপাড়া মুরগীর ফার্ম এলাকায় ফেলে দিয়ে যায়।’

চট্টগ্রামে বর্ষা, আয়াতের পর এবার আয়নীর মরদেহ উদ্ধার

তিনি জানান, ঘটনার পর দাড়ি কেটে বেশ পরিবর্তন করলেও এলাকায় থেকে সবজি বিক্রি করে যাচ্ছিলেন রুবেল। তার আচরণে সন্দেহজনক কিছু না পাওয়ায় ঘটনার রহস্য উন্মোচনে সময় লেগেছে।

গত ২১ মার্চ আরবি পড়তে বের হয়ে নিখোঁজ হয় ১০ বছর বয়সী আবিদা সুলতানা আয়নী। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও কোথাও না পেয়ে থানায় মামলার চেষ্টা করেন স্বজনরা, কিন্তু থানায় মামলা না নেয়ায় মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রামের নারী শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২- এ মামলার আবেদন করেন শিশুটির মা।

মামলায় মো. রুবেল নামের সবজি বিক্রেতাকে আসামি করা হয়। আবেদনের শুনানি শেষে আদালতের বিচারক শরমিন জাহান পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) সরাসরি এজাহার গ্রহণের নির্দেশ দেন।

মামলার আবেদনে বলা হয়, ওই শিশুর মা চট্টগ্রামে ও বাবা ঢাকায় পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। মা চাকরিতে গেলে শিশুটি তার দাদির কাছে থাকত। কয়েক দিন আগে শিশুটি তার মাকে জানায়, স্কুলের এক বান্ধবী বিড়ালছানা কিনেছে, সেও কিনবে। পাশাপাশি জানায়, রাস্তায় বসা এক সবজি বিক্রেতা তাকে আরেকজনের কাছ থেকে বিড়ালের বাচ্চা এনে দেবে বলেছে, তবে শিশুটির মা তাকে জানিয়ে দেয়, কারও কাছে যেতে হবে না, বেতন পাওয়ার পর তিনিই কিনে দেবেন। এর কয়েক দিনের মাথায় শিশুটি বিকেলে আরবি পড়তে যাওয়ার পর আর ফিরে না এলে তার দাদি ফোনে কর্মস্থলে মাকে বিষয়টি জানান। এরপর শিশুটির মা দ্রুত এসে সম্ভাব্য সব স্থানে খুঁজেও তার মেয়েকে পাননি।

পরে শিশুটির মা আশপাশের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেন। সেখানে দেখতে পান, ঘটনার আগের দিন ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে স্কুলে বিরতির সময় রুবেল কৌশলে শিশুটিকে তার বাসায় নিয়ে যান। আর ঘটনার দিনের ভিডিও ফুটেজে দেখতে পান, বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটের দিকে শিশুটি বোরকা পরে আরবি পড়তে যাচ্ছিল। ওই সময় রুবেলের সঙ্গে সে কথা বলছিল। একপর্যায়ে রুবেল বাজারের থলেতে একটি বিড়ালছানা শিশুটির হাতে তুলে দেয়। এরপর রুবেল ও শিশুটিকে আর দেখা যায়নি।

শিশুটির পরিবারের ধারণা, বিড়ালছানার নাম করেই বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল শিশুটিকে।

সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের সহযোগিতায় আয়নীকে রুবেল অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ করে আসছিলেন শিশুটির মা।

চট্টগ্রামে গত বছরের অক্টোবর ও নভেম্বরে নিখোঁজের পর দুটি শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

২৪ অক্টোবর চিপস কিনতে বের হয়ে নগরীর জামালখান এলাকায় নিখোঁজ হয় ৭ বছর বয়সী মার্জনা হক বর্ষা। এর তিন দিন পর একই এলাকার একটি নালা থেকে বর্ষার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে লক্ষণ দাশ নামের এক দোকান কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এরপর ১৫ নভেম্বর নগরীর ইপিজেড থানার বন্দরটিলা নয়ারহাট বিদ্যুৎ অফিস এলাকার বাসা থেকে পার্শ্ববর্তী মসজিদে আরবি পড়তে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হয় আলিনা ইসলাম আয়াত। পরদিন এ ঘটনায় ইপিজেড থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করেন তার বাবা সোহেল রানা।

নিখোঁজের ৯ দিন পর সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জড়িত সন্দেহে আয়াতের পরিবারের ভাড়াটিয়া আবির আলীকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে আয়াতকে অপহরণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করেছিলেন বলে আদালতে জবানবন্দি দেয় আবির। এরপর পিবিআইয়ের কয়েক দফা চেষ্টায় নগরীর আকমল আলী সড়কের আশেপাশে বিভিন্ন জলাশয় থেকে আয়াতের খণ্ডিত পা ও মাথা উদ্ধার করা হয়।

আরও পড়ুন:
বরিশালে হোটেল কর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
গোমতীতে ভেসে উঠল আনসার সদস্যের মরদেহ  
সেচ পাম্পের পাইপে নারীর মরদেহ, স্বামী আটক
স্কুলছাত্রের গলা কাটা দেহ উদ্ধার
খালে পড়ে নিখোঁজের ৩ ঘণ্টা পর ড্রেজার শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Heavy traffic jam in Ghazaria section of Dhaka Chittagong highway

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশে তীব্র যানজট

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশে তীব্র যানজট সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমী স্নানের কারণে যানবাহনের চাপে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ছবি: নিউজবাংলা
গজারিয়া ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এ.এস.এম. রাশেদুল ইসলাম বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমী স্নানের কারণে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে। যানজট নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সদস্যরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশে ঢাকামুখী লেনে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমী স্নানের কারণে যানবাহনের চাপে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে থেকে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে মানুষ।

গজারিয়া ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এ.এস.এম. রাশেদুল ইসলাম বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমী স্নানের কারণে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে। যানবাহনের চাপে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও অংশে সৃষ্টি হয় যানজট।

মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে গজারিয়া অংশে যানজট চলে আসে যা পরবর্তীতে দাউদকান্দির টোল প্লাজা পেরিয়ে দাউদকান্দি মোহন সিএনজি পাম্পের সামনে পর্যন্ত পৌঁছে যায়। যানজট নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সদস্যরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

যানজটে আটকে থাকা আসলাম হোসেন জানান, তার বাসা গজারিয়ায়। তিনি বাড়ি থেকে আসা-যাওয়া করে ঢাকাতে চাকরি করেন। প্রতিদিনই পৌনে ৭টার দিকে বাড়ি থেকে বের হন এবং যথাসময়ে অফিসে পৌঁছে যান। তবে আজকে মহাসড়কে তীব্র যানজটের কারণে ৮টা বাজলেও তিনি মেঘনা টোল প্লাজা পার হতে পারেননি। সেজন্য বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দের অষ্টমী স্নান শুরু হয় মঙ্গলবার। এদিন সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিটে লগ্ন শুরু হয়। একবারের অষ্টমী স্নান উৎসব দেশ-বিদেশ মিলিয়ে ১০ লাখের বেশি পুণ্যার্থীর আগমন ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

হিন্দু শাস্ত্র মতে, দেবতা পরশুরাম হিমালয়ের মানস সরোবরে স্নান করে পাপমুক্ত হন। হিমালয়ের মানস সরবরের পানি ব্রহ্মপুত্র নদে মিশেছে। প্রতি বছর চৈত্র মাসে পূণ্য লাভের আশায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা জড়ো হন নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দের ব্রহ্মপুত্র নদে। সেখানে স্নান করে নিজেদের পাপমোচন করেন। দেশের বাইরে থেকেও অনেকে আসেন এই অষ্টমী স্নানে।

আরও পড়ুন:
রমজানের প্রথম কর্মদিবসে স্থবির ঢাকা, পথেই ইফতার
রমজানে রাজধানীতে যানজট কমাতে ১৫ নির্দেশনা
অফিস সময়ে যানজটে থমকে যায় কুমিল্লা
ইজতেমার আগের দিন রাজধানীতে তীব্র জট
ঘন কুয়াশায় বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায় বন্ধে যানজট-ভোগান্তি

মন্তব্য

p
উপরে