ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার বাসায় নৈশভোজের আমন্ত্রণে অংশ নিতে গেছে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি বারিধারায় ভারতীয় হাইকমিশনারের বাসায় যায়।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এই প্রতিনিধি দলে আছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।
এর আগে ১২ মার্চ সকাল ১০টার দিকে গুলশান-২ নম্বরে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত আটটি দেশের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল।
খুলনায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনায় ৮৫৯ নেতা-কর্মীকে আসামি করে মামলা হয়েছে। এতে ৫৯ জনকে এজাহারভুক্ত ও ৭০০ থেকে ৮০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
এ মামলায় এজাহারভুক্ত প্রথম সাতজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।
খুলনার সদর থানায় শনিবার রাতে এসআই অজিত কুমার দাস বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল-মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন খুলনার রূপসা উপজেলার যুগিহাটি গ্রামের ২৩ বছর বয়সী ইশারাত ইসলাম, দিঘলিয়া উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামের ৪৭ বছর বয়সী শেখ কামাল উদ্দিন, মহানগরীর রুপসা স্ট্যান্ড রোডের ৩৫ বছর বয়সী মো. জালাল হোসেন, রূপসা উপজেলার চর রুপসা গ্রামের ২৮ বছর বয়সী মো. রাজু শেখ, মহানগরীর খানজাহান আলী থানার ফুলবাড়ি গেট এলাকার ৪৬ বছর বয়সী আব্দুল হাই রুমি, ৩৪ বছর বয়সী দেলোয়ার হোসেন জসিম ও ফুলতলা উপজেলার পয়গ্রাম গ্রামের ৩২ বছর বয়সী মিজানুর রহমান। তাদের কাছ থেকে ১৫ টুকরো ভাঙা ইটের খণ্ড, ৯টি কাঠের আছাড়ি ও ৭টি লোহার রড জব্দ দেখানো হয়েছে।
মামলায় পলাতক আসামিদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমির এজাজ খান, সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পি, খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম তুহিন, যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম জহির।
এজাহারে বলা হয়, শনিবার বিকেল ৩টায় খুলনা থানাধীন কে ডি ঘোষ রোডে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির উদ্যোগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হচ্ছিল। আকস্মিকভাবে বিএনপির নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা, লোহার রড, কাঠের বাতা, ইট-পাটকেল, দেশীয় অস্ত্র ও বাঁশের লাঠি নিয়ে মিছিলসহ সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে জনমনে ভীতি, দোকানপাট ভাঙচুর করতে উদ্যত হন। তারা যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি ও শান্তি-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে চরম মারমুখী অবস্থায় পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধা দেন। ওই সময় তারা পরিকল্পিতভাবে পুলিশের ওপর হামলা করে গুরুতর ও সাধারণ জখম করেন। সে সময় সরকারি অস্ত্র ও জানমাল রক্ষার্থে তাদের ওপর ১৪টি লং সেল গ্যাস গান, ৬টি শর্ট সেল গ্যাস গান, ৩০টি শর্টগানের রাবার বুলেট, ৫টি সিসা বুলেট ও তিনটি গ্রেনেড ফায়ার করে পুলিশ।
এজাহার অনুযায়ী, বিএনপির নেতা-কর্মীদের হামলায় সেখানে দায়িত্বরত এসআই মো. সাইদুর রহমান, মো. আব্দুল হাই, মো. অলিয়ার রহমান, সনজিত কর্মকার, মো. শান্তিরাম পাল, মো. আব্দুস সালাম, মো. শাকিম হোসেন, মো. রিপন শেখ, নায়েক তুহিন ও এসএএফ মো. শাহিন রক্তাক্ত জখম হন।
শনিবার দুপুরে ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে খুলনায় অবস্থান কর্মসূচি পালনের কথা ছিল বিএনপির।
খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য (মিডিয়া সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত) মিজানুর রহমান মিলটন বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি পণ্ড করতে বেলা ১১টা থেকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশ উপস্থিত হতে থাকে। দুপুর ২টার দিকে নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করলে পুলিশ হঠাৎ করে লাঠিপেটা, টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ শুরু করে। প্রায় ২ ঘণ্টাব্যাপী নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়।’
তিনি বলেন, ‘টিয়ারশেল ও রাবার বুলেটে ঘাটভোগ ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ কবির শেখ, রূপসা উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব রুবেল মীর, বটিয়াঘাটা উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব বাহাদুর মুন্সী, ডুমুরিয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহিন মোল্লা, ডুমুরিয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক তামিম মোল্লা, খুলনা জেলা যুবদলের সাজু হাওলাদার, খুলনা জেলা ছাত্রদলের মনিরুজ্জামান নয়ন হাওলাদার, ইয়াসিন, ফিরোজ মাহমুদ, ইসমাইল হোসেন, ইবাদুল হক রুবায়েত, ইস্তিয়াক আহমেদ ইস্তিসহ ১৫ থেকে ২০ গুরুতর আহত হয়েছেন।’
মিলটন আরও বলেন, ‘শনিবারের এ কর্মসূচির আগে ২৪ ঘণ্টায় ১৬ নেতা-কর্মীকে বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাংবিধানিকভাবে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি পালনের অধিকার আছে, কিন্তু পবিত্র রমজান মাসে রোজাদার বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর নারকীয় তাণ্ডব কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। দমন-নিপীড়ন করে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।’
আরও পড়ুন:হামলা-মামলার মধ্য দিয়ে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচন শেষ হলেও আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীদের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার ছুটির দিনেও দু’পক্ষের অবস্থানে সরগরম হয়ে ওঠে সমিতি প্রাঙ্গণ।
এদিকে নতুন করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে গঠিত এডহক কমিটি প্রথম সভা করেছে শনিবার। কমিটি সমিতির সংবিধান অনুযায়ী ভোটার তালিকা প্রস্তুত করে ১৪ ও ১৫ জুন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করে নির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবে।
এডহক কমিটি ব্যতীত সমিতির কোনো বিষয় নিয়ে অন্য কোনো কমিটিকে যাতে সাক্ষাৎ না দেয়া হয়, সেজন্য প্রধান বিচারপতির কাছে রোববার এডহক কমিটির নেতৃত্বে চিঠি দেয়া হবে। অন্য বিচারপতিদেরও চিঠি দেয়া হবে।
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির কনফারেন্স রুমে এডহক কমিটির সিনিয়র সদস্য আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভা পরিচালনা করেন কমিটির সদস্য সচিব শাহ আহমেদ বাদল।
সভায় এডহক কমিটির সদস্য তৈমূর আলম খন্দকার, জগলুল হায়দার আফরিক, ড. রফিকুল ইসলাম মেহেদীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। কমিটির আহ্বায়ক সিনিয়র অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মহসিন রশিদ তার স্ত্রীর অসুস্থতার জন্য হাসপাতাল থেকে অনলাইনে সভায় যোগ দেন।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, সমিতির সব ব্যাংক হিসাব এডহক মিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ মহসিন রশিদ ও সদস্য সচিব শাহ্ আহমেদ বাদল এবং সিনিয়র সদস্য আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিনের মধ্যে দুইজনের যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত হবে। এ বিষয়ে সব তফসিলি ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে চিঠি দেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, বিশিষ্ট আইনজীবী ও সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলামের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার তলবি সভা আহ্বান করে এই এডহক কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির বিরুদ্ধে শনিবার প্রতিবাদ ও মতবিনিময় সভা করেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীরা।
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী ২ নম্বর হলে (উত্তর) বর্তমান নির্বাচিত সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির ও সম্পাদক আবদুন নুর দুলালের নেতৃত্বে নির্বাচিত সদস্য এবং আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় তারা এডহক কমিটিসহ বিএনপির আইনজীবীদের বিরুদ্ধে পাল্টা স্লোগান দেন। তারা জানান, রোববার সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হবে। এতে কেউ বাধা সৃষ্টি করলে প্রয়োজনে পাল্টা জবাব দেয়া হবে। পরে তারা সেখানে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
অন্যদিকে বারের সাবেক সম্পাদক বিএনপি সমর্থিত ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিমকোর্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজলের নেতৃত্বে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীনের কক্ষের সামনে অবস্থান নেন।
গত ১৫ ও ১৬ মার্চ হট্টগোল, হামলা, মামলা ও ভাঙচুরের মধ্য দিয়ে সুপ্রিমকোর্ট বারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে ১৪টি পদের সবক’টিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেল জয়ী হয়।
আরও পড়ুন:রাজশাহীতে বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদসহ পাঁচ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার বিকেল ৪টার দিকে নগরীর গণকপাড়া থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, পবা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোজাফফর হোসেন, চারঘাট উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারি কামরুজ্জামান মৃধা, শলুয়া ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক এমদাদুল হক ও বাঘা উপজেলার হরিরামপুর এলাকার স্বপন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার বিকেলে নগরীর মালোপাড়ায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সাগরপাড়া মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ তাদের ব্যানার কেড়ে নিয়ে লাঠিপেটা করে। এর পরপরই নগরীর গণকপাড়া মোড়ে জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা পথসভা করার চেষ্টা করে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুন অর রশিদ। পথসভা শুরুর আগেই পুলিশ সেখানে লাঠিচার্জ করে এবং জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদসহ পাঁচজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
পরে ভুবন মোহন পার্কেক সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু ও যুগ্ম মহাসচিব হারুন অর রশিদ পুলিশের লাঠিপেটার নিন্দা জানান। তারা অবিলম্বে আটক বিএনপি নেতাদের মুক্তি দাবি করেন।
হারুন অর রশিদ বলেন, এভাবে ভয় ভীতি দেখিয়ে আন্দোলন থামানো যাবে না। প্রশাসনের এমন আচরণ দেশের জন্য অশনি সংকেত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রফিকুল আলম বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা নির্ধারিত স্থানের বাইরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করায় পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ। তারা বেআইনিভাবে সমাবেশ করছিল, যা জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছিল। আটকদের বিরেুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা এবং পত্রিকাটির সাভার প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদ এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।
শনিবার রাতে সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান, যুগ্ম-আহ্বায়ক অধ্যাপক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান ও অধ্যাপক আবদুস সালাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানানো হয়।
তাতে বলা হয়, ‘সরকারের দুর্নীতি এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যর্থতা তুলে ধরে প্রতিবাদ জানানোর সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। হামলা-মামলাসহ নানামুখী নিপীড়ন-নির্যাতনের মাধ্যমে রুদ্ধ করা হচ্ছে জনগণের প্রতিবাদের ভাষা। এমনকি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অসহনীয় মূল্যবৃদ্ধির ফলে সৃষ্ট জনদুর্ভোগ বা ক্ষুধার কথাও জনগণ প্রকাশ্যে বলতে পারছে না।
‘উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সংবাদপত্র দেশের জনগণের পক্ষে স্বাধীনভাবে কথা বলবে এটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু বর্তমান সরকার সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। তাই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণের লক্ষ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ নিবর্তনমূলক নানা আইন করা হয়েছে এবং হচ্ছে। আর এসব আইনের জেরে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা মারাত্মকভাবে সংকুচিত করে ফেলা হয়েছে। প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা এবং সাংবাদিক শামসকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনা এর সর্বশেষ নজির।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সরকারের এহেন পদক্ষেপ দেশে মুক্তচিন্তা, বাক-স্বাধীনতা ও স্বাধীন সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে সংবাদ মাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার অপপ্রয়াস বলে আমরা মনে করি। মুক্তচিন্তা ও স্বাধীন মত প্রকাশের ঐতিহ্যবাহী লালনক্ষেত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং সর্বোপরি বিবেকবান মানুষ হিসেবে এটি আমাদের কাছে কোনোভাবেই কাম্য নয়।
‘আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত এবং এর প্রত্যাশিত ভূমিকা পালনের স্বার্থে প্রথম আলোর সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার ও সাংবাদিক শামসুজ্জামানের দ্রুত মুক্তির আহ্বান জানাচ্ছি। একইসঙ্গে মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো নিবর্তনমূলক আইনগুলো বাতিলের জোর দাবি জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন:রাজধানীর পল্লবীতে বিএনপির ইফতার মাহফিলে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের তিন নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শনিবার যুবদলের দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান দুলাল স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন- যুবদল নেতা ইসমাইল হোসেন, মো. আসিফ ও জুয়েল খান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কারণে জাতীয়তাবাদী যুবদল পল্লবী থানার ৬ নম্বর ওয়ার্ড শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, রুপনগর থানা শাখার যুগ্ম সম্পাদক মো. আসিফ ও পল্লবী থানা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি জুয়েল খানকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হলো।
এর আগে শুক্রবার বিকেলে পল্লবীতে মহানগর উত্তর বিএনপির ইফতার মাহফিলে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
ইফতার মাহফিলে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেন ইফতার মাহফিলে উপস্থিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল।
দলের নেতাকর্মীদের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, এই রূপনগর ও পল্লবী থানার কর্মীরা আপনারা কি সত্যিকারে দলকে ভালোবাসেন? মনে হয় না। তাহলে আজকের এই ঘটনা ঘটতো না। আপনারা অতিথিদেরকে (সাংবাদিক) সম্মান করতে জানেন না। আমি অত্যন্ত দুঃখিত ও শোকাহত।
তিনি বলেন, আমি অনুরোধ করবো দয়া করে শৃঙ্খলার সঙ্গে এখানে থাকেন। আমি নিজে দেখেছি, কারা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
ফখরুলের বক্তব্যের সময় নেতা কর্মীরা উত্তেজিত হলে তিনি রেগে গিয়ে বলেন, থামেন আপনারা থামেন। এখানে আওয়ামী লীগের দালালেরা ঢুকে। এখানে সরকারের দালালেরা এসেছে। আমি আবারও সাংবাদিক ভাইদের কাছে আমার ব্যক্তিগত তরফ থেকে ও দলের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাচ্ছি।
আরও পড়ুন:মানুষকে বোকা বানিয়ে ও প্রতারণা করে এই সরকার ক্ষমতায় টিকে আছে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, এই সরকারকে অবশ্যই ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হবে। জনগণের অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তারা পরাজিত হবে এবং জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের সামনে শনিবার বিকেলে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
দেশের মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখনও সতর্ক হোন, সজাগ হোন। সরকার ক্ষমতাকে বেআইনিভাবে জোর করে ধরে রাখার জন্য সব ভিন্ন মত দমন করছে, হত্যা করছে, গুম করছে, নির্যাতন করছে, কারাগারে নিচ্ছে। তাদের হাত থেকে আপনারাও পার পাবেন না। তাই আজ সবার দায়িত্ব ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলা।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সম্প্রতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন- নির্বাচনের সব ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। প্রয়োজনে আগাম নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। অর্থাৎ তারা (আওয়ামী লীগ) ভিন্ন কৌশল নিতে চায়। আগেভাগে নির্বাচন করে গোটা জাতিকে বোকা বানিয়ে আগের মতো ক্ষমতায় যেতে চায়।’
আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে ফখরুল বলেন, ‘এবার জনগণ আপনাদের কোনো কৌশলকেই সফল হতে দেবে না। আপনাদের কোনো ফাঁদে জনগণ পা দেবে না। এবার তারা প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। আপনাদের সব চক্রান্ত ব্যর্থ করে দেবে।
‘এ দেশের মানুষ কখনোই অন্যায়কে মেনে নেয়নি। সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে বিএনপি।’
বর্তমান সরকার দেশের মানুষের মতামতকে কোনো গুরুত্ব দেয় না মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সব সময় বলে এসেছি যে এ সরকার গণতন্ত্র মানে না। এ সরকার মানুষের মতামতকে কোনো গুরুত্ব দেয় না। তাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে ক্ষমতায় টিকে থাকা। দুটি নির্বাচন করে বন্দুকের নলের মুখে জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছে সরকার।’
আওয়ামী লীগের চরিত্র দেশের মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘আজ যারা গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছে, তারা দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। কেউ সমালোচনা করলে তাদের গায়ে লাগে। কারণ তারা গণতান্ত্রিক নয়।
‘তারা স্বাধীনতার পর যখন ক্ষমতায় ছিল তখনও গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল কায়েম করেছিল। রক্ষীবাহিনী দিয়ে এদেশের বিরোধী মত দমন করেছে। চারটি সংবাদপত্র রেখে বাকিগুলো বন্ধ করে দিয়েছে।’
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘দেশের যে সংকট সেটা এই সরকার নিরসন করতে পারবে না। তাই জনগণ এই সরকারকে চায় না। জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে।’
কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এসএম জিলানী, মহিলা দল সভাপতি আফরোজা আব্বাস প্রমুখ।
অবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম। সঞ্চালনায় ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু।
আরও পড়ুন:প্রথম আলো আওয়ামী লীগকে শত্রু হিসেবে গণ্য করে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে দলটির সভাপতি-সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য এবং ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথ সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।
কাদের বলেন, ‘দৈনিক প্রথম আলো তাদের নিজস্ব প্রভুদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য জাতির সামনে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে তরুণ সমাজের মনে হতাশা ও ক্ষোভ সৃষ্টির জন্য উসকানি দেওয়ার অপচেষ্টা করেছে। অনেকে বলেছেন যে, এটা তাদের একটা ভুল। আমি তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, স্বাধীনতা দিবসের দিনে বাঙালি জাতির ৫২ বছরের অর্জন মর্যাদা নিয়ে তামাশা করা সাধারণ ভুল নয়; একটি ফৌজদারি অপরাধ।’
তিনি প্রশ্ন করে বলেন, ‘স্বাধীনতা দিবসের প্রথম আলোর এই উদ্যোগ জাতিসত্তা বিনাশী অপতৎপরতা নয় কি? স্বাধীনতা দিবস তরুণ প্রজন্মের কাছে দেশপ্রেম ও দেশাত্মবোধ সৃষ্টির এক অনন্য দিন। অথচ এই দিনে পলিটিক্যালি সিলেক্টেড বিশেষ এজেন্ডা সেটিংয়ের উদ্দেশ্যে কি এই সংবাদটি মহান মুক্তিযুদ্ধ মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ অর্জনকে অস্বীকার করার শামিল নয়?’
ক্ষমতাসীন দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা অভিযোগ করেন, ‘ঐতিহ্যগতভাবেই দৈনিকটি এক বিশেষ স্বার্থান্বেষী মহলের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে থাকে। আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের বিরুদ্ধে সংবাদ পরিবেশন তারা বরাবরই বিরাজনীতিকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করে আসছে।’
তিনি বলেন, ‘দেখুন কী রকম ষড়যন্ত্র! নিউজ করা হয়েছে আজকে এই ঘটনায় একজন সম্পাদক এবং একজন রিপোর্টারের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রতিবাদে বিশ্বের বিভিন্ন মিডিয়ায় এবং সংস্থা থেকে যেসব রিপোর্ট এসেছে, প্রত্যেকে বলছে যে একে ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। এরা অত্যন্ত চতুর। আন্তর্জাতিক লিংক এদের অনেক শক্ত। তাই এ খবর ছড়িয়ে দিয়েছে যে, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির জন্য রিপোর্ট করায় এই পত্রিকার, এই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য রিপোর্ট করার জন্য, টকশোতে অংশ নেবার জন্য সরকার কি একজন লোকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে? তাহলে মিথ্যা সংবাদ আজকের সারা দুনিয়ায় রটানো হচ্ছে যে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্যই রিপোর্ট করাতে এই সাংবাদিক, এই সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।’
সাংবাদিকরা ক্ষমতাসীন দলের শত্রু নয় মন্তব্য করে কাদের বলেন, ‘সাংবাদিক বন্ধুগণ, সাংবাদিকরা আমাদের শত্রু নয়, কিন্তু প্রথম আলো আপনাদের সঙ্গে শত্রুতা করছে। বিএনপিকে আমরা ভাবি প্রতিপক্ষ। বিএনপি আমাদের ভাবে শত্রু। প্রথম আলো আমাদের শত্রু ভাবে। ‘প্রত্যেকের সম্পাদকীয় পলিসি আছে। (প্রথম আলো) আওয়ামী লীগের সাথে শত্রুতা, যেটা বিএনপির রাজনীতি তারা সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে। এটা হচ্ছে আজকের বাস্তবতা।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সাংবাদিকদের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার শেখ হাসিনা যা করেছেন, অষ্টম ওয়েজবোর্ডসহ সাংবাদিক কল্যাণ ভাতাসহ সাংবাদিকদের জন্য যেসব সাংবাদিক কল্যাণের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে শেখ হাসিনা সরকার এবং পার্সোনালি আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী তিনি এ ব্যাপারে অত্যন্ত আন্তরিক। আপনারা আমাদের শত্রু নয়। কেউ কেউ আমাদের সাথে শত্রুতা করছে। আমরা আজকে এ বিষয়গুলো কখনো আপনাদেরকে বলিনি। আজকে আমাদের পিঠ ঠেকে গেছে৷ শুনতে শুনতে।
‘এসব অপবাদ এসব মিথ্যাচার চলতেই আছে। বিশেষ করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অপপ্রচার, মিথ্যাচার, তারপর অনলাইনে ফেসবুকের কুৎসিত প্রচারণা; পার্সোনালি প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করা, গালিগালাজ।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ করে আমরা কি ভুল করে ফেললাম? সেই ডিজিটাল মাধ্যমে এখন আমাদের বিরুদ্ধে ব্যাবহার হচ্ছে। তারা এ বিষয়টা অত্যন্ত চতুরভাবে করে যাচ্ছে।’
প্রেক্ষাপট
স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়, যাতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে একজন শ্রমিকের ক্ষোভের বার্তা ছিল।
প্রতিবেদনটিতে স্মৃতিসৌধে ফুল বিক্রেতা শিশু সবুজ মিয়ার বক্তব্যও ছিল। একই প্রতিবেদনে জাকির হোসেন নামে দিনমজুরের বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলা হয়, ‘বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। আমাগো মাছ, মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগব।’
প্রতিবেদনটির ভিত্তিতে প্রথম আলোর ফেসবুক পেজে ফটো কার্ড ছাপা হয়েছিল। এতে উদ্ধৃতিটি ছিল দিনমজুর জাকিরের আর ছবি ছিল ফুল বিক্রেতা সবুজ মিয়ার।
ওই পোস্টে ছবি, উদ্ধৃতির এ গরমিলের পর প্রথম আলোর পক্ষ থেকে পোস্টটি মুছে ফেলা হয়। পরবর্তী সময়ে সংশোধনী দেয় সংবাদমাধ্যমটি।
এ নিয়ে একাত্তর টিভিতে প্রচারিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সাত বছরের শিশুর হাতে ১০ টাকা দিয়ে দৈনিক প্রথম আলোর ফটোসাংবাদিক ছবি তুলেছেন বলে দাবি ওই শিশু ও তার পরিবারের।
ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বলছেন, এ ধরনের সংবাদের মাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করেছে প্রথম আলো। তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রথম আলোর প্রতিবেদন রাষ্ট্রের ভিত্তিমূলে আঘাত করেছে।
প্রতিবেদন প্রকাশের জেরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে প্রতিবেদক শামসুজ্জামান ও প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের নামে। রাজধানীর রমনা থানায় করা মামলায় কারাগারে রয়েছেন শামসুজ্জামান।
মন্তব্য